ঢাকা: ইসলামি স্টেট (আইএস) একটি প্রকল্প! এতে ঠিক কার স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ পরিষ্কার না হলেও এদের পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ আগে ক্ষমতাধর দেশগুলোর। যেমন: ইরাকে আইএস অধিকৃত তেলকূপগুলোতে যেসব প্রকৌশলী কাজ করেন তাদের বেশিরভাগই তুর্কি। আইএসের কাছ থেকে কালোবাজারে তেল কেনা দেশের তালিকায় আছে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেকে।
তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রের বেশিরভাগই মার্কিন। তবে তুরস্ক, রাশিয়া, চীনের অস্ত্রও তাদের ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এবার সেই তালিকায় উঠে এলো ভারতের নাম।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেটের কাছে ২০টি দেশ থেকে বিস্ফোরক এবং নানা ধরনের সামরিক রসদ যায়। এসব রসদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি রয়েছে তুরস্কে। এরপরই ভারতের অবস্থান। যদিও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ (সিএআর) নামের একটি সংস্থার সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসকে ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠান সামরিক রসদ সরবরাহ করে। প্রায় ২০ মাসের চেষ্টায় এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে সিএআর।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস যেসব অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে যুদ্ধ করছে তার মধ্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা অন্তত ৭০০ এমন ধরনের উপাদান রয়েছে যেসব ‘ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস' বা আইইডি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
সরবরাহকারী দেশের তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রোমানিয়া, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, চীন, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া আর চেক প্রজাতন্ত্রের নাম।
সিএআর জানিয়েছে, ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তুরস্কের প্রতিষ্ঠানই ১৩টি। আর আইএস-কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রসদ সরবরাহ করার সঙ্গে জড়িত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭টি। সরবরাহ করা রসদগুলো লেবানন বা তুরস্ক হয়ে আইএস-এর কাছে যায়।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এরপরই দেশটিতে এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। পত্রিকাটি ওইসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চারটি প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, লেবানন বা তুরস্কে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো বিস্ফোরক বা বিস্ফোরক তৈরির উপযোগী দ্রব্য সরবরাহ করার তথ্যটি সম্পূর্ণ অসত্য। অবশ্য দুটি প্রতিষ্ঠান স্বীকার করেছে, তারা কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ‘ফিউজ' বা ডেটোনেটিং কর্ড-এর মতো কিছু জিনিস সরবরাহ করে থাকে। তবে তাদের দাবি, সরবরাহকৃত রসদ শেষ পর্যন্ত কোথায় যায়, কে বা কারা সেগুলো ব্যবহার করে তা তাদের জানা নেই।
ইরাকের রাবিয়া, কিরকুক, মেসুল ও তিকরিত এবং সিরিয়ার কোবানি শহরে আইএস যোদ্ধাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার কথা জানতে পেরেছে সিএআর। সিএআর-কে তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করেছে ইরাকের কেন্দ্রীয় পুলিশ সংস্থা ও সিরিয়ার ওয়াইপিজিসহ আরো কিছু কুর্দি সংগঠন।
অবশ্য অস্ত্র ও রসদ সরবরাহের অভিযোগ সব সময়ই অস্বীকার করে এসেছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। তবে সেসব দেশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একই দাবি- তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে অস্ত্র ও বিস্ফোরক বিক্রি করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেগুলো কোথায় যায় সে ব্যাপারে তাদের কিছু জানার কথা নয়। যদি সেটা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে গিয়ে পৌঁছায় এতে তাদের কোনো দায় নেই।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বাংলামেইল২৪ডটকম/ জে
তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রের বেশিরভাগই মার্কিন। তবে তুরস্ক, রাশিয়া, চীনের অস্ত্রও তাদের ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এবার সেই তালিকায় উঠে এলো ভারতের নাম।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেটের কাছে ২০টি দেশ থেকে বিস্ফোরক এবং নানা ধরনের সামরিক রসদ যায়। এসব রসদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি রয়েছে তুরস্কে। এরপরই ভারতের অবস্থান। যদিও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ (সিএআর) নামের একটি সংস্থার সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসকে ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠান সামরিক রসদ সরবরাহ করে। প্রায় ২০ মাসের চেষ্টায় এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে সিএআর।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস যেসব অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে যুদ্ধ করছে তার মধ্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা অন্তত ৭০০ এমন ধরনের উপাদান রয়েছে যেসব ‘ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস' বা আইইডি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
সরবরাহকারী দেশের তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রোমানিয়া, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, চীন, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া আর চেক প্রজাতন্ত্রের নাম।
সিএআর জানিয়েছে, ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তুরস্কের প্রতিষ্ঠানই ১৩টি। আর আইএস-কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রসদ সরবরাহ করার সঙ্গে জড়িত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭টি। সরবরাহ করা রসদগুলো লেবানন বা তুরস্ক হয়ে আইএস-এর কাছে যায়।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এরপরই দেশটিতে এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। পত্রিকাটি ওইসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চারটি প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, লেবানন বা তুরস্কে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো বিস্ফোরক বা বিস্ফোরক তৈরির উপযোগী দ্রব্য সরবরাহ করার তথ্যটি সম্পূর্ণ অসত্য। অবশ্য দুটি প্রতিষ্ঠান স্বীকার করেছে, তারা কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ‘ফিউজ' বা ডেটোনেটিং কর্ড-এর মতো কিছু জিনিস সরবরাহ করে থাকে। তবে তাদের দাবি, সরবরাহকৃত রসদ শেষ পর্যন্ত কোথায় যায়, কে বা কারা সেগুলো ব্যবহার করে তা তাদের জানা নেই।
ইরাকের রাবিয়া, কিরকুক, মেসুল ও তিকরিত এবং সিরিয়ার কোবানি শহরে আইএস যোদ্ধাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২০টি দেশের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার কথা জানতে পেরেছে সিএআর। সিএআর-কে তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করেছে ইরাকের কেন্দ্রীয় পুলিশ সংস্থা ও সিরিয়ার ওয়াইপিজিসহ আরো কিছু কুর্দি সংগঠন।
অবশ্য অস্ত্র ও রসদ সরবরাহের অভিযোগ সব সময়ই অস্বীকার করে এসেছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। তবে সেসব দেশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একই দাবি- তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে অস্ত্র ও বিস্ফোরক বিক্রি করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেগুলো কোথায় যায় সে ব্যাপারে তাদের কিছু জানার কথা নয়। যদি সেটা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে গিয়ে পৌঁছায় এতে তাদের কোনো দায় নেই।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বাংলামেইল২৪ডটকম/ জে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন