বেদয়াত, বেদয়াত বলে যারা শরিয়তের ফায়সালাগুলি অস্বীকার করে , মানে না। যেমন , মিলাদ শরীফ মানে না, লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান মানে না, মহিলা জামাত নিসিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মসজিদে , ঘরে মহিলাদের জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করে , সম্মিলিত মুনাজাত করাকে বেদয়াত বলে অর্থাৎ বাদ করে দেয় ইত্যাদি অনেক আছে যা বাতিল পন্থিরা আমল করতে দেয় না । নাউজুবিল্লাহ।
এখন আমাদের জানার বিষয় হলো ----
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন অনেক নতুন বিষয় রয়েছে, যা অবশ্যই কেউ পরিত্যাগ করে না।
যেমন -
(ক) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসায় ইল্ম শিক্ষা দেওয়া হয়, সেই পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুরু করে “খাইরুল ক্বুরুন” পর্যন্ত কারো সময়ই ছিলনা।
(খ) বর্তমানে আমরা যে নাহু সরফ শিক্ষা করে থাকি, তাও “খাইরুল ক্বুরুনে” ছিল না।
(গ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে তারাবীহ্র নামায পড়ে থাকি, এ পদ্ধতিও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(ঘ) বর্তমানে আমরা মসজিদে জামায়াতের জন্য যে সময় নির্ধারণ করে থাকি, তাও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(ঙ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে জুময়ার সানী আজান দিয়ে থাকি, এ পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(চ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে ওয়াজ মাহ্ফিল করে থাকি, ঐরূপ পদ্ধতিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওয়াজ মাহ্ফিল করেননি।
(ছ) বর্তমানে আমরা যে পোলাও, বিরিয়ানী কোর্মা, বুট, মূড়ী, পিয়াঁজো খেয়ে থাকি, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাননি।
(জ) বর্তমানে আমরা যে সকল যান-বাহনে চড়ে থাকি, যেমন- মোটরগাড়ী, ট্রেন, প্লেন, রকেট, রিক্সা, জাহাজ ইত্যাদি এবং পবিত্র হজ্জব্রত পালন করি ও বিদেশ ভ্রমনে যাই, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা, তিনি ঐগুলোতে কখনো চড়েননি।
(ঝ) বর্তমানে মানুষ যে সকল খাট -পালঙ্ক, সোকেস-আলমারী ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যবহার করেননি।
(ঞ) বর্তমানে বিয়ে-শাদীতে যে কাবিননামা করা হয়, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(ত) বর্তমানে যে সকল আধুনিক যন্ত্রপাতি মানুষ ব্যবহার করছে, যেমন- ফ্যান, এসি,ঘড়ি, চশমা, মাইক, ইত্যাদি, এগুলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(থ) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসার জন্য চাঁদা আদায় করা হয়, যেমন সদকা, ফিৎরা, যাকাত, কুরবানীর চামড়া, মান্নতের টাকা ইত্যাদি এবং যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসা তৈরী করা হয়, তা যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা। তদ্রুপ ‘খায়রুল কুরুনেও’ ছিলনা।
(দ) এখন সবাই ফেসবুক খবর লেখা, পড়া এবং প্রচারের কাজে ব্যবহার করছে যা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা। তদ্রুপ ‘খায়রুল কুরুনেও’ ছিলনা।
এমনিভাবে আরো অনেক বিষয়ই রয়েছে, যা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা “খায়রুল কুরুনে” ছিল না কিন্তু আমরা তা দায়েমীভাবে করছি।
আপনারা কি এগুলো ব্যবহার হতে বিরত থাকেন বা হেফাজতে আছেন ?
মূলত হাদীস শরীফ মুতাবিক কলেমা গো ৭৩ টা দলের মধ্যে একটি দল ছাড়া , বাকি ৭২টা দলই জাহান্নামী হবে , আক্বিদায় ত্রুটি থাকার কারনে , শরীয়তকে অস্বীকার করার কারণে। আর যারা বেদয়াত, বেদয়াত করে মুখে ফেনা তুলে শরীয়তের হুকুম অস্বীকার করে , তারা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও জাহান্নামী ৭২ টা দলের মধ্যেই পড়ে। নাউজুবিল্লাহ । এর মূল কারণ হচ্ছে ওরা শরীয়তের খেলাফ কাজ করার কারণে খাস রহমত
থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এই রহমত শূন্য থাকার কারণে ওরা লানতের মধ্যে পড়েছে। ওরা অন্ধ , বধির হয়ে গিয়েছে। ওদের অন্তর পাপের কারণে কালো হয়ে গিয়েছে।
এসব মুনাফিকদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন, ----
“নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে অবস্থান করবে। আপনি তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী পাবেন না।”
মুবারক হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো রয়েছে,
“ মুনাফিকের আলামত তিনটি। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে। যখন ওয়াদা করে, ভঙ্গ করে। যখন তার নিকট আমানত রাখা হয়, সে খিয়ানত করে। কিন্তু হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণনায় এ বিষয়টি অতিরিক্ত রয়েছে যে, যদিও সে রোযা রাখে ও নামায পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে মনে করে।”( মুত্তাফাকুন আলাইহি )
অতএব , সাধারণ মানুষদেরকে বলতে চাই ----- এই সব মুনাফিক থেকে দূরে থাকুন।
শরীয়ত মুতাবিক অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম মুতাবিক জীবন , যাপন করুন। বেদয়াত , বেদয়াত বলে রহমতের কাজ থেকে দূরে সরে যাবেন না। রহমতের কাজ থেকে সরে যাওয়া মানেই নিজের ক্ষতি নিজেই ডেকে আনা অর্থাৎ নিজের ধ্বংস নিজেই করা । নাউজুবিল্লাহ ।
এখনো সময় আছে, খালেস তওবা করে শরীয়ত মুতাবিক সমস্ত আমল করার চেষ্টা করুন।
মহান আল্লাহ পাক সবার ভালাই দান করুন। আমীন ।
এখন আমাদের জানার বিষয় হলো ----
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন অনেক নতুন বিষয় রয়েছে, যা অবশ্যই কেউ পরিত্যাগ করে না।
যেমন -
(ক) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসায় ইল্ম শিক্ষা দেওয়া হয়, সেই পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুরু করে “খাইরুল ক্বুরুন” পর্যন্ত কারো সময়ই ছিলনা।
(খ) বর্তমানে আমরা যে নাহু সরফ শিক্ষা করে থাকি, তাও “খাইরুল ক্বুরুনে” ছিল না।
(গ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে তারাবীহ্র নামায পড়ে থাকি, এ পদ্ধতিও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(ঘ) বর্তমানে আমরা মসজিদে জামায়াতের জন্য যে সময় নির্ধারণ করে থাকি, তাও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(ঙ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে জুময়ার সানী আজান দিয়ে থাকি, এ পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(চ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে ওয়াজ মাহ্ফিল করে থাকি, ঐরূপ পদ্ধতিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওয়াজ মাহ্ফিল করেননি।
(ছ) বর্তমানে আমরা যে পোলাও, বিরিয়ানী কোর্মা, বুট, মূড়ী, পিয়াঁজো খেয়ে থাকি, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাননি।
(জ) বর্তমানে আমরা যে সকল যান-বাহনে চড়ে থাকি, যেমন- মোটরগাড়ী, ট্রেন, প্লেন, রকেট, রিক্সা, জাহাজ ইত্যাদি এবং পবিত্র হজ্জব্রত পালন করি ও বিদেশ ভ্রমনে যাই, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা, তিনি ঐগুলোতে কখনো চড়েননি।
(ঝ) বর্তমানে মানুষ যে সকল খাট -পালঙ্ক, সোকেস-আলমারী ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যবহার করেননি।
(ঞ) বর্তমানে বিয়ে-শাদীতে যে কাবিননামা করা হয়, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(ত) বর্তমানে যে সকল আধুনিক যন্ত্রপাতি মানুষ ব্যবহার করছে, যেমন- ফ্যান, এসি,ঘড়ি, চশমা, মাইক, ইত্যাদি, এগুলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(থ) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসার জন্য চাঁদা আদায় করা হয়, যেমন সদকা, ফিৎরা, যাকাত, কুরবানীর চামড়া, মান্নতের টাকা ইত্যাদি এবং যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসা তৈরী করা হয়, তা যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা। তদ্রুপ ‘খায়রুল কুরুনেও’ ছিলনা।
(দ) এখন সবাই ফেসবুক খবর লেখা, পড়া এবং প্রচারের কাজে ব্যবহার করছে যা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা। তদ্রুপ ‘খায়রুল কুরুনেও’ ছিলনা।
এমনিভাবে আরো অনেক বিষয়ই রয়েছে, যা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা “খায়রুল কুরুনে” ছিল না কিন্তু আমরা তা দায়েমীভাবে করছি।
আপনারা কি এগুলো ব্যবহার হতে বিরত থাকেন বা হেফাজতে আছেন ?
মূলত হাদীস শরীফ মুতাবিক কলেমা গো ৭৩ টা দলের মধ্যে একটি দল ছাড়া , বাকি ৭২টা দলই জাহান্নামী হবে , আক্বিদায় ত্রুটি থাকার কারনে , শরীয়তকে অস্বীকার করার কারণে। আর যারা বেদয়াত, বেদয়াত করে মুখে ফেনা তুলে শরীয়তের হুকুম অস্বীকার করে , তারা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও জাহান্নামী ৭২ টা দলের মধ্যেই পড়ে। নাউজুবিল্লাহ । এর মূল কারণ হচ্ছে ওরা শরীয়তের খেলাফ কাজ করার কারণে খাস রহমত
থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এই রহমত শূন্য থাকার কারণে ওরা লানতের মধ্যে পড়েছে। ওরা অন্ধ , বধির হয়ে গিয়েছে। ওদের অন্তর পাপের কারণে কালো হয়ে গিয়েছে।
এসব মুনাফিকদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন, ----
“নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে অবস্থান করবে। আপনি তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী পাবেন না।”
মুবারক হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো রয়েছে,
“ মুনাফিকের আলামত তিনটি। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে। যখন ওয়াদা করে, ভঙ্গ করে। যখন তার নিকট আমানত রাখা হয়, সে খিয়ানত করে। কিন্তু হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণনায় এ বিষয়টি অতিরিক্ত রয়েছে যে, যদিও সে রোযা রাখে ও নামায পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে মনে করে।”( মুত্তাফাকুন আলাইহি )
অতএব , সাধারণ মানুষদেরকে বলতে চাই ----- এই সব মুনাফিক থেকে দূরে থাকুন।
শরীয়ত মুতাবিক অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম মুতাবিক জীবন , যাপন করুন। বেদয়াত , বেদয়াত বলে রহমতের কাজ থেকে দূরে সরে যাবেন না। রহমতের কাজ থেকে সরে যাওয়া মানেই নিজের ক্ষতি নিজেই ডেকে আনা অর্থাৎ নিজের ধ্বংস নিজেই করা । নাউজুবিল্লাহ ।
এখনো সময় আছে, খালেস তওবা করে শরীয়ত মুতাবিক সমস্ত আমল করার চেষ্টা করুন।
মহান আল্লাহ পাক সবার ভালাই দান করুন। আমীন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন