সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৭

মিরাজ শরীফে আল্লাহ পাকের দীদার


=============================================
মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا ۚ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় হাবীবকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল। (সূরা বনি ইসরাঈল ১)
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, তিনি বলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুইবার আল্লাহ তায়ালাকে দেখেছেন। একবার চক্ষু মোবারক দ্বারা একবার অন্তর মোবারক দ্বারা। (মু’জামুল আওসাত ৩/৩৫৬, হাদীস ৫৭ ৫৭, মু’জামুল কবীর ১২/১৭: হাদীস ১২৫৬৪, মাওয়াহিবুল্লাদুন্নিয়া ৩/৩৯৭, উমদাতুল ক্বারী ১৯/১৯৯ , খাসায়েসুল কোবরা ১/২৬৭)
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুসনাদে সহীহ সনদে বর্ননা করেন, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, তিনি বলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আল্লাহ তাবারক ওয়া তায়ালকে দেখেছি। (মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল ১/২৯০: হাদীস ২৬৩৪, জামেউছ ছগীর : হাদীস ৪৩৭৭)
লা’মাযহাবীদের গুরু নাছির উদ্দীন আলবানী তার সহীহুল জামের ৩৪৬৬ নং হাদীসে উক্ত বর্ননা কে সহীহ বলে উল্লেখ করেছে।
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আইশ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন , আমি মহান রব তায়ালাকে উত্তম সূরতে দেখেছি।” (দারেমী শরীফ ২/১৭০: হাদীস ২১৪৯, মিশকাতুল মাছাবীহ ১/২২৫: হাদীস ৭২৫, মিরকাতুল মাফাতীহ : কিতাবুল মসজিদ, শরহে শিফা ১/৪২৮)
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান রব্বুল আলামীন উনাকে দেখেছেন। (ইবনে খুযাইমা ২/৮৮৯, শরহে মাওয়াহেব ৬/১১৮)
বিশিষ্ট তাবেয়ী শারীক রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আবু যর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, অত্র আয়াত শরীফ (হৃদয় যা দেখেছে তা মিথ্যা নয়) প্রসঙ্গে , হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তায়ালার দর্শন লাভ করেছেন। (শরহে শিফা ১/৪২৬)
হযরত মুয়াজ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার প্রভুকে দেখেছি। (মিশকাতুল মাছাবীহ ৭২ পৃষ্ঠা)
হযরত হাছান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি কসম করে বলেছেন, নিশ্চয়ই হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক ইনাকে দেখেছেন। (শিফা শরীফ ১/১১৫)
হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই আমি আমার রব তায়ালা উনাকে দেখেছি। (তিরমিযী শরীফ : হাদীস শরীফ ৪২৩৫, ফিরদাউস লি দয়লামী ২/২৫৪ : ৩১৮৩)
উক্ত হাদীস শরীফ সর্ম্পেকে ইমাম তিরমীযি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনছি এই হাদীস শরীফ সহীহ।
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার রব তায়ালা উনাকে দেখেছি। উনার কোন তুলনা বা মেছাল নেই।” (ফিরদাউস লি দয়লামী ২/২৫৪ : ৩১৮৩)
ইমাম আবু আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে সহীহ সনদে হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রব তায়ালা উনাকে দেখেছেনঃ। (আস সুন্নাহ লি ইবনে আছিম ১/১৯০ : ৪৩৭)
হযরত ক্বাতাদা রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন। (খাছায়েছুল কোবরা ১/২৫৯)
ইমাম বাজ্জার রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রব তায়ালা উনাকে দেখেছেন। (মুসনাদে বাযযার ৫১৮৫, আবু ইয়লা ২৬০৮)
ইবনে ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, হযরত মারওয়ান রহমতুল্লাহি একদা হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন ? তিনি বললেন হ্যাঁ। (শরহে শিফা ১/১১৯)
ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এ কথা সহীহ যে মিরাজ শরীফ রজনীতে , হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন। (ইহয়াউ উলুমুদ্দীন)
মুসলিম শরীফ এর ব্যাখ্য কারক ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম উনাদের অভিমত হচ্ছে মিরাজ শরীফের রাতে, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক উনাকে কপাল মুবরাক এর চক্ষু মুবারক দ্বারা দেখেছেন। (শরহে মুসলিম, শরহে মাওয়াহেব ৬/১৬৬)
আর তাই মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,
ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّىٰ
فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَىٰ
فَأَوْحَىٰ إِلَىٰ عَبْدِهِ مَا أَوْحَىٰ
مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَىٰ
مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَىٰ
অতঃপর নিকটবর্তী হলেন ও ঝুঁকে গেলেন। দুই ধনুকের অথবা আরও কম। তখন আল্লাহ যা ওহী করবার, তা করলেন। অন্তর মিথ্যা বলেনি যা তিনি দেখেছে। তোমরা কি বিষয়ে বিতর্ক করবে যা তিনি দেখেছেন? (সূরা নজম ৮-১২)

পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের আমল ও রোজার বিষয়ে সহীহ হাদীছ সনদ সহকারে।


পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের আমল ও রোজার বিষয়ে সহীহ হাদীছ সনদ সহকারে।
أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنِي أَبُو نَصْرٍ رَشِيقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرُّومِيُّ إِمْلَاءً مِنْ كِتَابِهِ بالطَّابِرانِ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْهَيَّاجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ، وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَقَامَ مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ ثَلَاثٌ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، وَفِيهِ بَعَثَ اللهُ مُحَمَّدًا "، " وَرُوِيَ ذَلِكَ بِإِسْنَادٍ آخَرَ أَضْعَفُ مِنْ هَذَا كَمَا "
যেমন- হজরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত- প্রিয় নবী, হুজুর পুরনুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, "রজবে এমন একটি দিন ও একটি রাত রয়েছে, যে এদিন রোজা রাখবে, আর রাত জেগে ইবাদত করবে, তবে সে যেন ১০০ বছরের রোজা রাখল এবং ১০০ বছরের রাত জেগে ইবাদত করলো, আর তা হচ্ছে রজবের ২৭ তারিখ।" (শোয়ায়বুল ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৫পৃ, হাদিস-৩৫৩০, ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৬, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হাদীস ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীস ৩৫১৬৯, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড, নেদায়ে রাইয়ান ফি ফিক্বহিস সওমে ওয়া ফদলী রমাদ্বান ১/৪২১)
3531 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ خَلَفُ بْنُ مُحَمَّدٍ بِبُخَارَى، أَخْبَرَنَا مَكِّيُّ بْنُ خَلَفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَخْبَرَنَا عِيسَى وَهُوَ الْغُنْجَارُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: " فِي رَجَبٍ لَيْلَةٌ يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ، وَذَلِكَ لِثَلَاثٍ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ يَتَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَيُسَلِّمُ فِي آخِرِهِنَّ، ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ صَائِمًا فَإِنَّ اللهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُو فِي مَعْصِيَةٍ "
রজব মাসে একটি রাত আছে ওই রাতের আমলকারীর সমস্ত আমলের ছওয়াব ১০০ গুণ করে লিপিবদ্ধ করা হয় সে রাতটি হলো ২৭মে রজব। যে ব্যক্তি ওই রাতে ১২ রাকায়াত নামায আদায় করবে যাতে সূরা ফাতিহা সহ অন্য কোন আয়াত শরীফ পাঠ করবে প্রতি দু’রাকায়াতে তাশাহুদ (দুরুদ শরীফ ও দুয়ায়ে মাছুরাসহ) পাঠ শেষে সালাম ফিরাবে। এবং নিম্নক্তো দুআ ১০০ বার পাঠ করবে-
سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ
অতপর ১০০ বার ইস্তিগফার পাঠ করবে অতপর ১০০ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে। ওই ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যানকর যত দু‘আই করবে এবং সকালে রোযাদার অবস্থায় অবস্থান করবে তার সকল দু‘আই কবুল করা হবে, শুধুমাত্র গুণাহের কাজে জন্য দু‘আ ব্যতীত। (শোয়াবুল ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৬পৃ, হাদিস-৩৫৩১, ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৭ : হাদীস ১২, তাবয়িনুল আযাব বিমা উরিদা ফি ফাদলি রজব ১/৩১, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হাদীস ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীস ৩৫১৭০, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড বাবু হারফূ ফা, আসারুল মারফুয়া ১/৬১ , তানযিয়াতু শরীয়াতিল মারফুয়া ২/৮৯)
সূতরাং সবাই এই রাতে ইবাদত করে দিনে রোজা রেখে সহীহ হাদীসের উপর আমল করুন।

What is Shab e Miraj ?





.
Shab e Miraj means ‘the night of ascent’, and is the blessed night when the Holy Prophet of Islam was spiritually transported to heaven.
People believe that he become incredibly close to the God Almighty – so close that it is beyond ordinary human comprehension.
The Ascent took place so that the Prophet’s high status could be confirmed – one that no other human being can attain.
It is said that Gabriel, the angel who was accompanying the Prophet, told him: ‘I am forced to stop here. I cannot go any further, but you O Messenger of peace and friend of the Master of the worlds, continue your glorious ascent.’
After reaching the utmost nearness to the Throne of God Almighty and drinking from the Divine fountain of spiritual knowledge, the Prophet came down to impart his knowledge to mankind.
The word Miraj is derived from the Arabic word Urooj, which means ‘height’ or ‘ascension’.
.
How is Sab e miraj celebrated?
.
Some celebrate the event by offering prayers throughout the night, and some Muslim countries will illuminate cities with electric lights and candles.
Worshippers will gather into mosques to perform prayers, with some passing their knowledge onto others by telling them the story of how Muhammad’s heart was purified by the archangel Gabriel, who gave him the knowledge and faith that would prepare him to enter the seven levels of heaven.
They claim that he was transported to Jerusalem, then onward to the Seven Heavens, even though his body remained where it was.
Other interpretations of the Quran place emphasis on the spiritual significance of Mi’raj, saying that it represents the soul’s journey and our potential to rise above the comforts of material life through prayer, discipline and piety.

বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭

বাংলাদেশর সকল ট্রেনের সময়সূচী




বাংলাদেশ ট্রেনের সময়সূচি: 


Intercity Trains(Meter Gauge & Dual Gauge)
 SL. NO   Train NO  Name of Trains  Off-day Starting station & Departure time Arrivalstation & Arrival                                                                                                                            time Station Time Station Time


 1       701        Subarna   Express Friday Chittagong 07:00 Dhaka 12:40 2 702 Subarna Express Friday Dhaka 15:00 Chittagong 20:30 3 703 Mohanagar Goduli No Chittagong 15:00 Dhaka 22:15 4 704 Mohanagar Provati No Dhaka 07:40 Chittagong 14:55 5 705 Ekota Express Tuesday Dhaka 10:00 Dinajpur 19:45 6 706 Ekota Express Monday Dinajpur 21:20 Dhaka 07:10 7 707 Tista Express Monday Dhaka 07:20 Dewangong 12:45 8 708 Tista Express Monday Dewangong 15:00 Dhaka 20:45 9 709 Parabat Express Tuesday Dhaka 06:40 Sylhet 13:40 10 710 Parabat Express Tuesday Sylhet 15:00 Dhaka 22:35 11 711 Upukol Express Wednesday Noakhali 06:00 Dhaka 12:30 12 712 Upukol Express Tuesday Dhaka 15:20 Noakhali 21:40 13 713 Karutoa Express No Santahar 16:25 Borimari 22:30 14 714 Karutoa Express No Borimari 17:00 Santahar 23:10 15 717 Joyantika Express No Dhaka 12:00 Sylhet 19:45 16 718 Joyantika Express Thursday Sylhet 08:40 Dhaka 16:20 17 719 Paharika Express Monday Chittagong 08:45 Sylhet 18:00 18 720 Paharika Express Saturday Sylhet 10:15 Chittagong 20:05 19 721 Mohanagar Express Sunday Chittagong 12:30 Dhaka 19:30 20 722 Mohanagar Express Sunday Dhaka 21:00 Chittagong 05:00 21 723 Uddayan Express Saturday Chittagong 21:45 Sylhet 06:55 22 724 Uddayan Express Sunday Sylhet 21:20 Chittagong 06:35 23 729 Meghna Express No Chittagong 17:00 Chandpur 22:00 24 730 Meghna Express No Chandpur 05:00 Chittagong 10:00 25 735 Agnibina Express No Dhaka 09:40 Tarakandi 15:20 26 736 Agnibina Express No Tarakandi 16:30 Dhaka 22:55 27 737 Egarosindhur Provati Wednesday Dhaka 07:00 Kisoregonj 11:00 28 738 Egarosindhur Provati No Kisoregonj 06:45 Dhaka 10:45 29 739 Upaban Express Wednesday Dhaka 21:50 Sylhet 05:30 30 740 Upaban Express No Sylhet 22:00 Dhaka 05:25 31 741 Turna Express No Chittagong 23:00 Dhaka 06:30 32 742 Turna Express No Dhaka 23:30 Chittagong 07:10 33 743 Bharamaputra No Dhaka 18:00 Dewangong 00:20 34 744 Bharamaputra No Dewangong 06:30 Dhaka 12:50 35 745 Jamuna Express No Dhaka 16:40 B.B. East 00:20 36 746 Jamuna Express No B.B. East 01:10 Dhaka 08:00 37 749 Egarosindhur Goduli No Dhaka 18:30 Kisoregonj 22:45 38 750 Egarosindhur Goduli Wednesday Kisoregonj 12:30 Dhaka 16:45 39 751 Lalmoni Express Friday Dhaka 22:10 Lalmonirhat 08:20 40 752 Lalmoni Express Friday Lalmonirhat 10:40 Dhaka 21:05 41 757 Drutojan Express Wednesday Dhaka 19:40 Dinajpur 05:30 42 758 Drutojan Express Wednesday Dinajpur 07:40 Dhaka 17:55 43 767 Dolonchapa Express No Santahar 13:30 Dinajpur 20:30 44 768 Dolonchapa Express No Dinajpur 05:40 Santahar 12:20 45 771 Rangpur Express Sunday Dhaka 09:00 Rangpur 19:00 46 772 Rangpur Express Sunday Rangpur 20:00 Dhaka 06:05 47 773 Kalani Express Friday Dhaka 16:00 Sylhet 22:45 48 774 Kalani Express Friday Sylhet 07:00 Dhaka 14:10 49 777 Haor Express Wednesday Dhaka 23:50 Mohangonj 06:10 50 778 Haor Express Thursday Mohangonj 08:30 Dhaka 15:00 51 781 Kishorgonj Express Friday Dhaka 10:20 Kishorgonj 14:15 52 782 Kishorgonj Express Friday Kishorgonj 14:40 Dhaka 18:50 53 785 Bijoy Express Wednesday Chittagong 07:20 Mymensingh 16:45 54 785 Bijoy Express Tuesday Mymensingh 20:00 Chittagong 05:30 Intercity Trains(Broad Gauge & Dual Gauge) Sl. No. Train no Name Off day From Departure To Arrival 01 715 Kapotaskh express Saturday Khulna 06:30 Rajshahi 13:10 02 716 Kapotaskh express Saturday Rajshahi 14:00 Khulna 20:50 03 725 Sundarban express Tuesday Khulna 19:30 Dhaka 05:40 04 726 Sundarban express Wednesday Dhaka 06:20 Khulna 16:20 05 727 Rupsha express Thursday Khulna 07:45 Saidpur 17:15 06 728 Rupsha express Thursday Saidpur 07:45 Khulna 18:00 07 731 Barendra express Sunday Rajshahi 15:00 Nilphamari 21:00 08 732 Barendra express Sunday Nilphamari 06:20 Rajshahi 12:35 09 733 Titumir express Wednesday Rajshahi 06:30 Chilahati 13:40 10 734 Titumir express Wednesday Chilahati 14:20 Rajshahi 22:00 11 747 Simanta express No Khulna 21:00 Saidpur 06:20 12 748 Simanta express No Saidpur 19:00 Khulna 04:30 13 753 Silk city express Sunday Dhaka 14:40 Rajshahi 21:05 14 754 Silk city express Sunday Rajshahi 07:30 Dhaka 13:45 15 755 Madhumati express Thursday Goalonda Ghat 15:00 Rajshahi 20:30 16 756 Madhumati express Thursday Rajshahi 07:10 Goalonda Ghat 12:40 17 759 Padma Express Tuesday Dhaka 23:10 Rajshahi 04:50 18 760 Padma Express Tuesday Rajshahi 16:00 Dhaka 21:50 19 761 Sagardari Express Monday Khulna 14:50 Rajshahi 21:40 20 762 Sagardari Express Monday Rajshahi 06:50 Khulna 13:30 21 763 Chittra Express Monday Khulna 08:30 Dhaka 18:20 22 764 Chittra Express Monday Dhaka 19:00 Khulna 05:10 23 765 Nilsagar Monday Dhaka Cantt 08:25 Chilahati 18:15 24 766 Nilsagar Sunday Chilahati 21:20 Dhaka Cantt 07:50 25 769 Dhumketue Express Saturday Dhaka 06:00 Rajshahi 11:50 26 770 Dhumketue express Friday Rajshahi 23:20 Dhaka 04:55 27 775 Sirajgong Express Saturday Ishurdi 07:40 Dhaka 15:20 28 776 Sirajgong Express Saturday Dhaka 17:00 Ishurdi 00:00 29 779 KalukhaliVatiapara Express Thursday Vatiapara Ghat 13:40 Goalondho 17:50 30 780 KalukhaliVatiapara Express Thursday Rajbari 10:40 Vatiapara Ghat 13:15 31 3107/3110 Moitree Express Sat.Mon.Tues. & Thursday Dhaka Cantt 08:10 Kolkata 18:45 32 3108/3109 Moitree Express Sun. Wed. Thus.& Friday Kolkata 07:10 Dhaka Cantt. 18:05 Mail/Express Trains (Metre Gauge): Train no Name Off day From Departure To Arrival 1 Dhaka mail No Chittagong 22:30 Dhaka 07:20 2 Chittagong mail No Dhaka 22:30 Chittagong 07:50 3 Karnaphuli express No Chittagong 10:00 Dhaka 20:10 4 Karnaphuli express No Dhaka 08:30 Chittagong 18:30 7 Uttarbanga mail No Santahar 09:30 Punchogor 23:10 8 Uttarbanga mail No Punchogor 07:40 Santahar 22:40 9 Surma mail No Dhaka 22:50 Sylhet 12:20 10 Surma mail No Sylhet 20:00 Dhaka 09:45 11 Dhaka express No Noakhali 21:00 Dhaka 06:50 12 Noakhali express No Dhaka 20:10 Noakhali 06:40 13 Jalalabad express No Chittagong 19:30 Sylhet 11:20 14 Jalalabad express No Sylhet 22:50 Chittagong 12:40 17 Kushiara express No Akhaura 06:00 Sylhet 14:20 18 Kushiara express No Sylhet 16:50 Akhaura 00:30 19 Bogra express No Santahar 16:00 Lalmonirhat 22:20 20 Bogra express No Lalmonirhat 08:30 Santahar 15:30 21 Padmarag express No Santahar 06:30 Lalmanirhat 12:45 22 Padmarag express No Lalmanirhat 14:10 Santahar 20:10 29 Sagarika express No Chittagong 07:30 Chandpur 13:05 30 Sagarika express No Chandpur 13:50 Chittagong 19:35 33 Titas commuter No Akhaura 05:00 Dhaka 08:35 36 Titas commuter No Dhaka 17:40 Akhaura 21:20 37 Mymensingh express No Chittagong 15:30 B.B Setu Purbo 09:30 38 Mymensingh express No B.B Setu Purbo 00:45 Chittagong 20:40 39 Isakhan express No Dhaka 11:35 Mymensingh 21:45 40 Isakhan express No Mymensingh 12:00 Dhaka 23:30 41 Kanchan express No Parbatipur 08:00 Thakurgaon Road 12:30 42 Kanchan express No Thakurgaon Road 14:00 Parbatipur 18:00 43 Mahua express No Dhaka 8:15 Mohanganj 14:40 44 Mahua express No Mohanganj 15:00 Dhaka 21:30 45 Samatat express No Noakhali 08:00 Laksam 09:45 46 Samatat express No Laksam 18:00 Noakhali 20:00 47 Dewanganj Comuter No Dhaka 05:40 Dewanganj Bazar 11:45 48 Dewanganj Comuter No Dewanganj Bazar 13:00 Dhaka 19:10 49 Balaka Comuter No Dhaka 04:40 Jharia Jhangail 10:00 50 Balaka Comuter No Jharia Jhangail 12:00 Dhaka 17:30 51 Jamalpur comuter No Dhaka 15:40 Dewangonj Bazar 22:15 52 Jamalpur comuter No Dewangonj Bazar 05:00 Dhaka 11:10 55 Vawall express No Dhaka 21:20 Dewangong Bazar 05:45 56 Vawal express No Dewangong Bazar 02:00 Dhaka 11:45 59 Ramsagor express No Bonarpara 06:30 Dinajpur 14:00 60 Ramsagor express No Dinajpur 14:40 Bonarpara 21:00 61 Dinajpur Comuter No Lalmonirha t 06:30 Berol 10:50 62 Dinajpur Comuter No Berol 11:10 Lalmonirhat 15:00 63 Lalmoni Comuter No Lalmonirha t 12:50 Parbotipur 15:20 64 Lalmoni Comuter No Parbotipur 05:30 Lalmonirhat 07:40 65 Burimari Comuter-1 No Lalmonirha t 08:00 Burimari 10:10 66 Burimari Comuter-2 No Burimari 10:30 Lalmonirhat 12:40 67 Chattala Express Tuesday Chittagong 08:15 Dhaka 15:45 68 Chattala Express Tuesday Dhaka 13:00 Chittagong 21:00 69 Parbotipur Comuter No Lalmonirha t 21:45 Parbotipur 00:00 70 Parbotipur Comuter No Parbotipur 19:10 Lalmonirhat 21:25 71 Burimari Comuter-3 No Lalmonirha t 15:10 Burimari 17:20 72 Burimari Comuter-4 No Burimari 22:50 Lalmonirhat 01:00 75 Dholesssory Express No Mymensing h 11:45 B.B Setu East 15:50 76 Dholesssory Express No B.B Setu East 17:50 Mymensingh 23:00 79 Laksam Comuter Friday Chittagong 17:30 Comilla 21:05 80 Laksam Comuter Saturday Comilla 05:00 Chittagong 08:40 81 Chandpur Comuter Friday Chandpur 09:30 Comilla 12:35 82 Chandpur Comuter Friday Laksam 07:10 Chandpur 09:15 83 Chandpur Comuter Friday Chandpur 16:30 Comilla 19:40 83 Down Chandpur Comuter Friday Comilla 19:50 Laksam 20:30 84 Chandpur Comuter Friday Comilla 12:45 Chandpur 16:10 85 Noakhali Comuter Friday Noakhali 11:50 Comilla 14:00 86 Up Noakhali Comuter Friday Laksam 07:50 Comilla 08:35 86 Noakhali Comuter Friday Comilla 08:45 Noakhali 11:35 87 Noakhali Comuter Friday Noakhali 17:30 Laksam 19:10 88 Noakhali Comuter Friday Comilla 14:10 Noakhali 17:10 89 Down Comilla Comuter Saturday Akhaura 04:50 Comilla 05:45 89 Comilla Comuter Tuesday Comilla 06:00 Dhaka 11:30 90 Comilla Comuter Monday Dhaka 13:30 Comilla 19:00 90 Up Comilla Comuter Friday Comilla 19:30 Akhaura 21:00 91 Mymensingh Comuter Wednesday Joydebpur 12:50 Mymensingh 15:10 92 Mymensingh Comuter Thursday Mymensing h 09:40 Joydebpur 12:35 93 Sylhet Comuter Friday Akhaura 15:30 Sylhet 21:55 94 Sylhet Comuter Friday Sylhet 07:30 Akhaura 13:00 Turag/1 Turag Express Friday Dhaka 05:10 Joydebpur 06:25 Turag/2 Turag Express Friday Joydebpur 07:50 Dhaka 09:15 Turag/3 Turag Express Friday Dhaka 17:20 Joydebpur 18:40 Turag/4 Turag Express Friday Joydebpur 19:10 Dhaka 20:25 Joydebpur Comuter-1 Friday Dhaka 09:15 Joydebpur 10:30 Joydebpur Comuter-2 Friday Joydebpur 10:45 Dhaka 12:00 Joydebpur Comuter-3 Friday Dhaka 12:40 Joydebpur 14:00 Joydebpur Comuter-4 Friday Joydebpur 15:20 Dhaka 17:10 Narayanganj Comuter- 1 Friday Narayanga nj 06:25 Dhaka 07:05 Narayanganj Comuter- 2 Friday Dhaka 05:30 Narayanganj 06:10 Narayanganj Comuter- 3 Friday Narayanga nj 14:35 Dhaka 15:20 Narayanganj Comuter- 4 Friday Dhaka 13:40 Narayanganj 14:20 Narayanganj Comuter- 5 Friday Narayanganj 23:15 Dhaka 23:55 Narayanganj Comuter- 6 Friday Dhaka 22:20 Narayanganj 23:05 Tongi Comuter-1 Friday Dhaka 05:25 Tongi 06:10 Tongi Comuter-2 Friday Tongi 07:55 Dhaka 08:50 Nazirhat Comuter-1 Friday Chittagong 10:30 Nazirhat 12:30 Nazirhat Comuter-2 Friday Nazirhat 13:00 Chittagong 15:00 Chittagong University Comuter- 1 Chittagong 08:30 Chittagong University 09:40 Chittagong University Comuter-2 Chittagong University 10:30 Chittagong 11:50 Chittagong University Comuter-3 Chittagong 13:10 Chittagong University 14:20 Chittagong University Comuter-4 Chittagong University 15:00 Chittagong 16:15 Mail/Express Trains (Broad Gauge & Duel Gauge): Sl. No: Train No Name Off day From Departure To Arrival 1 5 Rajshahi express No Dhaka 11:20 Chapainawabganj 21:45 2 6 Rajshahi express No Chapainawabganj 08:10 Sirajgonj 17:20 3 15 Mahananda Express No Khulna 11:10 Chapainawabganj 22:45 4 16 Mahananda Express No Rahanpur 05:40 Khulna 17:30 5 23 Rocket express No Khulna 09:20 Parbatipur 22:00 6 24 Rocket express No Parbatipur 09:50 Khulna 00:10 7 25 Nakshikantha express No khulna 02:00 Goalondaghat 11:00 8 26 Nakshikantha express No Goalondaghat 13:00 Khulna 22:30 9 27 Chilahati express No Parbatipur 04:30 Chilahati 22:30 10 28 Chilahati express No Chilahati 07:10 Parbatipur 09:30 11 31 Uttara express No Rajshahi 12:00 Parbatipur 20:15 12 32 Uttara express No Parbatipur 03:10 Rajshahi 10:25 13 53 Benapol comuter No Khulna 07:00 Benapol 09:30 14 54 Benapol comuter No Benapol 12:45 Khulna 15:30 15 57 Rajshahi comuter No Ishurdi 07:00 Chapainawabganj 11:20 16 58 Rajshahi comuter No Chapainawabganj 13:00 Rajshahi 14:40 17 77 Rajshahi comuter No Rajshahi 15:00 Rahanpur 17:00 18 78 Rajshahi comuter No Rahanpur 17:20 Ishurdi 21:15 19 Rangpur Comuter-2 No Parbatipur 09:00 Lalmonirhat 11:05 20 Rangpur Comuter-1 No Lalmonirhat 11:15 Parbatipur 13:40 21 Thakurgaon Comuter-1 No Parbatipur 15:00 Thakurgaon 18:20 22 Thakurgaon Comuter-1 No Thakurgaon 18:30 Parbatipur 21:45

তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তুলবে হবে: মোস্তাফা জব্বার তথ্য প্রযুক্তি দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তুলবে হবে: মোস্তাফা জব্বার

ডেস্ক ॥ রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত ব্র্যাকাথন-২-এ ‘তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা সমাধান ও জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তুলবে হবে।
বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যারা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে ও কোডিং করতে পারে এমন বিপুল পরিমাণ প্রোগ্রামার প্রয়োজন আমাদের। কেবল দেশের নয়, বিশ্ববাজারে প্রোগ্রামারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে এই অসাধারণ এবং অনন্য সুযোগ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। বিপুল পরিমাণ সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত যুবকদের দিয়ে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর সেবার কাজ আমরা করাতে পারি।
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে যে সফটওয়্যার মানেই কেবলমাত্র কোডিং। তবে এই কোডিং আসলে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে খাতের একটি অংশমাত্র। একটি সফটওয়্যার তৈরির জন্য সমস্যাটা বোঝা, তার সমাধান খুঁজে বের করা, ব্যবহারকারীর ইন্টারফেসটাকে তৈরি করা, ম্যানুয়াল তৈরি করা বা ডকুমেন্টেশন করা, সাপোর্ট দেওয়া ইত্যাদি নানা কাজ এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত। তবে এসব কাজ করতে হলে আমাদের প্রোগ্রামারদেরকে কোডিংসহ সকল বিষয়েই দক্ষ হতে হবে। আবার যারা কোডিং জানেন না তারাও সফটওয়্যার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারেন।

গত সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত ব্র্যাকাথন-২-এ ‘তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা সমাধান ও জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এই বক্তব্য রাখেন বেসিস সভাপতি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ আইসিটি অ্যান্ড পার্টনারশিপ স্ট্রেনদেনিং ইউনিটের পরিচালক কে.এ.এম মোর্শেদ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ফিন্ড অপারেশন্স বিষয়ক পরিচালক দেবাশিষ সাহা, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস প্রি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন এবং অধ্যাপক সাবিনা ফয়েজ রশিদসহ প্রমুখ।

ফেসবুক আইডি খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রস্তাব বাংলাদেশ সরকারের

sabuz bangladesh desk ॥ ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট কিংবা অন্য কোনো পরিচয়পত্রের তথ্য সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।



গত সোমবার ফেসবুক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্যই এমন উদ্যোগ নিতে চাইছে পুলিশ।
গত রবিবার হতে ঢাকায় শুরু হয়েছে ১৪ দেশের পুলিশপ্রধানদের তিন দিনব্যাপী সম্মেলন। বাংলাদেশ পুলিশ ও ইন্টারপোল যৌথভাবে সম্মেলনটি আয়োজন করে। ফেসবুকের পক্ষ হতে ছিলেন সংস্থাটির ট্রাস্ট ও সেফটি ব্যবস্থাপক বিক্রম লেংগেহ।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, সাইবার অপরাধ তদন্তে ফেসবুকের সহায়তা চাওয়া হয়। নারী নির্যাতন ও ধর্মীয় বিষয়ে প্রচারণার ক্ষেত্রে ফেসবুককে বিষয়টি পুলিশের নজরে দিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, জবাবে ফেসবুক বলেছে, তাদের নিজস্ব নীতিমালায় সাংঘর্ষিক না হলে সব রকম সহযোগিতা করবে তারা।

অমানবিক আউটসোর্সিং


তারা সরকারের কাজ করে; কিন্তু সরকারি কর্মচারী নয়। সরকার তাদের নিয়োগপত্র দেয় না। সরাসরি বেতনও দেয় না। তারা বেতন পায় সরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান থেকে। সরকারি সংস্থা থেকে পাওয়া টাকা আর কর্মচারীটিকে দেওয়া টাকার পার্থক্যই হলো আউটসোর্সিং কম্পানির মালিকের লাভ। এ কারণেই আউটসোর্সিং কম্পানির নিরন্তর চেষ্টা কর্মচারীটিকে ঠকানোর।
আউটসোর্সিং কম্পানির চাকরির কোনো বিধিবিধান নেই। যেকোনো সময় মালিকের অসন্তুষ্টির কারণে তাদের চাকরি চলে যায়। এ চাকরিতে বেতন বৃদ্ধি, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, পেনশন, বোনাস—এসবের কোনো সুযোগ নেই। বেকারত্বের এ দেশে অবিশ্বাস্য কম বেতনে আউটসোর্সিং করে সরকারিভাবে মধ্যস্বত্বভোগী সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে জনবল সরবরাহকারী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লাভবান হয় আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র কর্মচারী।
আউটসোর্সিংয়ের পক্ষে সরকারের যুক্তি হচ্ছে খরচ কমানো। কর্মচারীদের প্রতিবছর বেতন বাড়াতে হয়। পাঁচ বছর পর পর দিতে হয় নতুন পে স্কেল। ৫৯ বছর বয়সে পাঠাতে হয় পিআরএলে। এর পর থেকে দিতে হয় পেনশন। সরকারি চাকরিজীবীর মৃত্যুর পরও এ পেনশন চলতে থাকে—যত দিন তাঁর স্ত্রী বেঁচে থাকেন। আউটসোর্সিংয়ে এসব ঝামেলা নেই। বছর বছর বেতন বাড়ে না। অবসরের পর পেনশন দিতে হয় না। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিম্ন শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের আরো একটি কারণ, কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ। কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, কাজের সুযোগ বাড়ানো, ভালো কাজের পরিবেশ সৃষ্টি—এসব ধারণা থেকে ট্রেড ইউনিয়নের জন্ম হলেও পরে এটি অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকার কি শুধু খরচের কথাই চিন্তা করবে? শুধু খরচের কথা চিন্তা করলে দরিদ্র মানুষকে কেন ১০ টাকা কেজিতে চাল দেওয়া হচ্ছে? প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাসুবিধা নিশ্চিত করতে বিনা মূল্যে পাঠ্য বই দিচ্ছে। দরিদ্র মানুষকে চিকিত্সাসেবা দেওয়ার জন্য গ্রাম ও শহরে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। সাড়ে তিন কোটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিফিন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কয়েক কোটি যুবককে দক্ষ শ্রমশক্তিতে পরিণত করার জন্য বিশেষ ফান্ড তৈরি করছে।
শুধু খরচের কথা ভাবলে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নত হবে না। প্রতিরক্ষা, প্রশাসন, আইন, বিচারব্যবস্থা সম্পর্কিত রুটিন দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছিল ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারে। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, বীমা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থানের পাশাপাশি প্রতিটি ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। একজনের বেতন দিয়ে দুজনকে চাকরি দেওয়ার মতো নামমাত্র চাকরি নয়। আউটসোর্সিং চাকরি নামের একটি দুষ্ট ক্ষত, যা ধীরে ধীরে বিস্তৃত হচ্ছে। আর এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক মানুষ, সরকারি চাকরির সর্বনিম্ন বেতন স্তরে তাদের প্রবেশের পথ রুদ্ধ হচ্ছে।
আউটসোর্সিংয়ের চাকরির মাধ্যমে সমাজে স্থিতিশীলতা আসবে না। কারণ যিনি এ চাকরি করছেন তিনি জানেন এ চাকরি দিয়ে তাঁর জীবন চলবে না। জীবনে স্থিতিশীলতা আনতে তিনি আরো ভালো চাকরি খুঁজবেন। আউটসোর্সিংয়ের চাকরি দিয়ে দারিদ্র্য দূর হবে না। এই চাকরিতে যে বেতন দেওয়া হয় তা দিয়ে ভরণপোষণের দিক থেকে ছয়জনের সংসার চালানো কষ্টকর। এ প্রক্রিয়ার চাকরিতে নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব নয়। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কম বেতন, চাকরির অনিশ্চয়তা ও চাকরির অন্যান্য প্রতিকূল শর্তের কারণে এ পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা সার্বক্ষণিকভাবে অভাব-অনটনের মধ্যে থাকেন। তাঁরা যেকোনো সময় চাকরি চলে যাওয়ার আতঙ্কে থাকেন। নিম্ন বেতন ও চাকরির অনিশ্চয়তার কারণে তাঁরা কাজে মনোযোগী হন না।
আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০০৮ সালে প্রথম জারি করা হয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু রুলস অব বিজনেস এবং অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী এ নীতিমালা প্রণয়নের কাজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। কারণ রুলস অব বিজনেসে বলা হয়েছে—কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম, জনবল নিয়োগ, নিয়োগবিধি, চাকরিবিধি-সংক্রান্ত কাজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালরেয়র এখতিয়ারভুক্ত। ২০০৮ সালে নীতিমালা জারির আট বছর পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের মনে হয়েছে, এ কাজটি তাদের নয়। তাই এবার আউটসোর্সিংয়ের খসড়া নীতিমালা করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে।
গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে  সেবাগ্রহণের ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, বিভিন্ন উন্নত দেশে এ ধরনের কার্যক্রমে তালিকাভুক্ত কম্পানির মাধ্যমে জনবল সরবরাহ করা হয়। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য এর দায়-দায়িত্ব কম্পানিকেই বহন করতে হয়। আমাদের দেশে সুষ্ঠু আউটসোর্সিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ ধরনের কম্পানিকে লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আনতে হবে। জনবলের আউটসোর্সিং কার্যক্রমটি শৃঙ্খলায় আনার জন্য স্বচ্ছ নীতিমালা এবং লাইসেন্সিংয়ের আওতায় এনে তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর ডাটা বেইস তৈরি করতে হবে। যে কেউ যাতে নামমাত্র প্রতিষ্ঠান খুলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল সরবরাহ করতে না পারে সে জন্য জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর রেগুলেশন ও রেজিস্ট্রেশন থাকা প্রয়োজন।


আউটসোর্সিং কিভাবে কাজ করে
সরকারি প্রতিষ্ঠান চুক্তি করে কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সাধারণত কোনো সরকারি অফিসে নির্দিষ্ট পদে দৈনিক, মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে প্রতিযোগিতামূলক দামে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় জনবল সরবরাহের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তার প্রত্যাশিত বেতন উল্লেখ করে টেন্ডারে অংশ নেয়। সরকারি অফিসটি সর্বনিম্ন বেতন প্রস্তাবকারীকে জনবল সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দেয়। সরকারি সংস্থা জনবল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চুক্তিবদ্ধ টাকা পরিশোধ করে। এ ব্যবস্থায় তাঁরা সরকারের স্থায়ী কর্মচারী নন। এমনকি তাঁরা অস্থায়ী কর্মচারীও নন। কর্মচারীটি ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। কাজ করেন অন্য কোনো সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে।


নতুন নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত : পদ শূন্য হলেই আউটসোর্সিং
মৃত্যু, অবসর, চাকরিচ্যুতি বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হলেই এসব পদে আউটসোর্সিং থেকে লোক নিয়োগ করা হবে। অর্থাত্ একবার পদটি শূন্য হলে তা আউটসোর্সিংয়ের চক্করে চলে যাবে। তা পূরণ হবে বেসরকারি জনবল দিয়ে—আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে। ১৬ থেকে ২০তম গ্রেডের স্থায়ী ও অস্থায়ী সব পদেই এভাবে জনবল নিয়োগ দেওয়ার বিধান করে ‘আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবাগ্রহণ নীতিমালা, ২০১৭-এর খসড়া প্রণয়ন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১৬ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা হচ্ছে সদ্য বিলুপ্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। সাড়ে ১২ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে তাদের সংখ্যা তিন লাখ ২৬ হাজার ৬২০টি। এর মধ্যে বর্তমানেই ৭০ হাজার ৪৮টি পদ শূন্য রয়েছে।   আউটসোর্সিং নীতিমালা চূড়ান্ত হলে এসব শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেসব পদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও সরকারি স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সে সব পদ জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মত্তিসাপেক্ষে আউটসোর্সিংয়ের আওতা বহির্ভূত রাখা হবে।
নীতিমালায় কর্মচারীর কর্মঘণ্টার কোনো বিষয় নির্ধারণ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত কর্মঘণ্টাই কর্মচারীর কর্মঘণ্টা নির্ধারণ হবে। তবে কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় কাজ করলে চুক্তি অনুযায়ী অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হলেও আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সরবরাহকৃত জনবলের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫৯ বছর। সরকারি পদে গাড়িচালক হতে হলে অষ্টম শ্রেণি পাস হলেই চলে। কিন্তু আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় গাড়িচালককে এসএসসি পাস হতে হবে। নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষাগতযোগ্যতা হবে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস। তবে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ৮০ শতাংশই হরিজন সম্প্রদায়ের হতে হবে। হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে।

শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭

বাংলাদেশে প্রথম পহেলা বৈশাখ যার মূলে ছিল কিছু রবীন্দ্রপ্রেমী কুখ্যাত নাস্তিক ওয়াহিদুল হক, সানজীদা হোসেন, শামসুন্নাহার রহমান, সুফিয়া কামাল

বাংলাদেশে প্রথম পহেলা বৈশাখ পালিত হয় ‘ছায়ানটের’ মাধ্যমে ১৯৬৪ সনে খুবই সল্প পরিসরে, যার মূলে ছিল কিছু রবীন্দ্রপ্রেমী কুখ্যাত নাস্তিক। ওয়াহিদুল হক, সানজীদা হোসেন, শামসুন্নাহার রহমান, সুফিয়া কামাল অন্যতম। (সূত্র- মুনতাসীর মামুন, ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী, ২য় খন্ড)
১.মৃত সুফিয়া কামাল- হলো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বিরোধী রিটের ১৫ জনের মাঝে অন্যতম একজন, তারা আজীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করেছে, কিন্তু ১৯৭১ সালে তার ধানমন্ডির বাসভবনে সে নিরাপদেই ছিলো, যা সে তার একাত্তরের ডাইরী নামক গ্রন্থে স্বীকার করেছে।
পাকিস্তান ও আইয়ুবের প্রশংসা করে কবিতা লিখেছে সুফিয়া কামাল। অনেক বুদ্ধিজীবির সাথে মিলে সেও পাকিস্তানের পক্ষে ১৯৭১ সালে বিবৃতি দিয়েছিল। এরপর সে সময় তার আলীশান জীবন যাপনের কথা তো নিজেই বলেছে। তারই মেয়ে হল আর এক ইসলামবিদ্বেষি সুলতানা কামাল চক্রবর্তি ।
২. মৃত ওয়াহিদুল হক- যার মৃত্যুর পর লাশের পাশে অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী এবং তারই ভাতিজি মিতা হকের নেতৃত্বে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া হয়! এবার বুঝুন কেমন নাস্তিক ছিল সে!
৩. সনজীদা খাতুন- পিতা ড. কাজী মোতাহার হোসেন ছিল জাতীয় অধ্যাপক।সে কাজী আনোয়ার হোসেনের বোন এবং রবীন্দ্রপুজারী ওয়াহিদুল হকের স্ত্রী। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী দুজনেই নাস্তিক ও রবিন্দ্রপুজারী ।
৪. মৃত শামসুন্নাহার রহমান- ১৯৪০ সালে ১লা জুন চট্টগ্রামের এনায়েতবাজারস্থ মাতুতালয় ”মায়া কুটিরে” জন্ম গ্রহন করে। চট্ট্রগ্রামে “পরাণ আপা” নামেই বেশী পরিচিত।নারী নেত্রী ও রবিন্দ্রপুজারী ছিল।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে বর্তমানের পহেলা বৈশাখ কতিপয় ইসলামবিদ্বেষি আর রবিন্দ্রপুজারীরা শুরু করেছে ১৯৬৪ সালে যা ১৯৬৭ সালে অনুষ্ঠান আকারে করা হয় ।তার পুর্বে এর কোন অস্তিত্ব ছিলনা।
আজকে যারা বাংগালীর চেতনার দোহাই দিয়ে হাজার বছরের ঐতিহ্য বলতে চায় তারা মিথ্যাবাদী ,প্রতারক।
মুসলমানের উচিত নাস্তিক-ইসলামবিদ্বেষিদের প্রচলিত বৈশাখ নামের পুজা বর্জন করা।

১লা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলের হৃদয় বিদারক ইতিহাস


----------------------------------------------------
এদিন কাফির-মুশরিকরা মুসলমানদেরকে চরম মিথ্যা, প্রতারণা ও ধোঁকা দিয়ে নির্মমভাবে শহীদ করেছে |
মুসলমান নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে গাফিল থাকার কারণেই আজকে বিধর্মীদের ষড়যন্ত্রে চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে |
.
প্রতি বৎসর ১লা এপ্রিলের নামে বাড়িতে-বাড়িতে, পাড়া-মহল্লায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, অফিস-আদালতে একে অপরকে ধোঁকা দিয়ে ঠকিয়ে প্রতারণা করে পহেলা এপ্রিল পালন করে থাকে | নাউযুবিল্লাহ! এ প্রতারণার আনন্দকে তারা পহেলা এপ্রিলের আনন্দ মনে করে থাকে এবং মুখেও তা উচ্চারণ করে থাকে | নাঊযুবিল্লাহ! অথচ হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয় |’ আরো ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে |”
.
পহেলা এপ্রিলে যারা ধোঁকা দিয়ে কৌতুক করে বা অপরকে ঠকানোর আনন্দে বিভোর হয় তারা শুধু মিথ্যা ও প্রতারণার মতো হারাম ও শক্ত কবীরা গুনাহর দ্বারাই কঠিন গুনাহগারে পরিণত হয় না, পাশাপাশি তারা এদিনে লাখ-লাখ মুসলমান শহীদকারীদের দলেও নিজেদের নাম লেখায় | মুসলমান নামধারণ করে মুসলমানদের শহীদ করাতে নিজেদের সমর্থন ও আনন্দ প্রকাশ করে | মুসলমানদের শত্রুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় | নাঊযুবিল্লাহ!
.
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পৃথিবীর এক প্রান্তে যদি কেউ নেক কাজ করে এবং অপর প্রান্ত থেকে তা সমর্থন করে তবে সে সমান নেকী পাবে | আবার এক প্রান্তে যদি কেউ গুনাহ করে অপর প্রান্ত থেকে কেউ তা সমর্থন করে তারও সমান গুনাহ হবে |”
.
মুসলমানরা আজ ইলম চর্চা হতে অনেক দূরে | মুসলমানরা নিজেদের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বড়ই বেখবর | আজ মুসলমানরা নিজেদের স্বর্ণযুগ, সারা বিশ্বব্যাপী তাদের বিস্তীর্ণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব উন্নতি ইত্যাদি সম্পর্কে কিছুই জানে না | আবার অপরদিকে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে কাফির-বিধর্মীরা যে মুসলমানদের উপর কতো মর্মান্তিক যুলুম করেছে, নির্মমভাবে শহীদ করেছে সে খবরও মুসলমান জানে না | পহেলা এপ্রিলে এমনি ধরনের এক নির্মম কাহিনী রয়েছে | যাতে লাখ-লাখ মুসলমানের নির্মমভাবে শাহাদাতের ঘটনা ঘটেছে |
.
গল্পে পড়েছি কোন এক বাদলা দিনের অপরাহেৃ ছেলেরা দলবেধে পুকুরে বেঙদের ঢিল ছুঁড়ে আনন্দ উপভোগ করছিল | বেঙের দল প্রতিবাদ করে বলেছিল ঢিল ছোঁড়া তোমাদের খেলা হলেও আমাদের জন্য উহা মৃত্যুর কারণ | April fool এর ঘটনাটি ইতিহাসের দৃষ্টিতে আলোচনা করলেও দেখা যাবে যে, মুসলমানদের জন্য আন্দদায়ক নয় বরং মুসলমানদের জন্য ভাষাহীন বেদনাদায়ক |
.
পৃথিবীর ইতিহাসে কোন রাজ শক্তিই যতবড় শক্তিশালী ও পরাক্রমশালীই হোকনা কেন কোন দেশে চিরস্থায়ী হতে পারেনি | ইউরোপের গথ শাসকরাও তাই পারেনি তাদেরে শোষনমূলক নীতি দীর্ঘদিন ইউরোপে টিকিয়ে রাখতে ৭১২ সালে দামেস্কের উমাইয়া খলিফা আল ওয়ালিদের সময় স্পেনবাসীর আমন্ত্রনে তারেক বিন মুসা রহমতুল্লাহি আলাইহি গোপনে মুসলিম বিজয় পতাকা উত্তোলন করে | এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুসলমান ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে চলতে থাকে ভুল বুঝাবুঝি ও শক্রতা | এতদসত্ত্বেও গথদের অলস গরিমায় যে উপদ্বীপ মৃত ও অনুর্বর হয়ে পড়েছিল, পরিশ্রমী ও সাহসী মুসলিম শাসকের স্পর্শে তা উদ্ভাবনশীল, জ্ঞানালোকিত, শিক্ষা ও সভ্যতার লীলাভূমিতে পরিনত হয়, জন্ম হয় আধুনিক ইউরোপের | মুসলমানগণ সুদীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাতশত বৎসর এখানে কৃতিত্বের সাথে রাজত্ব করেন | তাদের শাসনে ইউরোপ উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করলেও খ্রিষ্টানরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি | তারা ভিতরে ভিতরে গুমরে মরছিল আর চিন্তা করছিল কিভাবে মুসলিম শাসনের অবসান ঘটানো যায় এ উপমহাদেশ থেকে | খ্রিষ্টান জগতে আশার আলো উদিত হয়ে ১৪৬৯ সালে দুই মুসলিম বিরোধী খ্রিষ্টান শক্তি আরাগানের ফার্ডিনান্ড ও কাস্টাইলের ইসাবেলার বিবাহ বন্ধনে খ্রিষ্টান জোট সৃষ্টির মাধ্যমে | এই খ্রিষ্টান জোট প্রথমেই মুসলিম সভ্যতা নিশ্চিহ্ন করার দৃঢ় সংকল্প নেয় | এই সংকল্পের ফলশ্রুতিতে মুসলিম সুলতান বোয়াবলিদের দূর্বলতার কারণে এক অকস্মাৎ আক্রমনাত্মক অভিযানের দ্বারা গ্রানাডা রাজ্যের প্রবেশদ্বার বিখ্যাত মুসলিম দুর্গ আল-হামারার পতন ঘটায় | খ্রিষ্টানরা মুসলিম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে | অসংখ্য অসহায় বালক-বালিকা, বৃদ্ধ-শিশু ও নারীর রক্তে শানিত কৃপান রঞ্জিত করে পরম তুষ্টি লাভ করে ফার্ডিনান্ড ও ইসাবেলা দম্পতি | আল-হামারা দূর্গের পতনের দীর্ঘ দশ বছর পরে ফার্ডিনাল্ড গ্রানাডা রাজ্য তাদের হাতে সমর্পনের নির্দেশ দেয় মুসলিম সুলতানকে | অপমানজনক এ আদেশ মুসলিম সুলতান প্রত্যাখ্যান করেন | এতে চল্লিশ হাজার পদাতিক ও দশ হাজার খ্রিষ্টান সেনার আক্রমনে শেষ বিখ্যাত মুসলিম সেনাপতি মুসা বিন গাজান রহমতুল্লাহি আলাইহি ও তাঁর বাহিনী পরাজিত হন |
.
বিজয়ী ফার্ডিনান্ড দম্পতি পরাজিত মুসলিম সৈন্যদের সন্ধির টোপে আবদ্ধ করে তাদেরকে অস্ত্রমুক্ত করে | কিন্তু তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন সেনাপতি মুসা রহমতুল্লাহি আলাইহি এ সন্ধিকে মরন টোপ বুঝতে পেরে সন্ধি শর্তে আবদ্ধ না হওয়ার জন্য স্বপক্ষীয় সেনাদল ও জনগণকে এক তেজস্বীনি ভাষনে ভয়াবহ ভবিষ্যত পরিনতির ইঙ্গিত দান করেন | কিন্তু তার অবশ্যম্ভাবী পতনের আশংকায় মুসলমানগণ তার এই গুরুত্বপূর্ণ ভাষনের কোন মর্যাদা দেয়নি | তাই তিনি উপায়ন্তর না দেখে এলাভিরা তোরন দিয়ে আশ্বারোহনে নগর ত্যাগের সময় ওত পেতে থাকা দশজন খ্রিষ্টান অশ্বারোহীর দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয়ে যুদ্ধ করতে করতে তাদের কয়েকজনকে হতাহত করেন এবং নিজেও মারাত্মকভাবে আহত হন | অবশেষে শত্রু হাতে বন্দী হওয়ার চেয়ে শেনিল নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে চির শান্তি লাভের পথ বেছে নেন | সেনাপতি মুসা বিন নুসাই রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর শৌর্যে ৭১২ সালে স্পেনে যে মুসলিম রাজ্যের বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠিত হয় তারই সোচনীয় পরাজয় ঘটে ৭৮০ বছর পরে ১৪৯২ সালে একই নামে সেনাপতি মুসা বিন গাজান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর জীবনাবসানে |
.
ধর্মের আবরনে আচ্ছাদিত ফার্ডিনান্ড দম্পতি মুসলমানদের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি ভঙ্গ করে গোপনে ইসলাম ধর্ম নিষিদ্ধ ঘোষনা করে | শক্র বেষ্টনে আবদ্ধ মুসলমানগণ বৃথা উত্তেজিত হয়ে অত্যাচারের স্টীম রোলারে নিস্পেসিত হয় | ফার্ডিনাল্ড আদেশ জারি করে মসজিদগুলোকে নিরাপদ ঘোষনা করে | এ আদেশে আরো বলা হয় যে, যারা মসজিদে আশ্রয় নিবে তারা নিরাপদ থাকবে, অসংখ্য স্পেনীয় মুসলমান সরল বিশ্বাসে মসজিদগুলোতে আশ্রয় গ্রহন করে আবদ্ধ হয় | শক্রর দল মসজিদগুলিকে তালাবদ্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেয় অবশিষ্ট স্পেনীয় মুসলমানদের | আর বাইরে থেকে যালিম খ্রিস্টনরা উল্লাসভরে কৌতুক করে সমস্বরে Fool! Fool!! (ফুল, ফুল) বলে অট্টহাসি আর চিৎকারে মেতে উঠে | দিনটি ছিলো পহেলা এপ্রিল ১৪৯২ ঈসায়ী সন | অদ্যাবধি প্রতারক খ্রিস্টানরা তাদের সেই শঠতার স্মরণে ধোঁকা বা প্রতারণার দিবস হিসেবে পালন করে ‘এপ্রিল ফুল’ | আর এটাই হচ্ছে পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলের হৃদয় বিদারক ইতিহাস |
.
খ্রিস্টানদের জন্য এদিনটি পালনীয় হলেও মুসলমানদের জন্য ভাষাহীন বেদনাদায়ক | কেননা মুসলমানদেরই হাতে গড়ে উঠা একটি সভ্যতা বর্বর অসভ্য যালিম খ্রিস্টানদের নির্মম প্রতারণায় ভেসে যায় লাখ লাখ মুসলমানদেরই বুকের তাজা রক্ত স্রোতে | কাজেই এদিনের ইতিহাস থেকে প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- হাক্বীক্বীভাবে ইহুদী-খ্রিস্টানদের ইসলাম বিরোধী ও মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব সম্পর্কে শিক্ষা নেয়া | তাদের সম্পর্কে সচেতন হতে হবে | তাদের প্রতিহতকরণে জজবা পয়দা করতে হবে | পাশাপাশি প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্য অবশ্যই, নিজেদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলসহ সর্বপ্রকার বিজাতীয় নিয়মনীতি পালন করা থেকে বিরত থাকা।

ভারতীয় সেনাপ্রধানের বাংলাদেশ সফর নিয়ে একটি কলাম লিখেছেন

ভারতীয় সেনাপ্রধানের বাংলাদেশ সফর নিয়ে একটি কলাম লিখেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল হর্ষ কাক্কর।
তার পুরো লেখাটি তুলে ধরা হলো- 
.
সম্পর্কের বাধা অপসারণ ও পরস্পরের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর চাং ওয়ানকুয়ান সম্প্রতি কাঠমান্ডু ও কলম্বো সফর করেছেন। এই aআগে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয় যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বেইজিং সম্পর্ক উন্নয়নের যে চেষ্টা করছে তাতে দিল্লি বাধ সাধলে চীন ‘পাল্টা আঘাত’ হানবে। তাদের ভাষায়, দক্ষিণ এশিয়াকে (পাকিaস্তান বাদে) ভারত নিজ বাড়ির পেছনের উঠানের মতো মনে করে। এই অঞ্চলে ভারতের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে বলে চীন মনে করে, মিডিয়াগুলো এমন ইংগিতও দেয়। অন্যদিকে, আশপাশের এলাকায় চীনের সামরিক উপস্থিতি ভারতের মধ্যেও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
.
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল রাওয়াত গত সপ্তাহে নেপাল ও বাংলাদেশ সফর করছেন। বিদেশে নিজের প্রথম সফরের পক্ষে বলতে গিয়ে তিনি জানান, আগে প্রতিবেশী। তার সফরগুলো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সফরের পরপরই তিনি নেপালে যান। আর, তার ঢাকা সফর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের ঠিক আগে।
.
শ্রীলংকায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় ভারত ব্যর্থ হয়েছে। দেশটির হামবানতোতা বন্দরের ৮০ শতাংশ মালিকানার অধিকারী এখন চীন। জিবুতি ও গোয়াদরে বন্দর নির্মাণের কাজ শেষের পথে। আর হামবানতোতা বন্দরের কাজ শেষ হলে চীনের ‘মুক্তার মালা’ (স্ট্রিং অব পার্ল) কৌশল হবে একটি বাস্তবতা। বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও নেপালের সঙ্গে চীনের জোরদার সামরিক সম্পর্ক ওই বৃত্তটিকে পূূর্ণ করবে। তাই প্রতিবেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। আর সে কারণে শেখ হাসিনার আসন্ন সফর এত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো এক ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নেপাল মাধেসিদের নিয়ে রাজনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই জনগোষ্ঠী তাদের দাবি থেকে পিছিয়ে আসতে নারাজ। দেশটির কোয়ালিশন সরকারের অবস্থা নড়বড়ে। ভারত চাচ্ছে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে। সেখানে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস সরবরাহের ব্যাপারে গত সপ্তাহে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করা হয়েছে। ভারত ও চীনের সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার চেষ্টা করছে নেপাল সরকার। এই প্রথমবারের মতো নেপাল ও চীন যৌথ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে।
.
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিচ্ছে; বিদেশী, ব্লগার ও সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে। সেখানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় মূলত প্রধান দুই দলের মধ্যে। শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ সরকার ভারতপন্থী। তারা বাংলাদেশের মাটিতে কোন ভারত-বিরোধী বিদ্রোহী গ্রুপকে প্রশ্রয় দেবে না। ভারতের সেনাপ্রধানকে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হাসিনা। খালেদা জিয়া ও তার বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) সবসময় ঠিক এর উল্টোটি করেছে। তাদের ভারত-বিরোধিতা প্রকাশ্য। তাই নির্বাচনের আগে প্রতিরক্ষাসহ বেশ কিছু চুক্তি করিয়ে নিতে চাচ্ছে ভারত। এর লক্ষ্য নির্বাচনের পর সরকার পরিবর্তন হলেও যেন চীন দেশটিতে সহজে প্রবেশ করতে না পারে।
.
নেপালে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পালা দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য একটি সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে। তারা রাজনৈতিক বিরোধে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকলেও পর্দার আড়াল থেকে কাজ করছে। এই সংকটের সময়ে দেশটিকে স্থিতিশীলতা দিচ্ছে তারাই। দেশের মধ্যে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের দাবি উঠলেও তা তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করা হয়। তাই নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্তের জন্য সেনাপ্রধানের সহমতের প্রয়োজন রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সরকারের একক কোন ক্ষমতা নয়।
বাংলাদেশে সেনাবাহিনী সবসময় পর্দার আড়াল থেকে নীরব শাসকের ভূমিকা পালন করছে। কিছু সময়ের জন্য তারা ক্ষমতাও দখল করে। তারা দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করছে। রাজনৈতিক দলগুলো যখন রাস্তায় প্রকাশ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তখন সেনাবাহিনী শান্ত অবস্থা ফিরিয়ে আনে। নিরাপত্তা, সেনাবাহিনীর জন্য কেনাকাটা, ঘাঁটিগুলোর জন্য বরাদ্দ, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ সমন্বয়ের মতো বড় বড় সব সিদ্ধান্ত মূলত সেনাপ্রধানের সিদ্ধান্ত। তাই তাদের সেনাপ্রধানের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেই কেবল দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা চুক্তিগুলো কার্যকর হওয়া সম্ভব।
.
এই সন্ধিকালে দেশগুলো সফরে গিয়েছেন জেনারেল রাওয়াত। রাওয়াত একজন গোর্খা অফিসার। তিনি নেপালের ভাষা ও সামাজিক রীতি সম্পর্কে সুঅভিজ্ঞ। তিনিই পারেন প্রতিবেশি দেশের সেনাপ্রধানের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি ও দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের পক্ষে ভারতের যুক্তিগুলো জোরালোভাবে তুলে ধরতে। নেপালকে চীনের কাছ থেকে দূরে রাখাই হবে এর লক্ষ্য।
.
ভারত চাচ্ছে বাংলাদেশে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিসহ দেশটির সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতে। বর্তমানে দেশটি সামরিক সরঞ্জামের ব্যাপারে চীনের ওপর নির্ভরশীল। ২০০২ সালে খালেদা জিয়া সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে একটি কাঠামোগত চুক্তি হয়। এখন বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা ক্রয়খাত সম্প্রসারণ করে ভারত ও রাশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী। ভারতীয় সেনা প্রধান তার বাংলাদেশী প্রতিপক্ষকে ভারতের সঙ্গে লেনদেনের সুবিধাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। সামরিক ইস্যুগুলো নিয়ে সবচেয়ে ভালো আলোচনা হতে পারে সামরিক বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে। তাছাড়া ভারতের কোন আধিপত্যবাদী পরিকল্পনা নেই বলে প্রতিপক্ষকে আশ^স্ত করা গেলে তা পরোক্ষভাবে আসন্ন সফরে সবচেয়ে কাক্সিক্ষত চুক্তিগুলো স্বাক্ষরের পথ পরিষ্কারে ভূমিকা রাখবে। অভিন্ন হুমকি মোকাবেলাসহ নিরাপত্তা সহযোগিতা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়াবে। তা সরকারগুলোর মধ্যেও জোরদার সহযোগিতা সৃষ্টি করবে।
এসব দেশে চীন যে পরিমাণ অর্থনৈতিক বিনিয়োগ করেছে তার সঙ্গে সে কোনভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারবে না – এ কথা ভারত জানে। তবে সে এও বুঝতে পেরেছে যে এসব দেশকে সামরিক চুক্তি থেকে অর্থনীতিকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া যায়। দুই সেনা প্রধান যদি আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতার বন্ধন গড়ে তুলতে পারেন তাহলে তা অনেক ফলদায়ক হবে। এর মাধ্যমে শ্রীলংকার হামবানতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করা যাবে। দিল্লি সরকার যখন [শেখ হাসিনার] সফরটি অনুমোদন করে তখন এ বিষয় তার এর মাথায় ছিলো কিনা তা আমার জানা নেই। যদি থাকে তাহলে এই সফর ভারতের জন্য হবে লাভজনক। বিশেষ করে যেসব দেশে সেনাবাহিনী নিরবে হলেও প্রভাশালী ভূমিকা পালন করে সেখানকার পররাষ্ট্র নীতিতে সামরিক কূটনীতি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। এটি কোন ব্যতিক্রম না হয়ে একটি প্রথাসিদ্ধ ব্যবস্থা হওয়া উচিত।
ভারত পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলেও খেলার তাসটি মূলত তাদের সেনা প্রধানের হাতে। তিনি যেন ভারত সরকারকে নীতি নির্দেশনা দেবেন। ভারতের কোন সরকার পাকিস্তান সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা চালাতে ইচ্ছুক নয়। দু’দেশের আলোচনা সবসময় হোচট খাওয়ার এটি একটি কারণ। কিন্তু দুই সেনাপ্রধান যদি উপমহাদেশের বাইরে কোথাও বসে কোনরকম সমঝোতায় পৌছাতে পারেন তাহলে তা হবে পরিবর্তন সূচনার একটি ঘোষণা। দু’দেশের সরকার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। কারণ, এই প্রথম পাকিস্তান একজন সেনাপ্রধান পেয়েছে যিনি কট্টর ভারত-বিরোধী নন।
.
লেখক ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল
সাউথ এশিয়ান মনিটর.