শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৩

যে এক জররা পরিমান আমল করবে সে তার বদলা পাবে.......

আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে
ব্যক্তি এক জাররা পরিমাণ নেক কাজ
করবে তার বিনিময় (ছওয়াব) সে পাবে।
আর যে ব্যক্তি এক জাররা পরিমাণ পাপ
বা গুনাহ করবে তার বদলা (শাস্তি) সে
ভোগ করবে।’
হযরত আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু
তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত:রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আসসালাম
বলেছেন; মহান আল্লাহ বলেন “যে
একটি নেককাজ করবে সে এর দশগুন
সওয়াব পাবে বা আমি তাকে আরো
অধিক পরিমাণ প্রদাণ করবো।আর যে
একটি গুনাহ করবে সে কেবল একটি
গুনাহের-ই শাস্তি পাবে বা আমি
তাকে ক্ষমা করে দেব।শোন হে
মানবসকল,যে আমার দিকে এক বিঘত
এগিয়ে আসবে আমি তার দিকে
একহাত নিকটবর্তী হবো।যে ব্যক্তি
আমার দিকে এক হাত নিকটবর্তী হবে
আমি তার দিকে দুইহাত নিকটবর্তী
হবো…যে ব্যক্তি পায়ে হেঁটে আমার
দিকে অগ্রসর হবে আমি তার দিকে
দৌড়ে যাবো। যে ব্যক্তি পৃথিবী
সমান গুনাহ করবে তার জন্য আমি অনুরূপ
ক্ষমা সহ অপেক্ষা করবো (শর্ত থাকে
যে সে আমার সাথে কাউকে শরীক
করবে না)।” [বুখারী ও মুসলিম]।
নেককাজের এ সওয়াবের অঙ্গীকার
কোন মানুষের জন্য করা হচ্ছে না।
অঙ্গীকার করা হচ্ছে আল্লাহ পাকের
পক্ষ থেকে। বিশেষ কোন নেক আমলের
জন্যও এ সওয়াব নির্ধারন করেন নি। বরং
তিনি বলেছেন যে কোন নেক আমল
হোক না কেন, সে ইবাদত ফরয হোক বা
নফল। প্রত্যেকটির সওয়াব দশগুন দেওয়া
হবে।
প্রশ্নহতে পারে ঈদে মিলাদুন্নবি কি
নেক কাজ ?
তাহলে জানতে হবে ঈদে
মিলাদুননবিতে কি করা হয় -
* কোরান শরীফ তিলয়াত,
* দরুদ পাঠ ,
* দোয়া -মুনাজাত,
* তওবা ইস্তিগফার,
* ওয়াজ মাহফিল করা হয় ।
এখন যারা এ দিবসের বিরোধীতা
করে তারা কি বলতে পারবে এগুলো
নেক কাজ নয় ? কত টুকু নেক কাজ তা
আল্লাহ পাক বলেছেন " বল, আল্লাহর
দয়া ও মেহেরবাণীতে। সুতরাং এরই
প্রতি তাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। এটিই
উত্তম সে সমুদয় থেকে যা সঞ্চয় করছ।
[সুরা ইউনুস: ৫৮] অর্থাৎ সকল আমল থেকে
সর্বোত্তম ঈদে মিলাদুন্নবি পালন।
তাহলে বিদয়াত বলে নেক আমলে
বাধা দিয়ে তারা কার আদেশ
অস্বীকার করছে ?
কাকে ভুল প্রমাণ করছে ?
যারা নেক আমলে বাধা দেয় তারকি মুসলমান ?