মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৬

নেককার স্ত্রীর কয়েকটি নমুনা.............

যাকে বলে ভালোবাসা & ভালোবাসা!!!
১) স্বামী
বাইরে থেকে এলে উনাকে আহলান-
সাহলান (স্বাগতম) জানানোর জন্য
আহলিয়া (স্ত্রী)কে দরজায় এগিয়ে
আসা। স্বামীর হাতে কোনো জিনিসপত্র
থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা
করা।
২) স্বামী বাইরে থেকে আসলে
বাতাসের ব্যবস্থা করা। সাথে সাথে
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা।
৩)
সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সাথে
মুহব্বত-ভালোবাসা মিশ্রিত কথা-
বার্তা বলা। স্বামীর সামনে উনার
ভালো গুণাবলীর কথাগুলো উল্লেখ করে
উনার প্রশংসা করা। উনার সম্মান-
মর্যাদা বজায় রাখা।
৪) বিশেষ বিশেষ
দিন বা উপলক্ষে স্বামীর হাতে, কপালে
বুছা দেয়া।
৫) স্বামীর পোশাক-পরিচ্ছদ
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি
বিশেষভাবে খেয়াল রাখা। (মনে রাখতে
হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার
আহলিয়া (স্ত্রী) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন)
৬)
রান্না-বান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা
পছন্দ করেন, যেভাবে পছন্দ করেন, তা
নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা।

৭) স্বামীর সামনে সব সময় হাস্যজ্জ্বল
বদনে থাকা।
৮) স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য
নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ
থাকলে কিংবা রান্না-বান্নার
পোশাকে উনার সামনে না যাওয়া।
৯)
স্বামীর সামনে কখনোই নিজের
কণ্ঠস্বরকে উচু না করা। স্মরণ রাখতে
হবে, মহিলাগণ উনাদের সৌন্দর্য উনাদের
নম্রকন্ঠে।
১০) সন্তানগণের সামনে
স্বামীর প্রশংসা ও ছানা-ছিফত করা।

১১) নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা,
ভাই-বোন ও আত্মীয় স্বজনদের সামনে
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার
রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার এবং নিজের শায়েখ বা মুর্শিদ
ক্বিবলা উনার প্রশংসার সাথে সাথে
স্বামীর প্রশংসা করা এবং শ্রেষ্ঠত্ব
তুলে ধরা। কখনোই স্বামীর বিরুদ্ধে
উনাদের নিকট কোনো অভিযোগ না করা।
১২) সুযোগ-সুবিধা বুঝে স্বামীকে
নিজহাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো।
১৩)
কখনো স্বামীর আভ্যন্তরীণ গোপন বিষয়
অনুসন্ধান না করা। তাতে সংসারে
অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার সমূহ
সম্ভাবনাথাকে।
১৪) স্বামী কখনো
রাগাম্বিত হলে চুপ থাকা। সম্ভব হলে
স্বামীর রাগ থামানোর ব্যবস্থা করা।
যদি তিনি অন্যায়ভাবেরেগে থাকেন,
তাহলে অন্য সময়ে উনার মেজাজ-মর্জি
বুঝে সমঝোতার ব্যবস্থা করা।
১৫) কখনোই
মুখে মুখে তর্ক-বিতর্ক করা যাবে না।
কেননা, তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে
বিচ্ছন্নতা তথা বিচ্ছেদ দেখা দেয়।
১৬)
স্বামীর মাতা-পিতাকে নিজের পক্ষ
থেকে মাঝে মাঝে সাধ্যানুযায়ী কিছু
কিছু হাদিয়া দেয়া।
১৭) সম্পদশালী হয়ে
থাকলে স্বামীর অভাব-অনটনের সময়
উনাকে সহযোগিতা করা।উম্মুল
মু’মিনীন, হযরত উম্মে সালামা
আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন, “একদিন আমি নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত
মুবারকে আরজ করলাম- ইয়া রসূলাল্লাহ!
ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম!! (আমার পূর্ব স্বামী) আবু
সালামার সন্তানদের জন্য যদি আমি অর্থ
ব্যয় করি তবে কি তাতে আমি প্রতিদান
পাবো? তাদেরকে তো আমি এভাবে
ছেড়ে দিতে পারি না। তারা তো
আমারইসন্তান। তিনি বললেন- হ্যাঁ;
তাদের জন্য আপনি যে পরিমাণ সম্পদ খরচ
করবেন তার প্রতিদান আপনাকে দেয়া
হবে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ,
মুসলিম শরীফ)
১৮) স্বামীর আদেশ-নিষেধ
পালন এবং উনার সংসারে খিদমত
ইত্যাদির মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক
উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
সন্তুষ্টি, নৈকট্য, কুরবত মুবারক কামনা
করা।
১৯) ধন-সম্পদ, মান-সম্মান, প্রভাব-
প্রতিপত্তি হাদিয়া উপঢৌকন ইত্যাদি
যা প্রাপ্তি ঘটে তা স্বামীর উসীলায়
হয়েছে বলে মনে করা।
>>>> মহিলাগণ
উনারা যদি উল্লিখিত বিষয়গুলোর প্রতি
সর্বদা গভীর দৃষ্টি রাখেন তাহলে
মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি,
তায়াল্লুক-নিসবতপ্রাপ্তির বিষয়টি
অতীব সহজ হবে। ইনশাআল্লাহ।।।।।


সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৬

ফেসবুক ব্যবহারকারীর লুকানো ফ্রেন্ডলিস্ট দেখার উপায়!!!!!! #সবুজ-থিসিস

আজকের যুগ সামাজিক যোগাযোগের। এ মিডিয়ার প্রভাব আজ সর্বত্র। আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই ‘অঙ্গ’ সম্পর্কের ওঠানামাও এখন অনেকটা ঠিক করে দেয়। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর সঠিক ব্যবহারও আপনাকে জানতে হবে সঠিকভাবে। অন্যথায় বিপদে পড়েবেন আপনি নিজেই।


এই ধরুন না কোনো বন্ধুর ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকে তার বন্ধুদের খোঁজ পেতে গিয়ে অনেকেই দেখেন শুধু দেখা যাচ্ছে ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ডস’দের তালিকা। আপনার বন্ধুটি তার পুরো বন্ধুর তালিকা আপনার কাছ থেকে আড়াল করে রেখেছেন। তখন আপনি কী করবেন?

কিন্তু এতে কোনো সমস্যা নেই। চাইলেই আপনি আপনার ‘ফেসবুক ফ্রেন্ড’র বন্ধুদের সম্পূর্ণ তালিকা দেখতে পাবেন। যারা আপনার বন্ধুর তালিকায় নেই তাদের সঙ্গে কারা বন্ধুত্ব পেতেছেন ফেসবুকে সেটাও চলে আসতে পারে আপনার নখদর্পনে।

ফেসবুকে লুকোনো ফ্রেন্ডলিস্ট দেখার উপায়
সম্প্রতি ‘ফেসবুক ফ্রেন্ডস ম্যাপার’ (Facebook Friends Mapper) নামে একটি বিনামূল্যের ক্রোম এক্সটেনশন নিয়ে এসেছে গুগল। যেটি আপনাকে জানিয়ে দেবে বন্ধুদের গোপন করা বন্ধুদের তালিকা।

• প্রথমে চলে যান গুগল ক্রোমের ওয়েব স্টোরে। ইনস্টল করুন Facebook Friends Mapper extension।
• যে বন্ধুর গোপন ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টটি আপনি দেখতে চান, তার প্রোফাইলটি খুলুন।
• এখন আপনি ফ্রেন্ডস ট্যাবে দেখতে পাবেন ‘Reveal Friends’ অপশনটি।
• এবার ক্লিক করুন তাতে।
ব্যাস বন্ধুর গোপন করা ফ্রেন্ড লিস্ট আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসবে। আপনি যার ফ্রেন্ডলিস্ট দেখতে চাইছেন তিনি আপনার বন্ধুর তালিকায় না থাকলেও কিছু যাবে আসবে না। তার কোনো একজন বন্ধু আপনার বন্ধু হলেই হবে। সম্প্রতি এসেছে এই অপশনটি। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়ার আগেই আপনি আপনার কাজটি সেরে ফেলুন।।

শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৬

আপনি কি জানেন, সউদী আরবে কিভাবে হারাম টেলিভিশন প্রবেশ করেছিলো??????

আপনি কি জানেন, সউদী আরবে
কিভাবে হারাম টেলিভিশন
প্রবেশ করেছিলো?
অনেকেই দাবি করে থাকে, সউদী
আরবে যদি হারাম টিভি
থাকে, তবে অন্যস্থানে রাখতে সমস্যা
কোথায়?
নাউযুবিল্লাহ!
এর উত্তরে বলতে হয়, সউদী আরব পবিত্র
দ্বীন
ইসলাম উনার দলিল নয়, পবিত্র দ্বীন
ইসলাম উনার দলিল
হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র
হাদীছ শরীফ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুসারে ছবি বা
টিভি হারাম, তাই সউদী
আরব কি করলো তা মুসলমানদের দেখার
দরকার নাই।
তারপরও যে সকল মূর্খ এ ধরনের কথা বলে,
তাদের
সউদীতে টিভি প্রবেশের ইতিহাস
জেনে রাখা
প্রয়োজন। আসুন ইতিহাস পড়ে নেই-
সউদী আরবের ওহাবী কথিত বাদশাহ
ফয়সাল (শাসনকাল:
১৯৬৪-১৯৭৫) সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে
দেশটিতে হারাম টিভি
ব্রডকাস্টের অনুমতি দেয়। সউদী আরবে
হারাম টিভি
প্রবেশ করবে এ কথা শুনে ঐ সময় সকল
আলেম-ওলামা
এর বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়েছিলো। ঐ
সময়-আলেম ওলামারা
বলেছিলো, যদি সউদীতে টিভি
প্রবেশ করে, তবে
পরবর্তীতে এর দেখাদেখি সমগ্র মুসলিম
বিশ্ব টিভিকে
হালাল মনে করবে। তাই ঐ সময় টিভির
বিরুদ্ধে সউদী
আরবে অনেক আন্দোলনও হয়। কিন্তু
তারপরও
আলেম-ওলামাদের কথা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য
করে সউদীতে
টিভি প্রবেশ করায় কথিত কিং
ফয়সাল।
এ ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সউদী কথিত
রাজপরিবারের
ভেতরে পর্যন্ত চলে আসে। এ ক্ষোভের
কারণেই
১৯৭৫ সালের ২৫শে মার্চ ভাতিজা
কথিত প্রিন্স ফয়সাল বিন
মোসাইদের হাতে নিহত হয় কিং
ফয়সাল। হত্যাকা-ের সময়
কথিত কিং ফয়সাল কুয়েতের
প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ
করছিলো। ভাতিজা ঘরে প্রবেশ
করতেই কথিত কিং ফয়সাল
সবার সামনে ভাতিজাকে ধরে
কপালে চুমু খেতে যায়,
সেই মুহূর্তে ভাতিজা কথিত প্রিন্স
ফয়সাল বিন মোসাইদ তার
পিস্তল বের করে এবং দুটি গুলি করে।
একটি গুলি ফয়সালের
থুতনিতে লাগে, অন্যটি কানে। আহত
অবস্থায় হাসপাতালে
নেয়ার পর সেখানেই কথিত কিং
ফয়সাল মারা যায়। (সূত্র: বই-
The Wahhabi Mission and Saudi Arabia, ‡jLK-
David
Dean Commins)
দেখা যাচ্ছে, সউদী আরবে হারাম
টিভি প্রবেশ করার
সময় মুসলমানরা যথেষ্ট বাধা
দিয়েছিলো এবং বিষয়টি নিয়ে
এতটাই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় যে খোদ কথিত
রাজাকে পর্যন্ত
জীবন দিতে হয়েছিলো। তাই এখন
যারা বলে থাকে-
‘সউদীতে টিভি থাকলে
বাংলাদেশে সমস্যা কোথায়?’ এরা
ইতিহাস জ্ঞানশূন্য নিরেট মূর্খ ছাড়া
কিছু নয়

বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৬

"3500+ বছর পেরিয়ে গেল কিন্তু "ফেরাউন" এর লাস আজ পর্যন্ত না গললো না পচলো।এই লাস আছে.....

"3500+ বছর পেরিয়ে গেল কিন্তু
"ফেরাউন" এর লাস
আজ পর্যন্ত না গললো না পচলো।এই লাস
আছে
মিশরের একটি সংগ্রহশালাতে। আজো
এই লাস
'
দেখলে মনে হয় একটি মানুষ ঘুমিয়ে
আছে। ফেরাউন
একজন জালিম বাদশাহ ছিলেন, সে
ঘোষণা
করেছিল "আমি সব থেকে বড় খোদা"। ওই
সময়
হজরত মুসা (আলাহি .ওয়া সাল্লাম) নবী
ছিলেন। ফেরাউনের ওই
কথার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ
বলেছিলেন "আমি
ফেরাউনের জান (রুহ্) বের করে নেবো
কিন্তু ওর
শরীর (কয়ামত)শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের
দেখার জন্য
পৃথিবীতে নিশানী স্বরূপ রেখে
দেবো।
হজরত মুসা (আ.সা.) এর সৈনের জন্য
আল্লাহ সমুদ্রের
পানি সরিয়ে যখন রাস্তা তৈরি
করলেন এবং
সৈনরা যখন পার হতে লাগলেন কিন্তু
ফেরাউন ও
তার সৈনরা যখন ওই পথ ধরলো তখন সমুদ্র
ফেরাউন ও
তার সকল সৈনকে সমুদ্র গ্রাস করে
ফেললো।
এই লাস 1898 সালে লালসাগরে
পাওয়া যায়। ওর
লাসে না আগুন কাজ করে না পানি।
ডাক্তার মোরিস বুকার বেশ কয়েক বছর
রিসার্চ
করেন ফেরাউনের লাস নিয়ে আর
কোরানে লেখা
আছে যেগুলো উনি পড়তে শুরু করেন
এবং কোরানের
বানী পড়ে এতটাই প্রভাবিত হয় যে
পরবর্তীতে -
মোরিস ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ফেরাউনের লাস
ওকে অবাক করেছিলো রোজ ওর
শরীরের মাংস
বেড়ে যেত এবং আশ্চর্যের কথা
3500.বছর সমুদ্রে পরে
থাকা সত্বেও কোন সামুদ্রিক মাছ...
ওকে খাইনি।
বেশক আল্লাহ সর্বজ্ঞানী তিনি মহান"

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬

বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩০ তলা টাওয়ার হচ্ছে ঢাকার পূর্বাচলে...


রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্বাচল নতুন শহরের ১৯নং সেক্টরের সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (সিবিডি) এলাকায় নির্মিত হবে ১৩০ তলা উচ্চতার ‘কেপিসি বেঙ্গল টাওয়ার’। এ ভবনের সম্ভাব্য উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৪৫ ফুট। কাজটি দ্রুত করতে গেল বছরের ১৩ই ডিসেম্বর একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম গঠন করেছে রাজউক। টাওয়ারটি নির্মিত হলে এটি হবে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ও বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ভবন।

এরই মধ্যে ভবনটি নির্মাণের প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে। পূর্বাচলে নির্মিতব্য প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ভবনটিতে থাকবে আন্তর্জাতিক কনভেনশন ও এক্সিবিশন সেন্টার। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন নির্মিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই’শ তলা এই ভবনের উচ্চতা হবে ৩ হাজার ২৮০ ফুট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন ২০১০ সালে নির্মিত হয়েছে দুবাইয়ে। ১৬৩ তলা এই ভবনের উচ্চতা ২ হাজার ৭১৭ ফুট। এছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য সুউচ্চ ভবনের মধ্যে রয়েছে সাংহাইয়ের ১২৩ তলা সাংহাই টাওয়ার এবং সৌদি আরবের মক্কায় ১২০ তলা মক্কা রয়াল ব্যাংক টাওয়ার। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মুম্বইতে ১১০ তলা একটি ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান।

বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স হিসেবে ঢাকার ভবনই হবে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ভবন। এছাড়া, উচ্চতা ও আয়তনের দিক দিয়ে এটি হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ তৃতীয় বৃহত্তম ভবন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে রাজউকের পক্ষ থেকে ‘ফোকাল পয়েন্ট’ হিসেবে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক উজ্জ্বল মল্লিককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

  by Taboola Sponsored Links You May Like
9 epic discoveries scientists made in the solar system this year
Businessinsider
তার মাধ্যমে ভবনটি নির্মাণে সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহ, যোগাযোগ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এজন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে ভবনের প্রযুক্তিগত সকল দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা যাবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এ ভবন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ তদারকি করবে। সরকার ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে ভবনটি নির্মাণের চিন্তা করা হচ্ছে।

ভবনটি নির্মাণে অর্থ বিনিয়োগের জন্য এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান কেপিসি গ্রুপ আগ্রহ দেখিয়েছে। এ কারণে রাজউক ফোকাল পয়েন্টকে সহযোগিতার জন্য চার সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে। ওই টিমে সদস্য হিসেবে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মোহাম্মদ মনিরুল হক, নগর পরিকল্পনা শাখার উপ- নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ নূর-ই- খোদা, উপ-পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া এবং উপ-পরিচালক (অর্থ) মো. জামাল উদ্দিনকে রাখা হয়েছে।

এর আগে কেপিসি গ্রুপ গত ৮ই অক্টোবর অর্থমন্ত্রী বরাবরে লেখা চিঠিতে আগামী ২০১৭ সালের মধ্যেই টাওয়ারটি নির্মাণকাজ শেষ করতে সরকারের সহযোগিতা চান। এরপরই অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োজনীয় জমি হস্তান্তর, প্রকল্পটি কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে ও প্রকল্পে কি কি থাকবে তা নির্ধারণে পুরোদমে প্রাথমিক প্রস্তুতি নেয় রাজউক। এরপর ২৮শে নভেম্বর ভবনটির নির্মাণকাজ অতিদ্রুত শুরু ও ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণের ফর্মুলা ঠিক করতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গণপূর্ত সচিব মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ, রাজউক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন ভূঁইয়া, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়াসহ রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রস্তাবিত কনভেনশন সেন্টার ও এক্সিবিশন সেন্টারের নকশাসহ বিভিন্ন বিষয় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। পূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচলে বিশেষ বিনিয়োগের জন্য সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (সিবিডি) এলাকায় মোট ২৪৫ দশমিক ১২ একর জমি রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় বিদেশি বিনিয়োগে বৃহৎ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট ৯৫ একর জমি চায়।

পরবর্তীতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে মোট ৫৬ একর জমিতে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে প্রতিষ্ঠানটি তাদের মতামতে জানায়। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটির জন্য ৫৬ দশমিক ৩ একর জমির প্রয়োজন হলেও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনে ৬০ একর জায়গা দিতে চায় সরকার। যদিও সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও বেশি জমির চাহিদা রয়েছে। সরকার পূর্বাচলে বিভিন্ন সংস্থার বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে সয়েল টেস্ট করেছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে পূর্বাচলকেই বেছে নিয়েছে।

সূত্র: www.al-ihsan.net

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৬

একজন বাংলাদেশি যেভাবে মালেশিয়ার পুলিশ প্রধান!!!!!

 
লেখা প
বাংলাদেশি রতন চৌকিদার যেভাবে ’মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান’!

প্রবাসী বাংলাদেশি রতন চৌকিদার আলোচনার ঝড় তুলেছেন মালয়েশিয়ার স্যোশাল মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকায়। রেস্টুরেন্টের একজন সাধারণ কর্মী রতন দেখতে নাকি হুবহু মালয়েশিয়ার আইজিপি তানশ্রী খালিদ আবু বাকারের মতো। তাই অনেকেই তাকে ইদানিং ‘মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান’ হিসেবে ডাকতে শুরু করেছেন।

মালয়েশিয়ার প্রধান-প্রধান পত্রিকাগুলোতে গত ৩ জানুয়ারি রতন চৌকিদারকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন বের হয়েছে। অবশ্য তার আগে ফেসবুকে তিনি আলোচিত হন। ৩৭ বছর বয়সি এই বাংলাদেশির চেহারা, হাসি, চুল, নাক, মুখ সবকিছু হুবহু মিলে যায় মালয়েশিয়ার আইজিপি তানশ্রী খালিদ আবু বাকারের সাথে।

কিছুদিন আগে একজন মালয়েশিয়ান ফেসবুকে তার ছবি আপলোড দেওয়ার পর থেকে আইজিপির সাথে তার চেহারার মিলের কথা প্রচার হয়ে পড়ে চারিদিকে। ইংরেজি নববর্ষের দিন আরেকজন মালয়েশিয়ান আইজিপির একটি ছবি হাতে দিয়ে তার ছবি তোলে আপলোড করার পর সবার মনে কৌতুহল জাগে তাকে দেখার জন্য। মালয়েশিয়ার শাহ আলম এলাকা ১০ নম্বর সেক্টরে ‘পাক মাল নাসি কান্দার’ নামের যে রেস্টুরেন্টে রতন কাজ কনেন, সেখানে এখন তাকে দেখতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে।

মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমকে নিজের এই হঠাৎ বিখ্যাত হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে রতন চৌকিদার বলেন, একদিন এক কাস্টমার জানালো আমি নাকি কোন এক পুলিশের মতো দেখতে। অনুরোধ করে উনি আমার সাথে একটি ছবি তুললো ।আমি তেমন কিছু বুঝি নাই। তবে পরের দিন থেকে দেখি অনেকেই আমাকে ‘পুলিশ সাহেব’ বলে ডাকছেন।।

তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অনেকেই এসে আমার সঙ্গে ছবি তুলছেন।আমিও খুশি মনে তাদের আবদার পূর্ণ করি। আমার ভালোই লাগে।

রতন জানান, সবাই তাকে বলে তিনি নাকি হুবহু আইজিপি’র মতো দেখতে। তাই তার খুব ইচ্ছে করে মালয়েশির পুলিশপ্রধানকে দেখতে এবং তার সঙ্গে ছবি তুলতে।

রতন চৌকিদার যে রেস্টুরেন্টে কাজ করেন তার ম্যানেজার স্থানীয় আমিরুল মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, রতন এখানে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে। সে একজন সৎ এবং পরিশ্রমী কর্মী।রতনের চেহারা আইজিপির সাথে মিল তা আমি খেয়াল করিনি। যদিও আমি পাঁচ বছর ধরে প্রতিদিন দেখি। তবে এক কাস্টমার এই মিল ধরিয়ে দেওয়ার পর আমিও মিল খুঁজে পেয়েছি।

ম্যানেজার আরো বলেন, রতন চৌকিদারকে দেখতে অনেকেই এখন এ রেস্টুরেন্টে আসছেন। আমাদের কাস্টমার বেড়ে গেছে।

‘পাসপোর্ট এজেন্ট’ দেবে অধিদপ্তর

ঢাকার আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে ‘পাসপোর্ট এজেন্ট’ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এই এজেন্ট আবেদনকারীর ফরম নির্ভুলভাবে পূরণ ও জমা দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেবেন।

এজেন্ট নিয়োগের জন্য ‘পাসপোর্ট এজেন্ট’ (লাইসেন্সিং) বিধিমালা করা হয়েছে, যার খসড়া অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। অধিদপ্তরে নতুন মহাপরিচালক যোগদানের পর নতুন এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ রেজওয়ান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, পাসপোর্ট করতে এসে যাতে গ্রাহকদের ভোগান্তি না হয়, সে জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেখা যায়, একজন গ্রাহক ফরম পূরণ করতে পারেন না, সত্যায়িত করতে অসুবিধায় পড়েন, ব্যাংকে টাকা দেওয়ার নিয়ম জানেন না। এই সবকিছু যাতে গ্রাহকেরা নির্বিঘ্নে করতে পারেন, সে জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে পাসপোর্ট কার্যালয়ে ভিড়, দীর্ঘসূত্রতা ও গ্রাহক হয়রানি কমবে। এ ছাড়া সময়ও কম লাগবে।

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এজেন্টদের বাছাই করার জন্য অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালককে প্রধান করে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি এজেন্ট নিয়োগ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। পাসপোর্ট এজেন্ট প্রতি সপ্তাহে প্রক্রিয়া করা আবেদনপত্রের সংখ্যা বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে দেবেন। পাসপোর্ট এজেন্ট পাসপোর্ট আবেদনকারীর কাছ থেকে সরকারের নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত দাবি করতে পারবেন না।

সূত্র জানায়, এজেন্ট হিসেবে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের বয়স ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হবে। পাসপোর্টের নিয়ম ও আবেদনপত্র-প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় জনবল, অফিস সরঞ্জামাদিসহ কমপক্ষে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি অফিস থাকতে হবে, অনলাইনে পাসপোর্ট ফি গ্রহণের জন্য নির্ধারিত শাখার সামনে এজেন্ট অফিস স্থাপন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে পাঁচ বছরের তথ্য ও প্রযুক্তি-সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবেদনকারী ও তাঁর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পুলিশের কাছ থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হবে। ওই এজেন্টকে লাইসেন্স দেওয়ার আগে কমিটি আবেদনকারীর কার্যালয় পরিদর্শন করবে। লাইসেন্সের মেয়াদ হবে তিন বছর, কর্মদক্ষতার ওপর ভিত্তি করে পরে তিন বছরের নবায়নযোগ্য হবে। কোনো এজেন্ট এই বিধান লঙ্ঘন করলে তাঁর লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত ও জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পাসপোর্ট-প্রক্রিয়ার শুরুতেই সোনালী ব্যাংকের আগারগাঁও শাখায় টাকা জমা দেওয়ার সময় দালাল চক্রের সদস্যরা আবেদনকারীকে নানাভাবে প্ররোচিত করছেন। কোনো ঝামেলা ছাড়াই খুব অল্প সময়ে যাবতীয় কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাঁরা। অনেকে এ জন্য দালালদের হাতে টাকাপয়সাও তুলে দিচ্ছেন।

সোনালী ব্যাংক আগারগাঁও শাখা বলতে গেলে দালালদেরই আখড়া। এখানেও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালালদের যোগসাজশ আছে বলে অভিযোগ আছে। গতকাল ব্যাংকটির এই শাখায় গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিচ্ছেন আর দালালেরা খুব সহজে কোনো লাইন ছাড়াই টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দালাল বলেন, ‘আমরা পাসপোর্টকারীদের টাকা জমা দিয়ে যে বকশিশ পাই, তা থেকে ৩০ পার্সেন্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের দিই।

রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৬

শিঘ্রই আসছে 4G network

চলতি বছরেই দেশে (চতুর্থ প্রজন্ম)
ফোর-জি চালু হবে জানিয়েছেন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ
প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট
তারানা হালিম।
আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের
দেলদুয়ার উপজেলার নাল্লা
পাড়া এলাকায় বেলায়েত
হোসেন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের
বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগীতার
পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় সদ্য অনুষ্ঠিত পৌরসভা
নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে উল্লেখ্য করে
ভবিষ্যতেও এমন সুষ্ঠ নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান
তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম
বলেন, দেশের প্রতন্ত অঞ্চলেও খুব
শীর্ঘই (তৃত্বীয় প্রজন্ম) থ্রী-জি
সুবিধা পৌছে দেওয়া হবে।
ইতোপূর্বে ইন্টারনেটের দাম
কমানো হয়েছে ভবিষ্যতে আরো
দাম কমানো হবে বলেও আশ্বাস
দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি
দেলোয়ার হোসেনের
সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত
ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক
ও জেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক,
স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আব্দুল
বাতেন, উপজেলা
আওয়ামীলীগের সম্পাদক এম
শিবলী সাদিকসহ অনন্য।।

শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৬

“নাত শরীফ” ১।[১৮]]

লিখেছি মোর হৃদয়পটে
মুহব্বতের এক গল্প
চলব সদা ন্যায়ের পথে
করেছি সংকল্প ।
সংকল্পে থাকতে অটুট
রসূল উনার পথে চলি
রসূল-তুষ্টি মাথার মুকুট
দুনিয়াকে পায়ে দলি।
ইয়া নবী ! ইয়া রসূল !
আমার হৃদয় ডাকে।
না দেখা রূপটি আপনার
হৃদয় বাঁকে বাঁকে।
দরুদ-সালাম পড়ি যবে
ইয়া রসূল আপনার শানে,
দৃষ্টি কেবল খুঁজে ফিরে
হৃদয়-বাহির সবখানে।
কোশেশ করাই আমার সার,
তবুও, আপনার অনুসারী।
পূর্ণতারই আশায় আশায়,
শুন্য আমার জীবন তরী।
জীবন আমার গভীর পাপে,
বয়েই গেছে, যাবে যাক।
শাফিয়ে ম্যাহশার ! বলে,
আমি দেব আপনায় ডাক।
আজ আমি আপনায় ডাকি,
সেদিনও ডাকব আপনায়।
আজ আপনার দয়া ভিখারি,
সেদিনও রবো দয়া-মায়ায়।
আমল দিয়ে তুষ্ট করি,
আছে কি মোর এই হিম্মত
সদিচ্ছাই আছে শুধু
হাক্কিক্কতে নিঃস্ব উম্মত
জাহির বাতিনের কি যে ভেদ
ইসলামে যা বলা হয়,
মহাপ্রলয়ের প্রলয়ং(করি) নিনাদ,
লয় করে মোর এই নিলয় ।
আলো আঁধারির চমক একি!
বুঝিনাতো কিছুই আমি।
কেবল ডেকে, নবী! নবী!
হতে চাই বহু দামী।
নবী! ডেকে পাই সাড়া
সবাই ডাকুন নূরের নবী!
নবী নামের জিকির ছাড়া
ধংস হবে সৃষ্টি সবি ।
আমার নবী নুরের রবি
মদীনাতে শুয়ে রন,
মিলাদ-কিয়াম যখন করি
তিনি আমার সঙ্গী হন।
দয়া মায়ায় পূর্ণ নবী
উম্মতের তরে তিনি কাঁদেন
দো জাহানের ভরসা কেবল
তিনি মোদের যা দেন।
অগনতি নিয়ামত দিয়েছেন তিনি
শুকরিয়ার নাই কোন ভাষা
একালে যেমন দিয়েছেন তিনি
পরকালেও তেমনি দেবেন আশা।
আমার মুরশিদ আওলাদে রসূল ।
আমি যে নগন্য এক গোলাম
মুরশিদপাক উসিলা করে
নাত শরীফ লিখে ধন্য হলাম

ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত কি বিদআত??

ফরজ নামাযের পর
সম্মিলিত মুনাজাত কি বিদআত?
____________________
প্রশ্ন :
১)ফজরের নামাজের পর সুরা
হাশরের যে আয়াত গুলো পাঠ করা
হয় তার একটি প্রচলিত পদ্ধতি হলো
ইমাম পিছন ফিরে বসে দোয়া
দরুদের পর উচ্চস্বরে আয়াত গুলো একটু
একটু করে পাঠ করে আর মুসল্লীরা
শুনে শুনে পরমুহুর্তে পাঠ করেl
এটা কি শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি ?
২)
(ক) জামাতের সাথে ফরজ
নামাজের পর যে সম্মিলিতভাবে
মুনাজাত করা হয় তা কি শরীয়ত
সম্মত?
(খ) রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি বা
সাহাবাগণ কি এমনটা করতেন?
[বি:দ্র: আমি কোন ইমামকে কখনোই
মুনাজাত ছাড়তে দেখিনিl
এটা সম্ভবত অনেকেই আবশ্যক মনে
করে]
উত্তর
ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻨﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
১ম প্রশ্নের জবাব
এতে খারাপের কিছুই নেই। এটি
ইমাম সাহেবগণ করে থাকেন
মুসল্লিদের শিক্ষাদানের জন্য।
কারণ অনেক মুসল্লিই সূরা হাশরের
শেষ তিন আয়াত পড়তে জানে না।
তাই ইমাম সাহেব এভাবে বলে
বলে পড়িয়ে দেন। সুতরাং এটি
নাজায়েজ হবার কোন শরয়ী কারণই
বিদ্যমান নেই।
২য় প্রশ্নের জবাব
ফরজ নামাযের পর মুনাজাতের বিষয়
বুঝতে হলে তিনটি পয়েন্ট ভাল
করে বুঝতে হবে। যথা-

ফরজ নামাযের পর মুনাজাত
প্রমাণিত কি না?

সম্মিলিত মুনাজাত প্রমাণিত কি
না?

ফরজ নামাযের পর সম্মিলিত
মুনাজাতের হুকুম কী?
১ম বিষয়
ফরজ নামাযের পর মুনাজাত করা
একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা
প্রমাণিত। যেমন-
ক)
ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﻳَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ، ﺇِﺫَﺍ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻓَﻘُﻞْ : ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ
ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻓِﻌْﻞَ ﺍﻟﺨَﻴْﺮَﺍﺕِ، ﻭَﺗَﺮْﻙَ ﺍﻟْﻤُﻨْﻜَﺮَﺍﺕِ، ﻭَﺣُﺐَّ
ﺍﻟْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ ،
হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে
মুহাম্মদ! যখন তুমি নামায পড়ে
ফেলবে, তখন এ দুআ করবে- হে
আল্লাহ!আপনার নিকট ভাল কাজের
তৌফিক চাই এবং মন্দ কাজ থেকে
বিরত থাকার ব্যাপারে সাহায্য
চাচ্ছি এবং আপনার দরবারের
মিসকীন তথা আল্লাহ ওয়ালাদের
মুহাব্বত কামনা করছি। {সুনানে
তিরমিজী, হাদীস নং-৩২৩৩}
খ)
ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি
স্বীয় কিতাব আততারীখুল
কাবীরে এনেছেন-
ﻋَﻦْ ﻛﺎﺗﺐ ﺍﻟﻤﻐﻴﺮﺓ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ : ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﺪْﻋُﻮ ﻓﻲ ﺩﺑﺮ ﺻﻼﺗﻪ
হযরত মুগিরা রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আন থেকে বর্ণিত। রাসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
নামায শেষে দুআ করতেন।
{আততারীখুল কাবীর, হাদীস
নং-১৭৭২, ৬/৮০}
গ)
ﻋَﻦْ ﺃَﻧَﺲِ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﻛَﺎﻥَ ﻣَﻘَﺎﻣِﻲ ﺑَﻴْﻦَ ﻛَﺘِﻔَﻲْ
ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻓَﻜَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺳَﻠَّﻢَ
ﻗَﺎﻝَ : « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﺧَﻴْﺮَ ﻋُﻤُﺮِﻱ ﺁﺧِﺮَﻩُ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ
ﺧَﻮَﺍﺗِﻴﻢَ ﻋَﻤَﻠِﻲ ﺭِﺿْﻮَﺍﻧَﻚَ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﺧَﻴْﺮَ ﺃَﻳَّﺎﻣِﻰ
ﻳَﻮْﻡَ ﺃَﻟْﻘَﺎﻙَ »
হযরত আনাস বিন মালিক
রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আন
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি
ছিলাম রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর কাঁধের পাশে।
তখন রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম সালাম ফিরিয়ে
বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমার
শেষ জীবনকে সবচে’ সুন্দর কর। হে
আল্লাহ! তুমি আমার শেষ আমলকে
তোমার সন্তুষ্টি অনুপাতে কর। হে
আল্লাহ! তুমি তোমার সাথে আমার
সাক্ষাতের দিনকে সর্বোত্তম দিন
কর। {আলমুজামুল আওসাত
লিততাবারানী, হাদীস নং-৯৪১১}
ঘ)
হযরত সাদ রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আন বলেন,
ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ : ﺇِﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ
ﻳَﺘَﻌَﻮَّﺫُ ﺑِﻬِﻦَّ ﻓِﻲ ﺩُﺑُﺮِ ﻛُﻞِّ ﺻَﻠَﺎﺓٍ « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ
ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠُﺒْﻦِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ
ﺃَﻥْ ﺃُﺭَﺩَّ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺭْﺫَﻝِ ﺍﻟْﻌُﻤُﺮِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ،
ﻭَﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ »
রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম প্রতি নামাযের পর এই
শব্দে আল্লাহর কাছে পানাহ
চাইতেন, “হে আল্লাহ! আমি
তোমার কাছে কৃপণতা থেকে
পানাহ চাই। এবং অভাব থেকে
পানাহ চাই এবং অশীতিপর
বৃদ্ধাবস্থা থেকে পানাহ চাই এবং
দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আজাব
থেকে পানাহ চাই। {সুনানে
নাসায়ী, হাদীস নং-৫৪৭৯}
ঙ)
ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﻳَﺤْﻴَﻰ، ﻗَﺎﻝَ : ﺭَﺃَﻳْﺖُ ﻋَﺒْﺪَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑْﻦَ
ﺍﻟﺰُّﺑَﻴْﺮِ ﻭَﺭَﺃَﻯ ﺭَﺟُﻠًﺎ ﺭَﺍﻓِﻌًﺎ ﻳَﺪَﻳْﻪِ ﺑِﺪَﻋَﻮَﺍﺕٍ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ
ﻳَﻔْﺮُﻍَ ﻣِﻦْ ﺻَﻠَﺎﺗِﻪِ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻓَﺮَﻍَ ﻣِﻨْﻬَﺎ، ﻗَﺎﻝَ : « ﺇِﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻳَﺮْﻓَﻊْ ﻳَﺪَﻳْﻪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﻔْﺮُﻍَ ﻣِﻦْ ﺻَﻠَﺎﺗِﻪِ
হযরত মুহাম্মদ বিন আবী ইয়াহইয়া
বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ বিন
জুবায়ের রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আন কে দেখলাম। তিনি
এক ব্যক্তিকে নামাযের ভিতরে
হাত তুলে দুআ করছেন। যখন লোকটি
নামায শেষ করল। তখন তিনি তাকে
বললেন, নিশ্চয় রাসূল ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায
শেষ করার আগে হাত তুলে দুআ
করতেন না। {আলমুজামুল কাবীর
লিততাবরানী, হাদীস নং-৩২৪}
এছাড়া আরো অসংখ্য হাদীস
রয়েছে যা প্রমাণ করে রাসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ফরজ নামাযের পর হাত তুলে দুআ
করতেন।
২য় বিষয়
পূর্বের আলোচনা দ্বারা পরিস্কার
হয়ে গেল যে, রাসূল ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরজ নামায
শেষে হাত তুলে দুআ করতেন। এখন
প্রশ্ন হল, রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে
কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আন থেকে সম্মিলিতভাবে দুআ
করা প্রমাণিত কি না?
নিচে কয়েকটি হাদীস দেয়া হল।
যা পরিস্কারভাবে সম্মিলিত দুআ
করা ও সম্মিলিত দুআর প্রতি উৎসাহ
প্রদান করা হয়েছে।

ﺃَﻧَﺲَ ﺑْﻦَ ﻣَﺎﻟِﻚٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻰ ﺭَﺟُﻞٌ ﺃَﻋْﺮَﺍﺑِﻲٌّ ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻞِ
ﺍﻟﺒَﺪْﻭِ ﺇِﻟَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﻮْﻡَ
ﺍﻟﺠُﻤُﻌَﺔِ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻫَﻠَﻜَﺖِ ﺍﻟﻤَﺎﺷِﻴَﺔُ،
ﻫَﻠَﻚَ ﺍﻟﻌِﻴَﺎﻝُ ﻫَﻠَﻚَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ، « ﻓَﺮَﻓَﻊَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ
ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻳَﺪْﻋُﻮ، ﻭَﺭَﻓَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺃَﻳْﺪِﻳَﻬُﻢْ
ﻣَﻌَﻪُ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ »
হযরত আনাস বিন মালিক
রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আন
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা
একজন গ্রাম্য সাহাবী রাসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর কাছে আসলেন জুমআর দিন। এসে
বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জিনিস
পত্র, পরিবার, মানুষ সবই ধ্বংস হয়ে
যাচ্ছে। একথা শুনে রাসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তার উভয় হাত উত্তলোন করলেন দুআর
উদ্দেশ্যে। উপস্থিত সবাই রাসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর সাথে দুআর জন্য হাত উত্তোলন
করলেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস
নং-১০২৯}
এ হাদীসে পরিস্কারভাবে রাসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
থেকে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত
প্রমানিত। লক্ষ্য করুন। রাসূল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
দুআ করেছেন, আর উপস্থিত
সাহাবীগণ আমীন আমীন বলে
সম্মিলিত মুনাজাতে অংশ
নিয়েছেন।

ﻋَﻦْ ﺣَﺒِﻴﺐِ ﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻠَﻤَﺔَ ﺍﻟْﻔِﻬْﺮِﻱِّ – ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻣُﺴْﺘَﺠَﺎﺑًﺎ -:
ﺃَﻧَّﻪُ ﺃُﻣِّﺮَ ﻋَﻠَﻰ ﺟَﻴْﺶٍ ﻓَﺪَﺭِﺏَ ﺍﻟﺪُّﺭُﻭﺏِ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻟَﻘِﻲَ ﺍﻟْﻌَﺪُﻭَّ
ﻗَﺎﻝَ ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺳَﻠَّﻢَ – ﻳَﻘُﻮﻝُ : ” « ﻟَﺎ ﻳَﺠْﺘَﻤِﻊُ ﻣَﻠَﺄٌ ﻓَﻴَﺪْﻋُﻮ ﺑَﻌْﻀُﻬُﻢْ
ﻭَﻳُﺆَﻣِّﻦُ ﺳَﺎﺋِﺮُﻫُﻢْ، ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﺟَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ » “.
ﺛُﻢَّ ﺇِﻧَّﻪُ ﺣَﻤِﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪَ، ﻭَﺃَﺛْﻨَﻰ ﻋَﻠَﻴْﻪِ، ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺣْﻘِﻦْ
ﺩِﻣَﺎﺀَﻧَﺎ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﺃُﺟُﻮﺭَﻧَﺎ ﺃُﺟُﻮﺭَ ﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀِ،
ﺭَﻭَﺍﻩُ ﺍﻟﻄَّﺒَﺮَﺍﻧِﻲُّ ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺍﻟْﻬَﻨْﺒَﺎﻁُ ﺑِﺎﻟﺮُّﻭﻣِﻴَّﺔِ : ﺻَﺎﺣِﺐُ
ﺍﻟْﺠَﻴْﺶِ . ﻭَﺭِﺟَﺎﻟُﻪُ ﺭِﺟَﺎﻝُ ﺍﻟﺼَّﺤِﻴﺢِ ﻏَﻴْﺮَ ﺍﺑْﻦِ ﻟَﻬِﻴﻌَﺔَ،
ﻭَﻫُﻮَ ﺣَﺴَﻦُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ .
হযরত হাবীব বিন মাসলামা
আলফিহরী রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আন। যিনি মুস্তাজাবুদ
দাওয়া ছিলেন। তাকে একবার
একটি বাহিনী প্রধান নিযুক্ত করা
হয়। যুদ্ধের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি
গ্রহণের পর তিনি যখন শত্রুর সম্মুখিন
হলেন। তখন লোকদের বললেন, আমি
রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম কে বলতে শুনেছি। তিনি
বলেছেন “যখনি কোন দল একত্র হয়,
তারপর তাদের কথক দুআ করে, আর
অপরদল আমীন বলে তখন আল্লাহ
তাআলা তা কবুল করে নেন”।
এ হাদীস বলার তিনি [হাবীব বিন
মাসলামা রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আন] হামদ ও সানা
পড়লেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহ!
তুমি আমাদের প্রাণ রক্ষা কর। আর
আমাদের শহীদের সওয়াব দান কর।
{মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস
নং-১৭৩৪৭, মুস্তাতাদরাক আলাস
সহীহাইন, হাদীস নং-৫৪৭৮,
আলমুজামুল কাবীর, হাদীস
নং-৩৫৩৬}
আল্লামা হায়ছামী রহমতুল্লাহি
আলাইহি বলেন, উক্ত হাদীসের
সূত্রের প্রতিটি রাবী সহীহের
রাবী। ইবনে লাহিয়াহ ছাড়া।
কিন্তু সেও হাসান পর্যায়ের
রাবী। {মাযমাউয
যাওয়ায়েদ-১৭৩৪৭}

আরো একটি হাদীস উদ্ধৃত করছি। যা
আলবিদায়া ওয়াননিহায়া গ্রন্থে
আল্লামা ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি
আলাইহি সনদসহ বর্ণনা করেছেন।
যার সারমর্ম হল,আলা বিন হাযরামী
রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আন।
মুস্তাজাবুদ দাওয়া সাহাবী
ছিলেন। একদা বাহরাইনের জিহাদ
থেকে ফেরার পথে এক স্থানে
যাত্রাবিরতি করলে খাবার
দাবার ও তাবুর রসদসহ উটগুলো
পালিয়ে যায়। তখন গভীর রাত।
সবাই পেরেশান। ফজরের সময় হয়ে
গেলে আজান হল। সবাই নামায
আদায় করলেন। নামায শেষে আলা
বিন হাযরামী রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আন সহ সবাই হাত তুলে সূর্য
উদিত হওয়ার সূর্যের কিরণ গায়ে
লাগা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় দুআ করতে
থাকেন। {আলবিদায়া
ওয়াননিহায়া-৬/৩২৮-৩২৯}
উক্ত ঘটনাটির পূর্ণ বিবরণের আরবী
পাঠ
ﻭَﻗَﺪْ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟْﻌَﻠَﺎﺀُ ﻣِﻦْ ﺳَﺎﺩَﺍﺕِ ﺍﻟﺼَّﺤﺎﺑﺔ ﺍﻟْﻌُﻠَﻤَﺎﺀِ ﺍﻟﻌﺒَّﺎﺩ
ﻣُﺠَﺎﺑِﻲ ﺍﻟﺪَّﻋﻮﺓ، ﺍﺗَّﻔﻖ ﻟَﻪُ ﻓِﻲ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟْﻐَﺰْﻭَﺓِ ﺃﻧَّﻪ ﻧَﺰَﻝَ
ﻣَﻨْﺰِﻟًﺎ ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻘِﺮَّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺣَﺘَّﻰ ﻧَﻔَﺮَﺕِ
ﺍﻟْﺈِﺑِﻞُ ﺑِﻤَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﺯَﺍﺩِ ﺍﻟْﺠَﻴْﺶِ ﻭَﺧِﻴَﺎﻣِﻬِﻢْ ﻭﺷﺮﺍﺑﻬﻢ،
ﻭﺑﻘﻮﺍ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﻟﻴﺲ ﻣﻌﻬﻢ ﺷﺊ ﺳِﻮَﻯ ﺛِﻴَﺎﺑِﻬِﻢْ –
ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﻟَﻴْﻠًﺎ – ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻘْﺪِﺭُﻭﺍ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺑَﻌِﻴﺮٍ ﻭَﺍﺣِﺪٍ،
ﻓَﺮَﻛِﺐَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻬﻢِّ ﻭﺍﻟﻐﻢِّ ﻣﺎﻻ ﻳُﺤَﺪُّ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﻮَﺻَﻒُ،
ﻭَﺟَﻌَﻞَ ﺑَﻌْﻀُﻬُﻢْ ﻳُﻮﺻِﻲ ﺇِﻟَﻰ ﺑَﻌْﺾٍ، ﻓَﻨَﺎﺩَﻯ ﻣُﻨَﺎﺩِﻱ
ﺍﻟْﻌَﻠَﺎﺀِ ﻓَﺎﺟْﺘَﻤَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱ ﺇِﻟَﻴْﻪِ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃﻳُّﻬﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱ
ﺃَﻟَﺴْﺘُﻢُ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ؟ ﺃَﻟَﺴْﺘُﻢْ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ؟
ﺃَﻟَﺴْﺘُﻢْ ﺃَﻧْﺼَﺎﺭَ ﺍﻟﻠَّﻪِ؟ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﺑَﻠَﻰ، ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﺄَﺑْﺸِﺮُﻭﺍ
ﻓَﻮَﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﺎ ﻳَﺨْﺬِﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻓِﻲ ﻣِﺜْﻞِ ﺣَﺎﻟِﻜُﻢْ،
ﻭَﻧُﻮﺩِﻱَ ﺑِﺼَﻠَﺎﺓِ ﺍﻟﺼُّﺒﺢ ﺣِﻴﻦَ ﻃَﻠَﻊَ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮُ ﻓﺼﻠَّﻰ
ﺑﺎﻟﻨَّﺎﺱ، ﻓﻠﻤَّﺎ ﻗَﻀَﻰ ﺍﻟﺼَّﻼﺓ ﺟَﺜَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺭُﻛْﺒَﺘَﻴْﻪِ ﻭَﺟَﺜَﺎ
ﺍﻟﻨَّﺎﺱ، ﻭَﻧَﺼِﺐَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻋﺎﺀ ﻭَﺭَﻓَﻊَ ﻳَﺪَﻳْﻪِ ﻭَﻓَﻌَﻞَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱ
ﻣِﺜْﻠَﻪُ ﺣَﺘَّﻰ ﻃَﻠَﻌَﺖِ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲُ، ﻭَﺟَﻌَﻞَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻳَﻨْﻈُﺮُﻭﻥَ
ﺇِﻟَﻰ ﺳَﺮَﺍﺏِ ﺍﻟﺸَّﻤْﺲِ ﻳَﻠْﻤَﻊُ ﻣَﺮَّﺓً ﺑَﻌْﺪَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﻫُﻮَ ﻳَﺠْﺘَﻬِﺪُ
ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻋَﺎﺀِ

ﻋَﻦْ ﺳَﻠْﻤَﺎﻥَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ
ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : « ﻣَﺎ ﺭَﻓَﻊَ ﻗَﻮْﻡٌ ﺃَﻛُﻔَّﻬُﻢْ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﻳ

স্যার ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর জন্মদিন

গতপরশু ছিল ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের জন্মদিন। তিনি ১৯৫২ সালের এই দিনে সিলেটে জন্মগ্রহন করেন। তিনি একাধারে শিক্ষক, পদার্থবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, লেখক, কলামিষ্ট ও একজন বিজ্ঞানী। স্যার ব্যক্তিজীবনে ১ স্ত্রী ২ সন্তানের জনক।
তার স্ত্রীর নাম ড. ইয়াসমীন হক, ছেলে নাবিল ইকবাল ও মেয়ে ইয়াশিম ইকবাল। স্যার ছোট বেলায় একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তিনি ড্রোন নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহীনির উপর ঝাপিয়ে পড়বেন এমন চিন্তা করেছিলেন, কিন্তু ড্রোন নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার আগেই দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। স্যারের সব চেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন সফল সাহিত্যক।
বাংলা সাহিত্য তার কাছে অনেক ঋনী। স্যারের লেখা বিশেষ করে সাইন্স ফিকশান গুলো সারা বিশ্বে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে বিভিন্ন দেশের নামি দামী লেখকগন তার লেখা চুরি করে। নিচে তার কিছু উদাহরন দিচ্ছি।
১) স্যার "অবনীল" নামক একটি বই প্রকাশ করেন ২০০৪ সালে। আর বইটি হবুহ নকল করে ২০০০ সালে জিম হুইট আর কেন হুইট নামে দুই ভাই মিলে "পিচ ব্লাক" নামে একটি হলিউডের সিনেমা বানিয়ে ফেলেন।
২) স্যার ১৯৯৯ সালে আরেকটি বই লেখেন "নিতু ও তার বন্ধুরা"। স্যারের এই বইটা নকল করে দানি দেভিতো নামে এক ভদ্র লোক "ম্যাটিল্ডা" নামে এক হলিউডের সিনেমা বানিয়ে ফেললেন ১৯৯৪ সালে। ছবিটি বাজেটের চেয়ে ৬৫ কোটি ডলার বেশি নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন অথচ স্যারকে একটি টাকাও দিলেন না।
৩) ঠিক তেমনি স্যারের ২০০৫ সালে বের হওয়া "আমি তপু" ১০ বছর আগে ১৯৯৫ সালে ডেবিড পেলজার নামে আমিরিকান এক সাহিত্যক নকল করেন। তার বইটির নাম দেন " আ চাইল্ড কল্ড ইট"।
৪) স্যারের ২০০০ সালে বের হওয়া "মেকু কাহিনী" বইটি নকল করে ১৯৯৪ সালে প্যাট্রিক রিড জনসন নামে এক হলিউডের পরিচালক বানিয়ে ফেললেন বিশ্ব বিখ্যাত শিশুতোষ ছবি "বেবিজ ডে আউট"।
৫) একই ভাবে স্যারের ১৯৮৮ সালে ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম বইটি নকল করে ১৯৭৯ সালে বের করা হয় "এলিয়েন "। সারা বিশ্ব স্যারের বই নকল করে এ জন্য স্যার তিন তিন বার সাহিত্যে নোবেল পেলেও তা প্রত্যাখান করেন।
২০১৪ সাল একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বাংলাদেশের জন্য। এই বছরই স্যার বাংলাদেশে প্রথম আবিষ্কার করেন দ্রুত গতি সম্পন্ন ড্রোন। পেন্সিল ব্যাটারী চালিত এই ড্রোন ভুমি থেকে ১ হাজার মিলি মিটার উপরে উড়তে সক্ষম। আমেরিকার পেন্টাগন স্যারের এই ড্রোন কিনতে চাইলে স্যার দেশের স্বার্থে তা বিক্রি করতে চান নি। তবে এ বছরের শেষের দিকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে এক সন্ত্রাসী সংগঠন স্যারের এই ড্রোন চুরি করলে সরকারের চৌকস গোয়েন্দা টিম তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
স্যার অনেক সামাজিক, মানবাধিকার ও কল্যাণ মুলক সংগঠনের সাথে জড়িত, স্যার বিশেষ করে নারী অধিকার সংগঠনের হয়ে কাজ বেশি করেন। তিনি নারীদের অনেক সম্মান দেন ভালবাসেন। এ জন্য তিনি কোন ছাত্রের সাথে সেলফি ও ফটো সেশনে অংশগ্রহন করেন না। তিনি কোন ছেলেদের নাচেও যুক্ত হন না। স্যারের জন্মদিনে অনেক অনেক বেলুন ও মোমবাতির বাশি শুভেচ্ছা। তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
কার্টেসি: ফখরুল ইসলা
December 30, 2015

###### আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াতের আক্বীদা-

আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াতের আক্বীদা-
১৷আল্লাহ পাক নিরাকার, আল্লাহ পাক অসীম,
অনাদি, অনন্ত, চিরঞ্জীব, কারো মুহতাজ নয়৷
২৷হাবীবে খোদা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ তিনি
আপাদমস্তক নূরের তৈরি তথা তিনি নূরে
মুজাসসাম ৷
৩৷ হাবীবে খোদা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ তিনি প্রথম
সৃষ্টি আউয়ালুল খলক্ব, তিনি খলক্বী নূর ,জাতি নূর
নন৷
৪৷ হাবীবে খোদা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ তিনি কারো
মতো নন৷ ৷তাঁর তুলনা কেবল ই তিনি ৷
৫৷ হাবীবে খোদা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ তিনি
হায়াতুন নবী, তিনি হাজির-নাজির ৷
৬৷ হাবীবে খোদা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ তিনি
মুত্তালা আলাল গইব৷
৭৷ হাবীবে খোদা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ এর সবকিছু
পাক ৷
৮৷ হাবীবে খোদা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ তিনি নবী
হিসেবেই সৃষ্টি ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত দেওয়াহয় নি
কুরআন নাযিল হয়েছে৷
৯৷কুরআন শরীফ সৃষ্ট না , কুরআন হলো নাযিলকৃত৷
১০৷ হক্বানী পীর ধরা ও বাইয়াত হয়ে ইনসানে
কামিল হওয়ার কোশেশ করা ফরয৷
১১৷মাযহাব মানা ফরয ৷
১১৷ ঈদে মিলাদুন নবী ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ পালন
করা সুন্নতে ইলাহী, সুন্নতে সাহাবা ও কুরআনের
আয়াত দ্বারা ফরয৷
১২৷ প্রাণীর ছবি তোলা, বিডিও করা হারাম ৷
১৩৷মিলাদ ও ক্বিয়াম শরীফ কুরআনের আয়াত ও
রসূলের হাদীস দ্বারা ফরয৷ও সুন্নতে সাহাবা ৷
১৪৷মহিলা মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায
পরা হারাম৷
১৫৷ ফরয নামায বাদ সম্মিলিত মুনাজাত জায়িয ও
সুন্নতে
হাবীবে খোদা ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ৷
১৬৷ভোট, গনতন্ত্র হারাম৷
এইসব আক্বীদা হলো কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে
সঠিক

মুসলিমরা ক্রিসমাস পালন করলেই পাঁচ বছরের জেল!

মুসলিমরা ক্রিসমাস পালন করলেই পাঁচ বছরের জেল!

আইন অমান্য করে যদি কেউ ক্রিসমাস বা বড়দিন উদযাপন করে তাহলে তাকে ৫ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এমন ঘোষণা দিয়েছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসান আল বলখিয়া। তবে এই আইন শুধু মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য।

রক্ষণশীল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি জানিয়েছে, বড়দিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালে বা সান্তা ক্লজ টুপি পরিধান করলেই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। বড়দিনের উদযাপন মুসলিমদের আকিদা বা বিশ্বাসকে দুর্বল করতে পারে বলে দেশটির আলেম সমাজ মত দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে সুলতান বড়দিনের উদযাপন নিষিদ্ধ করেছেন ব্রুনাইয়ে।

অমুসলিমরা বড়দিন উদযাপন করতে পারবে। তবে তা নিজেদের কমিউনিটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলে দেশটির ধর্মমন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে।

ব্রুনাইয়ে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম। তেল সমৃদ্ধ ব্রুনাইয়ে এখনো রাজতন্ত্র বিদ্যমান। উচ্চ জীবনযাত্রার কারণে ব্রুনাইয়ের জনগণ রাজনীতির প্রতি তেমন আগ্রহী নয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে ব্রুনাইয়ে শতভাগ শরিয়া আইন জারি করা হয়।।।

শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬

বজরঙ্গি ভাইজান :: অন্তরালের রাজনীতি ২০০২ সালে গুজরাটের আহমেদাবাদে যে দুই সহস্রাধি

বজরঙ্গি ভাইজান :: অন্তরালের রাজনীতি
২০০২ সালে গুজরাটের আহমেদাবাদে যে দুই সহস্রাধিক মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছিল তার পেছনেও ছিল আরএসএস–এর ‘হিন্দু ভারত’ গঠনের ঘৃণ্য চক্রান্ত। ঐ মুসলিম–নিধনযজ্ঞের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন বাবুভাই প্যাটেল, যিনি ‘বাবু বজরঙ্গি’ হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে গুজরাটে ৯৭ জন মুসলমানকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই বাবু বজরঙ্গি হলেন আরএসএস–এর ভাবাদর্শে গঠিত জঙ্গি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরঙ্গ দলের নেতা।
উল্লেখ্য, এই বজরঙ্গ দলও সংঘ পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। বজরঙ্গ দলের একটি ঘোষিত লক্ষ্য হলো অযোধ্যায় রামমন্দির, মথুরায় কৃষ্ণমন্দির এবং বানারসে বিশ্বনাথ মন্দির নির্মাণ করা। এরা প্রকাশ্যেই ভারতের মুসলিম, খ্রিস্টান সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী এবং বামপন্থী সহ অন্যান্য প্রগতিশীল শক্তিকে ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক পরিচয়, যেটা হলো তাদের ভাষ্যমতে হিন্দুত্ববাদ ছাড়া আর কিছুই নয়, তার জন্য বিপজ্জনক হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। অনিবার্যভাবেই বজরঙ্গ দলের সকল প্রকার তৎপরতার লক্ষ্যবস্তু যে ভারতবর্ষের অহিন্দু জনগোষ্ঠী এবং হিন্দুত্ববাদ–বিরোধী প্রগতিশীল শক্তিই হবে তাতে আর সন্দেহ কী?
এই বজরঙ্গ দলের নেতা হিসেবেই বাবু বজরঙ্গি ২০০২ সালে গুজরাটে উপর্যুক্ত নিধনযজ্ঞ চালিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে তার একটি সাক্ষাৎকার গোপন ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। ঐ সাক্ষাৎকারে তিনি গুজরাট হত্যাকাণ্ডে তার অংশগ্রহণের কথা সদম্ভে ঘোষণা করেছিলেন, উদ্ধতভাবে বলেছিলেন মুসলিমদের কোনো মোকাম তিনি অক্ষত রাখেননি, যাকেই হাতের কাছে পেয়েছেন কুপিয়ে অথবা পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। তার ভাষায়, ঐ ‘বেজন্মা’গুলো যেহেতু মৃত্যুর পর দগ্ধ হতে চায় না, এ জন্য জীবন্তদগ্ধ করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা তিনি করেছেন। তার এই কাজের জন্য তাকে যদি ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তাতেও তার আফসোস নেই, বরং ফাঁসির আগে হাতে দুইদিন সময় পেলেও ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ মুসলমানকে তিনি হত্যা করবেন।
উল্লেখ্য, ঐ ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় তার নামে অভিযোগ দায়ের করা এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হলেও তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে আসেন। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী (ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদী তাকে ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছিলেন।
পরবর্তীতে গোপন ভিডিওতে ধারণকৃত বাবু বজরঙ্গির স্বীকারোক্তির প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয় তাতে ২০১২ সালে তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন। এই হলো বজরঙ্গ দলের প্রধান নেতার অবস্থা। তবে এ কথা অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে, বাবু বজরঙ্গির উপর্যুক্ত অবস্থানকে একান্ত ব্যক্তিগত মনে করলে বড় ভুল করা হবে। এটা তাদের সমগ্র সংগঠন, সেই হিসেবে আরএসএস–এরও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবস্থান। এই আরএসএস–এর মুখপাত্র হিসেবেই নরেন্দ্র মোদী ভারতের শীর্ষপদে আসীন হয়ে ইতিহাস, বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুর মধ্যে হিন্দু ধর্মের ‘মাহাত্ম্য’ আবিষ্কার করে সেই মাহাত্ম্য প্রচারের নামে পক্ষান্তরে উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন সমগ্র জনগণের ওপর।
ওপরে যে বজরঙ্গ দলের কথা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো সেই দলের পরম পূজনীয় দেবতা বজরঙ্গ তথা হনুমানের একান্ত অনুগত সেবক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার প্রধান চরিত্র পবন কুমারকে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রামায়ণের অন্যতম চরিত্র হিসেবে হনুমানকে দেবতা হিসেবে মান্য করার সাথে উগ্র সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কোনো আত্যন্তিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত বিচারে এটা বোঝা কঠিন নয় যে, একজন হনুমান–ভক্ত হিসেবে পবন কুমারকে সত্যনিষ্ঠ, ন্যায়পরায়ণ, পরোপকারী ও মহানুভব যুবক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে একাধিকবার– এর আসল লক্ষ্য হলো বজরঙ্গ দল তথা আরএসএস–এর মতাদর্শকেই মহিমান্বিতরূপ ঊর্ধ্বে তুলে ধরা।
‘বজরঙ্গি ভাইজান’ চলচ্চিত্রের কাহিনী যতোই মর্মস্পর্শী হোক না কেন, যতোই অভিনন্দিত হোক সালমান খান, হর্ষালি মালহোত্রা, কিংবা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর অনবদ্য অভিনয়, এর অন্তরালের রাজনীতিটুকু উন্মোচন না করে কেবল আবেগে ভেসে গেলে আমাদের চলছে না। চলচ্চিত্রের রস সবটুকু আস্বাদন করেও আমাদেরকে বলতেই হচ্ছে, এই কাহিনী আসলে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত রাষ্ট্রের আধিপত্যকামী শক্তি হয়ে ওঠার আখ্যান, এই চলচ্চিত্র বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির কপালে মাহাত্ম্য–তিলক অঙ্কনের এক শিল্পমণ্ডিত প্রয়াস।।
অতীতে ভারত–পাকিস্তান সম্পর্ককে কেন্দ্র করে বলিউডে ‘গাদার’, ‘বর্ডার’, ‘মিশন কাশ্মীর’, ‘কেয়ামত’ সহ যেসব চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে সেখানে পাকিস্তানকে এক শত্র“রাষ্ট্র হিসেবেই চিত্রিত করা হয়েছে। সিনেমাগুলোর ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক, খলনায়ক হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্র এবং তার প্রতিনিধিগণ। এই ধরনের চলচ্চিত্র তখন ভারতবাসীর মধ্যে উগ্র জাতীয়তাবাদের পালে হাওয়ার যোগান দিত বেশ করে