বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কাকে দিয়ে কুরবানি করালে কুরবানি শুদ্ধ হবেনা জানেন কি!!

ঈদের দিন দেখা যায় লাল রুমাল,চোক্কা টুপি,পান্জাবী পরিধান করে উলামায়ে সূ’ রা ছুরি হাতে নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করে,চামড়ার লোভে এরা ঈদের নামাজও আদায় করে না। এদের দ্বার কেউ কুরবানী করাবেন না।
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন
অর্থাৎ : নেকী ও ফরহেযগারীতে সহযোগীতা কর, বদী ও পাপে সাহায্য করো না। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।
(সুরা মায়িদা শরীফ ২ নং আয়াত শরীফ)
যাদের আক্বিদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের খেলাফ তথা বদ আক্বিদার লোকদেরকে কুরবানীর চামড়া দিলে,সেই কুরবানী কবুল হবে না। এছাড়া যারা শরিয়তবিরোধী হারাম-কুফরী কাজে লিপ্ত যেমন:-
ইসলামে মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ হারাম। ইসলামের নামে ব্যবসা করা হারাম। ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক দল করা হারাম। ইসলামের নামে নির্বাচন করা হারাম। ইসলামের নামে ভোট চাওয়া হারাম। “বর্তমানে অধিকাংশ মাদ্রাসাগুলোই হচ্ছে ওহাবী, খারিজী মতাদর্শের তথা সন্ত্রাসবাদী ক্যাডার তৈরির সূতিকাগার। ইসলামের দোহাই দিয়ে, ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক স্বার্থ ও প্রতিপত্তি হাছিলের প্রকল্প। ইসলামের নামে নির্বাচন করার ও ভোটের রাজনীতি করার পাঠশালা- যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম।
কুরবানীর চামড়া কোথায় দেয়া হচ্ছে তা দেখে দিতে হবে। জামাতী, খারিজী, ওহাবী ও সন্ত্রাসবাদী-মৌলবাদী তথা ধর্মব্যবসায়ীদের মাদরাসাতে কুরবানীর চামড়া দিলে তাতে কুরবানী আদায় হবে না।
অনুরূপভাবে কোনো তথাকথিত জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকেও কুরবানীর চামড়া দেয়া জায়িয হবে না। অথচ কুরবানীর চামড়া গরিব মিসকীনদের হক্ব। তা গরিব মিসকিনদের মালিক করে দিতে হবে।
তাই বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, যাকাত দেয়ার সর্বোত্তম স্থান হচ্ছে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতিম খানা। কারণ ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ’-এর অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হচ্ছে এই যে, একমাত্র অত্র প্রতিষ্ঠানেই ইলমে ফিক্বাহর পাশাপাশি ইলমে তাছাউফ শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যা শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দার সাথে বালক ও বালিকাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বালক শাখার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও আমীলগণ প্রত্যেকেই পুরুষ এবং বালিকা শাখার শিক্ষিক, কর্মকর্তা ও আমীলগণ প্রত্যেকেই মহিলা।
এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা- ইসলামের নামে অনৈসলামিক কর্মকা- যেমন, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ, বোমাবাজী, হরতাল, লংমার্চ, কুশপুত্তলিকা দাহ ইত্যাদি হারাম ও কুফরীমূলক কাজের সাথে এবং এ ধরনের কোন প্রকার অবাঞ্ছিত সংগঠন বা দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বরং এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন আমল এবং মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত সব কিছুই সুন্নতের অলঙ্কারে অলঙ্কৃত। সর্বোপরি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা ভিত্তিক। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা এবং ক্বিয়াস-এর আলোকে ইলম শিক্ষা দেয়া হয় যার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাস্তব জীবনে সুন্নতে নববীর আদর্শ প্রতিষ্ঠা তথা সঠিক ইসলাম কায়িমের মাধ্যমে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি বা রেযামন্দী হাছিল করা। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাজের বিত্তবানদের পাশাপাশি ‘গরিব এবং ইয়াতীমদের’ শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘ইয়াতীমখানা এবং লিল্লাহ বোডিং’। সুতরাং কুরবানীর চামড়া বা তার মূল্য অত্র প্রতিষ্ঠানের লিল্লাহ বোডিংয়ে দান করাই হবে অধিক ফযীলতের কারণ অর্থাৎ হাক্বীক্বী ছদক্বায়ে জারিয়াহ।

কাকে দিয়ে কুরবানি করালে কুরবানি শুদ্ধ হবেনা জানেন কি!!

ঈদের দিন দেখা যায় লাল রুমাল,চোক্কা টুপি,পান্জাবী পরিধান করে উলামায়ে সূ’ রা ছুরি হাতে নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করে,চামড়ার লোভে এরা ঈদের নামাজও আদায় করে না। এদের দ্বার কেউ কুরবানী করাবেন না।
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন
অর্থাৎ : নেকী ও ফরহেযগারীতে সহযোগীতা কর, বদী ও পাপে সাহায্য করো না। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।
(সুরা মায়িদা শরীফ ২ নং আয়াত শরীফ)
যাদের আক্বিদা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের খেলাফ তথা বদ আক্বিদার লোকদেরকে কুরবানীর চামড়া দিলে,সেই কুরবানী কবুল হবে না। এছাড়া যারা শরিয়তবিরোধী হারাম-কুফরী কাজে লিপ্ত যেমন:-
ইসলামে মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ হারাম। ইসলামের নামে ব্যবসা করা হারাম। ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক দল করা হারাম। ইসলামের নামে নির্বাচন করা হারাম। ইসলামের নামে ভোট চাওয়া হারাম। “বর্তমানে অধিকাংশ মাদ্রাসাগুলোই হচ্ছে ওহাবী, খারিজী মতাদর্শের তথা সন্ত্রাসবাদী ক্যাডার তৈরির সূতিকাগার। ইসলামের দোহাই দিয়ে, ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক স্বার্থ ও প্রতিপত্তি হাছিলের প্রকল্প। ইসলামের নামে নির্বাচন করার ও ভোটের রাজনীতি করার পাঠশালা- যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম।
কুরবানীর চামড়া কোথায় দেয়া হচ্ছে তা দেখে দিতে হবে। জামাতী, খারিজী, ওহাবী ও সন্ত্রাসবাদী-মৌলবাদী তথা ধর্মব্যবসায়ীদের মাদরাসাতে কুরবানীর চামড়া দিলে তাতে কুরবানী আদায় হবে না।
অনুরূপভাবে কোনো তথাকথিত জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকেও কুরবানীর চামড়া দেয়া জায়িয হবে না। অথচ কুরবানীর চামড়া গরিব মিসকীনদের হক্ব। তা গরিব মিসকিনদের মালিক করে দিতে হবে।
তাই বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, যাকাত দেয়ার সর্বোত্তম স্থান হচ্ছে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতিম খানা। কারণ ‘মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ’-এর অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহ হচ্ছে এই যে, একমাত্র অত্র প্রতিষ্ঠানেই ইলমে ফিক্বাহর পাশাপাশি ইলমে তাছাউফ শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যা শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দার সাথে বালক ও বালিকাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বালক শাখার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও আমীলগণ প্রত্যেকেই পুরুষ এবং বালিকা শাখার শিক্ষিক, কর্মকর্তা ও আমীলগণ প্রত্যেকেই মহিলা।
এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা- ইসলামের নামে অনৈসলামিক কর্মকা- যেমন, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ, বোমাবাজী, হরতাল, লংমার্চ, কুশপুত্তলিকা দাহ ইত্যাদি হারাম ও কুফরীমূলক কাজের সাথে এবং এ ধরনের কোন প্রকার অবাঞ্ছিত সংগঠন বা দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বরং এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন আমল এবং মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত সব কিছুই সুন্নতের অলঙ্কারে অলঙ্কৃত। সর্বোপরি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা ভিত্তিক। কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা এবং ক্বিয়াস-এর আলোকে ইলম শিক্ষা দেয়া হয় যার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাস্তব জীবনে সুন্নতে নববীর আদর্শ প্রতিষ্ঠা তথা সঠিক ইসলাম কায়িমের মাধ্যমে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি বা রেযামন্দী হাছিল করা। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাজের বিত্তবানদের পাশাপাশি ‘গরিব এবং ইয়াতীমদের’ শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘ইয়াতীমখানা এবং লিল্লাহ বোডিং’। সুতরাং কুরবানীর চামড়া বা তার মূল্য অত্র প্রতিষ্ঠানের লিল্লাহ বোডিংয়ে দান করাই হবে অধিক ফযীলতের কারণ অর্থাৎ হাক্বীক্বী ছদক্বায়ে জারিয়াহ।

মানুষ এতো দুনিয়াদার হয়ে গেছে যে, পবিত্র ইবাদত হজ্জ,কুরবানী নিয়েও খেল-তামাসা করে থাকে যেমন:- সেলফি তোলে,হারাম ছবি তোলে,বেপর্দা হয়। এরা ইবাদতকেও খেল-তামাসায় পরিণত করেছে!! নাউযুবিল্লাহ!!!

মানুষ এতো দুনিয়াদার হয়ে গেছে যে, পবিত্র ইবাদত হজ্জ,কুরবানী নিয়েও খেল-তামাসা করে থাকে যেমন:- সেলফি তোলে,হারাম ছবি তোলে,বেপর্দা হয়। এরা ইবাদতকেও খেল-তামাসায় পরিণত করেছে!! নাউযুবিল্লাহ!!!
মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই হজ্জ করতে চাইলে সেলফি তুলে,ছবি তুলে ও বেপর্দা হয়ে হজ্জ করা যাবে না, ইর যদি লোক দেখানোর জন্য হয়
তাহলে হজ্জ্ব কেন করবে::মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই হজ্জ ও উমরাহ আদায় করো। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ওই সকল আমল কবুল করেন না যা খালিছভাবে উনার জন্য করা হয় না। হজ্জ, উমরাহ ও রওজা শরীফ যিয়ারত প্রত্যেকটাই মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করতে হবে।
কাদের উপর হজ্জ ফরয :মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যাদের পথ ও ঈমান-আমল-এর নিরাপত্তা ও আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে তাদের উপর আল্লাহ পাক উনার জন্য হজ্জ করা ফরয।”
হজ্জ কেন করবে: মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই হজ্জ ও উমরা আদায় করো।”
হজ্জ্বের সময় কি করা যাবে না: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হজ্জ করবে এবং হজ্জের সময় কোনো প্রকার অশ্লীল-অশালীন ও ফাসিকী বা নাফরমানীমূলক কাজ করবে না; সে গুনাহ থেকে এরূপ পবিত্র হয়ে ফিরবে যেন সে সদ্যপ্রসূত সন্তান।” সুবহানাল্লাহ!
হজ্জের সময়ও শরীয়তবিরোধী জগন্য হারাম কাজ যেমন ছবি তোলা, বেপর্দা হওয়া, যাবে না।
কেননা, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ক্বিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তি সবচেয়ে কঠিন শাস্তি পাবে যে ব্যক্তি ছবি তোলে বা তোলায়।
কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ পর্দা করার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেমন হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে দেখে ও দেখায় উভয়ের প্রতি আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “দাইয়্যূছ অর্থাৎযে নিজে পর্দা করেনা এবং অধিনস্থদেরকে পর্দায় রাখে না। সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।”
তাই সকলেই একমত যে, বেপর্দা হওয়া ছবি তোলা,,কঠিন কবীরা গুনাহ ও ফাসিকী কাজ। আর ফাসিক ব্যক্তির হজ্জ কি করে মকবুল হজ্জ হতে পারে?
এ অবস্হার হজ্জ্ব তো মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই হতে পারে না!!!
নয় কি???
অতএব, কেউ যদি হজ্জ, উমরা, যিয়ারত করতে চায় তাহলে সম্পূর্ণ হালাল পন্থায় সুন্নতী নিয়মে আদবের সাথে হজ্জ, উমরা, যিয়ারত করতে হবে। ছবি তুলে, বেপর্দা হয়ে নাফরমানীর মাধ্যমে হজ্জ, উমরা, যিয়ারত করা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অসন্তুষ্টির কারণ।

পর্দায় আবৃত তরুনী তাঁকে বলল, হজরত আপনার কাছে কি কোরআন শরীফ হবে?

"একজন প্রখ্যাত আলেম সমরকান্দের পথ দিয়ে চলছিলেন।"
*
পথের ধারে একজন পর্দায় আবৃত তরুনী তাঁকে বলল, হজরত আপনার কাছে কি কোরআন শরীফ হবে?
*
ঐ আলেম তাঁর পকেট থেকে কুরআন শরীফ বের করে মেয়েটি দিলেন। মেয়েটি কুরআন শরীফে চুমু খেল।
*
ঐ আলেম প্রশ্ন করলেন, "তুমি কি কখনও কুরআন শরীফ দেখনি?"
মেয়েটি জবাব দিল, "জ্বী না।"
*
হজরত প্রশ্ন করলেন,"কুরআন পড়তে জান?" মেয়েটি সুরা ইয়াসিন মুখস্হ তিলাওয়াত করে শোনালো।
*
হজরত প্রশ্ন করলেন, "কুরআন শরীফ কখনও দেখোনি হেফজ কিভাবে করলে?"
*
মেয়েটি জবাব দিল, " দেশ বিভাগের সময় রাশিয়ান সৈন্যরা আমাদের ঘরের বাহিরে পাহারায় থাকত। তাই দ্বীন শিক্ষার সকল ব্যাবস্হা বন্ধ ছিল। তবে আমাদের এক বৃদ্ধা মহিলা উস্তাদা ছিলেন, যাঁর কাছে আমরা কাছে কাঁথা শিলাইয়ের ছলে যেতাম। আমরা তাঁর ঘরে গিয়ে সুতা নিয়ে আসতাম, আবার বাহিরে থেকে সুতা গুটিয়ে ঘরে নিয়ে দিয়ে আসতাম। সৈন্যরা এটাই দেখত।
*
আসলে আমরা ভিতর থেকে পড়া নিয়ে আসতাম আবার বাহিরে ঐ পড়া পড়ে আবার ভিতরে গিয়ে পড়া দিয়ে সবক নিয়ে আসতাম। এভাবেই আমরা কুরআন হিফজ করি।
*
সুবহানআল্লাহ। তাই একথা বলতে চাই যে, আল্লাহ্ হক্বকে কায়েম করেছেন আর এর হেফাজত তিনিই করবেন।
আমীন

তাকবিরে তাশরীক পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর পড়তে হয়।

তাকবিরে তাশরীক পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর-
ﺍَﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮْ ﺍَﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮْ ﻟَﺎ ﺍِﻟٰﻪَ ﺍِﻟَّﺎ
ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺍﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮْ ﺍَﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮْ ﻭَﻟﻠﻪِ
ﺍﻟْـﺤَﻤْﺪُ .
উচ্চারণ : “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।”
এই পবিত্র তাকবীর মুবারক পাঠ করতে হয়। উক্ত পবিত্র তাকবীর মুবারক খানাকেই পবিত্র ‘তাকবীরে তাশরীক’ বলে।
জামায়াতে বা একাকী, মুসাফির অথবা মুকীম, শহর অথবা গ্রামে প্রত্যেককেই প্রতি ফরয নামাযের পর উক্ত তাকবীর পাঠ করতে হবে।
“দুররুল মুখতার” কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তবে যদি (কেউ) একাধিকবার বলে, তাহলে তা ফযীলতের কারণ হবে।
আর “ফতওয়ায়ে শামী” কিতাবে উল্লেখ আছে- ﻭَﻗِﻴْﻞَ ﺛَﻠَﺎﺙَ ﻣَﺮَّﺍﺕٍ অর্থ : “কেউ কেউ
বলেছেন (তাকবীরে তাশারীক) তিনবার

বিসিএস প্রস্তুতি: সঠিক বেসিক নলেজ তৈরীর জন্য যে বই গুলা পড়বেন।

বিসিএস প্রস্তুতি: শক্ত বেসিক
নলেজ তৈরীর জ ন্য যে বইগুলো
পড়বেন!
......................
মুহম্মদ জিয়াউল হক : শামীম আনোয়ার,
সহকারী পুলিশ সুপার ( এএসপি), ৩৪ তম
বিসিএস পুলিশ ক্যাডার, মেধাক্রম ১১,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং
এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের
সাবেক ছাত্র। বিসিএস পরীক্ষার
প্রস্তুতির ব্যাপারে কথা হয়েছে তাঁর
সাথে। দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। চলুন
‘নিউজনাইন-২৪ডটকম’কে দেয়া তাঁর
কথাগুলো শুনি তাঁর নিজের মুখেই।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিক
মুহম্মদ জিয়াউল হক।
(সদ্য পড়াশুনা শেষ করে চাকুরি নামক
মহাযুদ্ধে যারা অবতীর্ণ হতে চলেছেন
অথবা অনার্স ৩য়-৪র্থ বর্ষে পড়ছেন,
কিন্তু ৩৮, ৩৯ বা ৪০তম বিসিএসসহ
অন্যান্য চাকুরির পরীক্ষায় অংশ
নেওয়ার প্রত্যাশায় নিজেকে অধিক
কম্পিটিটিভ করতে এখন থেকেই কাজ শুরু
করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্যই মূলত
এই লেখা।) বেসিক ভাল থাকলে এ
কোচিং-ও কোচিং দৌড়াদৌড়ি না
করে মোটামুটি চলনসই পড়াশুনা দিয়েই
কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া যেতে
পারে, পক্ষান্তরে বেসিক দুর্বল
থাকলে দিনরাত নির্ঘুম অধ্যবসায়ও রূপ
নিতে পারে ব্যর্থতায়- উঠতে বসতে
সবাই বলে থাকেন, এমনই প্রচলিত একটি
ধারনা এটি। কিন্তু প্রশ্ন হল এই বেসিক
বা ফাউন্ডেশনের স্বরুপটি ঠিক কি!
এসম্পর্কে অনেকেরই ধারনাগত অস্পষ্টতা
আছে। এটি কি এমন কিছু, যা মায়ের
পেট থেকে নিয়ে আসতে না পারলে
অর্জন করে নেবার কোন পথ নেই? বহুল
আলোচিত, সেই তুলনায় সামান্যই
ব্যাখ্যাকৃত এই বেসিক বিল্ডআপ করার
প্রয়োজনীয় আঙ্গিকসমূহ ব্যাখ্যা করে
আমি আজকের এই লেখাটি
সাজিয়েছি। আশা করি আপনাদের
কাজে আসবে।
বেসিক তৈরি করার মূল প্রতিপাদ্য হল
সঠিক প্রস্তুতিকৌশল নির্ধারণ, নির্ভুল
উপকরণ বাছাই ও তার যথাযথ ব্যবহার এবং
জীবনাচরণের প্রতিটি পদক্ষেপকে
কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যাভিমুখী করার সাথে
সম্পৃক্ত। অর্থাৎ বেসিক বিল্ডিং হলো,
সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন ও সে অনুযায়ী
নিজেকে উপর্যুপরি শাণিত করার
লক্ষ্যে অব্যাহত প্রচেষ্টা। আমরা দেখে
নেওয়ার চেষ্টা করব, বিসিএসসহ
অন্যান্য চাকুরী পরীক্ষার তীব্র
প্রতিযোগিতায় নিজেকে এগিয়ে
রাখা ও সে লড়াইয়ের রসদ সংগ্রহকে
যারা পাখির চোখ করেছেন, কেমন
হতে পারে তাদের সেই বেসিক
তৈরির আঙ্গিক।।
# ১ইংরেজিতে_দক্ষতা_বৃদ্ধিঃ
যেকোন চাকুরির পরীক্ষায় ( এমনকি
ভাইভায়ও) ভাল করার জন্য ফ্রিহ্যান্ড
রাইটিং , স্পোকেন ইংলিশ ও
ইংরেজি গ্রামারের ওপর ভাল দখল
নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই। এটি
অন্যান্য প্রতিযোগীদের তুলনায়
আপনাকে অধিক কম্পিটিটিভ ও যোজন
যোজন এগিয়ে দেওয়ার মতো এমন একটি
ভাইটাল গুণ, যা অন্যান্য বিষয়ের মতো
একদিন, একমাস বা একবছরে আয়ত্ত করা
রীতিমতো অসম্ভব। তাই এ লক্ষ্যে কাজ
শুরু করে দিন আজই।
** প্রতিদিন ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা
পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। হালকা
পাতলা নজর বুলিয়ে রেখে দিলেন,
এমন নয়, এর পেছনে কমপক্ষে একঘণ্টা সময়
বরাদ্দ রাখুন। যারা পত্রপত্রিকায় ব্যবহৃত
আধুনিক ইংরেজি ভাষাভঙ্গি সম্পর্কে
একেবারেই ওয়াকেফহাল নন, তারা
প্রফেসর্স প্রকাশনের How to read English
newspaper বইটি ( আশা করি সবাই নাম
শুনেছেন) সময় নিয়ে, বুঝেবুঝে প্রথম
থেকে শেষ পর্যন্ত কয়েকবার পড়ে
ফেলুন। আশা করা যায় ভাষা ও আধুনিক
বাক্য গঠন ভঙ্গি সম্পর্কে একটা সম্যক
ধারনা পেয়ে যাবেন। এবার ভাল
মানের একটি ইংরেজি পত্রিকা
( আমি ডেইলি স্টার পড়ি) বাসায়
রেখে উল্লিখিত নিয়মে শুরু করে দিন।
বিগেইনাররা প্রথমে শুধু হেডলাইন
পড়ে যেতে পারেন, তারপর আস্তে
আস্তে আপনার নিজস্ব রুচিবোধ
অনুযায়ী পছন্দনীয় টপিকগুলো পড়ার
চেষ্টা করুন। সময় নিন, ডিকশনারি খুলে
প্রয়োজনীয় শব্দের অর্থ জেনে নিয়ে
তা খাতায় নোট করে রাখার মতো
ধৈর্যশীল হোন, তাড়াহুড়ো করার
দরকার নেই। এভাবে সময়ের পরিক্রমায়
উপসম্পাদকীয় কলামসমূহ একটু একটু করে
দেখার চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ,
ইংরেজিতে অন্যদের ঈর্ষাকাতর করে
দেওয়ার মতো দক্ষতা অর্জনের দিকে
আপনি এগিয়ে যাবেনই। চাকুরির
পরীক্ষায় কম্পালসরি ইংলিশের
পাশাপাশি বাংলাদেশ ও
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির
পরীক্ষাসমূহও যদি কোয়ালিটি
ইংরেজি দিয়ে লিখে আসতে
পারেন, অন্য প্রতিযোগী দের তুননায়
এখানেই অন্তত ৫০ নম্বর এগিয়ে যাওয়া
কোন ব্যাপারই নয়। ** গ্রুপ করে সপ্তাহে
একদিন হলেও ইংরেজিতে কথা বলার
চর্চা শুরু করুন।
# এডভান্স_লেভেলের_জন্যঃ ১. English
for competitive exam by, fazlul haque.( শুরুতেই
এই বইটা পড়লে যেকোন পরীক্ষায় বসার
মত একটা প্রস্তুতি আপনার হয়ে যাবে,
যা আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও পরবর্তী
প্রস্তুতির সময় নির্ভার রাখবে + বিগত
বছরের বিভিন্ন চাকুরি পরীক্ষার প্রশ্নও
এতে কভার হয়ে যাবে- সে অর্থে
এটিকে ইংরেজির জব সল্যুশনস ও বলা
চলে)
২. saifur’s vocabulary (এই বইটি ভালমতো
আত্মস্থ করতে পারলে অন্তত
ভোকাবুলারি নিয়ে যে আপনাকে আর
ভাবতে হবে না, তা সাইফুর স্যারের
হেটার্সরাও অবলীলায় মেনে নিবেন।
৩. চৌধুরী এন্ড হোসাইন স্যার লিখিত
advanced learners বইটির সম্পূর্ণ গ্রামার
অংশ। ( সুবিধা হল এই বইটি আমাদের
প্রায় সবারই আগে থেকে পড়া আছে,
তাই পড়াটা সহজ হবে, যারা এসএসসি
বা ইন্টার লেভেলে অন্য বই ফলো
করেছিলেন, সেই বইটি থেকেই কভার
করতে পারেন) Cliffs TOEFLসহ পেট মোটা
আরো কতকত বইয়েরনাম শুনবেন, এককথায়
বলব, নিজের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না
( এক্সপার্ট ইউজার দের ক্ষেত্রে
ব্যাপারটা ভিন্ন, মূলত বিগেইনারদের
জন্যই আমার এ লেখা)
৪. সাহিত্য অংশের জন্য ওরাকল প্রিলি
ও রিটেন গাইডের সাহিত্য অংশের
পাশাপাশি ABC of english literature বইটি
দেখে নিবেন। এছাড়া লেটার
রাইটিং এর জন্য সঠিক ফরম্যাট জেনে
নিয়ে মাঝে মাঝে প্র্যাকটিস করুন।
( চৌধুরী এন্ড হোসাইন স্যারের বইতেই
পাবেন) # বাংলাঃ বাংলার জন্য এই
মুহূর্তে আলাদা করে না ভাবলেও
চলবে। পরীক্ষার আগের ক’মাস সময়ই
এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত হবার কথা। তবে
নিম্নের কাজগুলো সতর্কতার সাথে
করে যেতে পারেন ** বাংলা
পত্রিকা বা যে কোন বই পড়ার সময়
কনফিউজিং বানানগুলো আলাদা
ভাবে খেয়াল করবেন। ** চিঠি,
স্মারকলিপি, ভাবসম্প্রসারন, সারাংশ
সারমর্ম সংলাপ প্রভৃতির ফরম্যাটটা
জেনে নিয়ে মাঝে মাঝে ফ্রিহ্যান্ড
লেখার প্র্যকটিস করবেন।
#এডভান্স_লেভেলের_জন্যঃ ১. mp3
প্রিলিমিনারি বাংলা ( শুধু বর্ণনা
গুলো পড়বেন। এমসিকিউ আকারে
দেওয়া প্রশ্ন দেখার দরকার নেই।
ব্যাকরণ, সাহিত্য সব, অর্থাৎ এটা থেকে
কিছুই বাদ দেবেন না।)
২. সৌমিত্র শেখর স্যারের জিজ্ঞাসা
( এই বই থেকে শুধু সাহিত্য অংশ দেখুন,
ব্যাকরণ অংশ কোনকোন ক্ষেত্রে
অপ্রয়োজনীয়, অপ্রাসঙ্গিক লেখায়
ভরা ( একটু খেয়াল করে দেখলে
নিজেই বুঝবেন) কথাগুলো কি একটু
বামনের চাঁদে হাত টাইপের ব্যাপার
হয়ে গেল!!! স্যরি, স্যার। তবে আমি
নিজে পড়তে যেয়ে যা মনে হইছে,
তা-ই বললাম। ৩. ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু
করে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত আবশ্যিক
বাংলা বইয়ে যেসব কবি
সাহিত্যিকের গল্প-কবিতা রয়েছে,
তাদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে
বিস্তারিত ( ছন্দেছন্দে বা অদ্যাক্ষর
দিয়ে সাহিত্যকর্ম মুখস্ত রাখতে গেলে
বড় ধরনের প্যারায়ই পড়তে হবে, এ
ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকুন।
কারন একসময় দেখবেন, এক কবি/
সাহিত্যিকের সাথে অন্যজনের ছন্দ
মিলে গিয়ে পুরো তালগোল
পাকিয়ে যাচ্ছে। আর অদ্যাক্ষর
মুখস্থকারীরা দেখবেন, একপর্যায় একই
অক্ষরে কয়েকটা করে সাহিত্যকর্ম এর
নাম চলে আসছে। এক্ষেত্রে আমি মনে
করি এ ধরনের ছন্দ বা অদ্যাক্ষরের
টোটকা বা শর্ট টেকনিক দিয়ে জোর
করে কোন কিছু মুখস্থ রাখার চিন্তা
মাথা থেকে ঝেরে ফেলে পঠিতব্য
সাহিত্যকর্ম গুলোর ওপর বারবার সতর্ক
চোখ বোলাতে থাকুন। সম্ভব হলে একজন
শব্দ করে পড়ুন, অন্যরা শুনুন, বা নিজেই
গুনগুন করে পড়ুন, আবার নজর বোলান।
এভাবে একবার, একশবার, হাজারবার।
ইনশাআল্লাহ কোন সাহিত্যকর্ম নাম
শুনলে বলে দিতে পারবেন, কার
লেখা, কখন লেখা, কি প্রকৃতির
লেখাসহ প্রয়োজনীয় আঙ্গিকসমুহ।
৪. শুধু ব্যাকরনের জন্য নবম-দশম শ্রেনীর
ব্যাকরন বই ( প্রথম থেকে শেষলাইন
ঠোটস্থ করে নিন) এর পাশাপাশি
হায়াত মামুদের বইটির ব্যাকরন অংশ
দেখবেন। # নিজেকে_আপডেট_রা
খাসাধারণ_জ্ঞান সাম্প্রতিক সময়ে
বিসিএস সহ চাকুরি পরীক্ষাসমূহের
প্রশ্নপত্রের ধরণে যে পরিবর্তনের ধারা
লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে পরীক্ষার দুচার
মাস আগে আজকের বিশ্ব/নতুন বিশ্ব
নামের প্যাকেজ দিয়ে পার পাবার
কথা যারা ভাবছেন, তারা বোকার
স্বর্গে বাস করছেন। এক বিসিএসের
তুলনায় অন্যটির প্রশ্নের ধরন এতটাই
পালটে যাচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদে
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ অতীত,
বর্তমান ও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ঘটনাবলি র
ওপর যথাযথ দখল রেখে সাফল্য লাভের
আশা করা দিবাস্বপ্ন মাত্র। তাই এখন
থেকেই নিজেকে ধীরেধীরে প্রস্তুত
করে তুলুন
** দিনে কমপক্ষে একবার হলেও আপনার
পছন্দের যে কোন একটি চ্যানেলের
সংবাদ মনযোগ দিয়ে শুনুন। ** আপনি যদি
এক্সপার্ট ইউজার না হয়ে থাকেন,
ততাহলে ইংরেজি পত্রিকা শুধু আপনার
ভাষিক দক্ষতার উন্নয়নেই কাজে
আসবে। তাই ইংরেজির পাশাপাশি
একটি বাংলা দৈনিকও রাখুন। ( আমি
প্রথম আলোই পড়ি)। **খেলার পাতা,
নকশা, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হালচাল,
ন্যান্সির ফ্রিটজি খালার অঙ্গসৌষ্ঠব
দেখার অভ্যেস থাকলে সেটি বাদ
দিন।( না দেখে থাকলে একবার দেখে
নিতে পারেন, না হয় সেই কৌতূহলে
আবার পড়ায় মন না বসে!!) প্রধানত,
সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীর কলাম,
অর্থনৈতিক সংবাদ, আন্তর্জাতিক এই
তিনটি পাতা বেশি করে পড়বেন
** france, এতদিন তো আপনারা বাজেট,
অর্থনৈতিক সমীক্ষা, আদমশুমারি
ইত্যাদিকে আঁতেল বুদ্ধিজীবীদের
পাঠ্য বিষয় ভেবে দূরে সরিয়ে
রেখেছিলেন। আর দূরত্ব নয়, এবার কাছে
আসুন। #
এডভান্স_লেভেল_ও_একটি_পর্যবেক্ষণঃ
আজকের বিশ্ব, নতুন বিশ্ব এসব বইয়ের
ক্ষেত্রে আমার মূল্যায়ন হল, এটাইপের বই
চাকুরির পরীক্ষার জন্য যতটা না প্রস্তুত
করবে, তারচেয়ে বেশি হতাশ করবে।
কারন ২/৩ মাস সময় নিয়ে একবার পড়ে
আসার পর যখন দেখবেন সব ভুলে বসে
আছেন, তখন হতাশায় পেয়ে বসার মতো
বৃহৎ ক্ষতির সম্ভাবনা ও আছে। তার
চেয়ে বড় কথা পেট মোটা সাইজের
এসব বই যে পরস্পরের সাথে অধিক
কার্যকরতার প্রতিযোগিতা করতে
করতে অপ্রয়োজনীয় আইটেমে ভরপুর হয়ে
গেছে ( এগুলোর মধ্যে প্রাসঙ্গিক ও
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাটেরিয়াল খুঁজে পাওয়া
খরের গাদায় সুচ খোঁজার চাইতে কম
কঠিন নয় :p) একটু সেন্স খাটিয়ে দেখলে
যে কেউ এই বাস্তব সত্যটি উপলব্ধি
করবেন। তাই আমি নিজে সবসময় এমন
ম্যাটেরিয়ালই বেছে নিতে
চেয়েছি, যাতে শুধু প্রয়োজনীয়
ম্যাটেরিয়ালগুলোই পাওয়া যাবে,
অযাচিত, অগুরুত্বপূর্ণ আইটেমে ভরপুর
বর্ধিত কলেবরের নয়।
এক্ষেত্রে আপনি দেখতে পারেন: ১.
mp3 বিসিএস বাংলাদেশ ও
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ( এই বইটা
ফার্স্ট টু লাস্ট কয়েকবার রিভাইজ দিন,
বড় সুবিধা-কোন অপ্রয়োজনীয় ক্যাচাল
নাই) ২. নীলক্ষেতে দেখবেন
সাম্প্রতিক সাধারন জ্ঞান টাইপ
নামের ৪০/৫০ পৃষ্ঠার কিছু বই পাওয়া
যায়, ওখান থেকে ১/২ টা কিনে নিন।
৩. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন
সম্পর্কে ভালমতো জেনে নিন।
( নির্দিষ্ট কোন বই না পড়ে
উইকিপিডিয়া থেকে সার্চ দিয়ে
রিলেটেড টপিক প্রিন্ট করে নিতে
পারেন। তবে অসমাপ্ত আত্মজীবনী
বইটা অবশ্যই ভালকররে পড়বেন। ৪.
সংবিধানঃ ১৫৩ টি ধারা মুখস্থ করে
সময় নষ্ট করার দরকার নাই, ৫০টির মতো
( যারা সময় পাবেন তারা ৭০/৮০ টি)
গুরুত্বপূর্ণ ধারা ভিতরর বর্ণনাসমূহ
বাড়াবার পড়ুন। ( কোন ধারাগুলো
গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়, তা এই সংক্্ষিপ্ত
পরিসরে দিতে পারছি না, কোন
অভিজ্ঞ বড়ভাইর কাছ থেকে জেনে
নিন। তেমন কেউ পরিচিত না থাকলে
এই অধমকে নক কইরেন) এর বাইরে
প্রস্তাবনা, সংশোধনী, রচনার ইতিহাস
ভালমত দেখুন।
( মূল সংবিধানে যা নেই, সেগুলো
বাংলাপিডিয়া থেকে আমি প্রিন্ট
করে নিতাম, অন্য কোন বই থেকে
পড়লেও মহাভারত অশুদ্ধ হবে না) আরিফ
খানের সংবিধান বইটি সংগ্রহ করতে
ভুলবেন না ৫. নবম শ্রেনির
বাংলাদেশে ও বিশ্ব পরিচয় বইটি
ভালমত পড়ে নিন। মৌলিক বিষয়াবলী
সম্পর্কে সম্যক ধারনা পাবেন। #
বিজ্ঞান_ও_কম্পিউটারঃ আগে
বিসিএস ছাড়া অন্যান্য চাকুরি
পরীক্ষায় বিজ্ঞান /কম্পিউটার থেকে
তেমন প্রশ্ন না এলেও দেশজুড়ে
সর্বব্যাপী ডিজিটালাইজেশনের
প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে এ
প্রবণতায় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। তাই
নিজেকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয় যারা
নিয়েছেন, তারা এ বিষয়টিকেও
যথাযথ গুরুত্ব দিন
** মুজিবুর রহমান লিখিত উচ্চমাধ্যমিক
আইসিটি বইসহ ষষ্ট থেকে নবম শ্রেণির
সাধারণ বিজ্ঞান বইগুলো সংগ্রহ করে
টুকটাক দেখতে থাকুন। আপাতদৃষ্টিতে
অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও সময়ে এর ফল
ভোগ করে নিতে পারবেন। ** বিজ্ঞান
সংক্রান্ত সাময়িকী টাময়িকী
সামনে পরলে নেড়েচেড়ে দেখার
অভ্যাস গড়ে তুলুন। ** যারা আরেকটু
এগুতে চান, ওরাকল প্রিলিমিনারি
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কম্পিউটার বইটি
পড়া শুরু করে দিতে পারেন। সিলেবাস
ভিত্তিক সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি এতে
এনশিওর হবে। **বিজ্ঞ-প্রাজ্ঞ ডাক্তার
ইঞ্জিনিয়ারসহ সায়েন্স পড়ুয়া তাবত
নিউটন-আইন্সটাইন পুলাপান এ বিষয়ের
জন্য আপাতত নাকে সুরেশ খাঁটি সইষ্যার
ত্যাল দা ঘুমালেও তেমন ক্ষতি হবার
কথা নয়। #
ভূগোল_পরিবেশ_ও_দুর্যোগ_ব্যাবস্
হাপনা_নৈতিকতা_মুল্যবোধ_ও_সুশাসন
বিসিএস পরীক্ষার দিলেবাসের নতুন
অতিথি। অন্যান্য চাকুরি পরীক্ষার
প্রশ্নেও যে যখন তখন ঢুকে পরবে, এটা
নিশ্চিত করেই বলা চলে। ** স্কুল
লেভেলের বইয়ে ( প্রধানত, নবম- দশম) এ
সম্পর্কিত যে চ্যাপ্টারসমূহ রয়েছে,
সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট চ্যাপ্টারসমুহ
ফটোকপি করে দেখা শুরু করুন। **নবম
শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা নবম
শ্রেনীর ভূগোল বইয়ের চতুর্থ চ্যাপ্টার।
উচ্চমাধ্যমিক ‘পৌরনীতি ও সুশাসন’ by
প্রফেসর মোজাম্মেল থেকে সংশ্লিষ্ট
অংশ **আরো এডভান্স লেভেলে যারা
ভাবছেন, তারা ওরাকল গাইড ( প্রিলি
ও রিটেন) দেখতে পারেন।
# গণিত বিসিএস প্রিলিমিনারি
পরীক্ষার হল। আধাঘণ্টারও বেশি সময়
ধরে বসে থেকে দুরুদুরু বক্ষে প্রশ্নের জন্য
অপেক্ষা করছেন। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত
সেই ঘণ্টাধ্বনি। প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে
অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলেন, যার জন্য
সবচে বেশি ভয়ে ছিলেন, সেই গণিত
থেকে একটি প্রশ্নও নেই!! বলুন তো কেমন
লাগবে তখন!!” france এত্ত খুশি হয়ে পরার
কিচ্ছু নাই।এটি যে একটি স্বপ্ন কল্পনা,
তা এতক্ষণেও যদি আফনে না বোঝেন,
তাইলে আফনেরে দিয়া কিচ্ছু অইব না।
চাকুরী পরীক্ষায় ম্যাথ থেকে প্রশ্ন
থাকবে না, এটি কখনো হয়নি, হয়না,
হবে না। আপনার ক্যারিয়ারের গতিপথ
নির্ধারণ করে দেওয়া যে পরীক্ষায়
যে বিষয় থেকে প্রশ্ন আসা অবধারিত,
সেটিতে কতটা গুরুত্ব দিতে হবে, তা
নিশ্চয়ই অনুধাবন করছেন। **হাইস্কুল
লেভেলে যারা অংকে ফাঁকি দিয়ে
বেড়িয়েছিলেন, ( আমি আপনাদেরই
দুঃখী এক সমগোত্রীয় ভাই) তাদের জন্য
দুঃসংবাদ। রীতিমতো দুস্তর মরু
কান্তার গিরি ( উলটা হয়ে গেল
নাকি, বুঝতেছি না) পাড়ি দেওয়ার
জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতে পারেন। আর
সায়েন্স ছাড়া অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের
প্রার্থী যারা, তাদের গন্তব্যযাত্রা
যে আরো সর্প-স্বাপদ সংকুল, তাও কি
আপনাদেরকে বলে দিতে হবে!!!
ছোটবেলায় স্যারদের কথা তো এককান
দিয়ে ঢুকিয়ে অন্যকান দিয়ে বের করে
দিয়েছেন, এখন ফিরে যান আবার সেই
শৈশবে।
৭ম/৮ম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী
পর্যন্ত পাঠ্যবই থেকে শুধু বিসিএসের
সিলেবাসভুক্ত চ্যাপ্টারসমূহ ফটোকপি
করে নিন। তারপর কোন অভিজ্ঞ টিচার/
বড়ভাইয়ের সহযোগিতা নিয়ে ধীরে
ধীরে হজম করতে থাকুন। ( দুচারদিন পর
ধৈর্যহারা হয়ে আমাকে
গালিগালাজ শুরু কইরেন না) এতে হুট
করে ম্যাথ আপনার জন্য জলভাত না হয়ে
পড়লেও ( কাঁচায় না নোয়ালে বাশ…
জানেনই তো) অন্তত চাকুরি পরীক্ষার
সুকঠিন বৈতরণী পাড়ি দেওয়ার সময়
বিশ্বস্ত বন্ধু রূপে পাশে পাবেন। #
এডভান্স_লেভেল ১. শর্টকাট ম্যাথ by
Ariful Islam. ( এই বইটির বড় সুবিধা হলো
চাইলে এক-দু দিনেই শেষ করা যায়।
তাই এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো
পরীক্ষার জন্য মোটামুটি নিজেকে
প্রস্তুত রাখলেন) ১. প্রফেসরস গাণিতিক
যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা
( প্রিলিমিনারি ও লিখিত) ( মূলত
আপনার ফাউন্ডেশন বিল্ড আপ করে
দেবে, এটি শেষ করার পর ম্যাথ ভীতি
আর থাকবে না, আশা করা যায়) ২.
সাইফুর্স ম্যাথ ( সাইফুর স্যারের
বালখিল্যতাপূর্ণ কথামালা,শুনতে যত
হাস্যকর লাগুক, বই কিন্তু তিনি ভালই
লিখেছেন, এই বই বিসিএসের
পাশাপাশি ব্যাংকসহ অন্যান্য
সরকারি বেসরকারি জবের জনা তৈরি
হতে আপনাকে দারুনভাবে হেল্প
করবে।।
# ব্যাকসলভিং_মেথড : পাটিগণিত ও
বীজ গনিতের প্রিলির প্রশ্নের একটা
বড় অংশই ব্যাকসলভিং মেথডে করা
যায়। তাই এই পদ্ধতিতে দক্ষতা অর্জন
করতে পারলে প্রস্তুতি পর্বের পরিধি
কমে আসবে নিঃসন্দেহে
[ব্যাকসলভিং মেথড কি, খায়, না
মাথায় দেয়….., এ বিষয়ে যারা গণ্ডমূর্খ
( আমি নিজে আগে যেমনটা ছিলাম)
জানেন না, জানার উপায়ও নেই,
তারা পলাশির মোড়ে হাজির হয়ে
যাইয়েন, এককাপ চা খেতে খেতে…..] #
আসেন_এবার_কিছু_ফাঁকের কথা_কই ( ধুরু
মিয়া, আমি অশ্লীল কিছু কই নাই। ফাঁক=
FAQ: Frequently Asked Question. সমস্যা আমার
কথায় না, আপনার মনে) ১. রচনামূলক
প্রশ্নে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক
বিষয়াবলী, বাংলা ও ইংরেজি
রচনা) নাকি মার্কস কম আসে। এমন কোন
কৌশল কি আছে, যার মাধ্যমে এ অংশে
ভাল মার্কস তোলা সম্ভব? >>পৃষ্ঠার পর
পৃষ্ঠা লিখে খাতাটাকে ছোটখাটো
উপন্যাসের সাইজ দেওয়াটাই
এক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে
মানা হয়। এ ধারনাটা হয়ত ঠিক আছে,
কিন্তু যাদের লেখার গতি তুলনামূলক
কম,লিখতে মন চাইলেও হাত চলে না,
তাদের জন্য কি কোন রাস্তা নেই!!
( আমি নিজেও এই দলের হতভাগা সদস্য।
অন্যরা যেখানে ৩ ঘন্টায় ৫০/৬০ পৃষ্ঠা
লিখে ফেলেন, ক্রমাগত লুজশীট নিয়ে
ইনভিজিলেটরের নাভিশ্বাস তুলে
ছাড়েন, সেখানে আমার দৌড় বড়জোর
২০/২২ পৃষ্ঠার।
এর বেশি লিখতে গেলে পরীক্ষক দূরে
থাকুক, আমার নিজের লেখা আমি
নিজেই বুঝিনা!! তাই অনেক
ভেবেচিন্তে নিজের জন্য এই কৌশলটি
ঠিক করে নিয়েছিলাম। এ ক্ষেত্রে
আমার ধ্যানধারণার সঙ্গে অনেকেই
হয়ত একমত হতে পারবেন না। গালি দেন
আর মারতে আসেন, রিস্ক নিয়ে বলেই
ফেলি) যিনি খাতা মূল্যায়ন করবেন,
তার নিকট নিজের মহাপন্ডিত
ভাবমূর্তি তুলে ধরুন ( শুনতে হাস্যকর
লাগলেও) সাধারণ মানুষ যেসবের নামই
শুধু শুনেছে, বিদগ্ধজন ছাড়া অন্য কেউ
সাধারণত পড়েন না, দুনিয়ার এমন
ভারিভারি ডাকসাইটে বিষয়বস্তুসমুহে
আপনার যে অবাধ বিচরণ, সে সম্পর্কে
পরীক্ষককে নিশ্চিত করুন। ( যদিও
বাস্তবে আমরা কেউ তা নই)। যেমন,
আপনি জানেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন
আসবেই। আপনি ৭১ সালের বিভিন্ন সময়
ওয়াশিংটন পোস্ট বা নিউইয়র্ক টাইমস
বা এ জাতীয় নামজাদা পত্রিকায়
পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা
সম্পর্কে যে রিপোর্ট সমূহ প্রকাশিত
হয়েছে, সেগুলো থেকে ইমোশনাল
একদুইটা লাইন বাছাই করে নিন।
কাজটা যথেষ্ট কঠিন, তাই আমি একটু
ভিন্নভাবে কাজটা করেছি।
গুগলে ইপ্সিত শব্দগুলো লিখে সার্চ
দিন।( যেমন: 1971 pakistan army killed raped
burnt) দেখবেন পছন্দের সব লেখা
হাজির। সেখান থেকে একটু দেখে
দেখে এক দু লাইন নির্বাচিত করে
পরীক্ষার খাতায় সংশ্লিষ্ট
প্রশ্নোত্তরের শুরুতে তুলে দিন। এর
নিচে পরীক্ষকের চোখে পরার মত করে
রিপোর্ট টি প্রকাশের তারিখ, মাস,
ইস্যু, পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করে দিন। (এটাও
পরীক্ষককে প্রভাবিত করার আরেক
কৌশল যে আপনি ফেইক না। আপনি
বানিয়ে কিছু লিখেন নি) এর পর মূল
উত্তর লেখা শুরু করুন। ( পরীক্ষক ভাববে
“উরি বাব্বাহ, এই ছেলে তো নিউইয়র্ক
টাইমস/ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকাও
নিয়মিত পড়ে দেখছি) একইভাবে
September on jessore road থেকে touchy
কয়েকটি লাইন বেছে নিতে পারেন
( বেশিরভাগ মানুষ এর নাম শুনেছেন,
পড়ে দেখেন নি) নিচে অবশ্যই আগের
মত করে প্যারা নম্বর উল্লেখ করে
দিতে ভুলবেন না। এভাবে আপনার
দক্ষতা অনুযায়ী অন্যান্য টপিকেও এমন
উত্তর রেডি করে নিন। ( নেলসন
ম্যান্ডেলা, বারাক ওবামা, এপিজে
কালাম………. তার ওমুক বইয়ের এত পৃষ্ঠায়
গণতন্ত্র / দারিদ্র্য…. সম্পর্কে বলেছেন .!
…… আমার নোট থেকে পরবর্তীতে কিছু
স্ন্যাপশট শেয়ার করার প্রত্যাশা রইল।)
মনে রাখবেন, সব প্রশ্নের ক্ষেত্রে এটি
করার দরকার নেই, সম্ভব ও নয়। তাই
চেষ্টা করুন অন্তত প্রথম প্রশ্নটা এভাবে
লিখতে। এই লক্ষ্যে মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট ২০
টা প্রশ্নের জন্য এই কৌশলে প্রস্তুতি
নিন। টার্গেট থাকবে অন্তত একটা প্রশ্ন
কমন পাওয়া। আর সেটি যদি হয়ই, পরীক্ষক
আপনাকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করবেন,
নিশ্চিত থাকুন। ২. লিখিত পরীক্ষায়
লেখার ভাষা: বাংলা, না
ইংরেজিঃ >>বাংলা ছাড়াও
বিজ্ঞান এবং অংক এ দুটো বিষয়ের
উত্তর অবশ্যই বাংলায় করবেন। আর যতটুকু
বুঝি ইংরেজিসহ বাকি বিষয়সমূহ
( বাংলাদেশ ১ম ও ২য় এবং
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী)
ইংরেজিতে উত্তর করলেই তুলনামূলক
সুবিধার দিক থেকে আপনি এগিয়ে
থাকবেন। বিদগ্ধমহল তো এখন রে রে
করে ছুটে আসবেন ” কি বলো! কি বলো!!
ইংরেজি ভাল না জানলে,
গ্র্যামেটিকাল ভুল হবার চান্স থাকলে,
অযথা ঝামেলায় না গিয়ে বাংলায়
লেখাই উত্তম ” কিন্তু আসলে কি তাই!!
ধরুন একই প্রশ্ন একজন বাংলায় ১০ পৃষ্ঠা,
অন্যজন ইংরেজিতে ৬ পৃষ্ঠা লিখেছেন
( বলা বাহুল্য, ফ্রিহ্যান্ড লিখতে
গেলে ননন্যাটিভ হিসেবে টুকটাক
মিসটেক হয়ই) এখন অনেস্টলি বলুন, আপনি
যদি পরীক্ষক হতেন কার প্রতি আপনার
সফটকর্ণার কাজ করত? অবশ্যই ‘গোটা
বান্ডেলের একশটা খাতার মধ্যে
ইংরেজিতে উত্তর করেছেন’, ২/৩ জনের
এমন ক্ষুদ্র দলের অন্তর্ভুক্ত সেই ছেলেটার
প্রতি। ভার্সিটির স্যাররা অনেক সময়ই
কথাচ্ছলে বলে থাকেন, বাংলা
ইংরেজি বিষয় না, যারা ভাল
লিখবে, তারাই তারাই ভাল মার্কস
পাবে। এটা যে শুধুই কথার কথা,ফলাফল
প্রকাশের দিনই সেটি পরিষ্কার হয়ে
যায়। দেখা যায়, যিনি ইংরেজি
মাধ্যমে লিখলেন, একই কথা লিখে,
বাংলায় উত্তর করা একজনের চাইতে
তিনি ৫/১০ নাম্বার বেশি পেয়ে
গেছেন। আর বাজারের সব বিসিএস
গাইডগুলোই যেহেতু বাংলায় লেখা
তাই আমি সাজেস্ট করব, নির্দিষ্ট
বিষয়ে বাংলা-ইংরেজি যে ভাষার
টেক্সট থেকেই আপনি প্রস্তুতি নেন না
কেন, সে সম্পর্কে ফ্রিহ্যান্ড
ইংরেজিতে লেখার চর্চা চালিয়ে
যেতে থাকুন। দক্ষতা জন্মসূত্রে পাওয়া
যায় না, কষ্ট করে অর্জন করে নিতে হয়।
৩. ভাইয়া, বিসিএস ক্যাডার হতে হলে
নাকি অনেক টাকা দেওয়া লাগে? >>
কথায় বলে না, টাকায় বাঘের দুধও
মেলে। বিসিএস তো সে জায়গায়
নস্যি। তাই অঢেল টাকা যাদের আছে,
তাদের কষ্ট করে আর পড়ার দরকার কি।
কোন এক তদবিরকারক ( এরা সামান্য
চাপাবাজ টাইপের হয়। আমার চাচাত
ভাইয়ের শালার স্ত্রীর বড়ভাইয়ের দূর
সম্পর্কের খালাত ভাইয়ের পাশের
বাড়ির দারোয়ানের আপন ভাতিজা
ওমুক মন্ত্রী /সচিবের বাড়ির সামনে
দিয়ে প্রত্যেক দিন যাওয়াআসা করে-
এ টাইপের গালগল্প সাজিয়ে এরা
প্রায়সময় নিজেকে সরকারের ঘনিষ্ঠ
লোক দাবি করে থাকে।) ধরিয়ে দিন
না তাদেরকে ২০/৫০ লাখ টাকা।
সেক্ষেত্রে আর প্রিলি রিটেন
ভাইভার মত ঝক্কিঝামেলাও আপনাকে
পোহাতে হবে না। জাস্ট নগদে
টাকাটা মার খেয়ে গঞ্জিকা সেবন
শুরু করে কল্পনার জগতে বিসিএস
ক্যাডার হয়ে বসবাস করতে পারবেন।
( টাকা দিয়ে বিসিএস হয়না, নিশ্চিত
থাকুন, যদি কারো টাকা দিয়ে হতে
দেখেন, তাহলে নিশ্চিত জানবেন,
তার এমনিতেই হতো, মাঝ থেকে
ধান্ধাবাজ মহাশয় তার কাঙ্ক্ষিত
ধান্ধা করে নিয়েছেন) আপনি যখন
অহোরাত্র পড়াশুনায় মগ্ন, তখন কেউ
কেউ হয়ত গার্লফ্রেন্ড নিয়ে গায়ে
হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচছিলেন, আর
এখন ব্যর্থতা যখন এসেছে, তখন বলছেন,
দুর্নীতি হইছে, টাকা ছাড়া বিসিএস
হয় না… ব্লা ব্লা ব্লা…।নিজের
কাঙ্ক্ষিত সৌভাগ্য অর্জন করে
নেওয়ার মত ধৈর্য্য-সামর্থ যাদের নেই,
তাদের অপভাষনে না ভুলে নিজের
কাজটি করে চলুন ঠিকঠাক, আল্লাহ
পরিশ্রমী দের সাথেই আছেন। ৪.
কারেন্ট এফেয়ার্স/ ওয়ার্ল্ড প্রসঙ্গঃ
প্রয়োজনীয়তা, অপ্রয়োজনীয়তা >>
প্রতি মাসের শেষে কারেন্ট
এফেয়ার্স / ওয়ার্ল্ড কবে বেরুবে, সেই
অপ্রক্ষায় থাকেন, বাজারে আসা
মাত্র কাড়াকাড়ি করে কিনে নিয়ে
প্রতিটি অক্ষর গোগ্রাসে গিলতে
গিলতে যদি ভাবেন, বিসিএস পাসের
আদি ও আসল একমাত্র অব্যর্থ মহৌষধ সেবন
করলেন, তাহলে বলতে হয়, আপনি
বোকার স্বর্গেই আছেন। এই
ম্যাগাজিনগুলোতে মূলত সাম্প্রতিক
তথ্যাবলিই তুলে ধরা হয়। বিগত
বছরসমূহের বিসিএস/চাকুরির প্রশ্ন হাতে
নিয়ে একটু খেয়াল করে দেখুন, চলতি
সাধারণ জ্ঞান কত শতাংশ এসেছে!!
আর তাছাড়া পাঠকের মনোরঞ্জনের
কথা ভেবে, কোন দেশের রাজা কয়টা
বিয়ে করসে, কে কত বড় নখ রেখে
রেকর্ড করসে, এসব খবরও এই বইগুলোর একটা
বড় অংশ জুড়েই থাকে। আমি পড়তে
নিষেধ করছি না, হ্যা, পড়ুন, তবে
বেছেবেছে, বুঝেশুনে। বিশেষ করে
সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ভালমত দেখবেন।
প্রতি মাসে ইংরেজি-বাংলা
মিলিয়ে একাধিক রচনা এগুলোতে
থাকে, মনযোগ দিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে
পড়ুন। নেক্সট পরীক্ষায় কমন পরে যাবে
কিনা জানিনা। তবে বেসিক বিল্ড
আপ হতে থাকবে ধীরেধীরে। ৫.
ভাইয়া, আমি রুটিন ফলো করতে পারি
না, রুটিন করে পড়া কি জরুরী?? :
>>জীবনের এই পর্যায়ে এসে পইপই করে
রুটিন ফলো করা কিছুটা কঠিন কাজই
বটে। তারপরও আমি মনে করে সবারই
নিজের মতো করে একটা রুটিন থাকা
দরকার। হয়ত টিউশনি বা অন্য কোন
ব্যক্তিগত কাজের জন্য সেটি যথাযথ
ভাবে ফলো করতে পারছেন না, কিন্তু
যে সময়টা বাসায় থাকছেন, সে সময়টা
তো কাজে লাগান। রুটিনের টাইমটা
এমনভাবে বিন্যস্ত করুন, যত ব্যস্তই থাকেন
, প্রতিটি বিষয় সপ্তাহে অন্তত একদুবার
পড়ার সময় যেন পাওয়া যায়। রাতজাগা
পাখিরা এ সময় জীবনাচরণে একটু
চেঞ্জ এনে রেগুলার হয়ে গেলে ভাল
হয়, অন্যথায় পরীক্ষার সময় এজন্য ভাল
ভোগান্তিতেই পড়তে হতে পারে।
৬.কোচিং করব কিনা: >>
এক্ষেত্রে একেকজন একেক মত দিয়ে
থাকেন। কেউ কেউ যেখানে নানা
যুক্তি দিয়ে বিসিএস এর জন্য কোচিং
এর অত্যাবশ্যকতাকে তুলে ধরেন,
সেখানে অন্য অনেকে কোচিংকে
বৃথা সময় ও অর্থের শ্রাদ্ধ হিসেবে
নিরংকুশ প্রমান করে ছাড়েন। তবে
আমি এক্ষেত্রে (বাইনারি সিস্টেমে
:p) হ্যা/ না পদ্ধতির সিদ্ধান্ত গ্রহনের
বিপক্ষে। সিদ্ধান্তটা নিতে হবে
আপনার বাস্তবতাটাকে বিবেচনায়
নিয়েই। প্রথমত : যারা বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ের রানিং স্টুডেন্ট,
বন্ধুরা মিলে গ্রুপ স্টাডি করছেন,
ইংরেজি, অংক/বিজ্ঞানের মত
টেকনিকাল বিষয়সমূহ নিজেরা চেষ্টা
করে বুঝার মতো আত্মবিশ্বাস আছে,
চাইলেই হেল্প করার বা পরামর্শ
দেওয়ার মতো পরিচিত বিসিএস
ক্যাডার /অভিজ্ঞ বড় ভাই/আপু আছেন,
তাদের জন্য কোচিং আসলেই
অপ্রয়োজনীয় – অনর্থক। দ্বিতীয়ত, যারা
একা একা পড়েন, স্টাডি পার্টনার নেই
( এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন উৎসাহটা ধরে
রাখাও একটা চ্যালেঞ্জ বটে), তারা
কোচিং এর হেল্প নিতে পারেন।
তাছাড়া কোচিং সেন্টারে
সবচেয়ে বেশি যে সুবিধাটা আপনি
পাবেন, তা হল, সার্বক্ষণিক বিসিএস
ক্যাডার টিচারদের সান্নিধ্য, স্বপ্ন
বিনির্মাণ ও সে লক্ষ্যে নিজেকে
যথাযথভাবে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে যা
অত্যন্ত জরুরি।
৭. আমি বাংলাদেশ ব্যাংক/
রাষ্ট্রায়ত্ত বা বেসরকারি ব্যাংক/
অমুক প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে ভাল বেতনে
কর্মরত আছি। আমি কি বিসিএস দিব?
>>আমার পরিচিত ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্সের একজন
টিচার ট্যাক্স ক্যাডারে চলে গেছেন।
সর্বশেষ বিসিএসেও বেশ কজন পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষক বিভিন্ন
ক্যাডারে ( শিক্ষা ক্যাডারসহ) যোগ
দিয়েছেন। আবার পররাষ্ট্র ক্যাডার
ছেড়ে কেউ কেউ হয়ত টিচিংয়েও
এসে থাকবেন। পকৃতপক্ষে এটা ব্যক্তির
নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দের ওপর ম্যাটার করে।
কেউ ডিপ্লোম্যাট হয়ে আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে
চান, কেউ সুযোগ-সুবিধা,
আত্মপ্রতিষ্ঠার চিন্তা না করে শিক্ষক
হয়ে জাতি গঠনের কারিগরের ভূমিকা
নিতে চান, কেউ ব্যাংকসহ সরকারি
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে
নিজের আর্থিক নিরাপত্তাসহ উচচ
সামাজিক মর্যাদার অধিকারী হতে
চান, আবার কেউ হয়ত পুলিশ / প্রশাসনের
উর্ধতন কর্মকর্তা হয়ে দেশ পরিচালনায়
অংশ নিতে চান। বেটার, আপনি
নিজেই ডিসাইড করুন, নিজেকে
কোথায় দেখতে চান। এক্ষেত্রে বেতন
বা সুযোগ সুবিধার বিষয়টি গৌণ।
যেখানে গেলে জীবনে আর আফসোস
করতে হবে না, ছোটবেলা থেকে যে
পর্যায়ে নিজেকে কল্পনা করে
এসেছেন, সেটিই বেছে নিন। আসলে
আমরা যে যাই বলি হালাল রিজিকের
সংস্থানটাই জরুরী। [আমি জানি,
ইতঃপূর্বে অনেক অনেক জ্ঞানীগুণী
ব্যক্তিবর্গ তাদের মূল্যবান
পরামর্শমালা নিজহাতে আপনাদের
মুখে তুলে বহুবার খাইয়ে দিয়েছেন
( আমি এই গণ্ডমূর্খও বিসিএসের বিভিন্ন
পর্যায়ের প্রস্তুতি কৌশল সম্পর্কিত
বেশকিছু অখাদ্য লেখা পরিবেশন
করেছিলাম)।
কতিপয় নাদানের পেট তাতেও নাকি
ভরে না। ইনবক্সে তাদের
চাপাচাপিতে নিতান্ত অতিষ্ঠ হয়ে
লেখাটি দিতে হল। আশা করি
আপনাদের তেমন কোন কাজে আসবে
না। আর নিতান্তই তাড়াহুড়া করে
লেখা। তাই ভাষাপ্রয়োগ জনিত
কারনে, কথার প্রকাশভঙ্গীতে যদি
কোনরকম অশিষ্টতা প্রকাশ পেয়ে
থাকে, কেউ মনে কষ্ট নিবেন না।
এডিট করার সময় পাইনি, তাই স্পেলিং
মিসটেক থাকবেই, ( পরে সময় করে এডিট
করে নিব) আমার লিখতে ভুল হলেও
আশা করি আপনারা বুঝতে ভুল করবেন
না ] সবশেষে বলব, চেষ্টা করলে
আপনিও পারবেন, নিজের উপর এই
আস্থাটুকু রাখুন। যে স্বপ্নপথের
অভিযাত্রার সারথি হবেন বলে
জীবনকে উপভোগ করার সোনালি
সময়ে ‘কঠিনেরে বেসেছেন ভাল’ সে
স্বপ্নকে প্রতিমুহূর্তে স্মরণে আনুন, সম্মান
করুন, পাবার উদগ্র বাসনা মানসপটে
জাগ্রত করুন। অভিজ্ঞজনদের যার কাছ
থেকে যখন সুযোগ হয়, পরামর্শ নিবেন।
তারপর নিজের শক্তি দুর্বলতার জায়গা
বিশ্লেষণ করে নিজের জন্য যথাযথ
প্রস্তুতিকৌশন নির্ধারণ করে নিন।
কারন নিজের চেয়ে ভাল আপনাকে
আর কে চেনে!! নানা মুনির নানা মত
শুনে বিভ্রান্ত হওয়া কোন কাজের
কথা নয়। সাফল্যের কণ্টকাকীর্ণ বন্ধুর পথ
পাড়ি দিয়ে ( পরম করুণাময়
আপনাদেরকে ধৈর্য ধারন করার শক্তি
দিন) আপনারা আপনাদের আজন্ম
লালিত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে উপনীত
হবেন, এই প্রত্যাশা রইল। আপনাদের সবার
উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা।