বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১৬

আই,এস(ISIL)-ইজরাইল একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ সিরিয়ায় দায়েশের (আইএসআইএল ) পরাজয় চাই না: ইসরাইল ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধান,

সিরিয়ায় দায়েশের (আইএসআইএল ) পরাজয় চাই না: ইসরাইল

ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল হারজি হ্যালিভি
ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল হারজি হ্যালিভি বলেছেন, দায়েশ বা আইএসআইএল সিরিয়ায় পরাজিত হোক তা ইসরাইল চায় না।

সম্প্রতি ইসরাইলের হার্জিলিয়া সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন হারজি। এনআরজি নামের একটি ইসরাইলি সংবাদ-মাধ্যমের ওয়েব সাইট তার এই বক্তব্য প্রকাশ করেছে।

ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধান হারজি হ্যালিভি বলেছেন, গত তিন মাস ছিল আইএস তথা দায়েশের জন্য এই গোষ্ঠীর জন্মলাভের পর থেকে সবচেয়ে সংকটপূর্ণ। কিন্তু আইএস-এর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার চলমান পরিস্থিতির অবসান ঘটুক-তা ইসরাইল চায় না।

হারজি হ্যালিভি আরও বলেছেন, ‘এ অঞ্চল থেকে পরাশক্তিগুলোর সরে আসা এবং ইসরাইলকে ভাল সক্ষমতার অধিকারী হিজবুল্লাহ ও ইরানের ফ্রন্টে একা ফেলে রাখাটা ইসরাইলের জন্য পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুলবে।’

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ জন কর্মকর্তা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর সরাসরি হামলা চালাতে ওবামা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। তবে ওবামার সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে।

সিরিয়া ও ইরাকে তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো মার্কিন, তুর্কি ও সৌদি সরকার ছাড়াও ইহুদিবাদী ইসরাইলের সহযোগিতা পেয়ে আসছে বলে বিভিন্ন সময়ে নানা সাক্ষ্য-প্রমাণ ও সংবাদ থেকে স্পষ্ট হয়েছে। ইসরাইলের এক শীর্ষস্থানীয় পুরোহিত তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের জন্য ‘বিধাতার আশীর্বাদ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।

গতকাল (শুক্রবার) লেবাননের জনপ্রিয় ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, গত কয়েক মাসে তুরস্ক ও সৌদি আরব হাজার হাজার সন্ত্রাসী পাঠিয়েছে সিরিয়ায় কিন্তু তারা বাশার আল-আসাদের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে নি। আলেপ্পো শহরের লড়াইয়ে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা প্রায় পরাজিত হচ্ছিল বলে আরব গণমাধ্যমগুলো যে খবর দিয়েছে তাকে মিথ্যা অভিহিত করে হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, হিজবুল্লাহ ও সিরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ হামলায় শুধু জুন মাসেই ৬০০’র বেশি সন্ত্রাসী ও তাদের প্রায় ৮০টি ট্যাংক ও সামরিক যান ধ্বংস করা হয়েছে। তাকফিরি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর কমান্ডারদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে হাসান নাসরুল্লাহ সুস্পষ্ট ঘোষণা দেন।

আইসআইএল/আইসিস/IS/দায়েশের মত সন্ত্রাসি গোষ্ঠীগুলোর ধর্ম ও মানবীয় প্রকৃতি নেই: আলআজহারের প্রধান।

দায়েশের মত গোষ্ঠীগুলোর ধর্ম ও মানবীয় প্রকৃতি নেই: আলআজহারের প্রধান


আল-আজহারের প্রধান মুফতি আহমাদ আততাইয়্যেব
মিশরের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় আল-আজহারের প্রধান মুফতি আহমাদ আততাইয়্যেব তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশসহ এ জাতীয় গোষ্ঠীগুলোর পাশবিক ও পৈশাচিক অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এইসব গোষ্ঠী ধর্ম ও মানবীয় প্রকৃতি থেকে বেরিয়ে গেছে।

সম্প্রতি তিনি ‘ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর’ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন।

বিশিষ্ট এই সুন্নি আলেমকে প্রশ্ন করা হয় ইসলামের পতাকা বহনের দাবিদার সশস্ত্র গোষ্ঠী দায়েশের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ বা আলোচনার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা যায়? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আল-আজহারের আলেম সমাজ ও সব মুসলমানই দায়েশের তৎপরতার নিন্দা জানান এবং তারা সবাই দায়েশের বিরোধিতার করছেন। তারা সবাইই দিন-রাত বলছেন যে ধর্মের নামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত এইসব গোষ্ঠী নিজ ধর্ম ও মানবীয় প্রকৃতি থেকে বেরিয়ে গেছে। মানুষের প্রকৃতি কি এটা বলে যে এক মানুষ আরেক মানুষের শিরশ্ছেদ করবে বা গলা কাটবে আর একইসঙ্গে শ্লোগান দিয়ে বলবে যে, আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ সবচেয়ে বড়? ইসলামতো এমন বিষয়ের অনুমোদন দেয় না! ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় মুসলমানরা বন্দি বা নিরস্ত্র শত্রুকেও এভাবে হত্যা করেনি! আমি বিশ্বাস করি যে এইসব তাকফিরি গোষ্ঠী ইসলাম থেকে ব্যাপক মাত্রায় বিচ্যুত হয়ে গেছে এবং এতো বেশি বিচ্যুতি অতীতে আর কখনও দেখা যায়নি।'

প্রায় এক হাজার বছরের ঐতিহ্যের অধিকারী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ লাখ ছাত্র পড়াশুনা করে। এটি মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়। 

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে গাজা অভিমুখী ত্রাণ বহরে হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলো।

ইসরাইল-তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিকের নিন্দা জানাচ্ছে ভিক্টিম পরিবার

তুর্কি ত্রাণবহরে ইসরাইলি হামলায় নিহতদের স্মরণে ফুল দিচ্ছে ভিক্টিম পরিবারগুলোর সদস্যরা
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে গাজা অভিমুখী ত্রাণ বহরে হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলো। ২০১০ সালের মে মাসে ইসরাইলের কমান্ডো বাহিনী ওই হামলা চালায় এবং তাতে অন্তত তুরস্কের নয়জন নাগরিক নিহত ও ৫০ জন আহত হয়।

ইতালির রাজধানী রোমে ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে চূড়ান্ত আলোচনা শেষে আজ (রোববার) সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়া হবে বলে কথা রয়েছে। গাজা অভিমুখী ত্রাণবহরে হামলার জন্য ইসরাইল ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করলে ছয় বছর আগে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করে তুরস্ক।

ত্রাণবহরে হামলায় বাবা হারানো ইসমাইল বিলজেন তেল আবিব ও আংকারার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা প্রসঙ্গে বলেছেন, যেভাবে ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে তা রীতিমতো ত্রাণবহরে নিহতদের স্মৃতির প্রতি অপমান। বিলজেন তুর্কি সরকারকে ইসরাইলের কাছে আত্মসর্পণের জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, “ইসরাইল এমন আচরণ করছে যে, কমান্ডো হামলায় নিহতদেরকে ক্ষতিপূরণ দিলেই সব শেষ, অপরাধীদের বিচার বা শাস্তির প্রয়োজন নেই।” তিনি আরো বলেন, “যেভাবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ত্রাণ বহরের শহীদদের রক্ত ও জীবন বৃথা যাবে।”

ত্রাণবহরে ইসরাইলি হামলায় স্বামী হারানো সিগদেম তপচুওগ্লু বলেন, “ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্পূর্ণ বিরোধী আমি।” তপচুওগ্লু নিজেই ওই ত্রাণবহরে ছিলেন এবং বহুদিন তিনি ইসরাইলের কারাগারে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।

ইসরাইল-তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি সই: নেতানিয়াহু ও কেরির উল্লাস.। ★এ চুক্তি কি মুসলমানদের জন্য আত্মঘাতী নয়!! তাহলে শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে!!

ইসরাইল-তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি সই: নেতানিয়াহু ও কেরির উল্লাস


অবশেষে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করল তুরস্ক। ইতালির রাজধানী রোমে ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১০ সালের মে মাসে ইসরাইলের কমান্ডো বাহিনী গাজা অভিমুখী ত্রাণ বহরে হামলা চালায় এবং তাতে তুরস্কের দশ জন নাগরিক নিহত ও ৫০ জন আহত হয়।এরপর থেকেই তেল আবিব-আংকারা সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলকারী ইসরাইল হচ্ছে বিশ্বের মুসলমানদের অন্যতম প্রধান শত্রু।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, "সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সংক্রান্ত চুক্তি হয়ে গেছে। আজ (সোমবার) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।" একজন তুর্কি কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিনআলী বিলদিরিম আজ আঙ্কারায় এ বিষয়ে ব্রিফিং দেবেন। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। নেতানিয়াহু বলেছেন, "এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইসরাইলের অর্থনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।" কেরি বলেছেন, "এতে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা এমনটিই চেয়েছিলাম।"

এদিকে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার নিন্দা জানিয়েছে গাজা অভিমুখী ত্রাণ বহরে হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলো। ত্রাণবহরে হামলায় বাবা হারানো ইসমাইল বিলজেন তেল আবিব ও আংকারার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা প্রসঙ্গে বলেছেন, যেভাবে ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে তা রীতিমতো ত্রাণবহরে নিহতদের স্মৃতির প্রতি অপমান। বিলজেন তুর্কি সরকারকে ইসরাইলের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, “ইসরাইল এমন আচরণ করছে যে, কমান্ডো হামলায় নিহতদেরকে ক্ষতিপূরণ দিলেই সব শেষ, অপরাধীদের বিচার বা শাস্তির প্রয়োজন নেই।” তিনি আরো বলেন, “যেভাবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ত্রাণ বহরের শহীদদের রক্ত ও জীবন বৃথা যাবে।”

সিম কিংবা ফোন হারিয়ে গেলে সব নাম্বার এবং ছবিগুলো কিভাবে ফিরে পাবেন!


সিম কিংবা ফোন হারিয়ে গেলে সব নাম্বার এবং ছবিগুলো কিভাবে ফিরে পাবেন

আজকের আলোচনা দুটি বিষয় নিয়ে, প্রথমত হারিয়ে যাওয়া নাম্বার কিভাবে ফিরে পাবেন এবং দ্বিতীয়ত হারিয়ে যাওয়া ছবি কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন. দীর্ঘ দিন পরে ভিন্ন ডট কমের তথ্য প্রযুক্তি ডেস্কে আপনাদের আবারো স্বাগতম,অন্যন্য বিভাগ আমাদের নিয়মিত চালু থাকলেও এই বিভাগে অনেক পোস্ট কম আছে এটা নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন. কিন্তু আমরা বলতে চাই তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের অনেক পোস্ট আমরা ট্রিপস এবং ট্রিকস পর্বে দিয়ে থাকি,সেই কারনেই এই বিভাগে পোস্ট কিছুটা কম. গত একটি পর্বে আমরা দেখিয়েছিলাম মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে কিংবা চুরি হয়ে গেলে কিভাবে ফিরে পাবেন,


আপনাদের সামনে আরো তুলে ধরেছিলাম বিরক্তিকর কিলারদের ঠিকানা কিভাবে খুজেঁ বের করবেন,এখানে আরো একটি বিষয় ছিলো লোকেশন ট্রাকারের মাধ্যমে কিভাবে আপনার বন্ধুর অবস্থান নির্নয় করবেন. যাহোক আজকের মুল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে,মোবাইল কিংবা সিম নস্ট হলে কিভাবে আপনার পুরাতন নাম্বার গুলো পুনরুদ্ধার করবেন,অনেকের মোবাইল কিংবা সিম নস্ট হয়ে যাই বা এগুলো হারিয়ে ফেলেবিভিন্ন কারনে,তখন সিম রিপ্লেস করলে পুরাতন নাম্বার গুলো আর থাকে না,এই নাম্বার গুলো একবার হারিয়ে ফেললে পুনরায় সংগ্রহ করা যথেষ্ঠ কস্টকর এবং অনেক সময় এগুলো সম্ভব হয় না. কিন্তু এগুলো খুব সহজেই আপনি আজীবনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন খুব সহজেই. প্রথমেই আপনার ফোনের গুগল প্লে স্টোরে কিংবা মেইল স্টোরে একটি জিমেইল সেট করুন,তারপর যখন কোন নাম্বার সেভ করতে যাবেন তখন সিম কিংবা ফোনের পরিবর্তে জিমেইলে সেভ করুন,নিচের ছবিতে দেখে নিন

আপনি যদি জিমেইল এ নাম্বার সেভ করেন তাহলে সিম কিংবা মোবাইল নস্ট হলেও নতুন ফোনে যখন এই জিমেইল সেট করবেন তখন আগের নাম্বার গুলো অটোমেটিক চলে আসবে

এবারে দ্বিতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক ফোন হারালে কিংবা নস্ট হলে পুরাতন ছবিগুলো আর থাকবে না এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ব্যাপার,একটি ছবি একটি পুরাতন সৃতি,অনেকেই এই পুরাতন ছবিগুলো হারিয়ে আফসোস করেন তাই তাদের জন্য আজকের এই টিপস টি আশা করি বিফলে যাবে না. আপনার ফোনের গুগল প্লে স্টোর থেকে ড্রফবক্স ডাউনলোড করে নিন,এবার একটি মেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন. রেজিস্ট্রেশন সফল হলে আপনি ড্রফবক্সের ভিতরে ছবিগুলো আপনার ফোনের গ্যালারি থেকে আপলোড করুন কোনসময় সেট নস্ট হলে খুব সহজেই আপনি ড্রফবক্স থেকে লগইন করে এগুলো ফেরত আনতে পারবেন।

পুর্বের মুসলমানগন স্বল্প সংখ্যক হয়েও অধিক সংখ্যক কাফিরদের বিপক্ষে বিজয়ী হয়েছিলেন


বর্তমানে মুসলমানদের চরম দুর্দিন যাচ্ছে।
কোটি কোটি মুসলমান থাকার পরেও আজ মুসলমান কাফির কতৃক নির্যাতিত হচ্ছে।
পুর্বের মুসলমানগন স্বল্প সংখ্যক হয়েও অধিক সংখ্যক কাফিরদের বিপক্ষে বিজয়ী হয়েছিলেন ।
এখন অধিক সংখ্যক মুসলমান হয়েও অল্প সংখ্যক কাফিরদের বিরুদ্ধে কেন পারছেনা?
কারন এখন মুসলমানের মাঝে ঈমানী শক্তি , ঈমানী জজবা নাই।
যে কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে সে কাফিরদের নিয়মনীতি আজ মুসলমান পালন করে! নাউযুবিল্লাহ।
আজ মুসলমান-
সুন্নাহ থেকে দূরে, ইসলাম থেকে দূরে,
নেক কাজ থেকে দূরে ,
আজ মুসলমান রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন উনাদের আদর্শ থেকে দূরে।
আজ মুসলমান রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শের ধারক-বাহক ওলি-আল্লাহদের সংস্পর্ষ থেকে দূরে।
যে অলি আল্লাহদের ছোহবতে থেকেই রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদীনের পর থেকে মুসলমান সিপাহসালারগন কাফিরদের তছনছ করে দিয়েছেন।
যার উদাহরন ইতিহাসের পাতায় রয়েছে।
১.ক্রুসেডারদের কাছ থেকে মুসলমানের প্রথম ক্বিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস পুনরুদ্ধারকারী ভুবনজয়ী সিপাহসালা হযরত সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি তিনি হযরত নুরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাই আলাইহি উনার নিকট আসা যাওয়া করতেন। তিনি ছিলেন হযরত সালাউদ্দীন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি এর শায়েখ ও মুর্শিদ। যারা ঈমান দীপ্ত দস্তান বই পড়েছেন তারা এর প্রমান সে বইতে পাবেন।
২. সুলতান মাহমুদ গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি মুর্তি সংহারক ছিলেন ,যিনি ভারতে হিন্দু কতৃক নির্যাতিত মুসলমানকে রক্ষা করতে এবং পোত্তলিকতা দূর করতে ১৭ বার ভারতবর্ষ আক্রমন করে ইসলামের ঝান্ডা উড়িয়েছেন তিনি হযরত শায়েখ আবুল হাসান খিরকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর নিকট আসা যাওয়া করতেন।তিনি ছিলেন উনার শায়েখ ও মুর্শিদ। সুলতান মাহমুদ গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কিছু করতেন। সুলতান মাহমুদ গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর দরবারেও অনেক খাটী আলেম দরবেশের সমাহার ছিল। যার প্রমান পাবেন সুলতান মাহমুদ গজনবীর ভারত অভিযান বইয়ে। ইতিহাসবিদরাও এর সত্যতা প্রমান করে গেছেন।
৩. দুই দুইবার হিন্দুস্থান আক্রমণ করেও সফল হতে পারেননি সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি । তিনি স্বপ্নে দেখলেন শ্বেত শুভ্র বস্ত্রাবৃত এক জ্যোতির্ময় মহাপুরুষ তাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘‘যাও তোমাকে আমি হিন্দুস্থানের শাসন ক্ষমতা দান করলাম।” এ শুভ স্বপ্ন দেখে সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহিন মনস্থির করলেন হিন্দুস্থান অভিযান শুরু করার। ৫৮৮ হিজরি সালে সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তার বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে হিন্দুস্থান অভিমুখে রওয়ানা হলেন। এই বাহিনীর প্রধান সেনাপতি কুতুবুদ্দিন আইবেক। তারায়েনা প্রান্তরে দুই বাহিনীর মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু হলো। মুসলমানদের প্রচন্ড আক্রমণের সামনে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল পৌত্তলিক সৈন্যবাহিনী।
সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি আজমীর এসে পৌঁছলেন। তখন সন্ধ্যা আসন্ন। সূর্যাস্ত হওয়ার পর সচকিত হয়ে উঠলেন সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। দূরে কোথায় আজানের ধ্বনি শোনা যায়। সেদিকে এগিয়ে যেতেই তিনি দেখলেন একদল নুরানী লোক হাত বেঁধে দাঁড়িয়েছেন। দরবেশদের জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলেন সুলতান। সালাত শেষে জামাতের ইমামের মুখের দিকে তাকিয়েই চমকে উঠলেন সুলতান শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ ঘুরী। এইতো সেই জ্যোতির্ময় মহাপুরুষ, স্বপ্নে যিনি জানিয়েছেন হিন্দুস্থান বিজয়ের সুসংবাদ। যিনি ছিলেন হযরত খাজা মাঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
৪. বাংলাদেশেও হিন্দু রাজা গোড় গোবিন্দের হাত থেকে মুসলমানদের যিনি রক্ষা করেছিলেন তিনি ছিলেন হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি।
দেখা যাচ্ছে মুসলিম শাসকগন এবং মুসলমানগন ওলি-আউলিয়াদের ছোহবতে থেকে উনাদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছেন সে শাসকেরাই কাফিরদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছেন।
কারন একজন খাটি ওলি আল্লাহর ছোহবতে থেকে একজন মুসলমান তার ঈমান, তার আমলকে পোক্ত করে। একজন মুসলমান পরিপুর্ন ইসলাম অনুসরন করার,হারাম থেকে দূরে থাকার, হালালে মশগুল হওয়ার , পুর্ন মুসলমান হওয়ার দিশা পায়।
যার কারনে ঐ মুসলমানের অন্তরে যে ঈমানী বল কাজ করে তা কাফিরদের কলজে কাফিয়ে দেয়।
যার প্রমান ইতিহাসের পাতায় পাতায়।
তাই বর্তমানেও যারা মুসলমান রয়েছেন উনারা নিজেদের ঈমানী বলকে জোরদার করতে, হক্বের পথে চলতে , হারাম থেকে দূরে থাকতে, হালালে মশগুল থাকতে, কাফিরদের সকল ষড়যন্ত্রকে ছিন্নভিন্ন করতে একজন খাটি ওলি আল্লাহর ছোহবত অবশ্যই প্রয়োজন।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে একজন খাটি ওলি আল্লাহর ছোহবতে যাওয়ার তাওফিক দান করুন-- আমীন।

মহাজ্ঞানী মহাপন্ডিত জাকির নায়েক!!


মহাজ্ঞানী মহাপন্ডিত জাকির নায়েক :
----------------------------------
সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহ আনহুম গণের চেয়েও জাকির নায়েকর জ্ঞান বেশি। ওমর রদ্বিয়াল্লাহ আনহুর মত বেহেস্তের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবি রদ্বিয়াল্লাহু আনহুও জাকির নায়েকের মত এত বড় পন্ডিত ছিলনা।
পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্ত চারটি প্রসিদ্ধ মাজহাবের ইমামগণের কেউই জাকির নায়ের মত জ্ঞানি ছিলনা।
আব্দুল কাদের জিলানি রহমতুল্লাহ,বায়েজিদ বোস্তামি রহমতুল্লাহ,খাজা মঈনউদ্দিন চিসতি রহমতুল্লাহ,ইমাম গাজ্জালি রহমতুল্লাহ,ইমাম জালাল উদ্দিন রুিম রহমতুল্লাহ,মুজাদ্দিদে আলফেসানি রহমতুল্লাহ,নিজামউদ্দিন আউলিয়া রহমতুল্লাহ, শাহজালাল আউলিয়া রহমতুল্লাহ কেউই জাকির নায়েকের মত জ্ঞানী ছিলনা।
তবে কথা হচ্ছে, এতবড় পন্ডিতের প্রয়োজন আমাদের নেই।মহাপন্ডিত থেকে দূরে থাকাই উত্তম

সৌদি রাজপরিবার যে ইহুদি বংশধর তা অবশেষে ফাঁস হয়েগেলে।


সউদী রাজপরিবার-এর প্রকৃত পূর্বপুরুষ হচ্ছে ইহুদী ।
********************************************************
অনেকে ভেবে থাকে, বর্তমান সউদী ওহাবী শাসকরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এলাকার লোক। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সউদী ওহাবী শাসকরা কখনই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক অঞ্চল উনার লোক না। মূলত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন পবিত্র ‘হেজাজ’ শরীফ উনার অধিবাসী, আর সউদী ওহাবী সরকার ‘নজদ’ নামক প্রদেশের অধিবাসী।
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইয়েমেন ও শাম দেশের জন্য দোয়া করেছেন কিন্তু এই ‘নজদ’ প্রদেশের জন্য দোয়া করেননি। উপরন্তু বলেছেন: “নজদ থেকে শয়তানের শিং বের হবে, যারা ফিৎনা তৈরি করবে।” (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
বর্তমান ক্ষমতাসীন সউদ পরিবারের প্রথম সদস্য বাদশাহ আব্দুল আজিজ (ইবনে সউদ নামে বেশি পরিচিত) ছিল সেই লানতপ্রাপ্ত নজদের অঞ্চলের অধিবাসী। ১৯১৫ সালে এ ইবনে সউদ ব্রিটিশদের সহযোগিতায় নজদের শাসন ক্ষমতা পায়। পরবর্তীতে ১৯২৫ সালে ব্রিটিশদের সহযোগিতা নিয়ে সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক এলাকা ‘হেজাজ’ শরীফ উনাকে দখল করে নেয়। ১৯৩২ সালে ইবনে সউদ তাদের পরিবারের নাম অনুসারে দখলকৃত পুরো এলাকার (হেজাজ ও নজদসহ) নাম পরিবর্তন করে নিজ পরিবারের নামে রাখে ‘সউদী আরব’। উল্লেখ্য, বর্তমান সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদ এই নজদের ভেতরেই অবস্থিত।
সউদী রাজপরিবার: কে তাদের প্রকৃত পূর্বপুরুষ?
******************************************************
সত্যিই কি সউদী রাজ পরিবার “আনজা বিন ওয়াইল” গোত্রের সদস্য, যা তারা দাবি করে থাকে?
তারা কি প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মের অনুসারী? আসলেই কি তারা আরব বংশোদ্ভূত?
উপরের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর সউদী রাজ পরিবারের অনেক দাবির উপর কলঙ্ক আরোপ করবে এবং যুক্তির দ্বারা অনেক মিথ্যা উদ্ধৃতি খণ্ডন করবে। অপরদিকে মুনাফিকরা তাদের বিবেক বুদ্ধি বিক্রি করে দিয়ে, প্রকৃত সত্য গোপন করে সউদী রাজ পরিবারের মিথ্যা ইতিহাস রচনা করেছে। উচ্ছিষ্টভোগী কয়েকজন সাংবাদিক এবং ঐতিহাসিক সামান্য কিছু আর্থিক আনুকূল্যের কারণে সউদী রাজ পরিবারের বংশানুকূলের পরিচয়কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বংশের সঙ্গে যুক্ত করেছে। নাউযুবিল্লাহ! এ সকল মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীরা বলতে চায় এই সউদী শাসকরা হচ্ছে পৃথিবীতে আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মনোনীত খলীফা। এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, এ সকল তোষামোদির মূল কারণ হচ্ছে সউদী রাজপরিবারের অপরাধ, নৃশংসতাকে জায়িয করার লক্ষ্যে সমর্থন আদায় করা, যাতে তাদের সিংহাসন অটুট থাকে এবং তাদের স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগগুলো যেন হাতছাড়া হয়ে না যায়। অথচ তাদের এ সকল কর্মকাণ্ড, স্বৈরাচারী মানসিকতা ইসলামের প্রকৃত বিশ্বাসের পরিপন্থী।
ইসলাম ধর্মে রাজতন্ত্রের কোন সুযোগ নেই। কোন ব্যক্তি বা তার পরিবারের যে কোন সদস্যের চাপিয়ে দেয়া শাসন ব্যবস্থা হচ্ছে রাজতন্ত্র, যা সাধারণ মানুষের অধিকারকে দমিয়ে রাখে এবং রাজার স্বৈরাচারী এবং স্বেচ্ছাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যে কোন সরব বক্তার বাক রুদ্ধ করে। কুরআন মজিদে এ সকল রাজাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে “রাজা-বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন তাকে, বিপর্যস্ত করে দেয় এবং সেখানকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে অপদস্থ করে। তারাও এরূপ করবে।” (সূরা নমল : আয়াত- ৩৪)
অথচ এই সউদী রাজ পরিবার কুরআন মজিদ-এর আয়াত শরীফকে প্রকাশ্য উপেক্ষা করে আবার দৃঢ়তার সাথে মিথ্যা দাবিও করে যে, তারা হচ্ছে কুরআনুল কারীমের সঠিক অনুসারী। সউদী সরকারের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা আছে, রেডিও, টেলিভিশনে কুরআন শরীফ-এর সূরা নমলের ৩৪ নম্বর আয়াত শরীফ যেন তিলাওয়াত করা না হয়। শুধু তাই নয়, যে কোন প্রকাশনায়, জার্নালে, লেখায় এই আয়াত শরীফ-এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সউদী রাজ পরিবার ভীত যে, এই আয়াত শরীফ-এর তিলাওয়াত এবং প্রচারণা তাদের রাজতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিতে পারে।
কারা এই সউদী? এদের শেকড় কোথায়? এবং তাদের আসল উদ্দেশ্য কি?
সউদী রাজ পরিবারের সবাই ভালভাবেই অবগত যে, বিশ্বের সকল মুসলমানগণ জেনে গেছে তাদের মূলে রয়েছে ইহুদী রক্ত। বিশ্বের সকল মুসলমান, তাদের রক্তাক্ত অতীত এবং বর্তমানের কদর্য এবং নিষ্ঠুর অত্যাচারের ইতিহাসও জেনে গেছে। বর্তমানে ইসলামের তথাকথিত লেবাস পরে (সুন্নতী পোশাক নয়) তারা প্রাণপণে তাদের ইহুদী অস্তিত্ব ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ কারণে বংশানুক্রমে তারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে-এই দাবি প্রমাণের জন্য যথেষ্ট অপচেষ্টাও চালাচ্ছে।
তারা ভুলে গেছে বা উপেক্ষা করছে যে, ইসলাম কখনই শুধু বংশ পরিচয়কে প্রাধান্য দেয় না। কুফরী করলে কেউ নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলের অন্তর্ভুক্ত থাকে না। ইসলাম মানুষের ঈমান, আমলকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন কুরআন মজীদ-এ ইরশাদ করেন “হে মানবজাতি, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উনার কাছে সেই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহিযগার। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, সব কিছুর খবর রাখেন।”
যে কোন ধর্মত্যাগী বা কাফির নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা দাবি করতে পারে না। হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু- যদিও তিনি ছিলেন আবিসিনিয়ার অধিবাসী এবং পরাধীন; কিন্তু ইসলামের কারণে তিনি ছাহাবীর মর্যাদা পেয়েছিলেন। বিপরীতে আবু লাহাব কুফরীর কারণে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচা হবার পরেও তার কোনো মর্যাদা নেই। ইসলামে কোন পক্ষপাতিত্ব নেই। মানুষের তাক্বওয়া, পরহিযগারীর উপর তার মাক্বাম ও মর্যাদা। কার কতটা বিত্ত, বৈভব বা কে কোন্‌ রাজবংশের তার মাধ্যমে ইসলাম কাউকে মর্যাদা দেয় না।
এই সউদী রাজ পরিবারের প্রকৃত পূর্বপুরুষ কে?
৮৫১ হিজরী সনের কথা। আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের একদল লোক একটি কাফিলা তৈরি করে ইরাকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। আল-মাসালিক ছিল আনজা গোত্রের শাখা। এই কাফিলার উদ্দেশ্য ছিল ইরাক থেকে খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করে এনে নজদে সরবরাহ করা। সেই কাফিলার প্রধান ছিল শামী-বিন-হাতলুল। কাফিলা যখন বসরায় পৌঁছে, তখন খাদ্যশস্যের এক ইহুদী বড় ব্যবসায়ীর সাথে দলের লোকজন সাক্ষাৎ করে। সেই ইহুদী ব্যক্তিটি ছিল মোরদাখাই বিন ইব্রাহীম বিন মোসেহ। কোন কোন প্রাচীন ইতিহাসে ইহুদী মোরদাখাইকে মানি বিন রাবিয়া আল মুরাইদি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মোরদাখাই-এর বংশধরেরা ম্রুদা গোত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সেই ইহুদী ব্যবসায়ীর সাথে দর কষাকষির সময় ইহুদী ব্যক্তিটি প্রশ্ন করে “আপনারা কোথা থেকে এসেছেন?” উত্তরে তারা বলেন, আমরা আনজা গোত্রের এবং আল-মাসালিক সম্প্রদায়ভুক্ত। আল মাসালিক সম্প্রদায়ের কথা শুনেই সেই ইহুদী ব্যবসায়ী আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের উপস্থিত সবাইকে আবেগাপ্লুত হয়ে মুয়ানাকা করতে শুরু করে এবং বলে সেও মূলত আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের তবে সে বসরায় এসে বসবাস করছে। তার পিতার সঙ্গে আনজা গোত্রের কয়েকজন সদস্যের ঝগড়া বিবাদের ফলে সে এখন বসরায়।
এই বানানো গল্প বলার পর পর সে-ই ইহুদী ব্যবসায়ী তার ভৃত্যকে সমস্ত গম, খেজুর, অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যসমূহের বস্তা উটের পিঠে চড়াতে বললো। সেই সুদূর ইরাকে আনজা গোত্রের এবং আল-মাসালিক সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের সম্প্রদায়ের একজন এত উদার ব্যক্তি পেয়ে বেশ গর্ব অনুভব করলো। তারা সেই ইহুদীর সকল কথাই বিশ্বাস করলো। যদিও সে মাসালিক সম্প্রদায়ের ছদ্মবেশে ছিল একজন ইহুদী। কিন্তু খাদ্যশস্যের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হওয়াতে সে সহজেই সবার কাছে বিশ্বস্ত হতে পেরেছিল।
যখন সেই কাফিলা খাদ্যশস্য বোঝাই করে নজদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে সে সময় সেই ইহুদী ব্যবসায়ী তাদের কাফিলার সঙ্গী হতে চাইলো। সে তার মাতৃভূমিতে ফিরে যাবার জন্যে আকুল ইচ্ছা প্রকাশ করলো। তার এই অভিপ্রায়ের কথা শুনে কাফিলার সবাই তাকে চরম উৎসাহে অভিনন্দন জানালো। সেই ছদ্মবেশী ইহুদী, কাফিলার সাথে নজদে এসে উপস্থিত হল।
নজদে এসে শুরু হয় তার ভিন্ন রকমের কার্যকলাপ। সে তার নিজস্ব কিছু লোক দিয়ে নিজের সম্পর্কে অনেক প্রোপাগান্ডা শুরু করে এবং ধর্মীয় অনেক বিষয়ে নিজের মনমত ফতওয়াও দিতে থাকে। সেই সুবাদে কিছু ভক্তও জুটিয়ে ফেলে। কিন্তু সে সময় আল-কাসিমে বসবাসরত একজন বড় আলিম ও বুযূর্গ ব্যক্তি হযরত শায়খ সালেহ সালমান আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক সেই ইহুদী বাধাগ্রস্ত হয়। মুসলমানের ছদ্মবেশে সেই ইহুদীর প্রচারিত বহু ফতওয়ার বিরুদ্ধে তিনি চরম প্রতিবাদ করেন। হযরত শায়খ সালেহ সালমান আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি নজদ, ইয়েমেন এবং হিজাজেও তালিম দান করতেন। উনার প্রচেষ্টায় সেই ইহুদীকে (বর্তমান সউদী রাজ পরিবারের পূর্ব পুরুষ) আল-কাসিম থেকে আল-ইহসাতে বিতাড়িত করেন। নতুন এলাকায় এসে এই ইহুদী (মোরদাখাই) তার নাম পরিবর্তন করে হয় মারক্বান বিন দিরিয়া এবং আল-কাতিফের নিকট বসবাস শুরু করে। সেখানে এসে, সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঢাল সংক্রান্ত একটা মিথ্যা গল্প প্রচার করা শুরু করে।
গল্পটা এ রকম- “মক্কার কাফিরদের সাথে মুসলমানদের যখন উহুদ পাহাড় প্রান্তে যুদ্ধ হয়, সেই উহুদের যুদ্ধে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি ঢাল মুবারক এক কাফিরের হস্তগত হয়। পরবর্তিতে সেই কাফির ব্যক্তি সেই ঢাল মুবারক বিক্রি করে দেয় ইহুদীদের বনু-কুনাইকা গোত্রের কাছে যা তারা পবিত্র সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করে আসছে। এভাবে সে ইসলাম ধর্মের প্রতি ইহুদীদের ধর্মীয় সহানুভূতির কথা বোঝাতে চাইতো। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবেও সে নিজের অবস্থান বেদুইনদের মধ্যে শক্ত করে নেয়। সে মুসলমানের ছদ্মবেশে ইহুদীদের পক্ষে কাজ করতে থাকলো। ইহুদী মোরদাখাই বা মারক্বান বিন দিরিয়া আল-কাতিফের নিকট দিরিয়া শহরে বসবাস শুরু করে। সে মনে মনে আরব ভূখণ্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উচ্চাশা পোষণ করতো। তার আশা পূরণের লক্ষ্যে, মূল পরিকল্পনা গোপন করে আরব বেদুইনদের তার পক্ষ সমর্থনের জন্য আবেদন নিবেদন করতে থাকে এবং নিজেই সেখানকার স্ব-ঘোষিত রাজা বলে দাবি করে। তার এই অপচেষ্টাকালে, আরবের আজামান গোত্র এবং বনু খালিদ গোত্র একত্রে এই ইহুদীর আসল পরিচয় পেয়ে তার পরিকল্পনা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারা দিরিয়া আক্রমণ করে দখল করে নেয়। কিন্তু সেই সুচতুর ইহুদী সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
বর্তমান সউদী রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ এই ইহুদী মোরদাখাই বা মারক্বান বিন দিরিয়া আল-আরিদের নিকট আল মালিবিদ-গুশাইবা নামক একটি খামারে আশ্রয় গ্রহণ করে। বর্তমানে একে বলা হয় আল-রিয়াদ। এই ইহুদী সেই খামারের মালিকের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। সেই খামারের মালিক ছিল অত্যন্ত দয়ালু একজন মানুষ, সে তখনই তাকে আশ্রয় দান করেন। কিন্তু এক মাসের কম সময়ের মধ্যেই সেই কুচক্রী দুষ্ট ইহুদী, খামারের মালিকসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করে। কিন্তু সে প্রচার করে তারা লুটেরা কর্তৃক নিহত হয়েছে এবং সে খামার দখল করে নেয়। সে দিরিয়া নামক যে স্থান থেকে বিতাড়িত হয়েছিল সেই নাম অনুসারে এই স্থানেরও নাম আল-দিরিয়া রাখে। (কিছু সত্য গোপন করে কোন কোন ইতিহাসে লেখা আছে- ৮৭৩ হিজরী (কাছাকাছি) অর্থাৎ ১৪৪৬ সালের দিকে ইহুদী মোরদাখাইয়ের ম্রুদা গোত্র দিরিয়া নামক স্থানে বসবাস করতে থাকে। আসলে মোরদাখাই পরিবারই ম্রুদা গোত্র নামে পরিচিত। ইহুদী মোরদাখাই সেখানে তার আত্মীয় ইবনে দির কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে আল-রিয়াদে বসবাস শুরু করে বলেও কথিত আছে। ইবনে দির ছিল সেখানকার শাসক এবং বহু ক্ষেত-খামারের অধিকারী। বলা হয়, ইবনে দির তাকে আল মুলাইবিদ এবং গুশাইবা নামে দুটি খামার দান করে; যা সে পরবর্তিতে আল-দিরিয়া নামে নামকরণ করে।)
বর্তমান সউদী রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ সেই ইহুদী মোরদাখাই সেখানে “মাদাফ্‌ফা” নামে একটি অতিথিশালা খুলে এবং তার চারপার্শ্বে কিছু মুনাফিক জড়ো করে। সেই মুনাফিকরা প্রচার করতো এই ইহুদী হচ্ছে একজন বড় আরব বণিক। সেখান থেকে সে তার মূল শত্রু হযরত শায়খ সালেহ সালমান আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং আল-যালাফি নামক শহরের একটি মসজিদে উনাকে শহীদ করে। হযরত আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর শাহাদাতের পর মোরদাখাই নিজেকে যথেষ্ট মুক্ত ও নিরাপদ মনে করে সেই দিরিয়া গ্রামে বসবাস করতে থাকে। ইহুদী মোরদাখাই সেখানে অনেক বিয়ে করে এবং তার সকল সন্তানের সে আরবীয় নাম রাখে। তার বংশধররা সেখানে সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পরবর্তিতে সউদী সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত হতে থাকে। তার বংশধররাও আরবজাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকে। তারা অনেক কৃষিক্ষেত্র অবৈধভাবে দখল করে নেয় এবং যারাই তাদের দুষ্ট পরিকল্পনার বিরোধিতা করতো তাদের তারা হত্যা করতো। তারা তাদের সাফল্যে পৌঁছবার লক্ষ্যে গোপনে বিভিন্ন প্রকার দুরভিসন্ধি প্রয়োগ করেছিল। যারা এই ইহুদী পরিবারের সঠিক ইতিহাস বলতে বা লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছিলো তাদেরকেই ঘুষ প্রদান করা হয়েছিল। বিশেষত সেই এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নারী ও অর্থের মাধ্যমে প্রলোভিত করে দমিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তাদের কলঙ্কিত ইতিহাস মুছে ফেলে তাদের বংশানুক্রম বিখ্যাত আরব গোত্র রাবিয়া, আনজা এবং আল-মাসালিকের সাথে সম্পৃক্ত প্রমাণ করে তাদের ইতিহাসকে বিশুদ্ধ করতে চেয়েছিল।
(সউদি পরিবারের পূর্বপুরুষ যে ম্রুদা গোত্রের এ ব্যাপারে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। প্রচলিত আছে যে, তারা প্রাচীন রাবিয়া গোত্রের বিশেষত ‘ওয়াইল’-এর শাখা। কিন্তু যে বিষয়ে সব ইতিহাসে বিতর্ক আছে তা হচ্ছে সউদীরা ওয়াইলের কোন শাখার? বহু ঐতিহাসিক এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নজদের অধিবাসীরা বনু হানিফা গোত্রের যারা নজদ ও রিয়াদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
অনেকে জোর দিয়ে বলতে চায় তারা হচ্ছে আনজা নামক বড় বেদুইন গোত্রের। নজদে বসবাসরত অন্যান্য আনজা গোত্রের পরিবারের মত তথাকথিত ম্রুদা গোত্রের কোন লিখিত বা মৌখিক তথ্যও নেই যে ম্রুদা আনজা গোত্র থেকে মাইগ্রেশন করে নজদে আসে।)
বর্তমান সময়ের একজন চরম পর্যায়ের মুনাফিক হচ্ছে আমিন আল তামিমি, যে সউদী আরবের জাতীয় লাইব্রেরীর ডাইরেক্টর। সে সউদী আরবের এই ইহুদী শাসকগোষ্ঠীর বংশ তালিকা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বংশের সাথে সম্পৃক্ত করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তার এই মিথ্যা জালিয়াতি কর্মের জন্য ১৯৪৩ সালে মিশরে নিযুক্ত সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহীম আল-ফাদেলের কাছ থেকে আমিন আল তামিমি ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) হাজার মিশরীয় পাউন্ডে পুরস্কৃত হয়।
সউদী রাজ পরিবারের পূর্বপুরুষ ইহুদী মোরদাখাই বহু আরবী মহিলাকে বিয়ে করে এবং তাদের ঘরে বহু সন্তানের জন্ম হয়। সেই একই ধারাবাহিকতা বর্তমান সউদী রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও প্রচলিত আছে। (সউদী আরবের বাদশাহ আব্দুল আজিজের চুয়াল্লিশ জন ছেলে এবং অগণিত কন্যা সন্তান। বাদশাহ সউদের ছিল বায়ান্ন জন পুত্র এবং চুয়ান্ন জন কন্যা) ইহুদী মোরদাখাই-এর এক পুত্রের নাম ছিল আল-মারাক্বান কারো মতে আল মুক্বরিন। মূলত তার নাম আরবীকরণ করা হয়েছিল ইহুদী নাম মেকরেন থেকে। সেই মেক-রেন বা আল মারাক্বান বা আল মুক্বরিন এর এক পুত্র ছিল মুহম্মদ (মুহম্মদ বিন মুক্বরিন) এবং তার এক পুত্রের নাম ছিল সউদ (সউদ বিন মুহম্মদ)। সেই সউদ থেকে হয়েছে সউদী রাজবংশের নাম। সউদের বংশধরগণ বিশেষত সউদের পুত্র মুহম্মদ বিন সউদ আরবের বিভিন্ন গোত্র প্রধানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা প্রচার করতো যে, সকল আরব ধর্মীয় নেতারা মুরতাদ হয়ে গেছে এবং তারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে সরে গেছে। বিভিন্ন গোত্রের নেতারা ধর্মের নামে শিরকে মশগুল- এই অজুহাতে অনেক মুসলমানকে শহীদ করা হয়।
সউদী রাজ পরিবারের নিজস্ব ইতিহাসবিদ দিয়ে রচিত The history book of Saudi familyi৯৮ থেকে ১০১ পৃষ্ঠার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে যে, সউদী বংশের সবাই নজদের সকল অধিবাসীদের মুরতাদ, কাফির মনে করতো। ফলে তাদের হত্যা করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, তাদের মহিলাদের দাসীতে পরিণত করাকে জরুরী বলে মনে করতো। মূলত সে সময় নজদের প্রধান মুহম্মদ বিন সউদ ছিল ওহাবী আক্বীদা দ্বারা বিভ্রান্ত।
ওহাবী মতবাদের প্রচার ঘটে আব্দুল ওহাব নজদীর মাধ্যমে যে ছিল বনু তামিম গোত্রের (যদিও তার পূর্বপুরুষ ইহুদী ছিল) তার জন্ম হয় উয়াইনিয়া গ্রামে, নজদের হুরাইমিলা শহরের পার্শ্বে, ১১১১ হিজরী অর্থাৎ ১৬৯৯ সালে। তার মৃত্যু হয় ১২০৬ হিজরী মোতাবেক ১৭৯২ সালে। প্রথমে সে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইরাকের বসরায় যায়। পরে ইরান, ভারত, দামেস্কেও ভ্রমণ করে। সেখানে সে “নজদের শায়খ” নামে নিজেকে পরিচয় দিত। সে ছিল অত্যন্ত চতুর। ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে অনেক কিছু শেখে এবং একজন নেতা হবার স্বপ্ন পোষণ করে। ১১২৫ হিজরী অর্থাৎ ১৭১৩ সালে তার সাথে পরিচয় হয় ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের।
গুপ্তচর হ্যামপার এই ওহাবী নজদীর নেতা হবার অভিলাষ বুঝতে পেরে তার সাথে দীর্ঘ সময়ের জন্য সখ্যতা গড়ে তোলে। ব্রিটিশ উপনিবেশ মন্ত্রণালয়ের শেখা অনেক পদ্ধতি এবং মিথ্যা তার উপর সে প্রয়োগ করে। হ্যামপার ওহাবী নজদীর মধ্যে সব সময় ইসলাম ধর্মের নতুন অপব্যাখ্যা শুনতে পেত এবং তার মধ্যে ভিন্ন চিন্তার এক শায়খ হবার সম্ভাবনা দেখতে পেত। আব্দুল ওহাব নজদে ফিরে এসে গ্রামের লোকদের জন্য ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিন্ন চিন্তার বিভিন্ন লেখা লিখতে থাকে। সে মু’তাযিলা সম্প্রদায় এবং ব্রিটিশ গুপ্তচরের কাছ থেকে যা শিখেছিল তার উপর সে লিখতে ও বলতে থাকে। গ্রামের লোকজন এবং তাদের প্রধান ইহুদী মোরদাখাই-এর বংশধর মুহম্মদ বিন সউদ তাকে অনুসরণ করতে থাকে। আরবদের কাছে বংশ পরিচয় ছিল অনেক বড় কিন' যেহেতু সে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য গোত্রের ছিল না তাই সে মুহম্মদ বিন সউদকে তার মত প্রচারে ব্যবহার করতে শুরু করে। যার নাম দেয় সে ওহাবী মতবাদ। সে নিজেকে কাজী এবং মুহম্মদ বিন সউদকে বাদশাহ হিসেবে পরিচয় দিত। তারা দু’জন পরবর্তিতে চুক্তিতে আসে যে তাদের সন্তানরা তাদের পরে ক্ষমতায় আসবে। এ চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইবনে আব্দুল ওহাবের কন্যাকে বিন সউদের পুত্রের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। ১১৫০ হিজরীতে অর্থাৎ ১৭৩৭ সালে আব্দুল ওহাব নজদীর ওহাবী মতবাদ একটা রাজনৈতিক রূপ লাভ করে সমগ্র আরবে ছড়িয়ে পড়ে।
সেই ধারাবাহিকতায় সউদী বাদশাহ আব্দুল আজিজ বিন মুহম্মদও ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী ছিল এবং সে প্রথম ১৭৯১ সালে মক্কা শরীফ-এর আমীর হযরত শরীফ গালিব ইফেন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। পূর্ব থেকেই গোপনে তারা ওহাবী মতবাদ প্রচার করে যাচ্ছিল। তারা অনেক মুসলমানকে নিপীড়ন করে এবং শেষে হত্যা করে। অনেক মহিলা ও শিশুদের বন্দি করে এবং তাদের সম্পদ দখল করে। যারা আব্দুল ওহাব নজদীর (যার পূর্বপুরুষও ছিল ইহুদী এবং তুরস্কের অধিবাসী) আক্বীদার সাথে মিল না রাখতো তাদেরকে তারা মুসলমান বলতো না। এই ওহাবী নজদীর ভুল ফতওয়ার কারণে সউদী রাজ পরিবারের সন্ত্রাসী লোকজন সুন্নী অধ্যুষিত গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করে ফেলে। শিশুসহ বহু মানুষ হত্যা করে, মহিলাদের উপর নিপীড়ন চালায় এমনকি গর্ভবতী মহিলাদের উদর চিড়ে ফেলে, শিশুদের হাত পা কেটে ফেলে আগুনে নিক্ষেপ করতো। শুধু ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী না হওয়াতে মুসলমানদের মুরতাদ আখ্যায়িত করে তাদের সকল সম্পত্তি আত্মসাৎ করতো।
মূলতঃ মিথ্যা ধর্মীয় অনুশাসনের নামে এই ওহাবী আক্বীদা সম্পন্ন ইহুদীরা বিভিন্ন প্রকার নৃশংসতা চালায়। আর এই অনুশাসনের প্রবর্তক ছিল ইহুদী মোরদাখাই, যে সন্ত্রাসের বীজ বপন করেছিল তার সময় থেকে। এই ইহুদী পরিবার ১১৬৩ হিজরী সাল থেকে সউদী আরবসহ মুসলিম দেশসমূহে নৃশংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা গোটা আরব ভূ-খণ্ডের নাম তাদের পরিবারের নাম অনুসারে রাখে “সউদী আরব”। ভাবখানা এমন যে গোটা আরব তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি আর সেখানকার সকল অধিবাসী তাদের গোলাম বা ক্রীতদাস, যারা সকাল সন্ধ্যা শুধু তার প্রভুর আরাম আয়েশের জন্যই খেটে যাচ্ছে।
এই সউদী রাজ পরিবার দেশের সকল প্রাকৃতিক সম্পদকে নিজের সম্পত্তি বলে বিবেচনা করে। যদি কোন সাধারণ নাগরিক তাদের এই ইহুদী শাসক গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচার এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তবে জনগণের সম্মুখে তার শিরোচ্ছেদ করা হয়।
এই ইহুদী রাজ পরিবারের এক রাজকুমারী আমেরিকার ফ্লোরিডার এক বিলাস বহুল হোটেলের ৯০টি সোয়ীট (Suite) এক রাত্রির জন্য ১ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ভাড়া করে। কেউ কি তার অপচয়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবে? যদি করে তবে তার পরিণতি হবে জনসম্মুখে তরবারীর আঘাতে শিরোচ্ছেদ।
১৯৬০ সালে “সোয়াত আল আরব” মিশরের কায়রোর ব্রডকাস্টিং স্টেশন এবং ইয়েমেনের সানার ব্রডকাস্টিং স্টেশন এই সউদী রাজ পরিবারের ইহুদী পূর্বপুরুষের ব্যাপারে সত্যতা স্বীকার করে।
১৯৬৯ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন পোস্টে বাদশাহ ফায়সাল আল সউদ এই চরম সত্যটি অস্বীকার করতে পারেনি। সে বলেছিল, “আমরা সউদী রাজ পরিবার ইহুদীদের ভাই। আমরা যে কোন মুসলমান এবং যে কোন আরবীর সাথে দ্বিমত পোষণ করি, যারা ইহুদীদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে। বরং তাদের সাথে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। আরব হচ্ছে সেই উৎসভূমি যেখান থেকে ইহুদীরা বিস্তার লাভ করেছিল; পরে তার বংশধররা সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে।”








.

-- 

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

এয়ারটেলের ফাঁদে আপনি নেইতো! আঙ্গুলের ছাপ জালিয়াতিতে এয়ারটেলর কর্মকর্তা আটক।



ঢাকা: বেতনভুক্ত কর্মী ও কমিশন এজেন্টদের চাপ দিয়ে আঙুলের ছাপ জালিয়াতি করে হাজার হাজার সিম অবৈধভাবে নিবন্ধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি এয়ারটেলের কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে। অন্য অপারেটরগুলোরও তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ।
এয়ারটেলের তিন জন টেরিটোরি ম্যানেজার ও ১৮ জন কমিশন এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছাপ জালিয়াতির তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সকালে তেজগাঁও পুলিশের উপ কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি জানান, আঙুলের ছাপ নিয়ে গ্রাহকদের অজ্ঞাতে অন্য সিম নিবন্ধনের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে এয়ারটেলের তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২১ জনকে আটক করে পুলিশ।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিসি বলেন, ‘এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ ব্রিফিং করে এদেরকে প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ সিম অন্য গ্রাহকের অঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধনের জন্য চাপ দেয়। এর ভিত্তিতেই এয়ারটেলের বেতনভুক্ত কর্মকর্তা ও এজেন্টরা অন্যের ছাপ দিয়ে জালিয়াতি করে হাজার হাজার সিম রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এয়ারটেলের কোন স্তরের কর্মকর্তারা এই অবৈধ সিম নিবন্ধনের সাথে জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা শুধু এয়ারটেলের অবৈধ সিম নিবন্ধনের প্রমাণ পেয়েছি। পরবর্তীতে আমরা অন্য অপারেটরেরগুলোও খতিয়ে দেখবো।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে আঙুলের ছাপ জালিয়াতি করে বেশি দামে নিবন্ধিত সিম বিক্রি করেছে বলে আটকরা জানিয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির স্পেকট্রাম পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল মঈন বলেন, ‘বিটিআরসি আইন অনুসারে এই অবৈধ প্রক্রিয়ায় সিম নিবন্ধনে এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আঙুলের ছাপ জালিয়াতির অভিযোগ প্রথমে চট্টগ্রামে পাওয়া যায়। এবার ঢাকাতে পাওয়া গেলো। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা পরিচালক পর্যায়ে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
উল্লেখ্য, আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না বা অন্য সমস্যা হচ্ছে এমন অজুহাতে এজেন্টরা অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে এক সিমের বিপরীতে একাধিকবার ছাপ নেয়ার অভিযোগ শুরু থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। এ কারণে নিবন্ধনের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর প্রিঅ্যাকটিভ সিম শনাক্ত করতে মাঠে নামে বিটিআরসি। শেষ পর্যন্ত এই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়লো।

ইতিহাস: ১৯৯২ সালে ভারতের হিন্দু সন্ত্রাসিদের কর্তৃক বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার দৃশ্যের ভিডিওটি সবাই সংগ্রহে রাখুন নয়ত ইতিহাস হারিয়ে যাবে



ভারতের মোঘল স্থাপনার অন্যতম পবিত্র বাবরি মসজিদ এর সংঘাতের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ বাবরি মসজিদ হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে আলোচিত মসজিদের নাম। বাবরি মসজিদ’র অর্থ হলো বাবরের মসজিদ। ১৫২৭ সালে মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে নির্মিত হয় বলে এর এইরকম নামকরণ হয়। মসজিদটি ভারতের উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলের উপর অবস্থিত।

১৯৯২ সালে ভারতের হিন্দু সন্ত্রাসিদের কর্তৃক বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার দৃশ্যের ভিডিওটি সবাই সংগ্রহে রাখুন নয়ত ইতিহাস হারিয়ে যাবে।




১৯৯২ সালে ভারতের উগ্র হিন্দু রাজনৈতিক সমাবেশের উদ্যোক্তারা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ল এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শুরু করে। যা দেড় লক্ষ লোকের সম্মিলিত একটি দাঙ্গার রুপ নেয়। এই দাঙ্গার ফলে মসজিদটি সম্পূর্ণরুপে ভূমিসাৎ করে দেয় হিন্দুরা। ফলস্বরুপ ওই একই সালে ভারতের প্রধান শহরগুলোতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হতে থাকে। ছড়িয়ে পড়া এসব দাঙ্গার মধ্যে কেবলমাত্র মুম্বাই ও দিল্লীতেই হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায়।

১৮৫৩ সালে প্রথম রেকর্ডকৃত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আওয়াধের নওয়াব ওয়াজিদ আলী শাহের সময়ে নির্মোহিস নামে একটি হিন্দু গ্রুপ দাবি করে, বাবরী মসজিদটি সম্রাট বাবরের আমলে একটি মন্দির ভেঙ্গে তৈরি করা হয়েছে। এরপর দুবছর ধরে বারবার এ নিয়ে সংঘর্ষ হয় এবং প্রশাসন সেখানে মন্দির নির্মাণ অথবা ধর্মস্থান হিসাবে একে ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন।

১৯০৫ সালের ফয়জাবাদ জেলার গেজেটিয়ারের মতে, ১৮৫৫ সালের আগ পর্যন্ত হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায় এ ইমারতটি ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করত। কিন্তু ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময় থেকে মসজিদের বহির্গমন পথ পর্যন্ত মসজিদের জন্য সংরক্ষণ এবং ভেতর আঙ্গিনায় হিন্দুদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়, বাইরের অঙ্গনকে (চাবুত্রা) হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে সেখানে কোন মন্দির ছিল না।

১৮৮৩ সালে হিন্দুরা চাবুত্রায় মন্দির নির্মাণ শুরু করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ১৮৮৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সেখানকার ডিসি মন্দির নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। রঘুবীর দাস নামে এক হিন্দু মহন্ত ফয়জাবাদ সাব-জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পন্ডিত হরিকৃষ্ণ মসজিদের বহিরাঙ্গনে চাবুত্রায় ১৭২১ বর্গফুটের একটি মন্দির নির্মাণের দাবি জানান। কিন্তু মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। ১৮৮৬ সালে মন্দির নির্মাণের আরো ২টি আপিল খারিজ হয়ে যায়। প্রথম পর্যায়ের এই আইনি লড়াইয়ে হিন্দুরা পরাজিত হয়। ১৯৩৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় মসজিদের চারপাশের দেয়াল এবং একটি গম্বুজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৃটিশ সরকার তা পুনঃনির্মাণ করে দেয়।

১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পুলিশ প্রহরা থাকা সত্ত্বেও রাম-সীতার মূর্তি মসজিদের ভেতর স্থাপন করে হিন্দুরা।

১৯৪৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর অযোধ্যা পুলিশ স্টেশনে এক এফআইআর দায়ের করা হয়। তাতে বলা হয়, ৫০-৬০ জনের একটি দল মসজিদ আঙ্গিনার দরোজার তালা ভেঙ্গে অথবা দেয়াল টপকে মসজিদের ভেতরে ঢোকে এবং ভগবান মূর্তি ও সীতা-রামের ছবি স্থাপন করে। এরপর ৫-৬ হাজার উগ্রবাদী হিন্দু মসজিদে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে এবং ধর্মীয় শ্লোগান দেয়। সেখানে পুলিশের সাথে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

১৯৫০ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোক আদালতে দু’টি ল স্যুট করেছিলেন। এর মধ্যে একটি করা হয়েছিল ১৯৫০ সালের জানুয়ারি মাসে। এ বিষয়ে বিচারিক আদালত একটি অন্তবর্তী নির্দেশনা দিয়েছিলেন আর তা হলো- যেখানে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল সেখানেই থাকবে তবে, আঙিনা তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছিল এবং সেখানে ভক্তদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

১৯৫৫ সালে এ নির্দেশনা হাইকোর্ট নিশ্চিত করেছিল। এরপর ১৯৮৬ সালে রাজিব গান্ধি সরকারের এক সিদ্ধান্তে মসজিদের আঙিনার তালা খোলা হয় এবং সেখানে ভক্তদের জন্য বার্ষিক পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়।

হাইকোর্টের স্থিতি অবস্থা এবং রাজিব গান্ধি সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা সহজ হয়। কিন্তু, উত্তর প্রদেশ সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং বার বার মসজিদ রক্ষার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারা তাদের সেই কথা আর রাখেননি।

পরবর্তীতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অ্যাকুইজিশন অব সারটেইন এরিয়া অ্যাট অযোধ্যা অ্যাক্ট নামে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এক সময় যেখানে বাবরি মসজিদ অবস্থিত ছিল সেখানকার নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নেয় সরকার।

সুপ্রিমকোর্টও অধিগ্রহণের বিষয়টি সমর্থন করে। এর ফলে, হয়তো অযোধ্যা পরিস্থিতির কিছুটা সামাল দেয়া গিয়েছিল কিন্তু, ভারতের বহু জায়গায় বিশেষ করে মুম্বাইসহ বেশ কিছু জায়গায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে বাবরি মসজিদ মামলা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনো বেঞ্চের রায় সম্মানের সঙ্গে মেনে নেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেওবন্দের দারুল উলুম মাদরাসা।
এবং ভারতে অযোধ্যা কমপ্লেক্স সংক্রান্ত রায়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের শান্ত ও সংযমী থাকার আবেদন জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

উল্লেখ্য, এলহাবাদের হাইকোর্টের রায়ে নিশ্চিতভাবে মুসলমানদের ঠকানো হয়েছে যেখানে একজন বিচারপতি স্পষ্টতই বলেছেন যে, বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির ছিলো না। সেখানে দুই ভাগ জমি হিন্দুদের দেয়া বিচারপতির বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক। প্রদত্ত রায় বেশামাল

হিন্দুরা গেন্ডারিয়ায় মসজিদের জায়গা মন্দিরের বলে দাবী করেছে। কাল আপনার জায়গা নিজেদের বলে দাবী করবে।

হিন্য় মসজিদের
জায়গা মন্দিরের বলে দাবী করেছে
https://goo.gl/c3cFXR ।
কাল আপনার জায়গা নিজেদের বলে
দাবী করবে।
কয়দিন পরে বলবে এই বাংলাদেশের
মুসলমানের সকল সম্পত্তি-ই তাদের।
এভাবেই হিন্দুদের মাত্রাতিরিক্ত
স্পর্ধা বেড়ে গেছে।
মুসলিম এই দেশের মুসলমানদের তারা
কোন তোয়াক্কাই করছেনা।
কারন সরকার তাদের এই আস্কারা
দিয়েছে।
মুসলিম এই দেশে মুসলমান আজ হিন্দু কতৃক
নির্যাতিত।
নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি এর জন্য দায়ী
নয় তো ?
কারন আপনি -
হিন্দুদের শত্রু মনে করেননা,
হিন্দুদের বন্ধু মনে করেন,
হিন্দুদের ভাই মনে করেন,
হিন্দুদের পুজোয় যান ,
হিন্দুদের চ্যানেল দেখেন,
হিন্দুদের আপনার ব্যবসার বড় পদে বসান,
হিন্দুর দোকান থেকে কেনাকাটা
করেন,
হিন্দুদের সাথে ব্যবসা করেন,
হিন্দুদের অপকর্মের প্রতিবাদ করেননা।
যার কারনে আপনি যাদের বন্ধু মনে
করে কাছে টেনে নিচ্ছে তারাই
আপনার পিঠে চুরি মারতে দ্বিধা
করছেনা। যার প্রমান তারা বারবার
দিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু আপনি বুঝছেননা।
যদি নিজেকে সত্যিকারের মুসলিম
মনে করেন তাহলে আপনার কাছে
আহবান জানাই-
হিন্দুদের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করুন।
এদের বয়কট করুন।
এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করুন।
প্রমান করে দিন সরকার এদের গোলাম
হতে পারে , আপনি নন।
আছে সে হিম্মত ?


ক্যাপশন যোগ করুন

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

ভারতের শিশু খামার’র সন্ধান, বিক্রি হচ্ছে মানবশিশু

 ডেস্ক: এতোদিন ধরে গরু, ছাগল আর মুরগির খামারের কথা শোনা গেলেও এবার ভারতে সন্ধান মিলেছে মানব শিশুর খামারের। দেশটির মধ্যপ্রদেশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযানে চালিয়ে ওই ‘শিশু খামার’ আবিষ্কার করেছে স্থানীয় পুলিশ। তারা জানায়, অনাকাঙ্খিতভাবে জন্ম নেয়া সদ্যোজাতদের বিক্রি কিংবা বিনিময় করা হয় এখানে।

পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, সম্ভ্রমহরণ কিংবা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ফলে গর্ভবতী হওয়া নারীদের প্রসবের ব্যবস্থা করা হয় মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র জেলার পলাশ হাসপাতালে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো ওই অভিযানে সেখান থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে বাকিদের আগেই বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

এ ঘটনায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দাসত্ব এবং পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতীক কুমার জানায়, তরুণীদের কাছ থেকে ‘অনাকাঙ্খিত’ শিশু সংগ্রহে নিজস্ব এজেন্ট ব্যবহার করতো ৩০ শয্যাবিশিষ্ট ওই হাসপাতালটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছে, ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে অনেক মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তার মা-বাবা যখন তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয় তখন এ ধরনের হাসপাতালের চিকিৎসকরা মেয়েদের নিরাপদ ও গোপন প্রসবের নিশ্চয়তা দেয়, যাতে মেয়েরা গর্ভপাত না ঘটায়।’ শিশু জন্ম নেয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্য কোনো দম্পতির কাছে শিশুটিকে বিক্রি করে দেয়।

পুলিশ জানায়, অনেক দম্পতি কন্যাশিশু বদল করে ছেলেশিশু কিংবা ছেলেশিশুর বদলে কন্যাশিশু নিয়ে থাকে হাসপাতালটি থেকে। এভাবে হাসপাতালে চলে শিশু বদলের কাজও। স্থানীয় এক দম্পতির দুটি ছেলেশিশু থাকায় তারা একটি ছেলেশিশু হাসপাতালে দিয়ে এখান থেকে একটি কন্যাশিশু নিয়ে নেয় বলেও জানিয়েছে পুলিশের এক কর্মকর্তা

ইমরান সরকারের হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিলেন সাংবাদিক মাকসুদা ঐক্য... প্রকৃতপক্ষে ইমরান এইস সরকার কি!!

অনলাইন প্রতিবেদক: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তনয়া সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা চেষ্টার গোপন ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন বিতর্কিত সাংবাদিক শফিক রেহমান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারি দাবিদার গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের নিন্দা জানান। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় তুমুল সমালোচনার ঝড়। তার অবস্থান দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার রূপ নেয়। প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়ও তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আমি আশ্চর্য্য হয়েছি ইমরান সরকারের বিষয়ে। সম্ভবত শেষ পর্যন্ত তার আসল চেহারাটা উন্মোচিত হলো। এটা দেখে মনে হচ্ছে সে আমাদের বেশিরভাগ সুশীলের মতই, আরেকটা সুবিধাবাদী এবং মিথ্যাবাদী। হয়তো বিএনপি তাকে পয়সা দিয়েছে। কে জানে। যেভাবেই হোক, আমি তার প্রতি সব শ্রদ্ধা হারিয়েছি। তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে আমাদের সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আমি আমার সকল বন্ধু এবং ভক্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা তাকে অনুসরণ করেন তারা তাকে ফেসবুক থেকে আনফলো/আনফ্রেন্ড করুন। সে একজন অপরাধীর হয়ে কথা বলছে যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।’

এমনি এক মুহুর্তে একসময় ইমরান এইচ সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত গনজাগরন মঞ্চের সেসময়কার পরিচিত মুখ বিটিভির নারী সাংবাদিক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য জানালেন ইমরান এইচ সরকার ও তার পরিকল্পনা নিয়ে একগাদা নতুন চমক দেয়া তথ্য।

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ইমরান এইচ সরকারের ‘অজানা সব অপকর্মের ইতিহাস’ ফাঁস করার দাবি জানিয়ে কি প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য।

ফেসবুকে সাংবাদিক মাকসুদা সুলতানা ঐক্য’র ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত লেখা থেকে চৌম্বক অংশ এখানে নিউজ নাইন২৪ডটকম’র পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো-

আমি জানি আমার এই লিখা অনেকের পছন্দ হবে না । আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য করে আমায় বিব্রত করার চেষ্টা করতেও দ্বিধান্বিত হবেন না , তবু আমাকে যে বলতেই হবে … আর যে চুপ থাকতে পারছিনা কি করবো বলুন ! না হলে যে বিবেক আমায় ছাড়বে কেন … ??

আমি নিজে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত এটা আশা করি কম বেশী সবাই জানেন , তাই বলে দল কানা ! সেটা ভাবলে কিঞ্চিত ভুল হবে । আমি সত্যির পথে আছি এবং আজীবন থাকতে চাই আর সে কারনেই যার যতো টুকু দোষ আমি তা বলতে ভঁয় করিনা । তাই আসুন আগে নিজেদের ভুল গুলো জানি ……।

ছাত্র লীগ এর আপাদমস্তক সবাই যে একেবারে ধোঁয়া তুলশী তা কিন্তু নয় । বরং অতি উৎসাহী কিছু মানুষ বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের বেশ ধরে দেশের অনেক জাগায় নানা ধরণের অপকর্ম ইতোমধ্যে করেছে এবং এখনো করে চলছে সেটা যে কতোখানি সত্যি তা বোধ করি পাগলেও বুঝে । ….

আমি আসি আমার নীড়ে … গণজাগরণে … হুম পুরনো কিছু কথা না তুল্লে যে আজ আর হচ্ছে না । সংগত কারণেই কিছু পুরনো কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্ল্যেখ আমাকে করতেই হবে তা নাহলে আমার তথ্য অসম্পূর্ণ থেকে যাবে আর সেটা আমি নিজেই মানতে পারবো না তাহলে সবাই মানবে এই আশা আমি করবো কি করে ?

গণজাগরণ মঞ্চের শুরুর কথা সবাই জানেন তাই অই দিকে আর যাচ্ছিনা । ইমরান এইচ এর উত্থান ও সবাই জানেন । কিন্তু শুরু থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কম্যান্ড যে সেই আন্দোলনের কতোখানি ভুমিকা রেখেছিল সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না ,অথবা কিছু মানুষ জানলেও শুধু ক্যামেরার সামনে বড় বড় কথা বলতে দেখেন নি বলে ভুলেই গেছেন । ওখানে এইচ রা যেমন ফেম চেয়েছেন জনগণ ও তাঁদের নিরাশ করেন নি প্রান উজার করা ভালোবাসা আর আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন তেমন ভাবেই । কিন্তু কথায় বলে না “ডোবার ব্যাঙ পুকুরে গেলে খেই হারিয়ে ফেলে ” সেখানে ও ঠিক তাই হয়েছিল তাও সবাই দেখেছেন । গ্রুপ থেকে প্রকৃত সহ যোদ্ধাদের ছাঁটাই করেছেন নিজের অস্তিত্ব কে মজবুত করার স্বার্থে ।

শুরুর কিছু দিন পর থেকেই ধান্দাবাজিটা চলছিল ভেতরে ভেতরে কিন্তু এতই চতুরতার সাথে সে কাজ গুলো করছিলেন যে বাহিরে থেকে বুঝতে পারবে সে সাধ্য কারো নেই । কিন্তু এই ছাত্র লীগের কিছু ভালো পোলাপান সেটা ধরে ফেলেছিল ।

..এদিকে মাসের পর মাস গড়াতে থাকে আর ইমরান এইচ বড় নেতা বনে যায় … সেই সাথে তার ব্যাবসা ও রমরমা হয়ে ওঠে এদিকে অর্থ বৃদ্ধির সাথে সাথে তার গ্রুপের সদস্য ও পরিবর্তন হতে থাকে । এদিকে মেহেদী বা আমাদের মধ্যে কেউ ওদের সাথে কোন রকম বিবাদে না জড়িয়ে চুপ হয়ে যাই আর আমাদের গণসাক্ষর কর্মসূচি চালাতে থাকি । ….

..ততদিনে চেতনা ব্যাবসায়ী বিভিন্ন মহল এসে যুক্ত হয় ইমরান এর সাথে ঝাপিয়ে পরে আন্দোলনের নামে চান্দাবাজির ধান্দায় , বাংলাদেশের বড় বড় শিল্প পতিদের কাছে নামে বেনামে টাকা চেয়ে টেলিফোন যেতে থাকে । যে টাকা দিতে অসম্মতি জানায় তাঁকে রাজাকার উপাধি দিয়ে মঞ্চ থেকে শ্লোগান দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিতে থাকে । আর সে সময় আসলেই গন জোয়ার দেখে অনেকেই সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে যায় , পাছে তার নামের আগে রাজাকার নামক শব্দটা না জুড়ে যায় সেই ভয়ে তাঁরা টাকা বিলাতে থাকে । তবে হ্যাঁ অই টাকার সব ই যে ইমরান এর কাছে গেছে তা কিন্তু নয় , বরং পাশে পাশে যে সব সুবধাভোগী গ্রুপ ঘুরত তাঁদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যেতো । আর এইচ তখন নেতা হলেও এতো বিচক্ষনতা কই যে সব দিক একা সামাল দিতে পারবে ? তাই হরি লুটের মালের মতো যে যেভাবে পেরেছে কামিয়ে নিয়েছে।

কিন্তু প্রকৃত যারা সত্যিকারের আন্দোলনকে ভালোবেসে ওখানে দিন রাত পরে থাকতো তাঁরাও বাইরের এসব ধান্দা সম্পর্কে একেবারেই ধোঁয়ার মধ্যে ছিল। কারন ওরা তো সত্যিকারের দেশপ্রেমী তাই ধান্দার দিকে খেয়াল ও ছিল না ।

…তখনি আমি রুদ্র সাইফুল নামের এক আন্দোলন এর সৈনিক এর কাছে গল্প শুনেছিলাম ওদের মধ্যে কে যেন একজন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোটি থাকার মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে ধান্দা করেছে ( তবে হ্যাঁ রুদ্র সাইফুলের কথার সত্যতা আমি নিশ্চিত কোরতে পারবো না কারন ওটা আমি নিজে কনফার্ম নয় ) ।

এদিকে সাধারণ কর্মীরা কিন্তু সত্যি খেয়ে না খেয়ে এমনকি ৩/৪ দিন এক নাগারে না ঘুমিয়েও রাস্তায় পরে ছিল গোসল আর বাথ রুম সার তো কখনো বারডেম হাঁসপাতালে , কখনো বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল এ আবার কেউ কেউ ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন হলে , চারুকলায় , আবার কখনো শাহাবাগ থানায় ও । আর তথাকথিত নেতা আর কিছু চামণ্ডা তখন থাকতেন রূপসী বাংলা হোটেলের বিলাশ বহুল রাজকীয় কামরায় । কিন্তু মাঝে মধ্যেই ওখানে পেট পূর্তি খেয়ে এসেও তাঁরা আন্দলনের পোলাপানদের সাথেও অভুক্তের অভিনয় তা ভালোই করতেন সবার সাথে বসে নিজে খাবার ভাগ করে খাইয়েছেন । আর চেহারায় রাতজাগা ভাব বুঝানোর জন্য ও নাকি কি সব পদ্ধতি আছে সে সব করতেন এটা অবশ্য ডাক্তার ভালো জানেন ।

আর তখন আমাদের আন্দোলনের সমর্থন জানাতে জাতীয় সংসদের শুধু মন্ত্রী , এম পি নয় বরং সেক্রেটারি , এডিশনাল সেক্রেটারি , জয়েন সেক্রেটারি, ডেপুটি সেক্রেটারি সহ মাননীয় স্পীকার , ডেপুটি স্পীকার এর প্রতিনিধিগণ প্রায় প্রতিদিন ই জেতেন আমাদের মানসিক সহানুভুতি যোগাতে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর ডিজি সাহেব নাকি ঘুমাতেই পারতেন না আমাদের আন্দোলন এর সবাই কে এক নজর না দেখতে পারলে । আর তখন সে সময়ের সংসদের ডেপুটি স্পীকার মহোদয়ের নিজের একটা সংগঠনের নিজস্ব প্যান্ডেল ও সেখানে চলছিল যেখান থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি ওর স্যালাইন বিস্কিট সহ বিভিন্ন খাবার সরবরাহ করা হতো যার যোগান দিতেন ডেপুটি স্পীকার মহোদয় ।

আন্দোলন যখন মানুষের হৃদয়ের অংশ হয়ে উঠেছে ওদিকে ধান্দাবাজরা তখন নিজের আখের গুছানর কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে সরকারের মদদ আর সহানুভূতির আড়ালে । বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলো কিন্তু সে খবর আপনাদের দিতে পারেনি কারন তখন তাঁরাও ছিল স্রোতের সাথে মিশে এইচ এর প্রচারনায় ব্যাস্ত । ……… আজ এটুকুই কাল আবার লিখবো … এম্নিতে পুরানো প্যাঁচাল আর ভালো লাগবে না কিন্তু ভেতরের সত্যি গুলো না জানলে সবাই সরকার / আওয়ামীলীগ বা ছাত্র লীগ কে শুধু ভুল বুঝে যাবেন , তাই বাধ্য হয়ে কিছুটা জানাতেই আমি মুখ খুলেছি …।। সাথে থাকুন আরও আছে …… কেউ কেউ হয়তো বলবেন এই গুলা তো জানি নতুন কিছু বলুন তাঁদের বলছি নতুন ও আছে একটু অপেক্ষা করুন …

গনজাগরণ মঞ্চ ( মুখপাত্র ) বনাম ছাত্র লীগ / আওয়ামী লীগ / সরকার /মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রজন্ম – ০২ পর্ব
====================================================ঐ দিকে যেমন ইমরান এইচ বাহিনী টাকার বালিশে মাথা দিয়ে দিন কাটাচ্ছে আর এই দিকে আমাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দের অবস্থা একটু বলি …

হ্যাঁ আমাদের মধ্যে ও যে কেউ টাকার ধান্দার চেষ্টা করেনি তা বললে মিথ্যা বলা হবে , আমাদের মাঝে ও মাহবুব নামের একজন ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলাতে দেখেছি । সে একবার ইমরানের তাবু টে যায় আবার আমাদের কাছে ফিরে আসে , কোন এক কালে আমাদের প্রধান মন্ত্রীর সাথে তার দাঁড়ান একটা ছবি লেমিনেটিং করে সব সময় ব্যাগে নিয়ে ঘুরত । আর সুযোগ পেলেই সে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বলে সে ছবিটা সবাইকে দেখাত । তখন সে ওটা বেঁচে একটা ফায়দা নেওয়ার তালে ব্যাস্ত থাকতো … কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কম্যান্ডের মেহেদী এবং আমি সব ই বুঝতাম কিন্তু আন্দোলনের স্বার্থে চুপ করে থেকেছি কারন সে ওসব যা ই করুক আমাদের দলের হয়ে অনেক পরিশ্রম করতো পরে বুঝতে পেরেছি ওটা আসলেই একটা ধান্দাবাজ ছিল । কারন যখনি কোন টিভি ক্যামেরা আমাদের অই পথ দিয়ে আস্ত ওমনি মাহবুব দৌড়ে গিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে হাজির হতো , অথচ আমি আর মেহেদী সব সময় ই ক্যামেরা এভয়েড করতাম । এমন কি আমি যখন দলীয় কেউ আসলে তাঁদের ছবি তুলতাম ঠিক তখনো কোথা থেকে মাহবুব এসে সেই নেতাদের পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলতে ব্যাস্ত হয়ে যেতো …। এসব দেখে আমি আর মেহেদী তাঁকে আমাদের কাছ থেকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দিতে থাকলাম । তখন দেখতাম সে আবার ঐ গ্রুপের সাথে ঘেঁষতে চলে যেতো ।

আর আমাদের খাবার আর গণসাক্ষরের কাপড় , সিগনেচার পেন ছাড়া আনুসাংগিক খরচ কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কম্যান্ড , আওমিলীগ এর আরও ২/৩ জন সরবরাহ করতেন , তবে সেটা অবশ্যই টাকার বাণ্ডিলে না । আমরা আমাদের চাহিদা পত্র পাঠাতাম আর সেই অনুযায়ী তাঁরাই কিনে পাঠাতেন । কিন্তু সব সময় ই আমাদের নগত টাকার প্রয়োজন হতো তারপর ও আমরা কারো কাছ থেকে নগত টাকা ইচ্ছে করেই নেই নি …

…তার ও আগের কথা তখন শাহাবাগ আর আন্দোলনের যায়গায় ছিল না ওটা ছিল একটা ফুর্তি করার পার্ক সন্ধ্যা হলেই দলে দলে মানুষ এসে নাচ গান সহ বিভিন্ন ধরণের কর্মকাণ্ড চালাতে শুরু করলো , আর ইমরান তার ধান্দাবাজি ধরে রাখতে আজ সরকারের পক্ষে কাল সরকারের বিপক্ষে একে দিন একেক বাহানা তুলে মাঠ গরম রাখার চেষ্টায় ব্যাস্ত … এক একবার মনে হতো ও ই দেশের প্রধানমন্ত্রী । যতো বড় মুখ নয় ততো বড় কথা বলেই চলছিল । কখনো সরকার কে চ্যালেঞ্জ করার সাহস ও দেখিয়ে ফেলত । আর সারা দেশের মানুষের কাছে টিভি ওর বন্দনা দেখে ও যা বলে তাই করা শুরু করলো । আর ইমরান এইচ সরকার “প্রিয় দেশবাসী ” বলে ভাষণ দিতে লাগলো । আজ এই কর্মসূচি ঘোষণা কাল অই কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে মিডিয়া চাংগা করে রাখত ।
আর মনে করে দেখুন সারা দেশে এমন কি পাড়ায় মহল্লায় দিনে দিনে নিত্য নতুন ব্লগার গ্রুপ তৈরি হল , যারা জীবনে এক লাইন লিখেনি তাঁরাও বিশাল বিশাল রিপোর্ট লিখতে শুরু করলো । ওটা তখন একটা ক্রেজ এ পরিনত হয়ে গেলো । অনেকেই ফেসবুকের আই ডি তে নিজের ব্যাক্তিগত পরিচয়ের যায়গায় নিজেই ব্লগার শব্দটা যুক্ত করে দিতে শুরু করেছিল । আর ইমরানের বানী তাঁরা দৈব বানীর মতো শুনতে থাকলো ।

….কারন ২৬ মার্চ ২০১৩ এর আগে থেকেই ইমরানের আসল রূপ সরকার বুঝতে পেরেছিলেন তাই তখন মানে আন্দোলনের ১ মাস পরেই সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ওকে সংযত হয়ে কথা বলার বা ভাষণ দিতে নির্দেশ দিতেন । এমন কি যখন ৩১/০৩/২০১৩ তারিখে ইমরান এইচ সরকার জাতীয় সংসদ ভবনে গণ স্বাক্ষরের স্মারকলিপি জমা দিতে গণজাগরণে আশা মানুষের মিছিল নিয়ে শাহাবাগ থেকে পায় হেটে রওনা হয়েছিল তখন প্রতিটি স্পটে স্পটে সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ঝগড়া হয়েছে সেটা হয়তো কিছুটা হলেও মিডিয়ার সুবাদে আপনারা জানেন । তারপর অনেক ঝামেলা পার করে যখন সংসদ ভবনের গেটে আসলো তখন ভেতরে ঢোকার পারমিশন দিচ্ছিল না । তখন আমি নিজে মাননীয় স্পীকার মহোদয় কে অনুরধ করে এবং আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে মত ৮ জনকে মাননীয় ডেপুটি স্পীকার মহোদয়ের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তরের ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলাম । যার প্রমাণ আমার কাছেই এখনো আছে । জাতীয় সংসদের অভ্যন্তরে ব্যাক্তিগত ক্যামেরা চালনার পারমিশন না থাকলেও আমি সেখানে আমার ক্যামেরায় সব বন্ধি করে নিয়েছিলাম , কারন আমি ভেবেছিলাম জীবনে কোন না কোন দিন এই প্রমাণ গুলো আমাদের সংগঠনের জন্য প্রয়োজন হতে পারে । ওখানে কিন্তু কোন টিভি চ্যানেল বা প্রিন্ট মিডিয়ার ক্যামেরা ও ছিল না তাই ভেতরের খবর ভেতরেই থেকে গেছিলো ।

এবার বলুন সরকার / আওয়ামীলীগ যদি সত্যিকারের ইমরান এইচ কে তার ওসব অপকর্ম জানার পরেও প্রশ্রয় দিতেন তাহলে আন্দলনের মাত্র ২ মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই কেন এই আচরণ করেছিল ? কেন তাঁকে জাতীয় সংসদে ঢুকতে বাঁধা দিয়েছিলো ? সত্যি তা হল সরকার ইমরান এইচ কে নয় বরং সত্যিকারের দেশ প্রেমী মানুষের আন্দোলন কে সন্মান দেখিয়ে শান্ত ছিলেন । আর আমাদের দেশের মিডিয়া গুলো ও তখন সরকারের বিপক্ষে যার যতো অসন্তোষ ছিল তখন ঐ গণ জোয়ারে এক ঢিলে সব পাখি মারার প্রবনতাও বোধ করি সবাই দেখেছেন ।
তাই কি আর করা সরকার তার বিচক্ষণতা দেখিয়েছিলেন মাত্র । নিজ দেশে বাস করা শত্রুদের সাথে আমাদের আন্দলনরত মানুষের গৃহ যুদ্ধ যাতে না বাঁধে সে জন্যই চুপ ছিলেন । কারন আওয়ামীলীগ সরকার খুব ভালো করেই জানতেন ঠিক সেই মুহূর্তে সরকার প্রকাশ্যে যদি গণ জাগরণের তথা ইমরান এর বিপক্ষে কোন বক্তব্য দেন ঠিক সেই মুহূর্তেই দেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বিষধর সাপের হিংস্র ছোবলের কবলে পরে প্রান হারাবে সারা দেশের নিরপরাধ প্রকৃত দেশপ্রেমী অগণিত মানুষ । তাই সরকার তখন জনগণের স্বার্থেই নীরবতাকে শান্তি রক্ষার পথ হিসেবে বেছে নিয়েছিল । কিন্তু ভিতরে ভিতরে যা চলছিল সেটা সরকার ই ভালো জানেন তবে আমরা যারা খুব কাছে থেকে দেখেছি তাঁরা কিছুটা হলেই আচ করেছি ……

আজ আর নয় সরি অনেক বড় হয়ে গেলো বলে ////…… চলবে … এর পর আসবো ইমরান এইচ এইচ এর রানা প্লাজা ভবন ধ্বসের ব্যাবসা এবং ১৬ ডিসেম্বরের জাতীয় সংগীতের অজানা কথায় …। ভালো থাকুন সবাই সব সময়

বিশ্বে পর্নো দেখায় শীর্ষে আমেরিকা, ভারত তৃতীয় || তাহলে মুসলিমদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয় কেনো! যার কোনো ইসলাম ধর্মিয় ভিত্তি নেই।

অনলাইন প্রতিবেদক:

নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতা বেড়ে চলেছে বিশ্বজুড়ে। মোবাইল, ট্যাবের যুগে পর্নগ্রাফি দেখার জন্য আর নির্জনতা খুঁজতে হয় না। তালুবন্দি মুঠোফোনে চাইলেই হাজির করা যায় নিষিদ্ধ ভিডিও। পার্শ্ববর্তী দেশের প্রভাবে চরিত্র ধ্বংসকারী পর্নোগ্রাফি দেখার বিপথগামীতায় গা ভাসিয়েছে আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মও।

কোন দেশে বেশি পর্নো আসক্ত বা কোন দেশে পর্নো সার্চ হয় বেশি এ নিয়ে আলোচনা-প্রচারণার অন্ত নেই। শুধু পর্নো নিয়ে জরিপ গবেষণাকারী পর্নহাব’র দেওয়া তথ্য অনুসারে যে দেশগুলো সবেচেয়ে বেশি পর্নো দেখে তার মধ্যে রয়েছে-



ছবি: পর্নহাব প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি পর্নো দেখা দেশসমূহের তালিকা

১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ২) ব্রিটেন, ৩) ভারত, ৪) কানাডা, ৫) জার্মানি, ৬) ফ্রান্স, ৭) অস্ট্রেলিয়া, ৮) ইতালি, ৯) ব্রাজিল, ১০) মেক্সিকো, ১১) রাশিয়া, ১২) জাপান, ১৩) স্পেন, ১৪) নেদারল্যান্ড, ১৫) পোল্যান্ড, ১৬) ফিলিপাইন, ১৭) সুইডেন, ১৮)আর্জেন্টিনা, ১৯) রুমানিয়া, ২০) বেলজিয়াম

পর্নো সার্চে বিশ্বের ১০টি শহরের মধ্যে ৭টি ভারতে:
সমীক্ষা বলছে,  পুরো ভারতই দেশই এখন পর্নোগ্রাফিতে বুঁদ। নীল ছবির ৯০ লক্ষ দর্শক রয়েছে শুধু মোবাইলেই।
যা পুরো ইন্টারনেট ট্রাফিকের ৩০ শতাংশ। ভারতের বড় সংখ্যক নাগরিক ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির নিয়মিত কাস্টমার।

আর এর ফলস্বরূপ পর্নোগ্রাফি দেখায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। গুগলের ওই সমীক্ষায় পাকিস্তান রয়েছে এক নম্বরে। স্মার্টফোন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট আর হাই স্পিড ডাটা সার্ভিস পর্ন ভিডিও আদানপ্রদানের বিষয়টিকে সহজ করেছে। ফলে অনায়াসে স্কুল ছাত্র থেকে সিনিয়র কর্পোরেট অফিসার, সবার কাছে রগরগে ভিডিও পৌছে যাচ্ছে অনায়াসে। দেওয়ান লিখনটাও তাই স্পষ্ট। গুগলের সমীক্ষা বলছে, সারা বিশ্বে যে দশটি দেশে সবচেয়ে বেশি পর্ন ভিডিও দেখা হয়, তার মধ্যে সাতটি শহর ভারতের। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতাও।


ছবি: পর্নো দেখায় ভারতের শীর্ষ ১০টি প্রদেশ (২০১৪)

২০১৪ সালে ডেইজইনফো পর্নো দেখায় ভারতের শীর্ষ ১০টি প্রদেশের তালিকা প্রকাশ করে। যেখানে প্রথম স্থান দখল করে আছে মিজোরাম, দ্বিতীয় দিল্লি এবং তৃতীয় স্থানে মেঘালয়া। পর্যায়ক্রমে- মহারাষ্ট্র, নাগাল্যান্ড, চাঁদিগড়, আসাম, রাজস্থান, উত্তরখন্ড এবং পাঞ্জাব।



ভারতে ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ সার্চ দেয়া হয়েছে যেসব শব্দ দিয়ে তার তালিকা-


বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অনলাইন পর্নো ধারণকারী দেশ:
১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ২) নেদারল্যান্ড, ৩) ব্রিটেন, ৪) জার্মানি, ৫) ফ্রান্স, ৬) কানাডা, ৭্) জাপান, ৮) অস্ট্রেলিয়া, ৯) ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, ১০) চেক রিপাবলিক, ১১)ইউক্রেন, ১২) তাইওয়ান, ১৩) স্পেন, ১৪) বাহামাস, ১৫) অস্ট্রিয়া, ১৬) সুইজারল্যান্ড, ১৭) বেলজিয়াম, ১৮) রাশিয়া, ১৯) হাঙ্গেরী, ২০) পোল্যান্ড।
www.sabuz13.blogspot.comhttp://newsnine24.com/2599-2/#respond

আগর চাষে শতকোটি টাকার বৈদেশিক আয়ের সম্ভবনা || জানেন আগর গাছ কি!!



ডেস্ক: একটা সময় ছিলো যখন সারা পৃথিবীতেই বাংলাদেশ ছিলো সুগন্ধি আগর চাষের জন্য বিখ্যাত। বৃহত্তর সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চল ছিলো আগর গাছে সমৃদ্ধ। বিদেশি ব্যবসায়িরা এসব আগর সংগ্রহ করে পাঠাতো আরব-ইউরোপে।
সুগন্ধি উপাদান হিসেবে আরব শেখ আর ইউরোপীয়দের মাঝে ব্যাপক চাহিদা ছিলো সিলেটের আগরের।
কিন্তু আগরের সেই দিন আর নেই। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আর অবহেলায় সিলেটের বনাঞ্চল থেকে আগর গাছ বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। অথচ একটু মনোযোগ দিলেই এই আগর চাষ থেকে সম্ভব শত কোটি টাকার বৈদেশিক আয়।
আগর গাছ একটি ঔষধী গাছ। আগর চাষের জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়া খুবই উপযোগী। আগরের তেল, বাকল, আগরবাতি ও সুগন্ধি খুবই উপকারী।

সিলেটের বনাঞ্চল থেকে আগর গাছ হারিয়ে যাওয়ার পথে হলেও এখনও মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আগরের তেল উৎপাদিত হয়। জানা গেছে, বছরে উৎপাদিত হয় মাত্র ১ হাজার ৫শ‘ লিটার তেল।

আগর কাঠের অভাবে বর্তমানে আগর কারখানাগুলো বছরে ৬ থেকে ৭ মাসের বেশি উৎপাদন কার্যক্রম চালাতে পারছে না।
সম্প্রতি বাংলাদেশে আগর চাষের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে। সেখানে তুলে ধরা হয় আগর চাষ ও আগর শিল্পের সম্ভাবনার নানা দিক।

আগর গাছ হতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত। এ ব্যাপারে প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুছ আলী বলেন, আগর গাছ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এজন্য আগর থেকে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রফতানি করতে হবে।
তবে বাংলাদেশ থেকে আগর গাছ বিলুপ্তপ্রায় হওয়ার পেছনে অন্যতম দায়ী হলো এর ক্ষয়ে যাওয়া রোগ। এই রোগের প্রতিকার খুঁজে বের করতে আগর রক্ষায় গবেষণার ওপর জোর দেন পরিবেশ ও বন সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আগর আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী বনজ সম্মদ। আগর গাছ কেন ক্ষয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। কিভাবে আগর চাষে সফল হওয়া যায় সেই বিষয়ে চিন্তার সময় এসেছে।

কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রচুর চারা উৎপাদন করতে হবে। আগর গাছ কি সমস্যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে তা শনাক্ত করে সমাধান করতে হবে। অর্থকরী সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে বিদেশে বাজার সৃষ্টি করতে হবে। বর্তমানে স্বল্পপরিসরে সনাতন পদ্ধতিতে আগর শিল্প চলমান। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগরকে আধুনিক শিল্পে পরিণত করতে হবে।
তবে আগর শিল্পকে বাঁচাতে শুধু সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, এজন্য এগিয়ে আসতে হবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও। তবেই আবার ফিরবে বাংলাদেশি আগরের সুদিন।

আগরের উপযোগীতা ও উপকারিতা:

আগর উডের নির্যাশ সুগন্ধি সাবান,  স্যাম্পুসহ  অন্যান্য প্রসাধণ সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আগর তেল ছাড়া কাঠ বা পাউডারজাত সামগ্রী থেকে ধূপের ন্যায় প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে আগরের সুবাস নেয়া হয়।



আগরের  বাণিজ্য ঃ প্রাকৃতিক বন থেকে সংগৃহীত আগর উডের মূল্য প্রতি কেজি কয়েক ডলার থেকে ১০,০০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭.৭৫ লক্ষ টাকার বেশি। মানের উপর দামের হেরফের হয়ে থাকে। আবার আবাদকৃত গাছের প্রতি কেজি আগর উডের মূল্য ৫০০০ ডলার বা প্রায় ৩.৮৭ লক্ষ টাকা। মোটামুটি মানের আগর তেলের প্রতি কেজির মূল্য ৮০০০ ডলার বা প্রায় ৬.২০ লক্ষ টাকা। তবে উচ্চ মানের আগর তেল ৫০,০০০ ডলার বা প্রায় ৩৮.৭৫ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যে বিক্রি হয়। পৃথিবীর প্রায় ৮০ টি দেশ আগর জাত সামগ্রী আমদানী করে। প্রধান আমদানীকারক দেশ হলো-সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, সৌদি আরব ও তাইওয়ান। প্রধান রপ্তানিকারক দেশ হলো- সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দেনেশিয়াও থাইল্যান্ড। প্রতিবছর  সিংগাপুর থেকে ১.২ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৯,৩০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের আগর জাত সামগ্রী রপ্তানি করা হয় (জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা )।

এক কেজি আগর তেলের বাজারমূল্য ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। একটি পূর্ণবয়স্ক আগর গাছের মূল্য ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। তেল তৈরির পর এ গাছের কাঠের টুকরোগুলো সুগন্ধি জ্বালানি হিসেবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি টুকরোর মূল্য ১০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত হয়।
আর ১৩ বছরের পূর্ণবয়স্ক একটি আগর গাছ থেকে প্রক্রিয়া শেষে ২৫ গ্রাম তেল পাওয়া যায়। ১ হাজার চারা রোপণ করে ১৩ বছর পর দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব। অথচ এ পরিমাণ চারা তৈরি ও বনায়নের ব্যয় মাত্র ২৫ হাজার টাকা।
গাছের এমন অর্থনৈতিক উপযোগিতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রকৃতির এ অমূল্য উপহার সোনার চেয়েও যে দামি হতে পারেথ তার উদাহরণ আগর গাছ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ গাছ থেকে বহুব্যবহার্য আগরবাতি ছাড়াও তৈরি হয় তেল। আর এ তেল ব্যবহার হয় লোশন, আতর, সুগন্ধি তেল ও সুগন্ধি তৈরিতে। আগর তেলের ঔষধি গুণের কথাও অনেকের অজানা। চর্ম, অ্যাজমা ও বাতের চিকিৎসায় অনেক আগে থেকেই এটি ব্যবহৃত হয়।
বিশ্বব্যাপী দুর্লভ এ পণ্যের মূল্য দিন দিন বাড়ছে। অনেকের কাছে অপরিচিত হলেও দেশে ক্রমে এ খাতের প্রসার হচ্ছে। কারখানা পর্যায়ে ২৫ হাজার ও মাঠ পর্যায়ে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। দেশে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ আগর তেল উৎপাদনের কারখানা রয়েছে। এগুলো থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার আগর তেল উৎপাদিত হয়। এর পুরোটাই রফতানি হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ আগর অ্যান্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএএমইএ) সাধারণ সম্পাদক কবীর আহমেদ চৌধুরী।
সম্প্রতি এ খাতের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগরকে শিল্পের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। বিএএএমইএ সাধারণ সম্পাদকের মতে, শিল্পের মর্যাদা লাভ এ খাতের একটি বড় অর্জন। এখন এ খাতের উন্নয়নে সরকার পদক্ষেপ নিলে এটি দেশের একটি ‘প্রিমিয়াম’ পণ্য হবে। এ জন্য এখনই পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি রফতানিকারকদের উৎসাহিত করতে শুল্কহার কমানোর দাবি জানান।
আগর গাছে সুগন্ধি পদার্থ সৃষ্টির কারণঃ আগর গাছের সুগন্ধি পদার্থের উৎস হলো আগর উড যা আগর গাছের জাইলেম বা কাষ্টল অংশের অভ্যন্তরে সৃষ্ট কেবল গাঢ় রংয়ের কাঠ বিশেষ। গাছের ভিতরে রেজিনযুক্ত যৌগিক পদার্থ সমৃদ্ধ আগর উড ধারণ করলে গাছটি মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রাকৃতিকভাবে চাষ করা হলে আগর উড তৈরি হওয়ার সাথে গাছের বয়সের সরাসরি সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ গাছ শারীরবৃত্ত্বীয়ভাবে পরিপক্ক হলেই রেজিন ধারণ করবে বা আগর উড সংগ্রহের জন্য গাছ কর্তন করা যাবে এমন নয়। আগর গাছে প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্ট ক্ষত এর মাধ্যমে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে। প্রাকৃতিকভাবে সংক্রমণের কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ধারণা মতে Zinzera conferta  প্রজাতির stem borer  এর লার্ভা আগর গাছে ত বা গর্ত তৈরি করে, যা অনেকটা সুরঙ্গের মত। ছত্রাক এই সুরঙ্গপথে গাছের ভিতর প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। কয়েক ধরণের ছত্রাক দ্বারা এই সংক্রমণ ঘটে থাকে। এদের মধ্যে  Aspergillus spp. Botryodiplodia spp., Diplodia spp., Fusarium  buldiferum Fusarium laterium Fusarium Oxysporum Fusarium solani  Penicillium spp Pythium spp,. উল্লেখযোগ্য। ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (defensive mechanism) স্বরূপ গাছ উচ্চ মাত্রায় উদ্বায়ী জৈব যৌগ সমৃদ্ধ এক প্রকার রেজিন উৎপন্ন করে, যা সংক্রমণ স্থলে ছত্রাকের বৃদ্ধি বা বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। আগর গাছের কাষ্টল অংশের অভ্যন্তরভাগে যেখানে রেজিন উৎপন্ন হয় সেই অংশের কাঠ হালকা বাদামী থেকে কালো বর্ণ ধারণ করে। গাছের যে যে অংশে সংক্রমণ ঘটে সেখানেই কেবল গাঢ় রংয়ের কাঠ দৃষ্ট হয়। আর উপযোগী অবস্থায় গাছ কর্তনের পর কেবলমাত্র সেই অংশগুলো সংগ্রহ করে পাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মূল্যবান সুগন্ধি আগর তেল সংগ্রহ করা হয় কিংবা আগর উড জাত অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করা হয়। রেজিনযুক্ত জৈব পদার্থের মধ্যে Sesquiterpenes নামক এক বিরল উপাদানই প্রকৃতপক্ষে আগর কাঠ বা আগর তেলের সুগন্ধ প্রদান করে থাকে। কৃত্রিমভাবে এই উপাদানটি সংশ্লেষণ করা এখন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। এ কারণে সারা পৃথিবীতে উৎকৃষ্ট মানের আগর উডের কোন বিকল্প নেই।

আগর চাষে বাংলাদেশের অবস্থানঃ আগর উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের মানদন্ডে তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। ভারতের সীমানা সংলগ্ন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নে ব্যাপকভাবে আগরের আবাদ লক্ষ্য করা যায়। ছোট বড় বাগানের পাশাপাশি বসতবাটির আঙ্গিনায় পর্যন্ত আগর চাষ করা হচ্ছে। এখানকার আগর চাষের ইতিহাস প্রায় ৪০০ বছরের পূরাতন। কীভাবে এর সূচনা হয়েছে সুস্পষ্টভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকা থেকে আগর চাষের জ্ঞান ও প্রযুক্তি এদেশে এসেছে। বড়লেখা উপজেলায় আগর গাছে লোহার পেরেক ঢুকিয়ে ক্ষত সৃষ্টির মাধ্যমে সনাতন পদ্ধতিতে যে সুগন্ধি তৈরি করা হয় তা মোটেই উৎকৃষ্ট মানের নয়। ফলে বাজার মূল্যও কম। বড়লেখায় আগর উড থেকে সনাতন পদ্ধতিতে  সুগন্ধি তৈরি করার বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। যার মাধ্যমে পাতন প্রক্রিয়ায় আগর তেল বা সুগন্ধি তৈরি করা হয়

তাবিজ ব্যবহার ইসলামিক দৃষ্টি কোণ থেকে জায়িয, না নায়িজ দলিল ভিত্তিক পর্যালোচনা-পর্ব ১.



👉🍬🍬তাবিজ ব্যবহার ও তার হুকুম - (পর্ব ১)
"""""""""""""""""""""""""""""
তাবিজ বলতে আমরা বাঙ্গালিরা সাধারণত বুঝি একটি কাগজে কিছু তাওহীদি কালাম লিখে সেটিকে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া। এটি শির্ক কি না এবং শির্ক না হলে জায়েজ কি না এটাই আজকের আলোচনার মূল বিষয়। তাবিজের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করা বা অন্য কোন কারণে এ পোস্ট নয়। বরং তাবিজ নিয়ে কিছু ভাইয়ের তাকফিরি চিন্তার পর্যালোচনার জন্যই এ পোস্ট।
উপরে বর্ণিত তাবিজকে যদি কেউ শির্ক বলে তাহলে আমরা এর ঘোর বিরোধিতা করবো। আমাদের এ বিরোধীতার কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামের হাদীস ও সাহাবায়ে কেরামের কিছু আমল। সামনে এক এক করে আমরা এগুলো আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

যে তাবিজকে হাদীসে শির্ক বলা হয়েছেঃ
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
এ সংক্রান্ত হাদীস সমূহ থেকে এটা বুঝা যায় যে, জাহেলী যুগে বিভিন্ন অসুস্থতা বালা মুসিবাত ইত্যাদির জন্য শির্কি শব্দ দ্বারা ঝাড় ফুঁক করা্র প্রচলন ছিল। এবং তামাইম গলায় ঝুলিয়ে রেখে তার উপর ভরসা করত। আল্লাহর প্রতি আরোগ্যের বিশ্বাস না রেখে শুধুমাত্র তামাইমের উপর বিশ্বাস রাখত। তারা মনে করত এই তামাইমই তাকে আরোগ্য দান করবে। এজন্য হাদীসে এ তামাইমকেই শির্ক বলা হয়েছে। যার গলদ তর্জমা হল তাবিজ। এ গলদ তরজমার জন্যই যত প্রবলেম ক্রিয়েট হয়েছে। আমরা তামাইম শব্দের অর্থ নিয়ে সামনে আলোচনা করবো। আগে তামাইম শির্ক হওয়ার ব্যাপারে একটি হাদীস দেখে নেই।

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ ্ إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল সা. কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় ঝাড় ফুক করা, তামাইম(রক্ষাকবচ) ব্যবহার করা ও স্বামী বা স্ত্রীকে (ঝাড় ফুঁক বা রক্ষকবচের মাধ্যমে) বশিভুত করা শিরক৷
( আবু দাউদ ৪/১১ হা. ৩৮৮৫ চিকিৎসা অধ্যায়, তাবিজ ঝুলিয়ে রাখা পরিচ্ছেদ।)




হাদীসে বর্ণিত তামিমাতুন(تميمة) শব্দের তাহকীকঃ
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
এক কথায় -
التميمة خرزة رقطاء تنظم في السير ثم يعقد في العنق. –
বিভিন্ন প্রকারের ফিতনা ফাসাদ দূর করতে ব্যবহৃত পুঁথি যা চামড়ার লম্বা টুকরায় বা ফিতায় গাঁথা হয়, অতপর ঘাড়ে বাঁধা হয়৷ অর্থাৎ রক্ষাকবচ৷
( আলমুখাসসিস ফিল লুগাহ 4/21 নৃত্য করা পরিচ্ছেদ৷ আলকামূসুল মুহিত 1/1400 মীম পরিচ্ছেদ, তা অনুচ্ছেদ৷)
আযহারী এর অর্থ সম্পর্কে বলেন- পুঁথি বা সীসার টুকরা, আরববাসীরা তাদের সন্তানদেরকে ঐ পুঁথি বা সীসার টুকরা ঝুলিয়ে দিতেন, যা তাদের বাতিল ধারণা মতে বদ নসরুল বা কুদৃষ্টি থেকে বেচে থাকত৷
( আলমুগরিব ফি তারতীবিল মুরিব 1/245 তা পরিচ্ছেদ, তা ও মীম৷)
সুতরাং تميمة তামীমাতুন অর্থ হলো, বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শিরকযুক্ত ধারণীয় মন্ত্রপূত কবচ, যা আরববাসীরা শিশুদের গলায় দিতেন ও তারা ধারণা করতেন যে, এ রক্ষাকবচ দ্বারা তাদের সন্তানগণ কুদৃষ্টি ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকবে৷

আফসোসের কথা হল এ তামাইমকেই তাবীজ হিসিবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এভাবেই হাদীসে তামাইমের ব্যাপারে যে শীর্কের ধমক দেওয়া হয়েছে তা তাবিজের ক্ষেত্রেও চালিয়ে দিচ্ছে। অথচ পোস্টের প্রথমে আমরা যে তাবিজের আলোচনা করেছি তা এবং হাদীসে বর্ণিত তামাইম কখকনই এক না।

তাবিজ ঝুলানোও হাদীস থেকে প্রমাণিত
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
রাসুল সা. বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন ঘুমাবে তখন বলবে-
أعوذ بكلمات الله التامات من غضبه وعقابه وشر عباده ومن همزات الشيطان وأن يحضرون
তবে তার কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. তার প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানকে দুআটি শিক্ষা দিতেন। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান এর জন্য একটি কাগজে লিখে তার গর্দানে ঝুলিয়ে দিতেন।
ইমাম তিরমিযি রহ. হাদীসটিকে হাসান গরীব বলেছেন।
(তিরমিযি ৫/৪৫১ হা. ৩৫২৮ দাওয়াত অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৯৪। আবু দাউদ ৪/১৮ হা. ৩৮৯৫ চিকিৎসা অধ্যায়, মন্ত্রপড়া অনুচ্ছেদ।)
-----------------------------------------------------------------
উপরে বর্ণিত ইবনে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণীত হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে শির্কি কালামযুক্ত বাক্য দ্বারা ঝাড়ফুক করা শির্ক। আবার বহু হাদীস দ্বারা প্রমানিত ঝাড়ফুক করা বৈধ। তবে শর্ত হল তাওহীদি বাক্য দ্বারা ঝাড়ফুক করতে হবে। উদাহারণ হিসেবে একটি হাদীস দেখুন -
হযরত আউফ ইবনে মালেক আশজায়ী রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহেলিয়াতের যুগে আমরা ঝাড় ফুঁক করতাম। আমরা আরজ করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তিনি বলেন তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার সামনে পেশ কর। ঝাড় ফুঁকে যদি শিরকের শব্দ না থাকে তাহলে এতে কোন সমস্যা নেই।
(মুসলিম শরীফ ৭/২৬৮ হা. ৫৫৬৯ কিতাবুস সালাম, পরিচ্ছেদ, বদ নজর, ফুসকুড়ি, ব্রণ, সাপ-বিচ্ছু ইত্যাদির দংশনে ঝাড় ফুঁক করানো উত্তম।)

ঠিক একই ঘটনা তাবিজের ব্যাপারে। হাদীসে তামিমাকে শির্ক বলা হয়েছে ঠিকই কিন্তু কেউ যদি তাওহিদী বাক্য লিখে গলায় ঝুলিয়ে দেয় তাহলে তাতে শির্ক হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এ আক্বিদা থাকতে হবে যে তাবিজের সমস্যা সমাধান করার কোন ক্ষমতা নেই। যা করেন আল্লাহ।

আল্লামা ইবনে হজর আসকালানী রহ. বুখারী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফতহুল বারী তে লিখেন-
وقد أجمع العلماء على جواز الرقي عند اجتماع ثلاثة شروط أن يكون بكلام الله تعالى أو بأسمائه وصفاته وباللسان العربي أو بما يعرف معناه من غيره وأن يعتقد أن الرقية لا تؤثر بذاتها بل بذات الله تعالى
ওলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, ঝাড় ফুঁক জায়েয হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত বিদ্যমান থাকতে হবে।
১. আল্লাহর কালাম বা তাঁর নাম বা তাঁর গুণাবিশিষ্ট নাম হতে হবে।
২. আরবী ভাষা হতে হবে বা অন্য ভাষা হলে তার অর্থ জানতে হবে।
৩. এবং বিশ্বাস রাখতে হবে যে, ঝাড় ফুঁক তাবিজ ইত্যাদি নিজস্ব কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা। বরং আল্লাহ তাআলাই প্রভাব ফেলেন। অর্থাৎ ঝাড় ফুঁক তাবিজ কখনও আরোগ্য দিতে পারেনা। বরং আরোগ্যদানকারী স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই।
ফতহুল বারী ১০/১৯৫

তাবিজের ক্ষেত্রেও ঠিক একই শর্ত মেনে চললে তা বৈধ। কারণ যে কারণে ঝাড়ফুককে শির্ক বলা হয়েছে সে কারণে তাবিজকেও শির্ক বলা হয়েছে। একই ভাবে হাদীসে ঝাড়ফুকের যেমন বৈধ পন্থা রয়েছে ঠিক তিমনি ভাবে তাবিজের বৈধ পন্থা রয়েছে। ঝাড়ফুক আর তাবিজের মধ্যে পার্থক্য শুধু এতটুকু যে ঝাড়ফুকের সময় কলেমাগুলো মুখে উচ্চারণ করা হয় আর তাবিজের ক্ষেত্রে এগুলো কাগজে লিখে দেওয়া হয়।

সুতরাং শরীয়তের আলোকে ঝাড় ফুঁক তাবিজ ইত্যাদিতে উপরের শর্ত বিদ্যমান থাকলে আর্থাৎ শিরক জাতীয় কিছু না থাকলে এবং উহার উপর ভরসা না থাকলে ঝাড় ফুঁক ও তাবিজ ব্যবহার করা জায়েয হবে। এতে কোন প্রকার সমস্যা নেই। এমনকি শিরক বা হারামও নয়। যারা এমন (শিরক বা হারাম) বলে থাকে তাদের কথা সঠিক নয়।
আল্লাহ সকলকে বুঝার তাওফীক দান করুন। আমীন।

[ চলবে ইনশাআল্লাহ ]