বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬

জাকির নায়েক যখন লেকচারের মাঝখানে বলে যে এই সূরা, এত নাম্বার আয়াত, কেউ কি তখন কোরআন শরীফ খুলে দেখেছো যে সে যা বললো তা সঠিক হলো কিনা?


যারা আজ জাকির নায়েক জাকির নায়েক বলে চিল্লাইতেছো তাদের উদ্দেশ্যে বলছি...
কতটুকু জানো জাকির নায়েক সম্পর্কে??
জাকির নায়েক যখন লেকচারের মাঝখানে বলে যে এই সূরা, এত নাম্বার আয়াত, কেউ কি তখন কোরআন শরীফ খুলে দেখেছো যে সে যা বললো তা সঠিক হলো কিনা?
জাকির নায়েক যখন কোরআনের অথবা কোন একটা আরবী শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করে তখন কি তুমি জানো যে এই শব্দের অর্থ প্রকৃত পক্ষেই এটা কিনা?
জাকির তো কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেনি, সুতরাং সে আরবী গ্রামার সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নয়। যদি থাকতো তাহলে সে কখনো বলতে পারতোনা যে কোরআনের মধ্যে ব্যাকরণ ভুল আছে, (নাউজুবিল্লা)।
আজ যারা জাকিরের ভক্তবৃন্দ আছে আমার বিশ্বাস তাদের মধ্যে ৯৬% লোক এসব ব্যাপারে অজ্ঞ।
জাকির যখন টাস টাস করে কোরআনের আয়াত বলে ফেলে, এবং সেটার ব্যাখ্যাও করে ফেলে, সাথে দুইএকটা ইংরেজি ছেড়ে দেয়, তখন স্বাধারন মানুষ তাকে অলৌকিক লোক ভাবতে শুরু করে। কারন, তারা কোরআন হাদীস জানেনা। এজন্য সে ভুল বললো নাকি সঠিক বললো এটা বুঝার ক্ষমতা তাদের নেই।
আর যারা জাকির নায়েকের সমালোচনা করে, খুজে দেখো তারা ৯৬% আলেম। কারন তারা জানে যে জাকির কোনটা ভুল বলছে আর কোনটা সঠিক বলছে।
জাকির ভক্তরা কয়েকটি কথা বলে সবকিছু এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে...
১। প্যান্ট শার্ট টাই পড়া কি হারাম?
২। মানুষ বলতেই ভুল, জাকির নায়েকও ভুলের উর্ধ্বে নয়।
৩। জাকিরের কন্ঠে সুর নেই এজন্য সে কোরআন ঠিক করে পড়তে পারে না, ইত্যাদি।
::::::এখন আমার কথা হচ্ছে
১। প্যান্ট শার্ট পড়া হারাম নয় ঠিকআছে, সিগারেট খাওয়া ও তো হারাম না। এখন যদি আপনাদের মসজিদের ইমাম সিগারেট খায়, আপনারা কি তাকে ইমাম রাখবেন? আরেকটা কথা হচ্ছে উনিতো মানুষকে ইসলাম শিক্ষা দিচ্ছেন, তো প্যান্ট শার্ট না পড়লেই ক্ষতি কি? ধর্মীয় পোষাক পড়েই ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়াটাই তো শ্রেয়।
২। অবশ্যই মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, কিন্তু একজন মানুষ যখন ধর্ম প্রচারক হয় তখন তাকে খুব সচেতন হতে হয়। আর জাকির যে ভুল করে বা বলে এটা আসলে ভুল নয়, এটা হচ্ছে তার কোরআনের জ্ঞান না থাকার পরিচয়। (তার ভুলের কিছু উদাহরণ নিচে দিচ্ছি)
৩। একথা কেউ কখনো বলেনি যে, জাকির সুর দিয়ে কোরআন পড়তে পারেনা। সুর এক জিনিস আর শুদ্ধ আরেক জিনিস।
সবচেয়ে বড় দুঃখ এটাই যে জাকির এত বড় লেকচারার অথচ কোরআনের একটা আয়াতও সহীহ্ করে পড়তে পারেনা!!! এতে কি তার কোরআনের জ্ঞান যে কতটুকু আছে এটা প্রমাণ পাওয়া যায়না?? আর নামাজ ভঙ্গের প্রধান কারন কোরআন অশুদ্ধ পড়া। তো যেই লোকের কোরআন সহীহ্ না, যার এক ওয়াক্ত নামাজও হয়না, সে কিভাবে মানুষকে কোরআনের জ্ঞান শিক্ষা দেয়??
শুধু বাংলা অর্থ পড়ে যদি বড় আলেম হওয়া যেত তাহলে কোন আলেমই ১২ বছর ১৫ বছর সময় নিয়ে কোরআনের জ্ঞান চর্চা করতো না।
এবার আসি জাকিরের কিছু ইসলাম বিদ্বেষী কথায়ঃ-
১। জাকির বলেছে, ওজু ছাড়া কোরআন শরীফ ধরা যাবে।
২। জাকির বলেছে, আল্লাহকে ব্রাক্ষ্মন, বিষ্ণু ইত্যাদি নামে ডাকা যাবে। (নাউজুবিল্লাহ্)
৩। জাকির বলেছে, পৃথিবীতে ৪জন মহিলা নবী এসেছে, (নাউজুবিল্লাহ্)
৪। জাকির বলেছে, হিন্দুদের মধ্যেও কেউ কেউ নবী ছিল। (নাউজুবিল্লাহ্)
৫। জাকির বলেছে, কোরআন শরীফে ব্যাকরণের ভুল আছে। (নাউজুবিল্লাহ্)
** অল্প বিদ্যা ভয়ংকর!! জাকির হল একজন ডাক্তার, তবে হ্যা সে বই পড়ে ধর্মীয় কিছু জ্ঞানও অর্জন করেছে, এটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। কিন্তু এতটুকু জ্ঞান দিয়ে ধর্ম শিক্ষা দিলে যা হওয়ার কথা তা ই হয়েছে।
সে মানুষকে মুসলমান বানাচ্ছে, কিন্তু তার কথা মেনে চলার কারনে তারা মুসলমান হয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন