মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬

আহলে হাদিস (কথিত) গুরুর নোংরামি তথা লুচ্চামি। সূত্র: http://www.somoyerkonthosor.com/archives/370869

ফের অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ কামালুদ্দীন জাফরীর বিরুদ্ধে।


প্রকাশের সময়: Wed, Mar 23rd, 2016 | আলোচিত / আলোচিত বাংলাদেশ / স্পট লাইট



সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক- দ্বিতীয়বারের মত অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে চতুর্থবারের মত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন  ১৪ সন্তানের জনক এটিএন বাংলার জনপ্রিয় ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক কামালুদ্দীন জাফরী।


এবার দ্বিতীয়বারের মত অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুতর  অভিযোগ ইসলামী অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়  টিভি উপস্থাপক কামালুদ্দীন জাফরীর বিরুদ্ধে। এর আগে নিজ বাসায় ভাড়াটিয়া এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে তৃতীয় স্ত্রী করে নেয়ার ঘটনায় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিলেন কামালুদ্দীন জাফরী। আগে থেকেই জাফরীর তিন স্ত্রী এবং মোট ১৪ সন্তান রয়েছে তার ।  এবার চতুর্থ দফায় খবরের শিরোনাম হলেন তিনি ।

জাফরী জামায়াতে ইসলামীর বহিষ্কৃত রুকন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি জামায়াতের আরেক প্রভাবশালী নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বেয়াই। সাঈদীর ছেলের সঙ্গে জাফরীর মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বেয়াই পরিবারও জাফরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।

একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুই সন্তানসহ ওই নারীকে তিনি মিশরের রাজধানী কায়রোতে নিয়ে রেখেছেন।

এবার নওশীন আলম (৩৩) নামে যে নারীকে জাফরী (৭৩) ভাগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি তারই সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মতিনের স্ত্রী। অভিযোগকারী আব্দুল মতিন বর্তমানে ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার একটি মসজিদে ইমামতি করেন।

আব্দুল মতিন তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে  ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার  বিষয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামি ব্যাংকস অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।



জাফরী সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান। তার নৈতিক স্খলনের তদন্ত এবং শরিয়া বোর্ড থেকে বহিষ্কারের আবেদন করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। যেসব ব্যাংক সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য তাদেরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মতিন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হিসেবে ২০০৭ সালে যোগ দেই। একই সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান জাফরীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাই। ২০১৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করি। এর মধ্যে ২০১২ সালে ৬ মাসের ছুটি নিয়ে যুক্তরাজ্যে যাই। আমার অনুপস্থিতির সুযোগে আমার স্ত্রী নওশীন আলমকে সৌদি আরবের মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে দেয়ার পাশাপাশি বিনা খরচে সৌদিতে নিয়ে যাওয়া এবং মক্কায় মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগে (রাবেতা আলমে ইসলামি) চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন জাফরী। হাতিরঝিল এলাকায় অর্ধলক্ষ টাকা মাসিক ভাড়া বাসায় নওশীনকে নিয়ে রাতযাপন করতেন। আমার বাসা ছিল এর খুব কাছাকাছি দক্ষিণ বনশ্রীতে, যেখানে তিন সন্তানসহ আমার স্ত্রী থাকতো। অথচ কামালুদ্দিন জাফরীর তিন স্ত্রী এবং ১৪ সন্তান রয়েছে।



মতিন আরো জানান, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে আসেন। স্ত্রী-সন্তানদের অস্ট্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইউরোপ যাওয়ার ১০ দিন আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাফরীর এক ঘনিষ্টজন মতিনকে ফোন করে জানান, নওশীনকে জাফরী গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) বিয়ে করেছেন। এ কথা শুনে তিনি হতবাক হয়ে যান। কারণ, জাফরী তার বাবার বয়সী। আর নওশীনের সাথে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদও হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে স্ত্রীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি অস্বীকার করেন। এরপর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি মতিন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অস্ট্রিয়ায় ভিয়েনায় তার কর্মস্থলে চলে যান। এর আগে ২ জানুয়ারি উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে স্বামীর অনুগত থাকা এবং জাফরীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার শর্তে এক অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন নওশীন। সেই স্ট্যাম্পের কপিও দেখিয়েছেন মতিন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন নওশীনের সঙ্গে জাফরীর ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা হতো।

মতিন দাবি করেন, কামালুদ্দিন জাফরী তাকে হত্যা করার জন্য অথবা সন্ত্রাসী অপবাদ দিয়ে ইউরোপীয় পুলিশে সোপর্দ করার জন্য নওশীনের সঙ্গে যোগসাজশ করেন।

অস্ট্রিয়া যাওয়ার এক সপ্তাহরে মাথায় জাফরীর সঙ্গে ফোনালাপের এক পর্যায়ে নওশীন বাসার ড্রয়িং রুমের জানালা খুলে চিৎকার করতে থাকে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ এলে নওশীন দরজা খুলে দেন এবং তাদের বলেন, তার স্বামী একজন সন্ত্রাসী, তাকে ধরে নিয়ে যান। ইউরোপের একজন ইমামকে সন্ত্রাসী বলায় পুলিশ হাসি দিয়ে, ইউরোপের আইন মেনে চলার জন্য নওশীনকে পরামর্শ দিয়ে চলে যায়।

এর ঠিক এক সপ্তাহ পর আবারও দরজা খুলে চিৎকার শুরু করেন নওশীন। এবারও প্রতিবেশীরা পুলিশে ফোন দিলে পুলিশ এসে মতিন, নওশীন এবং এক প্রতিবেশীকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

পুলিশ নিশ্চিত হয়, নওশীন তার স্বামীকে হত্যা অথবা সন্ত্রাসের অপবাদ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তির হুকুম তালিম করছে।

এই কারণে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১টায় দুই সপ্তাহের জন্য নওশীনকে গ্রেপ্তার করে ভিয়েনা পুলিশ তাকে অ্যাগ্রেসিভ নারী সেলে পাঠায়। এই সময় জাফরীর সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে কথা বলেন নওশীন। এছাড়া জেলে থাকা অবস্থায় কয়েকশবার তারা কথা বলেছেন। ওই কথোপকথনের কললিস্ট রের্কড অস্ট্রিয়ার টি-মোবাইল কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করা হয়।

এদিকে জাফরী ভিয়েনায় বসবাসকারী তার আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে নওশীনকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করে। জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার পর ৩১ জানুয়ারি ভিয়েনা থেকে রওনা দিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি নওশীন ছোট দুই সন্তানসহ বাংলাদেশে চলে আসেন। মতিন দাবি করেন, তাদের বিমানের টিকিটের টাকাটাও তিনি দিয়েছেন।

আব্দুল মতিন বলেন, পহেলা ফেরুয়ারি তারা দেশে ফেরে। এই কেলেঙ্কারি যাতে ফাঁস না হয়, সংবাদ মাধ্যম এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাগালের বাইরে রাখার জন্য ওই মাসের শেষের দিকে সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে নওশীন আলমসহ দুই শিশু সন্তানকে (জাওদান ও আফনানকে) ‘অপহরণ’ করে সৌদি আরব নিয়ে যান জাফরী।

সৌদি আরবে যেসব দাতা জাকাত-সদকার বিপুল টাকা পয়সা জাফরীকে দিতেন তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করেন মতিন। সৌদি আরবে জিনা ব্যাভিচারের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর হওয়ায় জাফরী তাড়াহুড়া করে নওশীন ও দুই সন্তানকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এরপর তড়িঘড়ি করে ২০১৫ সালের মার্চের শেষের দিকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে নিয়ে যান। বর্তমানে তারা কায়রোতেই আছেন। সেখানে জাফরী তার ঘনিষ্ট দুই ব্যক্তির জিম্মায় নওশীন আলমকে রেখেছেন। মাঝে মাঝে সেখানে যান জাফরী। দু’জনকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে দেখা গেছে।

মতিন অভিযোগ করে বলেন, জাফরীর পরামর্শে এবং ফাঁদে পড়ে নিকাহনামা জালিয়াতি করে আমার স্ত্রী, দুই শিশু সন্তানকে জাফরী বাংলাদেশ থেকে প্রথমে সৌদি এবং পরে মিশরে অপহরণ করে নিয়ে গেছেন।

জাফরীর কি আপনার স্ত্রীকে বিয়ে করে নিয়ে গেছে এই প্রশ্ন করলে আব্দুল মতিন প্রতিবেদককে বলেন, নওশীন এখনও আমার স্ত্রী। আমি তাকে তালাক দেইনি। স্ত্রীও আমাকে তালাক দেয়নি। তাহলে উনি কীভাবে বিয়ে করলেন? আমাদের তিন সন্তান আছে। একটি সন্তান আমার সঙ্গে অস্ট্রিয়ায় থাকে। ছোট দুই সন্তান মায়ের কাছে।

তাহলে কেন আইনের আশ্রয় নিচ্ছে না এই প্রশ্নে মতিন বলেন, কামালুদ্দিন জাফরীর বাংলাদেশের নেতানেত্রীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ইতিমধ্যে আমার ভাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন। আমি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আশ্রয় নিবো।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, কামালুদ্দিন জাফরী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়াসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় ওই সময় ইসলামী ব্যাংকের শরিয়া বোর্ড থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে জামায়াতের রুকন পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সূত্রটি দাবি করে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যখন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আটক হন, একই সময় জাফরীও আটক হন। তবে পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে গত ২০ জানুয়ারি সরকার দলীয় এক সংসদ সদস্য অগ্রণী ব্যাংককে ‘সেন্ট্রাল শরীয়া বোর্ড’র সদস্য পদ পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে ওই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দেন। তিনি ওই চিঠিতে বলেন, জাফরী চাঞ্চল্যকর নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলার একজন তালিকাভুক্ত আসামি। ব্যক্তিগত সহকারীর স্ত্রীকে ফুসলিয়ে চতুর্থ স্ত্রী গ্রহণ করার মতো ভয়াবহ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাসকারী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার কারণে ইসলামী ব্যাংকের শরিয়া বোর্ডের সদস্য সচিব পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এই অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, গত ৯ মার্চ অগ্রণী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৮তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ড থেকে নিজেদের সদস্য পদ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলামেইল২৪ এর অনুসন্ধান ও প্রকাশিত সংবাদ সুত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, কাতারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এতিম গরীবদের নামে বিপুল পরিমান যাকাত ও সদকার টাকা প্রতিমাসে পেয়ে থাকেন কামালুদ্দিন জাফরী। এর সিংহভাগই তিনি ফূর্তি করে উড়িয়ে দেন।

নরসিংদীতে জামেয়া কাসেমিয়া মাদরাসা এবং ঢাকাস্থ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা এনে নিজের অ্যাকাউন্ট এবং বিভিন্ন নামে ব্যাংকে রাখেন জাফরী। যার হিসাব-নিকাশ কখনোই দিতে পারেননি। এই দুই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ এই টাকা পয়সার হিসাব চাওয়ার সাহসও পায় না


লিংকঃ 

রায় ঘোষণা হওয়ার পর কোর্ট থেকে চরম রাগান্বিত অবস্থায় এক সাদা চামড়ার ইউরোপীয় ব্যক্তিকে সে হন হন করে বের হয়ে যেতে দেখেছে। ঐ ব্যক্তির নাম ডেভিড বার্গম্যান। সে ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেনের জামাই, সে একজন ব্রিটিশ ইহুদী। এখান থেকে বলা যায়- বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার চক্রান্ত কত সুদূর প্রসারী ছিলো

কোর্ট শুরু হয়েছে ২:০০ টায়, সুপ্রীম কোর্টের এনএক্স ভবনের ২০ নম্বর রুম।
তিন জাস্টিস (নাইমা হায়দার, কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল বসে আছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (অ্যার্টনী জেনারেল) মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলো না, ছিলো তার সহযোগী অ্যার্টনী জেনারেল মুরাদ রেজা। সে কোর্টের কাছে আরো সময় চায়। এ সময় জাস্টিস কাজী রেজাউল হক তাকে বসিয়ে দেন।
এ সময় দাড়ায় থার্ড পার্টি হিসেবে ইন্টারভেনারদের (ইসলামের পক্ষে) আইনজীবি টিএইচ খান ও এবিএম নুরুল ইসলামসহ আরো অসংখ্য আইনজীবি। এ সময় জাস্টিস কাজী রেজাউল হক তাকেও বসিয়ে দেয়। বলে-্আগে রিট আবেদনকারীদের (রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের পক্ষে) কথা শুনবো। এ সময় দাড়ায় রিট পক্ষের (ইসলাম বাতিলের পক্ষে) আইনজীবি সুব্রত চৌধুরী, যে হিন্দুদের অন্যতম নেতা। সে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য।
তার কাছে কাজী রেজাউল হক জানতে চায়- রিট দায়েরকারী কথিত ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির’ লোকাস স্ট্যান্ডি (রিট দায়ের করার আইনী বৈধতা) আছে কি না ? কিন্তু হিন্দু নেতা সুব্রত চৌধুরী তা দিতে সক্ষম হয় না।
ফলে কোর্ট শুরু মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে জাস্টিস কাজী রেজাউল হক বলে-
“রিট খারিজ, রুল ডিসচার্জ।”
উপরের যে ঘটনাগুলো বললাম, তা হচ্ছে কিছুক্ষণ আগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে রিট আবেদন খারিজ করার ঘটনা।
প্রকৃতসত্য হচ্ছে- এগুলো ছিলো পুরোটাই সাজানো নাটক। যদি আজকে মুসলমানরা চুপ করে বসে থাকতো, তবে বিভিন্ন আইনের অজুহাতে আজকেই হয়ত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করা হতো। কিন্তু যেহেতু মুসলমানরা তীব্র আন্দোলন করেছে, তাই ভীত হয়ে আইনের অজুহাত দিয়েই বাতিল করা হলো কথিত রিট আবেদন। তাই আজকের রিট আবেদন বাতিল হওয়ার মূল কৃতিত্ব ছিলো রাজপথে ও ফেসবুকে আন্দোলনরত মুসলিম সমাজের।
তবে একজন জানালো- রায় ঘোষণা হওয়ার পর কোর্ট থেকে চরম রাগান্বিত অবস্থায় এক সাদা চামড়ার ইউরোপীয় ব্যক্তিকে সে হন হন করে বের হয়ে যেতে দেখেছে। ঐ ব্যক্তির নাম ডেভিড বার্গম্যান। সে ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেনের জামাই, সে একজন ব্রিটিশ ইহুদী। এখান থেকে বলা যায়- বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার চক্রান্ত কত সুদূর প্রসারী ছিলো।
সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, সত্যের আন্দোলন সফল হোক।

নাস্তিক্যবাদের পৃষ্ট-পোষক মেঘনা গ্রুপের সকল পন্য বর্জন করুন।

আজ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহালের রায় হওয়াতেকান্নাকাটি করছে ইসলাম বিদ্বেষী মেঘনা গ্রুপের চ্যানেল একাত্তর টিভি।
তারা আজ রাতে একটি টকশো আয়োজন করে রায়ের বিরোধিতা করে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক ও রিটপক্ষের আইনজীবি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদেরসাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য কট্টর ইসলামবিদ্বেষী এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী কে নিয়ে।
বাংলাদেশে উগ্র হিন্দু ও নাস্তিকদের অর্থ যোগানদাতা মেঘনা গ্রুপ / ফ্রেশ গ্রুপ।
বাংলাদেশের প্রধান নাস্তিক বান্ধব হিন্দুত্ত্ববাদী ও ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়া হলো একাত্তর টিভি। আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ৭১ টিভি শুরু করার পর ২০১৩ সালে মেঘনা গ্রুপের কাছে ৫১% শেয়ার বিক্রি করে দেয়। শুরুর দিক থেকেই ৭১ টিভি প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী ভুমিকা পালন করে। উত্সাহ দেয় নাস্তিকদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের। গত কয়েকদিন ধরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে ৭১ টিভি কিছু টকশো আয়োজন করে।
তাই বাংলাদেশের মুসলিমদের উচিৎ ফ্রেশ গ্রুপের পণ্য বর্জন করা
মেঘনাগ্রুপ বা ফ্রেশ ব্রান্ডের উল্লেখযোগ্য পণ্য
হলো :
১) ফ্রেশ ব্রান্ডের চিনি
২) ফ্রেশ ব্রান্ডের সয়াবিন তৈল
৩) ফ্রেশ ব্রান্ডের সিমেন্ট
৪) ফ্রেশ ব্রান্ডের পানি
৫) ফ্রেশ ব্রান্ডের সয়ামিল
৬) ফ্রেশ ব্রান্ডের মশুরের ডাল
৭) ফ্রেশ ব্রান্ডের ময়দা
৮) ফ্রেশ ব্রান্ডের দুধ
৯) ফ্রেশ ব্রান্ডের লবন
১০) ফ্রেশ ব্রান্ডের চা
১১) ফ্রেশ ব্রান্ডের মশলা
১২) ফ্রেশ ব্রান্ডের মুরগির খামার
১৩) মেঘনা গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন তানভীর পেপার
মিলের পণ্য
১৪) ইউনাইটেড ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি
১৫) তানভীর স্টিল মিলের পণ্য
১৬) তানভীর ফুড লিমিটেডের পণ্য




কালেক্টেড পোষ্ট।
ফেসবুক 

রিট খারিজের মাঝে ফাঁক!! অতএব, সাধু সাবধান!!!

রিট খারিজের মাঝে ফাঁক!! অতএব, সাধু
সাবধান!!! ------------------------------
---------------------------- কোর্ট
শুরু হয়ে মাত্র ১০ মিনিটের মাথায়
আকস্মিকভাবে রিট খারিজ হয়ে যায়।
কিন্তু তা নিয়মতান্ত্রিক শুনানীতে
রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে যৌক্তিক সাব্যস্ত
করার মাধ্যমে হয়নি। তাই এক্ষেত্রে
তার জের রয়ে গিয়েছে বলা যায়। বস্তুত
প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (অ্যার্টনী
জেনারেল)-এর সহযোগী ও
ইন্টারভেনারদের (ইসলামের পক্ষে)
আইনজীবিগণ কথা বলতে চাইলে জাস্টিস
কাজী রেজাউল হক তাদেরকে বসিয়ে
দিয়ে বলেন--আগে রিট আবেদনকারীদের
(রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের পক্ষে) কথা
শুনবো। , এ সময় দাঁড়ান রিটপক্ষের (ইসলাম
বাতিলের পক্ষে) আইনজীবি সুব্রত
চৌধুরী। তার কাছে বিচারক কাজী
রেজাউল হক জানতে চান--রিট
দায়েরকারীর লোকাস স্ট্যান্ডি (রিট
দায়ের করার আইনী বৈধতা) আছে কি
না? কিন্তু হিন্দু নেতা সুব্রত চৌধুরী তা
প্রদান করতে সক্ষম হয়নি। তখন কোর্ট শুরুর
মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে জাস্টিস
কাজী রেজাউল হক বলে দেন--“রিট
খারিজ, রুল ডিসচার্জ।” ---এর মানে হচ্ছে
আইনী লড়াইয়ে বিজয়ের মাধ্যমে
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা হয়নি।
বরং রিটকারীদের লোকাস স্ট্যান্ডি
না থাকায় রিটটি খারিজ করা
হয়েছে। ----এতে স্পষ্ট হচ্ছে যে, যদি
রিটকারীদের লোকাস স্ট্যাডি
থাকতো, তাহলে রিটটি এভাবে খারিজ
হতো না। আর তখন নিয়মতান্ত্রিক আইনী
লড়াইয়ে কী রায় হতো, তা বলা যাচ্ছে
না। ---সুতরাং প্রতীয়মান হচ্ছে--
রিটকারীগণ লোকাল স্ট্যাডির ব্যবস্থা
করে পুনরায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে বাতিল
করার প্রয়াস চালাতে পারবেন। -----
তাই কখন তারা আবার এ নিয়ে
মাথাচাড়া দিয়ে উঠেন এবং চূড়ান্ত
রায় কোথায় গিয়ে থামে, তা বলা
মুশকিল। ----অতএব, এ ব্যাপারে আমাদের
সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং
আন্দোলনের বর্তমান গতিধারাকে
অব্যাহত রাখতে হবে। যাতে আন্দোলনের
স্তিমিতের সুযোগ নিয়ে সেই কুচক্রীরা
আবার কুচক্রান্ত করার মওকা না পায়।।

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে কি, না, তার রিটের শুনানিতে যা হলো (বিস্তারিত ঘটনা)-২৮মার্চ২০১৬

==========================
সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। রিটের শুনানিকালে আদালত বলেন, স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট করার এখতিয়ার নেই। তাই আবেদনটি খারিজ করা হলো এবং রুল ডিসচার্জ করা হলো।
আজ সোমবার দুপুরে বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দিয়ে এ আদেশ দেন।
১৯৮৮ সালের ৫ জুন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। সংশোধনীতে ২(ক) অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সম-অধিকার নিশ্চিত করিবেন।’ একই বছরের ৯ জুন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এটা আইনে পরিণত হয়।
ওই বছরের আগস্টে স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেনসহ দেশের ১৫ বিশিষ্ট নাগরিক এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। দীর্ঘদিন পর ২০১১ সালের ৮ জুন হাইকোর্টে একই বিষয়ে ফের সম্পূরক আরো একটি আবেদন করে রিটের শুনানির আবেদন করা হয়। পরে ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেওয়া কেন অবৈধ, বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আজ হাইকোর্ট রুলটি বাতিল করে দিয়ে রিটটি খারিজের আদেশ দেন।
রিটের এ শুনানিকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আসছিল। আলোচিত এ রিটের শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত কক্ষের সামনে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়। আদালত কক্ষের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১০-১২ জন সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। শতশত সাধারণ মানুষ আদালত কক্ষের বাইরে অবস্থান নেয়। এ সময় আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আদালত কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ।
দুপুর ২টার দিকে শুনানির জন্য আদালত বসে। শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা আদালতের উদ্দেশে বলেন, এটা অনেক আগের মামলা। দুটি রুল হয়েছে। অনেক পুরনো ম্যাটার। ১৯৮৮ সালের রিট। পরে দুটি সম্পূরক আবেদনের রুল দেওয়া হয়েছে। এ জন্য আমাদের কিছু সময় প্রয়োজন।
এ সময় আদালত বলেন, ঠিক আছে, আপনি বসেন। আগে আবেদনকারীর আইনজীবীকে শুনব।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিচারপতি টি এইচ খান, এ বি এম নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী রিটের বিরুদ্ধে অর্থাৎ রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পক্ষে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন নিয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু আদালত বলেন, আপনারা এখন বসেন। এখনো শুনানিই শুরু হয়নি। আগে রিট আবেদনের আইনজীবীকে শুনব। পরে পক্ষভুক্ত হওয়ার বিষয়।
এ সময় আদালত আবেদনকারীর আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীকে বলে, ‘আপনাকে আমরা (আবেদনটি) দেখে আসতে বলেছিলাম, স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে রিটটি দায়েরের এখতিয়ার ছিল কি?’
জবাবে রিটকারীদের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলে, সংগঠন ছাড়াও রিটটি আলাদা আলাদাভাবে প্রত্যেকে আবেদনকারী হয়েছে।
আদালত বলেন, আমরা দেখছি ওই সংগঠনটির পক্ষে রিট আবেদন করা হয়েছে।
তখন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলে, শুনানির সময় আমরা বিস্তারিত বলব। সন্তোষকজনক জবাব দেব।
আদালত বলেন, ‘ওই সংগঠনের রিট করার এখতিয়ার (লোকাল স্ট্যান্ড) নাই। রিট খারিজ, রুল ডিসচার্জ।’
এর পরই আদালতের বাইরে থাকা মুসলিম জনতা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’ বলে স্লোগান দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাঁদের বাধা দেয়।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে সুব্রত চৌধুরী বলে, ‘আমরা পূর্ণাঙ্গ রায় দেখব কেন খারিজ হয়েছে। এরপর আপিল করব।’
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম বহাল থাকার পাশাপাশি অন্য ধর্মের অধিকারও বহাল থাকল। এটা সংবিধানেও রয়েছে।

  • রিট মামলটি করা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান করার পর। ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটি’র পক্ষে রিটকারী ১৫ বিশিষ্টজনের মধ্যে অনেকে এরই মধ্যে মারা গেছেন। (বিস্তারিত- http://bit.ly/1RnAJeF)

রিট খারিজ, পবিত্র ইসলাম থাকছে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামই থাকছে। সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে যে রিট দায়ের করা হয়েছিলো আজ সোমবার তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর দুইটায় বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশাফুল কামাল। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক ও সুব্রত চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। এ সময় বিচারপতি বলেন, “এ বিষয়ে আর শুনানির কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত পড়ে এসেছি। যারা আবেদন করেছেন, তাদের আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয়।” আদেশে বলা হয়, আবেদনকারীদের আবেদনের অধিকার (লোকাস স্টান্ডি) নাই। ২৮ বছর আগে দায়ের করা এ রিটে ৫ বছর আগে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। রিট আবেদনকারীদের বেশিরভাগ এরই মধ্যে মারা গেছেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে সবশেষ শুনানি হয়। সেদিন ১৪ আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি মনোনীত করে ২০১১ সালের দেয়া আদেশ প্রত্যাহার করেন হাইকোর্ট। আবেদনকারীদের আইনজীবী এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক রিট খারিজের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানান, আদালত রিটের বিষয়ে আমাদের কোনো জবাব গ্রহণ করেননি। আমরা আদালতকে বলেছি রিটের সপক্ষে আমাদের জোরালো যুক্তি রয়েছে। কিন্তু আদালত আমাদের কোনো জবাব গ্রহণ না করেই আবেদনটি খারিজ করে দেন। যা দুর্ভাগ্যজনক। ১৯৮৮ সালের ৫ জুন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। সংশোধনীতে ২(ক) অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করে বলা হয়, “প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সম-অধিকার নিশ্চিত করিবেন।” একই বছরের ৯ জুন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এটা আইনে পরিণত হয়। ওই বছরের আগস্টে স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেনসহ দেশের ১৫ বিশিষ্ট নাগরিক এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। দীর্ঘদিন পর ২০১১ সালের ৮ জুন হাইকোর্টে একই বিষয়ে ফের সম্পূরক আরো একটি আবেদন করে রিটের শুনানির আবেদন করা হয়। পরে ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেয়া কেন অবৈধ, বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ও আইন সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। রুলের জবাব দাখিলের পর গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রিট আবেদনকারীদের অপর একটি আবেদনে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাইকোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন। পরে ওই রুল শুনানির জন্য আদালতের নজরে নেয়া হলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বৃহত্তর এই বেঞ্চ ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন। ওই রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে নানা ধর্ম বিশ্বাসের মানুষ বাস করে। এটি সংবিধানের মূল স্তম্ভে বলা হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রধর্ম করে অন্যান্য ধর্মকে বাদ দেয়া হয়েছে। এটি বাংলাদেশের অভিন্ন জাতীয় চরিত্রের প্রতি ধ্বংসাত্মক।