সুওয়াল: জামাতে মওদূদী, খিলাফত
আন্দোলন, ঐক্যজোট, শাসনতন্ত্র আন্দোলন,
খিলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে
ইসলাম, ইসলামী মোর্চা, আঞ্জুমানে
মুফিদুল ইসলাম, হেফাযতে ইসলাম তথা
হেক্বারতে ইসলাম ইত্যাদি ইসলামী
নামধারী যেসব দল রয়েছে তারা পবিত্র
ইসলাম উনার নামে গণতন্ত্র করা জায়িয
ফতওয়া দেয় এবং এই গণতন্ত্র ভিত্তিক
আন্দোলনকে তারা জিহাদ ফী
সাবীলিল্লাহ বলে থাকে। আর পবিত্র
কুরআন শরীফ-এ জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ
এর মধ্যে যারা মশগুল তাদেরকে পবিত্র
যাকাত প্রদানের হুকুম দেয়া হয়েছে। এই
বরাতে তারা তাদের গণতন্ত্রভিত্তিক
আন্দোলনকে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ
বলে মানুষের নিকট থেকে পবিত্র যাকাত,
ফিতরা, উশর ইত্যাদি গ্রহণ করে থাকে।
এখন আমার সুওয়াল হচ্ছে- এদেরকে পবিত্র
যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান
করলে তা আদায় হবে কি না? দ্বিতীয়ত
এতে আদায়কারী কোন ছওয়াব পাবে কি
না?
জাওয়াব: আপনার উপরোক্ত সুওয়াল
অনুযায়ী যে বিষয়গুলো স্পষ্ট হচ্ছে
তাহলো-
১. দ্বীন ইসলাম উনার নামে গণতন্ত্র করা
জায়িয কি না?
২. যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন করে
তাদের এ আন্দোলনের জন্য পবিত্র যাকাত,
ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান করলে তা
আদায় হবে কিনা? এতে আদায়কারী কোন
ছওয়াব পাবে কি না?
(১) সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে
গণতন্ত্র করা জায়িয কি না? এর জাওয়াব
হলো- না, দ্বীন ইসলাম উনার নামে
গণতন্ত্র করা জায়িয নেই। সম্পূর্ণ হারাম ও
কুফরী।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন-
ﺍﻥ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻻﺳﻼﻡ
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার
নিকট একমাত্র দ্বীন হচ্ছে পবিত্র ইসলাম।
(পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র
আয়াত শরীফ ১৯)
এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, ইসলাম হচ্ছে মহান
আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মহান
আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ওহী
মুবারক উনার মাধ্যমে নাযিলকৃত, একমাত্র
মনোনীত, পরিপূর্ণ, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত ও
অপরিবর্তনীয় দ্বীন যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত
বলবৎ থাকবে। যার সাথে ওহী মুবারক
ব্যতীত গইরুল্লাহর কোন সম্পর্ক নেই।
দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কেউ যদি কোনরূপ
বাড়ায়-কমায় তাহলে সে কাট্টা কাফির ও
চিরজাহান্নামী হয়ে যাবে। এর মিছাল
হচ্ছে কাদিয়ানী। সে দ্বীন ইসলামের
মধ্যে বাড়তি-কমতি করেছে। অর্থাৎ সে
নিজের মনগড়া মতবাদ প্রবেশ করিয়েছে
অর্থাৎ সে খতমে নুবুওওয়াতকে অস্বীকার
করেছে যার কারণে সে চিরজাহান্নামী
হয়ে গেছে।
আর গণতন্ত্র হচ্ছে মানব রচিত অপূর্ণ একটি
শাসন ব্যবস্থা। যার আইন-কানুন, নিয়ম-
নীতি, তর্জ-তরীক্বার সাথে ওহী মুবারক
উনার কোন সম্পর্ক নেই। শুধু তাই নয় বরং
তা বিধর্মী বিশেষ করে ইহুদীদের দ্বারা
উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত। আর খ্রিস্টানদের
দ্বারা সংস্কারকৃত অপূর্ণ শাসন পদ্ধতি।
পূর্ববর্তী যামানায় মহান আল্লাহ পাক
উনার তরফ থেকে নাযিলকৃত আসমানী
কিতাব বিকৃত হওয়ায় এবং নফসের পায়রবী
করার কারণে বিধর্মীরা তাদের দেশ
পরিচালনা করার জন্য ওহী মুবারক দ্বারা
নাযিলকৃত আইনের পরিবর্তে নিজেরা
যেসব আইন প্রণয়ন করেছিলো, পরবর্তী সময়
সেগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ
করে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে গণতন্ত্র যা
খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রিসে
উৎপত্তি লাভ করেছে এবং বর্তমান বিশ্বে
ব্যাপক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
গণতন্ত্রের ইংরেজি হচ্ছে উবসড়পৎধপু। যা
এসেছে গ্রিক দফবসড়ং’ এবং দকৎধঃড়ং’
থেকে ‘ফবসড়ং’ অর্থ জনগণ এবং দকৎধঃড়ং’
অর্থ শাসন। পলিটিক্যাল সাইন্স বা রাষ্ট্র
বিজ্ঞান বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
গণতন্ত্র শব্দের অর্থ হচ্ছে গণ অর্থ জনগণ,
আর তন্ত্র অর্থ নিয়ম-নীতি বা পদ্ধতি।
অর্থাৎ গণতন্ত্রে জনগণের নিয়ম-কানুন বা
পদ্ধতি অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা বা সরকার
পরিচালনা করা হয়। এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের
প্রবক্তা আব্রাহাম লিঙ্কনের উক্তি
উল্লেখ্য। তার ভাষায় উবসড়পৎধপু রং ধ
এড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব, নু ঃযব
ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব যার অর্থ
হলো: গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের,
জনগণের দ্বারা ও জনগণের জন্য।
তাই গণতন্ত্রে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক
বা সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে একমাত্র জনগণ।
আর এই সার্বভৌম ক্ষমতা বা সমস্ত
ক্ষমতার মালিক হওয়ার কারণেই
গণতন্ত্রীরা নিজেরাই নিজেদের জন্য
আইন-কানুন, তর্জ-তরীক্বা নিয়ম-নীতি,
ইত্যাদি প্রণয়ন করে থাকে।
গণতন্ত্রে অধিকাংশ লোককে প্রাধান্য
দেয়া হয়। অর্থাৎ অধিকাংশ লোক যে
ফায়সালা দিবে সেটাই গ্রহণযোগ্য হবে।
সেখানে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র
সুন্নাহ শরীফ উনাদের আইনকে প্রধান্য
দেয়া হয় না। কিন্তু পবিত্র ইসলামে
অধিকাংশ লোককে প্রাধান্য দেয়া হয়
না। বরং ইসলামে প্রধান্য দেয়া হয় পবিত্র
কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ
উনাদের আইনকে। সেটা যদি একজন
ব্যক্তিও বলে সেটাই মানতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন-
ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻯ ﺍﺭﺳﻞ ﺭﺳﻮﻟﻪ ﺑﺎﻟﻬﺪﻯ ﻭﺩﻳﻦ ﺍﻟﺤﻖ ﻟﻴﻈﻬﺮﻩ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻛﻠﻪ
ﻭﻛﻔﻰ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺷﻬﻴﺪﺍ ﻣﺤﻤﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ .
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল,
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে হিদায়েত এবং সত্য দ্বীন সহকারে
পাঠিয়েছেন সকল দ্বীনের উপর অর্থাৎ
অতীতের ওহী মুবারক দ্বারা নাযিলকৃত
এবং অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতে মানব
রচিত সর্বপ্রকার মতবাদের উপর প্রাধান্য
দিয়ে এবং সকল ধর্মকে বাতিল ঘোষণা
করে। আর এ ব্যাপারে সাক্ষী হিসেবে
মহান আল্লাহ পাক তিনিই যথেষ্ট। আর
রসূল হচ্ছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম। (পবিত্র সূরা ফাতাহ শরীফ:
পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮, ২৯)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক পূর্ববর্তী ওহী
মুবারক উনার দ্বারা নাযিলকৃত তিনখানা
কিতাব তাওরাত শরীফ, যাবূর শরীফ,
ইনজীল শরীফ ও একশত ছহীফা এবং
পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মানব রচিত যাবতীয়
তন্ত্র ও মতবাদ- সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র,
গণতন্ত্র, মাওবাদ, লেলিনবাদ, মার্কসবাদ
ইত্যাদি বাতিল ঘোষণা করে উনার
প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে যে কামিল দ্বীন দিয়ে
পাঠিয়েছেন তাই হচ্ছে পবিত্র ইসলাম। এর
সাক্ষী স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি
নিজেই।
অতএব, যারা দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য
কোন দ্বীন, তন্ত্র ও মতবাদ তা ওহী দ্বারা
নাযিলকৃত হোক কিংবা মানব রচিত হোক
গ্রহণ বা অনুসরণ করবে সেটা প্রকাশ্য
কুফরীর শামিল।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন-
ﻛﻴﻒ ﻳﻬﺪﻯ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﻮﻣﺎ ﻛﻔﺮﻭﺍ ﺑﻌﺪ ﺍﻳﻤﺎﻧﻬﻢ ﻭﺷﻬﺪﻭﺍ ﺍﻥ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﺣﻖ
ﻭﺟﺎﺋﻬﻢ ﺍﻟﺒﻴﻨﺖ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﻬﺪﻯ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﺍﻟﻈﻠﻤﻴﻦ .
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি কি করে ওই
সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করবেন যারা
ঈমান আনার পর কুফরী করে এবং মহান
আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সত্য বলে
সাক্ষ্য দেয়ার পর উনার নাফরমানী করে
এবং তাদের নিকট পবিত্র কুরআন শরীফ,
পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দলীল
আসার পর তা অমান্য করে; এরা মূলত
যালিম। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি
যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করেন
না। অর্থাৎ যালিম সম্প্রদায় হিদায়েত
লাভের উপযুক্ত নয়। (পবিত্র সূরা আলে
ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৬)
কাজেই, যারা দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য
কোন দ্বীন, তন্ত্র মতবাদ গ্রহণ করবে
তাদের পরিণতি সম্পর্কে মহান আল্লাহ
পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ﻣﻦ ﻳﺒﺘﻎ ﻏﻴﺮ ﺍﻻﺳﻼﻡ ﺩﻳﻨﺎ ﻓﻠﻦ ﻳﻘﺒﻞ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻓﻰ ﺍﻻﺧﺮﺓ ﻣﻦ
ﺍﻟﺨﺴﺮﻳﻦ .
অর্থ: যে ব্যক্তি পবিত্র ইসলাম ব্যতীত
অন্য কোন ধর্মের নিয়ম-নীতি তালাশ
করে তার থেকে সেটা কবুল করা হবেনা
এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের
অন্তর্ভুক্ত হবে। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান:
পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
প্রকাশ থাকে যে, গণতন্ত্রভিত্তিক যত
তথাকথিত ইসলামী দল রয়েছে তারা
গণতন্ত্র ও তার কার্যসমূহকে শুধু জায়িযই
মনে করে না বরং তারা গণতন্ত্র এবং তার
কার্যসমূহ যেমন ভোট দেয়া, নির্বাচন করা,
পদপ্রার্থী হওয়া ইত্যাদিকে ফরয-
ওয়াজিবও বলে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
কিন্তু শরীয়তের ফতওয়া হচ্ছে- কোন
হারাম ও কুফরী বিষয়কে হালাল বা
জায়িয মনে করা কুফরী। যেমন এ প্রসঙ্গে
আক্বাঈদের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে-
ﺍﺳﺘﺤﻼﻝ ﺍﻟـﻤﻌﺼﻴﺔ ﻛﻔﺮ
অর্থ: কোন নাফরমানিমূলক বিষয়কে
হালাল বা জায়িয মনে করা কুফরী। (শরহে
আক্বাঈদে নাসাফী শরীফ)
অর্থাৎ শরীয়ত কর্তৃক সাব্যস্ত কোন হারাম
ও কুফরী বিষয়কে কেউ যদি হালাল বা
জায়িয মনে করে সে কুফরী করে। আর
যারা কুফরী করে তারা মুরতাদ হয়ে যায়।
অতএব, ইসলামের নামে গণতন্ত্র করা
সম্পূর্ণ হারাম। এটাকে হালাল বা জায়িয
মনে করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
(২) যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন করে
তাদের এ আন্দোলনের জন্য পবিত্র যাকাত,
ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান করলে তা
আদায় হবে কি না? এতে আদায়কারী কোন
ছওয়াব পাবে কি না?
এর জাওয়াব হলো- দ্বীন ইসলাম উনার
নামে যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন
করে তাদের এ আন্দোলনের জন্য পবিত্র
যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান
করলে তা আদায় হবে না এবং এজন্য
প্রদানকারী কোন ছওয়াবও পাবে না।
কারণ, যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন
করে তাদের আন্দোলন ইসলামের বোল-
বালা, প্রচার-প্রসার বা প্রতিষ্ঠিত করার
জন্য নয়; বরং তাদের আন্দোলন হচ্ছে
গণতন্ত্র অর্থাৎ কুফরী মতবাদকেই
প্রতিষ্ঠা করা। নাউজুবিল্লাহ!
অতএব, তাদের সে আন্দোলন জিহাদ ফী
সাবীলিল্লাহ নয়। বরং তাদের সে
আন্দোলন জিহাদ ফী সাবীলিশ শয়তান।
প্রকৃতপক্ষে তারা জিহাদ ফী
সাবীলিল্লাহর নামে সাধারণ মানুষকে
ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ ধোঁকা
থেকে সাবধান সতর্ক হওয়া উচিত।
অতএব, যে গণতন্ত্র দ্বীন ইসলাম উনার
নামে করা সম্পূর্ণ হারাম এবং এটাকে
জায়িয মনে করা কাট্টা কুফরীর
অন্তর্ভুক্ত; সেই গণতন্ত্রের জন্য পবিত্র
যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান
করলে তা কস্মিনকালেও আদায় হবে না;
বরং কবীরা গুনাহ ও কুফরী হবে।
দলীল-আদিল্লাহসমূহ
আন্দোলন, ঐক্যজোট, শাসনতন্ত্র আন্দোলন,
খিলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে
ইসলাম, ইসলামী মোর্চা, আঞ্জুমানে
মুফিদুল ইসলাম, হেফাযতে ইসলাম তথা
হেক্বারতে ইসলাম ইত্যাদি ইসলামী
নামধারী যেসব দল রয়েছে তারা পবিত্র
ইসলাম উনার নামে গণতন্ত্র করা জায়িয
ফতওয়া দেয় এবং এই গণতন্ত্র ভিত্তিক
আন্দোলনকে তারা জিহাদ ফী
সাবীলিল্লাহ বলে থাকে। আর পবিত্র
কুরআন শরীফ-এ জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ
এর মধ্যে যারা মশগুল তাদেরকে পবিত্র
যাকাত প্রদানের হুকুম দেয়া হয়েছে। এই
বরাতে তারা তাদের গণতন্ত্রভিত্তিক
আন্দোলনকে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ
বলে মানুষের নিকট থেকে পবিত্র যাকাত,
ফিতরা, উশর ইত্যাদি গ্রহণ করে থাকে।
এখন আমার সুওয়াল হচ্ছে- এদেরকে পবিত্র
যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান
করলে তা আদায় হবে কি না? দ্বিতীয়ত
এতে আদায়কারী কোন ছওয়াব পাবে কি
না?
জাওয়াব: আপনার উপরোক্ত সুওয়াল
অনুযায়ী যে বিষয়গুলো স্পষ্ট হচ্ছে
তাহলো-
১. দ্বীন ইসলাম উনার নামে গণতন্ত্র করা
জায়িয কি না?
২. যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন করে
তাদের এ আন্দোলনের জন্য পবিত্র যাকাত,
ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান করলে তা
আদায় হবে কিনা? এতে আদায়কারী কোন
ছওয়াব পাবে কি না?
(১) সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নামে
গণতন্ত্র করা জায়িয কি না? এর জাওয়াব
হলো- না, দ্বীন ইসলাম উনার নামে
গণতন্ত্র করা জায়িয নেই। সম্পূর্ণ হারাম ও
কুফরী।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক
করেন-
ﺍﻥ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻻﺳﻼﻡ
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার
নিকট একমাত্র দ্বীন হচ্ছে পবিত্র ইসলাম।
(পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র
আয়াত শরীফ ১৯)
এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, ইসলাম হচ্ছে মহান
আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মহান
আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ওহী
মুবারক উনার মাধ্যমে নাযিলকৃত, একমাত্র
মনোনীত, পরিপূর্ণ, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত ও
অপরিবর্তনীয় দ্বীন যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত
বলবৎ থাকবে। যার সাথে ওহী মুবারক
ব্যতীত গইরুল্লাহর কোন সম্পর্ক নেই।
দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কেউ যদি কোনরূপ
বাড়ায়-কমায় তাহলে সে কাট্টা কাফির ও
চিরজাহান্নামী হয়ে যাবে। এর মিছাল
হচ্ছে কাদিয়ানী। সে দ্বীন ইসলামের
মধ্যে বাড়তি-কমতি করেছে। অর্থাৎ সে
নিজের মনগড়া মতবাদ প্রবেশ করিয়েছে
অর্থাৎ সে খতমে নুবুওওয়াতকে অস্বীকার
করেছে যার কারণে সে চিরজাহান্নামী
হয়ে গেছে।
আর গণতন্ত্র হচ্ছে মানব রচিত অপূর্ণ একটি
শাসন ব্যবস্থা। যার আইন-কানুন, নিয়ম-
নীতি, তর্জ-তরীক্বার সাথে ওহী মুবারক
উনার কোন সম্পর্ক নেই। শুধু তাই নয় বরং
তা বিধর্মী বিশেষ করে ইহুদীদের দ্বারা
উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত। আর খ্রিস্টানদের
দ্বারা সংস্কারকৃত অপূর্ণ শাসন পদ্ধতি।
পূর্ববর্তী যামানায় মহান আল্লাহ পাক
উনার তরফ থেকে নাযিলকৃত আসমানী
কিতাব বিকৃত হওয়ায় এবং নফসের পায়রবী
করার কারণে বিধর্মীরা তাদের দেশ
পরিচালনা করার জন্য ওহী মুবারক দ্বারা
নাযিলকৃত আইনের পরিবর্তে নিজেরা
যেসব আইন প্রণয়ন করেছিলো, পরবর্তী সময়
সেগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ
করে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে গণতন্ত্র যা
খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রিসে
উৎপত্তি লাভ করেছে এবং বর্তমান বিশ্বে
ব্যাপক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
গণতন্ত্রের ইংরেজি হচ্ছে উবসড়পৎধপু। যা
এসেছে গ্রিক দফবসড়ং’ এবং দকৎধঃড়ং’
থেকে ‘ফবসড়ং’ অর্থ জনগণ এবং দকৎধঃড়ং’
অর্থ শাসন। পলিটিক্যাল সাইন্স বা রাষ্ট্র
বিজ্ঞান বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
গণতন্ত্র শব্দের অর্থ হচ্ছে গণ অর্থ জনগণ,
আর তন্ত্র অর্থ নিয়ম-নীতি বা পদ্ধতি।
অর্থাৎ গণতন্ত্রে জনগণের নিয়ম-কানুন বা
পদ্ধতি অনুযায়ী শাসন ব্যবস্থা বা সরকার
পরিচালনা করা হয়। এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের
প্রবক্তা আব্রাহাম লিঙ্কনের উক্তি
উল্লেখ্য। তার ভাষায় উবসড়পৎধপু রং ধ
এড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব, নু ঃযব
ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব যার অর্থ
হলো: গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের,
জনগণের দ্বারা ও জনগণের জন্য।
তাই গণতন্ত্রে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক
বা সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে একমাত্র জনগণ।
আর এই সার্বভৌম ক্ষমতা বা সমস্ত
ক্ষমতার মালিক হওয়ার কারণেই
গণতন্ত্রীরা নিজেরাই নিজেদের জন্য
আইন-কানুন, তর্জ-তরীক্বা নিয়ম-নীতি,
ইত্যাদি প্রণয়ন করে থাকে।
গণতন্ত্রে অধিকাংশ লোককে প্রাধান্য
দেয়া হয়। অর্থাৎ অধিকাংশ লোক যে
ফায়সালা দিবে সেটাই গ্রহণযোগ্য হবে।
সেখানে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র
সুন্নাহ শরীফ উনাদের আইনকে প্রধান্য
দেয়া হয় না। কিন্তু পবিত্র ইসলামে
অধিকাংশ লোককে প্রাধান্য দেয়া হয়
না। বরং ইসলামে প্রধান্য দেয়া হয় পবিত্র
কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ
উনাদের আইনকে। সেটা যদি একজন
ব্যক্তিও বলে সেটাই মানতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন-
ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻯ ﺍﺭﺳﻞ ﺭﺳﻮﻟﻪ ﺑﺎﻟﻬﺪﻯ ﻭﺩﻳﻦ ﺍﻟﺤﻖ ﻟﻴﻈﻬﺮﻩ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻛﻠﻪ
ﻭﻛﻔﻰ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺷﻬﻴﺪﺍ ﻣﺤﻤﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ .
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রসূল,
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে হিদায়েত এবং সত্য দ্বীন সহকারে
পাঠিয়েছেন সকল দ্বীনের উপর অর্থাৎ
অতীতের ওহী মুবারক দ্বারা নাযিলকৃত
এবং অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতে মানব
রচিত সর্বপ্রকার মতবাদের উপর প্রাধান্য
দিয়ে এবং সকল ধর্মকে বাতিল ঘোষণা
করে। আর এ ব্যাপারে সাক্ষী হিসেবে
মহান আল্লাহ পাক তিনিই যথেষ্ট। আর
রসূল হচ্ছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম। (পবিত্র সূরা ফাতাহ শরীফ:
পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮, ২৯)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক পূর্ববর্তী ওহী
মুবারক উনার দ্বারা নাযিলকৃত তিনখানা
কিতাব তাওরাত শরীফ, যাবূর শরীফ,
ইনজীল শরীফ ও একশত ছহীফা এবং
পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মানব রচিত যাবতীয়
তন্ত্র ও মতবাদ- সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র,
গণতন্ত্র, মাওবাদ, লেলিনবাদ, মার্কসবাদ
ইত্যাদি বাতিল ঘোষণা করে উনার
প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে যে কামিল দ্বীন দিয়ে
পাঠিয়েছেন তাই হচ্ছে পবিত্র ইসলাম। এর
সাক্ষী স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি
নিজেই।
অতএব, যারা দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য
কোন দ্বীন, তন্ত্র ও মতবাদ তা ওহী দ্বারা
নাযিলকৃত হোক কিংবা মানব রচিত হোক
গ্রহণ বা অনুসরণ করবে সেটা প্রকাশ্য
কুফরীর শামিল।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন-
ﻛﻴﻒ ﻳﻬﺪﻯ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﻮﻣﺎ ﻛﻔﺮﻭﺍ ﺑﻌﺪ ﺍﻳﻤﺎﻧﻬﻢ ﻭﺷﻬﺪﻭﺍ ﺍﻥ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﺣﻖ
ﻭﺟﺎﺋﻬﻢ ﺍﻟﺒﻴﻨﺖ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﻬﺪﻯ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﺍﻟﻈﻠﻤﻴﻦ .
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি কি করে ওই
সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করবেন যারা
ঈমান আনার পর কুফরী করে এবং মহান
আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সত্য বলে
সাক্ষ্য দেয়ার পর উনার নাফরমানী করে
এবং তাদের নিকট পবিত্র কুরআন শরীফ,
পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দলীল
আসার পর তা অমান্য করে; এরা মূলত
যালিম। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি
যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করেন
না। অর্থাৎ যালিম সম্প্রদায় হিদায়েত
লাভের উপযুক্ত নয়। (পবিত্র সূরা আলে
ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৬)
কাজেই, যারা দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য
কোন দ্বীন, তন্ত্র মতবাদ গ্রহণ করবে
তাদের পরিণতি সম্পর্কে মহান আল্লাহ
পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ﻣﻦ ﻳﺒﺘﻎ ﻏﻴﺮ ﺍﻻﺳﻼﻡ ﺩﻳﻨﺎ ﻓﻠﻦ ﻳﻘﺒﻞ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻓﻰ ﺍﻻﺧﺮﺓ ﻣﻦ
ﺍﻟﺨﺴﺮﻳﻦ .
অর্থ: যে ব্যক্তি পবিত্র ইসলাম ব্যতীত
অন্য কোন ধর্মের নিয়ম-নীতি তালাশ
করে তার থেকে সেটা কবুল করা হবেনা
এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের
অন্তর্ভুক্ত হবে। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান:
পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
প্রকাশ থাকে যে, গণতন্ত্রভিত্তিক যত
তথাকথিত ইসলামী দল রয়েছে তারা
গণতন্ত্র ও তার কার্যসমূহকে শুধু জায়িযই
মনে করে না বরং তারা গণতন্ত্র এবং তার
কার্যসমূহ যেমন ভোট দেয়া, নির্বাচন করা,
পদপ্রার্থী হওয়া ইত্যাদিকে ফরয-
ওয়াজিবও বলে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
কিন্তু শরীয়তের ফতওয়া হচ্ছে- কোন
হারাম ও কুফরী বিষয়কে হালাল বা
জায়িয মনে করা কুফরী। যেমন এ প্রসঙ্গে
আক্বাঈদের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে-
ﺍﺳﺘﺤﻼﻝ ﺍﻟـﻤﻌﺼﻴﺔ ﻛﻔﺮ
অর্থ: কোন নাফরমানিমূলক বিষয়কে
হালাল বা জায়িয মনে করা কুফরী। (শরহে
আক্বাঈদে নাসাফী শরীফ)
অর্থাৎ শরীয়ত কর্তৃক সাব্যস্ত কোন হারাম
ও কুফরী বিষয়কে কেউ যদি হালাল বা
জায়িয মনে করে সে কুফরী করে। আর
যারা কুফরী করে তারা মুরতাদ হয়ে যায়।
অতএব, ইসলামের নামে গণতন্ত্র করা
সম্পূর্ণ হারাম। এটাকে হালাল বা জায়িয
মনে করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
(২) যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন করে
তাদের এ আন্দোলনের জন্য পবিত্র যাকাত,
ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান করলে তা
আদায় হবে কি না? এতে আদায়কারী কোন
ছওয়াব পাবে কি না?
এর জাওয়াব হলো- দ্বীন ইসলাম উনার
নামে যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন
করে তাদের এ আন্দোলনের জন্য পবিত্র
যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান
করলে তা আদায় হবে না এবং এজন্য
প্রদানকারী কোন ছওয়াবও পাবে না।
কারণ, যারা গণতন্ত্রভিত্তিক আন্দোলন
করে তাদের আন্দোলন ইসলামের বোল-
বালা, প্রচার-প্রসার বা প্রতিষ্ঠিত করার
জন্য নয়; বরং তাদের আন্দোলন হচ্ছে
গণতন্ত্র অর্থাৎ কুফরী মতবাদকেই
প্রতিষ্ঠা করা। নাউজুবিল্লাহ!
অতএব, তাদের সে আন্দোলন জিহাদ ফী
সাবীলিল্লাহ নয়। বরং তাদের সে
আন্দোলন জিহাদ ফী সাবীলিশ শয়তান।
প্রকৃতপক্ষে তারা জিহাদ ফী
সাবীলিল্লাহর নামে সাধারণ মানুষকে
ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ ধোঁকা
থেকে সাবধান সতর্ক হওয়া উচিত।
অতএব, যে গণতন্ত্র দ্বীন ইসলাম উনার
নামে করা সম্পূর্ণ হারাম এবং এটাকে
জায়িয মনে করা কাট্টা কুফরীর
অন্তর্ভুক্ত; সেই গণতন্ত্রের জন্য পবিত্র
যাকাত, ফিতরা, উশর ইত্যাদি প্রদান
করলে তা কস্মিনকালেও আদায় হবে না;
বরং কবীরা গুনাহ ও কুফরী হবে।
দলীল-আদিল্লাহসমূহ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন