৫০০ টাকায় স্ত্রী বন্ধকের ঘটনায় সৈয়দপুরে তোলপাড়
প্রথম স্ত্রীর অগোচরে বিয়ে করেন তিনি। সংসারও শুরু করেন। দুই মাস পর প্রথম স্ত্রী বাড়ি আসবে শোনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি।
উপায় বের করেন, নববধূকে কারো কাছে কিছু সময়ের জন্য রেখে দেয়া। তা-ও আবার টাকার বিনিময়ে।
এতেই বাধে বিপত্তি। বেঁকে বসেন স্ত্রী। স্বামীর কাছে ফিরবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। শুধু তা-ই নয় বন্ধক গ্রহিতাকে বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিপত্নীক বন্ধকগ্রহীতাও তাতে বিয়েতে রাজি। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে স্বামী ও বন্ধকগ্রহীতার মধ্যে।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামে।
নববিবাহিত স্ত্রীকে বন্ধক রেখে বিপাকে পড়েছেন রিকশাভ্যানচালক লিটন আলী ওরফে ফকির (২৮)।
লিটন আলী জানান, দু’মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন পাশের নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শুকানপুকুর গ্রামের শিল্পী আখতারকে (১৯)।
এর আগে তিনি চট্টগ্রামে রিকশাভ্যান চালাতেন। তার স্ত্রী-সন্তান সেখানেই বসবাস করছেন। প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে বিয়ে করেন শিল্পীকে।
লিটন জানান, প্রথম স্ত্রী চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসছেন, এ খবর শুনে দিশেহারা হয়ে পড়েন। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।
পরে শিল্পীর বাবার বাড়ি এলাকার বিপত্নীক কাঠমিস্ত্রি ওলেমান মিয়ার (৩২) কাছে তিনি নববধূকে মাত্র ৫০০ টাকায় বন্ধক রাখেন।
কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে আগের স্ত্রী না আসায় তিন দিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে যান লিটন।
লিটন জানান, বউ তো ফিরে এলই না, বরং তাকে নানা রকম হুমকি ধমকি দেয়া হয়েছে। অনেক অনুরোধ করলেও শিল্পী সাফ জানিয়ে দেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীকে বন্ধক রাখে, সে আবার কেমন স্বামী?
তাই তিনি বন্ধকগ্রহীতার সঙ্গেই থাকতে চান। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
শিল্পী বেগম বলেন, আমি কোনোভাবেই লিটনের কাছে আর ফিরে যাব না।
বন্ধকগ্রহীতা ওলেমান বলেন, আমি শিল্পীকেই বিয়ে করব। ওকে ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।
এলাকার নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, লিটনের অপরাধ অমার্জনীয়। শিল্পী যা করেছে ঠিক হয়নি। বিয়ে না করে শিল্পী কীভাবে ওলেমানের বাড়িতে আছেন তা আমার বোধগম্য নয়।
কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ঘটনাটি শুনে বিস্মিত হয়েছি।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব
প্রথম স্ত্রীর অগোচরে বিয়ে করেন তিনি। সংসারও শুরু করেন। দুই মাস পর প্রথম স্ত্রী বাড়ি আসবে শোনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি।
উপায় বের করেন, নববধূকে কারো কাছে কিছু সময়ের জন্য রেখে দেয়া। তা-ও আবার টাকার বিনিময়ে।
এতেই বাধে বিপত্তি। বেঁকে বসেন স্ত্রী। স্বামীর কাছে ফিরবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। শুধু তা-ই নয় বন্ধক গ্রহিতাকে বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিপত্নীক বন্ধকগ্রহীতাও তাতে বিয়েতে রাজি। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে স্বামী ও বন্ধকগ্রহীতার মধ্যে।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামে।
নববিবাহিত স্ত্রীকে বন্ধক রেখে বিপাকে পড়েছেন রিকশাভ্যানচালক লিটন আলী ওরফে ফকির (২৮)।
লিটন আলী জানান, দু’মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন পাশের নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শুকানপুকুর গ্রামের শিল্পী আখতারকে (১৯)।
এর আগে তিনি চট্টগ্রামে রিকশাভ্যান চালাতেন। তার স্ত্রী-সন্তান সেখানেই বসবাস করছেন। প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে বিয়ে করেন শিল্পীকে।
লিটন জানান, প্রথম স্ত্রী চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসছেন, এ খবর শুনে দিশেহারা হয়ে পড়েন। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।
পরে শিল্পীর বাবার বাড়ি এলাকার বিপত্নীক কাঠমিস্ত্রি ওলেমান মিয়ার (৩২) কাছে তিনি নববধূকে মাত্র ৫০০ টাকায় বন্ধক রাখেন।
কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে আগের স্ত্রী না আসায় তিন দিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে যান লিটন।
লিটন জানান, বউ তো ফিরে এলই না, বরং তাকে নানা রকম হুমকি ধমকি দেয়া হয়েছে। অনেক অনুরোধ করলেও শিল্পী সাফ জানিয়ে দেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীকে বন্ধক রাখে, সে আবার কেমন স্বামী?
তাই তিনি বন্ধকগ্রহীতার সঙ্গেই থাকতে চান। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
শিল্পী বেগম বলেন, আমি কোনোভাবেই লিটনের কাছে আর ফিরে যাব না।
বন্ধকগ্রহীতা ওলেমান বলেন, আমি শিল্পীকেই বিয়ে করব। ওকে ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।
এলাকার নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, লিটনের অপরাধ অমার্জনীয়। শিল্পী যা করেছে ঠিক হয়নি। বিয়ে না করে শিল্পী কীভাবে ওলেমানের বাড়িতে আছেন তা আমার বোধগম্য নয়।
কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ঘটনাটি শুনে বিস্মিত হয়েছি।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন