শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৬

ইন্ডিয়ান হিন্দু থেকে মসজিদের ইমাম হয়ে উঠার গল্প।

রাভিন্দার কৌশিক থেকে শাকিরঃ ভয়ংকর তথ্য
_________________________________|
আপনাদের কোন এক সময় বলেছিলাম "একটি সংঘটন সঠিক সময়ে সঠিক আঘাত করতে সিদ্ধহস্ত" তাই নিয়েই এবারের আয়োজন।
১৯৬৫ সালে ঢাকা ক্যান্টনম্যান্ট মসজিদের ইমাম কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে দেখা যায় সে ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মী এবং শিখ। ছদ্দবেশে প্রায় ১৭ বছর ধরে ছিল। ঘটনাটা অনেক আগেই শুনেছিলাম কিন্তু অনেক আগের খবর যেহেতু তথ্যসুত্র দিতে পারছি না, তবে সেনাবাহিনীতে যদি অনেক সিনিয়র লেবেলে কেউ থাকে তাহলে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন। সেখানে এটা খুব মশহুর একটা ঘটনা।
মুল প্রসংগে ফিরে আসি, আমি এবার আপনাদের আরেকটা ঘটনা শোনাব যার সকল প্রকার তথ্য সুত্র আপনাদের আমি দিতে পারব। কারন ঘটনাটা খুব বেশী দিন আগের না। ঘটনাটা আমি আগেই লিখেছিলাম আমার মুল পেজে। আসুন সিট বেল্ট বেঁধে ্নিন এবং সম্মোহিত হয়ে পরের প্যারাটা বার বার পড়ুন
______________________________________
রাভিন্দার কৌশিকঃ দ্য ব্ল্যাক টাইগার
সে ছিল "RAW" এর ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সিক্রেট এজেন্ট ! যে তার সারাজীবন উৎসর্গ করেছিল ভারতের জন্য !
রাভিন্দর কৌশিক রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগরে ১১ এপ্রিল ১৯৫২ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি কিশোর জীবনে থিয়েটার কর্মী হিসেবে লখনৌ তে জনপ্রিয় ছিলেন। সেখানে সে একজন "র" কর্মকর্তার নজরে পড়েন। পাকা গোয়েন্দারা জহুরীর চোখ দিয়ে হীরা চিনতে ভুল করে না। রাভিন্দার কেও চিনতে ভুল হয়নি তাঁর। তাকে দেশের সেবা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। সে সানন্দেই রাজী হয়।
তাকে একজন আন্ডারকাভার এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর শুরু হয় ট্রেনিং।
তাকে মিলিটারি ইন্টিলিজেন্স-এর প্রতিটি শাখা সম্পর্কে হাতে কলমে শিখানো হয়। তাকে দিল্লীতে ঝাড়া দুই বছর ব্যাপক ট্রেনিং দেয়া হয়. সেখানে তাকে উর্দু ভাষা, পাকিস্তানের পুরো ভৌগলিক কাঠামো, পাকিস্তান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল জ্ঞান এবং একজন পরিপুর্ন মুসলিম হিসেবে শিক্ষা দেয়া হয়। ভাবতে পারছেন একজন দাদাকে মুসলিম দেশে গোয়েন্দাগিরির জন্য কোরান থেকে শুরু করে ধর্মের প্রতিটি বুৎপত্তিগত জ্ঞান দেয়া হচ্ছে, এখানে মূল বিষয়টি হোলও যারা সেই জ্ঞান দিচ্ছে তারা কারা ? কোন ছদ্দবেশী হুজুর নয়তো ?
[আপনারা কি ব্রিটেনে মাটির নিচের গোপন মাদ্রাসার ঘটনা জানেন?]
রাভিন্দার শুধু আরবী পড়তেই পারত না, সে এর পরিপূর্ণ অর্থ যাকে তাফসীর বলা হয় তাও পারত। যাতে কারো ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ না আসে। যেহেতু সে রাজস্থানের পাঞ্জাবী পরিবার থেকে এসেছিল, তাঁর পাঞ্জাব ভাষা তাকে পাকিস্তানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছিল, কারণ পাকিস্তানের অন্যতম ভাষা ছিল পাঞ্জাব।
সকল দরকারী প্রশিক্ষনের পর ২৩ বছর বয়সে তিনি "নবী আহমেদ শাকির" নাম ধারন করে পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে মিশনে যান। রাভিন্দর কৌশিক পাকিস্তানে ১৯৭৪ সালে প্রবেশে করেন।
বরাবরের মত এসপিওনাজ জগতের নিয়ম অনুযায়ী সে পাকিস্তান প্রবেশের পর তাঁর সকল পরিচয় "র" নস্ট করে ফেলে।
________________________________
শুরু হয় "নবী আহমেদ শাকির" এর নতুন জীবন। সেখানে সে করাচী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। উল্লেখ্য পাকিস্তানের বেশিরভাগ কমিশন্ড অফিসার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকেই তখন পাওয়া যেত।
এলএলবি পাশের পর রাভিন্দর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অর্থ বিভাগের একজন ক্লার্ক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর এক সেনা ইউনিটের দর্জির কন্যা "আমানত" কে বিয়ে করেন এবং তাদের এক পুত্রসন্তান হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে পদোন্নতি পেয়ে এবং পরীক্ষা দিয়ে সে কমিশন্ড র‌্যাংকে চলে যায়, সেখানে মেজর হিসেবে পদ পায়।
১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে সক্রিয় থাকে।
সে নিয়মিত ভারতীয় ডিফেন্স কে পাকিস্তানের বিভিন্ন গোপন কার্যক্রম এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তথ্য পাচার করত। ১৯৮০ সালে যখন পাকিস্তান ভারতের বিপক্ষে একটি শক্ত যুদ্ধ শুরু করার প্রকল্প হাতে নেয়, তখন তাঁর পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী চমৎকার এক সমর কৌশল তৈরী করে। রাভিন্দার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এমন একটা পজিশনে ছিল যাকে বলা হয়ে থাকে "সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায়", তাঁর কারণে সেবার কমপক্ষে তাঁর দেশের ২০০০০ হাজার সেনা সদস্য প্রানে বেঁচে যায়। চিন্তা করতে পারেন সংখ্যাটা ! এভাবেই চলছিল তার আন্ডার কাভার তৎপরতা।
পাঠকবৃন্দ, কি মনে হচ্ছে আপনাদের ? কোন কল্প কাহিনী ? না এটাই সত্যি, এই পৃথিবীকে আপনি যেভাবে দেখছেন হয়ত পৃথিবী তেমন না! আপনি হয়ত খেলা নিয়ে বুঁদ, অন্য কেউ হয়ত আপনার জাতি/দেশকে ধ্বংশের নেশায় বুঁদ !
________________________________
সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা একজন নিম্ন স্তরের অপারেটিভ, ইনিয়াত মাসিহ নামে একজনকে কৌশিকের সাথে যোগাযোগের জন্য "সিস্টেমে" পাঠায়। কিন্তু তার ভুলের কারণে সেই এজেন্ট পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা ধৃত হয় এবং তাকে টর্চারের সময় সে রাভিন্দরের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে দেয়।
এখানে লক্ষনীয় দুটি বিষয়, তার কাভার তার নিজের কোন কারণে প্রস্ফুটিত হয়নি, বরঞ্চ ইন্ডিয়ান সিক্রেট সার্ভিসের ভুলের কারণে প্রকাশিত হয়েছিল। আর কোন সিক্রেট এজেন্ট কে আগে টর্চার কিভাবে সহ্য করতে হয় তা শিখানো হয়।
আরেকটা বিষয় হোলও, এই ধরনের হাইলি সিক্রেট মিশনের যারা যায় তাদের বা সেই সব সিক্রেট এজেন্টের একটি দাঁত থাকে না, দাতের ফাকে সায়ানাইড ক্যাপসুল সমৃদ্ধ একটি নকল দাঁত লাগানো থাকে, যাতে টর্চার সহ্য করতে না পারলে তা দাঁত দিয়ে চেপে ভেঙ্গে মৃত্যুবরণ করা যায়। এটাই রিয়েল এসপিওনাজ, রিয়েল দেশপ্রেম।
তবে রাভিন্দারের এই রকমের কোন দাত দেয়া হয় নি! এই ধরনের হাস্যকর ভুল এই ধরনের "হাইলি ক্ল্যাসিফায়েড" মিশনে কেউ করবে না, যা "র" করেছিল।
এরপর শুরু হয় রাভিন্দারের উপর মারাত্মক নির্যাতন। তাকে শিয়ালকোটে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে দুই বছর ধরে নির্যাতন করা হয়। তাকে কোর্ট মার্শালে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তানের সুপ্রীম কোর্ট তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে।
কৌশিক শিয়ালকোট, কোট লাখপাত এবং মিয়ানওয়ালি জেলে ১৬ বছর ধরে ছিল, যেখানে সে হাঁপানি এবং টিবি সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, এছাড়া সে ট্রমায় আক্রান্ত হয়। এরপর ২৬ জুলাই ১৯৯৯, মুলতানের কেন্দ্রীয় কারাগারের হৃদরোগ মারা যায়., সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
________________________________
তার পরিবার এই খবর শোনার সাথে সাথে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কিন্তু বরাবরের মত রাভিন্দারকে চিনতে কেউ অস্বীকার করে, কারণ পুর্বেই আপনাদের বলেছি তার সকল ডকুমেন্ট পুড়িয়ে নস্ট করা হয়।
ইন্ডিয়ান সরকারের "ভ্রান্ত" নীতি অনুযায়ী কোন আন্ডার কাভার এজেন্ট কোথাও ধরা পড়লে তাকে স্বীকৃতি না দেয়ার নিয়ম আছে।
মৃত্যুর পুর্বে সে গোপনে ভারতে তাঁর পরিবারকে চিঠি দেয়, এবং তার প্রকৃত অবস্থা জানায়। সেখানে তার সাথে যে নির্দয় আচরণ করা হয়েছে তার বিবরণ থাকে। সেই চিঠিতে সে লিখে "ক্যায়া ভারত য্যায়ছে বাড়ে দেশকে লিয়ে কোরবানী দেনে ওয়ালো কা এহি মিলতা হ্যায়" অর্থাৎ ভারতের মত বড় দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গকারীর কি এই পুরস্কার ?
এভাবেই সমাপ্ত হয় শতাব্দীর অন্যতম সেরা একজন এসপিওনাজ এজেন্টের জীবন। তার মৃত্যুর পর ভারতীয় মিডিয়া সরকারকে তুলোধুনো করে ছাড়ে।
কি কেমন লাগল আপনাদের ?
এখন কে নিশ্চিত করবে আজ বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে রাভিন্দার কৌশিক নেই ?? পাকিস্তানের মত দেশের জন্য রাভিন্দারকে আরবী সহ কোরানে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হয়েছিল, সেই তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা তো পান্তাভাত। বাংলাদেশের যে কোন প্রশাসনের কয়জন মুসলিম আরবী সম্পর্কে, কোরানের তাফসীর সম্পর্কে অবগত ?? এখানে সিক্রেট এজেন্ট হিসেবে "ধর্ম নিরপেক্ষ" সম্পর্কে জ্ঞান থাকলেই হবে বলে আমার বিশ্বাস।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর বিষয় পরিস্কার হয়েছে , রাকেশ আস্থানা জড়িত, কিন্তু তার দেশীয় সহযোগী কে তা কিন্তু প্রকাশিত হয়নি।
সুতরাং সাম্প্রতিক সকল বিষয় - বাংলাদেশ ব্যাংক, সেনাসদরে ধর্ষন, শিক্ষানীতি, রামপাল, বিদ্যুত, গ্যাস, জঙ্গীর ফলন বেড়ে যাওয়া[যারা ব্রেইন ওয়াশ করছে সেই সব হুজুর গুলো কারা?], মেন্দি এন সাফাদীর বাংলাদেশ মাথা ব্যাথা সব নিয়ে চিন্তার ভার আপনার উপর ছেড়ে দিলাম !
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ সবাইকে ।

সকল সুত্রঃ
http://defenceforumindia.com/forum/threads/ravindra-kaushik-former-raw-agent-real-black-tiger.40490/
https://en.wikipedia.org/wiki/Ravindra_Kaushik
https://www.youtube.com/watch?v=QIra9vjkPOM
https://www.youtube.com/watch?v=Kqa0tODtMQM
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ সবাইকে ।
___________________________________

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

আফ্রিকাতে তৈরি করা একটা মসজিদ পুরোটাই মাটি দ্বারা তৈরি. 

আফ্রিকাতে তৈরি করা একটা মসজিদ পুরোটাই
মাটি দ্বারা তৈরি ভালো লাগলে লাইক দিতে পারেন

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬

ইসলাম গ্রহন করতে যাচ্ছেন টনি ব্লেয়ার


ক্ষমতায় থাকাকালে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। ‘আমরা কেউ ঈশ্বরের না’- এমন মন্তব্যও করেছিলেন একবার। তবে এবার রীতিমতো ধার্মিক বনে গেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়ার পর থেকে নিয়মিত ধর্মচর্চা করে যাচ্ছেন ব্লেয়ার।

২০১১ সালে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্বাসী থাকার জন্য তিনি নিয়মিত কোরান শরীফ থেকে আয়াত পাঠ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কয়েক মাস পর থেকে টনি ব্লেয়ার খ্রিস্টান ক্যাথলিক ধর্ম চর্চা শুরু করেন। পরবর্তীতে ধর্ম চর্চা বহাল রাখার জন্য এবং বিশ্বের বর্তমান অবস্থাকে বোঝার জন্য তিনি কোরান পাঠ শুরু করেন বলে জানিয়েছেন টনি ব্লেয়ার।

অবজারভার ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সব কথা বলেন। ওই সময় তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বাসী হিসেবে টিকে থাকা বেশ কঠিন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রতিদিন কোরান থেকে পড়ি। আমি মূলত পড়ি কারণ এটি অত্যন্ত শিক্ষামূলক এবং বিশ্বকে বোঝার জন্যও আমি এটাকে পড়ি।’

এর আগে ব্লেয়ার মুসলিম বিশ্বাসকে ‘সুন্দর’ মন্তব্য করে বলেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘একটি অত্যন্ত সভ্য শক্তি’। অবশ্য ২০০৬ সালে এক বক্তব্যে টনি ব্লেয়ার জানিয়েছিলেন, কোরান শরীফ একটি লিখিত বই যেখানে অনেক কিছু সন্নিবেশন করা হয়েছে।

সেখানে বিজ্ঞান ও জ্ঞানের কীর্তন রয়েছে এবং কুসংস্কারকে ঘৃণার কথা বলা হয়েছে। এটি খুবই বাস্তব সম্মত এবং নিশ্চিতভাবে এটি প্রকাশের সময় থেকে অনেক পরের বিষয় যেমন রাষ্ট্র পরিচালনা, ধর্ম ও নারীদের নিয়ে লেখা হয়েছে। এ সময় তিনি সেই সকল জিহাদিদের সমালোচনা করেন যারা কোরানকে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার জন্য ব্যাখ্যা করছে।




।http://www.pcnews24.com/details.php?id=26665




সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

যশোরে জামায়াত নেতার বাড়িতে ২ মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষিত

যশোরে জামায়াত নেতার বাড়িতে ২ মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষিত।

এই হলো বাংলাদেশে সালাফীদের লালন পালনকারী জামাতীদের চরিত্র। এদর কাঁধে ভর করে বাংলাদেশে এত ফিতনা। জঘন্য চরিত্র।
যশোরে জামায়াত নেতার বাড়িতে ২ মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষিত
যশোরের কেশবপুরে একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে এক জামায়াত নেতার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের জামায়াত নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের বরণডালি গ্রামের বাড়িতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ওই নেতার ভাতিজাসহ দুজন ওই ছাত্রীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। বর্তমানে নির্যাতিতরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যৌন নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রীর বাবা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কথা বলে মাদ্রাসা থেকে তাদের ডেকে নিয়ে যায় নূরুল ইসলামের ভাতিজা ও তার এক বন্ধু। মাদ্রাসা থেকে কিছুটা দূরে সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের বাড়ি। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় দুটি কক্ষে চেয়ারম্যানের ভাতিজা বরণডালি গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন ও আজগর আলী দফাদারের ছেলে আমিনুর রহমান ছাত্রীদের আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায় এক ছাত্রীর বাবা বিষয়টি মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আজগার আলী ওরফে ভুট্টকে বলেন। এর পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্যাতিতাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আবদুস সামাদ বলেন, ''ঘটনা সত্য। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।''। - (http://bit.ly/2a7v9KS)

.

শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬

বেদাতিরাই.... বেদয়াত, বেদয়াত বলে যারা শরিয়তের ফায়সালাগুলি অস্বীকার করে , মানে না। 

বেদয়াত, বেদয়াত বলে যারা শরিয়তের ফায়সালাগুলি অস্বীকার করে , মানে না। যেমন , মিলাদ শরীফ মানে না, লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান মানে না, মহিলা জামাত নিসিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মসজিদে , ঘরে মহিলাদের জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করে , সম্মিলিত মুনাজাত করাকে বেদয়াত বলে অর্থাৎ বাদ করে দেয় ইত্যাদি অনেক আছে যা বাতিল পন্থিরা আমল করতে দেয় না । নাউজুবিল্লাহ।

এখন আমাদের জানার বিষয় হলো ----
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন অনেক নতুন বিষয় রয়েছে, যা অবশ্যই কেউ পরিত্যাগ করে না।

যেমন -
(ক) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসায় ইল্ম শিক্ষা দেওয়া হয়, সেই পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুরু করে “খাইরুল ক্বুরুন” পর্যন্ত কারো সময়ই ছিলনা।
(খ) বর্তমানে আমরা যে নাহু সরফ শিক্ষা করে থাকি, তাও “খাইরুল ক্বুরুনে” ছিল না।
(গ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে তারাবীহ্র নামায পড়ে থাকি, এ পদ্ধতিও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(ঘ) বর্তমানে আমরা মসজিদে জামায়াতের জন্য যে সময় নির্ধারণ করে থাকি, তাও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(ঙ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে জুময়ার সানী আজান দিয়ে থাকি, এ পদ্ধতি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(চ) বর্তমানে আমরা যে পদ্ধতিতে ওয়াজ মাহ্ফিল করে থাকি, ঐরূপ পদ্ধতিতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওয়াজ মাহ্ফিল করেননি।
(ছ) বর্তমানে আমরা যে পোলাও, বিরিয়ানী কোর্মা, বুট, মূড়ী, পিয়াঁজো খেয়ে থাকি, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাননি।
(জ) বর্তমানে আমরা যে সকল যান-বাহনে চড়ে থাকি, যেমন- মোটরগাড়ী, ট্রেন, প্লেন, রকেট, রিক্সা, জাহাজ ইত্যাদি এবং পবিত্র হজ্জব্রত পালন করি ও বিদেশ ভ্রমনে যাই, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা, তিনি ঐগুলোতে কখনো চড়েননি।
(ঝ) বর্তমানে মানুষ যে সকল খাট -পালঙ্ক, সোকেস-আলমারী ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যবহার করেননি।
(ঞ) বর্তমানে বিয়ে-শাদীতে যে কাবিননামা করা হয়, তা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(ত) বর্তমানে যে সকল আধুনিক যন্ত্রপাতি মানুষ ব্যবহার করছে, যেমন- ফ্যান, এসি,ঘড়ি, চশমা, মাইক, ইত্যাদি, এগুলো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা।
(থ) বর্তমানে যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসার জন্য চাঁদা আদায় করা হয়, যেমন সদকা, ফিৎরা, যাকাত, কুরবানীর চামড়া, মান্নতের টাকা ইত্যাদি এবং যে পদ্ধতিতে মাদ্রাসা তৈরী করা হয়, তা যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা। তদ্রুপ ‘খায়রুল কুরুনেও’ ছিলনা।
(দ) এখন সবাই ফেসবুক খবর লেখা, পড়া এবং প্রচারের কাজে ব্যবহার করছে যা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময় ছিলনা। তদ্রুপ ‘খায়রুল কুরুনেও’ ছিলনা।
এমনিভাবে আরো অনেক বিষয়ই রয়েছে, যা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা “খায়রুল কুরুনে” ছিল না কিন্তু আমরা তা দায়েমীভাবে করছি।

আপনারা কি এগুলো ব্যবহার হতে বিরত থাকেন বা হেফাজতে আছেন ?

মূলত হাদীস শরীফ মুতাবিক কলেমা গো ৭৩ টা দলের মধ্যে একটি দল ছাড়া , বাকি ৭২টা দলই জাহান্নামী হবে , আক্বিদায় ত্রুটি থাকার কারনে , শরীয়তকে অস্বীকার করার কারণে। আর যারা বেদয়াত, বেদয়াত করে মুখে ফেনা তুলে শরীয়তের হুকুম অস্বীকার করে , তারা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও জাহান্নামী ৭২ টা দলের মধ্যেই পড়ে। নাউজুবিল্লাহ । এর মূল কারণ হচ্ছে ওরা শরীয়তের খেলাফ কাজ করার কারণে খাস রহমত
থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এই রহমত শূন্য থাকার কারণে ওরা লানতের মধ্যে পড়েছে। ওরা অন্ধ , বধির হয়ে গিয়েছে। ওদের অন্তর পাপের কারণে কালো হয়ে গিয়েছে।
এসব মুনাফিকদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন, ----
“নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরে অবস্থান করবে। আপনি তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী পাবেন না।”

মুবারক হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো রয়েছে,

“ মুনাফিকের আলামত তিনটি। যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে। যখন ওয়াদা করে, ভঙ্গ করে। যখন তার নিকট আমানত রাখা হয়, সে খিয়ানত করে। কিন্তু হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণনায় এ বিষয়টি অতিরিক্ত রয়েছে যে, যদিও সে রোযা রাখে ও নামায পড়ে এবং নিজেকে মুসলমান বলে মনে করে।”( মুত্তাফাকুন আলাইহি )
অতএব , সাধারণ মানুষদেরকে বলতে চাই ----- এই সব মুনাফিক থেকে দূরে থাকুন।
শরীয়ত মুতাবিক অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম মুতাবিক জীবন , যাপন করুন। বেদয়াত , বেদয়াত বলে রহমতের কাজ থেকে দূরে সরে যাবেন না। রহমতের কাজ থেকে সরে যাওয়া মানেই নিজের ক্ষতি নিজেই ডেকে আনা অর্থাৎ নিজের ধ্বংস নিজেই করা । নাউজুবিল্লাহ ।

এখনো সময় আছে, খালেস তওবা করে শরীয়ত মুতাবিক সমস্ত আমল করার চেষ্টা করুন।

মহান আল্লাহ পাক সবার ভালাই দান করুন। আমীন ।


বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬

সোহরাব রোস্তম ছবির নায়িকা বনশ্রী এখন রাস্তার হকার…. // প্রসঙ্গ : হারামে আরাম নাই।

প্রথমেই বলে নিই, ইসলাম ধর্মে গান,বাজনা, ছবি,সিনেমা,কৌতুক সবই হারাম
...
সুতরাং এগুলো করলে যে ইহকাল, পরকাল সব ই হারাতে হয়... তার বাস্তব প্রমাণ নিচের ঘটনাটা.....





সোহরাব রোস্তম ছবির নায়িকা বনশ্রী এখন রাস্তার হকার…..
রুপালি জগতের হাতছানি, নায়িকা হিসেবে অভিনয়, তারকা খ্যাতি এবং সেই খ্যাতির স্বর্গ থেকে ভূমির ধূলায় লুটিয়ে পড়া, হারিয়ে যাওয়া এরপর ন্যূনতম মানুষের মতো বেঁচে থাকার লড়াই- এমন চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে আসা এক সময়কার নায়িকা সাহিনা আকতার বনশ্রী। তাঁকে নিয়েই আমাদের এই বিশেষ আয়োজন। নায়িকা বনশ্রী অকপটে বলেছেন নিজেরজীবনের আদ্যোপান্ত।প্রশ্ন : আপনি তো নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে নব্বইয়ের দশকে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন। সেই সময়কার কথা আমাদের বলবেন কি?উত্তর প্রথম ছবি করেই আমি মানুষের চোখে পড়ে যাই। নামধাম হয়। ছবির নাম ‘সোহরাব রুস্তম’।
১৯৯৪ সালের পয়লা জুলাই মুক্তি পায় ছবিটি। পরিচালক ছিলেন মমতাজ আলী। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে এই ছবিতে ভালো কাজ করেছি। তাই হাতে আরো কাজ আসতে শুরু করে। ১৯৯৪ সালের ১৮ নভেম্বর আমার দ্বিতীয় ছবি মুক্তি পায়। নাম ‘মহা ভূমিকম্প’। পরিচালনা করেছেন সুভাষ ঘোষ। আমার সাথে নায়ক ছিলেন মান্না ভাই ও আমিনখান। ১৯৯৮ সালের ২৭ নভেম্বর ‘নেশা’ ছবিটি মুক্তি পায়। সাইদুর রহমান সাইদের পরিচালনায় অভিনয় করেছি আমি, রুবেল ভাই আর অঞ্জু ঘোষ। বুঝতেই পারছেন, তখন আমাকে মানুষ চিনতে শুরু করেছে।প্রশ্ন :আপনি বড় হয়েছেন কোথায়?উত্তর : আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে।
আমার আসল নাম সাহিনা আকতার, খুবছোটবেলায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবা আমাদের ঢাকায় নিয়ে আসেন। মাদারীপুরের কথা কিছু মনে নেই। ঢাকার মোহম্মদপুরেই বড় হয়েছি। বেগম নূরজাহান বালিকা বিদ্যালয়ে পড়তাম। ছোটবেলা থেকে গান করতাম আর প্রচণ্ড ইচ্ছা ছিল নায়িকা হব। কোনো পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যখন যেতাম তখন কেউ বলত সুচরিতার মতো দেখতে, কেউবলত এ তো দেখি নায়িকা নতুনের মতো, আবার কেউ বলত দিতির মতো, শাবানার মতো। আসলে ছোটবেলা থেকেই মাথায় ঢুকে যায় আমাকে নায়িকা হতে হবে।


কিন্তু ১২-১৩ বছর বয়সেই আমার বিয়ে হয়ে যায়।প্রশ্ন : এত তাড়াতাড়ি বিয়ে হলো কীভাবে?উত্তর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির একজন ছাত্র আমাদের পাশের বাড়িতে থাকতেন। তার নাম ছিল শ্যামল কুমার কণ্ঠ । ভাইয়া আমাকে প্রায়ই চিঠি দিতেন, আমি পাত্তা দিতাম না। একদিন দেখি শ্যামল ভাইয়ের ঘরে অনেক মানুষ চিৎকার করছে। পরে জানতে পারলাম শ্যামল ভাই গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করতে চাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় শ্যামল ভাইয়ের মা সহ আমাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত। বাবার হাতে ছেলেকে তুলে দিয়ে তার মা বলেন, আমার ছেলেকে আপনার হাতে তুলে দিলাম আপনি ওকে মুসলমান বানিয়ে নিন। ছেলের মৃত্যুর চেয়ে মুসলমান ছেলে অনেক ভালো। সেদিনই আমাদের বিয়ে হয়ে গেল। শ্যামল কুমার কণ্ঠ ধর্ম ও নাম বদলে হয়ে গেলেন মাসুদ চৌধুরী। এটা ৯২ বা ৯৩ সালের ঘটনা।;প্রশ্ন : তাহলে আপনি নায়িকা হয়েছেন বিয়ের পর?;উত্তর : ;হ্যাঁ।



বিয়ের পর নায়িকা হওয়ার চিন্তা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে আবার। স্বামীর সম্মতিতে যোগাযোগ শুরু করলাম এফডিসিতে। পরিচয় হলো এফটি প্রোডাকশনের মালিক মোহম্মদ ফারুক ঠাকুরের সঙ্গে। তিনি আমাকে প্রথম দেখাতেই পছন্দ করে ফেললেন। কিন্তু আমার বিয়ে হয়েছে কথাটি গোপন রেখে কাজে নামতে হলো কারণ বিবাহিত মেয়েরা সিনেমায় জনপ্রিয় হতে পারে না। ‘সোহরাব রুস্তম’ ছবির পরিচালক মমতাজ আলী বললেন, ‘নতুন নায়িকা, ভালো নাচ লাগবে, অভিনয় লাগবে, এত বড় বাজেটের ছবি, টাকা ফেরত পাব তো?’ ফারুক ঠাকুর বললেন, ‘আমার ছবি, আমার টাকা, আমি এই নায়িকা দিয়েই ছবি করব।’আমার চলচ্চিত্র জীবনের শুরুটা শুভ ছিল না। বাধা হয়ে দাঁড়াল পেটের সন্তান। যখন সব ঠিক হচ্ছিল তখন আমর পেটে সন্তান। আমি তো কিছুতেই এই সময় বাচ্চা নিতে রাজি নই। কিন্তু ডাক্তার বললেন, আমার বাচ্চা পেটে বড় হয়ে গেছে।
এখন নষ্ট করলে ভবিষ্যতে আমার আর বাচ্চা হবে না। তাই বাধ্য হয়েই মা হলাম। পৃথিবীতে এলো আমাদেরকন্যা সন্তান শ্রাবন্তি শ্যামল বৃষ্টি। সবকিছু গোপন করে আবার ছুটে গেলাম এফডিসিতে।আমার প্রথম ছবি ‘সোহরাব রুস্তম’ এ নায়ক ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই। তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। শুটিং চলাকালেই আমার নাম ছড়িয়ে পড়ে এফডিসিতে। অনেক জায়গাথেকে নতুন ছবির অফার আসতে লাগল।সব প্রযোজক আমাকে নিয়ে ছবি বানাতে চাইতেন কারণ আমি চরিত্র অনুযায়ী সাজতে পারতাম। কিন্তু আবারও বাধা এলো আমার চলচ্চিত্র জীবনে।
এবার বাধা দিলেন এফটি প্রডাকশনের মালিক সেই মোহম্মদ ফারুক ঠাকুর।<strong>প্রশ্ন : </strong>কেন? উনি কেন বাধা হয়ে দাঁড়ালেন? উনিই তো আপনাকে প্রথম সুযোগ করে দিলেন?উত্তর হ্যাঁ ‘সোহরাব রুস্তম’ ছবির প্রযোজক মোহম্মদ ফারুক ঠাকুরই আমাকে এনেছিলেন। কিন্তু তিনিই আমাকে আর কিছুতেই অন্য ছবিতে কাজ করতে দিতে চাচ্ছিলেন না। প্রথম থেকেই তিনি আমাকে ভালো গাইড করছিলেন। কিন্তু আমি এসেছি নায়িকা হতে। সবার ছবিতে কাজ করতে না পারলে আমার ক্যারিয়ারের কী হবে? ফারুক ঠাকুর আমাকে বললেন, এফটি প্রডাকশন বছরে ৪টা ছবি করবে আর প্রত্যেক ছবিরই নায়িকা হবো আমি। তিনি স্বপ্ন দেখালেন, বললেন, আমি শুধু নায়িকা থাকব না। এফটি প্রডাকশনের আগামীতেযেসব ছবি হবে তার লাভের অর্ধেক আমিও পাব। শুরু হলো আমার চলচ্চিত্রের নতুন যাত্রা।প্রশ্ন :প্রযোজক ফারুক ঠাকুর কি কথা রেখেছিলেন?উত্তর হ্যাঁ উনি কথা রেখেছিলেন। ‘নিষ্ঠুর দুনিয়া’ ছবির মাধ্যমে প্রযোজনা সংস্থা এফটি প্রডাকশনের মালিক মোহম্মদ ফারুক ঠাকুরের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় ছবি শুরু করলাম। ওই ছবির নায়ক ছিলেন রুবেল ভাই। ১৯৯৫ সালে আমরা চুক্তিবদ্ধ হলাম।
চুক্তিতে লেখা ছিল, চুক্তির ছয় মাসের মধ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার টাকা ফেরতদেবে অন্যথায় আমি এফটি প্রডাকশনের আরো দুটি ছবি ‘আলো মতি প্রেম কুমার’ ও ‘মধুমালা মদন কুমার’সহ চলমান ছবি ‘নিষ্ঠুর দুনিয়া’র অর্ধেক মালিকানা পাব।এগিয়ে চলল ‘নিষ্ঠুর দুনিয়া’ ছবির কাজ। প্রায় আশি ভাগ শুটিংও শেষ করলাম। রুবেল ভাইয়ের সাথে এর আগে ‘নেশা’ ছবিটি করায় উনার সাথে কাজটা ভালো হচ্ছিল। যেহেতু আমিনায়িকা, আমাকে দেখতে সুন্দর লাগতে হবে তাই প্রায় প্রতিদিন হোটেল সোনার গাঁ অথবাশেরাটনে সাঁতার কাটতাম। কিন্তু বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি ফারুক ঠাকুর।ফারুক ঠাকুর বললেন, সুইমিং করার সময় অনেক মানুষ লবিতে হাঁটাহাঁটি করে, এটা উনারভালো লাগছে না। কিন্তু আমাকে তো সুইমিং করতেই হবে নয় তো মোটা হয়ে যাব। ফারুক ঠা

জায়নামাজ কিনার সময়, এক কালারের জায়নামাজ কিনুন। ভালো করে চেক করে কিনুন। অনেক ধরনের সাইন আছে( শায়তান, বানর, মানুষ এর মুখ, প্রানীর প্রতিক)।


‪#‎সাবধান‬! জায়নামাজ কেনার সময় এই জিনিস গুলি লক্ষ্য রাখুন।
-
জায়নামাজ কিনার সময়, এক কালারের জায়নামাজ কিনুন। ভালো করে চেক করে কিনুন। অনেক ধরনের সাইন আছে( শায়তান, বানর, মানুষ এর মুখ, প্রানীর প্রতিক)। শেয়ার করে সাবধান করুন আপনার ফ্রেন্ডসদেরকে।
কিছুদিন আগে এক ভাইয়ের ফেবু স্ট্যাটাসে দেখেছিলাম, জায়নামাজে তার স্ত্রী ক্রুশ টাইপ একটা সাইন খেয়াল করেছেন।সেখানে আরও কিছু জায়নামাজের পিক ছিল যেখানে ভালো করে খেয়াল করলে বিভিন্ন রকম অদ্ভুদ আকৃতি দেখা যাবে।
তারপর আমি আমাদের বাসার জায়নামাজগুলো ভালো করে চেক করি।।কিন্তু তেমন কিছু খুজে পাইনাই। তারাবির নামাজ পড়তে গিয়ে আমার পাশের জায়নামাজে দেখলাম পা রাখার জায়গায় অদ্ভুদ একটা শিল্পকর্ম যা ভালো করে খেয়াল করলে মনে হবে একটা বানর টাইপের মূর্তি। নাউযুবিল্লাহ…আমি যখন আন্টিকে দেখালাম তারপর থেকে আন্টি ওই জায়নামাজ আর ইউজ করেনা।
আবার ওইদিন চ্যানেল আইতে কাফেলার একটা এপিসোডে দেখেছিলাম যে প্যালেস্টাইনে ইহুদীদের বাসার উপর আট মাথাওয়ালা স্টার থাকে যা দেখে বুঝা যায় এএইটা একটা ইহুদীর বাসা।
আমার জায়নামাজটাও স্টার দিয়ে ডিজাইন করা কিন্তু বিষয় হচ্ছে প্রতিটা স্টারের আটটা মাথা এবং ভালো মত খেয়াল করলে বুঝা যাবে স্টার গুলো দিয়ে ক্রুশ বানানো হয়েছে।। আটটা স্টার নিয়ে আরেকটা স্টার হয়েছে।
ইয়া আল্লাহ, কি গভীর ষড়যন্ত্র। আমাদের কিভাবে বোকা বানানো হচ্ছে… আল্লাহ মাফ করুক।।।।
এই জায়নামাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানীগুলোর মালিক আসলে কারা!!!!
আমাদের উচিত কোনরকম ডিজাইন ছাড়া এক কালারের জায়নামাজ কেনা এবং এই বিষয়ে সচেতন হওয়া।।।
সুত্রঃ ই বাত্রা ডট কম

আইএস সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের দমনের অযুহাতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা(!) দেয়ার প্রস্তাব করেছে বন্দুক হামলায় জর্জরিত দেশ যুক্তরাষ্ট্র।





কথিত আইএস সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের দমনের অযুহাতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা(!) দেয়ার প্রস্তাব করেছে বন্দুক হামলায় জর্জরিত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই ঢাকা এসে এমন প্রস্তাব করেছ। এটাকে নিঃসঙ্কোচে Funny News of the year বলা যেতে পারে। কারণ-
খোদ আমেরিকাতেই বন্দুক হামলার ঘটনা এতোটা ঘটে যে প্রতিদিনই গুলিতে নিহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি প্রতি ৭২ ঘন্টায় কয়টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে এবং কতজন মারা যায় শুধু এই হিসাব করার জন্য আলাদা জরিপ সংস্থাও আছে ওয়াশিংটনে।
আমেরিকার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত Gun Violence Archive নামক সেই জরিপ সংস্থার তথ্যানুযায়ী চলতি বছরেই (১০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত) গুলির যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার সংক্ষিপ্ত চিত্র এখানে তুলে ধরা হলো->
--- বন্দুক হামলা বা গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে ২৭৫৭৫ বার
--- আবাসিক বাড়িতে বন্দুক হামলা ১১৬৫ বার
--- গণসমাবেশে বন্দুক হামলা হয়েছে ১৭৯টি
--- এসব ঘটনায় মারা গেছে ৭১৮৭ জন
--- আহত হয়েছে ১৪৮১৩ জন
--- গুলি করে ১১ বছরের নিচে শিশু হত্যা হয়েছে ৩১৯ টি
--- সন্ত্রাসীর গুলিতে পুলিশ অফিসার নিহত ১৭২ জন
--- পুলিশের গুলিতে সন্ত্রাসী নিহত ৯৬৫ জন
উল্লেখ্য, Gun Violence Archive (GVA)-এর ওয়েবসাইটে উল্লেখিত রয়েছে শতভাগ গুলি হামলার ঘটনা এখানে নেই অর্থাৎ এর বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটছে।
এছাড়াও বিবিসি’র প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়,
২০১৫ সালে-->
--- বড় ধরণের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে ৩৭২টি।
--- গুলিতে মৃত্যু হয় ৪৭৫ জনের, আহত হয় ১৮৭০ জন।
--- স্কুলে বন্দুক হামলা হয় ৬৪ বার।
--- ২০১৫ সালে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১৩,২৮৬ জন।
আমেরিকার নিজ দেশে গুলাগুলিতে প্রতিনিত এতো মানুষ মরছে, সেগুলো যারা দমনতো দূরের কথা নিয়ন্ত্রই করতে পারছেনা, তারা নাকি আবার বাংলাদেশের কল্পিত আইএস দমন করবে! আমেরিকার ইতিহাসে কোন সরকারই বন্দুকধারী সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করতে পারেনি। এখনো তারা ব্যর্থ।
সূতরাং তাদের সহযোগীতা আমাদের দরকার নেই। তাদের কথিত প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা নিজ দেশের পুলিশদের প্রশিক্ষণ দিক।
তথ্য সূত্র:
http://goo.gl/gvNTAm
http://goo.gl/YjCjmL

আইএস সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের দমনের অযুহাতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা(!) দেয়ার প্রস্তাব করেছে বন্দুক হামলায় জর্জরিত দেশ যুক্তরাষ্ট্র।



কথিত আইএস সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের দমনের অযুহাতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা(!) দেয়ার প্রস্তাব করেছে বন্দুক হামলায় জর্জরিত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই ঢাকা এসে এমন প্রস্তাব করেছ। এটাকে নিঃসঙ্কোচে Funny News of the year বলা যেতে পারে। কারণ-
খোদ আমেরিকাতেই বন্দুক হামলার ঘটনা এতোটা ঘটে যে প্রতিদিনই গুলিতে নিহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি প্রতি ৭২ ঘন্টায় কয়টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে এবং কতজন মারা যায় শুধু এই হিসাব করার জন্য আলাদা জরিপ সংস্থাও আছে ওয়াশিংটনে।
আমেরিকার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত Gun Violence Archive নামক সেই জরিপ সংস্থার তথ্যানুযায়ী চলতি বছরেই (১০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত) গুলির যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার সংক্ষিপ্ত চিত্র এখানে তুলে ধরা হলো->
--- বন্দুক হামলা বা গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে ২৭৫৭৫ বার
--- আবাসিক বাড়িতে বন্দুক হামলা ১১৬৫ বার
--- গণসমাবেশে বন্দুক হামলা হয়েছে ১৭৯টি
--- এসব ঘটনায় মারা গেছে ৭১৮৭ জন
--- আহত হয়েছে ১৪৮১৩ জন
--- গুলি করে ১১ বছরের নিচে শিশু হত্যা হয়েছে ৩১৯ টি
--- সন্ত্রাসীর গুলিতে পুলিশ অফিসার নিহত ১৭২ জন
--- পুলিশের গুলিতে সন্ত্রাসী নিহত ৯৬৫ জন
উল্লেখ্য, Gun Violence Archive (GVA)-এর ওয়েবসাইটে উল্লেখিত রয়েছে শতভাগ গুলি হামলার ঘটনা এখানে নেই অর্থাৎ এর বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটছে।
এছাড়াও বিবিসি’র প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়,
২০১৫ সালে-->
--- বড় ধরণের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে ৩৭২টি।
--- গুলিতে মৃত্যু হয় ৪৭৫ জনের, আহত হয় ১৮৭০ জন।
--- স্কুলে বন্দুক হামলা হয় ৬৪ বার।
--- ২০১৫ সালে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১৩,২৮৬ জন।
আমেরিকার নিজ দেশে গুলাগুলিতে প্রতিনিত এতো মানুষ মরছে, সেগুলো যারা দমনতো দূরের কথা নিয়ন্ত্রই করতে পারছেনা, তারা নাকি আবার বাংলাদেশের কল্পিত আইএস দমন করবে! আমেরিকার ইতিহাসে কোন সরকারই বন্দুকধারী সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করতে পারেনি। এখনো তারা ব্যর্থ।
সূতরাং তাদের সহযোগীতা আমাদের দরকার নেই। তাদের কথিত প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা নিজ দেশের পুলিশদের প্রশিক্ষণ দিক।
তথ্য সূত্র:
http://goo.gl/gvNTAm
http://goo.gl/YjCjmL

কাল্পনিক USA এর US বা IS সন্ত্রাসি।

(কাল্পনিক us-is)
আমেরিকান সরকার একটি গুন্ডাবাহিনী বানাবে বলে সিদ্ধান্ত নিল। যার নাম আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। আমেরিকার সংক্ষিপ্ত "us" হবে দলটির নাম। কিন্তু মাঝে লাগলো একটা কেরফা। দলটা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল হবে তাই ইন্টারন্যাশনাল গুন্ডা বাহিনী রেজিস্টার অফিসে (ইসরাইলে) রেজিস্টার করার সময় টাইপিংয়ে "us" এর "u" জায়গায় কিবোর্ড-এ "u" এর পারশবরতী অক্ষর "I" এ চাপ পরছে।
দল গঠন হয়ে গেল। কিন্তু "us" না হয়ে নাম হয়ে গেল "is".
আর সাথে সাথে "I" এর মানে করা হল ইসলাম।
এক ঢিলে কয়েক পাখি।
(বি:দ্র: এই দলটি দিয়ে আমেরিকা যেকোন দেশকে সন্ত্রাসী হামলার নাটকে জড়িয়ে সন্ত্রাসী আক্রান্ত দেশ হিসেবে ব্ল্যাকমেইল করার চেষটা করে। যার ফলে সেই দেশের শাসকগোষ্ঠী হয়রানীর শিকার হয়ে আমেরিকার নিকট মাথানত করতে বাধ্য হয়। আর পাশাপাশি ইসলামকেও কালার করা হয়।

মুসলমানদের জানা দরকার!!... পৃথিবীর সব থেকে গোপনীয় মিটিং হচ্ছে বিল্ডারবার্গ মিটিং।


পৃথিবীর সর্বোচ্চ ক্ষমতাশীলদের মিটিং এটি। সর্বোচ্চ ক্ষমতাশীল বলতে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন-জাপানের কোন প্রেসিডেন্ট নয়। বরং তারা যাদের কথা মতো নিয়মিত ওঠাবসা করে তাদের মিটিং এটি। বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো দেশগুলো যেভাবে পর্দার আড়ালে থেকে কোন পরাশক্তি পরিচালনা করে, তদ্রুপ বিশ্বের কথিত পরাশক্তি দেশগুলোও তথা সারা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, কূটনীতি, যুদ্ধ-মৈত্রী ইত্যাদি পরিচালিত হয় ঐ মিটিং সদস্যদের ইচ্ছামতো। চেনা পরিচিত ধনীদের মধ্যে শুধুমাত্র বিল গেটস ২০১০ সালে একবার অংশগ্রহণ করেছিল। বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে একবার অংশগ্রহণ করেছিলো।
প্রশ্নজাগছে যে কারা এখানে অংশগ্রহণ করে?

একমাত্র বিল্ডারবার্গ ক্লাবের সদস্যরাই এই মিটিং এ অংশ নিতে পারে। পৃথিবীর সবথেকে বড় বড় ব্যাংক এবং প্রতিষ্ঠানের মালিক, বড় বড় কোম্পানির CEO, পৃথিবীর সবথেকে বড় বড় রাজ পরিবারের সদস্য অর্থাৎ পেছন থেকে পুরো পৃথিবী যারা কন্ট্রোল করতেছে এমন ১৫০-২০০ জন মানুষ এই মিটিং এ পার্টিসিপেট করে।
এই বছরের জুন মাসে ৬৩ তম বিল্ডারবার্গ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে অষ্ট্রিয়াতে একদম পাহাড়ের মধ্যে একটা ক্যাসেলে। পাহাড়ের আশেপাশের ৬ মাইল ব্যাসার্ধের এরিয়া ৭ দিন আগে থেকে পুরোপুরি সিল করা হয়েছিলো, কোন গাড়িঘোড়া ঢুকতে দেয়া হয়নি। মোট ২ হাজার পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছিলো শেখানে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বছরে প্রথমবারের মতো বিল্ডারবার্গ গ্রুপ তাদের মিটিং এ যারা পার্টিসিপেট করেছে তার একটা ফুল লিস্ট তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। এবং গেজ হোয়াট? বারাক অবামা আমন্ত্রিত হয়নি। এরা অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টরে গোনেই না।

বর্তমান বিশ্ব যেসব সুপার এলিটরা পরিচালনা করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রকারফেলার পরিবার। ১৮শ শতাব্দীর শেষের দিকে তারা তেলের ব্যবসা করে একদম ফুলে ফেপে ওঠে। তখন পুরো পৃথিবীর তেলের ব্যবসায় তাদের একরকম একাধিপত্য ছিল বলা যায়। জানা যায় রকারফেলার পরিবারের অন্যতম সদস্য জন ডি রকারফেলারের একার ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণই ছিল সেই আমলের টাকায় ৪০০ বিলিওন ডলার। অনেকের মতে পুরো রকারফেলার পরিবারের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ নাকি এখন ৩০০ ট্রিলিওন ডলারের কাছাকাছি।

অবশ্য তাদের টাকার পরিমাণ হিসাব করা বোকামি, কারণ তারাই টাকা বানায়। পৃথিবীর সব বড় বড় ব্যাংকের মালিকানা এদেরই। আর ব্যাংক কীভাবে পরিচালিত হয় তার ব্যাসিক আইডিয়া কারোর থাকলেই জানার কথা যে ব্যাংকই টাকা তৈরি করে।

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে আচ্ছা পৃথিবীর সবথেকে বড় কোম্পানির CEO’রা যদি এই মিটিং এ অংশগ্রহণ করে তাহলে তো গুগোল আর ফেসবুকের CEOদের শেখানে নিয়মিত পাওয়া উচিৎ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে অনেকেই জানেনা গুগল ফেসবুক এরা পৃথিবীর টপ ৫০টা কোম্পানির মধ্যে নাই। Exxon Mobil নামে একটি কোম্পানি আছে। এদের সম্পর্কে মজা করে বলা হয় Exxon Mobil চাইলে গুগোল-মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিকে পেটি ক্যাস দিয়ে কিনে নিতে পারে। এই Exxon Mobil, Shell, Chevron সহ পৃথিবীর টপ প্রায় ৮-১০ টা কোম্পানির ডিরেক্ট মালিক এই রকারফেলার ফ্যামিলি। যাই হোক, ১৯ শতকের মাঝামাঝি এসে এই পরিবার এই অর্থবিত্তের উপর ভর করে এতো ক্ষমতাবান হয়ে গিয়েছিলো যে তারা UN এবং মার্কিন সরকারের সব বড় বড় মাথাকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছিলো।

তখন প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, এই রকারফেলার পরিবার তাদের ক্ষমতা দিয়ে নিজেদের অনুশাসনে একটি গোপন Invisible Government তৈরি করতে চাচ্ছে যাদের টার্গেট অদৃশ্য থেকে পুরো পৃথিবী শাসন করা। তার কিছুদিন পরেই রকারফেলাররা তখনকার পৃথিবীর সবথেকে ক্ষমতাবান ৪টা পরিবার রকারফেলার, রথসচাইল্ড, মরগান এবং বুশ পরিবারের প্রত্যক্ষ ফান্ডিং এবং তত্ত্বাবধানে পৃথিবীর সব সুপার এলিটদের সাথে নিয়ে গড়ে তোলে বিল্ডারবার্গ ক্লাব।

প্রথম বিল্ডারবার্গ মিটিং অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালে। এটাকেই রুজভেল্টের সতর্ক করে দেয়া Invisible Government এর প্রথম সংসদ বলা চলে। এরপর আরও ৬২টা মিটিং হয়ে গেছে কিন্তু এরা ঠিক ৭০ বছর আগে যেমন সিক্রেট ছিল এখনও তেমনই সিক্রেট। এদের নিয়ে কোন মিডিয়া ঘাটায় না। ঘাটাবে কি? এরাই তো মিডিয়ার মালিক। তাদের মিডিয়া তারা নিজেদের মতো করে কন্ট্রোল করে। পৃথিবী আগামী ১০ বছর কেমন চলবে, ভালো না খারাপ, কার সাথে যুদ্ধ হবে, কার সাথে মৈত্রী হবে সব ডিসিশন এরাই নেয়। প্রেসিডেন্টরা সব পাপেট (খেলার পুতুল), এদের নেয়া ডিসিশনই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক্সিকিউট করাই প্রেসিডেন্টের কাজ।

যেমন- ওদের মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো- সারা বিশ্বে মুসলমানদের কোনঠাসা করতে হবে, টেরোরিস্ট হিসেবে সাব্যস্ত করতে হবে। কিভাবে করতে হবে সেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হলো আমেরিকা। আমেরিকা সিআইএকে এ টার্গেট দিলো। সিএআই সৌদির সাহায্য নিয়ে আল কায়দা, তালেবান, লাদেন, আইএসআইস ইত্যাদি তৈরী করলো।
ওদের অঙ্গুলি ইশারায় এভাবেই চলছে বিশ্ব। তাদের গোপন মিটিং থেকে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ সৃষ্টি হয়েছে তবে বাকি আছে পরিকল্পিত এশিয়ান ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন।

তথ্যসূত্র:
http://trivokal.com/গোপন-মিটিং/
https://en.wikipedia.org/wiki/Bilderberg_Group
https://www.youtube.com/watch?v=KYWx_cFzqro
https://www.youtube.com/watch?v=3szaF5R3wsc

সেই সাংবাদিক বলেছিল, আইএস এর সন্ত্রাসীদের কে সে কোনদিন কুরআন পড়তে কিংবা নামায পড়তে দেখেনি।



একজন ফরাসি সাংবাদিককে আই এস দীর্ঘ ৬ মাস বন্দি রাখার পর ছেড়ে দেয়। সেই সাংবাদিকের সাথে CNN এ ক্রিশ্চিয়ান আমানপৌর এর সাক্ষাতকারটা দেখেছিলাম। সেই সাংবাদিক বলেছিল, আইএস এর সন্ত্রাসীদের কে সে কোনদিন কুরআন পড়তে কিংবা নামায পড়তে দেখেনি। এমনকি তাদের কাছে কোনদিন সে কুরআনের কোন কপিও দেখেনি। ইংল্যান্ড থেকে যেসব তরুন তরুনীরা আইএস আ গিয়েছে এদের কারো ইসলাম চর্চার ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলনা। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ড্রাগ এডিকটেড ছিল। যারা ইসলাম জানেনা, শুধুমাত্র নামটা মুসিলিম হলেই তাদেরকে সহজে টার্গেট করে ওরা। এদের রিক্রুটমেন্টটা এভাবেই হয়। ইসলামের সঠিক বুঝ থাকা একজন মানুষকে কেউ পারবেনা এমন র্যাডিকার করতে যে সে নিরীহ মানুষকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করবে। আমেরিকা যদি ইরাক আর আফগানিস্তান ধ্বংস না করতো, তাহলে এই পৃথিবীর ম্যাপে আই এস নামক কোন দানবগোষ্ঠির উদ্ভব হতইনা। আই এস যে আমেরিকার সৃষ্টি এটা যাদের একটু হলেও জ্ঞ্যান আছে তারা বুঝার কথা। বিশ্ব রাজনীতি না বুঝে সব কিছুর দোষ মুসলিম আর ইসলামের উপর চাপিয়ে দেওয়াটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছ মানুষের। অথচ মুসলিমরাই ২০০১ এর পর থেকে সব থেকে বেশি গনহত্যার শিকার পুরো বিশ্বে। পৃথিবীতে তাবত হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ হচ্ছে রাজনীতির নীল নকশায়, আর সবাই এসে শুধু উষ্টা খায় আমার ইসলাম ধর্মে। কানের দিকে না তাকিয়ে চিলের পেছনে ছুটতে থাকা নির্বোধদের এই এক সমস্যা। গ্রিক মিথোলজির গড হ্যাডিস এর সৃষ্টি ক্রাকান এর কথা মনে পরে যায়। কি ভয়ানক এক দানব সৃষ্টি করেছিল গ্রিক গড হ্যাডিস। আমেরিকা যেন সেই হ্যাডিস আর আইএস হল সেই ক্রাকান!! আইএস যদি সত্যিই ইসলামিক আদর্শে বিশ্বাসী হতো তাহলে তারা সর্বপ্রথম ইসলামের শত্রু ইজরায়েল কে আক্রমণ করতো এবং ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আওয়াজ তুলতো ...বাট দে ডোন্ট ...সো দে আর নট সেভ ইসলাম, দে ডেস্ট্রয়েড দ্যা ভ্যালু অফ ইসলাম .

সৌদি আরবের ওহাবীবাদের মূল যে বর্তমান গ্রান্ড মুফতী আবদুল আজিজ সে নিজেই নাচ গানের সাথে জড়িত। -সত্যিই সৌদি ওহাবীরা চরম গুমরাহ...



সৌদি আরবের জেদ্দায় একটি মসজিদে নাচ-গানের ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ভিডিওটি মোটামুটি ভাইরাল হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জেদ্দার ওমর বাসাবিরিন মসজিদের ভেতরে একদল লোক ও শিশু গান গাইছে এবং নাচছে।এতে ওই মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। (http://bit.ly/29FWXGY,আরব নিউজ)
শুধুতাই নয়, জ্যেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত কাউন্সিলের সদস্য শেখ আলি আল হাকামি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এ জন্য যারা দায়ী এবং যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তিনি বলেন, মসজিদ প্রার্থনার জায়গা, এটি নাচ-গানের হলরুম নয়। সৌদি ইসলামিক সম্পর্কবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মসজিদের ভেতরে অবৈধ কর্মকা- পরিচালনার অভিযোগে ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মক্কা শাখার পরিচালক আলি বিন সেলিম আল আবদালি বলেছেন, যারা আল্লাহর ঘরে এ ধরনের কর্মকা- চালিয়েছে তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।(http://bit.ly/2ac29mN)
এখন কথা হচ্ছে, এই নাচ গানের জন্য কি শুধু এই ইমাম মুয়জ্জিনই দায়ী ? সৌদি আরবের ওহাবীবাদের মূল যে বর্তমান গ্রান্ড মুফতী আবদুল আজিজ সে নিজেই নাচ গানের সাথে জড়িত। প্রকাশ্যে হেলে দুলে হাত পা ছুড়ে নর্তন কুর্দন করছে সৌদি গ্রান্ড মুফতে আব্দুল আযিয। (ভিডিও-http://bit.ly/29UDyDG)
শুধু কি তাই খ্রিষ্টান ইসলাম বিদ্বেষী যার হাতে লক্ষ কোটি মুসলমানের রক্ত লেগে আছে সেই বুশের সাথেও নৃত্যেরত রয়েছে স্বয়ং সৌদি কিং সালমান (http://bit.ly/29FVsZv)
সৌদি কিং সালমান তার লোকজন নিয়ে নেচেই চলেছে (http://bit.ly/29LfAfg)
সৌদি ওহাবীরা ধুম রারাক্কা নাচ গানের আসড় আর মদ পান ছাড়া যেন চলেই না।(http://bit.ly/29S9trL)
এখন আমি সবাইকে স্বাক্ষী রেখে ওহাবীদের কাছ থেকে এই নর্তন কুর্দনের দলীল সহীহ হাদীস থেকে তলব করছি। দয়া করে দলীল পেশ করুন

জাকির নায়েক যখন লেকচারের মাঝখানে বলে যে এই সূরা, এত নাম্বার আয়াত, কেউ কি তখন কোরআন শরীফ খুলে দেখেছো যে সে যা বললো তা সঠিক হলো কিনা?


যারা আজ জাকির নায়েক জাকির নায়েক বলে চিল্লাইতেছো তাদের উদ্দেশ্যে বলছি...
কতটুকু জানো জাকির নায়েক সম্পর্কে??
জাকির নায়েক যখন লেকচারের মাঝখানে বলে যে এই সূরা, এত নাম্বার আয়াত, কেউ কি তখন কোরআন শরীফ খুলে দেখেছো যে সে যা বললো তা সঠিক হলো কিনা?
জাকির নায়েক যখন কোরআনের অথবা কোন একটা আরবী শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করে তখন কি তুমি জানো যে এই শব্দের অর্থ প্রকৃত পক্ষেই এটা কিনা?
জাকির তো কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেনি, সুতরাং সে আরবী গ্রামার সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত নয়। যদি থাকতো তাহলে সে কখনো বলতে পারতোনা যে কোরআনের মধ্যে ব্যাকরণ ভুল আছে, (নাউজুবিল্লা)।
আজ যারা জাকিরের ভক্তবৃন্দ আছে আমার বিশ্বাস তাদের মধ্যে ৯৬% লোক এসব ব্যাপারে অজ্ঞ।
জাকির যখন টাস টাস করে কোরআনের আয়াত বলে ফেলে, এবং সেটার ব্যাখ্যাও করে ফেলে, সাথে দুইএকটা ইংরেজি ছেড়ে দেয়, তখন স্বাধারন মানুষ তাকে অলৌকিক লোক ভাবতে শুরু করে। কারন, তারা কোরআন হাদীস জানেনা। এজন্য সে ভুল বললো নাকি সঠিক বললো এটা বুঝার ক্ষমতা তাদের নেই।
আর যারা জাকির নায়েকের সমালোচনা করে, খুজে দেখো তারা ৯৬% আলেম। কারন তারা জানে যে জাকির কোনটা ভুল বলছে আর কোনটা সঠিক বলছে।
জাকির ভক্তরা কয়েকটি কথা বলে সবকিছু এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে...
১। প্যান্ট শার্ট টাই পড়া কি হারাম?
২। মানুষ বলতেই ভুল, জাকির নায়েকও ভুলের উর্ধ্বে নয়।
৩। জাকিরের কন্ঠে সুর নেই এজন্য সে কোরআন ঠিক করে পড়তে পারে না, ইত্যাদি।
::::::এখন আমার কথা হচ্ছে
১। প্যান্ট শার্ট পড়া হারাম নয় ঠিকআছে, সিগারেট খাওয়া ও তো হারাম না। এখন যদি আপনাদের মসজিদের ইমাম সিগারেট খায়, আপনারা কি তাকে ইমাম রাখবেন? আরেকটা কথা হচ্ছে উনিতো মানুষকে ইসলাম শিক্ষা দিচ্ছেন, তো প্যান্ট শার্ট না পড়লেই ক্ষতি কি? ধর্মীয় পোষাক পড়েই ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়াটাই তো শ্রেয়।
২। অবশ্যই মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, কিন্তু একজন মানুষ যখন ধর্ম প্রচারক হয় তখন তাকে খুব সচেতন হতে হয়। আর জাকির যে ভুল করে বা বলে এটা আসলে ভুল নয়, এটা হচ্ছে তার কোরআনের জ্ঞান না থাকার পরিচয়। (তার ভুলের কিছু উদাহরণ নিচে দিচ্ছি)
৩। একথা কেউ কখনো বলেনি যে, জাকির সুর দিয়ে কোরআন পড়তে পারেনা। সুর এক জিনিস আর শুদ্ধ আরেক জিনিস।
সবচেয়ে বড় দুঃখ এটাই যে জাকির এত বড় লেকচারার অথচ কোরআনের একটা আয়াতও সহীহ্ করে পড়তে পারেনা!!! এতে কি তার কোরআনের জ্ঞান যে কতটুকু আছে এটা প্রমাণ পাওয়া যায়না?? আর নামাজ ভঙ্গের প্রধান কারন কোরআন অশুদ্ধ পড়া। তো যেই লোকের কোরআন সহীহ্ না, যার এক ওয়াক্ত নামাজও হয়না, সে কিভাবে মানুষকে কোরআনের জ্ঞান শিক্ষা দেয়??
শুধু বাংলা অর্থ পড়ে যদি বড় আলেম হওয়া যেত তাহলে কোন আলেমই ১২ বছর ১৫ বছর সময় নিয়ে কোরআনের জ্ঞান চর্চা করতো না।
এবার আসি জাকিরের কিছু ইসলাম বিদ্বেষী কথায়ঃ-
১। জাকির বলেছে, ওজু ছাড়া কোরআন শরীফ ধরা যাবে।
২। জাকির বলেছে, আল্লাহকে ব্রাক্ষ্মন, বিষ্ণু ইত্যাদি নামে ডাকা যাবে। (নাউজুবিল্লাহ্)
৩। জাকির বলেছে, পৃথিবীতে ৪জন মহিলা নবী এসেছে, (নাউজুবিল্লাহ্)
৪। জাকির বলেছে, হিন্দুদের মধ্যেও কেউ কেউ নবী ছিল। (নাউজুবিল্লাহ্)
৫। জাকির বলেছে, কোরআন শরীফে ব্যাকরণের ভুল আছে। (নাউজুবিল্লাহ্)
** অল্প বিদ্যা ভয়ংকর!! জাকির হল একজন ডাক্তার, তবে হ্যা সে বই পড়ে ধর্মীয় কিছু জ্ঞানও অর্জন করেছে, এটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। কিন্তু এতটুকু জ্ঞান দিয়ে ধর্ম শিক্ষা দিলে যা হওয়ার কথা তা ই হয়েছে।
সে মানুষকে মুসলমান বানাচ্ছে, কিন্তু তার কথা মেনে চলার কারনে তারা মুসলমান হয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।

বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১৬

মু’মিন-মুসলমান হতে হলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণেই হতে হবে এতদ্ব্যতীত মু’মিন মুসলমান হওয়ার জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই।

মু’মিন-মুসলমান হতে হলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণেই হতে হবে এতদ্ব্যতীত মু’মিন মুসলমান হওয়ার জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করে জানিয়েছেন যে, কেউ মু’মিন-মুসলমান হতে হলে তাকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ন্যায় ঈমান আনার জন্য এবং উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করতে বলেছেন। এখন যদি কেউ নিজেকে মু’মিন-মুসলমান বলে মনে করে, মুসলমান বলে পরিচয় দেয়, তাহলে সে দাড়ী মু-ন করতে পারবে না। দাড়ী রাখতে হবে, সাদা সুতী কাপড়ের গোল টুপি পরতে হবে। পাগড়ী পরতে হবে, সেলাইবিহীন লুঙ্গি পরতে হবে অথবা সেলোয়ার পরতে হবে। নিসফুসাক কোণাবন্ধ কোর্তা বা পাঞ্জাবী পরতে হবে। চাদর ব্যবহার করতে হবে। কেননা এসব লেবাস বা পোশাকই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পরতেন। উনারা কেউই দাড়ি মু-ন করেননি, টুপি পাগড়ী ব্যতীত চলা-ফেরা করেননি। উনারা কেউই প্যান্ট, শার্ট, কোর্ট, টাই ইত্যাদি পরিধান করেননি। মোট কথা, উনারা কোনো বিধর্মী-বিজাতীয়দের লেবাস বা পোশাক পরিধান করেননি, বরং উনারা ঐ সম্মানিত লেবাস বা পোশাক পরিধান করতেন, যেই সম্মানিত লেবাস বা পোশাক স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পরিধান করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ

নাশকতা,সহিংসতা,হত্যাকাণ্ড তথা যাবতীয় অপরাধ থেকে মুক্তি পেতে হলে পবিত্র কুরআন শরীফ,হাদীস শরীফ,ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের শিক্ষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে

সারাদেশে নিরাপত্তা চরম হুমকিতে। বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ও চরম আতঙ্কিত সবাই। অনেকেই অনেক রকম পরামর্শ দিচ্ছে,অনেক রকম ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে কিন্তু অপরাধকর্ম কমছে না বরং বেড়েই যাচ্ছে। অপরাধকর্ম থেকে মুক্তির পথও তেমন দেখা যা্চ্ছে না। যার মূল কারণ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল শিক্ষা মানুষের মধ্যে নাই। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হাক্বিক্বী শিক্ষা সবার মধ্যে থাকলে অপরাধ অনায়াসেই কমে যেতো।
মুসলমানদের মান-ইজ্জত, ধন-সম্পদ এবং রক্ত যাতে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নিপতিত না হয়, সে জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“মুসলমান মুসলমানের ভাই। প্রত্যেক মুসলমানের মান, ইজ্জত, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের উপর হারাম।” (মুসলিম শরীফ) অর্থাৎ মানুষের সামাজিক বা হুকুমাতের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে এমন কাজকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করেছেন।
প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তুলে ধরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
তাই জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বজায় রাখা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে অপরিহার্য কর্তব্য এবং ঈমানী দায়িত্ব। কোনো রকম অশান্তি সৃষ্টি, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, সংঘাত, হানাহানি, উগ্রতা, বর্বরতা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও সহিংসতা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর তোমরা পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর এতে বিপর্যয় সৃষ্টি কোরো না।” (পবিত্র সূরা আরাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)
কিন্তু শান্তির জন্য প্রচেষ্টা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সর্বদাই অশান্তিকামী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী স্বার্থপর লোকেরা খড়গহস্ত থাকে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “এবং তারা (পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রুরা) দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়, আর মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৪)
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করা কঠোর ভাষায় নিষিদ্ধ করেছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের গুলি করে, বোমা মেরে বা অগ্নিসংযোগে হত্যা করা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সঙ্গে কখনো সংগতিপূর্ণ নয়।
অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা, জানমালের ক্ষতিসাধন ও দেশের সম্পদ বিনষ্ট করাকে কবিরা গুনাহ আখ্যায়িত করে এর ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “মানুষ হত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করলো; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করলো।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)
মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পবিত্র পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন, যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তোমরা তাকে হত্যা কোরো না।
সাম্পতিক সময়ে বেশ কিছু অপরাধমূল ঘটনা ঘটে গেছে,
গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটেছে। সেনাকমান্ডোর নেতৃত্বে ১২-১৩ মিনিটের যৌথ অভিযান অপারেশন ‘থান্ডার বোল্ট’ এ সঙ্কটের অবসান ঘটলো। অভিযানে নিহত হয়েছে ৬ সন্ত্রাসী। এর আগেই ইয়াওমুল জুমুয়া বা জুমুয়াবার সন্ধ্যায় ওই রেস্টুরেন্টে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। যৌথ বাহিনীর অভিযানে সেখানে থেকে মোট ২০ বিদেশির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে রাতেই হাসপাতালে মারা গেছে ওসি সালাউদ্দিন এবং ডিবির এসি রবিউল ইসলাম। সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে গত ইয়াওমুস সাবত বা শনিবার বেলা দেড়টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আসফাক চৌধুরী। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে ৭টা ৪০ মিনিটে অভিযান শুরু করে ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মধ্যে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় অভিযানের সফল সমাপ্তি ঘটে। অভিযানে ৩ বিদেশি নাগরিকসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ৬ সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা জুমুয়াবার সন্ধ্যায় গুলশান ২ এর ৭৯ নম্বর সড়কে ৫নং বাসার দ্বিতীয় তলায় হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় কয়েকজন অস্ত্রধারী। রেস্টুরেন্টে প্রবেশের সময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন, ডিবির এসি রবিউল ইসলাম, পুলিশের দুই কনস্টেবল, একজন মাইক্রোবাসচালকসহ ২০ জনের বেশি। বলার অপেক্ষা রাখেনা, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনা দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলছে। কিন্তু ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশে এ ঘটনা কোনোক্রমেই কাম্য নয়। প্রসঙ্গত, সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন হলো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম। আর পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিরাপত্তার বিষয়টি শুধু বৈদেশিক আক্রমণের দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং অভ্যন্তরীণ দিক থেকেও হুকুমাত বা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ

যে ব্যক্তি ফযরের নামাজ ছেড়ে দিবে তার চেহারার উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যাবে ।


যে ব্যক্তি ফযরের নামাজ ছেড়ে দিবে
তার চেহারার উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যাবে ।
যে ব্যক্তি যোহরের নামাজ ছেড়ে দিবে
তার রুজির বরকত কমে যাবে ।
যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দিবে
তার শরীরের শক্তি কমে যাবে ।
যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজ ছেড়ে দিবে
সন্তানাদ্বি তার কোনো উপকারে আসবে না ।
যে ব্যক্তি এশারের নামাজ ছেড়ে দিবে
তার নিদ্রার পরিতৃপ্তি নষ্ট হয়ে যাবে 

ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হচ্ছে প্রাণীর ছবি তোলা, তোলানো, আকাঁ-আঁকানো, রাখা, রাখানো, দেখা-দেখানো ইত্যাদি সবই হারাম।


ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হচ্ছে প্রাণীর ছবি তোলা, তোলানো, আকাঁ-আঁকানো, রাখা, রাখানো, দেখা-দেখানো ইত্যাদি সবই হারাম| মহান আল্লাহ্ পাক তিনি প্রাণীর ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, দেখা-দেখানো ও রাখা-রাখানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন| এরপরও যারা মহান আল্লাহ পাক ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নিষেধ অমান্য করে ছবি তুলবে তারা চরম গোমরাহ হবে ও চির জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!!! যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
(১)
ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻻﻋﻤﺶ ﻋﻦ ﻣﺴﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻛﻨﺎ ﻣﻊ ﻣﺴﺮﻭﻕ ﻓﻰ ﺩﺍﺭ ﻳﺴﺎﺭ ﺑﻦ ﻧﻤﻴﺮ ﻓﺮﺍﻯ ﻓﻰ ﺻﻔﺘﻪ ﺗﻤﺎﺛﻴﻞ ﻓﻘﺎﻝ ﺳﻤﻌﺖ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ .ﺳﻤﻌﺖ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﺍﻥ ﺍﺷﺪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻋﺬﺍﺑﺎ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻤﺼﻮﺭﻭﻥ
অর্থঃ- “হযরত আ’মাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুসলিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহর নিকট শুনেছি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ পাক কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে|”
দলীল-
✔ পবিত্র বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃষ্ঠাঃ৮৮০|
(২)
عن عبد الله بن عمر رضى الله تعالى عنه اخبره ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الذين يصنعون هذه الصور يعذبون يوم القيمة يقال لهم احيوا ما خلقتم.
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে| এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরী করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান কর|”
দলীল সমূহঃ-
✔ পবিত্র বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ৮৮০,
✔ মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ২০১|
(৩)
عن عائشة عليها السلام حدثته ان النبى صلى الله عليه وسلم لم يكن يترك فى بيته شيئا فيه تصاليب الا نقضه.
অর্থঃ- উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে প্রাণীর ছবি বা ছবিযুক্ত সকল জিনিস (থাকলে) ধ্বংস করে ফেলতেন|
দলীল সমূহঃ-
✔ বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ৮৮০,
✔ মিশকাত পৃঃ ৩৮৫|
------------
(৪)
عن ابى زرعة قال مع ابى هريرة دار مروان بن الحكم فراى فيها تصاوير وهى تبنى فقال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول يقول الله عز وجل ومن اظلم ممن ذهب يخلق خلقا كخلقى فليخلقوا ذرة او ليخلقوا حبة او ليخلقوا شعيرة.
অর্থঃ- হযরত আবু যুরয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সঙ্গে মদীনা শরীফের এক ঘরে প্রবেশ করলাম, অতঃপর তিনি ঘরের উপরে এক ছবি অংকনকারীকে ছবি অঙ্কন করতে দেখতে পেলেন, এবং বললেন আমি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন, মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তি অধিক অত্যাচারী, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সাদৃশ্য কোন প্রাণীর ছুরত সৃষ্টি করে| তাকে বলা হবে একটি শস্যদানা সৃষ্টি কর অথবা একটি পিপিলিকা সৃষ্টি কর|
দলীল-
✔ বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০|
(৫)
عن ابى حجيفة رضى الله تعالى عنه عن ابيه ان النبى صلى الله عليه وسلم نهى عن ثمن الدم وثمن الكلب وكسب البغى ولعن اكل الربى وموكله والواشمة والمستوشمة والمصور.
অর্থঃ- হযরত আবু হুজায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পিতা হতে বর্ণনা করেন, “খতামুন্নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রক্তের দাম, ও কুকুরের দাম নিতে এবং যেনাকারীনীর উপার্জন নিষেধ করেছেন, এবং যে ঘুষ খায়, যে ঘুষ দেয়, যে অঙ্গে উলকি আঁকে এবং যে আঁকায়, আর যে ছবি অংকন করে, এদের সবার ওপর হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লা’নত দিয়েছেন|”
দলীল-
✔ বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ৮৮১|
(৬)
عن عائشة رضى الله تعالى عنها قالت دخل على رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا مسترة بقرام فيه صورة فتلون وجهه ثم تناول الستر فهتكه ثم قال ان من اشد الناس عذابا يوم القيامة الذين يشبهون بخلق الله.
অর্থঃ- উম্মুর মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার নিকট আসলেন| প্রাণীর ছবিযুক্ত একখানা চাদর গায়ে দেয়া ছিলাম| এটা দেখে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারক রঙ্গিন হয়ে গেল। অতঃপর তিনি চাদর খানা নিয়ে ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেন “ক্বিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তির কঠিন শাস্তি হবে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির সাদৃশ্য (কোন প্রাণীর ছুরত) সৃষ্টি করে|”
দলীল-
✔ মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০০|
(৭)
عن ابى معاوية رضى الله تعالى عنه ان من اشد اهل النار يوم القيمة عذابا المصورون.
অর্থঃ- হযরত আবূ মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত, “নিশ্চয় ক্বিয়ামতের দিন দোযখবাসীদের মধ্যে ঐ ব্যক্তির কঠিন আজাব হবে, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আঁকে বা তোলে|”
দলীল-
✔ মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০১|
(৮)
عن سعيد قال جاء رجل الى ابن عباس فقال انى رجل اصور هذه الصور فافتنى فيها فقال له ادن منى فدنا منه ثم قال ادن منى فدنا حتى وضع يده على راسه وقال انبئك بما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم وسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كل مصور فى النار يجعل له بكل صورة صورها نفسا فيعذبه فى جهنم وقال ان كنت لا بد فا علا فاصنع الشجر وما لا نفس له.
অর্থঃ- হযরত সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট এসে বলল, আমি এমন এক ব্যক্তি যে প্রাণীর ছবি অংকন করি, সুতরাং এ ব্যাপারে আমাকে ফতওয়া দিন| হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তাকে বললেন, তুমি আমার নিকটবর্তী হও| সে ব্যক্তি উনার নিকটবর্তী হল| পুণরায় বললেন, তুমি আরো নিকটবর্তী হও| সে আরো নিকটবর্তী হলে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার মাথায় হাত রেখে বললেন, আমি নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এ ব্যাপারে যা বলতে শুনেছি তোমাকে তা বলব| হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “প্রত্যেক প্রাণীর ছবি তৈরীকারীই জাহান্নামে যাবে| এবং মহান আল্লাহ্ পাক তিনি প্রত্যেকটি ছবিকে প্রাণ দিবেন এবং সেই ছবি গুলো তাদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে|” এবং ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, তোমার যদি ছবি আঁকতেই হয় তবে, গাছ-পালা বা প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁক|
দলীল-
✔ মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০২|
(৯)
عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول قال الله تعالى ومن اظلم ممن ذهب يخلق كخلقى فليخلقوا ذرة اوليخلقوا حبة او شعيرة
অর্থঃ- হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি- তিনি বলেছেন, “মহান আল্লাহ্ পাক তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তি অধিক অত্যাচারী, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির সাদৃশ্য কোন প্রাণীর ছুরত তৈরী করে| তাদেরকে বলা হবে- তাহলে তোমরা একটি পিপিলিকা অথবা একটি শস্য অথবা একটি গম তৈরী করে দাও|”
দলীল-
✔ মিশকাত শরীফ পৃঃ ৩৮৫|
(১০)
عن عائشة رضى الله تعالى عنها عن النبى صلى الله عليه وسلم قال ان اشد الناس عذابا يوم القيمة الذين يضاهون بخلق الله.
অর্থঃ- উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয় ক্বিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির কঠিন শাস্তি হবে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির সাদৃশ্য কোন প্রাণীর ছুরত তৈরী করবে|”
দলীল-
✔ মিশকাত পৃঃ ৩৮৫|
(১১)
عن عبد الله بن مسعود رضى الله تعالى عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول اشد الناس عذابا عند الله المصورون.
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি- তিনি বলেছেন, মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ঐ ব্যক্তিকে কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে|
দলীল-
✔ মিশকাত শরীফ- ৩৮৫|
(১২)
عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يخرج عنق من النار يوم القيمة لها عينان تبصران اذنان تسمعان ولسان ينطق يقول انى وكلت بثلثة بكل جبار عنيد وكل من دعا مع الله الها اخر وبالمصورين.
অর্থঃ- “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত- হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন এমন একখানা আগুনের গর্দান বের হবে, যার দুটো চক্ষু থাকবে| যদ্বারা সে দেখতে পাবে| দুটো কান থাকবে, যদ্বারা সে শুনতে পাবে| একটি মূখ থাকবে, যদ্বারা সে কথা বলবে। গর্দানটি বলবে- নিশ্চয় আমাকে তিন ব্যক্তির অভিভাবক বানান হয়েছে- (১) প্রত্যেক অহংকারী অত্যাচার লোকের (২) যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে অন্যকেও প্রভু ডাকে (৩) যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করে|”
দলীল-
✔ মিশকাত শরীফ পৃঃ ৩৮৬|
(১৩)
عن جابر رضى الله تعالى عنه قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الصورة فى البيت ونهى ان يصنع ذلك.
অর্থঃ- হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি রাখতে নিষেধ করেছেন এবং ওটা তৈরী করতেও নিষেধ করেছেন|
দলীল-
✔ তিরমিযি ১ম জিঃ পৃঃ ২০৭|
(১৪)
عن جابر رضى الله تعالى عنه ان النبى صلى الله عليه وسلم امر عمر بن الخطاب زمن الفتح وهو بالبطحاء ان ياتى الكعبة فيمحو كل صورة فيها فلم يدخلها النبى صلى الله عليه وسلم حتى محيت كل صورة فيها.
অর্থঃ- হযরত জাবের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মক্কা বিজয়ের সময় হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হুকুম করলেন- তিনি যেন পাথর দিয়ে ক্বাবা ঘরের সমস্ত মূর্তি বা চিত্রগুলি ধ্বংস করে দেন|
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ক্বাবা ঘরের মুর্তি বা চিত্রগুলো ধ্বংস না করা পর্যন্ত ক্বাবা ঘরে প্রবেশ করলেন না|
দলীল-
✔ আবু দাউদ শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২১৯|
(১৫)
عن عيسى بن حميد قال سال عقبة الحسن قال ان فى مسجدنا ساحة فيها تصاوير قال انحروها.
অর্থঃ- হযরত ঈসা বিন হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, হযরত ওকবাতুল হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আমাদের মসজিদে প্রাণীর ছবিযুক্ত একখানা কাপড় রয়েছে| তখন হযরত ঈসা বিন হুমাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, তুমি (মসজিদ থেকে) ওটা সরিয়ে ফেল|
দলীল-
✔ মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ২য় জিঃ পৃঃ৪৬|
(১৫)
عن ابى عثمان قال حدثنى لبابة عن امها وكانت تخدم عثمان بن عفان ان عثمان ابن عفان كان يصلى الى تابوت فيه تماثيل فامر به فحك.
অর্থঃ- হযরত আবু উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, লোবাবাহ উনার মাতা হতে আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, উনার মাতা হযরত ওসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার খেদমতে ছিলেন, আর হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি সিন্দুকের দিকে নামায পড়ছিলেন| অতঃপর হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আদেশে ওটা নিঃচিহ্ন করে ফেলা হলো|
দলীল-
✔ মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ২য় জিঃ পৃঃ৪৬|
(১৬)
عن اسامة رضى الله تعالى عنه قال دخلت مع النبى صلى الله عليه وسلم الكعبة فرايت فى البيت صورة فامرنى فاتيته بدلو من الماء فجعل يضرب تلك الصورة ويقول قاتل الله قوما يصورون ما لا يخلقون.
অর্থঃ- হযরত উসামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, আমি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে পবিত্র ক্বাবা ঘরে প্রবেশ করলাম| আমি ক্বাবা ঘরের ভিতরে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলাম| অতঃপর হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুকুমে আমি পাত্রে করে পানি নিয়ে আসলাম|
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঐ ছবিগুলিতে পানি নিক্ষেপ করলেন এবং বললেন, “মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ঐ গোত্রের সাথে জ্বিহাদ ঘোষণা করেছেন, যে গোত্র এরূপ প্রাণীর ছুরত তৈরী করে| যা সে তৈরী করতে অক্ষম অর্থাৎ জীবন দিতে পারেনা|”
দলীল সমূহঃ-
✔ মুছান্নেফ ইবনে আবী শায়বা ৮ম জিঃ পৃঃ২৯৬,
✔ তাহাবী ২য় জিঃ পৃঃ৩৬৩|
(১৭)
عن ابن مسعود قال اشد الناس عذابا يوم القيامة رجل قتل نبيا او قتله نبى او رجل يضل الناس بغير العلم او مصور يصور التماثيل.
অর্থঃ- হযরত ইবনে মাস্উদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিদের ক্বিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি হবে, যারা কোন নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে শহীদ করেছে অথবা কোন নবী আলাইহিমুস সালাম যাদেরকে হত্যা করেছেন এবং ঐ সমস্ত লোক যারা বিনা ইলমে মানুষদেরকে গোমরাহ করে এবং যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করে|
দলীল-
✔ মুসনদে আহমদ ২য় জিঃ পৃঃ২১৭|
অনুরূপ অসংখ্য অগণিত হাদীছ শরীফ রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রাণীর ছবি তোলা, আঁকা রাখা ইত্যাদিকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে| আর মহান আল্লাহ্ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ তাই শরীয়তে হারাম হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে|
এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে, আপনারা বলেন, “আল্লাহ্ পাক ও উনার হাবীব প্রাণীর ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন “অথচ দলীল হিসেবে পেশ করা হলো শুধু হাদীছ শরীফ! তাহলে কি এই প্রমাণিত হয় না যে, আল্লাহ্ পাক প্রাণীর ছবি নিষিদ্ধ করেননি, করেছেন মহান আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম|
এর জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, তাহলে আমাদের প্রশ্ন হলো- মহান আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি কখানো ওহী ব্যতীত কোন কথা বলেছেন? কস্মিনকালেও নয়| কারণ মহান আল্লাহ্ পাক কালামুল্লাহ্ শরীফে সুস্পষ্টভাবেই ইরশাদ করেছেন যে,
وما ىنطق عن الهوى ان هو الا وحى ىوحى.
অর্থঃ- “আমার হাবীব যতক্ষণ পর্যন্ত ওহী নাযিল না হয় ততক্ষন পর্যন্ত কোন কথাই বলেন না|”
অর্থাৎ আমার নির্দেশেই আমার হাবীব সব বলেন ও করেন|
যদি তাই হয়ে থাকে তবে তো এটাই সাব্যস্ত হয় যে, মহান আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব উনার কথাগুলো মূলতঃ মহান আল্লাহ্ পাক উনারই কথা|
অতএব প্রমাণিত হলো যে, মহান আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নির্দেশগুলো মূলতঃ মহান আল্লাহ্ পাক উনারই আদেশ-নির্দেশের অন্তর্ভূক্ত| কাজেই শরীয়তের কোন বিষয় কুরআন শরীফ-এর দ্বারা নিষিদ্ধ বা হারাম সাব্যস্ত হওয়ার যেরূপ গুরুত্ব রয়েছে, তদ্রুপ হাদীছ শরীফের দ্বারা নিষিদ্ধ বা হারাম সাব্যস্ত বিষয়েরও তদ্রুপ বরং তার চেয়েও বেশী গুরুত্ব রয়েছে|
অতএব, প্রাণীর ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো, দেখা-দেখানো হারাম এটা শুধু আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব উনার ফায়ছালাই নয় বরং মহান আল্লাহ্ পাক উনার ফায়ছালাও| আর মহান আল্লাহ্ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন তাই ইসলামে বা শরীয়তে তা হারাম|
স্মর্তব্য, ইসলামে বা শরীয়তে প্রাণীর ছবি হারাম হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে-
مضا هاة لخلق الله.
অর্থাৎ- “স্রষ্টার সাথে সাদৃশ্যতা|”
কারণ ছবি ও মূর্তি তৈরী করার অর্থই হলো নিজেকে স্রষ্টা হিসেবে প্রকাশ করা| (নাউযুবিল্লাহ্) নির্ভরযোগ্য সকল কিতাবেই এটা উল্লেখ আছে|
নিম্নে এ সম্পর্কিত কতিপয় দলীল প্রমাণ পেশ করা হলো-
✔ ফখরুল মুহাদ্দিছীন, আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত ব্যাখ্যা গ্রন্থ বুখারী শরীফের শরাহ্ “উমদাতুল ক্বারী”-এর ২২ খণ্ড ৭০ পৃষ্ঠায় লিখেন,
صورة الحيو ان حرام اشد التحريم وهو من الكبائر وسواء صنعه لما يمتهن او بغيره فحرام بكل حال لان فيه مضاهة لخلق الله.
“প্রাণীর ছবি তৈরী করা শক্ত হারাম ও কবীরা গুনাহ| সম্মানের জন্য তৈরী করুক অথবা অন্য কারণে, সবটার একই হুকুম| অর্থাৎ প্রত্যেক অবস্থাতেই তা হারাম| কেননা, ছবি ও মূর্তি তৈরীর মধ্যে স্রষ্টার সাদৃশ্যতা রয়েছে|”
✔ রঈসুল মুহাদ্দিছীন, আল্লামা ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ “শরহে নববী” ৭ম জিঃ ৮১ পৃষ্ঠায় লিখেন,
تصوير صورة الحيوان حرام شديد التحريم وهو من الكبائر لانه متوعد عليه بهذا الوعيد الشديد المذكور فى الاحاديث وسواء صنعه بما يمتهن او بغيره فصنعته حرام بكل حال لان فيه مضاهاة لخلق الله تعالى.
“প্রাণীর ছবি তৈরী করা শক্ত হারাম ও কবীরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত| কেননা হাদীছ শরীফ সমূহে এ ব্যাপারে কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে| প্রাণীর ছবি সম্মানের জন্য তৈরী করুক অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে তার একই হুকুম| অর্থাৎ সর্বাবস্তায়ই প্রাণীর ছবি উঠানো হারাম| কেননা এতে স্রষ্টার সাদৃশ্যতা প্রকাশ পায়|”
✔ উক্ত কিতাবের উক্ত খন্ডের ৮৪ পৃষ্ঠায় এ সম্পর্কে আরো উল্লেখ আছে যে,
قال العلماء سبب امتناعهم من بيت فيه صورة كونها معصية فاحشة وفيها مضاهاة لخلق الله تعالى ......
“উলামা-ই-কিরামগণ বলেন, যে ঘরে প্রাণীর ছবি রয়েছে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ না করার কারণ হলো ছবি তৈরী করা গুনাহ ও ফাহেশা কাজ এবং এতে স্রষ্টার সাদৃশ্যতা রয়েছে……….|”
✔ “রেজভীয়া” কিতাবের ১০ খন্ডে উল্লেখ আছে, (মূল ইবারত কমেন্ট বক্সে স্ক্রীন শর্ট দ্রষ্টব্য)
“……………. আল্লামা শামী “রদ্দুল মুহতারে” উল্লেখ করেন যে, প্রাণীর ছবি তৈরী করা নাজায়িয| কেননা এটা স্রষ্টার সাদৃশ্যতা দাবী করার নামান্তর| অনুরূপ “বাহরুর রায়িকে” উল্লেখ আছে যে, প্রাণীর ছবি তৈরী করা প্রত্যেক অবস্থাতেই হারাম| কেননা এতে স্রষ্টার সাদৃশ্যতা রয়েছে| ………….. যেহেতু ছবি হারাম হওয়ার কারণ হলো স্রষ্টার সাথে সাদৃশ্যতা| তাই পার্থক্য করা যাবেনা (বরং সব ধরণের ছবিই হারাম)………… |”
অতএব, উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, ছবি হারাম হওয়ার আরেকটি কারণ হলো-
مضا هاة لخلق الله.
অর্থাৎ- “স্রষ্টার সাথে সাদৃশ্যতা|” অর্থাৎ ছবি তৈরীকারী প্রকারান্তরে স্রষ্টার সাদৃশ্যতা দাবী করলো, যা কুফরীর অন্তর্ভূক্ত|
মূলকথা হলো প্রাণীর ছবি হারাম হওয়ার ব্যাপারে যত কারণই বর্ণনা করা হোক না কেন সব কারণের মূল ও প্রধান কারণ হচ্ছে মহান আল্লাহ্ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রাণীর ছবি তুলতে, আঁকতে, ও রাখতে নিষেধ করেছেন| তাই প্রাণীর ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, দেখা-দেখানো ইসলামী শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়িয|
--------------------------------------- চলবে ইনশাআল্লাহ্ -----------------------