বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

31st night : written by নীল

লেখক হতে সংগৃহিত::


   আমার হাতটা নিশপিশ করছে, অন্য কোন কারনে নয় কিছু একটু লেখার জন্য। এটা কোন আদেশ বা উপদেশ এর পর্যায়ে না নিয়ে যদি একটু নিজেকে ভেবে নিজেই সচেতন হতে পারেন তবে লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না।
আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০:৫৫ মিনিট। ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৫। সময় পাড় হয়ে রাত আসবে। 31 Night বলে একটা আনন্দের রীতি আছে অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এই রাত আর 1th January তে সবার অগোচরে বা লোকসম্মুখে কিছু অঘটন ঘটে যায়।
কিছু মানুষরূপী জানোয়ারকে
মেয়েরা অতি মাত্রায় বিশ্বাস করে গদগদ হয়ে উজাড় করে দেয়।
আমি একটা মেয়ে হয়ে বলছি, ছেলেরা তো কিছু চাইবেই। সব ছেলেরা যে খারাপ এ ধরনের কোন ইংগিত আমি কোন ভাবেই দিচ্ছি না। তবে এটা তো ঠিক যে এমন কিছু বাজে কাজ করে ছেলেরা। তাই একটা মেয়ে হয়ে বলছি, ছেলেটা যাই চাক, অতি ভালোবাসুক আপত্তি নাই। কিন্তু মেয়েদেরও কিছু দোষ আছে। ভালোবাসা মানেই শরীর নয়। ভালোবাসার মানুষ চাইলো আর ওমনি --------------
ইসলাম ধর্মেও এটা গ্রহনযোগ্য নয়। বিয়ের আগে কোন পুরুষের সাথে অতিরঞ্জিত মেলামেশা। কখন মানুষের কি মনে উদয় হয় কেউ বলতে পারে না। লেখাটায় একটু অশালীনতা থাকছে বিধায় আমি অতি দুঃখিত সবার কাছে।
তাই মেয়েরা একটু সাবধান। ভালোবাসো কিন্তু নিজের মূল্যবান কিছু বিলিয়ে নয়। আনন্দ করো কিন্তু আনন্দটার শেষ কান্নায় নয়।
আমায় কেউ ভুল বুঝবেন না।
ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী।
কানাডা :- সময় :- রাত ১২:০০
নীলকাব্য*
.
.
.
Courtesy by: নীল কাব্য

অস্ট্রেলিয়ায় সালফিউরিক এসিডবাহী ট্রেনের ২৬টি বগি

খোদায়ী গজব:




অস্ট্রেলিয়ায় সালফিউরিক এসিডবাহী ট্রেনের ২৬টি বগির সবগুলো লাইনচ্যুত হওয়ায় সেখান থেকে ৩০ হাজার লিটার এসিড ছড়িয়ে পড়েছে।।

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

থার্টি ফার্স্ট নাইট বা ১লা জানুয়ারি পালনের ইতিহাস ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটা পালন মুসলমানদের কাজ নয়। ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ বা থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবের প্রচলন করে।

থার্টি ফার্স্ট নাইট বা ১লা
জানুয়ারি পালনের ইতিহাস ইসলামের
সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটা পালন মুসলমানদের
কাজ নয়। ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী
খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার
সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ বা থার্টি
ফার্স্ট নাইট উৎসবের প্রচলন করে।
.
সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের
পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব
৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন
করেছিলো এবং এ ধারাবাহিকতা
এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ
ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব
পালিত হয়। ইরান থেকেই ইহা একটি
সাধারণ সংস্কৃতির ধারা মধ্যপ্রাচ্যের
বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত
উপমহাদেশে প্রবেশ করে।
.
পহেলা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে
নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয়
১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার
প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে
নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী
নববর্ষ পালন করা হচ্ছে। ইরানে নববর্ষ বা
নওরোজ শুরু হয় পুরনো বছরের শেষ বুধবার
এবং উৎসব চলতে থাকে নতুন বছরের ১৩
তারিখ পর্যন্ত।
.
বাদশাহ আকবরের ফরমান অনুযায়ী আমীর
ফতেহ উল্লাহ শিরাজী উদ্ভাবিত
বাংলা ফসলী সাল চালু হয় ১০ মার্চ
১৫৬৩। ইংরেজ আমলে গ্রেগরিয়ান
ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হলেও রাজস্ব
আদায়ে ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যে
বাংলা সাল বেশি ব্যবহার করা হতো।
বর্ষবরণের সাথে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুভূতি
যোগটা সে শুরু থেকেই ছিলো বা
বর্ষবরণকারীরা ধর্মীয় বিশ্বাসের
আলোকেই তা করতো। অথবা বর্ষবরণকে
তাদের বিশেষ ধর্মীয় আচার বলে
বিশ্বাস করতো। মজুসী বা অগ্নি
উপাসকরা এখনো বর্ষবরণকে
সরকারিভাবেও ব্যাপক জাঁকজমকভাবে
পালন করে থাকে। একে তারা তাদের
ধর্মীয় অনুষঙ্গ মনে করে এবং একে
নওরোজ বা নতুন দিন বলে অভিহিত
করে।
ফসলী সনের পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ
উপলক্ষে শহরে ও গ্রামে যে ভোজ,
মেলা উৎসব হয় তাও ইরানের নওরোজ
হতে পরোক্ষভাবে এদেশে এসেছে।
মোগল পূর্ববর্তী আমলে এদেশে নওরোজ
বা নববর্ষ পালনের রীতি প্রচলিত
ছিলো না।
.
হযরত ইমাম আবু হাফস কবীর রহমতুল্লাহি
আলাইহি তিনি বলেন, নওরোজ বা
নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও
দান করে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে
তা বরবাদ হয়ে যাবে। অর্থাৎ নওরোজ
বা নববর্ষ পালনের কারণে তার
জিন্দেগির সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে
যাবে।
.
আজকে অনেক মুসলমান থার্টি ফার্স্ট
নাইট পালন করছে। ইংরেজি নববর্ষ,
ফসলী সনের নববর্ষসহ বিভিন্ন নববর্ষ
পালন করছে। আর এতে করে তারা
বিজাতি ও বিধর্মীদের সাথেই মিল
মিশ রাখছে। তাদেরই অনুসরণ অনুকরণ
করছে।
.
> কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,
“নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে আল্লাহ
পাক উনার নিকট কাফিররাই নিকৃষ্ট,
যারা ঈমান আনেনি।” (সূরা আনফাল :
আয়াত শরীফ ৫৫)।আর নববর্ষ পালনের
দ্বারা সে কাফিরদেরই অনুসরণ-অনুকরণ
করা হয়।
> হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আল্লাহ পাক উনার
হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যে
ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল
রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার
হাশর-নশর তাদের সাথেই
হবে।” (সুনানে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)
.
যদি কেউ আজ থার্টি ফার্ষ্ট নাইট
পালন করে তাহলে সে কুফরি করবে
এবং তওবা না করে মৃত্যুবরন করলে
জাহান্নামের আযাব ভোগ করতে হবে।

বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

নবীজি নিজেই নিজের মীলাদুন্নবী পালন করেছেন

ঈদে মীলাদুন নবীর দলিল পবিত্র কুরআন শরীফেই আছে,

১২ রবিউল আ্উয়াল শরীফ উপলক্ষে খুশি করতে হবে, কি না হবে এটা নিয়ে ডিবেট করে। বলে এর কোন দলিল নাই। অথচ পবিত্র কু্রআন পাকেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট দলিল আছে, এর ব্যাখ্যার জন্য হাদীস শরীফে যাওয়ার দরকার নাই।
-
আসুন সূরা ইউনুস এর ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াত দুটি দেখি
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ
অর্থ: “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নসিহতকারী, অন্তরের পরিশুদ্ধতাদানকারী, হিদায়েত দানকারী ও ঈমানদারদের জন্য রহমত দানকারী।- হে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তারা যে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ‘ফযল ও রহমত’ পেয়েছে সে জন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। নিশ্চয় তাদের এ খুশি প্রকাশ করাটা তাদের সমস্ত সঞ্চয়ের থেকে উত্তম। (সূরা ইউনুস শরীফ : ৫৭-৫৮)
-
সূরা ইউনুসের ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াতে বোঝা যাচ্ছে, মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ যে বিষয়টি এসেছে, তার জন্য খুশি প্রকাশ করতে বলা হচ্ছে। সেই বিষয়টির হচ্ছে-
১) নসিহতকারী
২) অন্তরের পরিশুদ্ধতাদানকারী,
৩) হেদায়েত দানকারী
৪) রহমতদানকারী
-
এবার আসুন, কুরআন পাকের সূরা আলে ইমরানের ১৬৪ নং আয়াতখানা দেখি-
لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍنٍ
“আল্লাহ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়েছেন। তিনি তাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে পরিশোধন করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। বস্তুতঃ তারা ছিল পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট। (সুরা আলে ইমরান ১৬৪)
এ আয়াত শরীফ অনুসারে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই হচ্ছেন নসিহতকারী, আমাদের অন্তরের পরিশোধকারী এবং হেদায়েতদানকারী।
-
আবার সূরা আল আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে বলা হচ্ছে-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি। ( সুরা আল আম্বিয়া, ১০৭)
অর্থাৎ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছে সমগ্র কায়েনাতের জন্য রহমত।
-
সূরা ইউনুসের ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াত, সূরা আল ইহরানের ১৬৪ নং আয়াত এবং সূরা আম্বিয়ার ১০৭ আয়াত গুলো থেকে পাওয়া যায়---
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন নসিহতকারী, হেদায়েতদানকারী, অন্তরের পরিশুদ্ধতাদানকারী এবং রতমত। তাই উনাকে পাওয়ার জন্য খুশি প্রকাশ করাটা মহান আল্লাহ তায়ার নির্দেশ এবং সব চাইতে ফজিলতপূর্ণ আমল। সুবহানাল্লাহ।
-
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
> সূরা ইউনুসের ৫৭ ও ৫৮নং আয়াতের অর্থ ও ব্যাখ্যাঃ-
يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لـما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مـما يجمعون.
অর্থ: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা’র তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন উপদেশ দানকারী, তোমাদের অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (স্বীয় উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ অর্থাৎ অপার দয়া ও অনুগ্রহ হিসেবে উনার প্রিয়তম রসূল হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাঠিয়েছেন; সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশের আমলটি তাদের সমস্ত নেক আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ।
-
জানা আবশ্যক যে, উক্ত সূরা ইউনুসের ৫৭নং আয়াত শরীফের মধ্যে موعظة-شفاء-هدى-رحمة প্রতিটি শব্দহচ্ছে ইসমে মাছদার অর্থাৎ ক্রিয়ামূল বা ক্রিয়া বিশেষ্য। যা ইসমে ফায়িল (কর্তৃবাচ্য) অথবা ইসমে মাফউল (কর্মবাচ্য) হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এখানে ইসমে ফায়িল বা কর্তৃবাচ্য অর্থেও ব্যবহার করাটাই সমধিক ছহীহ। যদিও কেউ কেউ ইসমে মাফউল বা কর্মবাচ্য অর্থেও গ্রহণ করেছেন। ইসমে ফায়িল অর্থ গ্রহণে উক্ত শব্দসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছেন নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর ইসমে মাফউল অর্থ গ্রহণে উক্ত শব্দসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য কুরআন শরীফ। কিন্তু উভয় আয়াত শরীফের অর্থ পর্যালোচনা করলে আখেরী নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উদ্দেশ্য করাটাই বেশি যথোপযুক্ত। যেমন পরবর্তী ৫৮নং পবিত্র আয়াত শরীফ এর মধ্যে فضل الله এবং رحمته অর্থাৎ رحمة الله দ্বারা আখেরী নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝানো হয়েছে। যা তাফসীরে রূহুল মায়ানী, তাফসীরে মুহাররারুল ওয়াজীয, তাফসীরুল মানার, তাফসীরে বয়ানুল মায়ানী, তাফসীরে মাফাতীহুল গইব, তাফসীরে কবীর ইত্যাদি তাফসীর গ্রন্থসমূহে উল্লেখ রয়েছে।

---
কার্টেসি - সকল ঈদের সেরা ঈদ - সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পেইজ থেকে

ধর্ষিত হয়ে মুখ লুকায় , ধর্ষনের আগে নয় কেন ? মানে হিজাব পরে, আগে কেনো পরেনা!!

হ্যাপী রুবেলের ঘটনা শেষ না হতেই মিরপুর থানায় ছাত্রের বিরুদ্ধে শিক্ষিকার ধর্ষণ মামলা।
ফারজানা নামক এ শিক্ষিকাকে দেখুন সে কি করে ক্যামেরার সামনে মুখ লুকাচ্ছে।
তো এখন মুখ লুকানো কেন?
স্বেচ্ছায় যখন নিজের ইজ্জত পরপুরুষের কাছে বিলিয়ে দিয়েছিল তখন এ লজ্জা ছিল কোথায়?
তখন কেন মুখ লুকিয়ে থাকেনি ?
অবৈধ সম্পর্কের পুর্বে মুখ লুকিয়ে পর্দা যদি করত তাহলে কি এমন ঘটনা হত ?
নারী স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে বল্গাহীন জীবন যাপন করবেন, পর্দার খিলাপ কাজ করবেন আর ধরা খেয়ে ধর্ষনের মামলা দিবেন তা কি করে হয়?
আজ যদি এসিকল মহিলারা পর্দা পালন করত তাহলে এমন ঘটনা সহজেই ঘটতনা ।
মুর্গি হয়ে শিয়ালের কাছে ধরা দিবে , আর দোষ দিবে শিয়ালের তা তো হয়না !!!
যতদিন মেয়েরা বেপর্দা হয়ে ছাড়া পশুর মত জীবন যাপন করবে ততদিন হ্যপী ,ফারজানার মত মেয়েরা বেইজ্জতি হতেই থাকবে

মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫

কোটি কন্ঠে মিলাদ শরিফ.....


মার্কিন কর্নেল রাল্ফ পিটারের মধ্যপ্রাচ্য ভাঙ্গার মানচিত্র বাস্তবায়ন করছে আল কায়দার নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আইএসআইএল’ বা ‘আইএস’ ..................................................

.......................................
ইহুদী-খ্রিষ্টানদের মুসলিম দেশসমূহ ভাঙ্গার বিস্তৃত পরিকল্পনা এখন বাস্তবে প্রকাশ পাচ্ছে।
আল কায়দার নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আইএসআইএল’ বা ‘আইএস’
সউদী আরবকে পাঁচ টুকরা ও ইরাককে তিন টুকরা, পাকিস্থানকে তিন টুকরাসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোও টুকরা টুকরা করার চক্রান্তই বাস্তবায়ন করছে।

মার্কিন কর্নেল রাল্ফ পিটার ২০০৬ সালের
“U-S Armed Forces Journal”- এর জুন সংখ্যায় একটি মানচিত্র প্রকাশ করে।
উক্ত মানচিত্রের শিরোনাম ছিল ‘বিস্তৃত মধ্যপ্রাচ্য প্লান’।
উক্ত প্লানে যেসব দেশকে টুকরা করার এবং ভেঙ্গে দেয়ার লক্ষ্য ঘোষিত হয়েছে তা হলো-
১। সৌদি আরব
সৌদি আরবের বর্তমান ভূখ--কে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হবে।
এর কিছু অংশ জর্দানের সাথে যোগ করে Greater Jordan,
কিছু অংশ ইয়েমেনকে দেয়া হবে,
কিছু অংশ কুয়েতকে দিয়ে
অবশিষ্ট অংশে দুইটি দেশ গঠন করা হবে।
একটি হলো মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ নিয়ে Islamic Sacred State|
অপরটির নাম হলো Soudi Homeland Independent Territory.

২। সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল ও তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল যোগ করে গঠন করা হবে Greater Lebanan.
তবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বিরাট এলাকা ও সিরিয়ার বেকা উপত্যাকার মালিক হবে ইসরাইল।
ফিলিস্তিন-মিশরের সীমানা তুলে দিয়ে ফিলিস্তিনীদেরকে মিশরের দিকে ঠেলে দেয়া হবে।

৩। পাকিস্তান থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বিচ্ছিন্ন করে আফগানিস্তানের সামিল করা হবে।
আজাদ কাশ্মীরকে আফগানিস্তানের সামিল করা হবে।
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের শিয়া অধ্যুষিত এলাকা ইরানের সাথে সামিল করা হবে।
পাকিস্তান থেকে সিন্ধু প্রদেশকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের সামিল করা হবে এবং বালুচিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে Free Baluchistan নামক দেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

৪। ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ ও ইরাকের শিয়া অঞ্চল নিয়ে Arab Shia State,
ইরাকের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলে গঠিত হবে Sunni Iraq,
ইরান-ইরাক-তুরস্ক ও সিরিয়ার কুর্দী অঞ্চল নিয়ে গঠন করা হবেFree Kurdistan. .
ইরানের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ তুর্কমেনিস্থানকে দেয়া হবে।

মার্কিন কর্নেলের আঁকা উপরোক্ত মানচিত্র যে কোনো কথার কথা নয়, তা যে কোনো চক্ষুষ্মান ব্যক্তিই অনুধাবন করতে পারবেন।
কেননা ইতোমধ্যে তারা পাকিস্তানকে প্লান অনুযায়ী অস্তিত্বহীনতার সংঘর্ষে নিমজ্জিত করেছে।
পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালেবানদেরকে (টি.টি.পি) সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহ সরকারের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত করিয়েছে,
বালুচ লিবারেশন আর্মীকে অস্ত্র-অর্থ-প্রশিক্ষণ ও স্বীকৃতি দিয়ে বিচ্ছিন্নতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
সিন্ধুতে ‘জিয়ে সিন্ধ’ আন্দোলনকে পরিচর্যা করা হচ্ছে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু করানো হয়েছে,
ইয়েমেনও গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে,
ইরানে গৃহযুদ্ধ লাগানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় সরাসরি হামলার প্রস্তুতি পর্ব চলছে।

এভাবে টুকরো টুকরো করার মূল উদ্দেশ্য হলো- মুসলিম বিশ্বকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করা, মুসলমানদের তেল, গ্যাস তথা খনিজ সম্পদ লুণ্টন করা, জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘের অধীনে মুসলমানহীন ‘এক বিশ্ব ব্যবস্থা’ বাস্তবায়ন করা এবং এক গ্রুপকে আরেক গ্রুপের পেছনে লেলিয়ে দেয়া। যাতে মুসলিম বিশ্ব নিজেরাই অন্তঃবিবাদে লিপ্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ!
আর সে লক্ষ্যে এখন নতুন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নাম দিয়ে সন্ত্রাসবাদী আইএসআইএল বা আইএস’কে পুরো আল কায়দার মতো মদদ করা হচ্ছে।

দেখুন মার্কিন কর্নেল রাল্ফ পিটার ২০০৬ সালের “U-S Armed Forces Journal”- ’- এর জুন সংখ্যায় মধ্যপ্রাচ্য ভাঙ্গার মানচি

ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন এবং মিলাদ-ক্বিয়ামের দলীল সম্বলিত বই/নিবন্ধ/রচনাবলী

শরীয়তের দৃষ্টিতে সকল ঈদের সেরা ঈদ ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন এবং মীলাদ ও ক্বিয়াম শরীফের দলীলসমূহ জানতে নিম্নোক্ত কিতাব এবং নিবন্ধসমগ্র ডাউনলোড করে সংগ্রহে রাখুন। ধন্যবাদ।

১। আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের দলীল
মূলঃ আল্লামা সাইয়্যেদ ইউসুফ হাশেম রেফায়ী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Ahle+Sunnah+Wal+Jamaat-er+Dalil.…

২। আহলে সুন্নাহর দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্ননবী (দঃ)
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Ahlus+Sunnahr+Dristi-te+Eid-e+Mi…

৩। আকায়েদে আরবায়াহ
মূলঃ মুফতী মোহাম্মদ আলী আকবর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/c3y1uk8xra2…/Akayed-e+Arbayah.pdf

৪। আল-কুরআন ও সহীহ্‌ হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন আল্‌কাদেরী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Al-Quran+o+Sahih+Hadith-er+Aloke…

৫। আন্‌-নি'মাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদে সাইয়্যিদে উলদে আযম
মূলঃ আল্লামা ইবনে হাজার হাইছামী (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/An+nimatul+Qubra+Alal+%27Alam+Fi…

৬। বিশ্বনবীর জন্ম ইতিহাস ও মীলাদ শরীফের হুকুম
মূলঃ হাফেয মুহাম্মদ আবদুল হক এলাহাবাদী মুহাজিরে মক্কী (রঃ)
অনুবাদঃ মাওলানা কারামত আলী নিযামী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Bishyo+nabir+jonmo+iteehas+o+mil…

৭। ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) কি কেন ও ফযীলত
মূলঃ হযরত সৈয়দ শাহ্‌ মোহাম্মদ জুনায়েদ ওসমানী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Eid-e+Miladunnabi+%28SAWS%29+ki+…

৮। কুরআন হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (দঃ) ও জুলুস
প্রকাশনঃ বাংলাদেশ আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত ফাউন্ডেশন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Eid-e+Miladunnabi+%28Saws%29+pub…

৯। ঈদে মীলাদুন্নবী বা মৌলুদে খায়রুল বারিয়াহ্‌
মূলঃ মাওলানা খাজা মোহাম্মদ ছাইফুদ্দিন নক্‌শেবন্দী মুজাদ্দেদী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Eid-e+Miladunnabi+ba+Mawlud-e+Kh…

১০। ঈদে মীলাদুন্নবী ও মীলাদ মাহফিল
মূলঃ মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সাফওয়ান নোমানী এবং সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাঈমুল ইহসান বারাকাতী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Eid-e+Miladunnabi+o+Milad+Mahfil…

১১। ঈদে মীলাদুন্নবীই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ
মূলঃ মুফতী মোহাম্মদ আলী আকবর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Eid-e+Miladunnabi-e+hocche+sorbo…

১২। ফাসায়েলে হাফতে মাসায়ালা
মূলঃ হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/lr2…/Fasayel-e+Haft-e+Masalaa.pdf

১৩। ফয়সালা ২০০৯
প্রকাশনঃ আহলা দরবার শরীফ, চট্টগ্রাম
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Faysala+%282009%29+-+Published+f…

১৪। হাকীকতে মীলাদে মুস্তফা (সঃ)
প্রকাশনঃ মুহাম্মদী কুতুবখানা
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Haqiqat-e+Milad-e+Mustafa+%28SAW…

১৫। হাকীকতে মীলাদ
মূলঃ আল্লামা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল করিম সিরাজনগরী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/zjz5m17t828u…/Haqiqat-e+Milad.pdf

১৬। হাকীকতে মুহাম্মদী ও মীলাদে আহাম্মদী
মূলঃ মাওলানা মোহাম্মাদ বেশারাতুল্লাহ (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Haqiqat-e+Muhammadi+o+Milad-e+Ah…

১৭। হুসনুল মাকাসীদ ফী আমালিল মাওলিদ ও ...
মূলঃ ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ুতী (রঃ)
অনুবাদঃ মাওলানা ছালিক আহমদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Husnul+Maqasid+Fi+Amalil+Mawlid+…

১৮। ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
প্রকাশনঃ জাতীয় ঈদে মীলাদুন্নবী উদযাপন কমিটি, বাংলাদেশ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Islami+Shariat-er+Dristite+Eid-E…

১৯। জা'আল হক্ক (২য় খন্ড)
মূলঃ মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/z9…/Ja%27al+Haq+%28Part+2%29.pdf…

২০। কিশোরগঞ্জে মীলাদ-ক্বিয়ামের বাহাস
মূলঃ হযরত আল্লামা মোহাম্মদ রুহুল আমিন (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Kishorganj-e+Milad-Qiyam-er+Baha…

২১। মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ আল্লামা সৈয়দ আহমদ সাঈদ কাযেমী (রঃ)
অনুবাদঃ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/lnrx…/Milaadunnabi+%28SAWS%29.pdf

২২। দারুল ফতোয়া অস্ট্রেলিয়াঃ মীলাদুন্নবী (দঃ)
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দিন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Milad+Bishoyok+Australian+Fatwa.…

২৩। মীলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপনের বৈধতা
মূলঃ ডঃ ঈসা আল-মানী আল-হুমায়রী (আরব আমিরাত)
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দিন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/w…/Milad+Bishoyok+Dubai+Fatwa.pdf

২৪। মীলাদ-ক্বিয়ামের বিধান
মূলঃ আল্লামা হাফেয মোহাম্মদ আবদুল জলিল (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/qc6…/Milad+o+Qiyam-er+Bidhaan.pdf

২৫। মীলাদে মুস্তফা (সঃ)
মূলঃ মুহাম্মদ আজিজুল হ আল-কাদেরী
অনুবাদঃ উপাধ্যাক্ষ্য মুহাম্মদ আবদুল অদুদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/r…/Milad-e+Mustafa+%28SAWS%29.pdf

২৬। মীলাদে সুয়ুতী ও মীলাদ ক্বিয়ামের দলীল
অনুবাদঃ মাওলান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Milad-i-Suyuti+%26+Milad-Qiaum+e…

২৭। মীলাদ-ক্বিয়াম ও দেওবন্দী আলেমগণ
প্রকাশনঃ মাকতাবাতুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Milad-Qiyam+o+Deobandi+Alem-gon.…

২৮। মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ ড. তাহের আল কাদ্‌রী
অনুবাদঃ অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল হাই
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/sctnz…/Miladunnabi+%28Saws%29.pdf

২৯। মীলাদুন্নবী (সঃ) সকল ঈদের সেরা
মূলঃ প্রফে. ড. মোহাম্মদ মাসউদ আহ্‌মদ (যুক্তরাজ্য)
অনুবাদঃ নিজামউদ্দীন মাহমুদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Miladunnabi+Sokol+Eid-er+Shera+%…

৩০। নূরনবী (সঃ)
মূলঃ আল্লামা হাফেয মোহাম্মদ আবদুল জলিল (রঃ)
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/wdgx4sx5c…/Nurnabi+%28SAWS%29.pdf

৩১। ঐক্যের ডাক
মূলঃ আল্লামা কাজী মু'তাসিম বিল্লাহ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/do…/r0p9tqgs7e9cm8i/Oikyer+Daak.pdf

৩২। পবিত্র মিলাদুন্নবী (সঃ) সংকলন
মূলঃ শায়খ খন্দকার গোলাম মাওলা নক্‌শেবন্দী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Pobitro_Miladunnabi_(saws)_sonko…

৩৩। পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে ঈদে মওলুদ শরীফের মাহফিল ও ক্বিয়াম
মূলঃ আল্লামা সাইয়্যিদ মুহাম্মাদ ইবনে সাইয়্যিদ আলাভী আল-মালাকী (রঃ)
অনুবাদঃ মাওলানা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম হাতিয়ুভী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Pobitro+Quran+o+Hadith-er+Aloke+…

৩৪। কুরআন হাদীসের আলোকে ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
প্রকাশনঃ আল হাশেমীয়া সোসাইটি
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Quran+Hadith-er+Aloke+Eid-e+Mila…

৩৫। কুরআন হাদীসের আলোকে পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ) (স্মরণিকা ২০১২ ইং)
প্রকাশনঃ বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Quran+Hadith-er+Aloke+Pobitro+Ei…

৩৬। শরীয়তের আলোকে জশনে মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ প্রফে. ড. আল্লামা তাহের আল কাদেরী
অনুবাদঃ মাওলানা মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Shariat-er+Aloke+Jashne+Miladunn…

৩৭। সিরাজাম মুনীরা ও মীলাদ নামা
মূলঃ সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ নাঈমুল ইহসান বারাকাতী
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/6bpobh6mnb6mbhj/Sirajam+Munira+o…

৩৮। সকল যুগের সেরা ঈদ ঈদে মীলাদুন্নবী (সঃ)
মূলঃ আল্লাম মুফতী কাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Sokol+Juger+Shera+Eid+Eid-e+Mila…

৩৯। তকী ওসমানীর মীলাদ বিরোধী ফতোয়ার রদ
মূলঃ ড. জি. এফ. হাদ্দাদ দামেশ্‌কী
অনুবাদঃ কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com/…/Taqi+Usmani-r+Milad+Birodhi+Fatw…
৪০। মীলাদুন্নবী বনাম সীরাতুন্নবী
মূলঃ কে. জি. এম. বিন আনোয়ার
ডাউনলোডঃ http://www.mediafire.com

হযরত মুহম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম পর্যন্ত পূর্বপুরুষগণের তালিকা

হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে
একেবারে
হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম  পর্যন্ত পূর্বপুরুষগণের
তালিকা⇨
⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣⇣
হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তাঁহার পিতা আব্দুল্লাহ,
তাঁহার পিতা আব্দুল মোত্তালিব,
তাঁহার পিতা হাসিম,
তাঁহার পিতা আব্দ মানাফ,
তাঁহার পিতা কুছাই,
তাঁহার পিতা কিলাব,
তাঁহার পিতা মুরাহ,
তাঁহার পিতা কা’ব
তাঁহার পিতা লুই,
তাঁহার পিতা গালিব,
তাঁহার পিতা ফাহর,
তাঁহার পিতা মালিক,
তাঁহার পিতা আননাদর,
তাঁহার পিতা কিনান,
তাঁহার পিতা খুজাইমা,
তাঁহার পিতা মুদরাইকা,
তাঁহার পিতা ইলাস,
তাঁহার পিতা মুদার,
তাঁহার পিতা নিজার,
তাঁহার পিতা মা’দ,
তাঁহার পিতা আদনান,
তাঁহার পিতা আওয়াদ,
তাঁহার পিতা হুমাইসা,
তাঁহার পিতা সালামান,
তাঁহার পিতা আওয,
তাঁহার পিতা বুয,
তাঁহার পিতা কামওয়াল,
তাঁহার পিতা ওবাই,
তাঁহার পিতা আওয়ান,
তাঁহার পিতা নাসিদ,
তাঁহার পিতা হিযা,
তাঁহার পিতা বালদাস,
তাঁহার পিতা ইয়াদলাফ,
তাঁহার পিতা তাবিখ,
তাঁহার পিতা জাহিম,
তাঁহার পিতা নাহিস,
তাঁহার পিতা মাখি,
তাঁহার পিতা আ”য়েফ
তাঁহার পিতা আবকার,
তাঁহার পিতা উবাইদ,
তাঁহার পিতা আদ দাহা,
তাঁহার পিতা হামদান,
তাঁহার পিতা সানবার,
তাঁহার পিতা ইয়াসরিবি,
তাঁহার পিতা ইয়াহজিন,
তাঁহার পিতা ইয়ালহান,
তাঁহার পিতা ইরাওয়া,
তাঁহার পিতা আইযি,
তাঁহার পিতা যিশান,
তাঁহার পিতা আইছার,
তাঁহার পিতা আফনাদ,
তাঁহার পিতা আইহাম,
তাঁহার পিতা মুকাসির,
তাঁহার পিতা নাহিস,
তাঁহার পিতা যারিহ,
তাঁহার পিতা সামি,
তাঁহার পিতা মায্যি,
তাঁহার পিতা ইওয়াদ,
তাঁহার পিতা ইরাম,
তাঁহার পিতা হিদার,
তাঁহার পিতা হযরত ইসমাইল (আঃ),
তাঁহার পিতা হযরত ইবরাহিম (আঃ),
তাঁহার পিতা তারক
তাঁহার পিতা নাহুর,
তাঁহার পিতা সারুয,
তাঁহার পিতা রা’উ,
তাঁহার পিতা ফাহিয,
তাঁহার পিতা আবীর,
তাঁহার পিতা আফরাহশাদ,
তাঁহার পিতা সা’ম,
তাঁহার পিতা হযরত নূহ (আঃ),
তাঁহার পিতা লামিক,
তাঁহার পিতা মাতু সালিখ,
তাঁহার পিতা হযরত ঈদ্রীস (আঃ),
তাঁহার পিতা ইয়ারিদ,
তাঁহার পিতা মালহালিল,
তাঁহার পিতা কিনান,
তাঁহার পিতা আনস,
তাঁহার পিতা হযরত শীস (আঃ),
তাঁহার পিতা হযরত আদম (আঃ)

মালয়েশিয়ায় চালু হলো প্রথম ইসলামি ফ্লাইট…

মালয়েশিয়ায় চালু হয়েছে প্রথম
ইসলামি ফ্লাইট। কুয়ালালামপুর
বিমান বন্দর থেকে ১৫০ জন যাত্রী
নিয়ে ‘রায়ানি এয়ার’-র একটি
বিমান দেশটির পর্যটন কেন্দ্র
‘লাঙ্গাওয়ি’তে গেছে।
ইসলামি অনুশাসন মেনে ফ্লাইট
পরিচালনা করা হচ্ছে এবং
মহিলা ক্রুদের সবাই হিজাব বা
ইসলামী শালিন পোশাক পরে
যাত্রীদের সেবা দিচ্ছেন।
বিমান কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ হালাল
খাবার পরিবেশন করছে। কোন
ধরনের মদ সরবরাহ করা হচ্ছে না।
এছাড়া যাত্রা শুরু হচ্ছে কুরআন
তেলাওয়াত ও দোয়ার মধ্যদিয়ে।
বর্তমানে ‘রায়ানি এয়ার’ দু’টি
বোয়িং-৭৩৭ বিমানকে এ
ক্ষেত্রে কাজে লাগাবে।

ভবিষ্যতে এ ধরনের ইসলামি
ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়বে
বলে আশা করা হচ্ছে। ইরানে
ইসলামি বিপ্লব বিজয় লাভের পর
থেকেই ইসলামি ফ্লাইট চালু করা
হয়েছে। ইরানের সব ফ্লাইট
ইসলামি আইন অনুযায়ী পরিচালিত
হয়। এ ছাড়া ইরানের প্রতিটি
বিমানে নামাজ পড়ার জন্য
আলাদা স্থান রাখা হয়েছে।

আব্দুস সাত্তার খানঃ যে বাংলাদেশি বিঞ্জানীর আবিষ্কৃত প্রযুক্তি মার্কিন ফাইটার জেটে ব্যবহৃত হচ্ছে!!

১৯৪০ বা ৪১ এ ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলায়
তিনি জন্মগ্রহন করেন।তিনি কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে ইন্টার
মিডিয়েট পাশ করেন।এরপর ১৯৬২ সালে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে
কেমেস্ট্রির উপর অনার্স এবং ১৯৬৩
সালে মাষ্টার্স ড্রিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি লেকচারার হিসেবে
ঢাবিতেই জয়েন করেন।১৯৬৪ সালে
তিনি স্কলারশিপ নিয়ে অক্সফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।১৯৬৮ সালে
তিনি পিএইচডি ড্রিগী অর্জন করেন।
এরপরে দেশে ফিরে আসেন এবং
এসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে
ঢাবিতে যোগদান করেন।১৯৭৩ সাল
পর্যন্ত তিনি ঢাবিতে ছিলেন।এরপর
তিনি ম্যাটারিয়েল
ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর গবেষনার জন্য
আমেরিকায় গমন করেন।

তিনি প্রায় ৪০টির বেশি বিভিন্ন
ধরনের এ্যালোয় আবিষ্কার করেন।এই
এ্যালোয় মূলত খুবই তাপউৎপন্নকারী
যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।যেমন টারবাইন বা জেট
ইঞ্জিন।এর কাজ হচ্ছে এইসব স্টিলকে
মরিচারোধী করা।
তার তৈরি করা এ্যালোয়সমূহ ফাইটার
জেটের ইঞ্জিনকে হালকা করে যার
ফলে বেশ দ্রুত গতিতে ফাইটার জেট
ছুটতে পারে।তার তৈরি করা এক
ধরনের এ্যালোয় বর্তমানে এফ ১৫ এবং
এফ ১৬ বিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই
এ্যালোয়ের কাজ হচ্ছে বিমানের
ইঞ্জিনের ফুয়েলের efficiency বাড়ানো।
শুধু ফাইটার জেটে নয় নাসার
শাটলে,সুইজারল্যান্ডের রেল
ইঞ্জিনে,ইন্ডাস্ট্রিয়াল টারবাইন
ইঞ্জিনে তার এ্যালোয় ব্যবহৃত হচ্ছে।
তার অসাধারন কৃতিত্বের জন্য তিনি
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা হতে
অনেক পুরষ্কার লাভ করেন।যার মধ্যে
নাসা,মার্কিন বিমান বাহিনীও
রয়েছে।
অবসর জীবনে তিনি ফ্লোরিডা স্টেট
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর অধ্যাপক
হিসেবে ছিলেন।১৯৯১ সালে
বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যায় ৬১
হাজার ডলারের ব্যবস্থা করে দেন।
এছাড়াও তার প্রচেষ্টা মার্কিন
লামার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
সহযোগিতামূলক চুক্তি হয়।যাতে ঢাবির
ছাত্ররা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা
করতে পারবে।২০০৮ সালেরর ৩১
জানুয়ারি এই বাংলাদেশের
মেধাবী ব্যক্তি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন।
আজ আমরা মার্কিন ফাইটার জেট
দেখে চোখ কতবড় করি অথচ আমাদের
বাংলাদেশের এক ছেলের আবিষ্কৃত
প্রযুুক্তি এইসব বিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা
আমরা কতজন জানতাম??

তুরস্ক প্রথমবারের মত নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি অস্ত্রবাহী ড্রোনের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।ড্রোনটির মিসাইল ৮ কিঃমিঃ দূরের টার্গেটকে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে।

তুরস্ক প্রথমবারের মত নিজস্ব প্রযুক্তির
তৈরি অস্ত্রবাহী ড্রোনের সফল
পরীক্ষা চালিয়েছে।ড্রোনটির
মিসাইল ৮ কিঃমিঃ দূরের
টার্গেটকে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে।

সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫

ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধী তারা যে ইবলিশ শয়তানের গোলাম সে বিষয়েএকটা প্রামান্য দলীল-হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফে সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো কে জানেন?

সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো
ইবলিশ শয়তান । সে এতোটাই কষ্ট
পেয়েছিল যে, কষ্টে সে রীতিমত
কান্না করছে।এপ্রসঙ্গে কিতাবে
বর্নিত আছে- ﺃﻥ ﺇﺑﻠﻴﺲ ﺭﻥ ﺃﺭﺑﻊ ﺭﻧﺎﺕ ﺣﻴﻦ ﻟﻌﻦ
ﻭﺣﻴﻦﺃﻫﺒﻂ ﻭﺣﻴﻦ ﻭﻟﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻭﺣﻴﻦ ﺃﻧﺰﻟﺖ ﺍﻟﻔﺎﺗﺤﺔ অর্থ- "শয়তান চার বার
উচ্চস্বরে কেঁদেছিল ,প্রথম বার যখন
আল্লাহ তায়ালা তাকে অভিশপ্ত
আখ্যা দেন; দ্বিতীয়বার যখন তাকে
বেহেস্ত থেকে বের করে দেয়া হয়।
তৃতীয়বার, যখন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত
শরীফ হয়। এবং চতুর্থবার যখন সূরা
ফাতেহা নাযেল হয়।"দলীল-√ আল-
বেদায়া ওয়ান নেহায়া-২য় খণ্ড ১৬৬
পৃষ্ঠাএখন সমাজে মানুষ রুপী কিছু ইবলিশ
আছে, মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা শুনলেই
এদেরশরীর জ্বালা পোড়া করে।সূতরং
প্রমান হচ্ছে, যারা ঈদেমীলাদুন্নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
বিরোধী তারা শয়তানের শাগরেদ ।
কারন এদিনে শয়তানও কষ্ট পয়েছিল এখন
তার শাগরেদরা কষ্ট পাচ্ছে। তাই এসকল
শয়তানদের নিজেদের বিষের জ্বালায়
জ্বলে পুড়েমরতে দিন।

হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে একই পরিবারের ৮ সদস্যের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

পৃথিবীতে নিজ ধর্ম ছেড়ে
শান্তি ও সত্য ধর্ম ইসলাম গ্রহণের ঘটনা নতুন নয়। ইসলামের
মহিমান্বিত সেই আদর্শকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে
এবার নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় একই পরিবারের আট সদস্য
হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। গতকাল
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট
কেএম মহিউদ্দীনের আদালতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য
তারা আবেদন করেন।
...
http://www.somoyerkonthosor.com/archives/326292

প্রকৃতপক্ষে ২৪ ঘন্টাই ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন তথা খুশি প্রকাশ করা মুসলিম উম্মাহর কর্তব্য ।

প্রকৃতপক্ষে ২৪ ঘন্টাই ঈদে মীলাদুন্নবী
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
পালন তথা খুশি প্রকাশ করা মুসলিম
উম্মাহর কর্তব্য ।
হাদীছ শরীফে মধ্যে ইরশাদ মুবারক
হয়েছে-
“হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া
রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
নিশ্চয়ই আমি আপনার উপর বেশি বেশি
ছলাত পাঠ করতে চাই, তাহলে আমি
কী পরিমাণ সময় আপনার উপর ছলাত
মুবারক পাঠ করবো? (অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার
মধ্যে আমি কত ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত
মুবারক পাঠ করবো?)
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা।
আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ সময় (তথা ২৪
ঘণ্টার মধ্যে ৬ ঘণ্টা) আপনার উপর ছলাত
মুবারক পাঠ করবো?
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা,
আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি
সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম
হবে। আমি বললাম, তাহলে আমি
অর্ধেক সময় (তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২
ঘণ্টা) আপনার উপর ছলাত মুবারক পাঠ
করবো?
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা,
আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি
সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম
হবে। আমি বললাম, তাহলে আমি আমার
তিন ভাগের দুই ভাগ সময় (তথা ২৪ ঘণ্টার
মধ্যে ১৬ ঘণ্টা) আপনার উপর ছলাত মুবারক
পাঠ করবো ?
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা,
আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি
সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম
হবে। তখন আমি বললাম, তাহলে আমি
আমার সম্পূর্ণ সময় (তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৪
ঘণ্টাই) আপনার উপর ছলাত মুবারক পাঠ
করবো?
তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করলেন, যদি আপনি এরূপ করতে
পারেন, তাহলে আপনার সমস্ত নেক
মাক্বছূদগুলো পূর্ণ করে দেয়া হবে এবং
আপনার সমস্ত গুনাহখতাগুলো ক্ষমা করে
দেয়া হবে।”
সুবহানাল্লাহ!
দলীলঃ
√ তিরমিযী শরীফ,
√ মুস্তাদরকে হাকিম শরীফ ২/৪২১,
√ শুয়াবুল ঈমন শরীফ ৩/১৩৮,
√ মিশকাত শরীফ,
√ জামিউল আহাদীছ শরীফ ৩২/৩৭৩,
√ জামিউল উছূল শরীফ ১১/৮৪৬৭,
√ রিয়াদুছ ছালিহীন ১/৩৪৭ ইত্যাদি

রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫

ফেসবুক থেকে ডিলিট হওয়া যেকোনো কিছু ফিরিয়ে আনার দারুণ কৌশল !...

আমাদের দৈনন্দিন ব্যাবহারের
সময় বিভিন্নভাবে অসতর্কতায়
আবার কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে এমন
অনেক কিছুই আছে যা ডিলিট করে
ফেলি অথবা ডিলিট হয়ে যায় ।
কোন এক সময়ে আবার সেটা হয়তো
খুব প্রয়োজন হতেও পারে । কিন্তু
আমরা অধিকাংশ ব্যাবয়ারকারীই
জানিনা কিভাবে এসব ফিরে
পাওয়া সম্ভব । সময়ের কণ্ঠস্বরের
পাঠকদের জন্য আজ ফেসবুক থেকে
মুছে যাওয়া স্ট্যাটাস, ছবি,
ম্যাসেজ অথবা বিভিন্ন কন্টেন্ট
ফিরিয়ে আনার ট্রিকস ।
ফেসবুক থেকে ডিলিট হয়ে
যাওয়া মেসেজ, ছবি, ভিডিও
ইত্যাদি ফিরিয়ে আনা যায়। আসল
কথা হলো এটা ফেসবুকেরই একটা
অংশ যা অনেকেই জানেন না।
আমরা অনেক সময় ইচ্ছায় অথবা ভুল
করে অনেক ছবি , মেসেজ বা
অন্যকিছু ডিলিট করে ফেলি।
যেহেতু ফেসবুকে কোন Undo অপশন
নেই তাই ডিলিট হয়ে গেলে তা
আমরা সারাজীবনের জন্যই
হারিয়ে ফেলি।
একটু ওয়েট, একটা গোপন কথা বলি
“আপনার কোন কিছুই হারায়নি”
কারন আপনি যখন কোন কিছু
ফেসবুকে থেকে ডিলিট করেন
তখন সেটি ফেসবুকের Archive এ
জমা হয়ে। আপনি খুব সহজেই
সেখান থেকে ফ্রি ডউনলোড করে
নিতে পারেন।
ফেসবুক ট্রিকস : যেভাবে
ফিরিয়ে আনবেন:
ধাপ: ০১
প্রথমেই আপনাকে যেতে হবে
ফেসবুকের Settings থেকে General
অপশনে। ক্লিক করুন
ধাপ: ০২
General Settings ওপেন হওয়ার পর
নিচের দিকে দেখতে পারবেন
Download a copy of your Facebook data
এটিতে ক্লিক করুন।
ধাপ: ০৩
Download Your Information নামে
একটা পেজ আসবে। সেখানে
আপনি দেখতে পাবেন Start My
Archive। ক্লিক করেলে ফেসবুক
সিকুরিটির জন্য আপনার কাছে
আইডি ও পাসওয়ার্ড জানতে
চাইবে। সঠিক ভাবে আইডি
পাসওয়ার্ড দিন।
ধাপ:০৪
আ ই ডি পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর
Submit এ ক্লিক করুন। পরবর্তিতে
একটি Download Link দেখতে
পারবেন। কিছু সময় পরে (অনেক সময়
২৪ ঘন্টা সময় লাগতে পারে )
আপনার সকল ডাটা আপনার
ইমেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে
যে ইমেইলটি আপনি ফেসবুক
একটাউন্ট করতে ব্যবহার
করেছিলেন।
ধাপ: ০৫
আপনার Email চেক করুন। দেখবেন
ফেসবুক থেকেএকটি ইমেইল আসবে
সেখানে ডউনলোড লিংক
দেওয়া থাকবে। লিংকে ক্লিক
করে Download Archive থেকে আপনি
ডউনলোড করে নিতে পারবেন ।
এখানে ডাউনলোড করার সময়
পাসওযার্ড চাইবে।
ধাপ: ০৬
ফাইলটি ডাউনলোড করার পরে
একটা Zip ফইল পাবেন, ফাইলটি
মাইসের রাইট বাটন ক্লিক করে
Extrace All করুন। আনজিপ করার পর
আপনার মেসেজ, ভিডিও, ছবি, পক ,
ফ্রেন্ডলিষ্ট ইত্যাদি দেখতে
পারবেন। ফাইল গুলো অবশ্য .html
ফরমেটে দেওয়া থাকবে। যে
কোন একটি ফাইলের উপর ডাবল
ক্লিক করে আপনার পছন্দের
ব্রাউজার সিলেক্ট করে ওপেন
করুন।

শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫

পৃথিবীর ৪৭ টি দেশে জাতীয়ভাবে অর্থাৎ সরকারীভাবে মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা হচ্ছে এবং একইসাথে সরকারী ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে।

 Algeria, Benin, Burkina Faso,
Cameroon, Comoros, Côte d'Ivoire, Djibouti, Egypt,
Eritrea, Ethiopia, Gambia, Guinea, Libya, Mali,
Mauritania, Morocco, Niger, Nigeria, Senegal, Sierra
Leone, Somalia, Sudan, Tanzania, Tunisia, Togo, (In
Africa, a total 25 countries out of 54)
MIDDLE EAST: Bahrain, Iran, Iraq, Jordan, Kuwait,
Lebanon, Oman, Palestinian National Authority,
Syria, United Arab Emirates/UAE, Yemen (11 out of
total 14, except Israel, Qatar, Saudi Arabia)
ASIA: Afghanistan, Bangladesh, Brunei, India,
Indonesia, Pakistan, Malaysia, Sri Lanka,
Uzbekistan
OTHER: Fiji, Guyana,
A total of 47 countries world-wide officially
recognise Mawlid as a public holiday, some of
them are not even Muslim dominated (India, Sri-
Lanka, Fiji, Guyana, Tanzania, Mali etc.)
মারহাবা মারহাবা !!!
১৯০৪ সালে কায়রোতে ঈদে
মিলাদুন্নবি ।
এখন যদি ঈদে মিলাদুন্নবি নব্য আমল হয় ,
১৯০৪ সালেও কি নব্য ছিল ?
মুলত ঈদে মিলাদুন্নবি যুগ যুগ ধরে
পালিত আমল।
আজ যারা বিরোধীতা করে , তাদের
পুর্বপুরুষেরাও এই আমল করে গেছে ।
এখন বিরোধীতা করে তারা কি
নিজেদের র্পুবরুষদের অস্বীকার করতে
চায় ?

শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫

১. ৭ম শতকের ইতিহাসবিদ শায়েখ আবু
আল আব্বাস আল আযাফি এবং আবু আল
কাসিম আল আযাফি ( সার্জারির জনক )
তাঁদের কিতাব আল দুরর আল মুনাজ্জাম
কিতাবে লিখেন -
" মক্কা শরিফে ঈদে মিলাদুননবির দিন
ধার্মিক ওমরাহ হজ্জ্বযাত্রী এবং
পর্যটকেরা দেখতেন যে সকল ধরনের
কার্য্যক্রম বন্ধ এমনকি ক্রয় -বিক্রয় হতনা
,তাঁদের ব্যতিত যারা সম্মানিত
জন্মদিন স্থান দেখতেন এবং সেখানে
জড় হয়ে দেখতেন । এ দিন পবিত্র কাবা
শরীফ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হত। "
২. ৮ম শতকের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ইবনে
বতুতা তাঁর রিহলায় লিখেন-
" প্রতি জুম্মা নামাজের পর এবং হুযুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইই ওয়া সাল্লাম
উনার জন্মদিনে বানু শায়বা এর প্রধান
কতৃক পবিত্র কাবা শরিফের দরজা
খোলা হত। মক্কা শরিফের বিচারক নজম
আল দীন মুহম্মদ ইবনে আল ইমাম মুহুয়ি আল
দিন আল তাবারি হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বংশধর এবং
সাধারন জনগনের মাঝে খাবার বিতরন
করতেন।"
৩. ইতিহাসবিদ শায়েখ ইবনে যাহিরা
তাঁর ' জামি আল লতিফ ফি ফাদলি
মক্কাতা ওয়া আহলিহা" শায়েখ আল
হায়তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর '
আল মাওলিদ আল শরিফ আল মুনাজ্জাম '
এবং ইতিহাসবিদ শায়েখ আল
নাহরাওয়ালি তাঁর 'আল ইমাম বি
আলাম বায়েত আল্লাহ আল হারাম'
তাঁদের লিখিত কিতাবে বলেন-
" প্রতি বছর ১২ রবিউল আউওয়াল শরিফে
বাদ মাগরীব ৪ জন সুন্নি মাযহাব স্কলার
,বিচারক , ফিক্ববিদ, শায়েখান , শিক্ষক
, ছাত্র , ম্যাজিস্ট্রেট , বিজ্ঞজন এবং
সাধারন মুসলমানগন মসজিদের বাহিরে
আসতেন এবং তাসবীহ-তাহলীল এর
সাথে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এর জন্মস্থান বাড়ি
পরিদর্শন করতেন । বাড়িতে যাওয়ার পথ
আলোকসজ্জা করা হত । সকলে উত্তম
পোষাক পরিধান করতেন এবং সাথে
তাঁদের সন্তানদের নিতেন।
পবিত্র জন্মস্থানের ভিতরে হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
বিলাদতি শান প্রকাশের সময়কার
বিভিন্ন বিশয়াদি বিশেষবভাবে
বর্ননা করা হত । তারপর অটোমান
সাম্রাজ্যের জন্য সবাই দোয়া করতেন
এবং বিনয়ের সহিত দোয়া করা হত ।
ইশা নামাজের কিছুক্ষন পুর্বে সকলে
মসজিদে চলে আসতেন ( যা থাকত
লোকে লোকারন্য ) এবং
সারিবদ্ধভাবে মাকামে সাইয়্যিদুনা
হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর
সামনে বসতেন ।"
https://goo.gl/Vlv5vf

বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বাধীনতা ক্লাস দৈর্ঘ্য : ৯০ মিটার ওজন : ১৩০০ টন গতিবেগ : ২৫ নট বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর নতুন stealth যুদ্ধজাহাজ।এটি কম গভীরতা বিশিষ্ট সমুদ্রে যুদ্ধের জন্য উপযোগী।একে চীনে নির্মান করা হয়েছে।

এতে দুইটি ডিজেলচালিত ইঞ্জিন
রয়েছে। প্রায় ৭০ জনের মত ক্রুর ব্যবস্থা
আছে এই জাহাজে।
এই জাহাজে কোন সোনার বসানো হয়
নি।যার ফলে এন্টি সাবমেরিন
অপারেশন করতে পারবে না।এতে
কপ্টার উঠানামার ব্যবস্থা থাকলেও
আপতত হ্যাঙ্গার নেই।তবে হ্যাঙ্গার
লাগানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অস্ত্র ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে একটি ৭৬
মিঃমিঃ এর মেইন গান।এটি মূলত
সোভিয়েত ইউনিয়নেন মেইন গানের
চাইনিজ ভার্সন।এর কার্যকরি
ফায়ারিং রেঞ্জ ১০ কিঃমিঃ।
প্রতি মিনিটে ১২০টি শেল ফায়ার
করতে পারে।এক নাগাড়ে ১৫০টি শেল
ফায়ার করতে পারে । এই গান দিয়ে
সমুদ্রের পাশাপাশি আকাশে থাকা
হুমকিও প্রতিহত করা যায়।সোভিয়েত
ইউনিয়নের চাইনিজ ভার্সন হলেও কিছু
পার্থক্য বিদ্যমান রযেছে।যেমন
চাইনিজ ভার্সনের টারেট stealthy এবং
এক নাগাড়ে দ্বিগুণের বেশি ফায়ার
করতে পারে।
এই জাহাজে দুইটি ৩০ মিঃমিঃ এর
রিমোট কন্ট্রোল গান রয়েছে যা CIWS
হিসেবে কাজ করে।দূর থেকে নিয়ন্ত্রন
করা যায় একে।
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য রয়েছে
একটি এফএন-৩০০০ মিসাইল উৎক্ষেপন
যন্ত্র।যাতে ৮টি সেল রয়েছে।অর্থ্যা
৮টি মিসাইল থাকবে।এর রেঞ্জ
সাবসনিক টার্গেটের জন্য ৯ কিঃমিঃ
আর সুপারসনিক টার্গেটের জন্য ৬
কিঃমিঃ।
এই জাহাজ মোট ৪টি এন্টি শিপ
মিসাইল বহন করতে পারে।এন্টি শিপ
মিসাইলের মধ্যে রয়েছে সি ৮০২ বা
সি ৮০৩।সি ৮০২ দিয়ে ১৮০ কিঃমিঃ
এর ভিতর যে কোন জাহাজকে ধ্বংস
করা যায়।
বর্তমানে নৌ বাহিনীর নিকট এই
ক্লাসের দুইটি জাহাজ রয়েছে।যা
জানুয়ারি মাসে দেশে আসবে।আরো
দুইটি তৈরি করছে।চীন এই জাহাজের
প্রযুুক্তি বাংলাদেশকে প্রদান করবে।
যাতে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা
যায়।ইতিমধ্যে ইঞ্জিনিয়ারদের
প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে।
এই জাহাজে "আপাতত" কোন সোনার
থাকছে না।দেশে এনে লাগানো
হতে পারে বা অন্য দেশের সোনার
লাগানো হতে পারে।এখনই কিছু বলা
যাচ্ছে না।
এই জাহাটি স্টিলথ। অর্থ্যা রাডারের
পক্ষে একে ডিটেক্ট করা বেশ কষ্টসাধ্য
কাজ হবে।এটা বাংলাদেশ নৌ
বাহিনীর প্রথম জাহাজ যাতে স্টিলথ
প্রযুুক্তি আছে।তবে বহরে আগে থেকে
সেমি স্টিলথ জাহাজ আছে।

দেশপ্রেম.. অদ্ভুত মিষ্টি একটি শব্দ।... বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এক দূর্ধর্ষ অপারেশন কিলো ফ্লাইট – আকাশে কেঁপেছিল যাদের বিজয় ধ্বনিতে..

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১। মণিপুরের কৈলাশহর
থেকে গভীর রাতে একটা অটার
বিমান উড়ে গেল। গন্তব্য চট্টগ্রামের
পতেঙ্গা। উদ্দেশ্য, পতেঙ্গায় ইস্টার্ন
রিফাইনারির তেল
ডিপো ধ্বংস করে দেওয়া। কিছুক্ষণ পর
আগরতলার তেলিয়ামুড়া থেকে উড়ে
গেল একটি এলুয়েট হেলিকপ্টার। গন্তব্য
নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল তেলের
ডিপো। উদ্দেশ্য একই, গোদনাইল তেল
ডিপো ধ্বংস।
তেলের ডিপো দুটিতে বিপুল পরিমাণ
জ্বালানি মজুদ থাকে। পাকিস্তানি
বাহিনীর স্থল, নৌ আর
আকাশযানগুলোর জ্বালানি
সরবরাহ হয় এসব ডিপো থেকে। ডিপো
দুটি ধ্বংস হলে তাদের
জ্বালানিসংকট দেখা দেবে। এই
তেলের ডিপো দুটি স্থলভাগের দুই নং
সেক্টরের গেরিলারা ধ্বংস করার
পরিকল্পনা করলেও কড়া নিরাপত্তার
জন্য তা সম্ভব হয়নি।
এই বিমান, আর হেলিকপ্টারগুলোত
ে আঁকা বাংলাদেশী পতাকা।
চালকের আসনে আছেন কতিপয় দুর্ধর্ষ
বাঙালি
বৈমানিক, হানাদারবধে যারা দৃঢ়
সংকল্প। প্রতিকূলতা প্রচুর,রাতের
আঁধারে উড়ে যেতে হবে রাডার
ফাঁকি দিয়ে মাটি ঘেঁষে। কারণ
পাকিস্তানীদের কাছে আছে
অত্যাধুনিক এফ-৮৬ স্যাবরে ফাইটার
জেট। রাডারে ধরা পরা মাত্রই ছুটে
আসবে আক্রমণে, ছিন্ন ভিন্ন করে
দেবে এসকর্ট বিহীন এসব পুরোনো
বিমান। তবু ভীত নয় আমাদের সেনারা,
কারণ বুকে আছে তাদের দেশপ্রেম।
দেশপ্রেম? অদ্ভুত মিষ্টি একটি শব্দ। এ যে
কেমন নেশা, কেমন এর মাদকতা তা
বোঝার সাধ্য কি আছে সবার? শুধু মাত্র
যারা মজেছে এই প্রেমে, করেছে
অসীম
ত্যাগ স্বীকার কেবল তাদেরই অনুভব
থাকে শব্দটির ব্যাপকতা। যে ক্ষমতা
বলে আমাদের লাজুক চেহারার
নিজাম,
যে কিনা লুকিয়ে কবিতা লিখত
প্রেয়সীর নিমিত্তে সে হয়ে ওঠে
অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা। সদ্য কৈশোরে
পা দেওয়া ফারুক তার বাবাকে বলে
যায় “ বাবা যুদ্ধে গেলাম।
স্বর্গের চেয়েও উত্তম মা এবং
মাতৃভূমি।

আর এই দেশপ্রেমের বলেই যুদ্ধ শুরু হওয়া
মাত্র প্রায় পাঁচশ বিমানসেনা, পাইলট
ও বিমান বাহিনীর অফিসার এসে
যোগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে। স্থলবাহিনীর
সাথে বিভিন্ন সেক্টরে অত্যন্ত
সাহসিকতার সাথে লড়ে গেলেও
আকাশ বিজয়ী এসব বৈমানিকদের কি
মর্ত্যে মানায় কোন
ভাবে? তাই অবিরত এই
বিমানসেনারা চাপ প্রয়োগ করতে
থাকে আমাদের মুজিবনগর সরকারের
কাছে। কিন্তু চাইলেই কি হয়?
যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল
হলো সামরিক বিমান, যা কেনবার
মাত্র বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নেই আমাদের
প্রবাসী সরকারের কাছে। বাধ্য হয়ে
তাই
মুজিবনগর সরকার ধর্না দেয় ভারতের
কাছে।
প্রথমে ভারত আন্তর্জাতিক রাজনীতি
বিবেচনা করে প্রস্তাব দেয় আমাদের
বৈমানিকরা তাদের বিমান
বাহিনীর
অধীনে ভারতীয় উর্দি গায়ে
চাপিয়ে লড়ুক মুক্তিযুদ্ধে। কারণ
এভাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর
কোন বিমান আমাদের
সেনারা সরাসরি ব্যবহার করলে
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই নিয়ে নানা
বিতর্ক সৃষ্টি হতো, ফলশ্রুতিতে যা
আমাদের
মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক
গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতো।
কিন্তু আমাদের সেনারা এই প্রস্তাব
প্রত্যাখ্যান করে ফলশ্রুতিতে বহুদিন
যাবত প্রস্তাবটি থমকে থাকে এই
আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। কিন্তু এরই
মাঝে হঠাত করেই
১৯৭১ এর সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি
ভারত সরকার অস্থায়ী বাংলাদেশ
সরকারকে একটি স্বাধীন বিমান
বাহিনী গঠনের
জন্য আমেরিকায় তৈরি ১টি পুরানো
ডিসি-৩ বিমান, কানাডার তৈরি
১টি অটার বিমান এবং ফ্রান্সের
তৈরি ১টি এ্যালুয়েট-৩
হেলিকপ্টার দেয়। এর সাথে ভারতের
নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে একটি
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরিত্যক্ত রানওয়ে
ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এই সীমিত সম্পদ
নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর
যাত্রা শুরু হয়। বিমান বাহিনী প্রধান
হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান গ্রুপ
ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারকে (বর্তমান
পরিকল্পনামন্ত্রী) নিয়োগ দেওয়া
হয়।
ভারতের এই হঠাত মত পরিবর্তনে যিনি
সবচেয়ে ক্রিয়ানক হিসেবে কাজ
করেন তিনি হলেন তৎকালীন ভারতের
বিমানবাহিনীর প্রধান পিসি লালের
স্ত্রী ইলা লাল। নিজে বাঙালি হবার
কারণে আমাদের স্বাধীনতা
সংগ্রামের প্রতি ইলা
লালের সহানুভূতি ছিল সেই প্রথম
থেকেই। এরই মাঝে একদিন হঠাত
কলকাতায় এলে ইলা লালের সাথে
ঘনিষ্ঠতা হয়
বাঙালি পাইলট ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট
সদরুদ্দিনের এবং তিনি ইলা লালকে
বুঝিয়ে বলেন আমাদের নিজস্ব
বিমানবাহিনীর
প্রয়োজনীয়তার কথা। পরবর্তীতে ইলা
লালই তার স্বামী প্রতাপ চন্দ্র লালকে
বাধ্য করেন এই ব্যাপারে আশু
পদক্ষেপের জন্য।
যাই হোক, সশস্ত্র বিমান বাহিনী গঠনে
গোপনীয়তা রক্ষার্থে এর গুপ্ত নাম হয়
‘কিলো ফ্লাইট’। অত্যন্ত গোপনীয়তার
সাথে চলতে থাকে এই বাহিনীর
কার্যক্রম। এসময় পিআইএ থেকে কিছু
বেসামরিক পাইলট যোগ দেন তাদের
সাথে
এবং সেই সাথে আসেন ইমার্জেন্সী
কীটনাশক ছড়ানোর দায়িত্ব থাকা
প্ল্যান্ট প্রোটেকশন বিভাগের কিছু
পাইলট। সেই সাথে বিমানগুলোকে
যুদ্ধোপযোগী করবার জন্য বিভিন্ন
সেক্টর হতে যুদ্ধরত মোট ৫৮ জন
বিমানসেনাকে এই ফ্লাইটে নিয়ে
আসা হয়। পুরো নেতৃত্বের দায়িত্ব
দেয়া হয় স্কোঃ লীঃ সুলতান
মাহমুদকে (পরবর্তীতে এয়ার ভাইস
মার্শাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান)
যিনি মতিউরের সাথে কর্মরত ছিলেন
পাকিস্তানে, শ্রীলঙ্কা হয়ে
পালিয়ে আসেন ঢাকা এবং ঢাকা
ভারত পাড়ি জমানোর সময়
পাকিস্তানী বাহিনী তাকে তাড়া
করে এবং এই সময় তিনি সাঁতরে পার হন
প্রমত্তা মেঘনা নদী।
কানাডার তৈরি অটার বিমানটি
বেসামরিক কাজে ব্যবহার হতো। রকেট
পড লাগিয়ে এটিকে যুদ্ধের উপযোগী
করা হয়।
১৪টি রকেট পর পর নিক্ষেপণের ব্যবস্থা
করা হয় এর মাধ্যমে। পেছনের দরজা
খুলে লাগানো হয় মেশিনগান।
বিমানের মেঝের পাটাতন খুলে ফিট
করা হয়েছে ২৫
পাউন্ডের ১০টি বোমা। বোমাগুলো
স্বয়ংক্রিয় ছিল না, হাত দিয়ে পিন
খুলে নিক্ষেপ করতে হতো। অটারের
গতি
ছিল ঘণ্টায় ৮০ মাইল।
এলুয়েট হেলিকপ্টারটি ছিল ছোট
আকৃতির। ফ্রান্সের তৈরি। ভারত
থেকে পাওয়া। মূলত এটিও আগে
বেসামরিক কাজে ব্যবহার করা হতো।
এটির সাথেও
লাগানো হয় মেশিনগান এবং রকেট
পড। পর পর ১৪টি রকেট ছোড়ার ব্যবস্থা
করা হয় এটি থেকেও। সাথে ছিল ২৫
পাউন্ড ওজনের বোমা ফেলার জন্য
ব্যবস্থা। খুব নিচু দিয়ে উড়তে হয়, তাই
আর্মার প্রোটেকশনের জন্য এর তলদেশে
এক ইঞ্চি পুরু স্টিল প্লেট লাগিয়ে
একেও অতি অল্প সময়ে যুদ্ধের উপযোগী
করে তোলে
আমাদের বিমানসেনারা।
আর ডিসি-৩ বিমানটি ছিল যোধপুরের
মহারাজা। এই মহানুভব ব্যক্তিটি তার
ব্যক্তিগত এই ডিসি-৩ বিমান দান করেন
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের
নিমিত্তে, যা মূলত ব্যবহৃত হয়েছিল
পরিবহণে।
বিমানগুলো তৈরি হবার পরেই শুরু হয়
প্রশিক্ষণ। দিন-রাত একটানা প্রশিক্ষণ।
যদিও আমাদের বাঙ্গালি
বৈমানিকদের
বিশ্বব্যাপী আছে অনন্য কিছু রেকর্ড তবু
বেসামরিক পাইলটদের সামরিক
সরঞ্জামে অভ্যস্ত করাই ছিল মূল
চ্যালেঞ্জ। কিন্তু অবশেষে সকল বাধা
বিপত্তি পেরিয়ে
রেকর্ড সময়ে সময়োপযোগী হয়ে ওঠে
কিলো ফ্লাইট।
আধুনিক যুদ্ধে আকাশ-যুদ্ধ তথা
বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা
অপরিসীম। স্থল বাহিনী যখন দেখে
তাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে আছে
তাদের নিজস্ব বিমান,
তখন এই সামান্য জিনিসটিই তাদের
মনোবল বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। তাছাড়া
দূর থেকে শত্রু সীমার অভ্যন্তরে
স্পর্শকাতর টার্গেটে আঘাত আনতে
বিমান বাহিনীর বিকল্প নেই।
ফলশ্রুতিতে সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্টার্ন রিফাইনারি ও
নারায়ণগঞ্জের তেল ডিপোগুলো
ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে
কিলো ফ্লাইটকে।
ডি-ডে ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল
মধ্যরাতে এই লক্ষ্য নিয়েই অটারে
চেপে বসেন ক্যাপ্টেন শরফুদ্দিন,
ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ ও ফ্লাইট
লেফটেন্যান্ট শামসুল আলম।
এতদিন বহুবার বহুবার প্রস্তুতি ফ্লাইট
দিয়ে আসলেই নির্ধারিত সময়ে সবাই
কম-বেশী উত্তেজিত।
একই অবস্থা বিরাজ করছিলো এলুয়েট
হেলিকপ্টারে চেপে বসা কিলো
ফ্লাইটের কমান্ডার স্কোয়াড্রন
লিডার সুলতান মাহমুদ, ক্যাপ্টেন
সাহাব উদ্দিন ও ফ্লাইং অফিসার বদরুল
আলমের মধ্যেও। আর অল্প কিচ্ছুক্ষণের
মধ্যেই হয়তো নির্ধারিত হয়ে যাবে
তাদের ভাগ্য।
ঠিক নির্ধারিত সময়ে অটারটি
ভারতের কৈলাশহর থেকে দক্ষিণ-
পূর্বে উড়ে বঙ্গোপসাগরে এসে সমুদ্র
ধরে
চট্টগ্রাম পৌঁছে যায়। পুরনো আমলের
ন্যাভিগেশন সিস্টেমের উপর নির্ভর
করে রাতের বেলা সমুদ্র ধরে অত্যন্ত
নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ
একটি কাজ বটে। সেই সাথে তাদের
আরো মাথা-ব্যথা হিসেবে আছে
চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা পাকিস্তান
নৌবাহিনীর গানবোট ও জাহাজ
যাদের এন্টি-এয়ার গান অতি সহজেই
কাবু করতে পারে কোন ধরণের
বর্মবিহীন অটারকে। কিন্তু অভিজ্ঞ
পাইলটরা
তাদের ফাঁকি দেওয়ার এই কাজটিও
সম্পন্ন করেন অত্যন্ত সুচারুভাবে। ইস্টার্ন
রিফাইনারির কাছে পৌঁছে তা
দৃষ্টিগোচর
হওয়া মাত্রাই গর্জে ওঠে অটারের
নিচে থাকা রকেটপ্যাড। মুহুর্মুহু
আক্রমণে বিধ্বস্ত হয়ে ওঠে ইস্টার্ন
রিফাইনরি । জ্বলে ওঠে
ট্যাংকারগুলো আর বিস্ফোরণ ঘটতে
থাকে একের পর এক। চট্টগ্রামবাসীর
কাছে সেদিনটি ছিল অন্য রকম একটি
দিন। বিকট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়
নগরবাসীর। ভয়ার্ত, জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে
সবাই তাকিয়ে থাকে
সাগর পানে। সেদিক থেকে ভেসে
আসছে আগুনের লেলিহান শিখা। বহু
মাইল দূর থেকেও দেখা গিয়েছিল এই
কমলা রঙ্গের আভা। পুরো তেলের স্টক
শেষ না হওয়া
পর্যন্ত আগুন জ্বলেছিল একটানা তিন
দিন যার স্মৃতি আজও অমলিন নগরীর
প্রবীণদের মাঝে।
আধুনিক সময়েও রাতে হেলিকপ্টার
চালানো বিবেচনা করা হয় অত্যন্ত
ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে, কিন্তু সুলতান
মাহমুদের
নেতৃত্বে নিয়ে কোন রকম বিপদ ছাড়াই
প্রায় একই সময়ে এলুয়েট পৌঁছে যায়
নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে।
তাঁরা তেলিয়ামুরা থেকে উড়ে
ইলিয়টগঞ্জ হয়ে ঢাকা- কুমিল্লা
মহাসড়ক ধরে ডেমরা পৌঁছায়। তারপর
দক্ষিণে
মোড় নিয়ে সোজা গোদনাইল।
লক্ষ্যস্থলে পৌঁছেই তেলের
ট্যাংকারের ওপর তারা বোমা
নিক্ষেপ করে তারা।
মুহূর্তের মধ্যেই ট্যাংকারগুলো বিকট
শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের
লেলিহান শিখা গ্রাস করে পুরো
আকাশ।
অকস্মাৎ এই পরিকল্পিত আক্রমণে হতভম্ব
পাকিস্তান বাহিনী কিছু বুঝে ওঠার
আগেই অটার আর এলুয়েট মিশন
নিরাপদে
ফিরে আসে ভারতে। রচিত হয়
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য
বীরত্বগাঁথা। শূন্য থেকে শুরু করে মাত্র
অল্প কিছুদিনেই সমর প্রস্তুতি সম্পন্ন করে
আমাদের
বিমানসেনারা এই সফল আক্রমণ করে
তাক লাগিয়ে দেন পুরো বিশ্বকে।
শুধু তাই নয়, এই ধরণের আরো পঞ্চাশটি
মিশন সম্পন্ন করেন আমাদের
বিমানসেনারা। সেই সাথে
স্বাধীনতার পরবর্তীতে এই অভিজ্ঞতা
কাজে লাগিয়ে কিলো ফ্লাইটের
পাইলটরাই বাংলাদেশ
বিমানবাহিনী গঠনে রাখেন
উল্লেখযোগ্য অবদান। আর এই কারণেই
যুদ্ধপরবর্তী সময়ে এই কিলো ফ্লাইটের
বিমানসেনাদের মেলে বহু সম্মানসূচক
খেতাব এবং ইতিহাসের পাতায়
স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এই
বিমানসেনাদের নাম।

ইসরাইল এর সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ বিমান ধ্বংসের রেকর্ডটি কার? অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না কিন্তু তার চাইতে বেশি মানুষ বোধহয় বিশ্বাস করতে পারবেন না যে এই রেকর্ডটি একজন বাংলাদেশি পাইলটের।

অবিশাস্য
হলেও সত্য যে আমাদের দেশের ভূলে
যাওয়া এই বীর সন্তান হলেন গ্রুপ
ক্যাপ্টেন(অবঃ) সাইফুল আযম কাশেম। শুধু
এই রেকর্ড ই নয় সাইফুল আযম চারটি ভিন্ন
দেশের হয়ে জঙ্গি বিমান চালান
একমাত্র ব্যাক্তি এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ
২২ জন জীবিত পাইলট এর একজন । তিনি
একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে
মার্কিন বিমান বাহিনি কর্তৃক
সন্মাননা প্রাপ্ত। ”টপগান” পাইলট
হিসেবে এই সন্মাননা প্রাপ্ত বীর
যোদ্ধা আমাদের মিডিয়াতে
অনেকটাই অপরিচিত।
---------------------------------------------
-----------------------------
জুন ৬ , ১৯৬৭
↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓↓
আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে । তৎকালীন
পাকিস্তান এয়ারফোর্স থেকে
ডেপুটেশনে আসা গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল
আজম পশ্চিম ইরাকের এক বিমান
ঘাটিতে অবস্থান করছে । অনেকটা
ভোজবাজির মতোই আকাশে চারটা
ইসরায়েলি বিমানের ( যাদের কে
এস্কোর্ট করছিলো দুইটা ইস্রায়েলি
মিরেজ ফাইটার ) উদয় হয় । আকস্মিক
আক্রমণে ইরাকি এয়ারফোর্স বিপর্জস্ত ।
ইসারায়েলি ক্যাপ্টেন ড্রোর একের পর
এক ইরাকি বিমানের ভবলীলা সাংগ
করে চলেছে । তার সাথে সঙ্গী
হিসাবে আছে আরেক ইজ্রায়েলি
ক্যাপ্টেন গোলান । এই অবস্থায়
আকাশে উড়াল দেয় সাইফুল আজম ।উড়াল
দেবার কিছুক্ষণের মাঝেই তার
উইংম্যান কেও ফেলে দেয় ইসরায়েলি
ক্যাপ্টেন ড্রোর । কিন্তু সাইফুল আজম
অন্য ধাতুতে গড়া ।একে একে গোলান ,
ড্রোর সবার প্লেন ফেলে দেন
বাংলার বীর সন্তান সাইফুল আজম ।
মোটামুটি একা লড়াই করে ইসরায়েলি
বিমান গুলোকে ইরাকের আকাশ
ছাড়তে বাধ্য করেন তিনি । ক্যাপ্টেন
ড্রোর এবং গোলান কে পরে যুদ্ধবন্দী
হিসাবে আটক রাখা হয় । এখন পর্যন্ত
আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে ইসরায়েলের
সর্বোচ্চ সংখ্যক বিমান ঘায়েল করার
রেকর্ড ক্যাপ্টেন সাইফুল আজমের ।
এছাড়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে
এপর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক শত্রুপক্ষের
বিমান ঘায়েল করার রেকর্ড এর
তালিকায় ও তিনি উপরের দিকে
আছেন।
করাচির মাউরিপুরে টি-৩৩ এর
ইন্সট্রাকটর হিসেবে নিযুক্ত থাকার সময়
১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে যুদ্ধের সময়
এফ-৮৬ নিয়ে ভারতে উড্ডয়নে অংশ
নেন তরুণ এই ফ্লাইয়িং অফিসার যা
বিখ্যাত চাবিন্দা ট্যাংক যুদ্ধ নামে
পরিচিত। এই যুদ্ধে তিনি অংশ নেন
এবং বিমান থেকে রকেট ও গোলা
বর্ষন করে একাধিক ভারতিয় ট্যাংক
কে ধ্বংস ও অকার্যকর করেন। এসময়
চারটি ভারতিয় ”Folland Gnat” জঙ্গি
বিমান তাদের উপর আক্রমন করে। কিন্তু
ফ্লাইট লেফটেনান্ট সাইফুল আজম রুখে
দাড়ান এবং বিমান যুদ্ধ বা ডগ ফাইটে
একটি ভারতিয় ”Folland Gnat” জঙ্গি
বিমান ভুপাতিত করেন। যার স্বীকৃতি
সরূপ তিনি সিতারা-ই-জুরাত
(বাংলাদেশের বীরবিক্রম
এর সমতুল্য, পাকিস্তানের তৃতীয়
সামরিক বীরত্বের খেতাব) খেতাবে
ভূষিত হন।
১৯৬৬ সালের নভেম্বর মাসে
তৎকালীন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল
আজম কে রাজকীয় জর্ডান বিমান
বাহিনীতে প্রেষণে প্রেরণ করা হয়।
সেখানে তিনি রাজকীয় জর্ডান
বিমান বাহিনীর Hawker Hunter অপারেট
করতেন এবং সেখানে ১৯৬৭ সালে
সংঘটিত আরব-ইসরাইল যুদ্ধে জড়িয়ে ৭
জুন ১৯৬৭ ইরাকী বিমান বাহিনীতে
নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে পশ্চিম ইরাকী
এয়ার ফিল্ড H-3 এ তিনি অবস্থান
করাকালে, ইসরাইলি জঙ্গি জেট এয়ার
ফিল্ড H-3 আক্রমণ করে। ঘটনার
পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
সাইফুল আজম ইরাকী Hawker Hunter বিমান
নিয়ে উড্ডয়ন করে একটি Mirage III এবং
একটি Vautour Bomber ভূপাতিত করেন
(Vautour Bomber টির ছোট্ট কিছু
ভগ্নাবশেষ সাইফুল আজমের Hunter এ
গেঁথে থাকতে দেখা যায়, যা থেকে
তার সহকর্মীরা বুঝতে পারেন তিনি
বিমানটিকে আকাশেই গুড়িয়ে
দিয়েছেন)। উল্লেখ্য Mirage III সাইফুল
আজমের Hawker Hunter এর তুলনায় বহুগুণে
Superior। টা স্বত্বেও Mirage III সাইফুল
আজমের Skill, Tactics ও সাহসের কাছে
পরাস্ত হয়েছে। সাইফুল আজম ও তার
স্কোয়াড্রন সাফল্য লাভ করলেও
অন্যান্য জর্দানি বিমানগুলি ব্যার্থ হয়
এবং ইসরাইলি বোমা বর্ষনে
বেশিরভাগ জর্দানি বিমান ভুমিতেই
ধ্বংস হয়ে যায় ও রানওয়ে গুলি
ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
✰✰✰ সাইফুল আজম তার সাফল্যের জন্য
জর্দানিদের প্রসংশা ও শ্রদ্ধা পান।
বাদশাহ হুসাইন তার নিজের গাড়িতে
করে সাইফুল আজম কে তার মেস এরৎ
পৌছিয়ে দেন। তার অসাধারণ কৌশল
ও সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে জর্দান সরকার
”Husame Isteqlal ” বা স্বাধিনতা পদক এবং
ইরাক কর্তক ”Noth-es-Shuja” পদকে ভুষিত
করে।
✰✰✰ তিনটি দেশের সম্মান সূচক
সামরিক পদক অর্জনের ঘটনা সামরিক
ইতিহাসে বিরল । একই সাথে তিনটি
দেশের হয়ে যুদ্ধ করা এবং একই
ব্যাক্তির দ্বারা একের অধিক শ্ত্রু
রাষ্ট্রের বিমান ভূপাতিত করার বিরল
রেকর্ডের অধিকারীও এই একই ব্যাক্তি

✰✰✰ ২০০১ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্র
বিমান বাহিনী বিশেষ সম্মাননা
প্রদান করে। তিনি বাইশ জন “Living Eagles”
এর একজন।
স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ
বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন ।
বাংলার এই বীরের প্রতি জানাই
শ্রদ্ধা ।
---------------------------------------
------------------------
✍ ⓣ ⓐ ⓝ ⓩ ⓨ ⓛ ⓔ ⓚ ⓐ ⓡ ⓘ ⓜ ™
☠ চট্রগ্রাম সেনানিবাস

ভারত-পাকিস্তানের পারমানবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতা........

১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে
ভারত ও পাকিস্তান একাধিকবার
ভয়াবহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার
পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র প্রদর্শন
এবং নিয়মিত মাঝারি ও স্বল্প
পাল্লার ট্যাকটিক্যাল ক্ষেপণাস্ত্র
পরীক্ষা গোটা ভারতীয়
উপমহাদেশকে ভয়াবহ রকমের যুদ্ধের
ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। এরই
ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান
সাম্প্রতিক সময়ে মাঝারি পাল্লার
ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ যোগ্য
শাহিন-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা
সম্পন্ন করেছে। মুলত পাকিস্তানের
তৈরি শাহিন-৩ ক্ষেপনাস্ত্র সর্বোচ্চ
২,৭৫০ কিলোমিটার দূরুত্বের যে কোন
লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত ভাবে পারমাণবিক ও
প্রচলিত ওভারহেড আঘাত হানতে সক্ষম।
যদিও শাহিন-৩ মধ্যম পাল্লার
ক্ষেপনাস্ত্র সর্বোচ্চ ৪৮ কিলোটন
ক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন
করতে পারে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রটি
টার্গেটের ৩৫০ মিটারের মধ্যে
হামলা করতে সক্ষম।
এখানে আন্তর্জাতিক সামরিক
বিশেষজ্ঞদের অভিমত প্রকাশ করেছেন,
শাহিন-৩ মিসাইলের রেঞ্জের মধ্যে
চলে আসছে ভারতের অধিকাংশ শহর
এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা। মুলত
মাঝারি পাল্লার এই শাহিন-৩
ক্ষেপনাস্ত্র ভারতের জন্য নতুন করে
দুশ্চিন্তার কারণ হতে দাঁড়াতে পারে।
কারন পাকিস্তান অনেক আগে থেকেই
এক রকম হুমকি দিয়ে আসছে ভারত
পাকিস্তানে আক্রমন করলে তারা
পরমানু অস্ত্র ব্যবহারে কোন রকম দ্বিধা
করবে না। যেহেতু শাহিন-৩
ক্ষেপনাস্ত্র এখন ভারতের প্রায় সব
শহরে আঘাত হানতে সক্ষম। তাই
পারমানবিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমনের
ক্ষেত্রে ভারত অনেকটা অরক্ষিত
থেকে যাচ্ছে।
তবে প্রকাশ থাকে যে, ভারতের
নিজস্ব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিন্তু
বেশ শক্তিশালী এবং ভারত
ইতোমধ্যেই প্রায় ৬.০০ বিলিয়ন ডলার
ব্যয়ে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ সারফেস
টু এয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম
সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। আবার ভারতের
কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড সমৃদ্ধ
৩৫০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-৪
এবং ৫৫০০-৮০০০ কিলোমিটার পাল্লার
অগ্নি-৫ অত্যাধুনিক ব্যালেস্টিক
ক্ষেপনাস্ত্র মজুত রয়েছে। অগ্নি-৫
ক্ষেপণাস্ত্রে একসাথে তিনটি
ওয়ারহেড বহন করতে পারে ও একবারে
৩৫০ কিলোটনের পারমানবিক অস্ত্র বহন
করতে পারে। ফলে পাকিস্তানের
পক্ষে হয়তো খুব সহজেই নিউক্লিয়ার
এট্যাক করা সম্ভব নাও হতে পারে।
এছাড়া ভারত অত্যন্ত পরিকল্পনা
মাফিক তাদের নিজস্ব নিউক্লিয়ার
সাবমেরিন ভিত্তিক “সেকেন্ড ইন
নিউক্লিয়ার এট্যাক ক্যাপাবিলিটি”
ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিলিয়ন ডলার খরচ
করে যাচ্ছে। তাছাড়া প্রচলিত যুদ্ধের
সক্ষমতায় ভারত খুব দ্রুত বিশ্বের বৃহৎ
সামরিক পরশক্তির সমপর্যায়ে চলে
যাচ্ছে। এছাড়াও ভারতের নিজস্ব
অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল
সিস্টেম হিসেবে এএডি (অ্যাডভান্স
এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) ও পিএডি
(পৃথ্বী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম)
রয়েছে। কিন্তু অপর দিকে
পাকিস্তানের নিকট কোনো এ ধরনের
কোন অ্যান্টি ব্যালেস্টিক মিসাইল
সিস্টেম এখনও পর্যন্ত নেই।
অবশ্য অনেক সামরিক বিশ্লেষক মনে
করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই
পারমানবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র
প্রতিযোগিতা ভারতীয় এ অঞ্চলে
পরমানু যুদ্ধের সম্ভবনা যেমন বাড়িয়ে
তুলছে তেমনি এক ধরনের কৌশলগত
ভারসাম্যও সৃষ্টি করতে মুখ্য ভূমিকা
পালন করছে। যেহেতু ভারতের কাছে
৯০-১১০ টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে
আবার পাকিস্তানের কাছে ১১০-১৩০
টি পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে।
তাই এক্ষেত্রে ভবিষ্যত যুদ্ধে ভারত ও
পাকিস্তান উভয় দেশই কোন
আবস্থাতেই পারমাণবিক অস্ত্র
ব্যবহারের মতো মারাত্বক ঝুঁকি নিতে
পারবে বলে মনে হয় না।
সিরাজুর রহমান, সহকারী শিক্ষক, জয়কুড়ি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংড়া,
নাটোর। sherazbd@gmail.com

ঈদে মীলাদুন নবী পালন সেই শুরু থেকেই চলে আসছিলো।.... ঈদে মীলাদুন নবীর বিরোধীতাকারীদের আবির্ভাব মাত্র ২০-৩০ বছর আগে, তারা নিজেরাই বেদআত.........





১) নবীজি নিজেই ঈদে মীলাদুন নবী
পালন করেছেনএবং হাদীস শরীফে
ঈদে মীলাদুন নবী পালনের ফজিলত
বর্ণিত হয়েছে ।(সূত্র: https://goo.gl/
CXaSWD, https://goo.gl/P2983Q )২) সাহাবীগণ
ঈদে মীলাদুন নবী পালনের ফজিলত
বর্ণনা করেছেন।(সূত্র: https://goo.gl/
6cQxa8 ,https://goo.gl/Jqug0v )৩) ইমাম
মুজহাহিদ ও অাউলিয়াকিরামগণ ঈদে
মীলাদুন নবী পালন করেছেন।( https://
goo.gl/hKGLZL , https://goo.gl/3BQRgu ,https://
goo.gl/HrSevG )৪) মক্বা-শরীফ মদিনা
শরীফসহ সর্বত্র ঈদে মীলাদুন নবী
পালিত হয়ছে এবং হচ্ছে।সূত্র: https://
goo.gl/8VvB9n )কিন্তু এত হাজার হাজার
বছর ঈদে মীলাদুন নবী পালন এবং এর
পক্ষে এত হক্কানী আলেমগণ থাকলেও এ
দিবসের বিপরীতে কেউ কোন ফতওয়া
দিয়েছেন বলে এমন কোন প্রমাণ
পাওয়া যায় না।উপরন্তু আজকে যারা
ঈদে মীলাদুন নবীর বিরোধীতা
করছে তাদের পূর্বপুরুষরা ঈদে মীলাদুন
নবী পালন করেছে এবং ফজিলতপূর্ণ
আমলবলেই বর্ণনা করেছেন। যেমন:ক)
সালাফি, আহলে হাদীস ও ওহাবী
আকিদ্বাভূ্ক্ত যারা আজ ঈদে মীলাদুন
নবীর বিরোধীতা করছে তাদের গুরু
ইবনে তাইমিয়া ও আব্দুল ওহাব নজদীও
কিন্তু ঈদে মীলাদুন নবীকে ফজিলতপূর্ণ
আমল বলে বর্ণনা করেছে । ( https://goo.gl/
dR6WDq )২) আজকে দেওবন্দীরা ঈদে
মীলাদুন নবী পালনের বিরোধীতা
করছে। অথচ তাদের গুরুরাও ঈদে মীলাদুন
নবী পালন করেছে এবং তাকে
ফজিলতপূর্ণ আমল বলে উল্লেখ করেছে।
(সূত্র: https://goo.gl/PaFUZT )৩) আজকে
জাকির নায়েক ঈদে মীলাদুন নবীর
বিরোধীতা করছে। অথচ জাকির
নায়েকের গুরু আহমেদ দিদাত নিজেই
ঈদে মীলাদুন নবী পালনের পক্ষে
বলেছে।(সূত্র: https://youtu.be/
bj8F1qv25dk ),তারমানে দেখা যাচ্ছে,
খুব বেশি আগে নয়, ঈদে মীলাদুন নবীর
বিরোধীতাকারীদেরআবির্ভাব
বড়জোর ২০-৩০ বছর আগে, যাদের
নিজেদেরই কোন ভিত্তি নেই, এমনকি
এদের পক্ষে এদের বাপ-দাদাদেরও
সাক্ষ্য নাই, অর্থাৎ এরা নিজেইরাই
বিদাত। এরা নব্য গজিয়ে ওঠা ভ্রান্ত
ফিরকা, যারা মুসলিম জাতিকে
দ্বিধাবিভক্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত।
এদের সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত
হয়েছে-“আখেরী যামানার কিছু
মিথ্যাবাদী দাজ্জালের চেলা বের
হবে। এরা এমন সব কথা বলবে তোমরাও
শোন নাই তোমাদের বাপ দাদাও
শোনে নাই। তাদের থেকে দূরে
থাকো এবং তাদেরকে দূরে রাখো।
তাহলে তারা তোমাদের ফিৎনায়
ফেলতে পারবে নাগোমরাহ করতে
পারবে না।" (মুসলিম শরীফ, মিশকাত
শরীফ)

সাহিত্যের প্রতিটি পাতায় দাদাদের সাম্প্রদায়িকতার চিত্র স্পষ্টভাবে প্রতিয়মান.........

সাহিত্যের প্রতিটি পাতায় হিন্দুদের
সাম্প্রদায়িকতার চিত্র স্পষ্টভাবে
প্রতীয়মান।
হিন্দু কবি সাহিত্যিকগণ মুসলমানদের
ম্লেচ্ছ, যবন, নেড়ে, পাষন্ড, পাপিষ্ঠ,
পাপাত্মা, দুরাত্মা, দুরাশয়, নরাধম,
নরপিশাচ, পাতকী, বানর, এঁড়ে, দেড়ে,
ধেড়ে, অজ্ঞান, অকৃতজ্ঞ, ইতর এ জাতীয়
কোনো গালি দিতে বাদ দেয়নি।
বঙ্কিম চন্দ্রের ‘মৃণালীনী’,
‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, ‘রাজ সিংহ’ ও
‘কবিতা পুস্তক’, ইশ্বর গুপ্তের ‘কবিতা
সংগ্রহ’ দামোদর মুখোপাধ্যয়ের
‘প্রতাপসিংহ’ যজ্ঞেশ্বর মুখোপাধ্যয়ের
বঙ্গানুবাদিত ‘রাজস্থান’ দীন বন্ধু
মিত্রের ‘জামাই বারিক’ ইত্যাদি
ইসলাম বিদ্বেষে পরিপূর্ণ। হেমচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৮৩৮-১৯০৩ খ্রি.)
কাব্যসজ্জায় সুস্পষ্ট মুসলমান বিদ্বেষ
পাওয়া যায় । "হেমচন্দ্র তাঁর
বীরবাহুতে (১৮৬৪ খ্রি.) লিখেছে -
আরে রে নিষ্ঠুর জাতি পাষণ্ড বর্বর
পুরাব যবন-রক্তে শমন-খর্পর। (আধুনিক
বাংলা কাব্যে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক) -
প্রথম প্রকাশ, ঢাকা, বাংলা
একাডেমী, ১৯৭০]"
.
বহু কাল থেকেই বাংলা সাহিত্যে
বিভিন্ন হিন্দু কবি সাহিত্যিকদের ঘৃণ্য
সাম্প্রদায়িকতা ও চরম বিদ্বেষের
শিকার হয়েছে মুসলমানরা। রঙ্গলাল
বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৮২৭-৮৭ খ্রি.)
পদ্মিনী উপাখ্যানে (১৮৫৮ খ্রি.)
স্বাধীনতার কামনা, পরাধীনতার
বেদনা, দেশপ্রীতি এবং বিদেশাগত
মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষের ভাব
প্রকাশিত হয়েছে। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ
ঠাকুর ১৮৭৯ তে প্রকাশিত অশ্রুমতী নাটক
উৎসর্গ করেন অনুজ রবীন্দ্রনাথকে। এবং
উক্ত নাটক ছিল মুসলিম বিদ্বেষে
পরিপূর্ণ। উক্ত নাটকের সৈন্যগণ বলছে,
["আজ আমরা যুদ্ধে প্রাণ দেব,চিতোরের
গৌরব রক্ষা করব,মুসলমান রক্তে আমাদের
অসির জ্বলন্ত পিপাসা শান্ত করব…
(অশ্রুমতী : জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নাটক
সমগ্র, সাহিত্য সংসদ,২০০২, পৃষ্ঠা ১১৩।)]"
ইংরেজদের সাথে যুদ্ধরত মুসলমানদের
মৃত্যুতে খুশী হয়ে ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত রচনা
করেছিল - [একেবারে মারা যায় যত
চাঁপদেড়ে (দাড়িওয়ালা) হাঁসফাঁস
করে যত প্যাঁজ (পিঁয়াজ) খোর নেড়ে।।
বিশেষত: পাকা দাড়ি পেট
মোটাভূড়ে। রোদ্র গিয়া পেটে
ঢোকে নেড়া মাথা ফূড়ে।। কাজি
কোল্লা মিয়া মোল্লা দাঁড়িপাল্লা
ধরি কাছা খোল্লা তোবাতাল্লা
বলে আল্লা মরি।] এই কবিতায় চরম
মুসলিম বিদ্বেষ প্রকাশ পেয়েছে॥ শুধু
তাই নয় ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত স্পষ্টতই
ব্রিটিশদের দালাল ছিল। তাইতো সে
লিখেছিল, [ভারতের প্রিয় পুত্র হিন্দু
সমুদয়। মুক্তমুখে বল সবে ব্রিটিশের জয়।।
(দিল্লীর যুদ্ধ : গ্রন্থাবলী,পৃ. ১৯১)।]
"বঙ্কিমচন্দ্র তার শেখা প্রায় সবকটি
গালি ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে মুসলমানদের
উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করেছে। ‘ম্লেচ্ছ’ হতে
শুরু করে ‘যবন’ পর্যন্ত। এমনকি
প্রাচীনকালে বৌদ্ধদের দেয়া
‘নেড়ে’ গালিটাকেও সে দিতে বাদ
রাখেনি। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর ‘আনন্দ
মঠ' (১৮৮২) উপন্যাসে এক মন্তব্যে বলে,
‘‘ধর্ম গেল, জাত গেল, মান গেল, কূল
গেল, এখনতো প্রাণ পর্যন্ত যায়। এ
নেড়েদের (মুসলমানদের) না
তাড়াইলে আর কি হিন্দুয়ানি থাকে’’
এমনকি গল্পের মাধ্যমে মসজিদ ভেঙে
মন্দির গড়ার ইচ্ছাও প্রকাশ পেয়েছে এ
উপন্যাসে॥ [ভাই, এমন দিন কি হইবে,
মসজিদ ভাঙ্গিয়া রাধা মাধবের
মন্দির গড়িব? - আনন্দমঠ, তৃতীয় খন্ড, অষ্টম
পরিচ্ছেদ]"
শুধু তাই নয়, "সে ‘কৃষ্ণকান্তের উইল'-এ
দানেশ খাঁকে দিয়ে মুসলমানদেরকে
‘শুয়ার' বলে গালি দিয়েছেন।
‘রাজসিংহ' উপন্যাসে কতিপয়
স্ত্রীলোককে দিয়ে সম্রাট
আওরঙ্গজেবের মুখে লাথি মারার
ব্যবস্থা করেছে। ‘মৃণালিনী'তে
বখতিয়ার খিলজীকে ‘অরণ্য নর' বলেছে।
কবিতা পুস্তকে সে লিখেছে, ‘‘আসে
আসুক না আরবী বানর - আসে আসুক না
পারসী পামর’’। (আফজাল চৌধুরীর শেষ
কবিতা: মুকুল চৌধুরী, দৈনিক
সংগ্রাম,ঈদসংখ্যা-২০১২)।"
আরেক সাম্প্রদায়িক কবি ছিল
রবীন্দ্রনাথ। তার বন্ধু চির মুসলিম
বিদ্বেষী ব্রাহ্ম রামানন্দ
চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে
তিনি মুসলমান জাতি ও সমাজ সম্বন্ধে
তার নানা লেখায় বরং বিরূপ মন্তব্যই
করিয়েছে। (বাংলাদেশের
রবীন্দ্রচর্চা, মনিরা কায়েস, পৃ. ২৩)।
তাই শিবনারায়ণ রায় বলেছে: "সে
(রবীন্দ্রনাথ) কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে কিছুই
চর্চা করেনি। সম্পূর্ণ অবহেলা করেছে..
(প্রতিক্ষণ, জুলাই ১৯৯৩, পৃ. ১৭)।"
যেমন, গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ
লেখে, "ভালো মানুষি ধর্ম নয়; তাতে
দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে।
তোমাদের মহম্মদ সে কথা বুঝতেন, তাই
তিনি ভালোমানুষ সেজে ধর্ম প্রচার
করেন নি।" (গোরা,পৃষ্ঠা ১৭)।" তাইতো
সলিমুল্লাহ খান তাঁর 'সাম্প্রদায়িকতা'
প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘ভারতের বৃহৎ
হিন্দুজাতি - খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ,
জৈন - সবাইকে হিন্দু বানাইতে চায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বলেছিল,
‘মুসলমানরা একমাত্র বেয়াদব যাহারা
হিন্দু পরিচয় স্বীকার করিবে না'।
(বণিক বার্তা ২০ অক্টোবর, ২০১২)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো শরৎচন্দ্র ও
তার অনেক লেখায় মুসলিম বিদ্বেষী
মনোভাব প্রকাশ করেছে।
শরৎচন্দ্র তার "বর্তমান হিন্দু-মুসলমান
সমস্যা" নামক প্রবন্ধে চরম মুসলিম
বিদ্বেষী লেখা লিখেছে। তাইতো
সাহিত্যিক ও সমাজ দার্শনিক আহমদ
ছফা বলেছেন,"এইরকম সাম্প্রদায়িক
রচনা শরৎবাবুও লিখতে পারে আমার
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছে - (যদ্যপি
আমার গুরু, আহমদ ছফা, পৃষ্ঠা ৫৬)"
ভারতবর্ষের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে
বোঝা যায় কতটা সাম্প্রদায়িক
ছিলো ঐসব কবি সাহিত্যিকগণ॥
তাইতো ডঃ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ
লিখেছিলেন,“কি পরিতাপের বিষয়
আমাদের শিশুগণকে প্রথমেই রাম শ্যাম
গোপালের গল্প পড়িতে হয়। সে পড়ে
গোপাল বড় ভাল ছেলে। কাশেম বা
আব্দুল্লাহ কেমন ছেলে সে তাহা
পড়িতে পায় না। এখন হইতেই তাহার
সর্বনাশের বীজ বপিত হয়। তারপর সে
তাহার পাঠ্যপুস্তকে রাম-লক্ষণের
কথা,কৃষ্ণার্জ্জনের কথা, সীতা-
সাবিত্রির কথা, বিদ্যাসাগরের কথা,
কৃষ্ণকান্তের কথা ইত্যাদি হিন্দু
মহাজনদিগেরই আখ্যান পড়িতে থাকে।
সম্ভবতঃ তাহার ধারণা জন্মিয়া যায়,
আমরা মুসলমান ছোট জাতি, আমাদের
বড় লোক নেই। এই সকল পুস্তুক দ্বারা
তাহাকে জাতীয়ত্ব বিহীন করা হয়।
বুদ্ধদেবের জীবনী চারপৃষ্ঠা আর হযরত
মোহম্মদ (সাঃ) এর জীবনী অর্ধপৃষ্ঠ মাত্র।
অথচ ক্লাসে একটি ছাত্রও হয়তো বৌদ্ধ
নহে। আর অর্ধাংশ ছাত্র মুসলমান।.. মূল
পাঠ্য ইতিহাসে হিন্দু রাজাদের
সম্বদ্ধে অগৌরবজনক কথা প্রায়
ঢাকিয়া ফেলা হয়,আর মুসলমানদিগের
বেলা ঢাকঢোল বাজাইয়া প্রকাশ
করা হয়। (সূত্রঃ আমাদের (সাহিত্যিক)
দারিদ্রতা, মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, জৈষ্ঠ
১৩২৩, সংগ্রহে মুস্তফা নুরউল ইসলামঃ
সাময়িক পত্রে জীবন ও জনমত, পৃঃ
৩০-৩১)। এখনো ভারতের পাঠ্যপুস্তকে
অনেক মুসলিম সফল ন্যায় পরায়ণ
শাসকদের ভিলেন হিসেবে দেখানো
হয়েছে॥ সহজেই বোঝা যায় এই
ভারতীয় উপমহাদেশে
সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করেছে
হিন্দু কবি সাহিত্যিকরা,মুসলমানরা
নয়॥

বায়তুল মুকাররমের খবিস ওবাইদুল হক্ব ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধিতা করার কারনে পচে-গলে মরেছে.. প্রমাণ দেখুন........

বায়তুল মুকারমের খবীস উবায়দুল হক্ব ঈদে
মিলাদুন্নবির সময় আসলে বলত " ঈদে
মিলাদুন্নবি বিদয়াত " নাউযুবিল্লাহ ।
অথচ হারাম পহেলা বৈশাখের পক্ষে এই
খবিস উবাইদুল হক বলেছিল:
"আল্লাহর বহু বড় নিয়ামত হলো নববর্ষ।
নববর্ষ পালন করতে গিয়ে দান-খয়রাত
করতে হবে শুকরিয়া আদায় করতে হবে
দোয়া করতে হবে।"(নাউযুবিল্লাহ্)
( তথ্যসূত্র: দৈনিক মানবজমিন ১০/০৪/২০০৪
ইং শেষ পৃষ্ঠা)
এ ভুল ফতওয়ার কাফফারা সে মৃত্যুর পর
আদায় করে। স্বাভাবিকভাবে একটা
মানুষ মারা যাওয়ার পর তার লাশ পচন
ধরতে সময় লাগে। আর আল্লাহ-ওয়ালা
বা মসজিদের ঈমামদের লাশে এত
তাড়াতাড়ি পচন ধরার তো প্রশ্নই আসে
না। কিন্তু ওবাইদুল হকের মৃত্যুর পর তার
বিপরীত দেখা গেলো। মৃত্যুর সাথে
সাথে লাশে পচন ধরলো, পেট ধারণ
করলো বিরাট আকৃতি। বরফের বিছানায়
রেখেও তা থামানো যাচ্ছিলো না।
ছবিতে আপনারা নিজেরাই এ
অলৌকিক বিষয়টি দেখতে পাচ্ছেন,
লাশ রাখা হয়েছে বরফের বিছানার
উপর, দেওয়া হচ্ছে বাতাস। তারপরও
মানুষ পচা গন্ধের নাকে আঙ্গুল দিয়ে
রেখেছে। আবু লাহাব যেমন পচে গলে
মরেছে তেমনি এই খবিস মরেছে।
যারা ঈদে মিলাদুন্নবির বিরোধীতা
করবে তারাও আবু লাহাবের ন্যায় পচে
গলে মরবে ।

বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

মহানবী হযরত মুহম্মদ সল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক

আল্লাহ্ পাক বলেন ,

ﻻ ﺗﻘﻮﻟﻮﺍ ﻟﻤﻦ ﻳﻘﺘﻞ ﻓﻰ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻣﻮﺍﺕ ﺑﻞ ﺍﺣﻴﺎﺀ ﻭﻟﻜﻦ ﻻ

ﺗﺸﻌﺮﻭﻥ .

অর্থঃ- “আল্লাহ্ পাক-এর পথে যারা
নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলোনা; তারা
জীবিত; কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি
করতে পারনা।” (সূরা বাক্বারা/
১৫৪)........
মহান আল্লাহ পাক শহীদ ব্যক্তিকে মৃত
বলতে নিষেধ করেছেন; তারা জীবিত
সেটা জানিয়ে দিলেন। এটাই যদি হয়
, তাহলে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃস্টি না করলে
আমরা কেউ সৃষ্টি হতাম না। তিনি সব
কিছুর মূল। তাহলে তিনি কি করে মৃত
হতে পারেন ?
যারা বলবে নবীজি ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম 'মৃত' ।
নাউজুবিল্লাহ। তারা কি নবীজি
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার উম্মত দাবি করতে পারবে??

মহান মুক্তিযুদ্ধকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের (RUSSIA) ভূমিকা..........

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত
ইউনিয়নের নৌ বাহিনীর ভূমিকা
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে শেষের
দিকে এসে আমেরিকা হস্তক্ষেপ
করতে চেয়েছিল।কারন তখন
পাকিস্থানের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে
পড়েছিল।এই রকম অবস্থাতে মার্কিন
নৌ বাহিনীর সাহায্য অপরিহার্য হয়ে
পড়েছিল তাদের জন্য যেহেতু তাদের
মধ্যে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল।
এই রকম সময় আমেরিকা অত্যন্ত গোপনে
চীনের সহযোগীতাও কামনা করে।
১৯৭১ সালে জুলাই মাসের দ্বিতীয়
সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্র
ী কিসিন্জার চীনের বেইজিং এ
আসেন।তখন চীনের প্রধানমন্ত্রী
কিসিন্জারকে অনেকটা এই রকম
জানায়
"যদি ভারত নিজেদের এই যুদ্ধে
উপিস্থিতি বজায় রাখে তাহলে তা
আরো খারাপের দিকে যাবে।যাই
হোক আমরা পাকিস্থানের সাথে
রয়েছি এবং ভারত যদি এই যুদ্ধ থেকে
সরে না যায় তাহলে আমরা বসে
থাকবো না।"
চীনের প্রধানমন্ত্রীর এই কথা শুনে
কিসিন্জারও জানিয়ে দেয় তারাও
পাকিস্থানকে সমর্থন করে এই ইস্যুতে।
এরপরে সিআইএ মার্কিন
প্রেসিডেন্টকে জানায় ভারতের
প্রধানমন্ত্রী চীন হতে কোন আক্রমনের
আশা করছে না।যদি চীন আক্রমন করে
তাহলে ভারতের সামরিক শক্তি সম্পূর্ন
ধ্বংস হয়ে যাবে কারনভারতকে সেই
সময় তিন দিক মোকাবেলা করতে হবে।
এই রিপোর্ট হাতে পেয়ে ডিসেম্বর
মাসের ৯ তারিখ তৎকালীন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট নিক্সন ক্যারিয়ার
ইউএসএস এন্টারপ্রাইজকে বঙ্গোপসাগরে
পাঠায়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে
চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে হুমকি
প্রদান করা যাতে ভারত পূর্ব
পাকিস্থান হতে নিজেদের সরিয়ে
নেয়।
ডিসেম্বরের ১০ তারিখ মার্কিন
প্রেসিডেন্ট নিক্সন পররাষ্ট্রমন্ত্র
ী কিসিন্জারকে নির্দেশ দেয়
চীনকে জানাতে চীনা সৈন্যদের
ভারতের সীমান্তের নিকট হাজির
করতে।
কিন্তু এই সময় চীন ভয় পেল ভারতের
সীমানার নিকট সৈন্য পাঠালে
সোভিয়েত পাল্টা ব্যবস্থা নিতে
পারে। যেহেতু ভারতের সাথে
সোভিয়েতের খুব ভাল সম্পর্ক।ঠিক তখন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনকে আশ্বস্ত
করে যদি সোভিয়েত কোন পদক্ষেপ
গ্রহন করে তাহলে আমেরিকা চীনকে
রক্ষা করবে।
এই দিকে সোভিয়েতের গোয়েন্দা
সংস্থা তাদের সরকারকে রিপোর্ট
করে ব্রিটেনের একটি ক্যারিয়ার
ভারতের সীমানার নিকট আসছে।এই
রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সাথে
সাথেই সোভিয়েত ইউনিয়ন একটি বহর
ভারতের দিকে পাঠিয়ে দেয়।
তারা বঙ্গোপসাগরের এসে পৌছায়
এবং ব্রিটেনের ক্যারিয়ারকে
নজরদারিতে রাখে। কিন্তু ব্রিটেন
যদি সোভিয়েতকে আক্রমন করে বসে
তখন সোভিয়েতেন তেমন কিছুই করার
থাকত না।কারন তাদের জাহাজের
সংখ্যা কম ছিল।জাহাজ এবং শক্তি
বাড়াতে সেই সময় ক্রুজার,ডেষ্ট্রয়ার
এবং পারমানবিকশক্তিচালিত
সাবমেরিন [যেগুলো কিনা এন্টি শিপ
মিসাইল দ্বারা সজ্জিত ছিল]
পাঠানো হয় সোভিয়েতের নৌ ঘাঁটি
থেকে।এই রকম শক্তিশালী নৌ বহর
দেখে ব্রিটেন এগুনোর সাহস পায় নি
এবং মাদাগাস্কারের দিকে চলে
যায়।
এই দিকে ভারতের জলসীমার দিকে
এগিয়ে আসছে ক্যারিয়ার ইউএসএস
এন্টারপ্রাইজ এবং এ্যাসাল্ট শিপ
ইউএসএস ত্রিপোলি।তখন সোভিয়েতের
সেই বহরের কমান্ডার জানায় "আমাকে
নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মার্কিন এই
বহর কোনভাবে যেন ভারতের
জলসীমার দিকে এগুতে না পারি।সেই
নির্দেশ অনুযায়ী তাদের আমি
জাহাজদ্বারা ঘিরে ফেলি এবং
এন্টি শিপ মিসাইল এন্টারপ্রাইজের
দিকে তাক করে রাখি।তাদের পথ
অবরুদ্ধ করে রাখি।তাদের করাচি,
চট্রগ্রাম এবং ঢাকার দিকে এগুতে দেয়
নি।"
কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের
জাহাজের এন্টি শিপ মিসাইলগুলোর
রেঞ্জ ছিল ৩০০ কিঃমিঃ।যা কিনা
মার্কিন ক্যারিয়ারকে ধ্বংস করার জন্য
পর্যাপ্ত রেঞ্জ ছিল না। তাই সেই সময়
ওই বহরের কমান্ডার তাদের
পারমানবিক সাবমেরিনকে পানির
উপরে ওঠার নির্দেশ দেন।যাতে তা
স্যাটেলাইট হতে দেখা যায়।
সোভিয়েত চেয়েছিল আমেরিকা
দেখুক প্রয়োজনে সকল পদক্ষেপ নেওয়া
হবে।
ঠিক এই সময় সোভিয়েতের নৌ বহর
মার্কিন ক্যারিয়ারের একটি মেসেজ
ইন্টারসেপ্ট করতে সক্ষম হয়।মেসেজটি
অনেকটা এই রকম ছিল "স্যার,আমরা
অনেক দেরি করে ফেলেছি। এখানে
সোভিয়েতের পারমানবিকশক্তিচ
ালিত সাবমেরিন আছে এবং অনেক
যুদ্ধজাহাজ নিয়ে এসেছে"।
মার্কিন এই পরিকল্পনার সাফল্য
অনেকটা চীনের উপর নির্ভর করছিল।
অর্থ্যা চীন যদি ভারতকে না আক্রমন
না করে তাহলে পুরো পরিকল্পনা
ভেস্তে যাবে।তাই আমেরিকা
বারবার চীনকে ভারত আক্রমন করা এবং
নিরাপত্তা দেওয়ার অঙ্গীকার
করেছিল।
কিন্তু চীন ভয় পেয়ে গেল সোভিয়েত
হস্তক্ষেপ করবে এই ক্ষেত্রে যদি তারা
ভারত আক্রমন করে।এই দিকে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিল যদি
চীন আক্রমন করে তাহলে ভারতের
আকাশে সোভিয়েতের বিমান ওঠবে।
এরপর আর মার্কিন ক্যারিয়ার
বাংলাদেশের দিকে এগুনোর সাহস
পায় নি।আর এভাবেই আমাদের মহান
মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌ
বাহিনী আমাদের বিজয় অর্জনের পথ
অনেকটা পরিষ্কার করে দিয়েছিল।শুধু
বাংলাদেশকেও নয়, সেদিন
ভারতকেও রক্ষা করেছিল
সোভিয়েতের নৌ বাহিনী।তাই
আমরা সারা জীবনেও সোভিয়েতের
এই অবদানের কথা ভুলবো না।