রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬

 গুলশানের হামলা নিয়ে দালাল মিডিয়া ও দেশবিরোধিদের চক্রান্তের পরিপ্রেক্ষিতে..



প্রতিদিন সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার অনেক ঘটনা ঘটে,সেগুলার কিন্তু কখনোই লাইভ দেখানো হয় না

। কিন্তু আজকে গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার সময় হলুদ মিডিয়াগুলো কেনো লাইভ দেখাতে গেলো?


বিষয়টি কি শুধুই পাবলিককে জানানোর জন্য নাকি দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য? সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য? বহিঃবিশ্ব কে দেখানোর জন্য যে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে?


একটা কথা মনে রাখবেন, প্রতিদিন সারা বাংলাদেশে কমকরে হলেও ১০০ জন লোক মারা যায় যাদের ৯৯ জন মুসলমান।কিন্তু একটা মন্দিরের ঠাকুর মরলে সেই খবর বিবিসিতে আসে।বাকি ৯৯ জনের হত্যাকে চয়েস না করে বিবিসি কেন এক ঠাকুরকে পছন্দ করলো সেটাই সন্দেহের বিষয়।


সারা বাংলাদেশে প্রতিদিন অসংখ্য গনজমায়েত হয়, হাজার হাজার লোক সেখানে উপস্থিত হয়। কিন্তু মিডিয়া কেনো সেগুলো না দেখিয়ে ৫-১০টা শাহবাগীদের মিছিল কেনো হাইলাইট করে দেখায় সেটাও চিন্তার বিষয়।


অর্থাৎ মিডিয়া যেখানে যেচে গিয়ে ইন্টারেস্ট দেখাবে, বুঝতে হবে সেখানে নিশ্চয়ই কোনো ‘ঘাপলা’ বা ‘কিন্তু’ আছে।


উল্লেখ্যঃ সময় টিভি, বিডিনিউজ২৪ এ প্রচার করছে- সন্ত্রাসীরা নাকি ‘আল্লাহু আকবার’ বলে চিৎকার দিয়েছিলো।অর্থাৎ এইসব দালাল হলুদ মিডিয়া পাবলিককে বুঝাতে চাইছে বাংলাদেশেও আইএস হামলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেছে এবং সেখানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী আইএস এর গোষ্ঠী জড়িত। আমার মনে হয় মিডিয়া খবরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একদিনে টার্ন দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং লাইভ সম্প্রচার করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করছে। যা আওয়ামী সরকারের জন্য মঙ্গলজনক হবেনা।


হিসেবগুলো আসলে খুবই সহজ। সিআইএ’র পুরোনো নাটক এবার বাংলাদেশে সংগঠিত হচ্ছে। উদ্দেশ্য বাংলাদেশে আইএস প্রবেশ করেছে তা প্রমাণ করা এবং সহজে দেশ কে আফগানিস্থান, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া বানিয়ে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটেপুটে খাওয়া।



তবে অবাক হয়েছি সেই ঘটনায় যা মিডিয়ার ইনভলমেন্ট দেখে। তবে এটা জানা, বাংলাদেশের মিডিয়ামন্ত্রী হচ্ছে বামপন্থী হাসানুল হক ইনু। আমি আগেও বলেছি, ইনু সম্ভবত ভোল পাল্টে মার্কিন ব্লকে যোগ দিয়েছে এবং ইনুর কারণেই মিডিয়া আজকে গুলশানের সিআইএ’র অপরেশনে সহযোগীতা করলো। বাকিটা আপনারাই বোঝে নিন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন