রবিবার, ২২ মে, ২০১৬

প্রাণির ছবি তোলা, আঁকা, রাখা হারাম!



প্রাণীর ছবি তোলা, তোলানো, আকাঁ-আঁকানো, রাখা, রাখানো, দেখা-দেখানো ইত্যাদি সবই হারাম| মহান আল্লাহ্ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ্, শারে বা শরীয়ত প্রনেতা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রাণীর ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, দেখা-দেখানো ও রাখা-রাখানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন| যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
(১)
ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺍﻻﻋﻤﺶ ﻋﻦ ﻣﺴﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻛﻨﺎ ﻣﻊ ﻣﺴﺮﻭﻕ ﻓﻰ ﺩﺍﺭ ﻳﺴﺎﺭ ﺑﻦ ﻧﻤﻴﺮ ﻓﺮﺍﻯ ﻓﻰ ﺻﻔﺘﻪ ﺗﻤﺎﺛﻴﻞ ﻓﻘﺎﻝ ﺳﻤﻌﺖ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ .ﺳﻤﻌﺖ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﺍﻥ ﺍﺷﺪ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻋﺬﺍﺑﺎ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﻤﺼﻮﺭﻭﻥ
অর্থঃ- “হযরত আ’মাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুসলিম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহর নিকট শুনেছি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ পাক কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে|”
দলীল-
✔ পবিত্র বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃষ্ঠাঃ৮৮০|
(২)
عن عبد الله بن عمر رضى الله تعالى عنه اخبره ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الذين يصنعون هذه الصور يعذبون يوم القيمة يقال لهم احيوا ما خلقتم.
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে| এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরী করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান কর|”
দলীল সমূহঃ-
✔ পবিত্র বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ৮৮০,
✔ মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ২০১|
(৩)
عن عائشة عليها السلام حدثته ان النبى صلى الله عليه وسلم لم يكن يترك فى بيته شيئا فيه تصاليب الا نقضه.
অর্থঃ- উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে প্রাণীর ছবি বা ছবিযুক্ত সকল জিনিস (থাকলে) ধ্বংস করে ফেলতেন|
দলীল সমূহঃ-
✔ বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ৮৮০,
✔ মিশকাত পৃঃ ৩৮৫|
------------
(৪)
عن ابى زرعة قال مع ابى هريرة دار مروان بن الحكم فراى فيها تصاوير وهى تبنى فقال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول يقول الله عز وجل ومن اظلم ممن ذهب يخلق خلقا كخلقى فليخلقوا ذرة او ليخلقوا حبة او ليخلقوا شعيرة.
অর্থঃ- হযরত আবু যুরয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সঙ্গে মদীনা শরীফের এক ঘরে প্রবেশ করলাম, অতঃপর তিনি ঘরের উপরে এক ছবি অংকনকারীকে ছবি অঙ্কন করতে দেখতে পেলেন, এবং বললেন আমি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন, মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তি অধিক অত্যাচারী, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সাদৃশ্য কোন প্রাণীর ছুরত সৃষ্টি করে| তাকে বলা হবে একটি শস্যদানা সৃষ্টি কর অথবা একটি পিপিলিকা সৃষ্টি কর|
দলীল-
✔ বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০

পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত সর্ম্পকে কিতাবে একটা সুন্দর ঘটনা বর্ণিত আছে,-

পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত সর্ম্পকে কিতাবে একটা সুন্দর ঘটনা বর্ণিত আছে,-
مر حضرت عيسى بن مريم عليه السلام على جبل فراى فيه صخرة بيضاء فطاف بها حضرت عيسى عليه السلام وتعجب عنها فاوحى الله اليه اتريد ان ابين لك اعجب مما رأيت قال نعم فان فلقت الصخرة عن رجل بيده عكار خضراء وعنده شجرة عنب فقال هذا رزق كل يوم فقال كم تعبد الله فى هذا الجر فقال منذ اربع مائة سنة فقال حضرت عيسى عليه السلام يا ربى ما اظن انك خلقت خلقا افضل منه فقال من صلى ليلة النصف من شعبان من امة محمد صلى الله عليه وسلم ركعتين فهو افضل من عبادته اربع مائة عام قال حضرت عيسى عليه السلام ليتنى من امة محمد صلى الله عليه وسلم.
অর্থ: হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালাম একটি পাহাড়ের উঁচু চূড়ার উপরে দিয়ে চলতে ছিলেন। হঠাৎ করে ঐ পাহাড়ের উপরেই একটি সাদা পাথর দেখতে পেলেন। অতঃপর আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ঐ পাথরের চারি পাশে ঘুরে আশ্চার্যান্বিত হলেন। অতপর উনার আশ্চার্যবোধ দেখে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ওহী পাঠিয়ে বললেন, হে আমার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আপনি সাদা পাথরখানা দেখেই অবাক হয়েছেন, এর চেয়ে আশ্চর্যজনক বস্তু আপনি কি দেখতে চান?
জবাবে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম বললেন, হ্যাঁ বলতে না বলতেই পাথরটি ফেটে গেল। উহার মধ্যে সবুজ রং এর লাঠি হাতে নিয়ে একজন বুযুর্গ ব্যক্তি দাঁড়ানো আছে এবং তার সামনে একটি আঙ্গুরের গাছ আছে। অতঃপর সেই বুযুর্গ ব্যক্তি বললেন, ইহা আমার প্রতি দিনের খাবার। অতঃপর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ঐ বুযুর্গ ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বললেন, আপনি কতকাল পর্যন্ত এই সাদা পাথরের ভিতরে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত আছেন? হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার এই প্রশ্নের জবাবে বুযুর্গ ব্যক্তি বললেন, সুদীর্ঘ চারশত বৎসর ধরে এই পাথরের ভিতরে আমি ইবাদত বন্দেগী করছি। তখন হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম (আরো আশ্চার্য হয়ে) বললেন, ইয়া বারে ইলাহী! আমার ধারণা যে, হয়তো বা আপনি এই বুযুর্গ ব্যক্তির চেয়ে আর কোন উত্তম মাখলুক সৃষ্টি করেননি। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার এই আবেগপূর্ণ বাণী শুনে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, উম্মদে হাবীবী উনার কোন উম্মত যদি অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে ২ রাকায়াত নামায আদায় করে উহা ঐ বুযুর্গ ব্যক্তির চারশত বৎসরের ইবাদত হতেও উত্তম হবে। সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এই কথা শুনে বললেন, হায় । আফসোস! যদি আমি আখিরী নবী সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামূল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত তথা উম্মতে হাবীবী হতে পারতাম। সুবহানাল্লাহ। (নুযহাতুল মাজালিস’ নামক কিতাবের ১ম খন্ডের ১৫৭ পৃষ্ঠা)
উক্ত বিশ্ববিখ্যাত ‘নুযহাতুল মাজালিস’ কিতাবে আরো উল্লেখ আছে-
ان الجن والطير والسباع وحيتان البحر يصومون يوم النصف شعبان
অর্থ: নিশ্চয়ই জ্বিন, পশু-পাখী এবং এমন কি সমুদ্রের মাছেরাও অর্ধ শা’বানের তথা ১৫ই শা’বানের দিন রোযা রাখে। সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুল বরকত)
### হালুয়া পাকানো নাকি বিদয়াত? তা কথায় কথায় যারা বিদয়াত ফতওয়া দেন তারা দয়া করে দলিল দিবেন , কোন দিন, কোন কারনে, কোন জিনিস খাওয়া হারাম বা বিদআত? হালালকে হারাম বানান কুফরি, এইটা আমরা জানি, হালাল খাবার যেই দিন খাই সেটা হালালই হবে, সেটাকে হারাম বলা কুফরি। অহী উনার দড়জা বন্ধ হয়ে গেছে, আবার অহী নাজীল হত আমাদের নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর উনিও পর্দার অপারে চলে গেছেন। এখন নতুন ফতোয়া নতুন কথা তো কোন মুসলমান মানবে না। তাই যার কাছে হালুয়া পাকান বিদয়াত এমন দলিল আছে সে যেন দলিল দেয়

আপনি কি জানেন বাংলাদেশেও যে বাঙালী ইহুদী বাস করে ? তবে বাংলাদেশের বসবাসরত ইহুদীরা নিজেদের ইহুদী বলে পরিচয় দেয় না, পরিচয় দেয় কখন নিভৃতচারী, কখন খ্রিস্টান কিংবা কখন ‘জিহোভার সাক্ষী’ (Jehovah's Witnesses) হিসেবে।

আপনি কি জানেন বাংলাদেশেও যে বাঙালী ইহুদী বাস করে ?
তবে বাংলাদেশের বসবাসরত ইহুদীরা নিজেদের ইহুদী বলে পরিচয় দেয় না, পরিচয় দেয় কখন নিভৃতচারী, কখন খ্রিস্টান কিংবা কখন ‘জিহোভার সাক্ষী’ (Jehovah's Witnesses) হিসেবে। ‘জিহোভার সাক্ষী’রা নিজেদের খ্রিস্টানদের একটি অংশ বলে দাবি করে, তারা আসল হিব্রু বাইবেলে বিশ্বাস করে, কিন্তু প্রচলিত খ্রিস্টানদের রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে না।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলায় মোট ইহুদী সংখ্যা ছিলো ১৩৫ জন। ২০০০ সালে Jehovah's Witnesses-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হিসেব অনুসারে বাংলাদেশে মোট ইহুদী সংখ্যা দাড়ায় ৯৭ জনে। ২০০৬-০৭ এর দিকে বাংলাদেশে মোট ইহুদীর সংখ্যা কমে ৭২-এ নেমে আসে।
বাংলাদেশে ইহুদীদের বাস কয়েকশ’ বছর ধরে। এরা মূলত বাগদাদ হতে আগত ইহুদী। তারা ছিল মূলত ব্যবসায়ী। বর্তমানে এদের বসবাস পুরানো ঢাকার ওয়ারি, আরমেনিয়ান কোয়ার্টারসহ প্রভৃতি এলাকায়। এরা অধিকাংশই গার্মেন্টস শিল্পের সাথে জড়িত। (সূত্র: https://goo.gl/M808VL)
এবার আপনাদের জন্য আরেকটি তথ্য শেয়ার করবো। ইহুদীদের তৈরি গুপ্ত সংগঠন ফ্রি-মেসন নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকায় প্রকাশ্যে ফ্রি মেসনের অফিস ছিলো। জানা যায়, ঢাকাস্থ পুরানা পল্টন মোড়ে জিপিও’র পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে স্পষ্ট করে লেখা ছিলো ছিলো- ‘ফ্রি মেসন অফিস’। কিন্তু স্বাধীনতার পর সেই লেখাটি মুছে দেয়া হয়।
-----------------------------

জেরুজালেম অনলাইনে বাংলাদেশ বিরোধী যে মোসাদ ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে- তার মধ্যে কিন্তু স্পষ্ট করে বলা ছিলো- ইস্যুটা হবে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’

জেরুজালেম অনলাইনে বাংলাদেশ বিরোধী যে মোসাদ ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে- তার মধ্যে কিন্তু স্পষ্ট করে বলা ছিলো- ইস্যুটা হবে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’।
(http://goo.gl/1RytS4)
অর্থাৎ যারা বর্তমানে ‍সংখ্যালঘু নির্যাতন, সংখ্যালঘু নির্যাতন করে চিৎকার করবে, সহজেই তখন বুঝতে হবে মোসাদের সেই কার্যক্রমেই হাওয়া লাগাচ্ছে তারা এবং ফান্ড ফ্লো সেই মোসাদ থেকেই আসছে।
সাম্প্রতিক শ্যামল কান্তি ইস্যুতে কিন্তু বিষয়টি বেশ ভালোভাবে বোঝা গেছে যে মিডিয়া ও কানেধরা পার্টি বিষয়টি নিয়ে কাছাবেন্ধে মাঠে নেমেছিলো। এর পেছনে যে শিক্ষকের মান-মর্যাদা জড়িত ছিলো তা নয়, কারণ যদি শিক্ষকের মানার্যাদাই মূল হতো, তবে গত কয়েকদিনে শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনা বেশি কয়েকটি ঘটেছে, কিন্তু প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কানে ধরা পার্টি বোবা থেকেছে। এ থেকেই বোঝা যায়, এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িকাতার গন্ধ ছড়ানোর উদ্দেশ্যই ছিলো মূখ্য। যেখানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলে বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে তারা।
এই ঘটনা থেকে বোঝার বিষয়, প্রথম আলো, একাত্তর টিভি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়ার কাছে মোসাদ ফান্ড এসেছে, সেই ফান্ডের ভাগ পেয়েছে কানে ধরা পার্টি। শুধু তাই নয় সরকারের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিংবা তথ্যমন্ত্রীর আচরণও যথেষ্ট সন্দেহজনক, এরাও যে সরকার বিরোধী গ্রুপের সাথে হাত মেলায়নি, তাও কিন্তু বলা যায় না

আওয়ামী লীগ কার মন রক্ষা করবে- নিজ দলের নাকি হিন্দুদের ? হিন্দুরা হচ্ছে অনেকটা কৃষ্ণগহ্বরের মত, যত দিবেন ততই গিলে খাবে, কিন্তু কিছুতেই পেট ভরবে না। আওয়ামীলীগ কি দেয়নি হিন্দুদের ? চাকুরী-ক্ষমতা-মন্দির-জায়গা-জমি, কিন্তু তাও মন ভরলো না তাদের। এখন হিন্দুদের জন্য নিজ দলকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে আওয়ামীলীগকে।

আওয়ামী লীগ কার মন রক্ষা করবে- নিজ দলের নাকি হিন্দুদের ?
হিন্দুরা হচ্ছে অনেকটা কৃষ্ণগহ্বরের মত, যত দিবেন ততই গিলে খাবে, কিন্তু কিছুতেই পেট ভরবে না। আওয়ামীলীগ কি দেয়নি হিন্দুদের ? চাকুরী-ক্ষমতা-মন্দির-জায়গা-জমি, কিন্তু তাও মন ভরলো না তাদের। এখন হিন্দুদের জন্য নিজ দলকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে আওয়ামীলীগকে। যারা হিন্দুদের নমঃ নমঃ করতে পারবে তাদেরকেই রাখা হবে, আর বাকি সব বাদ।
- এই তো কিছুদিন আগে শেখ হাসিনার বেয়াই খন্দকার মোশাররফ সাহেবকে নাজেহাল করলো হিন্দুরা। পুরো ঘটনাই অপবাদ, তারপরও হিন্দু বলে দোষীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া গেলো না।
- কিংবদন্তী ক্রিকেটার রকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনলো একাত্তর টিভির এক হিন্দু সাংবাদিক। কিন্তু সেটার কোন বিচার হলো না, উল্টো বহিষ্কার করা হলো বঙ্গবন্ধু পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ রকিবুল হাসানকে।
- সামান্য এক হিন্দু এসআইকে চড় মারার জন্য নাজেহাল করা হলো উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে। আওয়ামী লীগ এবারও হিন্দুর পক্ষে উপমন্ত্রীর পক্ষে না।
- সম্প্রতি ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির বর্ধণের নামে মুসলমানদের জমিজমা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, যাদের জমিজমা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তাদের সবাই আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা।
-নারায়নগঞ্জের ওসমান ফ্যামিলি হচ্ছে সিল মারা আওয়ামীলীগার। সেলিম ওসমানের বাবা ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত এমপি, তার বাবা ১৯৭১ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে পতাকা লাগাতে গিযে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেলিম ওসমানের বড় ভাই নাসিম ওসমানের বিয়ের রাত ছিলো ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট। বঙ্গবন্ধু হত্যার খরব শুনে বাসর ঘর ফেলে রেখে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে যোগ দিয়েছিলেন কাদিরিয়া বাহিনীতে। নারায়গঞ্জে ব্যাপক জনপ্রিয় হচ্ছে এই ওসমান ফ্যামিলি। যেখানে অন্য এমপি-মন্ত্রীরা ৫-১০ লক্ষ টাকা ঘুষের জন্য মান ইজ্জত বিক্রি করে, সেখানে এমপি সেলিম ওসমান নিজ ফান্ড থেকে জেলার স্কুলের জন্য ১০-১২ কোটি টাকা অনুদান দেয়। এটা বলাবাহুল্য- নারায়নগঞ্জ জেলায় আওয়ামীগের আধিপত্যের কারণ আওয়ামীলীগ নয়, বরং ওসমান ফ্যামিলি। ওসমান ফ্যামিলি চলে গেলে আওয়ামীলীগের সেখানে সিট হারানো ছাড়া উপায় থাকবে না। ইসলাম নিয়ে কটূক্তির বিচার থেকে শুরুএখন পর্যন্ত ফিল্ডে শ্যামল কান্তির ফাসির দাবি চেয়ে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু নারায়নগঞ্জ ছাত্রলীগ। যার কারণে কানধরে উঠবসের সময় শোনা গেছে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান। কিন্তু এরপরও আওয়ামীলীগের ওসমান ফ্যামিলিকে দরকার হয় না, দরকার হয় হিন্দুদের। হিন্দুদের মাধায় চড়াতে গিয়ে অপমান করা হয় মুক্তিযোদ্ধা এমপি সেলিম ওসমানকে।
এভাবে করেই আওয়ামীলীগ হিন্দুদের মন ভরাতে গিয়ে আস্তে আস্তে দলের ত্যাগী লোকগুলোকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। ভাবখানা এমন, “আমার কাছের লোকের দরকার নেই, আমার হিন্দু হলেই চলবে।” কিন্তু ত্যাগ করেও আওয়ামীলীগ কিন্তু হিন্দুদের মন ভরাতে পারছে না। হিন্দুদের শুধু চাই চাই। প্রথমেই বলেছি হিন্দুরা হচ্ছে এক একটা কৃষ্ণ গহ্বর, যত দিবে ততই খাবে, কিছুতেই পেট ভরবে না তাদের। এখন উল্টো দেশবিদেশ আওয়ামীলীগকে সরাতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। অন্যদিকে হিন্দু তোষণে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দূরে ঠেলে আওয়ামীলীগের অবস্থা এখন যায় যায়। এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, একমাত্র হিন্দু তোষণের কারণেই আওয়ামলীগের পতন আসন্ন।
-----------------------------
আমার পেইজ - https://www.facebook.com/realnoyon2/
আমার ব্লগ - http://www.noyonchatterjee.com/
ফেসবুক পেইজ কোড - 280832412253205.



সংগৃহীত পোষ্ট: Nayon Chatterji 2

প্রসঙ্গ: কুটক্তিকারি, শ্যামলকান্তি ভক্ত। "-তোমরা? উলঙ্গ? অফিসরুমে? এসব কি? . -স্যার আপনারাও উলঙ্গ হউন।

"-তোমরা? উলঙ্গ? অফিসরুমে? এসব কি?
.
-স্যার আপনারাও উলঙ্গ হউন। গ্রাউন্ডের পতাকা দণ্ডের নিচে আসুন। সবাই উলঙ্গ হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে ফটো তুলবো! আসুন!
.
-শিক্ষক/শিক্ষিকাদের সাথে বেয়াদবী? এত্ত বড় স্পর্ধা! ফাজলামো করো!?
.
-না ম্যাডাম মোটেও ফাজলামো না,দ্রুত আসুন ঊলঙ্গ হই!! গতকাল কাঁন ধরে দাড়িয়ে থেকে বড্ড ক্লান্ত হয়ে গেছি!
আসুন!!
.
-উফস!! শীট!!!! হয়েছে কি বলবা তো? পাগলামীর তো লিমিট থাকা উচিত!?
.
-কোনো কারণ ছাড়াই, স্থানীয় সাংসদ ও ছাত্রলীগ মিলে গৌরীপুর কলেজের শিক্ষক ফরিদ আহম্মদকে উলঙ্গ করে ক্যাম্পাস ঘুরিয়েছিলো। বাদ যায়নি ঢাঃবিঃ শিক্ষক মাহবুবুল স্যার, ও ডঃ এমাজ-উদ্দিন স্যারও!! আমার এ-জাতির কাছে ঋণী থাকতে চাইনা স্যার!!
.
-মষ্কারা করো? পাকনামো করো? পুরাণা কাসুন্দি ঘাটো? ঘাটাঘাটি বাদ দাও!
.
-.....উ... আচ্ছা? তাইলে সবাই বাথরুম চলুন ম্যাডাম! বাথরুমে প্রতিবাদ জানাবো!!
.
-বেশী বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু!!
.
-এটা বাড়াবাড়ি হবে কেনো? মুন্সীগঞ্জে রিসোর্স সেন্টারে প্রভাবশালী প্রশিক্ষককের মাইর থেকে বাচঁতে বাথরুমে ঢুকেছিল কলেজ শিক্ষিকা সুফিয়া! ঘটনাটা গতকালরই!! ধর্ম কটাক্ষকারী শ্যামলভক্তর জন্য যদি কাঁন ধরতে বাধ্য করতে পারেন। তবে সুফিয়ার জন্যে বাথরুমে যাবেন না কেনো?
.
-মুখে, মুখে, তর্ক করো? প্যান্ট পরো বলছি! ক্লাসে যাও, নইলে কিন্তু!!
.
-ইয়ে স্যার খবরে দেখলাম। বগুরায় শ্রী কানু বোস নামে এক প্রশিক্ষক ৪০-শিক্ষক শিক্ষিকাকে কাঁন ধরিয়েছে।, তো আপনারাও কাঁন ধরুন, চলে যাই!!
.
-অসভ্য উলঙ্গ, নোংরা বেয়াদবের দল কোথাকার! তোমাদের জেলে পাঠাবো!!
.
-তবে তাই হোক স্যার! চলুন, বুয়েট শিক্ষক মোঃ হাফিজুর রহমান এখনো জেলেই আছে! যে জাতির বিবেকই উলঙ্গ, দ্বীমুখী সে জাতি থেকে দুরত্ব বজায় রেখে জেলে থাকাই ভালো!
-রায়হান খান
তারিখঃ ২৩/০৫/২০১৬ ইং
পোষ্ট করতে অনুরোধ করায়
মঈন উদ্দিন ভাইকে ধন্যবাদ

শনিবার, ২১ মে, ২০১৬

প্রতিবছর শবে বারাতে আমরা মসজিদে কিছু নতুন লোক দেখতে পাই যাদেরকে অন্য দিনগুলোতে মসজিদে দেখা যায়না, মাঝে মধ্যে জুম’আর নামাজে দেখা যায়।

প্রতিবছর শবে বারাতে আমরা মসজিদে কিছু নতুন লোক দেখতে পাই যাদেরকে অন্য দিনগুলোতে মসজিদে দেখা যায়না, মাঝে মধ্যে জুম’আর নামাজে দেখা যায়। এসব লোকদেরকে আমরা একটু ভিন্ন চোখে দেখে থাকি। কটু মন্তব্য করে থাকি।
এটা ঠিক নয়।
আমরা বরং কেন বিষয়টিকে এভাবে দেখছিনা?
• যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করেনা তারা শবে বারাত উপলক্ষ্যে মসজিদে আসলে তার চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আসতে পারে।
• এ পরিবর্তনের ফলে সে তার কৃতকর্মের উপর অনুতপ্ত হয়ে চোখের অশ্রু ফেলে তাওবা করতে পারে।
• ইসলামের পথে চলতে সে মিনতি কন্ঠে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতে পারে।
• এর ফলে এ রাতের পর থেকে হেদায়াত প্রাপ্ত হয়ে নিয়মিত নামাজ আদায় সহ দ্বীনের অন্যান্য হুকুম আহকাম পালন করতঃ আল্লাহর প্রিয় বান্দাহ হয়ে যাতে পারে।
• আমার নিজ চোখে এমন পরিবর্তন কিছু লোকের মধ্যে দেখেছি যারা আগে নামাজ আদায় করতনা। এমন পরিবর্তন আসায় এখন তারা নিয়মিত জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছে। কোন ওয়াক্ত মিস হলে পেরেশান হয়ে আফসোস করছে আর জানতে চাচ্ছে, তাকে এখন কী করতে হবে?
• হেদায়াতের মালিক আল্লাহ তা’আলা। কে কখন হেদায়াত প্রাপ্ত হবে- একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।
কিন্তু
• আমরা তাদেরকে ভৎসনা করছি কেন?
• কেন আমরা তাদের সমালোচনা করতঃ তাদের অনুপস্থিতিতে “সারা বছর নামাজ রোযার খবর নাই, আর শবে বারাত আসলে পাঞ্জাবী পাজামা পরে মসজিদের একদম প্রথম কাতারে”- এসব বলে গীবত করছি?
• এদের কি মসজিদে আসার অধিকার নেই?
• কেন আমরা ভাবছিনা, এমন সমালোচনা যদি তাদের নিকট পৌঁছে, তবে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হতে পারে। একটি ছোট্ট আগ্রহ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে?
• কেন আমরা বিষয়টিকে অপ্টিমিস্টিক ভিঊতে জাজ করছিনা? কেন আমরা ভাবছিনা, তাদের এই ‘আসা’কে তাদের জীবনের একটি টারনিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে?
এভাবে কাউকে ছোট করা ইসলাম সমর্থন করেনা। ইসলাম আমাদেরকে আশার বাণী শুনিয়েছে। নিরাশ হতে নিষেধ করেছে। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, লা—তাকনাতু—মির রাহমাতিল্লা-হ, অর্থাৎ আল্লাহর রহমত থেকে তোমরা নিরাশ হয়োনা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আদ দী-নু আন নাসীহাহ, দীন ইসলাম হলো উপদেশের ধর্ম।
তিনি আরো বলেছেন,
يسروا ولا تعسروا، وبشروا ولا تنفروا
সহজ, সরল পন্থা অবলম্বন করবে, কঠোরতা প্রদর্শন করবে না। সুসংবাদ দাও ( সুন্দর কথা ও সুন্দর ব্যবহারে মহব্বতের প্রসার করো), ঘৃণা (নফরত) ছড়িয়ো না।’ (বুখারি)

আল্লাহতায়ালা অতি দয়ালু ও মেহেরবান। তার দয়া ও রহমতের কোনো শেষ নেই। অনেক সময় বান্দার কোনো ছোট আমলেও আল্লাহতায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে যান।

আল্লাহতায়ালা অতি দয়ালু ও মেহেরবান। তার দয়া ও রহমতের কোনো শেষ নেই। অনেক সময় বান্দার কোনো ছোট আমলেও আল্লাহতায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে যান। তাই কোনো নেক আমল বাহ্যিকভাবে ছোট ও সহজ বলেই সে সম্পর্কে অবহেলা করা উচিত নয়।
আল্লাহ পাক বলেন- " অতঃপর কেউ অনু পরিমান সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অনু পরিমান অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে" সূরাতুল যিলযাল ৭,৮
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
১."কোনো সৎ কাজকেই কখনো তুচ্ছ জ্ঞান করবে না। যদিও তা হয় তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাত। -সহিহ মুসলিম
২. তোমার ঈমানকে খাটি কর অল্প আমলই নাযাতের জন্য যথেষ্ট হইবে(সহীহ বুখারী শরীফ)
তাহলে যারা শবে বরাত উপলক্ষে আমলকে বিদয়াত বলে থাকে তারা কি ঠিক বলে ??

গাজীপুর কাপাসিয়ার হাইস্কুলের হিন্দু ধর্মের শিক্ষক মনোজিত চন্দ্র সরকার ধর্ষণ করে তারই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ।

গাজীপুর কাপাসিয়ার হাইস্কুলের হিন্দু ধর্মের শিক্ষক মনোজিত চন্দ্র সরকার ধর্ষণ করে তারই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ।সে গাজিপুরের কাপাসিয়া বাজারস্হ হাই স্কুলের হিন্দু পাঠের শিক্ষক ।সে তার স্কুল পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে তার কোচিং সেন্টারে কৌশলে ডেকে এনে জোর পুর্বক বলৎকার করে।
এখন প্রশ্ন হলো উগ্রপন্হী শ্যামল্যার ইসলাম কটুক্তির সাজা স্বরূপ তার ভক্তকুল যেভাবে কানে ধরে সাজা নিচ্ছে,একই ধারাবাহিকতায় ধর্ষক মনোজিতের পাপের পাশ্চিত্য স্বরূপ তার ভক্তকুলেরা কানে ধরে সাজা নিবে কিনা?যেহেতু শ্যামল্যা আর মনোজিত একই গোয়ালের গরু।শ্যামল্যার ভক্তকুল যারা মনোজিতের ভক্তকুলও তারা। জাতি অধির আগ্রহে জানতে চায়।
উল্লেখ্য, নিম্নের নিউজ গুলি লক্ষ্য করূণঃ
‪#‎কালের‬ কন্ঠের রিপোর্টে ধর্ষকের হিন্দু নাম উল্লেখ করেনি।সুত্রঃ(http://goo.gl/SkJ5Ck) ।
‪#‎সময়ের‬ কন্ঠসরও তার হিন্দু নাম উল্লেখ করে নাই।সুত্রঃ(http://goo.gl/IZoz1m)।
‪#‎দৈনিক‬ নয়া দিগন্ত ধর্ষকের নাম মনোজিত চন্দ্র সরকার উল্লেখ করার ফলে ধর্ষকের পুরা পরিচয় খোলাসা হয়।সুত্রঃ(http://goo.gl/F4za72)।
এখন প্রশ্ন হলো ঐ দুই পত্রিকা ধর্ষকের জাত ও নাম উল্লেখ করে নাই কেন।এতে বুঝা যাচ্ছে পত্রিকা গুলো হিন্দু ও নাস্তিকদেরকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে ।পত্রিকাগুলোর রিপোর্টার হিন্দু, নাস্তিক অথবা ধর্ম নিরপেক্ষবাদের নামে মুর্খ মোনাফেক নামধারী মুসলিম।
আমরা জানি ইদানীং ধর্ষণ মাত্রাতিরীক্ত বেড়ে গেছে।বছর দুয়েকের মাঝে মাঝে কোনও কোনও বদমাইশ দ্বারা ধর্ষণের দুর্ঘটনা বর্তমান ল্যাংটা দুনিয়ার কারণে মাদ্রাসাতেও শুনতে পায় ।তখন পত্রিকাগুলো হুযুর হুযুর বলে তোলপাড় শুরু করে দেয়।অথচ এখানে দেখা যাচ্ছে হিন্দু ধর্মের শিক্ষকের নাম পর্যন্ত পরিচয় গোপন করে সংবাদ ছাপানো হয়েছে।
‪#‎সবাই‬ বিষয়টি জন সচেতনার্থে শেয়ার করূণ।হিন্দু ও নাস্তিক প্রেমী ইসলাম বিদ্বেষী সাংবাদিক ও পত্রিকা গুলোর মুখোশ খুলে দিন

আমার পুত্রবধূ ভারতে গেলে পূজা করে, বাংলাদেশে আসলে নামাজ পড়ে।আমি ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি: আওয়ামী এমপি দবিরুল

আমার পুত্রবধূ ভারতে গেলে পূজা করে, বাংলাদেশে আসলে নামাজ পড়ে।আমি ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি: আওয়ামী এমপি দবিরুল।

কেউ যদি মনে করে এই দবিরুল মুসলিম আছে।তাহলে সে চরম ভুল করল।ধর্ম নিরপেক্ষতা কি এই দবিরুল পরিস্কার ভাবে পালন করে বুঝিয়ে দিয়েছে।
হিন্দু মুশরিককে বিয়ে করা হারাম।মুর্তি পুজা শিরক।কিন্তু এই দবিরুল বিশ্বাস করে ধর্ম নিরপেক্ষতা।তাই সে হারাম ও শিরক পালন করে। অর্থাৎ সে একদিকে ভন্ড,অপরদিকে মুশরিকে পরিণত হয়েছে।এরাই নামধারী মুসলিম মুনাফেক।এরা মুসলিম জাতির উপকার কখনও করবে না।এরা মুসলিম জাতির জন্য ভয়ানক ছদ্মবেশী শত্রু।
এদের সুযোগেই মুনাফেক নাস্তিক ইহুদী মিডিয়া গড়ে উঠেছে।এদের কারণেই বেঈমান মিডিয়া মুসলিমদের বিরূদ্ধে লড়তেছে।তাই এদেরকে বয়কট করুন।এরকম ইসলাম বিদ্বেষী ধর্মনিরপেক্ষবাদি হিন্দু প্রীতি নেতা যতদিন ঠিকে থাকবে ততদিন ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থে আঘাত আসবে।
সুত্রঃ http://goo.gl/RHbfys
ভিডিও লিংকঃ
১)http://youtu.be/v_g2d3HkneE,
২)http://youtu.be/-itMUrTpAgA

তাবলীগের প্রধান আমিরের বিরুদ্ধে দু’শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। তাহলে সাধারণ লোক কাদের বিশ্বাস করবে!!

মুলপাতা » শিক্ষাঙ্গন » তাবলীগের প্রধান আমিরের বিরুদ্ধে দু’শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
মে ১৮, ২০১৪, ৯:৪৩ অপরাহ্ন
তাবলীগের প্রধান আমিরের বিরুদ্ধে দু’শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
রাবি প্রতিনিধি
তাবলীগ জামায়াতের আমীর মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম তাবলীগ ও কাকরাইল মসজিদ নির্মানের নামে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে দু’শত কোটি টাকা টাকা তুলে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম মুশফিকুর রহমান চৌধুরী সমর্থিত তাবলীগ জামায়াতের শিক্ষকেরা।
একই সাথে গত ১৫ই মে রাজশাহী মার্কাজ মসজিদে মুশফিকুর রহমান সমর্থিত তাবলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষক এবং কয়েকজন কর্মীকে ওয়াসিফুল সমর্থিত তাবলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। রোববার দুপুর ১টার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় জুবেরী ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকেরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রাবির ভাষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ওয়াসিকুল ইসলাম তাবলীগের শুরা (কার্য পরিষদ) সদস্য ও আমীর পরিচয় বহাল রেখেই চাঁদাবাজি ও রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহনের কারণে বিপুল সংখ্যক তাবলীগকর্মীদের সমর্থন পাচ্ছেন যা তাবলীগের মুলনীতির পরিপন্থি এবং সম্পূর্ণ তাবলীগ বিভ্রান্ত হচ্ছে। এতে যারা বাধা দিচ্ছেন তাদেরকে জেএমবির সদস্য বলে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হচ্ছে । রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে সম্পূর্ন তাবলীগ কর্মসূচীই লক্ষ্যহারা হয়ে একটি রাজনৈতিক দলে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
তিনি “মুরুব্বীদের জীবন থেকে” বইয়ের বরাত দিয়ে বলেন, ওয়াসিফুল ইসলাম ও কাকরাইল মসজিদের খতীব মাওলানা যোবায়ের তাদের অসাধু পরিকল্পনা কার্যকরি করার জন্য দেশব্যাপী নিজস্ব সন্ত্রাসী গ্রæপ ও নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। ঢাকার প্রায় প্রতিটি এলাকায় (১৫/২০) টি মসজিদের সমন্বয়ে একটি এলাকা) তার অনুগত লোক নিযুক্ত রয়েছেন। সামরিক বাহীনিরও (কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত) বেশ কিছু পদস্থ কর্মকর্তা এই নেটয়ার্কে আছেন।
বইটি আরো বলা হয়েছে, মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল দেশ-বিদেশ থেকে তাবলীগ ও কাকরাইল মসজিদ নির্মানের নামে প্রচুর টাকা তুলেছেন এবং তার সিংহভাগই আত্নসাৎ করতেছে। তিনি বিদেশ থেকে নিজে টাকা সংগ্রহ করেছেন এবং সহায়তা করেছেন তার ছেলে ওসামা ইসলাম। আত্নসাতের বিরুদ্ধে গত ৬ই মে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য তলব করলে মাওলানা যুবায়ের দেশের বাইরে পালিয়ে যান এবং মাওলানা ওয়াসিকুল ইসলাম সে দিনই দেশ ত্যাগ করেন।
গত ১৫ই মে নগরীর মার্কায মসজিদে ওয়াসিফুুল ইসলামের বিরুদ্ধে “মুরুব্বীদের জীবন থেকে” নামক বই বিতরণ করতে গেলে ওই মসজিদের অবস্থানরত তাবলীগকর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে মারধর করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল হাজবেন্ড্রী এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ও আরবি বিভাগের শিক্ষক আল আমিনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম মুশফিকুর রহমান, আরবি বিভাগের ড. জিয়াঊর রহমান খান, ফার্মেসী বিভাগের ড. নূর আলম খান, ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারী রেজিস্টার হারুন অর রশিদ, মামুনুর রশিদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ পেজ২৪/সালাউদ্দিন/এইচএ

পবিত্র বরাত উনার রাতের ইবাদত-বন্দেগী করার উত্তম তারতীব।

পবিত্র বরাত উনার রাতের ইবাদত-বন্দেগী করার উত্তম তারতীব প্রসঙ্গে
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
পবিত্র বরাত উনার রাতে জাগ্রত থেকে বিভিন্ন প্রকারের ইবাদত-বন্দেগী করার ব্যাপারে অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে উৎসাহ ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পবিত্র লাইলাতুল বরাত-এ ইবাদত-বন্দেগীর ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “এই রাতের দু’ রাকায়াত নামায বনী ইসরাইলের জনৈক বুযূর্গের চারশত বৎসরের ইবাদতের চেয়েও অধিক ফযীলতপূর্ণ এবং এ রাতের ইবাদত-বন্দেগী বিশটি কবুল হজ্জের ছওযাব, বিশ বছর রোযার ছওয়াব সমতুল্য। তবে এ রাতে কত রাকায়াত নামায পড়তে হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলেও মূল মূল ও খাছ খাছ ইবাদতের মাধ্যমে এ রাত জাগরণ করলে সমস্ত ইবাদতেরই ছওয়াব পাওয়া যায়। যা নিম্নে বর্ণনা করা হলো- প্রথমে জামায়াতের সহিত ইশার নামায পড়ে নিতে হবে। অতঃপর সুন্নত নামাযের পর পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ। (যেহেতু পবিত্র মীলাদ শরীফ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পাঠ করে থাকেন। যা নাজাত ও শাফায়াত লাভের উত্তম মাধ্যম। কাজেই এর গুরুত্ব সর্বাধিক। অতঃপর দোয়া করতে হবে। অতঃপর পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনার নামায: লাইলাতুল বরাত উপলক্ষে কত রাকায়াত নামায পড়তে হবে এ ব্যাপারে যদিও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই। তবে পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনার ৪, ৬, ৮, ১০, ১২ রাকায়াত নফল নামায পড়া যেতে পারে। অতঃপর ছলাতুছ তাসবীহ নামায পড়বেন: ছলাতুছ তাসবীহ-এর নামায পড়বেন, যার দ্বারা মানুষের সমস্ত গুনাহখতা ক্ষমা হয়। এর নিয়ম জানার জন্য আল বাইয়্যিনাত-এর ৯৯তম সংখ্যার সুওয়াল-জওয়াব দেখুন। অতঃপর যিকির-আযকার করবেন: যার দ্বারা দিল ইছলাহ ও ইতমিনান হয়। অতঃপর কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবেন: এ রাতে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবেন, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। কেননা নফল ইবাদতের মধ্যে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত হচ্ছে আফজল। অতঃপর সম্ভব হলে কবর যিয়ারত করবেন: যার দ্বারা সুন্নত আদায় হয়। কেননা শবে বরাত-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই জান্নাতুল বাক্বীতে গিয়ে কবর যিয়ারত করেছেন ও দোয়া করেছেন। তবে কবর বা মাযার শরীফ যিয়ারত করতে গিয়ে সারা রাত্র ব্যয় করে দেয়া জায়িয হবে না। সম্ভব হলে সুন্নতের আদায়ের লক্ষ্যে নিকটবর্তী কোনো কবরস্থান যিয়ারত করে চলে আসবে। অতঃপর তাহাজ্জুদ নামায পড়বেন: তাহাজ্জুদের নামায পড়বেন, যা দ্বারা আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য হাছিল হয়। অতঃপর মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন: পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও পবিত্র দুরূদ শরীফ উম্মতে হাবীবীর জন্য সবচেয়ে বড় ইবাদত ও নাযাতের মূল কারণ। যারা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। দোয়া-ইস্তিগফার করবেন: মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দু’হাত তুলে মনের চাহিদানুযায়ী দোয়া করবেন, যার কারণে আল্লাহ পাক খুশি হবেন ও উনার নিয়ামত লাভ হবে। আর সর্বশেষ খালিছ ইস্তিগফার ও তওবা করবেন, যার মাধ্যমে বান্দার সমস্ত গুনাহখতা মাফ হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। অর্থাৎ পবিত্র পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনার বারাকাত, ফুয়ুজাত, নিয়ামত, রহমত, মাগফিরাত ইত্যাদি হাছিল করা যায়। দান-ছদকা ও গরিব-মিসকীনদের খাওয়ানো: গরিব-মিসকীনকে দান-ছদকা করবেন ও লোকজনদের খাদ্য খাওয়াবেন, যার দ্বারা ‘হাবীবুল্লাহ’ হওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, পবিত্র লাইলাতুল বরাত উপলক্ষে যদি কেউ গরিব-মিসকীন বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে খাওয়াতে চাই তবে এ ক্ষেত্রে হালুয়া-রুটি কিংবা গোশত-রুটি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলে তা হবে খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই এ সুন্নতের খেয়ালে যদি কেউ তার নিজের ইবাদত-বন্দেগী ঠিক রেখে গরিব-মিসকীন ও অন্যান্যদের জন্য যারা রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী করবে ও দিনে রোযা রাখবে তাদের ইবাদত-বন্দেগী ও রোযা পালনের সুবিধার্থে হালুয়া-রুটি, গোশত-রুটি, গোশত-পোলাও, কোর্মা-পোলাও, মোরগ-পোলাও, তেহারী, গোশত-খিচুরী ইত্যাদি আমাদের দেশে প্রচলিত খাদ্যসমূহের কোনো প্রকারের খাদ্যের ব্যবস্থা করে তা অবশ্যই খাছ সুন্নত আদায়ের সাথে সাথেই অশেষ বারাকাত, ফুয়ুযাত, নিয়ামত, ফযীলত ও নাজাতের কারণ হবে। উল্লেখ্য যে, অনেক স্থান দেখা যায় যে, তারা ছুবহে সাদিকের পর আখিরী মুনাজাত করে থাকে। মূলত, মুনাজাত যে কোনো সময়েই করা যায়। তবে বরাত-উনার রাত্রে দোয়া কবুল করার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা ছুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্তই। এরপর বরাত উনার রাত্র অবশিষ্ট থাকে না। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টই বলা হয়েছে যে, “ফযর বা ছুবহে সাদিক পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদের বিভিন্ন দোয়া কবুল করেন।” অতএব, সকলের উচিত মূল বা আখিরী মুনাজাত ছুবহে সাদিকের পূর্বেই করা। অতঃপর ছুবহে ছাদিকের পূর্বে পরের দিনের রোযার জন্য সাহরী খেয়ে নিবে। কারণ এই রোযার গুরুত্ব ও তাৎপর্য এত অধিক যে, জিন-ইনসান তো বটেই এমনকী পশু-পাখি, গর্তের পিপিলিকা, সমুদ্রের মাছেরাও এ পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনার রোযা রেখে থাকে। কাজেই আমাদের সকলেরই উচিত এ পবিত্র রাত্রটি যথাযথভাবে পালন করে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ রেযামন্দি ও সন্তুষ্টি হাছিল করা। আমীন

গনমাধ্যমের বিতর্কিত ভূমিকায় দায় কার ???

গনমাধ্যমের বিতর্কিত ভূমিকায় দায় কার ???
সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ জেলায় এক হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক ইসলাম অবমাননা এবং পরবর্তীতে ঐ শিক্ষকের কান ধরে উঠবসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারাত্মক ধরনের বিতর্কিত ভূমিকা প্রদর্শন করেছে গণমাধ্যম। এ বিষয় নিয়ে একের পর এক মিথ্যা প্রপাগান্ডা ও জোচ্চুরিতে ভরপুর সংবাদ প্রচার করেছে সংবাদমাধ্যম। ঘটনা ঘটছে একরকম কিন্তু তারা প্রচার করেছে অন্যরকম, মূল ঘটনাকে প্রবাহিত করতে চাইছে ভিন্নখাতে। স্কুলের ছাত্ররা বলছে- ঐ শিক্ষক কটূক্তি করেছে, কিন্তু কাটছাট করে প্রকাশ করা ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে সে কটূক্তি করেনি। রিফাত ও রিফাতের মা উভয়েই অভিযোগ করেছেন- একাত্তর টিভি তাদের হুমকি দিয়ে খবর সংগ্রহ করেছে।
বাস্তবে দেখা যাচ্ছে পাবলিক সেন্টিমেন্ট শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে কাজ করছে। বিবিসি-প্রথম আলোর ফেসবুক পেইজে শিক্ষক ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত খবরের নিচে ৫০০ কমেন্ট পড়লে ৫০০টি শ্যামল কান্তির বিপক্ষে, সেলিম ওসমানের পক্ষে যাচ্ছে, অথচ খবরে প্রকাশ হচ্ছে উল্টো, দাবি করা হচ্ছে- জনগণ নাকি সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে, শ্যামল কান্তির পক্ষে।
বিষয়গুলোকে যদি আপনারা ছোট ভাবেন, তবে ভুল করবেন। এ ধরনের ছোট ছোট ঘটনা থেকেই বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে। আসলে তথ্যমন্ত্রী হিসেবে মিডিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব ছিলো হাসানুল হক ইুন’র। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মিডিয়ার এত বড় বড় বিতর্কিত কার্যক্রমের পর হাসানুল হক ইনু চুপ মেরে আছে যা সত্যিই সন্দেহজনক। ইনু নিজেও একজন বামপন্থী, সম্প্রতি মিডিয়াতে উগ্র বামপন্থী নাস্তিকদের দৌরাত্বের পেছনে যে সে দায়ী নয় তাও কিন্তু বলা যায় না। তবে যদি ইনু অস্বীকার করে বলে-“মিডিয়া আমার কথা শুনছে না, আমি মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করতে পারছি না”। তবুও বলতে হয়- যে মন্ত্রী তার ডিপার্টমেন্ট নিয়ন্ত্র্ণ করতে পারে না, অধিনস্তদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তার অযোগ্যতাস্বরূপ ঐ পদ থেকেই পদত্যাগ করা উচিত।
আওয়ামী সরকারের মনে রাখা উচিত, হাসানুল হক ইনু জাসদের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নেতা। বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর এই ইনুই কিন্তু আনন্দ মিছিল বের করেছিলো। বেঈমান কখনই ভালো হয় না, ঠিক তেমনি ইনু-ও ভালো হবার নয়য়। দেখা যাবে এই ইনুর ইন্ধনেই মিডিয়া পাবলিক সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকারকে এমন কাজে বাধ্য করছে যে- পাবলিক সরকারের উপর ক্ষেপে যাবে। এতে সরকার পতন তো অবশ্যই দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই আমার মনে হয়- হাসানুল হক ইনুকে যত তাড়াতাড়ি তার পদ থেকে অপসারণ করা যায়, আওয়ামী সরকারের জন্য তা ততই উত্তম.

প্রসঙ্গ : পবিত্র শবে বরাত ও সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম আউওয়াল, ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম । তিনি এই দিন পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন

মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ’ উনার ৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতবাসীকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’
আগামী কাল দিবাগত রাত ইয়াওমুল ইসনাইনিল আজীম (পবিত্র সোমবার শরীফ) ঐতিহাসিক সুমহান বরকতময় পবিত্র ১৫ শা’বান শরীফ।
আগামী কাল দিবাগত রাত শবে বরাত এটা সবাই জানেন। কিন্তু আরেকটি বিশেষ দিন রয়েছে ------------>
সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম
আউওয়াল, ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ।
তিনি এই দিন পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম আউওয়াল, হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরাইশ বংশের হাশেমী শাখায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
হিজরী ৩য় সনের পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ১৫ তারিখ ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ বা বুধবার তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
**
আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন: যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে তাশরীফ আনেন এবং ইরশাদ মুবারক করেন: আমার সন্তান উনাকে আমায় দেখান, উনার কী নাম মুবারক রেখেছেন?
আমি বললাম: আমি উনার নাম মুবারক রেখেছি- ‘হারব’ (যুদ্ধ)। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন: বরং তিনি ইমাম ‘হাসান’ আলাইহিস সালাম। অর্থাৎ উনার নাম মুবারক হযরত হাসান আলাইহিস সালাম। উনার জিসিম মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সর্বাপেক্ষা বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল।
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম আউওয়াল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অপেক্ষা অপর কেউ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন না। সুবহানাল্লাহ!
**
মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণে ৪৯ হিজরী সনের ২৮শে ছফর শরীফ প্রায় ৪৬ বৎসর দুনিয়াবী বয়স মুবারক-এ তিনি পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন বা পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত।
সুবহানাল্লাহ!
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজকে অনেক মুসলিম এই দিবস এবং উনাদের শান-মান সম্পর্কে অবগত নয়। কিন্তু তারা উইলিয়াম সেক্সপিয়ার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আইনস্টাইন থেকে শুরু করে বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগারকে পর্যন্ত চিনে। কিন্তু যে সম্মানিত সত্ত্বা মোবারক ,যিনারা চাইলে মুহুর্তের মাঝে জাহান্নাম থেকে জান্নাতে নিয়ে যাবার সুপারিশ করতে পারবেন, উনাদের ব্যাপারে উদাসীন, অজ্ঞ, গাফিল ।
মহান আল্লাহ পাক সবাইকে হেদায়েত এবং সমস্ত মুসলমানদের হেফাজত করুন।
আমিন

শিক্ষামন্ত্রীও যখন নাস্তিক, তবে!

১. শিক্ষামন্ত্রী নাহিদঃ যে একজন প্রতিষ্ঠিত নাস্তিক।যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছে। পুরো সিলেবাসকে সে বানিয়েছে হিন্দুত্ববাদ আর নাস্তিক্যবাদ দিয়ে। যা পড়ে একজন মুসলমান সন্তান অজান্তেই নাস্তিক হয়ে বড় হবে।শিক্ষানীতির নামে সিলেবাস থেকে ইসলাম এর নাম নিশানা মুছে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র করছে এই নাস্তিক মন্ত্রী।
নারায়নগঞ্জের ঘটনায় এই নাস্তিক মন্ত্রী হিন্দু শিক্ষকের ইসলামকে কটুক্তি করায় শাস্থি না দিয়ে উলটো তাকে পুরষ্কৃত করেছে এবং কমিটি বাতিল করেছে।
২. তথ্যমন্ত্রী ইনুঃ বিভিন্ন টেলিভিশ যেমন ৭১ টিভি , চ্যানেল আই, বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় যেমন প্রথম আলো,ডেইলী ষ্টার, বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা যেমন বিডিনিউজ২৪ ইত্যাদীতে ইসলামবিদ্বেষীতা প্রচার করা হয় এবং নাস্তিকদের প্রমোট করা । কিন্তু ইনু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুসলমান হিন্দু-বোদ্ধ কতৃক নির্যাতিত হলেও এসকল পত্রিকায় আসেনা কিন্তু কাফির-মুশরিকদের পান থেকে চুন খশলেই মিডিয়ায় হায় হায় শোর উঠে।
নারায়নগঞ্জে হিন্দু শিক্ষক কতৃক ইসলাম অবমাননা হবার পরেও মিডিয়ায় তা না এসে,আসে হিন্দু শিক্ষকের কান ধরে উঠা বসা। সত্যকে আড়াল করে মিডিয়া চালায় মিথ্যা প্রপাগান্ডা।যার মুলে কাজ করেছে এই নাস্তিক তথ্যমন্ত্রী। মিডিয়ায় এত মিথ্যাচার হবার পরেও এই নাস্তিক কোণ ব্যবস্থা নেয়নি।

মুসলিম এই দেশে থেকে, মুসলমানের টাকায় খেয়ে পরে যারা মুসলমানের বিরুদ্ধাচারন করে তাদের এই বাংলার জমীনে থাকার অধিকার আছে কি ??

মুসলিম এই দেশে যারাই ইসলাম এর বিরুদ্ধে কটুক্তি করবে তাদের প্রকাশ্যে শুধু কানে ধরা নয়, প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।

মুসলিম এই দেশে যারাই ইসলাম এর বিরুদ্ধে কটুক্তি করবে তাদের প্রকাশ্যে শুধু কানে ধরা নয়, প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।

♻️কথিত অচিন বাবার চিন পাওয়া গেছে..

♻️কথিত অচিন বাবার চিন পাওয়া গেছে..
...........
নন্দীর হাটে গর্জে উঠা কথিত মাজারের পরিচয় মিলেছে..
বিস্যজিত বডুয়া হলেন অচিন বাবা ..
উনার বউ জ্যাকসন heights এ কাপড় এর দোকানে কাজ করেন, americar বিভিন্ন বৌদ্ব ধর্মীয় অনুষ্টানে তিনি অংশ গ্রহণ করতেন, নিজেকে বৌদ্ব এবং ভান্ডারী পরিচয় দিতেন ..
মরার পর বৌদ্ব ধর্মীয় রীতিতে অন্ততদৃষ্টি ( জানাজা) হয়.. পরবর্তিতে লাশ বাংলাদেশ এ ফেরন করা হয়...
সিটি মেয়র এর উপস্তিতে তার জানাজা হয় জানাজা শেষে লাশ নন্দীর হাটে মুসলিম রীতিতে দাফন করা হয়...
কোটি টাকার প্রশ্ন ?
তিনি কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন 

মাজারে ভন্ডামি, বিধর্মিদের সৃষ্টি।

♻️কথিত অচিন বাবার চিন পাওয়া গেছে..
...........
নন্দীর হাটে গর্জে উঠা কথিত মাজারের পরিচয় মিলেছে..
বিস্যজিত বডুয়া হলেন অচিন বাবা ..
উনার বউ জ্যাকসন heights এ কাপড় এর দোকানে কাজ করেন, americar বিভিন্ন বৌদ্ব ধর্মীয় অনুষ্টানে তিনি অংশ গ্রহণ করতেন, নিজেকে বৌদ্ব এবং ভান্ডারী পরিচয় দিতেন ..
মরার পর বৌদ্ব ধর্মীয় রীতিতে অন্ততদৃষ্টি ( জানাজা) হয়.. পরবর্তিতে লাশ বাংলাদেশ এ ফেরন করা হয়...
সিটি মেয়র এর উপস্তিতে তার জানাজা হয় জানাজা শেষে লাশ নন্দীর হাটে মুসলিম রীতিতে দাফন করা হয়...
কোটি টাকার প্রশ্ন ?
তিনি কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন ??

অর্ধ শা’বান তথা শবে বরাত সম্পর্কে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদীছ শরীফ

অর্ধ শা’বান তথা শবে বরাত সম্পর্কে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেছেন তা সর্বজনমান্য ও বিশ্বখ্যাত হাদীছগ্রন্থে রয়েছে কিতাবের নামসহ তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো
বিশ্ববিখ্যাত হাদীছগ্রন্থ “মিশকাত শরীফ”-এর ১১৪ পৃষ্ঠায় বাবু ক্বিয়ামি শাহ্রি রমাদ্বান-এ উল্লেখ আছে-
عن ام المؤمنين حضرت عائشة عليها السلام قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فاذا هو بالبقيع فقال اكنت تخافين ان يحيف الله عليك ورسوله قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى ظننت انك اتيت بعض نسائك فقال ان الله تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب. رواه الترمذى وابن ماجه.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা রাত্রিতে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অতঃপর তালাশ করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জান্নাতুল বাক্বী নামক স্থানে দেখতে পেলাম। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনি কি মনে করেন যে, আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার খিয়ানত করছেন? জবাবে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি মনে করেছিলাম যে, হয়তোবা আপনি আপনার অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন উনাদের হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর তখন উনাকে লক্ষ্য করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক অর্ধ শাবান তথা শবে বরাতে দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ হন (অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন) এবং ক্বালব গোত্রের মেষপালের পশম পরিমাণের চেয়েও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন। (আজ সেই রাত।)” (তিরমিযী শরীফ ৩/১১৫ : হাদীস ৭৩৯, ইবনে মাজাহ ১/১৪৪: হাদীস ১৩৮৯ , মুসনাদে আহমদ ১৮/১১৪ : হাদীস ২৫৮৯৬, ইবনে আবী শায়বা : হাদীস ৯৯০৭, মিশকাতুল মাছাবিহ ২/২৫৩: হাদীস ১২৯৯, ববিনে হিব্বান : হাদীস ৬২৬, জামেউছ ছগীল লিছ সূয়ুতী ১/১৪৬: ১৯৪২, কানযুল উম্মাল ৩/৪৬৪ : হাদীস ৭৪৫০, জামিউল আহাদিস : হাদীস ২৬২৪ , শরহুস সুন্নাহ ৪/১২৬ : হাদীস ৯৯২, ফাযায়েলুল ওয়াক্ত ১/১৩০: হাদীস ২৮, মুন্তাখাব মিনাল মুসনাদ ১/১৯৪, আত তাগরীব ওয়াত তারহীব ৪/১২৬ : ২৪, )
এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এর অন্যতম বিশুদ্ধ হাদীছ গ্রন্থ সিয়া সিত্তার অন্যতম কিতাব “ইবনে মাজাহ শরীফ”-এর মধ্যে অর্ধ শা’বানের তথা শবে বরাত সম্পর্কে একটি বাবও আনা হয়েছে। যেমন, “ইবনে মাজাহ শরীফ”-এর ১০০ পৃষ্ঠায়
باب ماجاء فى ليلة النصف من شعبان
এখন কথা হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান বা শবে বরাতের যদি অস্তিত্বই না থাকতো তবে ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র একটি অধ্যায় রচনা করলেন কেন ? এবং সে বাবে এই হাদীস শরীফ বর্ণনা করলেন কেন? হাফিজে হাদীস ইমমি ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কি সালাফীদের চাইতে হাদীস কম বুঝতেন ? নাউযুবিল্লাহ।
শুধু তাই নয় উক্ত হাদীস শরীফ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ইমাম হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
“উক্ত হাদীস শরীফটি সনদের দিক থেকে হাসান।” (দলীলঃ জামেউছ সগীর ১/১৪৬)
বিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত সিদ্দীকা আলাইহিস সালাম বর্ণিত উক্ত হাদীস শরীফটি হাসান। এবং সকল রাবী বিশ্বস্ত। যদিও সনদে ইনকেতা পাওয়া যায় তথাপিও একাধিক সনদে বর্ণিত থাকায় সহীহ লি গইরিহীর মর্যাদা পেয়েছে।
এখানে সালাফীরা একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে ফিৎনা ছড়ানোর চেষ্টা করে, সেটা হচ্ছে উক্ত হাদীস শরীফের সনদে ইমমি বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন উক্ত হাদীস শরীফের ইয়াহিয়া ইবনে আবি কাছীর হযরত উরউয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হাদীস শরীফ শ্রবন করেন নাই। কিন্তু ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ জরাহ ও তাদীলের ইমাম হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমান করেছেন ইয়াহিয়া ইবনে আবি কাছীর হযরত উরউয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হাদীস শরীফ শ্রবন করেছেন। (তিরমিীযি ৩/১১৫)
এখানেই শেষ নয়, উক্ত হাদীস শরীফ খানা জগৎ বিখ্যাত অসংখ্য ইমমি বর্ণনা করেছেন। তাদের মধ্যে আছেন হাম্বলী মযাহবারে ইমাম ও মুস্তাহিদ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, বিশিষ্ঠ ইমাম ইবনে আবী শায়বা রহমতুল্লাহি আলাইহি যার সনদে ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা অসংখ্য হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও সিয়া সিত্তার অন্যতম দুই ইমাম হযরত তিরমীযি রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারাও বর্ণনা করেছেন। এছাড়া পৃথিবী বিখ্যাত প্রায় ত্রিশ জন মুহাদ্দিস উক্ত হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছেন এবং কেউ কোন আপত্তি করেননি। তবে লা’মাযহাবীরা কেন আজ উক্ত হাদীস শরীফের বিরোধীতা করে ?
সূতরাং উক্ত সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা লাইলাতুন নিছফী মিন শাবান বা শবে বরাত স্পষ্ট ভাবেই প্রমানিত হলো

প্রসঙ্গ না'গঞ্জের ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করা, শ্যামল কান্তি "প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা হুমকির অভিযোগে এনে বুয়েট শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানাকে ৭-বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিলো।, তখন শিক্ষকের অপমান হয়নি!,

"প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা হুমকির অভিযোগে এনে বুয়েট শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানাকে ৭-বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিলো।, তখন শিক্ষকের অপমান হয়নি!, রানাকে অনুসরণ করে কেউ জেলেও যায়নি, তখন শুধুই রানার সাজা হয়েছে, বাংলাদেশের না!!
.
"কারণ? মোঃ হাফিজুর রহমান রানার নামের আগে শ্রী, শ্রী, নাই!!
.
"কোনো কারণ ছাড়াই, স্থানীয় সাংসদ, ও ছাত্রলীগ মিলে ময়মনসিংহ গৌরীপুর কলেজ শিক্ষক মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে শুধু অপমানই করেনি।বয়োবৃদ্ধ এই শিক্ষককে উলঙ্গ করে ছেলে/মেয়ের বয়সী ছাত্র-ছাত্রীর সামনে ক্যাম্পাসে ঘুরিয়েছিলো।!
.
"নাহ.. তখন শুধুই কলেজ শিক্ষক, ফরিদ আহম্মদকে উলঙ্গ করানো হয়েছিলো। বাংলাদেশকে না!!, ফরিদ উদ্দিন আহম্মদের মতো উলঙ্গ হয়ে শাহবাগে কেউ মাঠাও ফালায়নি!!/
.
"কারণ? ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের নামের পরে দত্ত/ভক্ত নাই!!/
.
"ঢাবিতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভোট দিতে যেয়ে স্ত্রী-সন্তান ছাত্রলীগের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলো ঢাবিঃর সাবেক প্রফেসর, এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক,ডঃ এমাজউদ্দিন আহম্মেদ!!
.
-তখনো শুধু ডঃ এমাজউদ্দিন আহম্মেদ লাঞ্ছিত করা হয়েছিলো। বাংলাদেশকে না, তখনো কাউকে ডঃ এমাজউদ্দিন আহম্মেদের হয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি!!!
.
"কারণ? ডঃ এমাজউদ্দিন আহম্মেদের নামের আগে শ্রী, কিংবা শেষাংশে পাল/ ঘোষ, কান্তী নাই!!/
.
যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুব উল্যাহ স্যারের উপর হামলা করে আহত করা হয়েছিল, জামা ছিড়ে ফেলা হয়েছিলো তখনো কেউ বলেনি বাংলাদেশ ছিঁড়ে গেছে।
.
কারণ? উনার নামের আগে পরেও চন্দ্র / ভট্টাচার্য। নাই!!/
.
.
"পরিমল বাবুরাও ধর্ষণের সেঞ্চুরি করলে, শুধু কিছু ছাত্রীই ধর্ষিত হয়, বঙ্গদেশ ধর্ষিত হয় না!!/
.
-কারণ? নামের আগে শ্রী আছে, শেষে দাস আছে!!,
.
"শুধু আল্লাহ, ও, নবী রাসুল অালাইহিমুস সালাম কে কটাক্ষকারী স্কুল শিক্ষক শ্রী শ্যামল কান্তি ভক্তরা কান ধরে মুচলেকা দিলে, অপমানীত হয় বাংলাদেশ, কানে ধরে পুরো বাংলাদেশ!!,
.
-আসলেই, শ্রী, দাস, পাল, ভক্ত, কান্তি,এরাই শিক্ষক, এরাই বাংলাদেশ!, এরাই জাতি!!
.
"আর বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর, ঢাঃবি প্রফেসর এমাজ উদ্দিন, কলেজ শিক্ষক, ফরিদ আহম্মদর মাহবুবুল স্যাররা ধইঞ্চা...
(সংগৃহীত
শবে বরাত বা লাইলাতুন নিছফী মিন শাবান এর বিরোধীতা করতে গিয়ে আহলে হদস বা লা’মাযহাবীরা যে হাদীস শরীফের বিরোধীতা করে সেটা নিয়ে আজ আলোকপাত করবো। অকাট্য দলীল দ্বারা শবে বরাতের ফযীলত উপস্থাপিত হবে ইনশা আল্লাহ।
“মিশকাত শরীফ”-এর ১১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
عن حضرت على رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا يومها فان الله تعالى ينزل فيها لغروب الشمس الى السماء الدنيا فيقول الا من مستغفر فاغفرله الا من مسترزق فارزقه الا مبتلى فاعافيه الا كذا الا كذا حتى يطلع الفجر. رواه ابن ماجه.
অর্থ: “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যখন অর্ধ শা’বান তথা শবে বরাতের আগমন ঘটে তখন ওই রাতে তোমরা ইবাদত-বন্দেগী করে জাগ্রত থাকবে এবং দিবাভাগে রোযা রাখবে। কেননা, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক ওই শবে বরাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথেই নিকটবর্তী আকাশে নাযিল হন এবং বলতে থাকেন, কোন ক্ষমাপ্রার্থনাকারী আছ কি? যাকে আমি ক্ষমা করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছ কি? যাকে আমি অপরিমিত রিযিক দিয়ে দিব এবং কোন বিপদে বিপন্ন ব্যক্তি আছ কি? যাকে আমি বিপদ থেকে মুক্ত করে দিব। সাবধান! সাবধান! এভাবেই মহান আল্লাহ পাক ফজর পর্যন্ত ডাকতে থাকেন।” (দলীলঃ ইবনে মাজাহ ১/১৪৪: হাদীস ১৩৮৮, ইবনে হিব্বান: হাদীস ১৩৮৮, বায়হাকী শুয়াবুল ঈমনি ৫/৪৫৪: হাদীস ৩৮২২, মিশকাতুল মাসাবীহ ২/২৪৫ : হাদীস ১২৩৩, দায়লামী শরীফ ১/২৫৯: হাদীস ১০০৭, তারগীভ ওয়াত তারহীব ২/৭৫: হাদীস ১৫৫, বায়হাক্বী – ফযায়েলে ওয়াক্ত ১/১২২ : হাদীস ২৪, জামেউস সগীল লি সুয়ুতী : হাদীষ ১৬৬৫, মিসবাহুল জুজাহ : হাদীস ৪৯১, কানযুল উম্মাল ১২/৩১৪ : ৩৫১৭৭, উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী ১১/৮২, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়াহ ৩/৩০০, মিরকাত ৩য় খ-, ১৯৫-১৯৬, মিরয়াতুল মানাজিহ ৩য় খ- ২৯৩-২৯৪-২৯৫, লুময়াত, আশয়াতুল লুময়াত ৪/২১২)
উক্ত হাদীস শরীফের রাবীগন হচ্ছেন:
১) খলীফাতুল মুসলিমিন হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু- জলীল ক্বদর সাহাবী।
২) হযরত মুয়াবিয়া বিন আব্দুল্লাহ বিন জাফর রহমতুল্লাহি আলাইহি- ইবনে হাজর আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহ বলেন, তিনি বিশ্বস্ত রাবীদের অর্ন্তভুক্ত ছিলেন, এবং নির্ভরযোগ্য ছিলেন। (তাহযীবুত তাহযীব ২/১৯৬)
৩) হযরত ইব্রাহিম বিন মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি: তিনি নির্ভরযোগ্য ছিলেন। (মিযানুল এতেদাল)
৪) হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি- ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দ্বয়ীফ বলেছেন। ইমাম নাসায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মাতরুক বলেছেন। কিন্তু ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বড় ফক্বীহ ও ইরাকের কাজী বলে উল্লেখ করেছেন। (মিযানুল এতেদাল ৪/৫০৩) সিয়া সিত্তার অন্যতম ইমাম হযরত আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তিনি মদীনা শরীফের মুফতী ছিলেন। (তাহযীবুত যাহযীব ১২/২৭, মিযানুল এতেদাল ৪/৪৬১)
৫) আব্দুর রাজ্জাক ইবনু হাম্মাম ইবনে নাফে রহমতুল্লাহি আলাইহি- ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে হাদীস শরীফের বড় নির্ভরযোগ্য রাবী বলেছেন। (তাজকিরাতুল হুফফাজ ১/৩৬৪)
৬) হযরত হাসান বিল আলী আল খালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি- হযরত খতীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য এবং হাফিজে হাদীস ছিলেন। (তারীখে বাগদাদ ৭/৪২৫) হযরত ইবনে হাজর আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য এবং হাফিজে হাদীস ছিলেন। (তাহজীবুত তাহজীব ২/৩০২)
উক্ত হাদীস শরীফে সালাফীদের আপত্তি হচ্ছে চতুর্থ রাবী হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে নিয়ে। হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কিন্তু য্যথাক্রমে কাজী, ফক্বীহ এবং মুফতী ছিলেন। সালাফীদের আপত্তির প্রেক্ষিতে বিষয়গুলো পর্যালোচনা না করলেই নয়। মুসলমান শাষন আমলে একজন ক্বাজী হওয়ার যোগ্যতা সে বিষয়ে না বললেই না। একজন ক্বাজীর প্রধান বৈশিষ্ঠই হচ্ছে সর্বোচ্চ তাক্বওয়া। সেই সাথে কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজমা কিয়াস সর্ম্পকে অগাধ জ্ঞান। যিনি কাজী তিনি অবশ্যই আদীল বা চরম ন্যায়পরায়ন হবেন। শুধু তাই না একজন কাজীর কুরআন শরীফের ৬৬৬৬ টি আয়াত শরীফের আদেশ সূচক ১০০০ আয়াত শরীফ , নিষেধ সূচক ১০০০ আয়াত শরীফ, ওয়াদা সূচক ১০০০ আয়াত শরীফ, ভীতি সূচক ১০০০ আয়াত শরীফ, ঘটনা সূচক ১০০০ আয়াত শরীফ, উপদেশ মূলক ১০০০ আয়াত শরীফ, হালাল সূচক ২৫০ টা আয়াত শরীফ, হারাম বিষয়ে ২৫০ টা আয়াত শরীফ, তাজবীহ সংক্রান্ত ১০০ টি আয়াত শরীফ, বিবিধ বিষয়ে ৬৬ টি আয়াত শরীফ এর প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হুকুম সর্ম্পকে পূর্ণরূপে অবহিত থাকতে হবে। এবং কয়েক হাজার হাদীস শরীফের হাফিজ হবেন। এবং প্রতিটা বিষয়ে অত্যান্ত সত্যবাদী হবেন। যেহেতু তিনি বিচারক সেহেতু উনার যোগ্যতার মাপকাঠি সহজেই অনুমেয়। (দলীলঃ সমূহ ফিক্বহের কিতাব) সহজেই বোঝা যাচ্ছে একজন কাজী মাতরূক বা পরিত্যজ্য ব্যাক্তি হতে পারেন না। তাহলে ৭০ হাজার হাদীসের হাফিজ ( মিযানুল এতেদাল ৪/৪৬১) এবং একজন ক্বাজী হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি যে রাবী হিসাবে সিকাহ সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ রইলো না।
হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শুধু ক্বাজীই ছিলেন না তিনি ছিলেন ফক্বীহ। (মিযানুল এতেদাল ৪/৫০৩) একজন ফক্বীহর যোগ্যতা সর্ম্পকে ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীকত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বক্তব্যটাই যথেষ্ঠ,
*انما الفقيه الزاهد فى الد نيا الراغب فى الا خرة البصير بذنبه المدائم على عبادة ربه الورع الكف عن اعراض المسلمين العفيف عن اموالهم النا صح لجماعتهم.
অর্থঃ- “নিশ্চয়ই ফক্বীহ (হাক্বীক্বী আলিম) ঐ ব্যক্তি যিনি দুনিয়া থেকে বিরাগ, আখিরাতের দিকে ঝুকে রয়েছেন, গুণাহ থেকে সতর্ক, সর্বদা ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল, পরহিযগার, মুসলমানদের মান-সম্ভ্রম নষ্ট করেন না, তাদের সম্পদের প্রতি লোভ করেন না এবং অধীনস্থ লোকদেরকে নছীহত করেন। (তাফসীরে কবীর)
সূতরাং ফক্বীহ হিসাবে হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি কেমন ব্যাক্তিত্ব ছিলেন নতুন করে বলার অবকাশই রাখে না।
এছাড়ও হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সর্ম্পকে বিখ্যাত ইমাম হযরত আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তিনি মদীনা শরীফের মুফতী ছিলেন। (তাহযীবুত যাহযীব ১২/২৭, মিযানুল এতেদাল ৪/৪৬১)
আর একজন মুফতী বা ফতোয়াদান কারীর বৈশিষ্ঠ সর্ম্পকে হাফিজে হাদীস হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহ , ফতোয়াদানকারী বা মুফতীকে অবশ্যই ইলমে লাদুন্নী বা খোদায়ী প্রদত্ত জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। (আল ইতকান ফি উলুমিল কুরআন)
সূতরাং সহজেই বলা যায় হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ বিশেষ গুনাবলীর অধিকারী ছিলেন। আর মদীনা শরীফের একজন মুফতীর কি পরিমান যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন সেটা আক্বল সম্পন্ন ব্যাক্তি মাত্রই বুঝতে পারার কথা।
তাই রাবী হিসাবে উনাকে মাতরূক বলার আগে অবশ্যই হুশিয়ার হতে হবে। হযরত ইবনু আবি সাবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মোটেও মাতরূক ছিলেন না। তিনি একজন যোগ্য হাদীস বিশারদ ও সেইসাথে ক্বাজী, ফক্বীহ ও মুফতী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ।
এছাড়াও ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিতাবে একটা হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন। হাদীস শরীফখানা হলোঃ
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ينزل ربنا تبارك وتعالى في كل ليلة إلى سماء الدنيا حين يبقى ثلث الليل الآخر فيقول من يدعوني فأستجيب له ومن يسألني فأعطيه ومن يستغفرني فأغفرله. (أخرجه البخاري ومسلم)
অর্থঃ আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , আমাদের রব তা‘আলা প্রতি রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন ও বলতে থাকেন, কে আছ আমার কাছে দু‘আ করবে আমি কবুল করব। কে আছ আমার কাছে চাইবে আমি দান করব। কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারী শরীফ: হাদীস ১০৯৪, মুসলিম শরীফ : হাদীস ১৮০৮)
সূতরাং বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের হাদীস শরীফ দ্বারা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত শবে বরাতের হাদীস শরীফখানাও সমর্থন পেলো। অতএব বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের হাদীস শরীফ দ্বারা শবে বরাতের হাদীস শরীফ শক্তিশালী হলো।
এ ছাড়া মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ৭/৪১২ এ উল্লেখ আছে , “ এ হাদীস শরীফের সমর্থনে শাহেদ হাদীস বিদ্যমান। ফলে হাদীস শরীফটির মৌলিকত্ব স্বীকৃত। ”
ইবনে মাজাহ শরীফ বিশ্লেষনে অনেক ইমাম অনেক মতামত ও চুচেরা বিশ্লেষন করেছেন। কিন্তু কেউই উক্ত হাদীস শরীফ এর ব্যাপারে জাল বা মওজু বলেন নাই। সূতারাং অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমান হলো শবে বরাত সম্পর্কে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীস শরীফ খানা সহীহ। এবং সালাফীদের সকল আপত্তির উপশমও হবে আশাকরি

সূরা দুখানের ৩-৪নং আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ্’ দ্বারা ‘লাইলাতুল ক্বদরকে’ বুঝানো হয়েছে? না ‘শবে বরাতকে’ বুঝানো হয়েছে?

সূরা দুখানের ৩-৪নং আয়াত শরীফ-এ বর্ণিত ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ্’ দ্বারা ‘লাইলাতুল ক্বদরকে’ বুঝানো হয়েছে? না ‘শবে বরাতকে’ বুঝানো হয়েছে?
সূরা দুখানের ৩নং আয়াত শরীফ-এ উল্লিখিত ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ’ দ্বারা ‘লাইলাতুল ক্বদরকে’ বুঝানো হয়নি বরং ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাতকেই’ বুঝানো হয়েছে।
কেননা, ‘লাইলাতুল ক্বদর’-এর মর্তবা ও ফযীলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘সূরা ক্বদর’ নামে আলাদা একটি সূরাই নাযিল করেছেন। যার শানে নুযূল এবং ব্যাখ্যাও আলাদাভাবে বর্ণিত রয়েছে। উক্ত ‘সূরা ক্বদরে’ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
انا انزلنه فى ليلة القدرড় وما ادرك ما ليلة القدرড় ليلة القدر خير من الف شهرড় تنزل الـملئكة والروح فيها باذن ربهم من كل امر سلمড় هى حتى مطلع الفجرড়
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি কুরআন শরীফ নাযিল করেছি ক্বদরের রাত্রিতে। আপনি কি জানেন, ক্বদরের রাত্রি কি? অর্থাৎ আপনি তো জানেন ক্বদরের রাত্রি সম্পর্কে। ক্বদরের রাত্রি হাজার মাস থেকেও উত্তম। উনাদের রব-উনার অনুমতিক্রমে রূহ (হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম) ও ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা এ রাতে পৃথিবীতে অবতরণ করেন প্রত্যেক কাজে বা হুকুমে। শান্তি নাযিল হয়। উহা (ক্বদর রাত্রি) ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত (বলবৎ থাকে)।”
শানে নুযূল: হযরত ইবনে আবী হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার বনী ইসরাইলের জনৈক মুজাহিদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। যিনি এক হাজার মাস পর্যন্ত অবিরাম জিহাদে মশগুল থাকেন এবং কখনো অস্ত্র সংবরণ করেননি। মুসলমানগণ একথা শুনে বিস্মিত হলে এ ‘সূরা ক্বদর’ অবতীর্ণ হয়। এতে উম্মতে হাবীবীর জন্য শুধু এক রাত্রির ইবাদতই সেই মুজাহিদের এক হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী)
ক্বদরের অর্থ ও ব্যাখ্যা: ‘ক্বদরের’ অর্থ হচ্ছে মাহাত্ম্য ও সম্মান। এ রাত্রির মাহাত্ম্য ও সম্মানের কারণে একে ‘লাইলাতুল ক্বদর’ তথা ‘মহিমান্বিত রাত’ বলা হয়। এ রাত্রিকে ‘ক্বদর’ বলার কারণ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, আমল না করার কারণে এর পূর্বে যার কোনো সম্মান অর্জিত হয়না। যখন এ রাত্রিতে তওবা-ইস্তিগফার ও ইবাদত-বন্দিগী করা হয় তখনই ফযীলত ও সম্মান হাছিল হয়।
কাজেই লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদর ও লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত একই রাত্রির নাম নয়। বরং উভয় রাত্রি দুটিই আলাদা এবং যার বর্ণনাও কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ আলাদাভাবেই বর্ণিত হয়েছে। ‘লাইলাতুল ক্বদরের’ কথা বর্ণিত রয়েছে সূরা ক্বদরে। আর ‘লাইলাতুল বরাতের’ কথা বর্ণনা করা হয়েছে সূরা দুখানে ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ’ বা ‘বরকতময় রজনী’ হিসেবে।
সূরা দুখানে বর্ণিত ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ’ দ্বারা যে ‘লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাতকে’ বুঝানো হয়েছে তা প্রায় সকল বিশ্বখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থেই বর্ণিত রয়েছে।
যেমন, সূরা দুখানে উল্লিখিত ليلة (লাইলাতুম্ মুবারাকাহ)-এর ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে মাযহারী”-এর ৮ম খ-ের ৩৬৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
قال عكرمة هى ليلة النصف من شعبان يبرم فيه امر السنة
অর্থাৎ, বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ’ হচ্ছে ‘শা’বানের মধ্য রাত্রি’ অর্থাৎ ‘বরাতের রাত্রি’। এ রাতে সারা বছরের কাজ-কর্মের ফায়ছালা করা হয়।
উক্ত আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাস্সিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-
قد اخبر الله سجانه عن هذه الليلة المباركة التى هى ليلة النصف من شعبان انه تعالى يفرق فيها كل امر من اموره المحكمة.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ্ অর্থাৎ বরকতময় রাত্রি বলতে শা’বান মাসের মধ্য রাত অর্থাৎ শবে বরাতকে বুঝিয়েছেন। আল্লাহ পাক তিনি এ রাতে সকল প্রজ্ঞা সম্পন্ন বিষয়ের ফায়ছালা করে থাকেন।” (ছফওয়াতুত্ তাফাসীর)
বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে খাযিন”-এর ৪র্থ খ-ের ১১২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
(انا انزلناه فى ليلة مباركة) هى ليلة النصف من شعبان.
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি এটা এক বরকতময় রাত্রিতে নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ্’ হলো অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত।”
সুপ্রসিদ্ধ তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে বাগবী”-এর ৬ষ্ঠ খ-ের ১৪৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
(انا انزلناه فى ليلة مباركة) وقال اخرون ليلة النصف من شعبان
অর্থাৎ- “নিশ্চয়ই আমি এটা এক বরকতময় রাত্রিতে নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অসংখ্য রাবীগণ বলেন, ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ’ তথা বরকতময় রাত্রি হচ্ছে অর্ধ শা’বানের রাত অর্থাৎ শবে বরাত।”
“তাফসীরে নাযমুদ্ দুরার”-এর ৭ম খ-ের ৬২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
ليلة مباركة
দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে-
ليلة النصف من شعبان
অর্থাৎ “অর্ধ শাবানের রাত তথা বরাতের রাত।” তাফসীর জগতের সুবিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে কুরতুবী”-এর ৮ম খ-ের ১২৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
قال عكرمة الليلة المباركة ههنا ليلة النصف من شعبان
অর্থ: “বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, লাইলাতুম্ মুবারাকাহ দ্বারা এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শাবানের রাত অর্থাৎ শবে বরাত।” বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে লুবাব”-এর ১৭তম খ-ের ৩১০ ও ৩১১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
(فيها) اى فى الليلة المباركة (يفرق) يفصل (كل امر حكيم) وقال عكرمة هى ليلة النصف من شعبان يقوم فيها امر السنة.
অর্থ: “ওই বরকতময় রাত্রিতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ যাবতীয় বিষয়ের ফায়ছালা করা হয়। বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শাবানের রাত তথা শবে বরাত। এ রাতে আগামী এক বছরের যাবতীয় বিষয়ের তালিকা প্রস্তুত করা হয়।”
উপরোক্ত বিশ্বখ্যাত, সুপ্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থসমূহ ছাড়াও তাফসীরে আবী সউদ, বাইযাবী, দুররে মানছূর, তাফসীরে জালালাইন, তাফসীরে কামালাইন, তাফসীরে তাবারী, তাফসীরে গরায়িব, তাফসীরে রুহুল বয়ান, তাফসীরে রুহুল মায়ানী, তাফসীরে যাদুল মাছীর, তাফসীরে আল মুহাররারুল ওয়াজিয, তাফসীরে মাওয়াহিব, হাশিয়ায়ে শিহাব, তাফসীরে ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, তাফসীরে দুররে মাছূন, তাফসীরে কাশ্শাফ, তাফসীরে দিয়াউল কুরআন, তাফসীরে আহকামুল কুরআন, তাফসীরে কাসীমী, তাফসীরে মিযান, তাফসীরে মাওয়ারদী, নূরুল ইরফান, তাফসীরে মুগনী, তাফসীরে বাহরে মাওয়াজ, তাফসীরে তাফহীমুল কুরআন ইত্যাদি তাফসীরগ্রন্থে ‘লাইলাতুম্ মুবারাকাহ’ দ্বারা ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘শবে বরাতকে’ বুঝানো হয়েছে।
সূতরাং প্রমান হলো শবে ক্বদর ও শবে বরাত এক বিষয় নয়।
(...................চলবে..................)

সালাফী লা’মাযহাবীদের অন্যতম গুরু নাছির উদ্দীন আলবানী তার “সিলসিলাতু আহাদীসি আস সহীহা” কিতাবে পবিত্র শবে বরাতের হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করে লিখেছে,

সালাফী লা’মাযহাবীদের অন্যতম গুরু নাছির উদ্দীন আলবানী তার “সিলসিলাতু আহাদীসি আস সহীহা” কিতাবে পবিত্র শবে বরাতের হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করে লিখেছে,
“ হাদীসটি সহীহ। কেননা একদল সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বিভিন্ন সূত্রে নিসফে শাবানের মর্যদা ওপর একাধিক হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে। বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হওয়ার কারনে হাদীস শরীফটি মজবুতি লাভ করেছে। যে সকল সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে উনারা হলেন, হযরত মু'আয ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু , হযরত আবু সালাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আবু মূসা আল আশ'আরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু , হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আউফ বিন মালেক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা। এছাড়াও অনেক আকাবীর সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুগন হাদীস শরীফ বর্ণনা করেরন। (দলীল: সিলসিলাতু আহাদীসি আস সহীহা ৩য় খন্ড ১৩৫ পৃষ্ঠা: হাদীস নম্বর ১১৪৪ , মূল কিতাবের স্ক্যন কপি দেয়া হলো)
এবার সালাফী লা’মাযহাবীদের কাছে প্রশ্ন তারা তাদের গুরু নাছির উদ্দীন আলবানীর শবে বরাতের পক্ষে ফতোয়াকে মেনে নিবে কিনা

শবে বরাত অস্বীকারকারী লা’মাযহাবীদের জন্য অরেকটা চমক। === সালাফীদের গুরু নাছিরউদ্দীন আলবানী তার একটা কিতাব “সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব” কিতাবের ৩য় খন্ড ৫৩ ও ৫৪ পৃষ্ঠায় শবে বরাত শরীফ সর্ম্পকে ৫ টা হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছে।

শবে বরাত অস্বীকারকারী লা’মাযহাবীদের জন্য অরেকটা চমক।
=================================================
সালাফীদের গুরু নাছিরউদ্দীন আলবানী তার একটা কিতাব “সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব”
কিতাবের ৩য় খন্ড ৫৩ ও ৫৪ পৃষ্ঠায় শবে বরাত শরীফ সর্ম্পকে ৫ টা হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছে। উক্ত কিতাবের ২৭৬৭ নম্বর হাদীস শরীফে হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদীস শরীফকে “হাসান সহীহ” বলেছে।
২৭৬৮ নম্বর হাদীস শরীফ হযরত আবু আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছে। ২৭৬৯ নম্বর হাদীস শরীফ হযরত আবু বকর সিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু অ।নহু হতে বর্ণিত হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছে। এবং মন্তব্য হিসাবে বলেছে “এই সনদে কোন সমস্য নেই। এরপর ২৭৭০ নম্বর হাদীস শরীফে হযরত কাছীর ইবনে মুররা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছে। হযরত মাকহুল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত ২৭৭১ নম্বর হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছে।
এবার জনতার আদালতে প্রশ্ন, সালাফী গুরু আলবানী যেখানে শবে বরাতের হাদীস শরীফকে সহীহ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে সেখানে তার তথাকথিত অনুসারী কুয়ার ব্যাং সালাফীরা কেন আজ শবে বরাতের বিরোধীতায় মশগুল?
এখন কথা হচ্ছে সালাফীরা যদি শবে বরাতের বিরোধীতা করে তবে সবার আগে আলবানীরি বিরোধীতা করে আসতে হবে .....তা কি তারা করতে পারবে ?????
(রিয়াদ থেকে প্রকাশিত আলবানীর কিতাবের স্ক্যান কপি দেয়া হলো। হাদীস নম্বর এবং তার মন্তব্য লাল বক্স দ্বারা চিহ্নত করা হলো)

সালাফী মোল্লারা এতটাই খেপেছে যে তারা বিভিন্ন মসজিদে এবং হারাম টিভি চ্যানেলে প্রচার করছে "শবে বরাত উপলক্ষে কেউ কোন খাবার রান্না করবেন না। তাড়াতাড়ি ঘুমাইয়া পড়বেন"

সালাফী মোল্লারা এতটাই খেপেছে যে তারা বিভিন্ন মসজিদে এবং হারাম টিভি চ্যানেলে প্রচার করছে
"শবে বরাত উপলক্ষে কেউ কোন খাবার রান্না করবেন না। তাড়াতাড়ি ঘুমাইয়া পড়বেন"।
আমি বুঝি না , মানুষ ভালো কোন খাবার খেলে এই শয়তান গুলোর কি সমস্যা ??
একটা উত্তরই উদয় হলো মনে। সেটা হচ্ছে, একটি বিশেষ চতুষ্পদী জন্তুর পেটে ঘি হজম হয় না। এরা
নিজেরাও খেতে পারে না অন্যদের খাওয়া দেখতে পারে না।

শবে বরাত বলতে শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত।আল্লাহর কাছে অত্যাধিক সম্মানিত পাঁচ রজনীর একটি শবে বরাত।পবিত্র হাদীস শরীফে এই রজনীকে বলা হয়েছে লাইলাতুম মিন নিসফে শাবান।

শবে বরাত বলতে আমরা বুঝি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত।আল্লাহর কাছে অত্যাধিক সম্মানিত পাঁচ রজনীর একটি শবে বরাত।পবিত্র হাদীস শরীফে এই রজনীকে বলা হয়েছে লাইলাতুম মিন নিসফে শাবান।এই রাতের ফজিলত সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত।শবে বরাতের ফজিলত শবে বরাত বিরোধী চক্রের বড় বড় শায়খরাও স্বীকার করেছেন।কিন্তু বর্তমানে একমাত্র জামাত শিবির ও কথিত আহলে হাদীস গংরাই শবে বরাতের গুরুত্ব অস্বীকার করে।
[আল্লাহ পাক সবাইকে এই চক্রের হাত থেকে বাঁচিয়ে শবে বরাতে পূণ্যময় বরকতময় আমলসমূহ করার তাওফীক দান করুন।আমীন।]
শবে বরাতে আমাদের নিচের আমলসমূহ করা উচিৎ...
১.অনির্ধারিত ভাবে নফল নামায পড়া
২.দিনের বেলা রোযা রাখা
৩.মহান আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফ চাওয়া অর্থাৎ তাওবা করা
৪.রিজিক প্রার্থনা করা
৫.বিপদ আপদ থেকে মুক্তি চাওয়া
৬.কবর যিয়ারত করা
ওপরের এই আমলসমূহ শবে বরাত সমপর্কিত হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত।এর সাথে যোগ করবেন..
৭.পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা
৮.বেশি বেশি পরিমাণে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা এর ওপর দরুদ শরীফ পাঠ করা
কারণ দরুদ শরীফ পাঠ এমন একটা পূণ্যময় আমল যার কবুলিয়তে কোন সন্দেহ নেই।
তবে এই পবিত্র মহান বরকতময় রজনীতে আতশবাজি জ্বালানো পটকা ফুটানো ইত্যাতি গর্হিত কাজকর্ম করা নিষেধ

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

বাতিল ফির্কারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপপ্রচার চালায় সূরা দুখানের লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা নাকি লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান তথা শবে বরাতকে বুঝানো হয়নি, বরং শবে কদরকে বুঝানো হয়েছে। আসুন আমরা উক্ত আয়াত শরীফের বিশ্ব বিখ্যাত তফসীর সমূহ থেকে স্পষ্ট ভাবে জেনে নিই লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা প্রকৃতপক্ষে কি বুঝানো হয়েছে

বাতিল ফির্কারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপপ্রচার চালায় সূরা দুখানের লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা নাকি লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান তথা শবে বরাতকে বুঝানো হয়নি, বরং শবে কদরকে বুঝানো হয়েছে। আসুন আমরা উক্ত আয়াত শরীফের বিশ্ব বিখ্যাত তফসীর সমূহ থেকে স্পষ্ট ভাবে জেনে নিই লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা প্রকৃতপক্ষে কি বুঝানো হয়েছে।
বিভিন্ন তাফসীর থেকে সূরা আদ দুখানের তাফসীর উল্লেখ করা হলোঃ
============================================
শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে স্বয়ং আল্লাহ পাক স্বীয় কুরআন শরীফ-এ সূরা ‘আদ দোখান’ এর ৩-৪ নম্বর আয়াত শরীফে ليلة المبارك (বরকত পূর্ণ রাত) হিসেবে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
انا انزلناه فى ليلة مباركة انا كنا منذرين. فيها يفرق كل امر حكيم
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি উহা (কুরআন শরীফ) এক রবকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী, ওই রাত্রিতে সমস্ত হিকমতপুর্ণ কাজসমূহের বণ্টন করা হয় তথা বণ্টনের ফায়সালা করা হয়।” (সূরা আদ দোখান-৩-৪)
(১) সূরা আদ দুখান-এর ليلة مباركة এর পরবর্তী আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে-
فيها يفرق كل امر حكيم
অর্থ: “সেই মুবারক রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়সমূহের ফায়ছালা করা হয়।”
এখানে فيها তথা মুবারকপূর্ণ রাতের ব্যাখ্যায় সুপ্রসিদ্ধ তাফসীরে উল্লেখ আছে-
وقال عكرمة رضى الله تعالى هى ليلة النصف من شعبان يبرم فيها امر السنة وينسخ الاحياء من الاموات ويكتب الحاج فلا يزاد فيهم احد ولا ينقص منهم احد.
অর্থ: “বিখ্যাত ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, ফায়ছালার রাতই হচ্ছে- অর্ধ শা’বানের তথা ১৫ই শা’বানের রাত। এই শবে বরাতে সামনে এক বৎসরে যাবতীয় কিছুর ফায়ছালা করা হয় এবং তালিকা প্রস্তুত করা হয় মৃত ও জীবিতদের। এমনকি হজ্জ পালনকারীদের তালিকাও করা হয় সেই অর্ধ শা’বানের রাতে। ওই রাতে যার যার ভাগ্যে যা কিছু লেখা হয় তা থেকে কোন কমতিও করা হয়না এবং কোন কিছু বেশিও করা হয় না।( তাফসীরে কুরতুবী-এর ১৬তম খ-ের ১২৬/১২৭ পৃষ্ঠা)
(২) এ প্রসঙ্গে তাফসীরে উল্লেখ আছে-
(فيها) اى فى الليلة المباركة (يفرق) يفصل (كل امر حكيم) ... وقال عكرمة رضى الله تعالى عنه هى ليلة النصف من شعبان يقوم فيها امر السنة وتنسخ الاحياء من الاموات فلا يزاد فيهم ولا ينقص منهم احد
অর্থ: “ওই মুবারক তথা বরকতপূর্ণ রাত্রিতে অর্থাৎ শবে বরাতে প্রত্যেক হিক্বমতপূর্ণ যাবতীয় বিষয়সমূহের ফায়ছালা করা হয়। বিখ্যাত ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, লাইলাতুম মুবারকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শা’বান তথা ১৫ই শা’বানের রাত। এই শবে বরাতে আগামী এক বৎসরের যাবতীয় বিষয়ের ভাগ্যতালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং তালিকা প্রস্তুত করা হয় মৃত ও জীবিতদের। ওই তালিকা থেকে কোন কম বেশি করা হয়না অর্থাৎ কোনরূপ পরিবর্তন হয় না (‘তাফসীরে লুবাব’-এর ১৭তম খ-ের ৩১০-৩১১ পৃষ্ঠা)
(৩) প্রসঙ্গে সুবিখ্যাত তাফসীর ‘তাফসীরে গারায়িবুল কুরআন ওয়া রাগায়িবুল কুরআন, হাশিয়ায়ে জামিউল বয়ান’-এর ৩০তম জুযের ১৩৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وعن عكرمة رضى الله تعالى عنه انها ليلة البراءة
অর্থ: “প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত আছে, নিশ্চয়ই পবিত্র কুরআন শরীফ যে রাতে অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয় তা হচ্ছে বরাতের রাত। তথা শবে বরাতে।” (তাফসীর তাবারী, ৩০ খ-)
(৪) বিশ্বখ্যাত তাফসীর আরো উল্লেখ আছে-
يبدأ فى استنساخ ذالك من اللوح المحفوظ فى ليلة البراءة ويقع الفراغ فى ليلة القدر.
অর্থ: “লাওহে মাহফূয-এর প্রত্যেকটি বিষয়ের অনুলিপি বা ভাগ্যলিপি লেখা শুরু হয় শবে বরাতের রাত্রে এবং শেষ হয় শবে ক্বদরের রাত্রে।” (“তাফসীরে কুরতুবী”-এর ১৬তম খ-ের ১২৮ পৃষ্ঠা)
(৫) তাফসীরে আরো উল্লেখ আছে-
وقيل ليلة البراءة ابتدئ فيها انزال او انزل فيها جملة الى السماء الدنيا من اللوح.
অর্থ: “মুফাসসিরীনে কিরামগণের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, লাইলাতুল মুবারাকা অর্থ হচ্ছে লাইলাতুল বরাত তথা বরাতের রাত। উক্ত রাত্রিতে কুরআন শরীফ ও অন্যান্য সবকিছু অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয়। অথবা ওই রাত্রিতে একই সাথে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ লাওহে মাহফুয থেকে দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ করা হয়।” (“তাফসীরে আবী সুয়ূদ”-এর ৮ম খ-ের ৫৮ পৃষ্ঠা)
(৬) উক্ত কিতাবের উক্ত পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে-
وقيل يبدأ فى استنساخ ذلك من اللوح فى ليلة البراءة ويقع الفراغ فى ليلة القدر.
অর্থ: “মুফাসসিরীনে কিরামগণ উনাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, লাওহে মাহফুয থেকে যা কিছু নাযিল হয় তার সবকিছুই লিপিবদ্ধ শুরু করা হয় শবে বরাতে। আর সেই ভাগ্যলিপি সম্পাদন তথা কার্যকরী করার জন্য পেশ করা হয় শবে ক্বদরে।” (“তাফসীরে আবী সুয়ূদ”-এর ৮ম খ-ের ৫৮ পৃষ্ঠা)
(৭) এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত “তাফসীরে তাবারী”তে উল্লেখ আছে-
وقال اخرون بل هى ليلة النصف من شعبان
অর্থ: “মুফাস্সিরীনে কিরামগণের অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে, লাইলাতুল মুবারকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শা’বানের তথা ১৫ই শা’বানের রাত।” (“তাফসীরে তাবারী” কিতাবের ২৫তম খ-ের ৬৫ পৃষ্ঠা)
“তাফসীরে তাবারী” কিতাবের ২৫তম খ-ের ৬৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
فيها يفرق كل امر حكيم
“ওই রাতেই সমস্ত হিক্বমতপূর্ণ বিষয়সমূহের ফায়ছালা করা হয়।”
(৮) তাফসীরের কিতাব এ উল্লেখ আছে-
زعم بعضهم كعكرمة وغيره انها ليلة النصف من شعبان ... قالوا وسمى ليلة البراءة ايضا وليلة الصك
অর্থ: “মুফাসসিরীনে কিরামগণ উনাদের মধ্য থেকে অনেকেই উল্লেখ করেছেন, অনেক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে। যেমন, প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও অন্যান্য আরো অনেক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বর্ণনা করেছেন যে, লাইলাতুম মুবারকাই হচ্ছে অর্ধ শা’বান তথা ১৫ই শা’বানের রাত। তারা আরো বলেন, লাইলাতুম মুবারাকাকে লাইলাতুল বরাতও বলা হয়। এবং লাইলাতুছ ছক তথা চেক বা রসিদ কাটার রাত তথা ভাগ্য নির্ধারণের রাতও বলা হয়। (“তাফসীরে গারায়িব হাশিয়া জামিউল বয়ান” কিতাবের ২৫তম খ-ের ৮১-৮২ পৃষ্ঠা, তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৩ খ-, ১১২ পৃষ্ঠা)
(৯) তাফসীরের কিতাব এ উল্লেখ আছে-
انها ليلة النصف من شعبان قاله عكرمة .. وروى عن عكرمة ان ذلك فى ليلة النصف من شعبان.
অর্থ: “লাইলাতুল মুবারাকা দ্বারা অর্ধ শা’বানের তথা ১৫ই শা’বানের রাতকে বুঝানো হয়েছে। যা হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয়ই ফায়ছালার রাত্রি হচ্ছে ১৫ই শা’বানের রাত অর্থাৎ শবে বরাত। (“তাফসীরে যাদুল মাসীর”-এর ৭ম খ-ের ১১২ পৃষ্ঠায়)
(১০) তাফসীরের কিতাব এ উল্লেখ আছে-
وقال عكرمة وغيره الليلة المباركة هى النصف من شعبان.
অর্থ: “হযরত ইকরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং অন্যান্য ছাহাবায়ে কিরামগণ উনাদের থেকে বর্ণিত আছে যে, লাইলাতুম মুবারাকা হচ্ছে ১৫ই শাবানের রাত তথা শবে বরাত। (“তাফসীরে আল মুর্হারারুল ওয়াজিয” কিতাবের ৫ম খ-ের ৬৮ পৃষ্ঠায়)
(১১) তাফসীরের কিতাব এ উল্লেখ আছে-
او البراءة معطوف على القدر اى ليلة البراءة وهى ليلة النصف من شعبان فانها تسمى الليلة المباركة وليلة البراءة وليلة الصك وليلة الرحمة وتسميتها بليلة البراءة والصك لانه تعالى يكتب لعبادة المؤمنين براءة فى هذه الليلة كذا فى الكشاف.
অর্থ: “লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে বরাতের রাত। যা ক্বদরের তথা মর্যাদাপূর্ণ রাতের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ বরাতের রাত্রিই হচ্ছে অর্ধ শা’বানের রাত তথা ১৫ই শাবানের রাতকেই লাইলাতুল মুবারাকা, লাইলাতুল বরাত, লাইলাতুছ ছক তথা ভাগ্য নির্ধারণের রাত এবং লাইলাতুর রহমত নামে নামকরণ করা হয়েছে।”
আর লাইলাতুল বরাত এবং লাইলাতুল ছক বা ভাগ্য নির্ধারণের রাত হিসেবে এজন্যই নামকরণ হয়েছে। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মু’মিন বান্দাদের ব্যাপারে এই রাত্রিতে মুক্তির ফায়ছালা করে থাকেন। এরূপভাবে তাফসীরে কাশশাফেও বর্ণিত আছে। (“তাফসীরে হাশিয়ায়ে শিহাব”-এর ৮ম খ-ের ২ পৃষ্ঠা)
(১২) উক্ত আয়াত শরীফ সর্ম্পেকে উল্লেখ আছে-
او البراءة ابتدأ فيها انزاله او انزل فيها جملة الى السماء الدنيا من اللوح.
অর্থ: “অথবা লাইলাতুল মুবারাকা উদ্দেশ্য হচ্ছে বরাতের রাত তথা শবে বরাত। এই রাতেই লাওহে মাহফুয থেকে কুরআন শরীফ নাযিল হওয়া শুরু হয়। অথবা এই শবে বরাতে লাওহে মাহফূয থেকে দুনিয়ার আকাশে এক সাথে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ নাযিল হয়।” (“তাফসীরে বায়যাবী শরীফ”-এর ৩য় খ-ের ২৮৭ পৃষ্ঠা)
(১৩) সকল মাদ্রসায় পঠিত কিতাব “তাফসীরে জালালাইন শরীফ”- উল্লেখ আছে-
او ليلة نصف من شعبان
অর্থ: “অথবা লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শাবানের তথা ১৫ই শাবানের রাত।” (“তাফসীরে জালালাইন শরীফ” ৪১০ পৃষ্ঠা)
এই উক্তির সমর্থনে উক্ত তাফসীরের ৪১০ পৃষ্ঠার ২৪ নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
قوله ليلة النصف من شعبان هو قول عكرمة وطائفة ومنها ان ليلة النصف من شعبان لها اربعة اسماء الليلة المباركة وليلة البراءة وليلة الرحمة وليلة الصك.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক-উনার বাণী লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শা’বান তথা ১৫ই শা’বানের রাত। এটা হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং অন্যান্য একদল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মতে। আর এই ১৫ই শা’বানের রাত তথা শবে বরাতের ৪টি নাম রয়েছে। যেমন, লাইলাতুম মুবারাকা তথা বরকতের রাত, লাইলাতুল বরাত তথা বরাতের রাত, লাইলাতুর রহমত এবং লাইলাতুছ ছক তথা ভাগ্য নির্ধারনের রাত।
(১৪) উক্ত আয়াত শরীফ সর্ম্পেকে উল্লেখ আছে-
اخرج ابن جرير وابن المنذر وابن ابى حاتم من طريق محمد بن سوقة عن عكرمة رضى الله تعالى عنه فيها يفرق من كل امر حكيم قال فى ليلة النصف من شعبان يبرم امر السنة وينسخ الاحياء من الاموات ويكتب الحاج فلا يزاد فيهم ولاينقص منهم احد.
অর্থ: “হযরত ইবনে জারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবনে মুনযির রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত আবী হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুহম্মদ ইবনে সাওক্বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি আবার হযরত ইক্রামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মহান আল্লাহ পাক-উনার বাণী-
فيها يفرق كل امر حكيم
অর্থাৎ, “ওই মুবারক রাত্রে প্রত্যেক হিক্বমতপূর্ণ বিষয়সমূহের ফায়ছালা করা হয়ে থাকে।” তিনি এই ফায়ছালার রাত দ্বারা অর্ধ শা’বানের তথা ১৫ই শা’বানের রাতকে উল্লেখ করেছেন। আর এই শবে বরাতে আগামী এক বৎসরের যাবতীয় বিষয়ের ফায়ছালা করা হয়ে থাকে এবং ওই রাতেই মৃত ও জীবিতদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। সেই রাতেই হাজীদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়। ওই তালিকা থেকে কোনরূপ কমবেশী করা হয়না। (“তাফসীরে দুররে মানছূর”-এর ৬ষ্ঠ খ-ের ২৬ পৃষ্ঠা)ৎ
(১৫) উক্ত আয়াত শরীফ সর্ম্পেকে উল্লেখ আছে-
قال بعض المفسرين المراد من الليلة المباركة ليلة النصف من شعبان ولها اربعة اسماء الاول الليلة المباركة لكثرة خير وبركتها على العاملين ... الثانى ليلة الرحمة والثالث ليلة البراءة والرابع ليلة الصك.
অর্থ: “মুফাসসিরীনে কিরামগণের মধ্যে অনেকেই লাইলাতুল মুবারক দ্বারা উদ্দেশ্য নিয়েছেন অর্ধ শা’বান তথা ১৫ শা’বানের রাতকে। এবং ইহার তথা শবে বরাতের চারটি নাম রয়েছে। প্রথমত: লাইলাতুল মুবারকা তথা বরকতের রাত্রি। কেননা এই বরকতের রাত্রিতে যারা আমল করে থাকেন তথা ইবাদত-বন্দিগী করে থাকেন তাদের জন্য অনেক খায়ের বরকত রয়েছে।
দ্বিতীয়ত: লাইলাতুর রহমত তথা রহমতের রাত্রি।
তৃতীয়ত: লাইলাতুল বারায়াত তথা মুক্তি বা ভাগ্যের রাত্রি।
চতুর্থত: লাইলাতুছ ছক তথা চেক প্রদানের রাত। (“তাফসীরে রহুল বয়ান” কিতাবের ৮ম খ-ের ২৫তম জুযের ৪০২ পৃষ্ঠা)
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর এর কিতাবে উল্লেখ আছে-
وقال عكرمة وجماعة: هى ليلة النصف من شعبان وتسمى ليلة الرحمة والليلة المباركة وليلة الصك وليلة البراءة
অর্থ: হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের একটি জামায়াত বলেন, ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শা’বান তথা ১৫ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত। ১৫ শা’বানের রাতকে লাইলার্তু রহমত তথা রহমতের রাত হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এবং লাইলাতুম মুবারাকা তথা বরকতের রাত হিসেবেও নামকরণ করা হয়েছে এবং লাইলাতুছ ছক্ক তথা চেক বা রসিদ কাটার রাত হিসেবেও নাম করণ করা হয়েছে এবং লাইলাতুল বারায়াত তথা মুক্তি বা ভাগ্যের রাত হিসেবেও নামকরণ করা হয়েছে। (“তাফসীরে রুহুল মায়ানী”-এর ১৩তম খ-ের ১১০-১১১ পৃষ্ঠা)
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, অধিকাংশ অনুসরনীয় মুফাসসিরীণগণ উনারা ‘সূরা দুখানে’ বর্ণিত ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ অর্থাৎ শবে বরাতকেই বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ ‘শবে বরাত’ কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত। অতএব শবে বরাতের বিরোধিতা করা বা শবে বরাতকে অস্বীকার করা মূলত কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফকেই অস্বীকার করার নামান্তর। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত

বাতিল ফির্কারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপপ্রচার চালায় সূরা দুখানের লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা নাকি লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান তথা শবে বরাতকে বুঝানো হয়নি, বরং শবে কদরকে বুঝানো হয়েছে। আসুন আমরা উক্ত আয়াত শরীফের বিশ্ব বিখ্যাত তফসীর সমূহ থেকে স্পষ্ট ভাবে জেনে নিই লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা প্রকৃতপক্ষে কি বুঝানো হয়েছে

বাতিল ফির্কারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপপ্রচার চালায় সূরা দুখানের লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা নাকি লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান তথা শবে বরাতকে বুঝানো হয়নি, বরং শবে কদরকে বুঝানো হয়েছে। আসুন আমরা উক্ত আয়াত শরীফের বিশ্ব বিখ্যাত তফসীর সমূহ থেকে স্পষ্ট ভাবে জেনে নিই লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা প্রকৃতপক্ষে কি বুঝানো হয়েছে।
বিভিন্ন তাফসীর থেকে সূরা আদ দুখানের তাফসীর উল্লেখ করা হলোঃ
============================================
শবে বরাত বা ভাগ্য রজনীকে স্বয়ং আল্লাহ পাক স্বীয় কুরআন শরীফ-এ সূরা ‘আদ দোখান’ এর ৩-৪ নম্বর আয়াত শরীফে ليلة المبارك (বরকত পূর্ণ রাত) হিসেবে উল্লেখ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন-
انا انزلناه فى ليلة مباركة انا كنا منذرين. فيها يفرق كل امر حكيم
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি উহা (কুরআন শরীফ) এক রবকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী, ওই রাত্রিতে সমস্ত হিকমতপুর্ণ কাজসমূহের বণ্টন করা হয় তথা বণ্টনের ফায়সালা করা হয়।” (সূরা আদ দোখান-৩-৪)
(১) সূরা আদ দুখান-এর ليلة مباركة এর পরবর্তী আয়াত শরীফ-এ বলা হয়েছে-
فيها يفرق كل امر حكيم
অর্থ: “সেই মুবারক রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়সমূহের ফায়ছালা করা হয়।”
এখানে فيها তথা মুবারকপূর্ণ রাতের ব্যাখ্যায় সুপ্রসিদ্ধ তাফসীরে উল্লেখ আছে-
وقال عكرمة رضى الله تعالى هى ليلة النصف من شعبان يبرم فيها امر السنة وينسخ الاحياء من الاموات ويكتب الحاج فلا يزاد فيهم احد ولا ينقص منهم احد.
অর্থ: “বিখ্যাত ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, ফায়ছালার রাতই হচ্ছে- অর্ধ শা’বানের তথা ১৫ই শা’বানের রাত। এই শবে বরাতে সামনে এক বৎসরে যাবতীয় কিছুর ফায়ছালা করা হয় এবং তালিকা প্রস্তুত করা হয় মৃত ও জীবিতদের। এমনকি হজ্জ পালনকারীদের তালিকাও করা হয় সেই অর্ধ শা’বানের রাতে। ওই রাতে যার যার ভাগ্যে যা কিছু লেখা হয় তা থেকে কোন কমতিও করা হয়না এবং কোন কিছু বেশিও করা হয় না।( তাফসীরে কুরতুবী-এর ১৬তম খ-ের ১২৬/১২৭ পৃষ্ঠা)
(২) এ প্রসঙ্গে তাফসীরে উল্লেখ আছে-
(فيها) اى فى الليلة المباركة (يفرق) يفصل (كل امر حكيم) ... وقال عكرمة رضى الله تعالى عنه هى ليلة النصف من شعبان يقوم فيها امر السنة وتنسخ الاحياء من الاموات فلا يزاد فيهم ولا ينقص منهم احد
অর্থ: “ওই মুবারক তথা বরকতপূর্ণ রাত্রিতে অর্থাৎ শবে বরাতে প্রত্যেক হিক্বমতপূর্ণ যাবতীয় বিষয়সমূহের ফায়ছালা করা হয়। বিখ্যাত ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, লাইলাতুম মুবারকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শা’বান তথা ১৫ই শা’বানের রাত। এই শবে বরাতে আগামী এক বৎসরের যাবতীয় বিষয়ের ভাগ্যতালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং তালিকা প্রস্তুত করা হয় মৃত ও জীবিতদের। ওই তালিকা থেকে কোন কম বেশি করা হয়না অর্থাৎ কোনরূপ পরিবর্তন হয় না (‘তাফসীরে লুবাব’-এর ১৭তম খ-ের ৩১০-৩১১ পৃষ্ঠা)
(৩) প্রসঙ্গে সুবিখ্যাত তাফসীর ‘তাফসীরে গারায়িবুল কুরআন ওয়া রাগায়িবুল কুরআন, হাশিয়ায়ে জামিউল বয়ান’-এর ৩০তম জুযের ১৩৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
وعن عكرمة رضى الله تعالى عنه انها ليلة البراءة
অর্থ: “প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত আছে, নিশ্চয়ই পবিত্র কুরআন শরীফ যে রাতে অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয় তা হচ্ছে বরাতের রাত। তথা শবে বরাতে।” (তাফসীর তাবারী, ৩০ খ-)
(৪) বিশ্বখ্যাত তাফসীর আরো উল্লেখ আছে-
يبدأ فى استنساخ ذالك من اللوح المحفوظ فى ليلة البراءة ويقع الفراغ فى ليلة القدر.
অর্থ: “লাওহে মাহফূয-এর প্রত্যেকটি বিষয়ের অনুলিপি বা ভাগ্যলিপি লেখা শুরু হয় শবে বরাতের রাত্রে এবং শেষ হয় শবে ক্বদরের রাত্রে।” (“তাফসীরে কুরতুবী”-এর ১৬তম খ-ের ১২৮ পৃষ্ঠা)
(৫) তাফসীরে আরো উল্লেখ আছে-
وقيل ليلة البراءة ابتدئ فيها انزال او انزل فيها جملة الى السماء الدنيا من اللوح.
অর্থ: “মুফাসসিরীনে কিরামগণের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, লাইলাতুল মুবারাকা অর্থ হচ্ছে লাইলাতুল বরাত তথা বরাতের রাত। উক্ত রাত্রিতে কুরআন শরীফ ও অন্যান্য সবকিছু অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয়। অথবা ওই রাত্রিতে একই সাথে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ লাওহে মাহফুয থেকে দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ করা হয়।” (“তাফসীরে আবী সুয়ূদ”-এর ৮ম খ-ের ৫৮ পৃষ্ঠা)
(৬) উক্ত কিতাবের উক্ত পৃষ্ঠায় আরো উল্লেখ আছে-
وقيل يبدأ فى استنساخ ذلك من اللوح فى ليلة البراءة ويقع الفراغ فى ليلة القدر.
অর্থ: “মুফাসসিরীনে কিরামগণ উনাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, লাওহে মাহফুয থেকে যা কিছু নাযিল হয় তার সবকিছুই লিপিবদ্ধ শুরু করা হয় শবে বরাতে। আর সেই ভাগ্যলিপি সম্পাদন তথা কার্যকরী করার জন্য পেশ করা হয় শবে ক্বদরে।” (“তাফসীরে আবী সুয়ূদ”-এর ৮ম খ-ের ৫৮ পৃষ্ঠা)
(৭) এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত “তাফসীরে তাবারী”তে উল্লেখ আছে-
وقال اخرون بل هى ليلة النصف من شعبان
অর্থ: “মুফাস্সিরীনে কিরামগণের অনেকেই উল্লেখ করেছেন যে, লাইলাতুল মুবারকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শা’বানের তথা ১৫ই শা’বানের রাত।” (“তাফসীরে তাবারী” কিতাবের ২৫তম খ-ের ৬৫ পৃষ্ঠা)
“তাফসীরে তাবারী” কিতাবের ২৫তম খ-ের ৬৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
فيها يفرق كل امر حكيم
“ওই রাতেই সমস্ত হিক্বমতপূর্ণ বিষয়সমূহের ফায়ছালা করা হয়।”
(৮) তাফসীরের কিতাব এ উল্লেখ আছে-
زعم بعضهم كعكرمة وغيره انها ليلة النصف من شعبان ... قالوا وسمى ليلة البراءة ايضا وليلة الصك
অর্থ: “মুফাসসিরীনে কিরামগণ উনাদের মধ্য থেকে অনেকেই উল্লেখ করেছেন, অনেক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে। যেমন, প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও অন্যান্য আরো অনেক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বর্ণনা করেছেন যে, লাইলাতুম মুবারকাই হচ্ছে অর্ধ শা’বান তথা ১৫ই শা’বানের রাত। তারা আরো বলেন, লাইলাতুম মুবারাকাকে লাইলাতুল বরাতও বলা হয়। এবং লাইলাতুছ ছক তথা চেক বা রসিদ কাটার রাত তথা ভাগ্য নির্ধারণের রাতও বলা হয়। (“তাফসীরে গারায়িব হাশিয়া জামিউল বয়ান” কিতাবের ২৫তম খ-ের ৮১-৮২ পৃষ্ঠা, তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৩ খ-, ১১২ পৃষ্ঠা)
(৯) তাফসীরের কিতাব এ উল্লেখ আছে-
انها ليلة النصف من شعبان قاله عكرمة .. وروى عن عكرمة ان ذلك فى ليلة النصف من شعبان.
অর্থ: “লাইলাতুল মুবারাকা দ্বারা অর্ধ শা’বানের তথা ১৫ই শা’বানের রাতকে বুঝানো হয়েছে। যা হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয়ই ফায়ছালার রাত্রি হচ্ছে ১৫ই শা’বানের রাত অর্থাৎ শবে বরাত। (“তাফসীরে যাদুল মাসীর”-এর ৭ম খ-ের ১১২ পৃষ্ঠায়)
(১০) তাফসীরের কিতাব এ উল্লেখ আছে-
وقال عكرمة وغيره الليلة المباركة هى النصف من شعبان.
অর্থ: “হযরত ইকরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং অন্যান্য ছাহাবায়ে কিরামগণ উনাদের থেকে বর্ণিত আছে যে, লাইলাতুম মুবারাকা হচ্ছে ১৫ই শাবানের রাত তথা শবে বরাত। (“তাফসীরে আল মুর্হারারুল ওয়াজিয” কিতাবের ৫ম খ-ের ৬৮ পৃষ্ঠায়)
(১১) তাফসীরের কিতাব এ উল্লেখ আছে-
او البراءة معطوف على القدر اى ليلة البراءة وهى ليلة النصف من شعبان فانها تسمى الليلة المباركة وليلة البراءة وليلة الصك وليلة الرحمة وتسميتها بليلة البراءة والصك لانه تعالى يكتب لعبادة المؤمنين براءة فى هذه الليلة كذا فى الكشاف.
অর্থ: “লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে বরাতের রাত। যা ক্বদরের তথা মর্যাদাপূর্ণ রাতের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ বরাতের রাত্রিই হচ্ছে অর্ধ শা’বানের রাত তথা ১৫ই শাবানের রাতকেই লাইলাতুল মুবারাকা, লাইলাতুল বরাত, লাইলাতুছ ছক তথা ভাগ্য নির্ধারণের রাত এবং লাইলাতুর রহমত নামে নামকরণ করা হয়েছে।”
আর লাইলাতুল বরাত এবং লাইলাতুল ছক বা ভাগ্য নির্ধারণের রাত হিসেবে এজন্যই নামকরণ হয়েছে। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মু’মিন বান্দাদের ব্যাপারে এই রাত্রিতে মুক্তির ফায়ছালা করে থাকেন। এরূপভাবে তাফসীরে কাশশাফেও বর্ণিত আছে। (“তাফসীরে হাশিয়ায়ে শিহাব”-এর ৮ম খ-ের ২ পৃষ্ঠা)
(১২) উক্ত আয়াত শরীফ সর্ম্পেকে উল্লেখ আছে-
او البراءة ابتدأ فيها انزاله او انزل فيها جملة الى السماء الدنيا من اللوح.
অর্থ: “অথবা লাইলাতুল মুবারাকা উদ্দেশ্য হচ্ছে বরাতের রাত তথা শবে বরাত। এই রাতেই লাওহে মাহফুয থেকে কুরআন শরীফ নাযিল হওয়া শুরু হয়। অথবা এই শবে বরাতে লাওহে মাহফূয থেকে দুনিয়ার আকাশে এক সাথে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ নাযিল হয়।” (“তাফসীরে বায়যাবী শরীফ”-এর ৩য় খ-ের ২৮৭ পৃষ্ঠা)
(১৩) সকল মাদ্রসায় পঠিত কিতাব “তাফসীরে জালালাইন শরীফ”- উল্লেখ আছে-
او ليلة نصف من شعبان
অর্থ: “অথবা লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শাবানের তথা ১৫ই শাবানের রাত।” (“তাফসীরে জালালাইন শরীফ” ৪১০ পৃষ্ঠা)
এই উক্তির সমর্থনে উক্ত তাফসীরের ৪১০ পৃষ্ঠার ২৪ নং হাশিয়ায় উল্লেখ আছে-
قوله ليلة النصف من شعبان هو قول عكرمة وطائفة ومنها ان ليلة النصف من شعبان لها اربعة اسماء الليلة المباركة وليلة البراءة وليلة الرحمة وليلة الصك.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক-উনার বাণী লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শা’বান তথা ১৫ই শা’বানের রাত। এটা হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং অন্যান্য একদল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মতে। আর এই ১৫ই শা’বানের রাত তথা শবে বরাতের ৪টি নাম রয়েছে। যেমন, লাইলাতুম মুবারাকা তথা বরকতের রাত, লাইলাতুল বরাত তথা বরাতের রাত, লাইলাতুর রহমত এবং লাইলাতুছ ছক তথা ভাগ্য নির্ধারনের রাত।
(১৪) উক্ত আয়াত শরীফ সর্ম্পেকে উল্লেখ আছে-
اخرج ابن جرير وابن المنذر وابن ابى حاتم من طريق محمد بن سوقة عن عكرمة رضى الله تعالى عنه فيها يفرق من كل امر حكيم قال فى ليلة النصف من شعبان يبرم امر السنة وينسخ الاحياء من الاموات ويكتب الحاج فلا يزاد فيهم ولاينقص منهم احد.
অর্থ: “হযরত ইবনে জারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবনে মুনযির রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত আবী হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুহম্মদ ইবনে সাওক্বাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি আবার হযরত ইক্রামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মহান আল্লাহ পাক-উনার বাণী-
فيها يفرق كل امر حكيم
অর্থাৎ, “ওই মুবারক রাত্রে প্রত্যেক হিক্বমতপূর্ণ বিষয়সমূহের ফায়ছালা করা হয়ে থাকে।” তিনি এই ফায়ছালার রাত দ্বারা অর্ধ শা’বানের তথা ১৫ই শা’বানের রাতকে উল্লেখ করেছেন। আর এই শবে বরাতে আগামী এক বৎসরের যাবতীয় বিষয়ের ফায়ছালা করা হয়ে থাকে এবং ওই রাতেই মৃত ও জীবিতদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। সেই রাতেই হাজীদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়। ওই তালিকা থেকে কোনরূপ কমবেশী করা হয়না। (“তাফসীরে দুররে মানছূর”-এর ৬ষ্ঠ খ-ের ২৬ পৃষ্ঠা)ৎ
(১৫) উক্ত আয়াত শরীফ সর্ম্পেকে উল্লেখ আছে-
قال بعض المفسرين المراد من الليلة المباركة ليلة النصف من شعبان ولها اربعة اسماء الاول الليلة المباركة لكثرة خير وبركتها على العاملين ... الثانى ليلة الرحمة والثالث ليلة البراءة والرابع ليلة الصك.
অর্থ: “মুফাসসিরীনে কিরামগণের মধ্যে অনেকেই লাইলাতুল মুবারক দ্বারা উদ্দেশ্য নিয়েছেন অর্ধ শা’বান তথা ১৫ শা’বানের রাতকে। এবং ইহার তথা শবে বরাতের চারটি নাম রয়েছে। প্রথমত: লাইলাতুল মুবারকা তথা বরকতের রাত্রি। কেননা এই বরকতের রাত্রিতে যারা আমল করে থাকেন তথা ইবাদত-বন্দিগী করে থাকেন তাদের জন্য অনেক খায়ের বরকত রয়েছে।
দ্বিতীয়ত: লাইলাতুর রহমত তথা রহমতের রাত্রি।
তৃতীয়ত: লাইলাতুল বারায়াত তথা মুক্তি বা ভাগ্যের রাত্রি।
চতুর্থত: লাইলাতুছ ছক তথা চেক প্রদানের রাত। (“তাফসীরে রহুল বয়ান” কিতাবের ৮ম খ-ের ২৫তম জুযের ৪০২ পৃষ্ঠা)
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর এর কিতাবে উল্লেখ আছে-
وقال عكرمة وجماعة: هى ليلة النصف من شعبان وتسمى ليلة الرحمة والليلة المباركة وليلة الصك وليلة البراءة
অর্থ: হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের একটি জামায়াত বলেন, ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শা’বান তথা ১৫ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত। ১৫ শা’বানের রাতকে লাইলার্তু রহমত তথা রহমতের রাত হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এবং লাইলাতুম মুবারাকা তথা বরকতের রাত হিসেবেও নামকরণ করা হয়েছে এবং লাইলাতুছ ছক্ক তথা চেক বা রসিদ কাটার রাত হিসেবেও নাম করণ করা হয়েছে এবং লাইলাতুল বারায়াত তথা মুক্তি বা ভাগ্যের রাত হিসেবেও নামকরণ করা হয়েছে। (“তাফসীরে রুহুল মায়ানী”-এর ১৩তম খ-ের ১১০-১১১ পৃষ্ঠা)
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, অধিকাংশ অনুসরনীয় মুফাসসিরীণগণ উনারা ‘সূরা দুখানে’ বর্ণিত ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ দ্বারা ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ অর্থাৎ শবে বরাতকেই বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ ‘শবে বরাত’ কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত। অতএব শবে বরাতের বিরোধিতা করা বা শবে বরাতকে অস্বীকার করা মূলত কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফকেই অস্বীকার করার নামান্তর। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত

শবে বরাত’ অস্বীকার করার অর্থ হলো কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফকেই অস্বীকার করা

১৪ই শা’বান দিবাগত রাতটি হচ্ছে শবে বরাত বা বরাত-এর রাত।
এ সম্পর্কে সূরা দুখান-এর শুরুতে ইরশাদ হয়েছে; মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন
“নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (শবে বরাতে) কুরআন শরীফ নাযিল করেছি অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমিই সতর্ককারী। উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজগুলো ফায়ছালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (সূরা দুখান : আয়াত শরীফ ৩-৫)

উল্লেখ্য যে উক্ত আয়াত শরীফ-এর ‘লাইলাতুস মুবারকাহ’ শব্দ দ্বারা ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ তথা অর্ধ শা’বানের রাত বা শবে বরাতকে বুঝানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে সর্বজনমান্য বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীরগুলোসহ সমস্ত তাফসীরসমূহে তাই উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মুফাসসিরকুল শিরোমনি রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি স্বীয় তাফসীরে উল্লেখ করেন,

“মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ অর্থাৎ বরকতময় রাত্রি বলতে শা’বান মাসের মধ্য রাত অর্থাৎ শবে বরাতকে বুঝিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ রাতে সকল প্রজ্ঞা সম্পন্ন বিষয়ের ফায়ছালা করে থাকেন।” (ছফওয়াতুত তাফাসীর, তাফসীরে খাযীন ৪র্থ খ-/১১২ পৃষ্ঠা)

হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে,
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
যে ব্যক্তি শা’বানের মধ্য রাতে (শবে বরাতে) ইবাদত করবে তার জন্য সুসংবাদ এবং তার জন্য সমস্ত কল্যাণ।

কাজেই শবে বরাত-এর ফযীলতকে অস্বীকার বা বিরোধিতা করা কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফকেই অস্বীকার করা, যা কাট্টা কুফরী।
আর যে কুফরী করে সে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হিসেবে গণ্য

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: এক রাতে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: এক রাতে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন: ‘আপনি কি মনে করেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আপনার উপর জুলুম করবেন?’ আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন।
দলিলঃ
হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮),
তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২) বর্ণনা করেন,
ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেছেন

হাদীস শরীফে আছে, "হাসান ও হুসাইন" এই সম্মানিত নাম দুটো জান্নাতী নাম সমূহের দুটি নাম। আরবে জাহিলিয়াতের পূর্বে এই নাম কারো ছিলো।

হাদীস শরীফে আছে, "হাসান ও হুসাইন" এই সম্মানিত নাম দুটো জান্নাতী নাম সমূহের দুটি নাম। আরবে জাহিলিয়াতের পূর্বে এই নাম কারো ছিলো।"
অর্থাৎ পবিত্র হাদীস শরীফ থেকে বোঝা যাচ্ছে একমাত্র পৃথিবীতে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদরের দৌহিত্র হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের আগে আর কারো এই নাম ছিলো না। স্বয়ং আল্লাহ পাক এই নাম হাদীয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ্।
অথচ মানুষের অজ্ঞতা আর ইসলাম বিদ্বেষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা এই পবিত্র নাম মোবারককে উপহাসের পাত্র বানিয়েছে।
খবরে এসেছে, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গবেষণার জন্য এবার অষ্টম রেডিও ট্রান্সমিটারযুক্ত অজগর অবমুক্ত করা হলো। এ অজগরটির নাম রাখা হয়েছে "হাসান"।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটায় জানকিছড়া বিটে সাপটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। (সূত্রঃ http://goo.gl/n752U4)
আল্লাহ দুনিয়ায় নামের কি এতই অভাব পড়েছিলো যে একটা অজগর সাপের নাম "হাসান" রাখতে হবে? এটা কোন ধরনের অসভ্যতা? কোন পর্যায়ের বেয়াদবি ?
একজন ঈমানদার মুসলমান কখনো এটা মেনে নিতে পারে না। এটা ইসলামকে অবমাননা করার সমীল, নবী পরিবারকে বিদ্রুপ করার সামীল। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, অচিরেই অজগর সাপের নাম পরিবর্তন করুন। নইলে আল্লাহ পাকে আযাব থেকেও বাঁচবেন না সেই সাথে ইসলাম প্রিয় মুসলিম সমাজের রোষ থেকেও বাঁবেন না।
সবাই যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করুন, যদি ঈমানদার হয়ে থাকেন

তারাবির নামাজ কত রাকাত?কিছু মানুষ তারাবি নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত তারাবীহ নামাজ ২০ রাকআত। যারা বলে ৮ রাকাআত তাদের বক্তব্য সঠিক নয় ।

তারাবীহ নামাজ ২০ রাকআত
তারাবির নামাজ কত রাকাত?কিছু মানুষ তারাবি নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত
তারাবীহ নামাজ ২০ রাকআত। যারা বলে ৮ রাকাআত তাদের বক্তব্য সঠিক নয় । মুলত ধর্মপ্রান সাধারন মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষে আহলে হাদীস বা লামাজহাবী সম্প্রদায় ৮ রাকাআত তারাবীহ এই মতামতের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে ।
* সংশয় নিরসনের জন্য ৮ রাকআত বা এসংক্রান্ত বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্নিত হাদীস ও তার সঠিক মর্ম নিম্নে তুলে ধরা হল।
প্রথম হাদীসঃ-
আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন , রমজানে রাসুল (সাঃ) এর নামাজ কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বললেন , রাসুল (সাঃ) রমজানে ও অন্যান্য মাসে বিতির সহ এগার রাকআতের বশী পড়তেন না।
(বুখরী শরীফ হাঃ নং ১১৪৭)
দ্বিতীয় হাদীসঃ-
ইয়াহইয়া ইবনে আবু সালামা (রঃ) বলেন আমি রাসুল (সঃ) এর রাত্রী কালীন নামাজ সম্পর্কে আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম । উত্তরে তিনি বললেন, রাসুল(সঃ) রাত্রে তের রাকআত নামাজ আদায় করতেন । প্রথমে আট রাকাত পড়তেন , এর পর বিতির পড়তেন, তার পর দুই রাকত নামাজ বসে আদায় করতেন ।
( মুসলিম শরীফ- হাঃ নং ১৭২৪)
এজাতীয় হাদীস দ্বারা লা মাজহাবী সম্প্রদায়- তারাবীহ ৮ রাকাত এর উপর দলীল পেশ করে থাকে।
উপরোক্ত হাদীস সমূহের উত্তরঃ-
প্রথম উত্তর: আয়েশা (রাঃ) থেকে উপরোক্ত হাদীস দুটি যেমনি ভাবে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে ঠিক তেমনি মুসলিম শরীফেই আয়েশা (রাঃ) থেকে দশ রাকাতের হাদীস ও বর্ণিত আছে। যেমন:
হাদীসঃ-
কাসেম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , আমি আয়েশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসুল (সাঃ) রাত্রিতে দশ রাকাত নামাজ, এক রাকাত বিতির ,ও ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সহ মোট ১৩ রাকাত পড়তেন।
( মুসলিম শরীফ- হাঃ নং ১৭২৭)
এমন কি আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হদীস গুলোর প্রতি লক্ষ করলে বোঝা যায় রাসুল (সাঃ) রাত্রীকালীন নামাজ- কোন রাত্রীতে ১১ রাকাত ,কখনো ১৩ রাকাত কখনো ৯ রাকাত, আবার কখনো ৭ রাকাত ও, আদায় করতেন । সুতরাং আয়েশা (রাঃ) এর হাদীস দ্বারা কোন সংখ্যা নির্দিষ্ট করা সম্পুর্ন অযৌক্তিক।
দ্বিতীয় উত্তরঃ-
প্রকৃত পক্ষে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস গুলো তাহাজ্জুদ সম্পর্কিত , তারাবীহ সম্পর্কিত নয় । একারনেই হাদীস গ্রন্থাকারগন এজাতীয় হাদীসকে তাহাজ্জুদের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন , তারাবীর অধ্যায়ে উল্লেখ করেননি।
তৃতীয় উত্তরঃ-
আহলে হাদীসগন তারাবী ৮ রাকাত হওয়ার স্বপক্ষে যে হাদীসগুলো পেশ করে থাকেন, সে অনুযায়ী তারা নিজেরাই আমল করেন না। কেননা হাদীসে রমজান ও অন্যান্য মাসের কথাও উল্লেখ রয়েছে , অথচ তারা তাদের হাদীস অনুযায়ী অন্যান্য মাসে তারাবীহ পড়ে না।
বিশ রাকাত তারাবীর দলীল সমুহ:
১ নং হাদীসঃ-
সায়ের ইবনে ইয়াজিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন সাহাবা গন উমর (রাঃ) এর খেলাফত কালে রমজান মাসে বিশ রাকাত তারাবীহ পড়তেন ।
(বাইহাকী শরীফ-খঃ ২/৪৯৬ হাঃ নং ৪৬১৭)
২ নং হাদীসঃ-
ইয়াজিদ ইবনে রুমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ- হযরত উমর (রাঃ) এর যুগে সাহাবারা বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবীহ পড়তেন । (মুয়াত্তা মালেক খঃ ১পৃঃ ১১৫)
৩ নং হাদীসঃ-
আতা ইবনে আবী রাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি সাহাবাদেরকে বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবী পড়তে দেখেছি ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা – ৫/২২৪)
(উল্লেখিত সবগুলো হাদীস সহীহ)
এছাড়াও অসংখ্য হাদীস দ্বারা একথা সুস্পষ্ট রুপে প্রমানিত হয় যে, তারাবীহ নামাজ ২০ রাকাত যার উপর খোলাফয়ে রাশেদীন ,সমস্ত সাহাবা , তাবেই, তাবে তাবেই, সালফে সালেহীন গন, ঐক্যমতে আমল করেছেন। এবং চার মাজহাবের ইমাম গনও এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষন করেছেন ।
সুতরাং যারা ৮ রাকাত তারাবীর কথা বলেন ,তারা মুলত সরলমনা মুসলমানদের অন্তরে বিভ্রান্তির বিষ ঢেলে ইসলামকে বিতর্কিত করতে চান।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক