বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধে কি আসলে ভারত সাহয্য করেছিলো! সঠিক ইতিহাস জানা দরকার।

আমরা সাধারণত আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতকে বন্ধু হিসেবেই জানি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের সাহায্য করেছিলো বলে আমরা জানি। কিন্তু আমরা জানি না ভারত আমাদেরকে সাহায্য করেছিলো নিজেদের স্বার্থের জন্য। সে সময় পাকিস্তানি শোষণের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণ রুখে দাড়িয়েছিল এবং নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছিলো। এক সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এদেশের নিরীহ জনগণের উপর ঝাপিয়ে পরলে বাঙ্গালিরা তা প্রতিরোধ করেছিলো এবং তা থেকে শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধ। কিন্তু যে বাঙ্গালিরা লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনল সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাল্টিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে ভারতের কারণেই সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের বিজয় ছিনিয়ে আনা। অথচ বাংলাদেশের বিজয় যখন নিকটবর্তী তখন মাত্র ৯-১০ দিন আগে ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতত্ব ছিনিয়ে নিতে। সেই সাথে অসৎ উদ্দেশ্যে। তারা চেয়েছিলো পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পর ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশে থাকবে যদিও পরে তা সম্ভব হয়নি। কারণ, ভারতীয় সেনারা যখন বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে চাচ্ছিল না তখন লন্ডনে বঙ্গবন্ধু শত শত আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সামনে ভারতকে সৈন্য প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়। ফলে বাধ্য হয়ে সৈন্য প্রত্যাহার করে ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু জন্ম নেয় শত্রুতার। বঙ্গবন্ধুর উপর ক্ষেপে যায় ইন্দিরা গান্ধী। তাছাড়া ভারত চেয়েছিলো ভারত যেভাবে চাইবে সেভাবে কাজ করুক বঙ্গবন্ধু। কিন্তু বঙ্গবন্ধু দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়ে কোন কাজ করতে রাজি ছিলেন না। ফলে ভারতের আশা অপূর্ণই থেকে যায়। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু একে একে মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে থাকেন এবং স্বাধীনতার ৩-৪ বছরের মাথায় পাকিস্তানে ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে যান। ফলে ক্ষেপে যায় ভারত। তারপরেই র এর নীলনকশা । বঙ্গবন্ধু হত্যা করা হল।
মূলত, ভারত তাদের ইচ্ছামত সুযোগ আদায় করে নেয়। কিন্তু যখন সেই ব্যক্তির দ্বারা কাজ সমাধা হয়ে যায় তখনই তাকে হত্যঅ করা হয়। এখন ভারত এবং র চাচ্ছে শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রশাসনে গণহারে হিন্দু প্রবেশ করাতে। ফলে একসময় দেখা যাবে প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে হিন্দুদের আধিপত্য হয়ে গেছে তখন শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিবে। এবং একটি সফল মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন হবে। তাই বঙ্গবন্ধর মত পরিণতি যাতে ভোগ করতে না হয় সেজন্য শেখ হাসিনার উচিত সবসময় সতর্ক থাকা এবং দেশের গোয়েন্দা সয়স্থাকে সতর্ক রাখা। তাছাড়া ভারতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত এবং ষড়যন্ত্রকারী হিন্দুদের প্রশাসন থেকে বের করে দেওয়া উচিত। অন্যথায় শেখ হাসিনাকেও বঙ্গবন্ধুর মত পরিণতি ভোগ করা হতে পারে!
আল্লাহপাকই ভালো জানেন।
.
কালেক্টেড

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন