বাহাসে, ফুরফুরাশরিফ(সুন্নি) দের জয়, কওমিদের পরাজয়।
___________________
মুহম্মদ আসাদুজ্জামান সবুজ, যশোর:
__________________________
ফুরফুরা সিলসিলা ও কওমি হক্কানি আলেমদের মাঝে বাহাস আলোচনায় কওমি/ওহাবি/লা-মাযহাবি আলেমরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়েছে এলাকার ইসলামপ্রিয় সাধারণ মানুষ।
গত ১৬ মে ২০১৬ তারিখে ঝনঝনিয়া, বারোবাজার, কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহ স্থানীয় মুসল্লীবৃন্দ, MP ও T.N.O এর মাধ্যমে এক বাহাস মাহফিলের আয়োজন করা হয়। যেখানে কওমি/ওহাবি আলেমগণ বাহাসে উথাপিত বিষয়গুলোর কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
এতে স্থানীয় সাধারণ মুসল্লিবৃন্দ কওমি আলেমদের প্রতি খুব মনোক্ষুন্ন হয়েছে।
বাহাস মাহফিল সকাল ৯:০০ ঘটিকা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১:০০ টা পর্যন্ত একটানা চলতে থাকে।
বাহাসে ১ম পক্ষ কওমি আলেমদের পক্ষে ছিলো :
১। মুফতি হাবিবুর রহমান
২। মুফতি আব্দুর রাজ্জাক।
দড়াটানা মাদরাসা যশোর, ও আড়াদদা মাদরাসা, কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
ও আরো অনেকে।
এদিকে
বাহাসের ২য় পক্ষ ফুরফুরা সিলসিলা(সুন্নি) পক্ষে ছিলেন:
১। মুফতি মুহম্মদ শাহ আলম
ফুরফুরাশরিফ -ঢাকা।
ও আরো অনেকে।
বাহাসের বিষয় ছিলো যথাক্রমে
১। মিলাদশরিফ-ক্বিয়ামশরিফ।
২। নামাযের পর মুনাজাত করা।
৩। হুযুরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূর না মাটি।
এগুলা সহ মোট ৮৪টি বিষয়।
বাহাসের শর্ত ছিলো একপক্ষ প্রশ্ন করবে অপর পক্ষ উত্তর দিবে তারপর তারা প্রশ্ন করবে, উত্তর না দিলে প্রশ্ন করতে পারবে না।
কিন্তু জনগণের ক্ষোভ ১ম পক্ষ কওমিরা বারবার প্রশ্ন করতেছে এবং ২য় পক্ষ ফুরফুরা আলেমগণ বারবার বিভিন্ন হাদিসশরিফ, তাফসীর শরিফের কিতাব থেকে উত্তর দিচ্ছে।
কিন্তু যখনই ১ম পক্ষ কওমিদেরকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তারা বারবার প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছে এবং নিয়ম ভঙ্গ করে ফুরফুরাদের কে পাল্টা প্রশ্ন করতেছে।অর্থাৎ কওমিপন্থিরা কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনাই।
এতে আয়োজক কমিটি কওমিদের ছল-চাতুরিতে ক্ষুভ্ধ হয়ে বলে : " আপনারা (কওমিরা) সঠিক উত্তর দিয়ে তারপর প্রশ্ন করুণ।"
তারপরও কওমিরা সঠিক পথে হাটেনি।
এক পর্যায়ে ফুরফুরাশরিফের মুফতি শাহ আলম, কওমিদের কিতাব থেকে উদ্ধৃতি দেয় যে " আপনাদের বিগত কওমি আলেমরা ইতিপূর্বে সম্মিলিত মুনাজাত করেছে ও করতে নির্দেশ দিয়েছে এবং বলেছে যারা মুনাজাত করেনা এরা গুমরাহ।
তাহলে আপনারা সম্মিলিত মুনাজাত করেন না কেনো?? "
তখন কওমি পন্থিরা বলে " বাপ যা করেছে তা কি ছেলেদের করতে হবে? " মানে তারা তাদের মুরব্বিদের মানে না, যদিও একই
কিতাব এখনো তাদের মাদরাসায় পড়ানো হয়।
জনগণের ভাষায় এটা কওমিদের ছলচাতুরি ছাড়া কিছুইনা।
এদিকে কওমিদের এমন ছলচাতুরি ফলে আয়োজক কমিটি ভড়কে যায় কারণ কওমিদের বিরুদ্ধে টানটান উত্তেজনা।
এসময় ঝিনাইদহ T.N.O মনোয়ার হোসেন মুল্লার উপস্থিতিতে বলা হয় : এটা ইসলামি উচ্চ পর্যায়ের বিষয়। পরবর্তীতে একটা মিমাংশা করা হবে।
অর্থাৎ T.N.O ও আয়োজক কমিটি চাইনি এখানে একটা গন্ডগোল হোক।কারণ জনগণ কওমিদের উপর ক্ষ্যাপে গিয়েছিলো। যে কোনো মূহুর্তে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো।
এ প্রেক্ষিতে T.N.O কিছু বক্তব্য দিয়ে সবাইকে শান্ত করে।
বক্তব্যের শেষে বলেন : " আমি সরকারি দায়িক্তে আছি বলে বলছি, মৌলভি সাহেবদের উচিৎ হবে, মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে বলা, কারণ মৌলভি সাহেবরা বলে অনেক কাজ হয়।
তিনি আরো বলেন, " জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ এগুলো ইহুদি, খ্রিষ্টানদের তৈরি শুধু ইসলামকে ধংব্স করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোনো অস্তিত্ব নেই।
বলা বাহুল্য এসময় কওমি আলেমদের মুখের হাসি ফুরিয়ে যায় ও মুখ কালো হয়ে যায়।
কেনো এমন হলো তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
তারপর টি,এন,ও সকলের সুস্থতা কামনা করে বাহাস মাহফিল এখানে সমাপ্ত করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করে।
টি,এন,ও যাবার পর কওমিদের প্রধান মুফতি দ্রুত স্টেজ ত্যাগ করে।
এসময় জনগনের ভিতর টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে ও কওমিদের বিরুদ্ধে বলতে থাকে।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে পুলিশ সকলকে সরিয়ে দেয়।
চারিদিকে কওমিদের বিরুদ্ধে কানা-কানি শুরু হয়ে যায়।
স্থানীয় একজন মিন্টুর কাছে এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন:
কওমিদের ছল-চাতুরি এখন সবাই বুঝতে পেরেছে। ওরা (কওমি) আসলে ব্যাঙের ছাতার
মতো গজিয়ে উঠেছে, শুধু ইসলামকে কাটছাট করার জন্য। এদের উপর আল্লাহর গজব পড়বে।"
এদিকে স্থানীয় মুহম্মদ আসাদ নামে একজন বলে, কওমিরা বারবার প্রশ্ন করেছে কিন্তু নিজেরা কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।ওরা নিজেদের পূর্ববর্তী আলেমদেরকে মানেনা তাহলে এদের গোড়াই গলদ আছে।
এদিকে কওমি কিছু ছাত্র সাধারণ
জনগণের কাছে স্বিকার করেছে, " আমাদের হুজুররা এতো কিতাব আনলো কিন্তু কোনো দলিল দিতে পারলো না,এটা আমাদের কাছেও খুব খারাপ লেগেছে।"
এরপর কওমি ছাত্র-শিক্ষকরা ট্রাক ভরে স্থান ত্যাগ করে।
তারপর ফুরফুরা আলেমদের সাথে সাধারণ জনগণ মুসাফা করে, তারা স্থান ত্যাগ করে।
এভাবে বাহাস অনুষ্ঠান শেষ হয়।
।
।
নিউজ লিংক :
http://newsnine24.com/%E0%A6%AF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A4/
।
।
সুতরাং কওমিদের থেকে সাবধান থাকাই ঈমান বাচানোর একমাত্র পথ।
___________________
মুহম্মদ আসাদুজ্জামান সবুজ, যশোর:
__________________________
ফুরফুরা সিলসিলা ও কওমি হক্কানি আলেমদের মাঝে বাহাস আলোচনায় কওমি/ওহাবি/লা-মাযহাবি আলেমরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়েছে এলাকার ইসলামপ্রিয় সাধারণ মানুষ।
গত ১৬ মে ২০১৬ তারিখে ঝনঝনিয়া, বারোবাজার, কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহ স্থানীয় মুসল্লীবৃন্দ, MP ও T.N.O এর মাধ্যমে এক বাহাস মাহফিলের আয়োজন করা হয়। যেখানে কওমি/ওহাবি আলেমগণ বাহাসে উথাপিত বিষয়গুলোর কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
এতে স্থানীয় সাধারণ মুসল্লিবৃন্দ কওমি আলেমদের প্রতি খুব মনোক্ষুন্ন হয়েছে।
বাহাস মাহফিল সকাল ৯:০০ ঘটিকা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১:০০ টা পর্যন্ত একটানা চলতে থাকে।
বাহাসে ১ম পক্ষ কওমি আলেমদের পক্ষে ছিলো :
১। মুফতি হাবিবুর রহমান
২। মুফতি আব্দুর রাজ্জাক।
দড়াটানা মাদরাসা যশোর, ও আড়াদদা মাদরাসা, কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহ।
ও আরো অনেকে।
এদিকে
বাহাসের ২য় পক্ষ ফুরফুরা সিলসিলা(সুন্নি) পক্ষে ছিলেন:
১। মুফতি মুহম্মদ শাহ আলম
ফুরফুরাশরিফ -ঢাকা।
ও আরো অনেকে।
বাহাসের বিষয় ছিলো যথাক্রমে
১। মিলাদশরিফ-ক্বিয়ামশরিফ।
২। নামাযের পর মুনাজাত করা।
৩। হুযুরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূর না মাটি।
এগুলা সহ মোট ৮৪টি বিষয়।
বাহাসের শর্ত ছিলো একপক্ষ প্রশ্ন করবে অপর পক্ষ উত্তর দিবে তারপর তারা প্রশ্ন করবে, উত্তর না দিলে প্রশ্ন করতে পারবে না।
কিন্তু জনগণের ক্ষোভ ১ম পক্ষ কওমিরা বারবার প্রশ্ন করতেছে এবং ২য় পক্ষ ফুরফুরা আলেমগণ বারবার বিভিন্ন হাদিসশরিফ, তাফসীর শরিফের কিতাব থেকে উত্তর দিচ্ছে।
কিন্তু যখনই ১ম পক্ষ কওমিদেরকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তারা বারবার প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছে এবং নিয়ম ভঙ্গ করে ফুরফুরাদের কে পাল্টা প্রশ্ন করতেছে।অর্থাৎ কওমিপন্থিরা কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনাই।
এতে আয়োজক কমিটি কওমিদের ছল-চাতুরিতে ক্ষুভ্ধ হয়ে বলে : " আপনারা (কওমিরা) সঠিক উত্তর দিয়ে তারপর প্রশ্ন করুণ।"
তারপরও কওমিরা সঠিক পথে হাটেনি।
এক পর্যায়ে ফুরফুরাশরিফের মুফতি শাহ আলম, কওমিদের কিতাব থেকে উদ্ধৃতি দেয় যে " আপনাদের বিগত কওমি আলেমরা ইতিপূর্বে সম্মিলিত মুনাজাত করেছে ও করতে নির্দেশ দিয়েছে এবং বলেছে যারা মুনাজাত করেনা এরা গুমরাহ।
তাহলে আপনারা সম্মিলিত মুনাজাত করেন না কেনো?? "
তখন কওমি পন্থিরা বলে " বাপ যা করেছে তা কি ছেলেদের করতে হবে? " মানে তারা তাদের মুরব্বিদের মানে না, যদিও একই
কিতাব এখনো তাদের মাদরাসায় পড়ানো হয়।
জনগণের ভাষায় এটা কওমিদের ছলচাতুরি ছাড়া কিছুইনা।
এদিকে কওমিদের এমন ছলচাতুরি ফলে আয়োজক কমিটি ভড়কে যায় কারণ কওমিদের বিরুদ্ধে টানটান উত্তেজনা।
এসময় ঝিনাইদহ T.N.O মনোয়ার হোসেন মুল্লার উপস্থিতিতে বলা হয় : এটা ইসলামি উচ্চ পর্যায়ের বিষয়। পরবর্তীতে একটা মিমাংশা করা হবে।
অর্থাৎ T.N.O ও আয়োজক কমিটি চাইনি এখানে একটা গন্ডগোল হোক।কারণ জনগণ কওমিদের উপর ক্ষ্যাপে গিয়েছিলো। যে কোনো মূহুর্তে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো।
এ প্রেক্ষিতে T.N.O কিছু বক্তব্য দিয়ে সবাইকে শান্ত করে।
বক্তব্যের শেষে বলেন : " আমি সরকারি দায়িক্তে আছি বলে বলছি, মৌলভি সাহেবদের উচিৎ হবে, মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে বলা, কারণ মৌলভি সাহেবরা বলে অনেক কাজ হয়।
তিনি আরো বলেন, " জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ এগুলো ইহুদি, খ্রিষ্টানদের তৈরি শুধু ইসলামকে ধংব্স করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোনো অস্তিত্ব নেই।
বলা বাহুল্য এসময় কওমি আলেমদের মুখের হাসি ফুরিয়ে যায় ও মুখ কালো হয়ে যায়।
কেনো এমন হলো তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
তারপর টি,এন,ও সকলের সুস্থতা কামনা করে বাহাস মাহফিল এখানে সমাপ্ত করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করে।
টি,এন,ও যাবার পর কওমিদের প্রধান মুফতি দ্রুত স্টেজ ত্যাগ করে।
এসময় জনগনের ভিতর টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে ও কওমিদের বিরুদ্ধে বলতে থাকে।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে পুলিশ সকলকে সরিয়ে দেয়।
চারিদিকে কওমিদের বিরুদ্ধে কানা-কানি শুরু হয়ে যায়।
স্থানীয় একজন মিন্টুর কাছে এ প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন:
কওমিদের ছল-চাতুরি এখন সবাই বুঝতে পেরেছে। ওরা (কওমি) আসলে ব্যাঙের ছাতার
মতো গজিয়ে উঠেছে, শুধু ইসলামকে কাটছাট করার জন্য। এদের উপর আল্লাহর গজব পড়বে।"
এদিকে স্থানীয় মুহম্মদ আসাদ নামে একজন বলে, কওমিরা বারবার প্রশ্ন করেছে কিন্তু নিজেরা কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।ওরা নিজেদের পূর্ববর্তী আলেমদেরকে মানেনা তাহলে এদের গোড়াই গলদ আছে।
এদিকে কওমি কিছু ছাত্র সাধারণ
জনগণের কাছে স্বিকার করেছে, " আমাদের হুজুররা এতো কিতাব আনলো কিন্তু কোনো দলিল দিতে পারলো না,এটা আমাদের কাছেও খুব খারাপ লেগেছে।"
এরপর কওমি ছাত্র-শিক্ষকরা ট্রাক ভরে স্থান ত্যাগ করে।
তারপর ফুরফুরা আলেমদের সাথে সাধারণ জনগণ মুসাফা করে, তারা স্থান ত্যাগ করে।
এভাবে বাহাস অনুষ্ঠান শেষ হয়।
।
।
নিউজ লিংক :
http://newsnine24.com/%E0%A6%AF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A4/
।
।
সুতরাং কওমিদের থেকে সাবধান থাকাই ঈমান বাচানোর একমাত্র পথ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন