মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ’ উনার ৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন সম্বলিত দিবসগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিন সমস্ত কায়িনাতবাসীকে। নিশ্চয়ই এর মধ্যে ধৈর্যশীল ও শোকরগোজার বান্দা-বান্দী উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত রয়েছে।’
আগামী কাল দিবাগত রাত ইয়াওমুল ইসনাইনিল আজীম (পবিত্র সোমবার শরীফ) ঐতিহাসিক সুমহান বরকতময় পবিত্র ১৫ শা’বান শরীফ।
আগামী কাল দিবাগত রাত শবে বরাত এটা সবাই জানেন। কিন্তু আরেকটি বিশেষ দিন রয়েছে ------------>
সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম
আউওয়াল, ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ।
তিনি এই দিন পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম আউওয়াল, হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরাইশ বংশের হাশেমী শাখায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
হিজরী ৩য় সনের পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ১৫ তারিখ ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ বা বুধবার তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
**
আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন: যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে তাশরীফ আনেন এবং ইরশাদ মুবারক করেন: আমার সন্তান উনাকে আমায় দেখান, উনার কী নাম মুবারক রেখেছেন?
আমি বললাম: আমি উনার নাম মুবারক রেখেছি- ‘হারব’ (যুদ্ধ)। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন: বরং তিনি ইমাম ‘হাসান’ আলাইহিস সালাম। অর্থাৎ উনার নাম মুবারক হযরত হাসান আলাইহিস সালাম। উনার জিসিম মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সর্বাপেক্ষা বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল।
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম আউওয়াল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অপেক্ষা অপর কেউ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন না। সুবহানাল্লাহ!
**
মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণে ৪৯ হিজরী সনের ২৮শে ছফর শরীফ প্রায় ৪৬ বৎসর দুনিয়াবী বয়স মুবারক-এ তিনি পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন বা পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত।
সুবহানাল্লাহ!
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজকে অনেক মুসলিম এই দিবস এবং উনাদের শান-মান সম্পর্কে অবগত নয়। কিন্তু তারা উইলিয়াম সেক্সপিয়ার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আইনস্টাইন থেকে শুরু করে বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগারকে পর্যন্ত চিনে। কিন্তু যে সম্মানিত সত্ত্বা মোবারক ,যিনারা চাইলে মুহুর্তের মাঝে জাহান্নাম থেকে জান্নাতে নিয়ে যাবার সুপারিশ করতে পারবেন, উনাদের ব্যাপারে উদাসীন, অজ্ঞ, গাফিল ।
মহান আল্লাহ পাক সবাইকে হেদায়েত এবং সমস্ত মুসলমানদের হেফাজত করুন।
আমিন
আগামী কাল দিবাগত রাত ইয়াওমুল ইসনাইনিল আজীম (পবিত্র সোমবার শরীফ) ঐতিহাসিক সুমহান বরকতময় পবিত্র ১৫ শা’বান শরীফ।
আগামী কাল দিবাগত রাত শবে বরাত এটা সবাই জানেন। কিন্তু আরেকটি বিশেষ দিন রয়েছে ------------>
সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম
আউওয়াল, ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ।
তিনি এই দিন পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম আউওয়াল, হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরাইশ বংশের হাশেমী শাখায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
হিজরী ৩য় সনের পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ১৫ তারিখ ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ বা বুধবার তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
**
আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন: যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে তাশরীফ আনেন এবং ইরশাদ মুবারক করেন: আমার সন্তান উনাকে আমায় দেখান, উনার কী নাম মুবারক রেখেছেন?
আমি বললাম: আমি উনার নাম মুবারক রেখেছি- ‘হারব’ (যুদ্ধ)। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন: বরং তিনি ইমাম ‘হাসান’ আলাইহিস সালাম। অর্থাৎ উনার নাম মুবারক হযরত হাসান আলাইহিস সালাম। উনার জিসিম মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সর্বাপেক্ষা বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল।
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুল হুমাম আউওয়াল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অপেক্ষা অপর কেউ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধিকতর সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন না। সুবহানাল্লাহ!
**
মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণে ৪৯ হিজরী সনের ২৮শে ছফর শরীফ প্রায় ৪৬ বৎসর দুনিয়াবী বয়স মুবারক-এ তিনি পবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন বা পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত।
সুবহানাল্লাহ!
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজকে অনেক মুসলিম এই দিবস এবং উনাদের শান-মান সম্পর্কে অবগত নয়। কিন্তু তারা উইলিয়াম সেক্সপিয়ার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আইনস্টাইন থেকে শুরু করে বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগারকে পর্যন্ত চিনে। কিন্তু যে সম্মানিত সত্ত্বা মোবারক ,যিনারা চাইলে মুহুর্তের মাঝে জাহান্নাম থেকে জান্নাতে নিয়ে যাবার সুপারিশ করতে পারবেন, উনাদের ব্যাপারে উদাসীন, অজ্ঞ, গাফিল ।
মহান আল্লাহ পাক সবাইকে হেদায়েত এবং সমস্ত মুসলমানদের হেফাজত করুন।
আমিন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন