প্রতিবছর শবে বারাতে আমরা মসজিদে কিছু নতুন লোক দেখতে পাই যাদেরকে অন্য দিনগুলোতে মসজিদে দেখা যায়না, মাঝে মধ্যে জুম’আর নামাজে দেখা যায়। এসব লোকদেরকে আমরা একটু ভিন্ন চোখে দেখে থাকি। কটু মন্তব্য করে থাকি।
এটা ঠিক নয়।
আমরা বরং কেন বিষয়টিকে এভাবে দেখছিনা?
• যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করেনা তারা শবে বারাত উপলক্ষ্যে মসজিদে আসলে তার চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আসতে পারে।
• এ পরিবর্তনের ফলে সে তার কৃতকর্মের উপর অনুতপ্ত হয়ে চোখের অশ্রু ফেলে তাওবা করতে পারে।
• ইসলামের পথে চলতে সে মিনতি কন্ঠে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতে পারে।
• এর ফলে এ রাতের পর থেকে হেদায়াত প্রাপ্ত হয়ে নিয়মিত নামাজ আদায় সহ দ্বীনের অন্যান্য হুকুম আহকাম পালন করতঃ আল্লাহর প্রিয় বান্দাহ হয়ে যাতে পারে।
• আমার নিজ চোখে এমন পরিবর্তন কিছু লোকের মধ্যে দেখেছি যারা আগে নামাজ আদায় করতনা। এমন পরিবর্তন আসায় এখন তারা নিয়মিত জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছে। কোন ওয়াক্ত মিস হলে পেরেশান হয়ে আফসোস করছে আর জানতে চাচ্ছে, তাকে এখন কী করতে হবে?
• হেদায়াতের মালিক আল্লাহ তা’আলা। কে কখন হেদায়াত প্রাপ্ত হবে- একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।
কিন্তু
• আমরা তাদেরকে ভৎসনা করছি কেন?
• কেন আমরা তাদের সমালোচনা করতঃ তাদের অনুপস্থিতিতে “সারা বছর নামাজ রোযার খবর নাই, আর শবে বারাত আসলে পাঞ্জাবী পাজামা পরে মসজিদের একদম প্রথম কাতারে”- এসব বলে গীবত করছি?
• এদের কি মসজিদে আসার অধিকার নেই?
• কেন আমরা ভাবছিনা, এমন সমালোচনা যদি তাদের নিকট পৌঁছে, তবে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হতে পারে। একটি ছোট্ট আগ্রহ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে?
• কেন আমরা বিষয়টিকে অপ্টিমিস্টিক ভিঊতে জাজ করছিনা? কেন আমরা ভাবছিনা, তাদের এই ‘আসা’কে তাদের জীবনের একটি টারনিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে?
এভাবে কাউকে ছোট করা ইসলাম সমর্থন করেনা। ইসলাম আমাদেরকে আশার বাণী শুনিয়েছে। নিরাশ হতে নিষেধ করেছে। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, লা—তাকনাতু—মির রাহমাতিল্লা-হ, অর্থাৎ আল্লাহর রহমত থেকে তোমরা নিরাশ হয়োনা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আদ দী-নু আন নাসীহাহ, দীন ইসলাম হলো উপদেশের ধর্ম।
তিনি আরো বলেছেন,
يسروا ولا تعسروا، وبشروا ولا تنفروا
সহজ, সরল পন্থা অবলম্বন করবে, কঠোরতা প্রদর্শন করবে না। সুসংবাদ দাও ( সুন্দর কথা ও সুন্দর ব্যবহারে মহব্বতের প্রসার করো), ঘৃণা (নফরত) ছড়িয়ো না।’ (বুখারি)
এটা ঠিক নয়।
আমরা বরং কেন বিষয়টিকে এভাবে দেখছিনা?
• যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করেনা তারা শবে বারাত উপলক্ষ্যে মসজিদে আসলে তার চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আসতে পারে।
• এ পরিবর্তনের ফলে সে তার কৃতকর্মের উপর অনুতপ্ত হয়ে চোখের অশ্রু ফেলে তাওবা করতে পারে।
• ইসলামের পথে চলতে সে মিনতি কন্ঠে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করতে পারে।
• এর ফলে এ রাতের পর থেকে হেদায়াত প্রাপ্ত হয়ে নিয়মিত নামাজ আদায় সহ দ্বীনের অন্যান্য হুকুম আহকাম পালন করতঃ আল্লাহর প্রিয় বান্দাহ হয়ে যাতে পারে।
• আমার নিজ চোখে এমন পরিবর্তন কিছু লোকের মধ্যে দেখেছি যারা আগে নামাজ আদায় করতনা। এমন পরিবর্তন আসায় এখন তারা নিয়মিত জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছে। কোন ওয়াক্ত মিস হলে পেরেশান হয়ে আফসোস করছে আর জানতে চাচ্ছে, তাকে এখন কী করতে হবে?
• হেদায়াতের মালিক আল্লাহ তা’আলা। কে কখন হেদায়াত প্রাপ্ত হবে- একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।
কিন্তু
• আমরা তাদেরকে ভৎসনা করছি কেন?
• কেন আমরা তাদের সমালোচনা করতঃ তাদের অনুপস্থিতিতে “সারা বছর নামাজ রোযার খবর নাই, আর শবে বারাত আসলে পাঞ্জাবী পাজামা পরে মসজিদের একদম প্রথম কাতারে”- এসব বলে গীবত করছি?
• এদের কি মসজিদে আসার অধিকার নেই?
• কেন আমরা ভাবছিনা, এমন সমালোচনা যদি তাদের নিকট পৌঁছে, তবে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হতে পারে। একটি ছোট্ট আগ্রহ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে?
• কেন আমরা বিষয়টিকে অপ্টিমিস্টিক ভিঊতে জাজ করছিনা? কেন আমরা ভাবছিনা, তাদের এই ‘আসা’কে তাদের জীবনের একটি টারনিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে?
এভাবে কাউকে ছোট করা ইসলাম সমর্থন করেনা। ইসলাম আমাদেরকে আশার বাণী শুনিয়েছে। নিরাশ হতে নিষেধ করেছে। আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, লা—তাকনাতু—মির রাহমাতিল্লা-হ, অর্থাৎ আল্লাহর রহমত থেকে তোমরা নিরাশ হয়োনা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আদ দী-নু আন নাসীহাহ, দীন ইসলাম হলো উপদেশের ধর্ম।
তিনি আরো বলেছেন,
يسروا ولا تعسروا، وبشروا ولا تنفروا
সহজ, সরল পন্থা অবলম্বন করবে, কঠোরতা প্রদর্শন করবে না। সুসংবাদ দাও ( সুন্দর কথা ও সুন্দর ব্যবহারে মহব্বতের প্রসার করো), ঘৃণা (নফরত) ছড়িয়ো না।’ (বুখারি)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন