অর্ধ শা’বান তথা শবে বরাত সম্পর্কে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেছেন তা সর্বজনমান্য ও বিশ্বখ্যাত হাদীছগ্রন্থে রয়েছে কিতাবের নামসহ তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো
বিশ্ববিখ্যাত হাদীছগ্রন্থ “মিশকাত শরীফ”-এর ১১৪ পৃষ্ঠায় বাবু ক্বিয়ামি শাহ্রি রমাদ্বান-এ উল্লেখ আছে-
عن ام المؤمنين حضرت عائشة عليها السلام قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فاذا هو بالبقيع فقال اكنت تخافين ان يحيف الله عليك ورسوله قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى ظننت انك اتيت بعض نسائك فقال ان الله تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب. رواه الترمذى وابن ماجه.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা রাত্রিতে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অতঃপর তালাশ করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জান্নাতুল বাক্বী নামক স্থানে দেখতে পেলাম। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনি কি মনে করেন যে, আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার খিয়ানত করছেন? জবাবে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি মনে করেছিলাম যে, হয়তোবা আপনি আপনার অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন উনাদের হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর তখন উনাকে লক্ষ্য করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক অর্ধ শাবান তথা শবে বরাতে দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ হন (অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন) এবং ক্বালব গোত্রের মেষপালের পশম পরিমাণের চেয়েও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন। (আজ সেই রাত।)” (তিরমিযী শরীফ ৩/১১৫ : হাদীস ৭৩৯, ইবনে মাজাহ ১/১৪৪: হাদীস ১৩৮৯ , মুসনাদে আহমদ ১৮/১১৪ : হাদীস ২৫৮৯৬, ইবনে আবী শায়বা : হাদীস ৯৯০৭, মিশকাতুল মাছাবিহ ২/২৫৩: হাদীস ১২৯৯, ববিনে হিব্বান : হাদীস ৬২৬, জামেউছ ছগীল লিছ সূয়ুতী ১/১৪৬: ১৯৪২, কানযুল উম্মাল ৩/৪৬৪ : হাদীস ৭৪৫০, জামিউল আহাদিস : হাদীস ২৬২৪ , শরহুস সুন্নাহ ৪/১২৬ : হাদীস ৯৯২, ফাযায়েলুল ওয়াক্ত ১/১৩০: হাদীস ২৮, মুন্তাখাব মিনাল মুসনাদ ১/১৯৪, আত তাগরীব ওয়াত তারহীব ৪/১২৬ : ২৪, )
এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এর অন্যতম বিশুদ্ধ হাদীছ গ্রন্থ সিয়া সিত্তার অন্যতম কিতাব “ইবনে মাজাহ শরীফ”-এর মধ্যে অর্ধ শা’বানের তথা শবে বরাত সম্পর্কে একটি বাবও আনা হয়েছে। যেমন, “ইবনে মাজাহ শরীফ”-এর ১০০ পৃষ্ঠায়
باب ماجاء فى ليلة النصف من شعبان
এখন কথা হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান বা শবে বরাতের যদি অস্তিত্বই না থাকতো তবে ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র একটি অধ্যায় রচনা করলেন কেন ? এবং সে বাবে এই হাদীস শরীফ বর্ণনা করলেন কেন? হাফিজে হাদীস ইমমি ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কি সালাফীদের চাইতে হাদীস কম বুঝতেন ? নাউযুবিল্লাহ।
শুধু তাই নয় উক্ত হাদীস শরীফ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ইমাম হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
“উক্ত হাদীস শরীফটি সনদের দিক থেকে হাসান।” (দলীলঃ জামেউছ সগীর ১/১৪৬)
বিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত সিদ্দীকা আলাইহিস সালাম বর্ণিত উক্ত হাদীস শরীফটি হাসান। এবং সকল রাবী বিশ্বস্ত। যদিও সনদে ইনকেতা পাওয়া যায় তথাপিও একাধিক সনদে বর্ণিত থাকায় সহীহ লি গইরিহীর মর্যাদা পেয়েছে।
এখানে সালাফীরা একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে ফিৎনা ছড়ানোর চেষ্টা করে, সেটা হচ্ছে উক্ত হাদীস শরীফের সনদে ইমমি বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন উক্ত হাদীস শরীফের ইয়াহিয়া ইবনে আবি কাছীর হযরত উরউয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হাদীস শরীফ শ্রবন করেন নাই। কিন্তু ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ জরাহ ও তাদীলের ইমাম হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমান করেছেন ইয়াহিয়া ইবনে আবি কাছীর হযরত উরউয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হাদীস শরীফ শ্রবন করেছেন। (তিরমিীযি ৩/১১৫)
এখানেই শেষ নয়, উক্ত হাদীস শরীফ খানা জগৎ বিখ্যাত অসংখ্য ইমমি বর্ণনা করেছেন। তাদের মধ্যে আছেন হাম্বলী মযাহবারে ইমাম ও মুস্তাহিদ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, বিশিষ্ঠ ইমাম ইবনে আবী শায়বা রহমতুল্লাহি আলাইহি যার সনদে ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা অসংখ্য হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও সিয়া সিত্তার অন্যতম দুই ইমাম হযরত তিরমীযি রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারাও বর্ণনা করেছেন। এছাড়া পৃথিবী বিখ্যাত প্রায় ত্রিশ জন মুহাদ্দিস উক্ত হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছেন এবং কেউ কোন আপত্তি করেননি। তবে লা’মাযহাবীরা কেন আজ উক্ত হাদীস শরীফের বিরোধীতা করে ?
সূতরাং উক্ত সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা লাইলাতুন নিছফী মিন শাবান বা শবে বরাত স্পষ্ট ভাবেই প্রমানিত হলো
বিশ্ববিখ্যাত হাদীছগ্রন্থ “মিশকাত শরীফ”-এর ১১৪ পৃষ্ঠায় বাবু ক্বিয়ামি শাহ্রি রমাদ্বান-এ উল্লেখ আছে-
عن ام المؤمنين حضرت عائشة عليها السلام قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فاذا هو بالبقيع فقال اكنت تخافين ان يحيف الله عليك ورسوله قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى ظننت انك اتيت بعض نسائك فقال ان الله تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب. رواه الترمذى وابن ماجه.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা রাত্রিতে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অতঃপর তালাশ করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জান্নাতুল বাক্বী নামক স্থানে দেখতে পেলাম। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনি কি মনে করেন যে, আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার খিয়ানত করছেন? জবাবে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি মনে করেছিলাম যে, হয়তোবা আপনি আপনার অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন উনাদের হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর তখন উনাকে লক্ষ্য করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক অর্ধ শাবান তথা শবে বরাতে দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ হন (অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন) এবং ক্বালব গোত্রের মেষপালের পশম পরিমাণের চেয়েও অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন। (আজ সেই রাত।)” (তিরমিযী শরীফ ৩/১১৫ : হাদীস ৭৩৯, ইবনে মাজাহ ১/১৪৪: হাদীস ১৩৮৯ , মুসনাদে আহমদ ১৮/১১৪ : হাদীস ২৫৮৯৬, ইবনে আবী শায়বা : হাদীস ৯৯০৭, মিশকাতুল মাছাবিহ ২/২৫৩: হাদীস ১২৯৯, ববিনে হিব্বান : হাদীস ৬২৬, জামেউছ ছগীল লিছ সূয়ুতী ১/১৪৬: ১৯৪২, কানযুল উম্মাল ৩/৪৬৪ : হাদীস ৭৪৫০, জামিউল আহাদিস : হাদীস ২৬২৪ , শরহুস সুন্নাহ ৪/১২৬ : হাদীস ৯৯২, ফাযায়েলুল ওয়াক্ত ১/১৩০: হাদীস ২৮, মুন্তাখাব মিনাল মুসনাদ ১/১৯৪, আত তাগরীব ওয়াত তারহীব ৪/১২৬ : ২৪, )
এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এর অন্যতম বিশুদ্ধ হাদীছ গ্রন্থ সিয়া সিত্তার অন্যতম কিতাব “ইবনে মাজাহ শরীফ”-এর মধ্যে অর্ধ শা’বানের তথা শবে বরাত সম্পর্কে একটি বাবও আনা হয়েছে। যেমন, “ইবনে মাজাহ শরীফ”-এর ১০০ পৃষ্ঠায়
باب ماجاء فى ليلة النصف من شعبان
এখন কথা হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান বা শবে বরাতের যদি অস্তিত্বই না থাকতো তবে ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র একটি অধ্যায় রচনা করলেন কেন ? এবং সে বাবে এই হাদীস শরীফ বর্ণনা করলেন কেন? হাফিজে হাদীস ইমমি ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কি সালাফীদের চাইতে হাদীস কম বুঝতেন ? নাউযুবিল্লাহ।
শুধু তাই নয় উক্ত হাদীস শরীফ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ইমাম হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
“উক্ত হাদীস শরীফটি সনদের দিক থেকে হাসান।” (দলীলঃ জামেউছ সগীর ১/১৪৬)
বিখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত ইবনে হিব্বান রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত সিদ্দীকা আলাইহিস সালাম বর্ণিত উক্ত হাদীস শরীফটি হাসান। এবং সকল রাবী বিশ্বস্ত। যদিও সনদে ইনকেতা পাওয়া যায় তথাপিও একাধিক সনদে বর্ণিত থাকায় সহীহ লি গইরিহীর মর্যাদা পেয়েছে।
এখানে সালাফীরা একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে ফিৎনা ছড়ানোর চেষ্টা করে, সেটা হচ্ছে উক্ত হাদীস শরীফের সনদে ইমমি বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন উক্ত হাদীস শরীফের ইয়াহিয়া ইবনে আবি কাছীর হযরত উরউয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হাদীস শরীফ শ্রবন করেন নাই। কিন্তু ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ জরাহ ও তাদীলের ইমাম হযরত ইয়াহিয়া ইবনে মুঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমান করেছেন ইয়াহিয়া ইবনে আবি কাছীর হযরত উরউয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে হাদীস শরীফ শ্রবন করেছেন। (তিরমিীযি ৩/১১৫)
এখানেই শেষ নয়, উক্ত হাদীস শরীফ খানা জগৎ বিখ্যাত অসংখ্য ইমমি বর্ণনা করেছেন। তাদের মধ্যে আছেন হাম্বলী মযাহবারে ইমাম ও মুস্তাহিদ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, বিশিষ্ঠ ইমাম ইবনে আবী শায়বা রহমতুল্লাহি আলাইহি যার সনদে ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা অসংখ্য হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও সিয়া সিত্তার অন্যতম দুই ইমাম হযরত তিরমীযি রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারাও বর্ণনা করেছেন। এছাড়া পৃথিবী বিখ্যাত প্রায় ত্রিশ জন মুহাদ্দিস উক্ত হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছেন এবং কেউ কোন আপত্তি করেননি। তবে লা’মাযহাবীরা কেন আজ উক্ত হাদীস শরীফের বিরোধীতা করে ?
সূতরাং উক্ত সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা লাইলাতুন নিছফী মিন শাবান বা শবে বরাত স্পষ্ট ভাবেই প্রমানিত হলো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন