নূরুন আলা নূর, তাজেদারে মাদীনা, রহমাতুল্লীল আলামীন, সরোয়ারে কায়িনাত ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ তিনি নূরে মুজাসসাম তথা আপাদ
নূরের তৈরি।
হযরত জাবির রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্নিত
নুর সম্পর্কিত হাদিসটি
:
নুর সম্পর্কে হাদিস শরীফটি এভাবে বর্নিত আছেঃ
ﺣﻀﺮﺕ ﺟﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﷲ ﺭﺿﯽ ﺍﷲ ﻋﻨﮩﻤﺎ ﺳﮯ ﻣﺮﻭﯼ ﮨﮯ ﻓﺮﻣﺎﯾﺎ
ﮐﮧ
ﻣﯿﮟ ﻧﮯ ﺑﺎﺭﮔﺎﮦِ ﺭﺳﺎﻟﺖ ﻣﺂﺏ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺁﻟﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﯿﮟ ﻋﺮﺽ
ﮐﯿﺎ
: ﯾﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﷲ! ﻣﯿﺮﮮ ﻣﺎﮞ ﺑﺎﭖ ﺁﭖ ﭘﺮ ﻗﺮﺑﺎﻥ! ﻣﺠﮭﮯ ﺑﺘﺎﺋﯿﮟ ﮐﮧ
ﺍﷲ
ﺗﻌﺎﻟﯽٰ ﻧﮯ ﺳﺐ ﺳﮯ ﭘﮩﻠﮯ ﮐﺲ ﭼﯿﺰ ﮐﻮ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﯿﺎ؟ ﺣﻀﻮﺭ ﻧﺒﯽ ﺍﮐﺮﻡ
ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺁﻟﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﻧﮯ ﻓﺮﻣﺎﯾﺎ : ﺍﮮ ﺟﺎﺑﺮ! ﺑﮯ ﺷﮏ ﺍﷲ ﺗﻌﺎﻟﯽٰ
ﻧﮯ ﺗﻤﺎﻡ ﻣﺨﻠﻮﻕ ( ﮐﻮ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﺮﻧﮯ ) ﺳﮯ ﭘﮩﻠﮯ ﺗﯿﺮﮮ ﻧﺒﯽ ﮐﺎ ﻧﻮﺭ ﺍﭘﻨﮯ
ﻧﻮﺭ
(ﮐﮯ ﻓﯿﺾ ) ﺳﮯ ﭘﯿﺪﺍ ﻓﺮﻣﺎﯾﺎ، ﯾﮧ ﻧﻮﺭ ﺍﻟﻠﮧ ﺗﻌﺎﻟﯽٰ ﮐﯽ ﻣﺸﯿﺖ ﺳﮯ
ﺟﮩﺎﮞ
ﺍﺱ ﻧﮯ ﭼﺎﮨﺎ ﺳﯿﺮ ﮐﺮﺗﺎ ﺭﮨﺎ۔ ﺍﺱ ﻭﻗﺖ ﻧﮧ ﻟﻮﺡ ﺗﮭﯽ ﻧﮧ ﻗﻠﻢ، ﻧﮧ ﺟﻨﺖ
ﺗﮭﯽ ﻧﮧ ﺩﻭﺯﺥ، ﻧﮧ (ﮐﻮﺋﯽ ) ﻓﺮﺷﺘﮧ ﺗﮭﺎ ﻧﮧ ﺁﺳﻤﺎﻥ ﺗﮭﺎ ﻧﮧ ﺯﻣﯿﻦ، ﻧﮧ
ﺳﻮﺭﺝ
ﺗﮭﺎ ﻧﮧ ﭼﺎﻧﺪ، ﻧﮧ ﺟﻦ ﺗﮭﮯ ﺍﻭﺭ ﻧﮧ ﺍﻧﺴﺎﻥ، ﺟﺐ ﺍﷲ ﺗﻌﺎﻟﯽٰ ﻧﮯ ﺍﺭﺍﺩﮦ
ﻓﺮﻣﺎﯾﺎ ﮐﮧ ﻣﺨﻠﻮﻕ ﮐﻮ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﺮﮮ ﺗﻮ ﺍﺱ ﻧﮯ ﺍﺱ ﻧﻮﺭ ﮐﻮ ﭼﺎﺭ ﺣﺼﻮﮞ
ﻣﯿﮟ ﺗﻘﺴﯿﻢ ﮐﺮ ﺩﯾﺎ۔ ﭘﮩﻠﮯ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﻗﻠﻢ ﺑﻨﺎﯾﺎ، ﺩﻭﺳﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ
ﻟﻮﺡ
ﺍﻭﺭ ﺗﯿﺴﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﻋﺮﺵ ﺑﻨﺎﯾﺎ۔ ﭘﮭﺮ ﭼﻮﺗﮭﮯ ﺣﺼﮧ ﮐﻮ ( ﻣﺰﯾﺪ)
ﭼﺎﺭ
ﺣﺼﻮﮞ ﻣﯿﮟ ﺗﻘﺴﯿﻢ ﮐﯿﺎ ﺗﻮ ﭘﮩﻠﮯ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﻋﺮﺵ ﺍﭨﮭﺎﻧﮯ ﻭﺍﻟﮯ
ﻓﺮﺷﺘﮯ
ﺑﻨﺎﺋﮯ ﺍﻭﺭ ﺩﻭﺳﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﮐﺮﺳﯽ ﺍﻭﺭ ﺗﯿﺴﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﺑﺎﻗﯽ
ﻓﺮﺷﺘﮯ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﺌﮯ۔ ﭘﮭﺮ ﭼﻮﺗﮭﮯ ﺣﺼﮧ ﮐﻮ ﻣﺰﯾﺪ ﭼﺎﺭ ﺣﺼﻮﮞ ﻣﯿﮟ
ﺗﻘﺴﯿﻢ
ﮐﯿﺎ ﺗﻮ ﭘﮩﻠﮯ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﺁﺳﻤﺎﻥ ﺑﻨﺎﺋﮯ، ﺩﻭﺳﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﺯﻣﯿﻦ ﺍﻭﺭ
ﺗﯿﺴﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﺟﻨﺖ ﺍﻭﺭ ﺩﻭﺯﺥ ﺑﻨﺎﺋﯽ۔ ۔ ۔ ﯾﮧ ﻃﻮﯾﻞ ﺣﺪﯾﺚ ﮨﮯ۔
অর্থ : হযরত জাবির রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আরজ
করলেন, ইয়া
রসুলুল্লাহ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ! আমার
পিতা-মাতা আপনার
কদম মুবারক এ কুরবানি হোক, আপনি বলে দিন যে
আল্লাহ্ পাক
সর্ব প্রথম কি সৃষ্টি করেছেন? রসুলুল্লাহ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ
বললেন” হে জাবির রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ,
নিশ্চই আল্লাহ্ তা'য়ালা
সর্ব প্রথম আপনার নবী পাক ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ উনার
নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন !!”
তারপর সেই নূর মুবারক আল্লাহর কুদরতে ও ইচ্ছায়
ভ্রমণ রত
ছিল। কেননা ঐ সময় লওহ-কলম , জান্নাত – জাহান্নাম
ফেরেশতা ,
আসমান- জমিন কিছুই ছিল না । তারপর আল্লাহ্ পাক
মাখলুক সৃষ্টি করার
ইচ্ছা করলেন.. তখন এই নূর কে ৪ ভাগ করলেন.. প্রথম
ভাগ
দিয়ে কলম; দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে লৌহে-মাহফুজ; তৃতীয়
ভাগ
দিয়ে আরশ এবং চতুর্থ ভাগ দিয়ে বাকি সবকিছু সৃষ্টি
করলেন....।
হাদীসেরসনদটি নিম্নরূপঃ
১ম সূত্র:
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
↓
জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
↓
মুহম্মদ বিন মুনকাদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
মা’মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি
↓
আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
Note : জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্নিত
সনদটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি
ওনার (জান্নাতুল
খুলদ) নামক কিতাবে বর্ননা করেছেন।
২য় সুত্র : উক্ত হাদিস খানা শাব্দিক পরিবর্তন সহ
""উমর ইবনুল
খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু" থেকেও বর্নিত আছে ।
আব্দুল মালেক যিয়াদাতুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি
ওনার (ফাওয়াইদ)
কিতাবে বর্ননা করেছেন।
↓
স্ক্যান কপি সহ কিতাবের ছবি সহ রেফারেন্স সহ
দেয়া হল হল
যা দ্বারা এই হাদিসটি মুসান্নাফ কিতাবে ছিল,
আছে, থাকবে এবং
গ্রহনযোগ্যতা ২টাই প্রমান করার জন্য যথেষ্ট :(৩ ও ৪
নং ছবি)
√ মুসান্নাফ আব্দুর রজ্জাক ,আল জুয আল মাফকুদ মিন
আল জুয
আল ল আউওয়াল মিন অাল মুসান্নাফ আব্দুর রজ্জাক
(১নং ছবি)
√ইমামকাস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার
মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া ১ম
খন্ড, ৭১ পৃঃ)
√ ইমাম যুরকানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার শরহে
মাওয়াহিবে
লাদুন্নিয়া ১ম খন্ড, ৮৯-৯১ পৃঃ)
► হযরত আজলুনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাশফ
আল খফা( ﻭﻗﺎﻝ
: ﺭﻭﺍﻩ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺑﺴﻨﺪﻩ ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﷲ ﺭﺿﻲ ﺍﷲ ﻋﻨﻬﻤﺎ )
পৃঃ
৩১১, ১ম খন্ড, হাদীস নং-৮২৭ )
ইমাম আজলুনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, " এ ইমাম
আব্দুর
রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার রেওয়াত
যিনি নিজ সনদে তা
বর্ননা করেছেন "
►সিরাতে হালাবিয়া পৃঃ৫০,১ম খন্ড
► আশরাফ আলী থানভীর নশরুততীব পৃ১৩ ১ম খন্ড
ইমাম ইয়দারুসি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন," এ ইমাম
আব্দুর রাজ্জাক
রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর রেওয়াত যিনি স্বয়ং নিজ
সনদে বর্ননা
করেছেন "
√ তারিখ আন নূর আস সাফির ,পৃঃ ৮,১ম খন্ড
মুহাদ্দিসে আব্দুল হক দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
বলেন, "
এই হাদিসটি সহিহ এবং এর ভিত্তি আছে "
[মাদারিজুন নবুওওয়াত, পৃ২ ২য় খন্ড (পারস্যে
সম্পাদিত)
পৃঃ১৩ ২য় খন্ড(ঊর্দু সম্পাদনা,শাব্বীর ব্রাদার্স
পাবলিকেশন্স,ঊর্
দূ, লাহোর বাজার]
√আন নিয়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম ফি মাওলিদি
সাইয়্যিদি উলদি আদম
√জাওয়াহির আল বিহার (পৃঃ৩৫৪,৩য় খন্ড)
√আনওয়ারুল মুহম্মদিয়া শরহে মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া
এই হাদিস শরীফটি আরো বিভিন্ন কিতাবে বর্নিত
আছে:-
দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
যুরকানী শরীফ ১/৪৬
রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
মাতালিউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ
ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ
আন-নিআমাতুল কুবরা আলাল আলাম ফি মাওলিদি
সাইয়্যিদি উলদি আদম
২ পৃ
হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫
দাইলামী শরীফ ২/১৯১
মাকতুবাত শরীফ ৩য় খন্ড ১০০ নং
মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
ইনছানুল উয়ুন ১/২৯
নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ
আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ
আফদ্বালুল ক্বুরা
তারীখুল খমীস ১/২০
নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড
দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ
কাশফুল খফা ১/৩১১
তারিখ আননূর ১/৮
আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮
আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০ পৃষ্ঠা ।
তাওয়ারীখে মুহম্মদ
আনফাসে রহীমিয়া
মা’আরিফে মুহম্মদী
মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০
আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩
শিহাবুছ ছাকিব ৫০
মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ
রিসালায়ে নূর ২ পৃ
হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ
দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩
_________________________________________________
জায আল মাফকুদ, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক
রহমাতুল্লাহি আলাইহি
উনার বৈধ্যতা ও ইতিহাস :(ছবিতে দেখুন )
যখন " মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক " প্রথম প্রকাশিত
হয় সেটা ছিল
অসম্পুর্ন তা নিচের উক্ত প্রথম প্রকাশিত কিতাবের
ভাষ্য
থেকে দেখুন :-
অর্থ : এই কপি যেটা আমরা লিখিত (বা কপি করা)
পেয়েছিলাম
আমরা এটা ব্যবহারের জন্য গৃহীত করেছিলাম, এটার
পুরো
কপিটা সম্পুর্ন নেই। তাই সর্বসাধারনকে জানানো
যাচ্ছে যে,
এই কপি টা অসম্পুর্ন এবং আমরা একটা খালি পৃষ্টা
রেখে দিলাম
আমরা আশা রাখছি কোন ইসলামিক পন্ডিত বা
বিশেষজ্ঞ আমাদের
এই অংশটা পুর্ন করতে সাহায্য করবে
মুসান্নাফ কিতাবের হারিয়ে যাওয়া অধ্যায়
.
সারা বিশ্বে অত্যন্ত খুঁজাখুঁজির পর এই হারিয়ে
যাওয়া অধ্যায়টা
শেষে তুর্কিস্থানের এক লাইব্রেরীতে সন্ধান মিলে।
এর আসল ইবারত গুলো দেখুন :-(মূল ইবারত ছবিতে)
এই হাদিসটি মুসান্নাফ কিতাবে রয়েছে বিভিন্ন
কিতাবের ছবি সহ তার
প্রমান :-
ইসলামের উচ্চতর পর্যায়ের অনেক আলিমগন এই হাদিস
তাদের
কিতাবে উল্লেখ্য করেছেন এবং মুল সুত্র ইমাম আব্দুর
রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বলে উল্লেখ্য
করেছেন। যা এই হাদিসের অস্তিত্ব প্রমান করাররার
জন্য
যথেষ্ট। আল্লামা আলুসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
বলেন, ………
(সংক্ষিপ্ত)"হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু!
আল্লাহ পাক
সর্বপ্রথম আপনার নবীজি পাক ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ
উনার নূর মুবারক
সৃষ্টি করেছেন৷" ★ ইমাম বায়হাকী রহমাতুল্লাহি
আলাইহি তিনি উক্ত
বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ বলে
উল্লেখ
করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা বায়হাক্বী
রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে
বলা হয় – ” ইমাম
বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয়
যুগের হাদীস
শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী
ব্যক্তিত্ব।
উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে
হাদীস এমন সাত ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ
সবচাইতে
উৎকৃষ্ট বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন,
ইমাম বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।”
রেফারেন্স : আসমাউর
রেজাল-বাবে আইম্মাতুল হাদীস। ★এই জগৎবিখ্যত
মুহাদ্দিস ইমাম,
আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার
কিতাবে বর্ননা
করেন– ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ “….. নিশ্চয়ই
মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার নবী ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ উনার “নূর” মুবারক সৃষ্টি করেন।” রেফারেন্স :
√দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩
পৃষ্ঠা। উক্ত
হাদিস সম্পর্কে সমর্থনকারী আলিমদের বিবৃতি
দ্বারা উপরোক্ত
সনদ এবং হাদিসের মান নির্নয় করিঃ ★গাউসে
সামাদানী, মাহবুবে
সুবহানী, গাউসুল আযম দস্তগীর শায়িখ আব্দুল কাদির
জিলানী
রহমাতুল্লাহি আলাইহি →→ তিনি উনার বিখ্যাত
কিতাব "সিররুল আসরার ফিমা
ইয়াহতাজু ইলাইয়াহ আল আবরার"পৃ ১২-১৪ লাহোরে
সম্পাদিত)
উনাতে বলেন, "আমি(হুযূর পাক ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ )
আল্লাহ পাক উনার সৃষ্ট নুর মুবারক থেকে সৃষ্ট আর
আমার নুর
মুবারক থেকে সমস্ত বিশ্বাসীগন (ও সমস্ত কিছু) সৃষ্ট।"
তিনি
তাঁার লিখিত অপর এক কিতাবে বলেন, নূরে
মুজাস্সাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ এর
নুর
থেকে আল্লাহ পাক আরশ সৃষ্টি এবং এমন আরো কিছু
(যা
হাদিসে প্রথম) সৃষ্টি যেমন কলম, বুদ্ধিমত্তা। [ রহস্যের
রহস্য
(ক্যামব্রিজঃইসলামিক স্টেট সোসাইটি ,১৯৯৪The
Secret of
Secrets (Cambridge: Islamic Texts Society, 1994)]
★হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহিঃ
মুসান্নাফ
কিতাব থেকে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি
আলাইহি তাঁর
রেওয়াতকৃত এই হাদিস শরীফটি বর্ননা করায় প্রমান
হয়ে গেল
যে এটি জাল হাদিস নয় বরং গ্রহনযোগ্য হাদিস এবং
মুসান্নাফ
কিতাবে এটি রয়েছে। এজন্য তিনি নুরে হাবীবী صلي الله عليه و سلم
এর সৃষ্টির রহস্য এই হাদিস
শরীফ দ্বারা বর্ননা করেছেন।
নূরের তৈরি।
হযরত জাবির রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্নিত
নুর সম্পর্কিত হাদিসটি
:
নুর সম্পর্কে হাদিস শরীফটি এভাবে বর্নিত আছেঃ
ﺣﻀﺮﺕ ﺟﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﷲ ﺭﺿﯽ ﺍﷲ ﻋﻨﮩﻤﺎ ﺳﮯ ﻣﺮﻭﯼ ﮨﮯ ﻓﺮﻣﺎﯾﺎ
ﮐﮧ
ﻣﯿﮟ ﻧﮯ ﺑﺎﺭﮔﺎﮦِ ﺭﺳﺎﻟﺖ ﻣﺂﺏ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺁﻟﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﯿﮟ ﻋﺮﺽ
ﮐﯿﺎ
: ﯾﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﷲ! ﻣﯿﺮﮮ ﻣﺎﮞ ﺑﺎﭖ ﺁﭖ ﭘﺮ ﻗﺮﺑﺎﻥ! ﻣﺠﮭﮯ ﺑﺘﺎﺋﯿﮟ ﮐﮧ
ﺍﷲ
ﺗﻌﺎﻟﯽٰ ﻧﮯ ﺳﺐ ﺳﮯ ﭘﮩﻠﮯ ﮐﺲ ﭼﯿﺰ ﮐﻮ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﯿﺎ؟ ﺣﻀﻮﺭ ﻧﺒﯽ ﺍﮐﺮﻡ
ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺁﻟﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﻧﮯ ﻓﺮﻣﺎﯾﺎ : ﺍﮮ ﺟﺎﺑﺮ! ﺑﮯ ﺷﮏ ﺍﷲ ﺗﻌﺎﻟﯽٰ
ﻧﮯ ﺗﻤﺎﻡ ﻣﺨﻠﻮﻕ ( ﮐﻮ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﺮﻧﮯ ) ﺳﮯ ﭘﮩﻠﮯ ﺗﯿﺮﮮ ﻧﺒﯽ ﮐﺎ ﻧﻮﺭ ﺍﭘﻨﮯ
ﻧﻮﺭ
(ﮐﮯ ﻓﯿﺾ ) ﺳﮯ ﭘﯿﺪﺍ ﻓﺮﻣﺎﯾﺎ، ﯾﮧ ﻧﻮﺭ ﺍﻟﻠﮧ ﺗﻌﺎﻟﯽٰ ﮐﯽ ﻣﺸﯿﺖ ﺳﮯ
ﺟﮩﺎﮞ
ﺍﺱ ﻧﮯ ﭼﺎﮨﺎ ﺳﯿﺮ ﮐﺮﺗﺎ ﺭﮨﺎ۔ ﺍﺱ ﻭﻗﺖ ﻧﮧ ﻟﻮﺡ ﺗﮭﯽ ﻧﮧ ﻗﻠﻢ، ﻧﮧ ﺟﻨﺖ
ﺗﮭﯽ ﻧﮧ ﺩﻭﺯﺥ، ﻧﮧ (ﮐﻮﺋﯽ ) ﻓﺮﺷﺘﮧ ﺗﮭﺎ ﻧﮧ ﺁﺳﻤﺎﻥ ﺗﮭﺎ ﻧﮧ ﺯﻣﯿﻦ، ﻧﮧ
ﺳﻮﺭﺝ
ﺗﮭﺎ ﻧﮧ ﭼﺎﻧﺪ، ﻧﮧ ﺟﻦ ﺗﮭﮯ ﺍﻭﺭ ﻧﮧ ﺍﻧﺴﺎﻥ، ﺟﺐ ﺍﷲ ﺗﻌﺎﻟﯽٰ ﻧﮯ ﺍﺭﺍﺩﮦ
ﻓﺮﻣﺎﯾﺎ ﮐﮧ ﻣﺨﻠﻮﻕ ﮐﻮ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﺮﮮ ﺗﻮ ﺍﺱ ﻧﮯ ﺍﺱ ﻧﻮﺭ ﮐﻮ ﭼﺎﺭ ﺣﺼﻮﮞ
ﻣﯿﮟ ﺗﻘﺴﯿﻢ ﮐﺮ ﺩﯾﺎ۔ ﭘﮩﻠﮯ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﻗﻠﻢ ﺑﻨﺎﯾﺎ، ﺩﻭﺳﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ
ﻟﻮﺡ
ﺍﻭﺭ ﺗﯿﺴﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﻋﺮﺵ ﺑﻨﺎﯾﺎ۔ ﭘﮭﺮ ﭼﻮﺗﮭﮯ ﺣﺼﮧ ﮐﻮ ( ﻣﺰﯾﺪ)
ﭼﺎﺭ
ﺣﺼﻮﮞ ﻣﯿﮟ ﺗﻘﺴﯿﻢ ﮐﯿﺎ ﺗﻮ ﭘﮩﻠﮯ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﻋﺮﺵ ﺍﭨﮭﺎﻧﮯ ﻭﺍﻟﮯ
ﻓﺮﺷﺘﮯ
ﺑﻨﺎﺋﮯ ﺍﻭﺭ ﺩﻭﺳﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﮐﺮﺳﯽ ﺍﻭﺭ ﺗﯿﺴﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﺑﺎﻗﯽ
ﻓﺮﺷﺘﮯ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﺌﮯ۔ ﭘﮭﺮ ﭼﻮﺗﮭﮯ ﺣﺼﮧ ﮐﻮ ﻣﺰﯾﺪ ﭼﺎﺭ ﺣﺼﻮﮞ ﻣﯿﮟ
ﺗﻘﺴﯿﻢ
ﮐﯿﺎ ﺗﻮ ﭘﮩﻠﮯ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﺁﺳﻤﺎﻥ ﺑﻨﺎﺋﮯ، ﺩﻭﺳﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﺯﻣﯿﻦ ﺍﻭﺭ
ﺗﯿﺴﺮﮮ ﺣﺼﮧ ﺳﮯ ﺟﻨﺖ ﺍﻭﺭ ﺩﻭﺯﺥ ﺑﻨﺎﺋﯽ۔ ۔ ۔ ﯾﮧ ﻃﻮﯾﻞ ﺣﺪﯾﺚ ﮨﮯ۔
অর্থ : হযরত জাবির রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আরজ
করলেন, ইয়া
রসুলুল্লাহ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ! আমার
পিতা-মাতা আপনার
কদম মুবারক এ কুরবানি হোক, আপনি বলে দিন যে
আল্লাহ্ পাক
সর্ব প্রথম কি সৃষ্টি করেছেন? রসুলুল্লাহ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ
বললেন” হে জাবির রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ,
নিশ্চই আল্লাহ্ তা'য়ালা
সর্ব প্রথম আপনার নবী পাক ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ উনার
নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন !!”
তারপর সেই নূর মুবারক আল্লাহর কুদরতে ও ইচ্ছায়
ভ্রমণ রত
ছিল। কেননা ঐ সময় লওহ-কলম , জান্নাত – জাহান্নাম
ফেরেশতা ,
আসমান- জমিন কিছুই ছিল না । তারপর আল্লাহ্ পাক
মাখলুক সৃষ্টি করার
ইচ্ছা করলেন.. তখন এই নূর কে ৪ ভাগ করলেন.. প্রথম
ভাগ
দিয়ে কলম; দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে লৌহে-মাহফুজ; তৃতীয়
ভাগ
দিয়ে আরশ এবং চতুর্থ ভাগ দিয়ে বাকি সবকিছু সৃষ্টি
করলেন....।
হাদীসেরসনদটি নিম্নরূপঃ
১ম সূত্র:
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
↓
জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
↓
মুহম্মদ বিন মুনকাদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
মা’মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি
↓
আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
Note : জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু
থেকে বর্নিত
সনদটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি
ওনার (জান্নাতুল
খুলদ) নামক কিতাবে বর্ননা করেছেন।
২য় সুত্র : উক্ত হাদিস খানা শাব্দিক পরিবর্তন সহ
""উমর ইবনুল
খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু" থেকেও বর্নিত আছে ।
আব্দুল মালেক যিয়াদাতুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি
ওনার (ফাওয়াইদ)
কিতাবে বর্ননা করেছেন।
↓
স্ক্যান কপি সহ কিতাবের ছবি সহ রেফারেন্স সহ
দেয়া হল হল
যা দ্বারা এই হাদিসটি মুসান্নাফ কিতাবে ছিল,
আছে, থাকবে এবং
গ্রহনযোগ্যতা ২টাই প্রমান করার জন্য যথেষ্ট :(৩ ও ৪
নং ছবি)
√ মুসান্নাফ আব্দুর রজ্জাক ,আল জুয আল মাফকুদ মিন
আল জুয
আল ল আউওয়াল মিন অাল মুসান্নাফ আব্দুর রজ্জাক
(১নং ছবি)
√ইমামকাস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার
মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া ১ম
খন্ড, ৭১ পৃঃ)
√ ইমাম যুরকানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার শরহে
মাওয়াহিবে
লাদুন্নিয়া ১ম খন্ড, ৮৯-৯১ পৃঃ)
► হযরত আজলুনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাশফ
আল খফা( ﻭﻗﺎﻝ
: ﺭﻭﺍﻩ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺑﺴﻨﺪﻩ ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﷲ ﺭﺿﻲ ﺍﷲ ﻋﻨﻬﻤﺎ )
পৃঃ
৩১১, ১ম খন্ড, হাদীস নং-৮২৭ )
ইমাম আজলুনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, " এ ইমাম
আব্দুর
রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার রেওয়াত
যিনি নিজ সনদে তা
বর্ননা করেছেন "
►সিরাতে হালাবিয়া পৃঃ৫০,১ম খন্ড
► আশরাফ আলী থানভীর নশরুততীব পৃ১৩ ১ম খন্ড
ইমাম ইয়দারুসি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন," এ ইমাম
আব্দুর রাজ্জাক
রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর রেওয়াত যিনি স্বয়ং নিজ
সনদে বর্ননা
করেছেন "
√ তারিখ আন নূর আস সাফির ,পৃঃ ৮,১ম খন্ড
মুহাদ্দিসে আব্দুল হক দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
বলেন, "
এই হাদিসটি সহিহ এবং এর ভিত্তি আছে "
[মাদারিজুন নবুওওয়াত, পৃ২ ২য় খন্ড (পারস্যে
সম্পাদিত)
পৃঃ১৩ ২য় খন্ড(ঊর্দু সম্পাদনা,শাব্বীর ব্রাদার্স
পাবলিকেশন্স,ঊর্
দূ, লাহোর বাজার]
√আন নিয়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম ফি মাওলিদি
সাইয়্যিদি উলদি আদম
√জাওয়াহির আল বিহার (পৃঃ৩৫৪,৩য় খন্ড)
√আনওয়ারুল মুহম্মদিয়া শরহে মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া
এই হাদিস শরীফটি আরো বিভিন্ন কিতাবে বর্নিত
আছে:-
দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
যুরকানী শরীফ ১/৪৬
রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
মাতালিউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ
ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ
আন-নিআমাতুল কুবরা আলাল আলাম ফি মাওলিদি
সাইয়্যিদি উলদি আদম
২ পৃ
হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫
দাইলামী শরীফ ২/১৯১
মাকতুবাত শরীফ ৩য় খন্ড ১০০ নং
মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
ইনছানুল উয়ুন ১/২৯
নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ
আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ
আফদ্বালুল ক্বুরা
তারীখুল খমীস ১/২০
নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড
দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ
কাশফুল খফা ১/৩১১
তারিখ আননূর ১/৮
আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮
আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০ পৃষ্ঠা ।
তাওয়ারীখে মুহম্মদ
আনফাসে রহীমিয়া
মা’আরিফে মুহম্মদী
মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০
আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩
শিহাবুছ ছাকিব ৫০
মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ
রিসালায়ে নূর ২ পৃ
হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ
দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩
_________________________________________________
জায আল মাফকুদ, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক
রহমাতুল্লাহি আলাইহি
উনার বৈধ্যতা ও ইতিহাস :(ছবিতে দেখুন )
যখন " মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক " প্রথম প্রকাশিত
হয় সেটা ছিল
অসম্পুর্ন তা নিচের উক্ত প্রথম প্রকাশিত কিতাবের
ভাষ্য
থেকে দেখুন :-
অর্থ : এই কপি যেটা আমরা লিখিত (বা কপি করা)
পেয়েছিলাম
আমরা এটা ব্যবহারের জন্য গৃহীত করেছিলাম, এটার
পুরো
কপিটা সম্পুর্ন নেই। তাই সর্বসাধারনকে জানানো
যাচ্ছে যে,
এই কপি টা অসম্পুর্ন এবং আমরা একটা খালি পৃষ্টা
রেখে দিলাম
আমরা আশা রাখছি কোন ইসলামিক পন্ডিত বা
বিশেষজ্ঞ আমাদের
এই অংশটা পুর্ন করতে সাহায্য করবে
মুসান্নাফ কিতাবের হারিয়ে যাওয়া অধ্যায়
.
সারা বিশ্বে অত্যন্ত খুঁজাখুঁজির পর এই হারিয়ে
যাওয়া অধ্যায়টা
শেষে তুর্কিস্থানের এক লাইব্রেরীতে সন্ধান মিলে।
এর আসল ইবারত গুলো দেখুন :-(মূল ইবারত ছবিতে)
এই হাদিসটি মুসান্নাফ কিতাবে রয়েছে বিভিন্ন
কিতাবের ছবি সহ তার
প্রমান :-
ইসলামের উচ্চতর পর্যায়ের অনেক আলিমগন এই হাদিস
তাদের
কিতাবে উল্লেখ্য করেছেন এবং মুল সুত্র ইমাম আব্দুর
রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বলে উল্লেখ্য
করেছেন। যা এই হাদিসের অস্তিত্ব প্রমান করাররার
জন্য
যথেষ্ট। আল্লামা আলুসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
বলেন, ………
(সংক্ষিপ্ত)"হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু!
আল্লাহ পাক
সর্বপ্রথম আপনার নবীজি পাক ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ
উনার নূর মুবারক
সৃষ্টি করেছেন৷" ★ ইমাম বায়হাকী রহমাতুল্লাহি
আলাইহি তিনি উক্ত
বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ বলে
উল্লেখ
করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা বায়হাক্বী
রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে
বলা হয় – ” ইমাম
বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয়
যুগের হাদীস
শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী
ব্যক্তিত্ব।
উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে
হাদীস এমন সাত ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ
সবচাইতে
উৎকৃষ্ট বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন,
ইমাম বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।”
রেফারেন্স : আসমাউর
রেজাল-বাবে আইম্মাতুল হাদীস। ★এই জগৎবিখ্যত
মুহাদ্দিস ইমাম,
আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার
কিতাবে বর্ননা
করেন– ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ “….. নিশ্চয়ই
মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার নবী ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ উনার “নূর” মুবারক সৃষ্টি করেন।” রেফারেন্স :
√দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩
পৃষ্ঠা। উক্ত
হাদিস সম্পর্কে সমর্থনকারী আলিমদের বিবৃতি
দ্বারা উপরোক্ত
সনদ এবং হাদিসের মান নির্নয় করিঃ ★গাউসে
সামাদানী, মাহবুবে
সুবহানী, গাউসুল আযম দস্তগীর শায়িখ আব্দুল কাদির
জিলানী
রহমাতুল্লাহি আলাইহি →→ তিনি উনার বিখ্যাত
কিতাব "সিররুল আসরার ফিমা
ইয়াহতাজু ইলাইয়াহ আল আবরার"পৃ ১২-১৪ লাহোরে
সম্পাদিত)
উনাতে বলেন, "আমি(হুযূর পাক ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ )
আল্লাহ পাক উনার সৃষ্ট নুর মুবারক থেকে সৃষ্ট আর
আমার নুর
মুবারক থেকে সমস্ত বিশ্বাসীগন (ও সমস্ত কিছু) সৃষ্ট।"
তিনি
তাঁার লিখিত অপর এক কিতাবে বলেন, নূরে
মুজাস্সাম,
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ এর
নুর
থেকে আল্লাহ পাক আরশ সৃষ্টি এবং এমন আরো কিছু
(যা
হাদিসে প্রথম) সৃষ্টি যেমন কলম, বুদ্ধিমত্তা। [ রহস্যের
রহস্য
(ক্যামব্রিজঃইসলামিক স্টেট সোসাইটি ,১৯৯৪The
Secret of
Secrets (Cambridge: Islamic Texts Society, 1994)]
★হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহিঃ
মুসান্নাফ
কিতাব থেকে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি
আলাইহি তাঁর
রেওয়াতকৃত এই হাদিস শরীফটি বর্ননা করায় প্রমান
হয়ে গেল
যে এটি জাল হাদিস নয় বরং গ্রহনযোগ্য হাদিস এবং
মুসান্নাফ
কিতাবে এটি রয়েছে। এজন্য তিনি নুরে হাবীবী صلي الله عليه و سلم
এর সৃষ্টির রহস্য এই হাদিস
শরীফ দ্বারা বর্ননা করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন