মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

মহান আল্লাহ পাক-উনি ইরশাদ মোবারক করেন, --"আর তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার দিবসসমূহকে স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই উক্ত দিবসসমূহের মধ্যে প্রত্যেক ধৈর্যশীল-শোকরগোযার বান্দাদের জন্য নিদর্শনাবলী(নিয়ামত) রয়েছে।"-- -পবিত্র সুরা ইব্রাহীম শরীফঃ আয়াত শরিফ ৫।

মহান আল্লাহ পাক-উনি ইরশাদ মোবারক করেন,
--"আর তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার দিবসসমূহকে স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই উক্ত দিবসসমূহের মধ্যে প্রত্যেক ধৈর্যশীল-শোকরগোযার বান্দাদের জন্য নিদর্শনাবলী(নিয়ামত) রয়েছে।"--
-পবিত্র সুরা ইব্রাহীম শরীফঃ আয়াত শরিফ ৫
*
নবী-রাসুল আলাইহিমুস সালাম, সাহাবায়ে কেয়াম রাদিয়াল্লহু তাআলা আনহুম, ওলী-আল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের সাথে সংশ্লিষ্ট দিবস সমুহ স্মরণ করার মধ্যেই রয়েছে অসংখ্য নেয়ামত।
এখন প্রশ্ন হতে পারে কিভাবে শ্মরন করবেন? যে দিবস থাকবে তার সম্পর্কে কিছু আলোচনা করে, কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করে, দুরুদ শরিফ, মিলাদ শরিফ পাঠ করে দোয়া-মুনাজাত করা যেতে পারে।
আজ হল রজব মাসের প্রথম রাত ।
* * *
এখন আমি আমার জানামতে আগামী মাসের মোবারক দিন গুলো আপনাদের স্মরন করিয়ে দিব
‪#‎১লা_রজব‬ - দোয়া কবুলের বিশেষ রাত্রি।
#১লা_রজব - হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের পবিত্র নিকাহ দিবস।
‪#‎৭ই_রজব‬ অর্থাৎ এই মাসের প্রথম শুক্রবারের রাত্রি - পবিত্র লাইলাতুল রগায়িব শরীফ। [ প্রতি বছর মাস অনুযায়ী বার পরিবর্তন হয়]
‪#‎৬ই_রজব‬ - সুলতানুল হিন্দ, হজরত খাজা সাইয়্যিদ মুইনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমেরী সাঞ্জেরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার বিছাল(মৃত্যু) শরিফ
‪#‎১৩ই_রজব‬ - আসাদুল্লাহিল গালিব, হজরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত দিবস
‪#‎১৪ই_রজব‬ - সুলতানুল হিন্দ, হজরত খাজা সাইয়্যিদ মুইনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমেরী সাঞ্জেরী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার বিলাদত(জম্ম) শরিফ
#১৪ই_রজব - হজরত জাফর সাদিক আলাইহিস সালাম উনার বিছাল দিবস
‪#‎২৭শে_রজব‬ - পবিত্র শব ই মেরাজ
* * *
উপরে ১ এবং ২ নং বাদে সব বিষয়ে সবাই জানেন আশা করি। ১ এবং ২ নং এর ব্যাপারে নিচের লিখা গুলো পড়ুন---
১ - আখিরী রসূল, রহমতুল্লিল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন-
ان الدعاء يستجاب فى خمس ليال اول ليلة من رجب وليلة النصف من شعبان وليلة القدر المباركة وليلتى العيدين.
অর্থ: “নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে। (১) রজব মাসের প্রথম রাতে, (২) শবে বরাতের রাতে, (৩) ক্বদরের রাতে, (৪) ঈদুল ফিতরের রাতে, (৫) ঈদুল আযহার রাতে।”
(দলিলঃ মা ছাবাতা বিসসুন্নাহ, আমালুল ইয়াত্তমি ওয়াল লাইলাতি - উপমহাদেশের বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়েখ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি)
*
২- মাসের প্রথম জুমাবার রাতকে লাইলাতুল রগায়িব বলা হয়। এ মহান দিনে রাসুলুল্লাহ, রহমতুল্লিল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আম্মা হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম-উনার রেহেম(গর্ভ) শরীফে তাশরীফ মোবারক এনেছিলেন (সুবহানাল্লাহ)।
লাইলাতুল রগাইব শরীফ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মোবারক করেন। তোমরা রজব মাসের প্রথম জুমার রাতটি গাফলতির সাথে অতিবাহিত করো না।
-দলিলঃ বারাহীনুল ক্বতইয়াহ ফী মাওলিদী খায়বিল বায়ীয়াহ - হযরত শাহ কারামত আলী জৈনপুরী রহমতুল্লাহির বিখ্যাত কিতাব - ৭৮ পৃষ্ঠা।
আশা করি আমার এই তথ্য অনেকের কাজে লাগবে।
( আরেকটি বিষয় , এই মাসের ২৩শে রজব মাস আমার আকদ দিবস, আমি এই কারনে গর্বিত যে এই সম্মানিত মাসেই আমাদের উম্মুল রাছুলিনা এবং আবু রাসুলিনা আলাইহিস সালাম উনাদের ও সম্মানিত আকদ দিবস, এর চেয়ে বড় খুশী আমার আর কি হতে পারে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন