দায়েশের মত গোষ্ঠীগুলোর ধর্ম ও মানবীয় প্রকৃতি নেই: আলআজহারের প্রধান
আল-আজহারের প্রধান মুফতি আহমাদ আততাইয়্যেব
মিশরের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় আল-আজহারের প্রধান মুফতি আহমাদ আততাইয়্যেব তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশসহ এ জাতীয় গোষ্ঠীগুলোর পাশবিক ও পৈশাচিক অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এইসব গোষ্ঠী ধর্ম ও মানবীয় প্রকৃতি থেকে বেরিয়ে গেছে।
সম্প্রতি তিনি ‘ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর’ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন।
বিশিষ্ট এই সুন্নি আলেমকে প্রশ্ন করা হয় ইসলামের পতাকা বহনের দাবিদার সশস্ত্র গোষ্ঠী দায়েশের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ বা আলোচনার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা যায়? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আল-আজহারের আলেম সমাজ ও সব মুসলমানই দায়েশের তৎপরতার নিন্দা জানান এবং তারা সবাই দায়েশের বিরোধিতার করছেন। তারা সবাইই দিন-রাত বলছেন যে ধর্মের নামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত এইসব গোষ্ঠী নিজ ধর্ম ও মানবীয় প্রকৃতি থেকে বেরিয়ে গেছে। মানুষের প্রকৃতি কি এটা বলে যে এক মানুষ আরেক মানুষের শিরশ্ছেদ করবে বা গলা কাটবে আর একইসঙ্গে শ্লোগান দিয়ে বলবে যে, আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ সবচেয়ে বড়? ইসলামতো এমন বিষয়ের অনুমোদন দেয় না! ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় মুসলমানরা বন্দি বা নিরস্ত্র শত্রুকেও এভাবে হত্যা করেনি! আমি বিশ্বাস করি যে এইসব তাকফিরি গোষ্ঠী ইসলাম থেকে ব্যাপক মাত্রায় বিচ্যুত হয়ে গেছে এবং এতো বেশি বিচ্যুতি অতীতে আর কখনও দেখা যায়নি।'
প্রায় এক হাজার বছরের ঐতিহ্যের অধিকারী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ লাখ ছাত্র পড়াশুনা করে। এটি মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়।
আল-আজহারের প্রধান মুফতি আহমাদ আততাইয়্যেব
মিশরের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় আল-আজহারের প্রধান মুফতি আহমাদ আততাইয়্যেব তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশসহ এ জাতীয় গোষ্ঠীগুলোর পাশবিক ও পৈশাচিক অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এইসব গোষ্ঠী ধর্ম ও মানবীয় প্রকৃতি থেকে বেরিয়ে গেছে।
সম্প্রতি তিনি ‘ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর’ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন।
বিশিষ্ট এই সুন্নি আলেমকে প্রশ্ন করা হয় ইসলামের পতাকা বহনের দাবিদার সশস্ত্র গোষ্ঠী দায়েশের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ বা আলোচনার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা যায়? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘আল-আজহারের আলেম সমাজ ও সব মুসলমানই দায়েশের তৎপরতার নিন্দা জানান এবং তারা সবাই দায়েশের বিরোধিতার করছেন। তারা সবাইই দিন-রাত বলছেন যে ধর্মের নামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত এইসব গোষ্ঠী নিজ ধর্ম ও মানবীয় প্রকৃতি থেকে বেরিয়ে গেছে। মানুষের প্রকৃতি কি এটা বলে যে এক মানুষ আরেক মানুষের শিরশ্ছেদ করবে বা গলা কাটবে আর একইসঙ্গে শ্লোগান দিয়ে বলবে যে, আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ সবচেয়ে বড়? ইসলামতো এমন বিষয়ের অনুমোদন দেয় না! ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় মুসলমানরা বন্দি বা নিরস্ত্র শত্রুকেও এভাবে হত্যা করেনি! আমি বিশ্বাস করি যে এইসব তাকফিরি গোষ্ঠী ইসলাম থেকে ব্যাপক মাত্রায় বিচ্যুত হয়ে গেছে এবং এতো বেশি বিচ্যুতি অতীতে আর কখনও দেখা যায়নি।'
প্রায় এক হাজার বছরের ঐতিহ্যের অধিকারী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ লাখ ছাত্র পড়াশুনা করে। এটি মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন