বর্তমানে মুসলমানদের চরম দুর্দিন যাচ্ছে।
কোটি কোটি মুসলমান থাকার পরেও আজ মুসলমান কাফির কতৃক নির্যাতিত হচ্ছে।
পুর্বের মুসলমানগন স্বল্প সংখ্যক হয়েও অধিক সংখ্যক কাফিরদের বিপক্ষে বিজয়ী হয়েছিলেন ।
এখন অধিক সংখ্যক মুসলমান হয়েও অল্প সংখ্যক কাফিরদের বিরুদ্ধে কেন পারছেনা?
কারন এখন মুসলমানের মাঝে ঈমানী শক্তি , ঈমানী জজবা নাই।
যে কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে সে কাফিরদের নিয়মনীতি আজ মুসলমান পালন করে! নাউযুবিল্লাহ।
আজ মুসলমান-
সুন্নাহ থেকে দূরে, ইসলাম থেকে দূরে,
নেক কাজ থেকে দূরে ,
আজ মুসলমান রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন উনাদের আদর্শ থেকে দূরে।
আজ মুসলমান রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শের ধারক-বাহক ওলি-আল্লাহদের সংস্পর্ষ থেকে দূরে।
যে অলি আল্লাহদের ছোহবতে থেকেই রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদীনের পর থেকে মুসলমান সিপাহসালারগন কাফিরদের তছনছ করে দিয়েছেন।
যার উদাহরন ইতিহাসের পাতায় রয়েছে।
১.ক্রুসেডারদের কাছ থেকে মুসলমানের প্রথম ক্বিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস পুনরুদ্ধারকারী ভুবনজয়ী সিপাহসালা হযরত সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি তিনি হযরত নুরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাই আলাইহি উনার নিকট আসা যাওয়া করতেন। তিনি ছিলেন হযরত সালাউদ্দীন আইয়ুবী রহমতুল্লাহি এর শায়েখ ও মুর্শিদ। যারা ঈমান দীপ্ত দস্তান বই পড়েছেন তারা এর প্রমান সে বইতে পাবেন।
২. সুলতান মাহমুদ গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি মুর্তি সংহারক ছিলেন ,যিনি ভারতে হিন্দু কতৃক নির্যাতিত মুসলমানকে রক্ষা করতে এবং পোত্তলিকতা দূর করতে ১৭ বার ভারতবর্ষ আক্রমন করে ইসলামের ঝান্ডা উড়িয়েছেন তিনি হযরত শায়েখ আবুল হাসান খিরকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর নিকট আসা যাওয়া করতেন।তিনি ছিলেন উনার শায়েখ ও মুর্শিদ। সুলতান মাহমুদ গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কিছু করতেন। সুলতান মাহমুদ গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর দরবারেও অনেক খাটী আলেম দরবেশের সমাহার ছিল। যার প্রমান পাবেন সুলতান মাহমুদ গজনবীর ভারত অভিযান বইয়ে। ইতিহাসবিদরাও এর সত্যতা প্রমান করে গেছেন।
৩. দুই দুইবার হিন্দুস্থান আক্রমণ করেও সফল হতে পারেননি সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি । তিনি স্বপ্নে দেখলেন শ্বেত শুভ্র বস্ত্রাবৃত এক জ্যোতির্ময় মহাপুরুষ তাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘‘যাও তোমাকে আমি হিন্দুস্থানের শাসন ক্ষমতা দান করলাম।” এ শুভ স্বপ্ন দেখে সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহিন মনস্থির করলেন হিন্দুস্থান অভিযান শুরু করার। ৫৮৮ হিজরি সালে সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তার বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে হিন্দুস্থান অভিমুখে রওয়ানা হলেন। এই বাহিনীর প্রধান সেনাপতি কুতুবুদ্দিন আইবেক। তারায়েনা প্রান্তরে দুই বাহিনীর মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু হলো। মুসলমানদের প্রচন্ড আক্রমণের সামনে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল পৌত্তলিক সৈন্যবাহিনী।
সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি আজমীর এসে পৌঁছলেন। তখন সন্ধ্যা আসন্ন। সূর্যাস্ত হওয়ার পর সচকিত হয়ে উঠলেন সুলতান শাহাবুদ্দিন মুহম্মদ ঘুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। দূরে কোথায় আজানের ধ্বনি শোনা যায়। সেদিকে এগিয়ে যেতেই তিনি দেখলেন একদল নুরানী লোক হাত বেঁধে দাঁড়িয়েছেন। দরবেশদের জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করলেন সুলতান। সালাত শেষে জামাতের ইমামের মুখের দিকে তাকিয়েই চমকে উঠলেন সুলতান শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ ঘুরী। এইতো সেই জ্যোতির্ময় মহাপুরুষ, স্বপ্নে যিনি জানিয়েছেন হিন্দুস্থান বিজয়ের সুসংবাদ। যিনি ছিলেন হযরত খাজা মাঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
৪. বাংলাদেশেও হিন্দু রাজা গোড় গোবিন্দের হাত থেকে মুসলমানদের যিনি রক্ষা করেছিলেন তিনি ছিলেন হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি।
দেখা যাচ্ছে মুসলিম শাসকগন এবং মুসলমানগন ওলি-আউলিয়াদের ছোহবতে থেকে উনাদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছেন সে শাসকেরাই কাফিরদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছেন।
কারন একজন খাটি ওলি আল্লাহর ছোহবতে থেকে একজন মুসলমান তার ঈমান, তার আমলকে পোক্ত করে। একজন মুসলমান পরিপুর্ন ইসলাম অনুসরন করার,হারাম থেকে দূরে থাকার, হালালে মশগুল হওয়ার , পুর্ন মুসলমান হওয়ার দিশা পায়।
যার কারনে ঐ মুসলমানের অন্তরে যে ঈমানী বল কাজ করে তা কাফিরদের কলজে কাফিয়ে দেয়।
যার প্রমান ইতিহাসের পাতায় পাতায়।
তাই বর্তমানেও যারা মুসলমান রয়েছেন উনারা নিজেদের ঈমানী বলকে জোরদার করতে, হক্বের পথে চলতে , হারাম থেকে দূরে থাকতে, হালালে মশগুল থাকতে, কাফিরদের সকল ষড়যন্ত্রকে ছিন্নভিন্ন করতে একজন খাটি ওলি আল্লাহর ছোহবত অবশ্যই প্রয়োজন।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে একজন খাটি ওলি আল্লাহর ছোহবতে যাওয়ার তাওফিক দান করুন-- আমীন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন