ইসরাইল-তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিকের নিন্দা জানাচ্ছে ভিক্টিম পরিবার
তুর্কি ত্রাণবহরে ইসরাইলি হামলায় নিহতদের স্মরণে ফুল দিচ্ছে ভিক্টিম পরিবারগুলোর সদস্যরা
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে গাজা অভিমুখী ত্রাণ বহরে হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলো। ২০১০ সালের মে মাসে ইসরাইলের কমান্ডো বাহিনী ওই হামলা চালায় এবং তাতে অন্তত তুরস্কের নয়জন নাগরিক নিহত ও ৫০ জন আহত হয়।
ইতালির রাজধানী রোমে ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে চূড়ান্ত আলোচনা শেষে আজ (রোববার) সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়া হবে বলে কথা রয়েছে। গাজা অভিমুখী ত্রাণবহরে হামলার জন্য ইসরাইল ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করলে ছয় বছর আগে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করে তুরস্ক।
ত্রাণবহরে হামলায় বাবা হারানো ইসমাইল বিলজেন তেল আবিব ও আংকারার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা প্রসঙ্গে বলেছেন, যেভাবে ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে তা রীতিমতো ত্রাণবহরে নিহতদের স্মৃতির প্রতি অপমান। বিলজেন তুর্কি সরকারকে ইসরাইলের কাছে আত্মসর্পণের জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, “ইসরাইল এমন আচরণ করছে যে, কমান্ডো হামলায় নিহতদেরকে ক্ষতিপূরণ দিলেই সব শেষ, অপরাধীদের বিচার বা শাস্তির প্রয়োজন নেই।” তিনি আরো বলেন, “যেভাবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ত্রাণ বহরের শহীদদের রক্ত ও জীবন বৃথা যাবে।”
ত্রাণবহরে ইসরাইলি হামলায় স্বামী হারানো সিগদেম তপচুওগ্লু বলেন, “ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্পূর্ণ বিরোধী আমি।” তপচুওগ্লু নিজেই ওই ত্রাণবহরে ছিলেন এবং বহুদিন তিনি ইসরাইলের কারাগারে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
তুর্কি ত্রাণবহরে ইসরাইলি হামলায় নিহতদের স্মরণে ফুল দিচ্ছে ভিক্টিম পরিবারগুলোর সদস্যরা
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে গাজা অভিমুখী ত্রাণ বহরে হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলো। ২০১০ সালের মে মাসে ইসরাইলের কমান্ডো বাহিনী ওই হামলা চালায় এবং তাতে অন্তত তুরস্কের নয়জন নাগরিক নিহত ও ৫০ জন আহত হয়।
ইতালির রাজধানী রোমে ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে চূড়ান্ত আলোচনা শেষে আজ (রোববার) সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়া হবে বলে কথা রয়েছে। গাজা অভিমুখী ত্রাণবহরে হামলার জন্য ইসরাইল ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করলে ছয় বছর আগে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করে তুরস্ক।
ত্রাণবহরে হামলায় বাবা হারানো ইসমাইল বিলজেন তেল আবিব ও আংকারার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা প্রসঙ্গে বলেছেন, যেভাবে ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে তা রীতিমতো ত্রাণবহরে নিহতদের স্মৃতির প্রতি অপমান। বিলজেন তুর্কি সরকারকে ইসরাইলের কাছে আত্মসর্পণের জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, “ইসরাইল এমন আচরণ করছে যে, কমান্ডো হামলায় নিহতদেরকে ক্ষতিপূরণ দিলেই সব শেষ, অপরাধীদের বিচার বা শাস্তির প্রয়োজন নেই।” তিনি আরো বলেন, “যেভাবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে ত্রাণ বহরের শহীদদের রক্ত ও জীবন বৃথা যাবে।”
ত্রাণবহরে ইসরাইলি হামলায় স্বামী হারানো সিগদেম তপচুওগ্লু বলেন, “ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্ক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্পূর্ণ বিরোধী আমি।” তপচুওগ্লু নিজেই ওই ত্রাণবহরে ছিলেন এবং বহুদিন তিনি ইসরাইলের কারাগারে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন