মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬

USS Eisenhower: কি হয় এই রণতরীর অন্দমহলে?


USS Eisenhower: কি হয় এই রণতরীর অন্দমহলে?

Jul 11, 2016Staff Reporter

দিনরাত প্রচণ্ড শব্দে এর উপর থেকে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধবিমান। একের পর এক হামলা চালাচ্ছে সিরিয়ায় কিংবা ইরাকে। কিন্তু কি আছে মার্কিন এয়ারক্রাফট কেরিয়ার আইজেনহাওয়ারের তলায়? কি হয় সেখানে?

১০০০ মহিলা সহ অন্তত ৫০০০ কর্মী কাজ করেন এই যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীতে। যাঁরা প্রতি মুহূর্তে পাইলটদের সবরকমের সুবিধার দিকে নজর দিয়ে চলেছেন। ক্লিনিক চালানো থেকে শুরু করে খবরের কাগজ দেওয়া সবই করেন তাঁরা। ২০০ জন পাইলটের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় সেদিকটাতেই খেয়াল রাখা হয়। একদল বিশেষজ্ঞ রয়েছে যাঁরা এয়ারক্রাফটগুলির সমস্যা দেখেন। আর একদল দেখেন অস্ত্রশস্ত্র ঠিক আছে কিনা। এছাড়া ধোঁয়া আর গরমে ভরা করিডর জুড়ে প্রায় একটা গোটা শহর তৈরি করে রেখেছেন একদল তরুণ-তরুণী।


রয়েচে বিরাট বড় একখানা রান্নাঘর, মেডিক্যাল সেন্টার, এয়ার কাটের সেলুন। গত সাত মাস ধরে তাঁরা একটানা কাজ করে চলেছেন প্রত্যেকদিন। দিনের খুব কম সময় ছুটি মেলে তাঁদের। অনেক সময় সারাদিনে দিনের আলো দেখারও সুযোগ হয় না। থাকার জন্য একটা করে ব্যাংক বরাদ্দ তাঁদের জন্য। নিল পর্দায় ঘেরা ওই জায়গাটুকুতেই যা নিজের মত করে সময় কাটানো যায়। কিন্তু আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হতে পেরে সবাই খুশি তাঁরা।

প্রত্যেক দিন এই দৈত্যাকার জাহাজে ১.২ টন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক পাওয়া যায়। সেটা গলিয়ে ফেলা হয়। নষ্ট হয় ১.৮ টন ধাতু। এছাড়া খাদ্যের উচ্ছিষ্ট তো আছেই। এক কর্মীর কথায়, ‘খুব নোংরা কাজ হলেও, এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানিনা পাইলটেরা বিমানে কি করেন, শুধু এইটুকু বুঝি আমরা যদি ওদের যত্ন নিই, ওরাও যত্ন নিয়ে কাজ করতে পারবেন।’ ২৫ বছরের ক্রিস্টিন স্মিথ কফি পরিবেশন করেন। সমুদ্রের দুটো ডেক তলায় তাঁর কাজের জায়গা। সারাদিন আলো দেখতে পান না। আর ঘড়ঘড় শব্দে কান বন্ধ হয়ে আসে। কিন্তু নিজের কাজ নিয়ে গর্ব বোধ করেন এই যুবতী। সবাই ক্লান্ত হয়ে গেলে তাঁদের কফি দেন, এতেই তাঁর আনন্দ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন