শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

হাদীস শরীফে আছে, "হাসান ও হুসাইন" এই সম্মানিত নাম দুটো জান্নাতী নাম সমূহের দুটি নাম। আরবে জাহিলিয়াতের পূর্বে এই নাম কারো ছিলো।

হাদীস শরীফে আছে, "হাসান ও হুসাইন" এই সম্মানিত নাম দুটো জান্নাতী নাম সমূহের দুটি নাম। আরবে জাহিলিয়াতের পূর্বে এই নাম কারো ছিলো।"
অর্থাৎ পবিত্র হাদীস শরীফ থেকে বোঝা যাচ্ছে একমাত্র পৃথিবীতে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদরের দৌহিত্র হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের আগে আর কারো এই নাম ছিলো না। স্বয়ং আল্লাহ পাক এই নাম হাদীয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ্।
অথচ মানুষের অজ্ঞতা আর ইসলাম বিদ্বেষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা এই পবিত্র নাম মোবারককে উপহাসের পাত্র বানিয়েছে।
খবরে এসেছে, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গবেষণার জন্য এবার অষ্টম রেডিও ট্রান্সমিটারযুক্ত অজগর অবমুক্ত করা হলো। এ অজগরটির নাম রাখা হয়েছে "হাসান"।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে পাঁচটায় জানকিছড়া বিটে সাপটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। (সূত্রঃ http://goo.gl/n752U4)
আল্লাহ দুনিয়ায় নামের কি এতই অভাব পড়েছিলো যে একটা অজগর সাপের নাম "হাসান" রাখতে হবে? এটা কোন ধরনের অসভ্যতা? কোন পর্যায়ের বেয়াদবি ?
একজন ঈমানদার মুসলমান কখনো এটা মেনে নিতে পারে না। এটা ইসলামকে অবমাননা করার সমীল, নবী পরিবারকে বিদ্রুপ করার সামীল। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, অচিরেই অজগর সাপের নাম পরিবর্তন করুন। নইলে আল্লাহ পাকে আযাব থেকেও বাঁচবেন না সেই সাথে ইসলাম প্রিয় মুসলিম সমাজের রোষ থেকেও বাঁবেন না।
সবাই যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করুন, যদি ঈমানদার হয়ে থাকেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন