শনিবার, ২১ মে, ২০১৬

তাবলীগের প্রধান আমিরের বিরুদ্ধে দু’শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। তাহলে সাধারণ লোক কাদের বিশ্বাস করবে!!

মুলপাতা » শিক্ষাঙ্গন » তাবলীগের প্রধান আমিরের বিরুদ্ধে দু’শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
মে ১৮, ২০১৪, ৯:৪৩ অপরাহ্ন
তাবলীগের প্রধান আমিরের বিরুদ্ধে দু’শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
রাবি প্রতিনিধি
তাবলীগ জামায়াতের আমীর মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম তাবলীগ ও কাকরাইল মসজিদ নির্মানের নামে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে দু’শত কোটি টাকা টাকা তুলে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম মুশফিকুর রহমান চৌধুরী সমর্থিত তাবলীগ জামায়াতের শিক্ষকেরা।
একই সাথে গত ১৫ই মে রাজশাহী মার্কাজ মসজিদে মুশফিকুর রহমান সমর্থিত তাবলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষক এবং কয়েকজন কর্মীকে ওয়াসিফুল সমর্থিত তাবলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। রোববার দুপুর ১টার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় জুবেরী ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকেরা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রাবির ভাষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ওয়াসিকুল ইসলাম তাবলীগের শুরা (কার্য পরিষদ) সদস্য ও আমীর পরিচয় বহাল রেখেই চাঁদাবাজি ও রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহনের কারণে বিপুল সংখ্যক তাবলীগকর্মীদের সমর্থন পাচ্ছেন যা তাবলীগের মুলনীতির পরিপন্থি এবং সম্পূর্ণ তাবলীগ বিভ্রান্ত হচ্ছে। এতে যারা বাধা দিচ্ছেন তাদেরকে জেএমবির সদস্য বলে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হচ্ছে । রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে সম্পূর্ন তাবলীগ কর্মসূচীই লক্ষ্যহারা হয়ে একটি রাজনৈতিক দলে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
তিনি “মুরুব্বীদের জীবন থেকে” বইয়ের বরাত দিয়ে বলেন, ওয়াসিফুল ইসলাম ও কাকরাইল মসজিদের খতীব মাওলানা যোবায়ের তাদের অসাধু পরিকল্পনা কার্যকরি করার জন্য দেশব্যাপী নিজস্ব সন্ত্রাসী গ্রæপ ও নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। ঢাকার প্রায় প্রতিটি এলাকায় (১৫/২০) টি মসজিদের সমন্বয়ে একটি এলাকা) তার অনুগত লোক নিযুক্ত রয়েছেন। সামরিক বাহীনিরও (কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত) বেশ কিছু পদস্থ কর্মকর্তা এই নেটয়ার্কে আছেন।
বইটি আরো বলা হয়েছে, মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল দেশ-বিদেশ থেকে তাবলীগ ও কাকরাইল মসজিদ নির্মানের নামে প্রচুর টাকা তুলেছেন এবং তার সিংহভাগই আত্নসাৎ করতেছে। তিনি বিদেশ থেকে নিজে টাকা সংগ্রহ করেছেন এবং সহায়তা করেছেন তার ছেলে ওসামা ইসলাম। আত্নসাতের বিরুদ্ধে গত ৬ই মে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য তলব করলে মাওলানা যুবায়ের দেশের বাইরে পালিয়ে যান এবং মাওলানা ওয়াসিকুল ইসলাম সে দিনই দেশ ত্যাগ করেন।
গত ১৫ই মে নগরীর মার্কায মসজিদে ওয়াসিফুুল ইসলামের বিরুদ্ধে “মুরুব্বীদের জীবন থেকে” নামক বই বিতরণ করতে গেলে ওই মসজিদের অবস্থানরত তাবলীগকর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে মারধর করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল হাজবেন্ড্রী এন্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ও আরবি বিভাগের শিক্ষক আল আমিনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম মুশফিকুর রহমান, আরবি বিভাগের ড. জিয়াঊর রহমান খান, ফার্মেসী বিভাগের ড. নূর আলম খান, ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারী রেজিস্টার হারুন অর রশিদ, মামুনুর রশিদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
নিউজ পেজ২৪/সালাউদ্দিন/এইচএ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন