শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

শবে বরাত’ অস্বীকার করার অর্থ হলো কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফকেই অস্বীকার করা

শবে বরাত’ অস্বীকার করার অর্থ হলো কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফকেই অস্বীকার করা
১৪ই শা’বান দিবাগত রাতটি হচ্ছে শবে বরাত বা বরাত-এর রাত।
এ সম্পর্কে সূরা দুখান-এর শুরুতে ইরশাদ হয়েছে; মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন
“নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে (শবে বরাতে) কুরআন শরীফ নাযিল করেছি অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমিই সতর্ককারী। উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজগুলো ফায়ছালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (সূরা দুখান : আয়াত শরীফ ৩-৫)
উল্লেখ্য যে উক্ত আয়াত শরীফ-এর ‘লাইলাতুস মুবারকাহ’ শব্দ দ্বারা ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ তথা অর্ধ শা’বানের রাত বা শবে বরাতকে বুঝানো হয়েছে।
এ সম্পর্কে সর্বজনমান্য বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীরগুলোসহ সমস্ত তাফসীরসমূহে তাই উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মুফাসসিরকুল শিরোমনি রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি স্বীয় তাফসীরে উল্লেখ করেন,
“মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ অর্থাৎ বরকতময় রাত্রি বলতে শা’বান মাসের মধ্য রাত অর্থাৎ শবে বরাতকে বুঝিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ রাতে সকল প্রজ্ঞা সম্পন্ন বিষয়ের ফায়ছালা করে থাকেন।” (ছফওয়াতুত তাফাসীর, তাফসীরে খাযীন ৪র্থ খ-/১১২ পৃষ্ঠা)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে,
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,
যে ব্যক্তি শা’বানের মধ্য রাতে (শবে বরাতে) ইবাদত করবে তার জন্য সুসংবাদ এবং তার জন্য সমস্ত কল্যাণ।
কাজেই শবে বরাত-এর ফযীলতকে অস্বীকার বা বিরোধিতা করা কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফকেই অস্বীকার করা, যা কাট্টা কুফরী।
আর যে কুফরী করে সে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হিসেবে গণ্য

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন