বুধবার, ১৮ মে, ২০১৬

প্রকাশ্য বাহাছে নাস্তানাবুদ হলো খারেজী কওমীপন্থীরা, ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন ঝনঝনিয়া গ্রামে এ বাহাসঅনুষ্ঠিত হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন ঝনঝনিয়া গ্রামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বিশেষ কয়েকটি আক্বীদা নিয়ে ফুরফুরা সিলসিলার আলেমগণদের সাথে ওহাবী মতবাদের অনুসারী কওমীপন্থীদের মাঝে গত সোমবার বঙ্গবন্ধু স্কুল মাঠে এক বাহাছ অনুষ্ঠিত হয়। বাহাছে প্রকাশ্যেই লজ্জাজনক পরাজয়বরণ করে কওমীপন্থী ওহাবীরা।
বাহাছে ১ম পক্ষ কওমীপন্থীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেয়- মুফতে হাবিবুর রহমান, মুফতে আব্দুর রাজ্জাক ও আরো অনেকে। বাহাছের ২য় পক্ষ ফুরফুরা সিলসিলার নেতৃত্বে ছিলেন- মুফতী মুহম্মদ শাহ আলমসহ কয়েকজন। বাহাছের বিষয়বস্তু ছিলো যথাক্রমে- (১). পবিত্র মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ, (২). নামাযের পর মুনাজাত করা, (৩). হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূর’, নাকি মাটির তৈরি এবং অন্যান্য আক্বীদা বিষয়ক মোট ৮৪টি বিষয়।http://www.al-ihsan.net/FullText.aspx?subid=5&textid=70874
বাহাছের শর্ত ছিলো- একপক্ষ প্রশ্ন করবে অপরপক্ষ উত্তর দিবে তারপর তারা প্রশ্ন করবে, উত্তর না দিলে প্রশ্ন করতে পারবে না।
ফুরফুরার আলেমগণ কওমীদের প্রতিটি প্রশ্নের দলীলভিত্তিক জবাব যখন পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস থেকে দলিল দিয়ে খ-ন করছিলেন তখন শর্তভঙ্গ করে ধূর্ত কওমীরা বারবার ভিন্ন প্রশ্নে ঘুরে যাওয়ার অপকৌশল অবলম্বন করে। এতে উপস্থিত মুসল্লিরা চরম ক্ষুবাধ হন। কিন্তু যখনই ১ম পক্ষ কওমীদেরকে প্রশ্ন করা হচ্ছে তারা বারবার প্রশ্ন এড়িয়ে য়ায় এবং নিয়ম ভঙ্গ করে সুন্নী আলেমদের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন করে। এভাবে কওমীরা বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করার অপচেষ্টা করে।
আয়োজক কমিটি কওমীদের এই ছল-চাতুরিতে ক্ষুব্ধ হয়ে এক পর্যায়ে বলেন, “আপনারা (কওমীরা) সঠিক উত্তর দিয়ে তারপর প্রশ্ন করুন।”
সম্মিলিত মুনাজাত প্রসঙ্গে ফুরফুরার আলেম মুফতী শাহ আলম কওমীদের কিতাব থেকেই উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে, “আপনাদের বিগত কওমী আলেমরা ইতঃপূর্বে সম্মিলিত মুনাজাত করেছে ও করতে নির্দেশ দিয়েছে এবং বলেছে- যারা মুনাজাত করে না এরা গুমরাহ। তাহলে আপনারা সম্মিলিত মুনাজাত করেন না কেন?? জবাবে কওমীপন্থী মৌলোভীরা বলে যে, “বাপ যা করেছে তা কি ছেলেদের করতে হবে? ” মানে তারা তাদের মুরব্বীদের মানে না, যদিও একই কিতাব এখনো তাদের মাদরাসায় পড়ানো হয়।
এদিকে কওমীদের এমন ছলচাতুরির ফলে আয়োজক কমিটি ভড়কে যায় কারণ কওমীদের বিরুদ্ধে টানটান উত্তেজনা। এসময় ঝিনাইদহ থানা নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন মুল্লার উপস্থিতিতে বলা হয়, এটা ইসলামী উচ্চ পর্যায়ের বিষয়। পরবর্তীতে একটা মিমাংসা করা হবে। অর্থাৎ থানার অফিসার ও আয়োজক কমিটি চায়নি এখানে একটা গন্ডগোল হোক। কারণ জনগণ কওমীদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলো। যেকোনো মুহূর্তে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। এ প্রেক্ষিতে ইউএনও সাহেব কিছু বক্তব্য দিয়ে সবাইকে শান্ত করে।
ইউএনও সাহেবের পিছে পিছে কওমীদের প্রধান মুফতে দ্রুত স্টেজ থেকে পলায়ন করে।
স্থানীয় একজন মুসল্লীর কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, কওমীদের ছল-চাতুরি এখন সবাই বুঝতে পেরেছে। ওরা (কওমী) আসলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে, শুধু ইসলামকে কাটছাঁট করার জন্য। এদের উপর আল্লাহর গযব পড়বে।”
এদিকে মুহম্মদ আসাদ নামে স্থানীয় একজন বলেন, কওমীরা বারবার প্রশ্ন করেছে কিন্তু নিজেরা কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। ওরা নিজেদের পূর্ববর্তী আলেমদেরকে মানে না, তাহলে এদের গোড়াই গলদ আছে।
এদিকে কওমীর কিছু ছাত্র সাধারণ জনগণের কাছে স্বীকার করেছে, তাদের কওমী হুজুররা এতো কিতাব আনলো কিন্তু কোনো দলিল দিতে পারলো না, এটা তাদের কাছেও খুব খারাপ লেগেছে।
লিংক: http://newsnine24.com/%E0%A6%AF%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%A4/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন