বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

স্বাধীনতা ক্লাস দৈর্ঘ্য : ৯০ মিটার ওজন : ১৩০০ টন গতিবেগ : ২৫ নট বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর নতুন stealth যুদ্ধজাহাজ।এটি কম গভীরতা বিশিষ্ট সমুদ্রে যুদ্ধের জন্য উপযোগী।একে চীনে নির্মান করা হয়েছে।

এতে দুইটি ডিজেলচালিত ইঞ্জিন
রয়েছে। প্রায় ৭০ জনের মত ক্রুর ব্যবস্থা
আছে এই জাহাজে।
এই জাহাজে কোন সোনার বসানো হয়
নি।যার ফলে এন্টি সাবমেরিন
অপারেশন করতে পারবে না।এতে
কপ্টার উঠানামার ব্যবস্থা থাকলেও
আপতত হ্যাঙ্গার নেই।তবে হ্যাঙ্গার
লাগানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অস্ত্র ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে একটি ৭৬
মিঃমিঃ এর মেইন গান।এটি মূলত
সোভিয়েত ইউনিয়নেন মেইন গানের
চাইনিজ ভার্সন।এর কার্যকরি
ফায়ারিং রেঞ্জ ১০ কিঃমিঃ।
প্রতি মিনিটে ১২০টি শেল ফায়ার
করতে পারে।এক নাগাড়ে ১৫০টি শেল
ফায়ার করতে পারে । এই গান দিয়ে
সমুদ্রের পাশাপাশি আকাশে থাকা
হুমকিও প্রতিহত করা যায়।সোভিয়েত
ইউনিয়নের চাইনিজ ভার্সন হলেও কিছু
পার্থক্য বিদ্যমান রযেছে।যেমন
চাইনিজ ভার্সনের টারেট stealthy এবং
এক নাগাড়ে দ্বিগুণের বেশি ফায়ার
করতে পারে।
এই জাহাজে দুইটি ৩০ মিঃমিঃ এর
রিমোট কন্ট্রোল গান রয়েছে যা CIWS
হিসেবে কাজ করে।দূর থেকে নিয়ন্ত্রন
করা যায় একে।
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য রয়েছে
একটি এফএন-৩০০০ মিসাইল উৎক্ষেপন
যন্ত্র।যাতে ৮টি সেল রয়েছে।অর্থ্যা
৮টি মিসাইল থাকবে।এর রেঞ্জ
সাবসনিক টার্গেটের জন্য ৯ কিঃমিঃ
আর সুপারসনিক টার্গেটের জন্য ৬
কিঃমিঃ।
এই জাহাজ মোট ৪টি এন্টি শিপ
মিসাইল বহন করতে পারে।এন্টি শিপ
মিসাইলের মধ্যে রয়েছে সি ৮০২ বা
সি ৮০৩।সি ৮০২ দিয়ে ১৮০ কিঃমিঃ
এর ভিতর যে কোন জাহাজকে ধ্বংস
করা যায়।
বর্তমানে নৌ বাহিনীর নিকট এই
ক্লাসের দুইটি জাহাজ রয়েছে।যা
জানুয়ারি মাসে দেশে আসবে।আরো
দুইটি তৈরি করছে।চীন এই জাহাজের
প্রযুুক্তি বাংলাদেশকে প্রদান করবে।
যাতে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা
যায়।ইতিমধ্যে ইঞ্জিনিয়ারদের
প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে।
এই জাহাজে "আপাতত" কোন সোনার
থাকছে না।দেশে এনে লাগানো
হতে পারে বা অন্য দেশের সোনার
লাগানো হতে পারে।এখনই কিছু বলা
যাচ্ছে না।
এই জাহাটি স্টিলথ। অর্থ্যা রাডারের
পক্ষে একে ডিটেক্ট করা বেশ কষ্টসাধ্য
কাজ হবে।এটা বাংলাদেশ নৌ
বাহিনীর প্রথম জাহাজ যাতে স্টিলথ
প্রযুুক্তি আছে।তবে বহরে আগে থেকে
সেমি স্টিলথ জাহাজ আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন