মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫

এক পরিচয়পত্রে সর্বোচ্চ ২০ সিম নিবন্ধন

একটি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখতে পারবেন একজন মুঠোফোন ব্যবহারকারী। এ
বিষয়ে আজ মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘একটি এনআইডির বিপরীতে বা ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।’

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সিম সংখ্যার বিষয়ে নেওয়া এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শিগগিরই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশনা দেওয়া হবে। এরপরই তা বাস্তবায়নে সব মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়া হবে। এ নির্দেশনা চালুর পর যেসব জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ২০টির বেশি সিম থাকবে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে সর্বোচ্চ সিম রাখার এ নিয়ম ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

করপোরেট পর্যায়ে যেসব সিম ব্যবহার হচ্ছে সেগুলোর ব্যাপারে বলা হয়েছে, গ্রাহক হিসেবে একজন কর্মী যে করপোরেট সিমটি ব্যবহার করবেন সেটির বিপরীতে ওই কর্মীর এনআইডি জমা নিয়ে রাখতে হবে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে একজন কর্মী চাকরি ছেড়ে দিলে বা চলে গেলে পরবর্তীতে যাকে ওই সিম দেওয়া হবে তাঁর এনআইডি নম্বরও সংগ্রহ করে রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে।

এর আগে একটি এনআইডির বিপরীতে সর্বোচ্চ কতটি সিম নেওয়া যাবে, এ বিষয়ে বিটিআরসি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠায়। ওই প্রতিবেদনে একটি পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখার প্রস্তাব করা হয়।

বিটিআরসির সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে চালু থাকা মোট সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৬ হাজার।

সিম নিবন্ধনে আগামীকাল বুধবার থেকে আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বিটিআরসি কার্যালয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।।।।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন