বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

সীমান্ত হত্যা বর্তমান বাংলাদেেশের অন্যতম সমস্যা।

প্রথমেই সবাইকে বিজয় দিবসের
শুভেচ্চা জানাই।এবং ঐ সব শহীদের জন্য
দোয়া করি যারা দেশের জন্য প্রান
দিয়েছেন।বাংলাদেশ বিশ্বের
দরবারে শান্ত দেশ হিসাবে পরিচিত।
বাংলাদেশের মোট আয়তন ১লক্ষ ৪৭
হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
আমাদের বাংলাদেশের সাথে ভারত
এবং মায়ানমারের সীমানা রয়েছে।
তার মধ্য ভারত আমাদের প্রতিবেশী
বন্ধু রাষ্ট্র। ভারত-
বাংলাদেশের একটি স্পর্শকাতর ইস্যু
নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট লিখতে বসেছি ।
আমার মূল আলোচনার বিষয় সীমান্ত
হত্যা।সীমান্ত হত্যা বর্তমান
বাংলাদেেশের অন্যতম সমস্যা। ঢাকা,
খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম
বিভাগের সঙ্গে ভারতের সাথে ৪
হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত
রয়েছে। এর মধ্যে আসামের সঙ্গে
রয়েছে ২৬২, ত্রিপুরার সঙ্গে ৮৫৬,
মিজোরামের সঙ্গে ১৮০, মেঘালয়ের
সঙ্গে ৪৪৩ আর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ২
হাজার ২১৭
কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা। ১৯৪৭-
এর
আগে ভারত ও বাংলাদেশ বৃহত্তর
ভারতবর্ষের অধীনে ছিল। সীমান্তে
ছিল না কোনো কাঁটাতারের বেড়া।
২০১১ সাল পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের
সঙ্গে তাদের সীমান্তের ২০০০
কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের
বেড়া দিয়ে ‘কিপ আউট’
নোটিশ ঝুলিয়েছে। সীমান্ত যে সব
হত্যা কান্ড হয় তা মূলত ভারত
সীমান্তে হয়।এবার আমাদের বন্ধুত্বের
প্রতিদান গুলো বলি।বন্ধু হিসাবে
ভারত আমাদের কি দিয়েছে।প্রথমেই
বলব ভারত আমাদের প্রতিদিন তাজা
তাজা বাংলাদেশীদের লাশ দেয়।
এক
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০০
সাল
থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিএসএফের
গুলিতে বিভিন্ন সীমান্তে ১ হাজার
৩৫ জন বাংলাদেশি নিহত ও ৯১৯ জন
আহত হয়েছেন। বহু বার বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয়
সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ যৌথ
উদ্যোগে সীমান্ত হত্যা জিরো
টলারেন্সে নামিয়ে আনার কথা
বললেও তা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের
জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত গত ৫
মাসে সীমান্তে নিহত হয়েছেন ২৫
জন,
আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৫ জন। ভারতীয়
নাগরিক ও সীমান্ত রক্ষা বাহিনী
বিএসএফ এর হাতে বাংলাদেশি
নাগরিক গত ৫ মাসে অপহরণের শিকার
হয়েছেন ৪৯
জন। এর মধ্যে পতাকা বৈঠকের পরেও
বিএসএফ কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত
পাওয়া সম্ভব হয়েছে মাত্র ১৫ জনকে। ।
এরকম হত্যা কান্ড সীমান্ত যুদ্ধ ছাড়া
বিশ্বে খুব নগন্য। বিএসএফ যখনই কাউকে
হত্যা করে তখন বলে গরু পাচারকারী
না হয় জঙ্গি অথবা মাদক
প্রাচারকারি, না হয় তাদের উপর
হামলা হয়েছিলো তাই মেরেছে।
প্রথমেই জঙ্গির কথা বলি।জঙ্গির
কারখানা ভারতে অবস্তিত।আপনারা
সবখানে জঙ্গি সাপ্লাই দেন।তেজজ
উপর মেক ইন ইন্ডিয়া না লাগিয়ে ঐ সব
জঙ্গিদের উপর লাগান।বিমান
ব্যাবসায় আপনারা উন্নতি করতে
পারবেন না কিন্তু জঙ্গির ব্যাবসায়
আপনারা উন্নতি করতে পারবেন।আবার
দোহায় দেন বাংলাদেশে জঙ্গি
আছে।যদি থেকেও থাকে সেগুলো
আপনাদের তৈরী।মাদক প্রচারকারী, গরু
প্রচারকারী, মানুষ প্রচারকারী সব
কিছুর এজেন্ট আপনাদের দেশে
অবস্তিত।আর বিএসএফ প্রশিক্ষত সৈন্য।
তাদের সাথে সাধারন নিরস্ত্র মানুষ
কিভাবে হামলা করবে?। মানলাম গরু
পাচারকারী, কিন্তু আমাদের দেশ
থেকে
তামা, ঔষধ, কেরোসিন, ডিজেল,
পেট্রল, কয়েন ইত্যাদি পাচার হয় তখন
কিছু বলে না কেন? আর পাচার তো
একতরফা ভাবে হয় না, ভারতের লোকও
এর সাথে জড়িত থাকে, কিন্তু
তাদের কে মারা হয় না কেন? আর গুলি
যদি করতেই হয় তো এমন ভাবে করুক যেন
না মরে, কিন্তু তাদের রুলস মনে হয় "শুট টু
কিল"! । বিশ্বের বহু দেশের সাথে
বিভিন্ন দেশের সীমান্ত রয়েছে। তা
কোথাও দীর্ঘ কোথাও সংক্ষিপ্ত।
ভারতের সাথে বাংলাদেশ ছাড়াও
চীন ও পাকিস্তানের দীর্ঘ সীমান্ত
রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একই ধরণের
সীমান্ত রয়েছে কানাডা ও
মেক্সিকোর। এছাড়া
রাশিয়ার সাথে চীনের দীর্ঘ
সীমান্ত
বিদ্যমান। কিন্তু এসব সীমান্তে
সীমান্তরক্ষী কর্তৃক কোন মানুষ হত্যা
দূরে থাক, একটি গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ও
সাধারণত শোনা যায় না। এসব দেশের
মধ্যে বা সীমান্তে কোন সমস্যা বা
বিরোধ যে নেই, এমন নয়। সীমান্তবর্তী
দেশ পাকিস্তান ও চীনের সাথে
ভারতের
দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ ও শক্রতা
বিদ্যমান। ভারত বাংলাদেশ
সীমান্তে
পাখির মতো গুলি করে বাংলাদেশী
নাগরিকদের হত্যা করলেও কোন
পাকিস্তানী কিংবা চীনা নাগরিক
হত্যা দূরে থাক, আহত করার সাহস করতে
পারে না। পারে না এজন্য যে, কোন
কারণে একজন পাকিস্তানী
নাগরিককে হত্যা করলে এর তাৎক্ষণিক
জবাব হিসেবে পাকিস্তান একজন
ভারতীয়কে হত্যা করবে, এটা প্রায়
নিশ্চিত। আর চীনের দিকে বন্দুক তাক
করার সাহস এই দেশটির কোনদিনই হবে
না। গত ৮ অক্টোবর লালমনিরহাটের
আদিতমারীর দুর্গাপুর
সীমান্তের চওড়াটারি গ্রামে ঢুকে
এলোপাতাড়ি গুলি চালায় বিএসএফ।
এতে একজন ঘটনাস্থলে, অপর একজন পরে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আহত হন আরও চারজন। ৬
অক্টোবর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর
উপজেলার লাউড়ের গড় সীমান্ত
থেকে দুই কিশোরকে ধরে নিয়ে যায়
বিএসএফ। পরদিন ৭ অক্টোবর
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ
উপজেলার
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক
বাংলাদেশি নিহত হন। একই দিন
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে
বিএসএফের গুলিতে দু’জন
বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হন।
বাংলাদেশি হত্যার দায়ভারটা শেষ
বিচারে
কিন্তু গিয়ে পড়ে ভারতের
রাজনৈতিক
সরকারের ওপরই; কারণ নির্দেশটা
সেখান থেকেই আসছে। দেখামাত্র
গুলি এমন নির্দেশ অবশ্যই আছে, তাই
বিএসএফ ন্যূনতম অপো না করে
বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষগুলোকে
এভাবে হত্যা করছে। তাহলে এটা ধরে
নেয়া কি খুব ভুল হবে, হাজার মৌখিক
আশ্বাস থাকলেও ভারতের
রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রয়েছে বলেই
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা
অব্যাহত রয়েছে। কারণ বিএসএফের
মতো একটা রেজিমেন্টেড বাহিনীর
দায়িত্বই হলো অরে অরে উপরের
নির্দেশ পালন করা। তারা সীমান্ত
আইন লঙ্ঘন করে জিরো পয়েন্ট থেকে
বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে,
হত্যা
করছে। শুধু হত্যা ও আহত করাই নয়, বিএসএফ
বরাবরই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে নানা
ধরনের দুষ্কর্মে লিপ্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ ভূখন্ডে
ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে
চাষাবাদ, সীমান্ত পিলার ভাঙা,
নদী থেকে জোর করে মাছ লুট,
বাংলাদেশ এলাকায় নদীতে জেগে
ওঠা চর জবরদখল ইত্যাকার অনৈতিক
কাজে
তারা লিপ্ত ছিল, আছে। সম্প্রতি তার
আর একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে
সীমান্ত এলাকায়। বস্তুত, ভারত
আগাগোড়াই বাংলাদেশকে দেয়া
কোন অঙ্গীকার রা করছে না। অভিন্ন
নদীর পানি বণ্টন, তিস্তা চুক্তি,
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ থেকে শুরু করে
সীমান্ত হত্যাকান্ড, বাংলাদেশের
ভূখন্ডে- বিনা উসকানিতে অনুপ্রবেশ,
সব ক্ষেত্রেই মুখে এক, মনে অন্য।
সীমান্তে হত্যাকান্ড- নতুন কোনো
ঘটনা নয়। ঘটছে; ঘটবে, যেন এটাই
স্বাভাবিক!!!!। কোনো কিছুই মানছে
না ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী। বিধি
নিষেধ, পতাকা বৈঠক বা প্রতিবাদকে
তোয়াক্কা না করে সীমান্তবর্তী
মানুষের ওপর হিস্র আচরণ করছে এ
বাহিনী।
বর্তমানে বাঙালিদের পশুন্ডপাখির
মতো গুলি করে হত্যা করে নিষ্ঠুরতা
দেখাচ্ছে। ভারত সরকার বিভিন্ন সময়
সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা হবে বলে
প্রতিশ্রুতি দিলেও ভারত সরকার
সীমান্তের বিএসএফ জোয়ানদের
লেলিয়ে দিচ্ছেন ঠিকই। দু’দেশীয়
পতাকা বৈঠক শেষ না হতেই
বাঙালি হত্যা করে লাশ উপহার
দিচ্ছে
বাংলাদেশকে।অথচ এই ভারতের জন্য
আমরা কি করি নাই। ১ টাকার
ট্রানজিট থেকে শুরু করে অনেক কিছু।
একটা ছোট ঘটনা বলে লেখা শেষ করে
দিচ্ছি। সীমান্ত এলাকার মানুষের
জীবন যাত্রার মান খুব নিম্ন। ঘটনাটা
ছিল ১৯৯৯ সালের,সীমান্তবর্তী কোন
এক গ্রামেরই মন্টু নামের এক কৃষক আর
তার ভাই নিজের জমিতে হাল চাষ
করছিলো। দুপুর হলে তারা সঙ্গে নিয়ে
আসা রুটি আর ভাজি দিয়ে
খাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ হালের
মহিষ দুটো ঘাস খেতে থেতে বর্ডার
পার হয়ে প্রায় ৩০০ গজ ভিতরে চলে
গেলো। এ ঘটনা দেখে সবার তো
মাথায় হাত! এখন কি হবে! কিন্তু দরিদ্র্য
মন্টু চাচা তার একমাত্র সম্বল
হালের মহিষ দুটো ফিরিয়ে আনার জন্য
বর্ডারের অপার যেতে চাইলো। সবাই
অনেক বোঝালেও সে তার
সিদ্ধান্তে অনড়, শেষে তার ভাইও
তার সাথে যাবে বলে ঠিক করলো!
ওপারে ভারতের সিঙ্গাবাদ বর্ডার,
বিএসএফ এর ক্যাম্প আছে। অত্যাধুনিক সব
অস্ত্র আর
গাড়ি নিয়ে দুর্বল ট্রেইনিং প্রাপ্ত
নির্বোধ
বিএসএফরা সব সময় টহল দেয়। মন্টু চাচা
আর তার ভাই মহিষ আনার জন্য ওপারে
গেল। মহিষ দুটো ধরে তারা যখন
ফিরতি পথ ধরলো
তখনই ঘটলো বিপত্তি! টহলরত দুজন
বিএসএফ সদস্য তাদের পথ আটকালো।
তারা দাবি
করলো যে মহিষ দুটো নাকি চুরি করা।
মন্টু চাচা যতই বোঝায় যে মহিষ দুটো
তার, বেখেয়ালে এপারে চলে
এসেছে তারা ততই বোঝে না! এক
পর্যায়ে কোন রকম উষ্কানি ছাড়াই
একজন বিএসএফ সদস্য তার দিকে বন্দুক
উঁচিয়ে গুলি করতে গেলো! মন্টু চাচা
তখন সেই বিএসএফটিকে ঝাপটে ধরে
কাদায় গড়াগড়ি খেতে লাগলো আর
তার ভাইকে চিৎকার করে পালিয়ে
যেতে বললো। মন্টু চাচার ভাই ভয়ে
নড়তে পারছিলো না। অপর বিএসএফটি
বন্দুক তাক করে গুলি করার সুযোগ খুজতে
লাগলো,
একপর্যায়ে মন্টু চাচাকে লাথি মেরে
দুরে
সরিয়ে তারা দুজন মিলে নির্মম
ভাবে বুকে ও পেটে গুলি করে
মারলো। মন্টু চাচার ভাইকেও তারা
বুকের ওপর পা তুলে পয়েন্ট ব্ল্যাংক
রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে
মারলো। আর
এ সবই ঘটলো আমাদের চোখের সামনে!
পাখির মতো গুলি করে মারা হলো
বাংলার দুই নিরীহ দরিদ্র কৃষককে। দুই
ভাইকে মারার
পর তারা অন্যদের দিকেও গুলি ছোড়া
শুরু করলো। তারা কোন মতে গরুর আড়াল
নিয়ে দুরে সরে গেলাম। এর মধ্যে একজন
বিডিআর ক্যাম্পে খবর দিলো। কিন্তু
সেখান থেকে বিডিআর আসতে
আসতে বিকাল হয়ে গেল।
মন্টু চাচা আর তার ভাইয়ের লাশ পড়ে
রইলো নোম্যান্স ল্যান্ডে! এর পরের
কাহিনী বিশেষ কিছু না, বিডিআর-
বিএসএফ এর ফ্ল্যাগ মিটিং,
বিডিআরের প্রতিবাদ, আর পুলিশের
পোস্ট মর্টেম। ঘটনা এটুকু মনে হলেও
আসলেই
কি তাই? মন্টু চাচা আর তার ভাইয়ের
উপর নির্ভর করে তাদের দুজনের সংসার,
ছেলে- মেয়ে এবং বৃদ্ধ বাবা-মা
বেঁচে ছিলো। কিন্তু তারা দুই
ভাইয়ের মৃত্যুর পর তাদের কে পথে
নামতে হয়। শিশু গুলোর ভবিষ্যৎ অন্ধকার
হয়ে যায়।""ফেলানির ঘটনাটা বললাম
না """'. সীমান্তে গুলি করে
বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধ করার
জন্য দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ দাবি
জানিয়ে আসছে। এ নিয়ে কতবার যে
পতাকা বৈঠক হয়েছে তার ইয়ত্তা
নেই। এরপর বিডিআর (বিজিবি)-
বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে
একাধিকবার বৈঠক হয়েছে ঢাকা-
দিলিতে। প্রতিবারই বিএসএফ
মহাপরিচালক স্পষ্ট ভাষায় প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন, সীমান্তে আর হত্যাকান্ড
হবে না। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি এতটাই
প্রহসনমূলক ছিল যে, প্রতিবারই তার
ঘোষণার ক’দিন পরই আবার
বিএসএফের গুলি চলেছে এবং নিহত-
আহত হয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিক।
একপর্যায়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
সীমান্তে এ ধরনের হত্যাকান্ডের
পুনরাবৃত্তি হবে না বলে জানালেন।
বিএসএফ কর্তৃপ বড়জোর চোরাই ব্যবসা
বন্ধ করতে রাবার বুলেট ছোড়া হবে
বলে
জানাল। আশা করা গিয়েছিল, অন্তত
হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা আর ঘটবে না
সীমান্তে। কিন্তু কাজের কিছুই হয়
নাই।বাংলাদেশী হত্যা চলছেই।আচ্চা
৮ বছরের একটা বাচ্চা কি
চোরাচালানের ব্যাবসা করতে
পারে?। ঐ ছেলেটার দোষ ছিল সে
কাঠা তারের বেড়ারর কাছাকাছি
গিয়েছিল।তার পর কি হয়েছে তা
সাবাই আন্দাজ করতে পারেন।আমার
মনে হয় পাখি কেউ এভাবে মারে
না,তারা যেভাবে মানুষ হত্যা
করতেছে। অনাহারে কোন মতে বেঁচে
আছে! আমরা ৮/৯ বছরের বাচ্চা ছেলে-
মেয়েদেরকেও দেখেছি বর্ডারে
চিনির বস্তা মাথায় নিয়ে ভীত
খরগোশের মত দৌড়াতে। আবার ৭০/৮০
বছরের বৃদ্ধরাও যায়। এদের পেটে ভাত
নাই, ঘরের
চাল নাই। রোগ-বালাই সারাক্ষণ
লেগেই আছে। কিছুদিন আগে কোন
একটা পেজ আমাদের দেশের লোকের
শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করছিল।তারা
ম্যানুষত্বহীন,মানবতা হীন এটাই তার
প্রমান।হত্যা কান্ড গুলো দেখে মনে
হচ্ছে আমরা সেই ৭১ এর সেই হানাদার
বাহিনীর বর্বরতা দেখছি।আসলে ঐ
বিএসএপ আর হানাদার বাহিনীর মধ্যে
কোন পার্থক্য নাই।ফেলানীর ঘটনাটা
আমি অন্য দিন আলোচনা করব।
ফেলানীর মত আরও অসংখ্য হত্যাকান্ড
রয়েছে।যা কিছু প্রকাশিত হয়েছে,কিছু
প্রকাশিত হয় নাই।আশাকরি
বাংলাদেশ সরকার সীমান্ত হত্যা
বন্ধে যথাযত ব্যাবস্থা নিবে। বর্ডার
যেন আর কেড়ে নিতে না পারে
কারো বাবা, কারো ভাই, কারো
স্বামী আবার কারো সন্তানকে।ধন্যবা


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন