মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫

মার্কিন কর্নেল রাল্ফ পিটারের মধ্যপ্রাচ্য ভাঙ্গার মানচিত্র বাস্তবায়ন করছে আল কায়দার নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আইএসআইএল’ বা ‘আইএস’ ..................................................

.......................................
ইহুদী-খ্রিষ্টানদের মুসলিম দেশসমূহ ভাঙ্গার বিস্তৃত পরিকল্পনা এখন বাস্তবে প্রকাশ পাচ্ছে।
আল কায়দার নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আইএসআইএল’ বা ‘আইএস’
সউদী আরবকে পাঁচ টুকরা ও ইরাককে তিন টুকরা, পাকিস্থানকে তিন টুকরাসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোও টুকরা টুকরা করার চক্রান্তই বাস্তবায়ন করছে।

মার্কিন কর্নেল রাল্ফ পিটার ২০০৬ সালের
“U-S Armed Forces Journal”- এর জুন সংখ্যায় একটি মানচিত্র প্রকাশ করে।
উক্ত মানচিত্রের শিরোনাম ছিল ‘বিস্তৃত মধ্যপ্রাচ্য প্লান’।
উক্ত প্লানে যেসব দেশকে টুকরা করার এবং ভেঙ্গে দেয়ার লক্ষ্য ঘোষিত হয়েছে তা হলো-
১। সৌদি আরব
সৌদি আরবের বর্তমান ভূখ--কে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হবে।
এর কিছু অংশ জর্দানের সাথে যোগ করে Greater Jordan,
কিছু অংশ ইয়েমেনকে দেয়া হবে,
কিছু অংশ কুয়েতকে দিয়ে
অবশিষ্ট অংশে দুইটি দেশ গঠন করা হবে।
একটি হলো মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ নিয়ে Islamic Sacred State|
অপরটির নাম হলো Soudi Homeland Independent Territory.

২। সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল ও তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল যোগ করে গঠন করা হবে Greater Lebanan.
তবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বিরাট এলাকা ও সিরিয়ার বেকা উপত্যাকার মালিক হবে ইসরাইল।
ফিলিস্তিন-মিশরের সীমানা তুলে দিয়ে ফিলিস্তিনীদেরকে মিশরের দিকে ঠেলে দেয়া হবে।

৩। পাকিস্তান থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ বিচ্ছিন্ন করে আফগানিস্তানের সামিল করা হবে।
আজাদ কাশ্মীরকে আফগানিস্তানের সামিল করা হবে।
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের শিয়া অধ্যুষিত এলাকা ইরানের সাথে সামিল করা হবে।
পাকিস্তান থেকে সিন্ধু প্রদেশকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতের সামিল করা হবে এবং বালুচিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে Free Baluchistan নামক দেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

৪। ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ ও ইরাকের শিয়া অঞ্চল নিয়ে Arab Shia State,
ইরাকের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলে গঠিত হবে Sunni Iraq,
ইরান-ইরাক-তুরস্ক ও সিরিয়ার কুর্দী অঞ্চল নিয়ে গঠন করা হবেFree Kurdistan. .
ইরানের উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ তুর্কমেনিস্থানকে দেয়া হবে।

মার্কিন কর্নেলের আঁকা উপরোক্ত মানচিত্র যে কোনো কথার কথা নয়, তা যে কোনো চক্ষুষ্মান ব্যক্তিই অনুধাবন করতে পারবেন।
কেননা ইতোমধ্যে তারা পাকিস্তানকে প্লান অনুযায়ী অস্তিত্বহীনতার সংঘর্ষে নিমজ্জিত করেছে।
পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালেবানদেরকে (টি.টি.পি) সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহ সরকারের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত করিয়েছে,
বালুচ লিবারেশন আর্মীকে অস্ত্র-অর্থ-প্রশিক্ষণ ও স্বীকৃতি দিয়ে বিচ্ছিন্নতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
সিন্ধুতে ‘জিয়ে সিন্ধ’ আন্দোলনকে পরিচর্যা করা হচ্ছে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু করানো হয়েছে,
ইয়েমেনও গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে,
ইরানে গৃহযুদ্ধ লাগানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় সরাসরি হামলার প্রস্তুতি পর্ব চলছে।

এভাবে টুকরো টুকরো করার মূল উদ্দেশ্য হলো- মুসলিম বিশ্বকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করা, মুসলমানদের তেল, গ্যাস তথা খনিজ সম্পদ লুণ্টন করা, জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘের অধীনে মুসলমানহীন ‘এক বিশ্ব ব্যবস্থা’ বাস্তবায়ন করা এবং এক গ্রুপকে আরেক গ্রুপের পেছনে লেলিয়ে দেয়া। যাতে মুসলিম বিশ্ব নিজেরাই অন্তঃবিবাদে লিপ্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ!
আর সে লক্ষ্যে এখন নতুন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নাম দিয়ে সন্ত্রাসবাদী আইএসআইএল বা আইএস’কে পুরো আল কায়দার মতো মদদ করা হচ্ছে।

দেখুন মার্কিন কর্নেল রাল্ফ পিটার ২০০৬ সালের “U-S Armed Forces Journal”- ’- এর জুন সংখ্যায় মধ্যপ্রাচ্য ভাঙ্গার মানচি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন