সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

মেশিনে ধান কাটার দিন শুরু.......

হাত দিয়ে ধান কাটার বদলে মেশিনে ধান কাটার দিন শুরু হয়েছে। স্বল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ে ধান কাটার যন্ত্র হাসি ফুটিয়েছে কৃষকদের মুখে। এ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে কৃষকরা রক্ষা পাচ্ছেন বিপুল উৎপাদন খরচের হাত থেকে। বিজ্ঞানের এ সুফল কৃষকের প্রতিটি জমিতে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
গত শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল বলেন, এক বিঘা জমির রোপা-আমন ধান কাটতে চারজন শ্রমিকের প্রয়োজন। এ চারজন শ্রমিকের মজুরি তিনশ’ টাকা করে হয় বারশ’ টাকা। অথচ এ ধান কাটার মেশিন মাত্র আধা ঘন্টায় এক বিঘা জমির ধান দ্রুত কেটে ফেলতে পারছে। আর এ মেশিনটির আধা ঘণ্টার চার্জ মাত্র তিনশ’ টাকা।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অজিত কুমার পাল বলেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প থেকে এ রিপার মেশিনটি (ধান কাটার যন্ত্র) এসেছে। এক বিঘা জমির ধান কাটতে এ মেশিনের সর্বোচ্চ ত্রিশ মিনিট সময় লাগে। আর এর জ্বালানি খরচসহ অনুসঙ্গিক খরচ অনেক কম। ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেক বেচে যাচ্ছে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য বলেছে, গন্ধর্বপুর সিআইজি (ফসল) সমবায় সমিতির মাধ্যমে এ রিপার যন্ত্রটি পর্যায়ক্রমে একেকজন কৃষকের জমিতে পরিচালনা করা হচ্ছে। ধান কাটার বিশেষ এ যন্ত্রটি চালানোর জন্য একজন চালককেও প্রশিক্ষণ দিয়ে সমিতি থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। হোন্ড কোম্পানির তৈরি রিপার যন্ত্রটির দাম এক লাখ আশি হাজার টাকা বলে জানা যায়।
গন্ধর্বপুর সিআইজি (ফসল) সমবায় সমিতির সম্পাদক জহরলাল সরকার বলেছে, একজন চালককে আমরা সমিতির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছি। তিনি বিঘা প্রতি পঞ্চাশ টাকা মজুরিতে রিপার যন্ত্রের সাহায্যে খেতের ধান কেটে দিচ্ছে। এ যন্ত্রের বড় দিক হলো এ যন্ত্রটি ব্যবহারের ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাচ্ছে।
জানা গেছে, ধান কাটার রিপার যন্ত্রটির প্রচলন চলতি রোপা-আমন মৌসুম থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলগুলোতে যন্ত্রটি বিনামূল্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে এবার রোপা-আমন ধানের চাষ হয়েছে বলে জানা যায়।

২টি মন্তব্য: