মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫

আব্দুস সাত্তার খানঃ যে বাংলাদেশি বিঞ্জানীর আবিষ্কৃত প্রযুক্তি মার্কিন ফাইটার জেটে ব্যবহৃত হচ্ছে!!

১৯৪০ বা ৪১ এ ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলায়
তিনি জন্মগ্রহন করেন।তিনি কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে ইন্টার
মিডিয়েট পাশ করেন।এরপর ১৯৬২ সালে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে
কেমেস্ট্রির উপর অনার্স এবং ১৯৬৩
সালে মাষ্টার্স ড্রিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি লেকচারার হিসেবে
ঢাবিতেই জয়েন করেন।১৯৬৪ সালে
তিনি স্কলারশিপ নিয়ে অক্সফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।১৯৬৮ সালে
তিনি পিএইচডি ড্রিগী অর্জন করেন।
এরপরে দেশে ফিরে আসেন এবং
এসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে
ঢাবিতে যোগদান করেন।১৯৭৩ সাল
পর্যন্ত তিনি ঢাবিতে ছিলেন।এরপর
তিনি ম্যাটারিয়েল
ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর গবেষনার জন্য
আমেরিকায় গমন করেন।

তিনি প্রায় ৪০টির বেশি বিভিন্ন
ধরনের এ্যালোয় আবিষ্কার করেন।এই
এ্যালোয় মূলত খুবই তাপউৎপন্নকারী
যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।যেমন টারবাইন বা জেট
ইঞ্জিন।এর কাজ হচ্ছে এইসব স্টিলকে
মরিচারোধী করা।
তার তৈরি করা এ্যালোয়সমূহ ফাইটার
জেটের ইঞ্জিনকে হালকা করে যার
ফলে বেশ দ্রুত গতিতে ফাইটার জেট
ছুটতে পারে।তার তৈরি করা এক
ধরনের এ্যালোয় বর্তমানে এফ ১৫ এবং
এফ ১৬ বিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই
এ্যালোয়ের কাজ হচ্ছে বিমানের
ইঞ্জিনের ফুয়েলের efficiency বাড়ানো।
শুধু ফাইটার জেটে নয় নাসার
শাটলে,সুইজারল্যান্ডের রেল
ইঞ্জিনে,ইন্ডাস্ট্রিয়াল টারবাইন
ইঞ্জিনে তার এ্যালোয় ব্যবহৃত হচ্ছে।
তার অসাধারন কৃতিত্বের জন্য তিনি
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা হতে
অনেক পুরষ্কার লাভ করেন।যার মধ্যে
নাসা,মার্কিন বিমান বাহিনীও
রয়েছে।
অবসর জীবনে তিনি ফ্লোরিডা স্টেট
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর অধ্যাপক
হিসেবে ছিলেন।১৯৯১ সালে
বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যায় ৬১
হাজার ডলারের ব্যবস্থা করে দেন।
এছাড়াও তার প্রচেষ্টা মার্কিন
লামার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
সহযোগিতামূলক চুক্তি হয়।যাতে ঢাবির
ছাত্ররা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা
করতে পারবে।২০০৮ সালেরর ৩১
জানুয়ারি এই বাংলাদেশের
মেধাবী ব্যক্তি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন।
আজ আমরা মার্কিন ফাইটার জেট
দেখে চোখ কতবড় করি অথচ আমাদের
বাংলাদেশের এক ছেলের আবিষ্কৃত
প্রযুুক্তি এইসব বিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা
আমরা কতজন জানতাম??

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন