বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৬

সেই সাংবাদিক বলেছিল, আইএস এর সন্ত্রাসীদের কে সে কোনদিন কুরআন পড়তে কিংবা নামায পড়তে দেখেনি।



একজন ফরাসি সাংবাদিককে আই এস দীর্ঘ ৬ মাস বন্দি রাখার পর ছেড়ে দেয়। সেই সাংবাদিকের সাথে CNN এ ক্রিশ্চিয়ান আমানপৌর এর সাক্ষাতকারটা দেখেছিলাম। সেই সাংবাদিক বলেছিল, আইএস এর সন্ত্রাসীদের কে সে কোনদিন কুরআন পড়তে কিংবা নামায পড়তে দেখেনি। এমনকি তাদের কাছে কোনদিন সে কুরআনের কোন কপিও দেখেনি। ইংল্যান্ড থেকে যেসব তরুন তরুনীরা আইএস আ গিয়েছে এদের কারো ইসলাম চর্চার ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলনা। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ড্রাগ এডিকটেড ছিল। যারা ইসলাম জানেনা, শুধুমাত্র নামটা মুসিলিম হলেই তাদেরকে সহজে টার্গেট করে ওরা। এদের রিক্রুটমেন্টটা এভাবেই হয়। ইসলামের সঠিক বুঝ থাকা একজন মানুষকে কেউ পারবেনা এমন র্যাডিকার করতে যে সে নিরীহ মানুষকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করবে। আমেরিকা যদি ইরাক আর আফগানিস্তান ধ্বংস না করতো, তাহলে এই পৃথিবীর ম্যাপে আই এস নামক কোন দানবগোষ্ঠির উদ্ভব হতইনা। আই এস যে আমেরিকার সৃষ্টি এটা যাদের একটু হলেও জ্ঞ্যান আছে তারা বুঝার কথা। বিশ্ব রাজনীতি না বুঝে সব কিছুর দোষ মুসলিম আর ইসলামের উপর চাপিয়ে দেওয়াটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছ মানুষের। অথচ মুসলিমরাই ২০০১ এর পর থেকে সব থেকে বেশি গনহত্যার শিকার পুরো বিশ্বে। পৃথিবীতে তাবত হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ হচ্ছে রাজনীতির নীল নকশায়, আর সবাই এসে শুধু উষ্টা খায় আমার ইসলাম ধর্মে। কানের দিকে না তাকিয়ে চিলের পেছনে ছুটতে থাকা নির্বোধদের এই এক সমস্যা। গ্রিক মিথোলজির গড হ্যাডিস এর সৃষ্টি ক্রাকান এর কথা মনে পরে যায়। কি ভয়ানক এক দানব সৃষ্টি করেছিল গ্রিক গড হ্যাডিস। আমেরিকা যেন সেই হ্যাডিস আর আইএস হল সেই ক্রাকান!! আইএস যদি সত্যিই ইসলামিক আদর্শে বিশ্বাসী হতো তাহলে তারা সর্বপ্রথম ইসলামের শত্রু ইজরায়েল কে আক্রমণ করতো এবং ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আওয়াজ তুলতো ...বাট দে ডোন্ট ...সো দে আর নট সেভ ইসলাম, দে ডেস্ট্রয়েড দ্যা ভ্যালু অফ ইসলাম .

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন