বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

পবিত্র হজ্জ নষ্ট করতে সউদী ইহুদী সরকারের ষড়যন্ত্র:


ফরয পর্দা লঙ্ঘন করে পুরুষ মহিলা একত্রে তাওয়াফ ।
সারা বিশ্বের মুসলমানদের পবিত্র হজ্জ নষ্ট করতে ইহুদী বংশধর সউদী সরকার হজ্জ ব্যবস্থাপনায় নানা ষড়যন্ত্র করেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ফরয পর্দা তরক করে পবিত্র কা’বা শরীফে পুরুষ-মহিলা একত্রে তাওয়াফ। অনেক সম্ভ্রান্ত পর্দানশীন মহিলা হজ্জ থেকে এসে পুরুষ-মহিলা একত্রে তাওয়াফ করার ব্যবস্থা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।
প্রকৃতপক্ষে পবিত্র কা’বা শরীফ তাওয়াফের ব্যাপারে সুস্পষ্ট হাদীছ শরীফ রয়ে গেছে।
“হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা রাতের বেলা পর্দা করে তাওয়াফ করতেন। উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারা বাইতুল্লাহ শরীফের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চাইলে সকল পুরুষ বের করে না দেয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতেন।” (বুখারী শরীফ)
এখানে স্পষ্ট করেই লেখা আছে, উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারা পুরুষের সাথে মিশতেন না এবং সকল পুরুষ না বের হলে উনারা তাওয়াফ শুরু করতেন না।
এ হাদীছ শরীফ মেনে সউদী হজ্জ কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই যেসব পদক্ষেপ নিতে পারে এবং নেয়াটা হচ্ছে ফরয। তা হলো- ১) তাওয়াফ, পাথর নিক্ষেপ কিংবা সায়ী’র সময় মহিলাদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করতে পারে। যেমন মহিলাদের জন্য ৬ ঘণ্টা, পুরুষের জন্য ১৮ ঘণ্টা।
২) মহিলাদের সময়টা মধ্য রাত্রে ও শেষ রাতে হতে পারে। (যখন জামাতের সময় নয়)
৩) পবিত্র কা’বা ঘরের সামনে নামায শুরু হলে অনেক মহিলা পুরুষের পাশাপাশি বা একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে যায়, মহিলাদের তাওয়াফ করার সময় আলাদা হলে এ সমস্যা সামাধান হবে।
এখানে মনে রাখতে পর্দা করা ফরয, এটা মহান আল্লাহ পাক উনার নিদের্শ।
মূলত, পবিত্র হজ্জে এসে যেন মুসলমানগণ নিষ্পাপ হয়ে ফিরে যেতে না পারে, বরং অসংখ্য অগণিত গুনাহখাতা নিয়ে ফেরত যায়, সে হীন চক্রান্তই করেছে ইহুদী বংশধর সউদী ওহাবী শাসকরা। নাউযুবিল্লাহ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন