বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

পবিত্র কুরবানী ঈদের আগে হিন্দু ও নাস্তিকরা অপপ্রচার করে থাকে গরুর গোশত শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

পবিত্র কুরবানী ঈদের আগে হিন্দু ও নাস্তিকরা অপপ্রচার করে থাকে গরুর গোশত শরীরের জন্য ক্ষতিকর। নাউযুবিল্লাহ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যা হালাল করেছেন তার মধ্যে কোনো ক্ষতির বিষয় থাকা সম্ভব নয়। তাছাড়া মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গরুর গোশত খেয়েছেন অর্থাৎ গরুর গোশত খাওয়া সুন্নত । তাই নাস্তিকদের মুখে জুতাপেটা করতে গরুর গোশতের উপকারীতা সর্ম্পকে সংক্ষেপে কিছু বর্ণনা করছি। গরুর গোশতের উপকারিতা সম্পর্কে হিউম্যান হেল্থ এন্ড রিসার্চ সেন্টারের গবেষনা থেকে যে বিষয়টা জানা গেছে, সে বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো:
• গরুর গোশতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা পেশী গঠনে সাহায্য করে।
• এতে আছে জিংক যা রোগ প্রতিরোধ আর ক্ষয় পূরণে সাহায্য করে।
• ভিটামিন বি১২ , বি৬ , থায়ামিন,নায়াসিন ও রিবোফ্ল্যাভিনের ভাল উৎস হচ্ছে গরুর গোশত।
• প্রচুর পরিমাণ সেলেনিয়ামও পাওয়া যায়।
• শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি, মানসিক বিকাশে, রক্তকণিকা তৈরিতে এবং অ্যানিমিয়া দূর করতে প্রোটিন, আয়রন, জিংক , ভিটামিন বি প্রয়োজন যা আছে গরুর গোশতে।
• কিছু গবেষণায় দেখা গেছে,গরুর গোশতে বিদ্যমান conjugated linoleic acid (CLA) ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
• Creatine থাকে গরুর গোশতে যা মস্তিষ্ক ও পেশীতে শক্তি সংরক্ষন করে।
• কিছু polyunsaturated acids বিশেষ করে eicosapentaenoic acid (EPA), docosahexaenoic acid (DHA) পাওয়া যায় শুধুমাত্র প্রাণীজ উৎস হতেই যা Anti-atherogenic, anti-thrombotic and anti-inflammatory হিসেবে কাজ করে।
চর্বির ভয়ে যারা গোশত খান না, তাদের জন্য টিপস:
• যেসব অংশে চর্বি কম থাকে বা থাকে না যেমন রানের গোশত নির্বাচন করুন।
• যে চর্বি দেখা যায় তা কেটে বাদ দিন।
• তেল কম লাগে (যেমন roasting, broiling, grilling) এমন পদ্ধতিতে রান্না করুন।
• সাথে সবজি যোগ করুন।
• তিন আউন্সের বেশি গোশত খাবেন না।
সুতরাং বাড়ন্ত বয়সী শিশু, সুস্থ মানুষ সকলেই খেতে পারেন গরুর গোশত (সূত্র: http://bit.ly/2clALIu)
প্রোটিনের উৎস:
মাত্র ৩ আউন্স গরুর গোশত খেলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদার অর্ধেক পূরণ হয়ে যায়। গরুর গোশত থেকে যে প্রোটিন পাওয়া যায় তাতে পেশি গঠনের সব এমিনো এসিড আছে। সুগঠিত গোশতপেশি শরীরে বিভিন্ন এনজাইম ও হরমোন উৎপাদিত হবে।
আয়রনের উৎস:
চার বছরের বেশি বয়সের শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদেরপ্রতিদিন ১৮ মিলিগ্রাম আয়রনের চাহিদা থাকে। গরুর গোশতে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ আছে। সপ্তাহে দুইবার গরুর গোশত খেলে রক্তের মাধ্যমে পুরো শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রনের চাহিদা পূরণ হয়। মাত্র ৩ আউন্স গরুর গোশতে ২.৪ মিলিগ্রাম আয়রন আছে।
জিঙ্কের উপস্থিতি:
গরুর গোশত দেহের জিঙ্কের অভাব পূরণ করে। জিঙ্ক মানুষের পেশিকে সবল করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। বেশিরভাগ মানুষের শরীরের জন্যই প্রতিদিন ১৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক প্রয়োজন। প্রতি ৩ আউন্স গরুর গোশতে ৫.৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
ভিটামিন বি:
গরুর গোশত বিভিন্ন রকম ভিটামিন-বি-এর একটি অন্যতম উৎস। সুস্থ শরীরের জন্য প্রাকৃতিক উৎসের ভিটামিন-বি গ্রহণ করা জরুরী। গরুর গোশতে আছে ভিটামিন-বি-১২, যা নার্ভ সচল রাখে ও ভিটামিন-বি-৬, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও গরুর গোশতে নিয়াসিন আছে, যা হজমে সহায়তা করে এবং রিবোফ্লাবিন, যা চোখ ও ত্বক ভালো রাখে।
শুধু তাই নয় হিন্দু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও গরুর গোশতের উপকারীতা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছে। সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির প্রতিষ্ঠাতা কর্মকর্তা বিজ্ঞানী প্রবীণ পিএম ভার্গব। টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে। এ ডাক্তার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে ৬ নভেম্বর যে চিঠি দিয়েছে, তাতে সে উল্লেখ করেছে গরুর গোশত প্রসঙ্গ। চলমান সংহিতায় একথা উল্লেখ করে বলেছে, 'গ্যাস সমস্যা, অনিয়মিত জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তি, কঠোর পরিশ্রমের জন্য অত্যধিক খিদের থেকে শরীরে যাদের ডিসঅর্ডার দেখা দেয়, যারা এই কারণে অত্যধিক রোগা হয়ে যান, তাদের জন্য গরুর গোশত অত্যন্ত উপকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করে। - http://bit.ly/2bLIytV

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন