সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

আপনি কি আগে মুসলমান না বাঙালী ???

আপনি কি আগে মুসলমান না বাঙালী ???
সবার কাছে আমার প্রশ্ন "আমরা আগে মুসলমান না
বাঙালি ??
" যারা উত্তর দিবেন "বাঙালি" তারা দয়া করে এই
লেখাটি পরবেন না, কারণ তাদের বোঝানোর ভাষা
আমার নেই।
আমাদের এই দেশে অধিকাংশ মানুষ মুসলমান, যা
আমরা সবাই জানি। জানলেও আমরা
"অসাম্প্রদায়িক" এই কথাটা বলে এই চরম সত্যকে
এরিয়ে যাই।
"পহেলা বৈশাখ" কোন মুসলমানদের উৎসব এই কথা
কেও বলতে পারবেনা। কোরআন এবং হাদীস শরিফ
অথবা কোন ইসলামি বই এ পহেলা বৈশাখ এর কথা
বলা নেই। তাহলে আমরা কেন মুসলমানরা এটি
পালন করি ??
অনেকে হয়ত বলবে, আমরা বাঙালী, তাই পালন
করি। তারমানে বাঙালী বাঙালী করে আমরা
আমাদের ইসলামকে বিসর্জন দিচ্ছি। কিছুদিন আগে
জানলাম, "পহেলা বৈশাখ" এ হিন্দু ও মুশরিকদের ১৭
ধরনের পুজা আছে। এরমানে আমরা মুসলমান হয়ে
হিন্দু ও মুশরিকদের দিবস পালন করতেছি। মুসলমান
হয়ে নিজের সংস্কৃতি বিজর্সন দিয়ে কাফিরদের
পা ধরে বসে আছি।
ইতিহাসে আরো পাওয়া যায় "পহেলা বৈশাখ" চালু
করা হয়েছিল বাঙালীদের খাজনা আদায় এর জন্য
যা ছিল মানুষকে শোষণ করার হাতিয়ার। তাহলে
মানুষকে শোষণ করার দিন টি কিভাবে উৎসব হয় ??
মুসলমানরা কি তাহলে এতই বুদ্ধিহীন হয়ে গেছে যে
নিজের ভাল কোনটা তা বুঝে না।
বাংলাদেশের কথিত বর্ষবরণ বা পহেলা বৈশাখ যে
বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্ম নষ্ট করার উৎসব
সেটা কিন্তু সহজেই বোঝা যায়। যেমন, ধরুণ- এদিন
মুসলমানরা গান গায়- “এসো হে বৈশাখ, এসো
এসো”। গানের মধ্যে বলা হয়- বৈশাখ এসে বছরের
সকল অশুভ দূর করে দিবে। উল্লেখ্য বৈশাখ নামটি
হিন্দুদের বিশাখা দেবতার (নক্ষত্র) নাম থেকে
এসেছে। মূলত এ গানের মাধ্যমে বিশাখা দেবতার
কাছে প্রার্থনা করে থাকে অগ্নি পূজক বা হিন্দুরা,
তাদের সব দুঃখ-কষ্ট তুলে নিতে বিশাখার কাছে
প্রার্থনা জানায়। মুসলমানরা আল্লাহর কাছে
প্রার্থনা না করে বিশাখা দেবতার কাছে
প্রার্থনা করা কি শিরক নয় ?
তাই মুসলমানদের এইসব বিধর্মীয় উৎসব পালন করা
এখুনি বন্ধ করা উচিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন