শনিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৬

আপনি কি জানেন, সউদী আরবে কিভাবে হারাম টেলিভিশন প্রবেশ করেছিলো??????

আপনি কি জানেন, সউদী আরবে
কিভাবে হারাম টেলিভিশন
প্রবেশ করেছিলো?
অনেকেই দাবি করে থাকে, সউদী
আরবে যদি হারাম টিভি
থাকে, তবে অন্যস্থানে রাখতে সমস্যা
কোথায়?
নাউযুবিল্লাহ!
এর উত্তরে বলতে হয়, সউদী আরব পবিত্র
দ্বীন
ইসলাম উনার দলিল নয়, পবিত্র দ্বীন
ইসলাম উনার দলিল
হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র
হাদীছ শরীফ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুসারে ছবি বা
টিভি হারাম, তাই সউদী
আরব কি করলো তা মুসলমানদের দেখার
দরকার নাই।
তারপরও যে সকল মূর্খ এ ধরনের কথা বলে,
তাদের
সউদীতে টিভি প্রবেশের ইতিহাস
জেনে রাখা
প্রয়োজন। আসুন ইতিহাস পড়ে নেই-
সউদী আরবের ওহাবী কথিত বাদশাহ
ফয়সাল (শাসনকাল:
১৯৬৪-১৯৭৫) সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে
দেশটিতে হারাম টিভি
ব্রডকাস্টের অনুমতি দেয়। সউদী আরবে
হারাম টিভি
প্রবেশ করবে এ কথা শুনে ঐ সময় সকল
আলেম-ওলামা
এর বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়েছিলো। ঐ
সময়-আলেম ওলামারা
বলেছিলো, যদি সউদীতে টিভি
প্রবেশ করে, তবে
পরবর্তীতে এর দেখাদেখি সমগ্র মুসলিম
বিশ্ব টিভিকে
হালাল মনে করবে। তাই ঐ সময় টিভির
বিরুদ্ধে সউদী
আরবে অনেক আন্দোলনও হয়। কিন্তু
তারপরও
আলেম-ওলামাদের কথা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য
করে সউদীতে
টিভি প্রবেশ করায় কথিত কিং
ফয়সাল।
এ ক্ষোভ ও প্রতিবাদ সউদী কথিত
রাজপরিবারের
ভেতরে পর্যন্ত চলে আসে। এ ক্ষোভের
কারণেই
১৯৭৫ সালের ২৫শে মার্চ ভাতিজা
কথিত প্রিন্স ফয়সাল বিন
মোসাইদের হাতে নিহত হয় কিং
ফয়সাল। হত্যাকা-ের সময়
কথিত কিং ফয়সাল কুয়েতের
প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ
করছিলো। ভাতিজা ঘরে প্রবেশ
করতেই কথিত কিং ফয়সাল
সবার সামনে ভাতিজাকে ধরে
কপালে চুমু খেতে যায়,
সেই মুহূর্তে ভাতিজা কথিত প্রিন্স
ফয়সাল বিন মোসাইদ তার
পিস্তল বের করে এবং দুটি গুলি করে।
একটি গুলি ফয়সালের
থুতনিতে লাগে, অন্যটি কানে। আহত
অবস্থায় হাসপাতালে
নেয়ার পর সেখানেই কথিত কিং
ফয়সাল মারা যায়। (সূত্র: বই-
The Wahhabi Mission and Saudi Arabia, ‡jLK-
David
Dean Commins)
দেখা যাচ্ছে, সউদী আরবে হারাম
টিভি প্রবেশ করার
সময় মুসলমানরা যথেষ্ট বাধা
দিয়েছিলো এবং বিষয়টি নিয়ে
এতটাই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় যে খোদ কথিত
রাজাকে পর্যন্ত
জীবন দিতে হয়েছিলো। তাই এখন
যারা বলে থাকে-
‘সউদীতে টিভি থাকলে
বাংলাদেশে সমস্যা কোথায়?’ এরা
ইতিহাস জ্ঞানশূন্য নিরেট মূর্খ ছাড়া
কিছু নয়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন