শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৬

স্যার ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর জন্মদিন

গতপরশু ছিল ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের জন্মদিন। তিনি ১৯৫২ সালের এই দিনে সিলেটে জন্মগ্রহন করেন। তিনি একাধারে শিক্ষক, পদার্থবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, লেখক, কলামিষ্ট ও একজন বিজ্ঞানী। স্যার ব্যক্তিজীবনে ১ স্ত্রী ২ সন্তানের জনক।
তার স্ত্রীর নাম ড. ইয়াসমীন হক, ছেলে নাবিল ইকবাল ও মেয়ে ইয়াশিম ইকবাল। স্যার ছোট বেলায় একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তিনি ড্রোন নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহীনির উপর ঝাপিয়ে পড়বেন এমন চিন্তা করেছিলেন, কিন্তু ড্রোন নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার আগেই দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। স্যারের সব চেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন সফল সাহিত্যক।
বাংলা সাহিত্য তার কাছে অনেক ঋনী। স্যারের লেখা বিশেষ করে সাইন্স ফিকশান গুলো সারা বিশ্বে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে বিভিন্ন দেশের নামি দামী লেখকগন তার লেখা চুরি করে। নিচে তার কিছু উদাহরন দিচ্ছি।
১) স্যার "অবনীল" নামক একটি বই প্রকাশ করেন ২০০৪ সালে। আর বইটি হবুহ নকল করে ২০০০ সালে জিম হুইট আর কেন হুইট নামে দুই ভাই মিলে "পিচ ব্লাক" নামে একটি হলিউডের সিনেমা বানিয়ে ফেলেন।
২) স্যার ১৯৯৯ সালে আরেকটি বই লেখেন "নিতু ও তার বন্ধুরা"। স্যারের এই বইটা নকল করে দানি দেভিতো নামে এক ভদ্র লোক "ম্যাটিল্ডা" নামে এক হলিউডের সিনেমা বানিয়ে ফেললেন ১৯৯৪ সালে। ছবিটি বাজেটের চেয়ে ৬৫ কোটি ডলার বেশি নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন অথচ স্যারকে একটি টাকাও দিলেন না।
৩) ঠিক তেমনি স্যারের ২০০৫ সালে বের হওয়া "আমি তপু" ১০ বছর আগে ১৯৯৫ সালে ডেবিড পেলজার নামে আমিরিকান এক সাহিত্যক নকল করেন। তার বইটির নাম দেন " আ চাইল্ড কল্ড ইট"।
৪) স্যারের ২০০০ সালে বের হওয়া "মেকু কাহিনী" বইটি নকল করে ১৯৯৪ সালে প্যাট্রিক রিড জনসন নামে এক হলিউডের পরিচালক বানিয়ে ফেললেন বিশ্ব বিখ্যাত শিশুতোষ ছবি "বেবিজ ডে আউট"।
৫) একই ভাবে স্যারের ১৯৮৮ সালে ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম বইটি নকল করে ১৯৭৯ সালে বের করা হয় "এলিয়েন "। সারা বিশ্ব স্যারের বই নকল করে এ জন্য স্যার তিন তিন বার সাহিত্যে নোবেল পেলেও তা প্রত্যাখান করেন।
২০১৪ সাল একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বাংলাদেশের জন্য। এই বছরই স্যার বাংলাদেশে প্রথম আবিষ্কার করেন দ্রুত গতি সম্পন্ন ড্রোন। পেন্সিল ব্যাটারী চালিত এই ড্রোন ভুমি থেকে ১ হাজার মিলি মিটার উপরে উড়তে সক্ষম। আমেরিকার পেন্টাগন স্যারের এই ড্রোন কিনতে চাইলে স্যার দেশের স্বার্থে তা বিক্রি করতে চান নি। তবে এ বছরের শেষের দিকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে এক সন্ত্রাসী সংগঠন স্যারের এই ড্রোন চুরি করলে সরকারের চৌকস গোয়েন্দা টিম তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
স্যার অনেক সামাজিক, মানবাধিকার ও কল্যাণ মুলক সংগঠনের সাথে জড়িত, স্যার বিশেষ করে নারী অধিকার সংগঠনের হয়ে কাজ বেশি করেন। তিনি নারীদের অনেক সম্মান দেন ভালবাসেন। এ জন্য তিনি কোন ছাত্রের সাথে সেলফি ও ফটো সেশনে অংশগ্রহন করেন না। তিনি কোন ছেলেদের নাচেও যুক্ত হন না। স্যারের জন্মদিনে অনেক অনেক বেলুন ও মোমবাতির বাশি শুভেচ্ছা। তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
কার্টেসি: ফখরুল ইসলা
December 30, 2015

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন