বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

এয়ারটেলের ফাঁদে আপনি নেইতো! আঙ্গুলের ছাপ জালিয়াতিতে এয়ারটেলর কর্মকর্তা আটক।



ঢাকা: বেতনভুক্ত কর্মী ও কমিশন এজেন্টদের চাপ দিয়ে আঙুলের ছাপ জালিয়াতি করে হাজার হাজার সিম অবৈধভাবে নিবন্ধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি এয়ারটেলের কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে। অন্য অপারেটরগুলোরও তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ।
এয়ারটেলের তিন জন টেরিটোরি ম্যানেজার ও ১৮ জন কমিশন এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছাপ জালিয়াতির তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সকালে তেজগাঁও পুলিশের উপ কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি জানান, আঙুলের ছাপ নিয়ে গ্রাহকদের অজ্ঞাতে অন্য সিম নিবন্ধনের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে এয়ারটেলের তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২১ জনকে আটক করে পুলিশ।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ডিসি বলেন, ‘এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ ব্রিফিং করে এদেরকে প্রতিদিন ৪শ থেকে ৫শ সিম অন্য গ্রাহকের অঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধনের জন্য চাপ দেয়। এর ভিত্তিতেই এয়ারটেলের বেতনভুক্ত কর্মকর্তা ও এজেন্টরা অন্যের ছাপ দিয়ে জালিয়াতি করে হাজার হাজার সিম রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এয়ারটেলের কোন স্তরের কর্মকর্তারা এই অবৈধ সিম নিবন্ধনের সাথে জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা শুধু এয়ারটেলের অবৈধ সিম নিবন্ধনের প্রমাণ পেয়েছি। পরবর্তীতে আমরা অন্য অপারেটরেরগুলোও খতিয়ে দেখবো।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে আঙুলের ছাপ জালিয়াতি করে বেশি দামে নিবন্ধিত সিম বিক্রি করেছে বলে আটকরা জানিয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির স্পেকট্রাম পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল মঈন বলেন, ‘বিটিআরসি আইন অনুসারে এই অবৈধ প্রক্রিয়ায় সিম নিবন্ধনে এয়ারটেল কর্তৃপক্ষের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আঙুলের ছাপ জালিয়াতির অভিযোগ প্রথমে চট্টগ্রামে পাওয়া যায়। এবার ঢাকাতে পাওয়া গেলো। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা পরিচালক পর্যায়ে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
উল্লেখ্য, আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না বা অন্য সমস্যা হচ্ছে এমন অজুহাতে এজেন্টরা অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে এক সিমের বিপরীতে একাধিকবার ছাপ নেয়ার অভিযোগ শুরু থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। এ কারণে নিবন্ধনের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর প্রিঅ্যাকটিভ সিম শনাক্ত করতে মাঠে নামে বিটিআরসি। শেষ পর্যন্ত এই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়লো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন